৭:৩৭ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ৪, ২০২১ ১:৪৭ অপরাহ্ন
করোনায় মারা গেল বাকৃবি অধ্যাপক ড. আজহারুল হক
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. আজহারুল হক। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) আনুমানিক রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।

জানা যায়, ড. আজহারুল হক একইসাথে করোনা ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার ফুসফুসের প্রায় ৭৫% ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরপর গত ২৯ জুলাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। মরহুমের মরদেহ শেষবারের মতো বাকৃবি ক্যাম্পাসে নেয়া হচ্ছে। বাকৃবি ক্যাম্পাসে বুধবার (৪ আগষ্ট) সকাল ৯ টায় তার জানাযা ।

তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক,শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা এবং কর্মচারীসহ পুরো কৃষিবিদ পরিবার তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছেন।

অধ্যাপক অধ্যাপক ড. আজহারুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, নিরাপত্তা শাখার পরিচালক, ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক, শহীদ জামাল হোসেন হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৭ সালে প্রভাষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং ২০১০ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩, ২০২১ ৬:৪৭ অপরাহ্ন
সিকৃবির ছাত্র বিষয়ক নতুন পরিচালক প্রফেসর সামছুজ্জামান
ক্যাম্পাস

সিকৃবি প্রতিনিধি: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো: মোস্তফা সামছুজ্জামান ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ছাত্র পরামর্শ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় চেয়ারম্যান, সহকারী প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের রেজি:/সংস্থাপন/পরি. (ছা.প. ও নি.) – ০৭/০৭/১১৯৫ স্মারকে যোগদানের তারিখ হতে আগামী দুই বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়। যোগদানের পর ড. সামছুজ্জামান শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রযাত্রায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

ড. সামছুজ্জামান টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ইমাম হোসেন এর জ্যেষ্ঠ সন্তান। ব্যক্তি জীবনে তিনি ২ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জনক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২, ২০২১ ১২:০১ পূর্বাহ্ন
সেপ্টেম্বরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পরীক্ষা শুরু অনলাইনে
ক্যাম্পাস

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেপ্টেম্বরে অনলাইন প্লাটফর্মে স্নাতক পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে।১ লা আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম একাডেমিক কাউন্সিল অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। শুধুমাত্র “অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহনের প্রস্তাবিত নীতিমালা” নিয়ে আজকের একাডেমিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব বদরুল ইসলাম এর উপস্থাপনায় ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর শোকাবহ আগস্টে বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ নিহত সকলের জন্য দোয়া ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

“অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহনের প্রস্তাবিত নীতিমালা” কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ প্রথমে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রস্তাবিত নীতিমালার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পরে উক্ত কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যদের সামনে “অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহনের প্রস্তাবিত নীতিমালা” উপস্থাপন করেন। বিস্তারিত আলোচনার পরে একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা এ নীতিমালা সর্বসম্মতিক্রমে পাশ করেন। ফলে সেপ্টেম্বর থেকে স্নাতক পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে।

ইন্টার্ণশীপ পরীক্ষা ও পোস্টগ্রাজুয়েট পরীক্ষাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী বা প্রস্তাবিত অনলাইন পদ্ধতিতে নিতে পারবে।

উল্লেখ্য করোনা মহামারীর কারণে সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রায় দেড় বছর ধরে সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিলো। তাই অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবার নতুন উদ্যমে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে-এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর। পরিশেষে, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সুস্থতা কামনা করে, ও “অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহনের প্রস্তাবিত নীতিমালা” প্রনয়ন কমিটি সহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩১, ২০২১ ৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
বাকৃবি’তে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম‘র সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবিঃ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নানা আন্দোলন সংগ্রামে ড. শামসুল আলম সবসময় অসীম সাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। ড. শামসুল আলম তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মন্ত্রিপরিষদকে আরও শক্তিশালী করে জাতীয় প্রত্যাশা পূরণ করবেন ।

প্রফেসর ড. শামসুল আলম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি ড. আব্দুর রাজ্জাক তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সিন্ডিকেটের সম্মানিত সদস্য প্রফেসর ড. শামসুল আলম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর আয়োজনে শুক্রবার (৩০ জুলাই ২০২১ )সন্ধ্যায় জুম ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড এর পরিচালনা পর্ষদের মাননীয় চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব জনাব সাজ্জাদুল হাসান।

আজকের দিনটিকে একটি আনন্দের দিন হিসেবে অভিহিত করে বিশেষ অতিথি সাজ্জাদুল হাসান বলেন প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে গত বারো বছর প্ল্যানিং কমিশনে বিশাল অবদান রেখেছেন ড. শামসুল আলম । তিনি আরোও বলেন বাংলাদেশ কৃষিবিদ অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে তার অবদান অসামান্য। দেশের দারিদ্রতা দূরীকরণে ড. শামসুল আলম আগামীতে আরও সুদৃঢ় ভাবে কাজ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।

মুক্ত আলোচনার পর সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেন প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান তিনি জীবন দিয়ে হলেও দিবেন।তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে সবসময় কাজ করে যাবেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ছাইফুল ইসলাম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ডঃ একেএম জাকির হোসেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলমের কর্মজীবন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন।

অনুষ্ঠানের মানপত্র পাঠ করেন ফিশারিজ বায়োলজির ও জেনেটিক্স বিভাগের সহকারী প্রফেসর ইসমত জাহান টুম্পা। মুক্ত আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর, সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্য, এমিরিটাস প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার মন্ডল, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্য, ড. এফ এইচ আনসারি, বারির ডিজি ড. নজরুল ইসলাম, কৃষিবিদ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আসলাম আলী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সুবাস চন্দ্র দাস।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অফিসার্স পরিষদের সভাপতি খাইরুল আলম নান্নু, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম এবং আরোও অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রেস-মিডিয়াসহ সাধারন ব্যাক্তিবর্গ।

মাননীয় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলমকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে পরিকল্পনা কমিশনে সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে প্রফেসর ড. শামসুল আলম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাস লাভ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ও তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভাইস-চ্যান্সেলর উল্লেখ করেন, ড. আলম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও শিক্ষকতায় ১৯৭৪ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত নিয়োজিত ছিলেন। ড. আলম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কমিটি সিন্ডিকেটে সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমি তাঁর নিকট থেকে পেয়েছি অকুণ্ঠ সহযোগিতা ও সমর্থন ।

ছাত্র জীবনে ড. আলম একজন নর্ম, ভদ্র, স্বল্পভাষী এবং অত্যন্ত মেধাবী ও বিচক্ষণ ব্যাক্তিত্ব হিসেবে সকলের মাঝে সমাদৃত ছিলেন। তার কর্মজীবনে তিনি দারিদ্র্যবিমোচন কৌশলপত্র সংশোধন ও পূর্ণ বিন্যাস, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, সপ্তম, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, জাতীয় টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র, শতবর্ষের ডেল্টা প্ল্যানসহ নানা পরিকল্পনা প্রণয়ন করার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাথী, অফিসার, কর্মচারী, কৃষিবিদ, আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশ গ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২১ ৯:৩৪ অপরাহ্ন
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মানিক লাল দেওয়ান এর মৃত্যুতে বাকৃবি ভিসির শোক
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মানিক লাল দেওয়ান স্যার আজ ২৯ জুলাই ২০২১ইং (বৃহস্পতিবার) বার্ধক্যজনিত কারণে চট্টগ্রামের সার্জিস্কোপ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গুণী এই অধ্যাপকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এছাড়াও তিনি অধ্যাপক ড. মানিক লাল দেওয়ান এর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাকৃবিতে দীর্ঘ সময় অধ্যাপনা করেন তিনি। বাকৃবির প্যাথলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক এবং ভেটেরিনারি অনুষদের ডীন হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ড. মানিক লাল দেওয়ান। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠী থেকে প্রথম ডক্টরেট ছিলেন।
ড. মানিক লাল দেওয়ান ১লা জানুয়ারি ১৯৩৫ খিঃ রাঙ্গামাটি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫২ খিঃ রাঙ্গামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে School Final (Science Side) পাস করেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কলেজ অব ভেটেরিনারি সাইন্স থেকে ১৯৫৮ খিঃ Bsc (A.H.) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৮ খিঃ তিনি এনিমেল হাজবেন্ড্রী অফিসার, কুমিল্লা ও ১৯৫৯ খিঃ পূর্ব পাকিস্তান ভেটেরিনারি কলেজে Asst. Lacturer হিসেবে নিয়োপ্রাপ্ত হন। ১৯৬১ খিঃ তিনি USAID বৃত্তি লাভ করে ১৯৬৪ খিঃ Texax A&M University থেকে M.S. in Pathology ডিগ্রী লাভ করেন। Armed Forces Institute of Pathology, Washington DC থেকে বিশেষ ট্রেনিং শেষ করে ১৯৬৪ খিঃ তৎকালীন East Pakistan Agricultural University তে Asst. Professor হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৮ খিঃ তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বৃত্তি লাভ করে মস্কো ভেটেরিনারি একাডেমী থেকে ১৯৭১ খিঃ চয.উ Ph.D in Veterinary Pathology ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭২ খিঃ ড. দেওয়ান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর Associate Professor এবং ১৯৭৩ খিঃ তিনি প্যাথলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৮১ খিঃ প্রফেসর পদে উন্নীত হয়ে ১৯৮২-১৯৮৪ খিঃ ভেটেরিনারি ফ্যাকালটির ডীনের আসন অলংকৃত করেন। ১৯৭৮-৭৯ খিঃ তিনি যুক্তরাজ্যের এডিনবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে Post Doctoral Research করেন। ১৯৮০-৮১ খিঃ তিনি ইরাকের মসুল বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেন। বাংলাদেশে পশুসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে ২০০৪ খিঃ বাংলাদেশ অ্যাক্যাডেমি অফ এগ্রিকালচার কর্তৃক Dr. S.D Chaudhuri Gold Medel এ ভূষিত করা হয়। স্মৃতি রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ড. দেওয়ানের অফিস কক্ষটিকে Prof. M.L Dewan Conference Room নামকরণ করে। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণের পর ২০০২-২০০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রফেসর দেওয়ান রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়াারম্যান হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ড. দেওয়ানের মৃত্যুতে পাহাড়ের জনগণ একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদকে হারালো।
স্যারের মৃত্যুতে বাকৃবি জনসংযোগ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২১ ২:২৭ অপরাহ্ন
IAAS Bangladesh SAU এর ভার্চুয়াল ক্যারিয়ার আড্ডায় স্বপ্ন ছড়ালেন সুশান্ত পাল
ক্যাম্পাস

করোনা ভাইরাস আতঙ্কে দেশ তথা বিশ্বের জনজীবনে স্থবির হয়ে পড়েছে এরই ব্যতিক্রম নয় শিক্ষার্থীরাও। প্রায় ১.৫ বছর ধরে দেশের স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোও বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘসময় ধরে ঘরে বসে আছে শিক্ষার্থী ও চাকুরি প্রত্যাশীরা ।এভাবেই চলে যাচ্ছে দিনের পর দিন। অনেকে ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশ আবার অনেকে কোভিড-১৯ পরবর্তী ক্যারিয়ার নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত সেটিও বুঝে উঠতে পারছে না। ঘরবন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক ভাবে মনোবল শক্ত রাখতে, পড়াশোনা কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের  IAAS Bangladesh SAU আয়োজন করেছে ভার্চুয়াল ক্যারিয়ার আড্ডা ।

গত ২৪ জুলাই রাত ৮ঃ০০ টায়  International Association of Students in Agricultural & Related Sciences Bangladesh, Sylhet Agricultural University (IAAS Bangladesh SAU) ভার্চুয়াল ক্যারিয়ার আড্ডার আয়োজন করেছে। যার আলোচ্য বিষয় ছিল : Interactive Career Mapping : Navigate Your Career Advancement in the Post-Covid-19 Era।এই সময়  আলোচোক হিসেবে ফেসবুক লাইভে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ব্যভার্চুয়াল ক্তিত্ব,তরুণ সমাজের আইকন,সকলের পরিচিত এবং প্রিয় মুখ সুশান্ত পাল। ডেপুটি কমিশনার অব কাস্টমস, বাংলাদেশ কাস্টমস। তিনি একাধারে একজন লেখক ও মোটিভেশনাল স্পীকার। সঞ্চালনায় হিসেবে  ছিলেন মমিনুল হক সিফাত ও ইফফাত শারমিন ইরা ।

ক্যারিয়ার সম্পর্কে নিজের দর্শন তুলে ধরে বলেন, ক্যারিয়ার শুরু করার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিন কি আপনার ভাল লাগে। সবাই সবকিছু পারে না। এটা মেনে নিন । আপনি কোন কাজটা ভাল পারেন সেটা বের করুন। আপনি যে বিষয়টাতে আগ্রহবোধ করেন না , সেটাতে সময় দেয়া মানে স্রেফ সময় নষ্ট করা।

প্রায় ৪ ঘণ্টা ব্যাপী এই ক্যারিয়ার আড্ডা সুশান্ত পালের ফেসবুক পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল, IAAS Bangladesh SAU এর ফেসবুক পেইজ থেকে একযোগে লাইভে সম্প্রচারিত করা হয়। মুহূর্তের ভেতর এই প্রোগ্রাম প্রায় ৪০ হাজার মানুষের কাছে পৌছায়।

লাইভে এসে সুশান্ত পাল তরুণ সমাজের উদ্দেশে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। জীবন,সংগ্রাম ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অজানা প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যার সমাধান প্রদান করেন ।আড্ডার পুরোটা সময় জুড়ে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেছেন সাফল্যের মন্ত্র, দিয়েছেন ক্যারিয়ার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা এবং এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা।সবশেষে, করোনা পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাই বড় সাফল্য উল্লেখ করে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবনযাপন করতে পরামর্শ প্রদান করেন এবং করোনা টিকা গ্রহনে উৎসাহিত করেন।

সফল এই আয়োজনে আয়োজকরাও দারুণ তৃপ্ত । মোহাঃ আতিক আশহাব বলেন, করোনায়  শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে এই ভার্চুয়াল ক্যারিয়ার আড্ডার আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। ভবিষ্যতে আমাদের এ ধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য ,International Association of Students in Agricultural and Related Sciences (IAAS) এর যাত্রা শুরু করে  ১৯৫৭ সালে। মূলত কৃষিভিত্তিক ফিল্ডের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই এর জন্ম। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশ  IAAS এর সদস্যপদ লাভ করে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৫, ২০২১ ৭:২৯ অপরাহ্ন
শেকৃবি’র ২১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
ক্যাম্পাস

আজ ১৫ জুলাই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। অন্যান্য বছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করলেও এ বছর কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দিবসটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্ত্বরে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন শেকৃবি’র মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া ও মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম এবং ৯.১৫ মিনিটে শেকৃবি’র প্রশাসনিক ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্হিত ছিলেন পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড.মোঃ আসাদুজ্জামান খাঁন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন, আইসিসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসাইন, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান , প্রক্টর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ, রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতি, নীল দল, অফিসার্স এসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ, শেকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও শ্রমিক নেতৃ্ৃবৃন্দ।

মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া উপস্থিত সকলকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সফলতা ও মঙ্গল কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২১ ৯:৩৬ অপরাহ্ন
শেকৃবিতে হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে ফুটবল ম্যাচ, জানতো না প্রশাসন
ক্যাম্পাস

শেকৃবি প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে সারাদেশে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সরকারে বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে প্রায় ১ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ফুটবল টুর্নামেন্ট।

বুধবার ( ৭ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেখ কামাল অনুষদ ভবন সংলগ্ন মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, ক্যাম্পাস বসবাসরত যুবকদের উদ্যোগে সিনিয়র জুনিয়র ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কিছু শিক্ষার্থীরাও খেলায় অংশগ্রহণ করে। ক্যাম্পাসের বাইরে কেউ ওই সময়ে ছিল না তবে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মাঠে আসছিল। এছাড়া আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত এভাবে প্রত্যেকদিন ম্যাচ চলবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মিয়া জানান, বিকেলে ক্যাম্পাসে ঘুরতে গিয়ে দেখি প্রায় ১ হাজার দর্শক উপস্থিতিতে ফুটবল ম্যাচ চলছে।
ক্যাম্পাস যখন পুরোপুরি ভাবে বন্ধ, তখন শেখ কামালের পাশের মাঠে চলে ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুনামেন্ট।শেকৃবি প্রশাসন কি আদৌ ঘুমন্ত অবস্থা হতে জাগ্রত হবে? আজ কোথায় আপনাদের কোভিড ১৯ কমিটির সচেতন কর্তৃপক্ষ।
এখানে কি করোনা হবে না? নাকি শুধু শিক্ষার্থীদের করোনা হয়? শেকৃবি প্রশাসন অজ্ঞ নাকি বিজ্ঞ প্রশ্ন রয়ে গেল?


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশীদ বলেন, খবর পাওয়া সাথে সাথে আমরা ম্যাচ বন্ধ করে দিয়েছি। আর খেলা হবে না।
খেলার অনুমতি চাওয়ার বিষয় জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন , না! খেলার জন্য কাউকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয় নি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২১ ৮:৩০ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে সোনালী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সম্পাদক আব্দুল আওয়াল
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সোনালী দলের ২৩ সদস্য বিশিষ্ট ২০২১-২২ সালের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য এ কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ফিসারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পশু বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল নির্বাচিত হয়েছেন ।

সোমবার (৫ জুলাই) সোনালী দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো.আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মো. আশিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ওয়াকিলুর রহমান ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী হোসেন, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নছির উদ্দিন, সমাজ কল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল প্রতীক সিদ্দিক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান মজুমদার। এছাড়া কমিটিতে সাধারণ সদস্য হিসেবে ১৩ জন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২১ ৪:২০ অপরাহ্ন
ক্ষতিকর অ্যাকুরিয়ামের সাকার ফিশ
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি :  পুরো নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ। বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস। অ্যাকুরিয়ামে শোভাবর্ধনকারী হিসেবে রাখা হয় বিদেশি প্রজাতির এই মাছটিকে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ডোবা নালাসহ বিভিন্ন জলাশয়ে হর হামেশাই দেখা মিলছে মাছটির। দেখা মিলছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি)বিভিন্ন জলাশয়গুলোতেও।

দ্রুত বংশ বিস্তারকারী মাছটি জলজ পোকামাকড় ও শ্যাওলার পাশাপাশি ছোট মাছ এবং মাছের পোনা খেয়ে থাকে। তাছাড়া সাকার ফিশের পাখনা খুব ধারালো। ধারালো পাখনার আঘাতে সহজেই অন্য মাছের দেহে ক্ষত তৈরী হয় এবং পরবর্তীতে পচন ধরে সেগুলো মারা যায়। সাকার ফিশ রাক্ষুসে প্রজাতির না হলেও প্রচুর পরিমাণে খাবার ভক্ষণ করে। এতে দেশীয় প্রজাাতির মাছের সাথে খাদ্যের যোগান নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে না বিলুপ্তির সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছের।

বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রজাতির সাকার ফিশ ১৬-১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। মাছটি পানি ছাড়াই প্রায় ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে। মাছ চাষীরা অভিযোগ করেন, তাদের ঘেরে এই মাছ ঢুকে পড়ে চাষের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। এর ব্যাপক বিস্তার ঘটলে দেশীয় প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মৎস্য গবেষকরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সাকার ফিশের প্রভাবে মায়ানমার ও আরব আমিরাতের মৎস্য চাষীরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে। বাংলাদেশে কয়েক বছর আগে উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রথম এই মাছের দেখা মিলে। তবে এখন সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুরের মত জায়গা যা উপকূল থেকে অনেক দূরে, সেখানেও দেখা মিলছে এই মাছের।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদ বলেন, সাকার মাউথ ক্যাটফিশ মাছটি সহজেই নতুন পরিবেশের সাথে অভিযোজিত হয়ে দ্রæত বংশ বিস্তার করতে সক্ষম। অনেকে শুরুর দিকে অ্যাকুরিয়াম ফিশ হিসেবে পালন করলেও পরবর্তীতে মাছটি বড় হয়ে গেলে তখন পুকুর বা ডোবায় ছেড়ে দেয়। সেখানে মাছটি নতুন পরিবেশে খাপ খেয়ে বংশ বিস্তার শুরু করে। মাছটি খেতে সুস্বাদু না হওয়ায় সাধারণত কেউ মাছটি খায় না এবং বাজারেও মাছটির কোনো চাহিদা নেই। মাছটি ভক্ষণে কোনো স্বাস্থ্য ঝুকি আছে কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো গবেষণা হয় নি।

তিনি বলেন, এই মাছটি একবার কোনো জলাশয়ে ঢুকে পড়লে এর বিস্তার রোধ করা খুব কঠিন। চাষের পুকুরে এই মাছ ঢুকে পড়লে অন্য মাছের সাথে খাবার ও বাসস্থান নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করে। এতে করে বাইরে থেকে পর্যাপ্ত খাবার প্রদান করলেও কাঙ্খিত মাছের উৎপাদন পাওয়া যায় না। অন্য দিকে চাষযোগ্য মাছ সাকার ফিশের সাথে খাবার ও বাসস্থানের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে না। এভাবে মাছ চাষীরা লোকসানের মুখে পড়েন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop