১:৩৭ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২১ ২:৩৮ অপরাহ্ন
শেকৃবিতে শেরেবাংলার ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ক্যাম্পাস

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের মহান নেতা শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে শেরেবাংলার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডীন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেন ও রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম।

এরপর মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৪, ২০২১ ৪:১৯ অপরাহ্ন
সিভাসু‘তে “বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস” পালিত
ক্যাম্পাস

ভেটেরিনারি অনুষদীয় ছাত্র সমিতি, সিভাসু এবং ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, সিভাসু‘র যৌথ উদ্যোগে আজ ২৪ এপ্রিল “বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস” পালিত হয়। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, সিভাসু এ বছর দিনটি উদযাপনের লক্ষ্যে একটি জুম ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্তে ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন সিভাসু‘র উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ

এ বছর “বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস” এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, “কোভিড-১৯ সংকটে ভেটেরিনারিয়ানদের কার্যক্রিয়া”। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, সিভাসু‘র কোভিড ল্যাবের প্রধান এবং ওয়ান হেলথ ইন্সটিটিউট, সিভাসু‘র পরিচালক অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী

মূল প্রবন্ধে তিনি কোভিড-১৯ সংক্রমণের সময় ভেটেরিনারিয়ানদের কার্যক্রম ও ভুমিকা তুলে ধরেন। এরপর ওয়েবিনারের মুক্ত আলোচনা অংশে সিভাসু‘র বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরেন।

মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, ডা. ইফতেখার রানা, ড. আশুতোষ দাস, ড. ওমর ফারুক মিয়াজি, ড. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, ড. মাহমুদুল হাসান, ড. ভজন চন্দ্র দাস, ড. কবিরুল ইসলাম খান, ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস।

বক্তারা তাদের আলোচনায় কোভিড-১৯ সংকটে নারী ভেটেরিনারিয়ানদের ভূমিকা, ভেটেরিনারি পেশাকে জররি সেবার অন্তর্ভুক্তকরণ, পি আর টি সি এর সার্বক্ষণিক সেবা কার্যক্রম, করোনা ল্যাব স্থাপন ও করোনা পরীক্ষা ও গবেষণায় জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের বিষয়ে উল্লেখ করেন।

সিভাসু‘র উপাচার্য প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশের যে কোন সংকটে ভেটেরিনারিয়ানদের সংশ্লিষ্টতা ও কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গবেষণাকে এগিয়ে রাখার উপর জোর আরোপ করেন।

১৮০ জনের সংযুক্তিতে ২ ঘণ্টার এ আয়োজনের সমাপণী বক্তব্য প্রদান করেন ওয়েবিনারের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন। তিনি সবাইকে এ মহামারীতে নিরাপদে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে আহ্বান জানান। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক ড. আমীর হোসেন সৈকত।

আরো পড়ুন: বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৪, ২০২১ ১:৫০ অপরাহ্ন
বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসে শিক্ষার্থীদের ভাবনা
ক্যাম্পাস

২৪ এপ্রিল বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসে ।সারা বিশ্বের প্রাণী সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ একটি দিন। একটি দেশের পুষ্টি বিশেষ করে প্রোটিন, আমিষের চাহিদার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন এই ভেটেরিনারিয়ানরা।

ভেটেরিনারি পেশা নিয়ে শিক্ষার্থীদের রয়েছে নানান ধরনের আবেগ-অনুভূতি ও অনুপ্রেরণার গল্প।বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি  অনুষদের শিক্ষার্থীদের ভেটেরিনারি  দিবসে ভাবনা ও প্রত্যাশা  তুলে ধরেছেন আমাদের এগ্রিভিউ২৪ এর  প্রতিনিধি তাজুল ইসলাম।

 

“ভেটেরিনারি” শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন এবং প্রথম ব্যাবহার ‘থমাস ব্রাউনি’ এর মাধ্যমে , যদিও এদেশের মানুষ ‘গরুর ডাক্তার’ শব্দটির প্রয়োগেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এ পেশা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করা আগে মানুষের মুখে ‘গরুর ডাক্তার’ শব্দটা শুনেই বেশি অভ্যস্ত হয়ে গেছিলাম। কিন্তু ভার্সিটির প্রথম বর্ষে যখন পড়তাম তখন একজন সিনিয়র ভাইয়ের পোস্টে দেখেছিলাম ‘নাসা থেকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের’ অতিলোভনীয় পোস্ট গুলোতে ভেটেরিনারিয়ানরা বিরাজ্যমান। এরপর ২০১৯  এ দুনিয়া জুড়ে করোনা ভাইরাস প্রভাব বিস্তার করা শুরু করলো চীনের উহান থেকে, বাংলাদেশে ৮মার্চ ২০২০ থেকে কোভিড আক্রান্ত রোগী পাওয়া শুরু হয়েছিলো। কোভিড-১৯ কালীন আলোচিত ভ্যাক্সিন Pfizer-BioNTech COVID-19 এর প্রস্তুতকৃত কোম্পানি ফাইজার এর CEO আলবার্ট বরুলা-ও একজন ভেটেরিনারিয়ান। উল্লেখ্য একমাত্র নোবেল বিজয়ী ভেটেরিনারিয়ান Dr. Peter C. Doherty। এর কিছুদিন পর এটাও জেনে গেলাম অণুজীববিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষণাগারে স্বল্প মূল্যের করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট আবিষ্কার করে আলোচিত হয়েছেন। ড. বিজন কুমার শীল যিনি একজন ভেটেরিনারিয়ান এবং যার এমন সাফল্য এই প্রথম নয়। ১৯৯৯ সালে ছাগলের মড়ক ঠেকানোর জন্য পিপিআর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছিলেন। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে সিঙ্গাপুরে ভাইরাসটি দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতিও উদ্ভাবন করেন তিনি। করোনাভিরিডি ফ্যামিলির ভাইরাস গুলো নিয়ে শুরু থেকেই কাজ করে আসছিলেন আমাদের ভেটেরিনারিয়ানরা, যেহেতু শতকরা ৬০ ভাগ মানব রোগ আসে পশু-পাখীর মাধ্যমে ,যাকে আমরা ‘zoonotic diseases’ হিসেবে চিনে থাকি। এ চিন্তাধারা থেকেই শুরু হয়েছিল One Health, One Medicine এর যাত্রা যেখানে হিউম্যান ডাক্তার এবং ভেটেরিনারিয়ানরা  একসাথে কাজ করছেন সুস্থ স্বাভাবিক পৃথিবীর জন্য। কোভিড-১৯ চলাকালীন বাকি সব পেশার মতো ভেটেরিনারি পেশাটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। লকডাউনে বেশ কিছু ভেটেরিনারিয়ান বড় ভাইদের সাথে ফিল্ডে কিছুদিন কাজ করবার সৌভাগ্য হয়েছিল,যতটা স্বপ্ন দেখানো হয়েছিলো এ পেশা থেকে উপার্জিত অর্থের বা সম্মানের প্রতি কিন্তু কতটা কষ্ট করতে হয় তা কখনই কেউ সেভাবে বলেনি। হয়ত সকল সৌভাগ্যের পেছনে অনেক কষ্ট লেখা থাকে এজন্যিই বলেন নি তারা। সকালে শুরু হওয়া একজন ভেটেরিনারি ডাক্তার বিকেল পর্যন্ত বা কখনও তার বাইরেও সেবা দিয়ে যান নিরলস ভাবে, তার মুখের হাসি ফোটে যখন, একজন খামারি মুখে হাসি ফোটাতে পারেন সঠিক চিকিৎসা দিয়ে। অনেক পরিচিত মানুষজন ফোন দেয় মাঝে মধ্যে তাদের পোষা প্রানীদের অসুস্থের কথা বলে, নিজে অনেক সময় না পারলেও বড় ভাই বা আপুদের মাধ্যমে চিকিৎসা জানিয়ে দেই।পরে ফোন দিয়ে যখন জানায়, তার পোষা প্রানীটা সুস্থ হয়ে গেছে তখন ভাল লাগে এ পেশা নিয়ে এই ভেবে, ‘অন্তত কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি’। পরিশেষে এত টুকু চাওয়া ভেটেরিনারিয়ান হিসাবে যথাযথ সম্মান এবং শুধু গরুর ডাক্তার না হয়ে সকল প্রানীর চিকিৎসক হিসেবে মানুষ চিনুক এটাতেই প্রশান্তি।

-আরাফাত ইবনে মাহবুব ,৩য় বর্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

 

وَ اِنَّ لَکُمۡ فِی الۡاَنۡعَامِ لَعِبۡرَۃً ؕ نُسۡقِیۡکُمۡ مِّمَّا فِیۡ بُطُوۡنِہٖ مِنۡۢ بَیۡنِ فَرۡثٍ وَّ دَمٍ لَّبَنًا خَالِصًا سَآئِغًا لِّلشّٰرِبِیۡنَ ﴿۶۶﴾

অবশ্যই (গৃহপালিত) চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে তোমাদের জন্য শিক্ষা রয়েছে; ওগুলির উদরস্থিত গোবর ও রক্তের মধ্য হতে তোমাদেরকে আমি পান করাই বিশুদ্ধ দুগ্ধ, যা পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। And verily! In the cattle, there is a lesson for you. We give you to drink of that which is in their bellies, from between excretions and blood, pure milk; palatable to the drinkers. (সূরা নাহল, আয়াত ঃ ৬৬) কুরআনের এ আয়াতের মাধ্যমে Biosynthesis of Milk in Cow বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।  আমিষ উৎপাদনে অক্লান্ত প্ররিশ্রম করে যাচ্ছে আমাদের দেশের খামারী ও ভেটেরিনারি ডাক্তারগণ।  দুধ , মাংস, ডিমের মাধ্যমে আমাদের আমিষের চাহিদা মেটাতে ভেটেরিনারিয়ান কাজ করে যাচ্ছে নিরবে নিভৃতে নিরলস ভাবে। আজ তরু্ণ ভেটেরিনারি ডাক্তারগণ এ পেশাতে মনোনিবেশ করতে প্রস্তুত যাতে দেশের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মিটিয়ে  রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে, কিন্ত সরকার কর্তৃক যথাযথ স্বীকৃতি না পাওয়ায় তরুণ ডাক্তারগণ মনঃক্ষুন্ন। তাই বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসে সরকারের কাছে শিক্ষার্থী ও তরুণ ডাক্তাররা চায় কাজের যথাযথ মূল্যায়ন ও  সম্মান। শিক্ষার্থী ও তরুণ ডাক্তারগণ মনে করেন যদি তাদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন ও সম্মান দেওয়া হয় তাহলে তাদের কাজের আগ্রহ আরো উদ্দীপিত হবে যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। একজন শিক্ষার্থী  হিসেবে মনে করি আমরা যত টুকু কাজ করি সেগুলো দেশের জাতীয় পত্রিকা ও মিডিয়াতে না আসায়, বিষয় গুলো উপর মহলের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না।ভেটেরিনারিয়ানদের কাজ ও অর্জন গুলো যেন  প্রচারিত হয় দেশের মানুষের মাঝে এটা আমার  প্রত্যাশা।

-সাব্বির শুভ, ৪র্থ বর্ষ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

 

প্রতি বৎসর বিভিন্ন দিনে বিশ্বব্যাপী নানা “দিবস” পালিত হয়। প্রতিটি দিবসেই ‘প্রতিপাদ্য বিষয়’ নির্ধারণ করা হয় যা দিবসটির ভূমিকাকে সর্বসমক্ষে আরো গুরুত্ব ও অর্থবহ করে তোলে। তেমনিই বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস অন্যতম। বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস সারা বিশ্বে প্রানিসেবায় কর্মরত ভেটেরিনারিয়ানদের জন্য একটি বিশেষ দিন। প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ শনিবার সারা বিশ্বে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় এ দিবসটি। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় : Veterinarian response to the Covid-19 crisis .ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন(WVA) ও ওয়ার্ল্ড অরগানাইজেশন ফর এনিমেল হেলথ ( OIE ) ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষ শনিবার বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস পালন শুরু করলেও দেশে প্রথম ২০০৮ সালে দি ভেট এক্সিকিঊটিভ আয়োজন করে এই দিবসটি।তবে বর্তমানে কেন্দ্রিয়ভাবে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন (বিভিএ), দি ভেট এক্সিকিউটিভ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস ফেডারেশন (বিভিএসএফ), সারাদেশের ভেটেরিনারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  দিনটিকে সাফল্যমণ্ডিত করতে বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহন করে থাকে। । কর্মসুচির মধ্যে বর্ন্যাঢ্য শোভাযাত্রা, সেমিনার, বিনামুল্যে প্রাণি সেবা ক্যাম্পেইন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। বর্তমানে অদৃশ্য ভাইরাস করোনার আক্রমনে সারা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে। বাংলাদেেশও এই মহামারীর প্রকোপে চলছে লক ডাউন।  ভেটেরিনারি দিবস মূলত ভেটেনারিয়ানদেরকে কেন্দ্র করেই ,এই করোনার ভিতরে ভেটেনারিয়ানরা মানুষ ও প্রাণিস্বাস্থ্য সেবা এবং খাদ্য নিরাপত্তায় নিরলস ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। ভেট ডাক্তার আলবার্ট বোরোলা ফাইজারের কোভিড ভ্যাক্সিন আবিষ্কারক টিমের প্রধান।  বাংলাদেশের ভেটেরিনারিয়ান দের গর্ব ড. বিজন কুমার শীল বাংলাদেশে সর্বপ্রথম স্বল্পমূল্যে কোভিড টেস্ট কিড আবিষ্কার করেছেন। এছাড়া দেশের অন্যতম প্রাণিস্বাস্থ্য সেবা খাত ও দেশের প্রান্তিক খামারীগণ তারা যেন পোষা প্রাণির স্বাস্থ্য সহ, ডেইরি ও পোল্ট্রির সুচিকিৎসা পেতে পারেন সেজন্য ত দিন রাত পরিশ্রম করে চলেছেন। তাই ভেটেরিনারি সেবাকে জরুরি ঘোষণা করা এখন সময়ের দাবি।

-মোঃ বাবর আলী , ৩য় বর্ষ ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

 

 

প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি,পুরো পৃথিবী আজ থমকে গেছে। বর্তমান সভ্যতার মানুষ যেখানে পৃথিবীকে জয় করে আজ মহাকাশ জয়ের স্বপ্নে বিভোর,সেখানে অতি ক্ষুদ্র অণুজীবের কাছে আমরা এখন অসহায়। ২০১৯ সালের শেষদিকে এই অণুজীব নিয়ে সতর্ক করা প্রথম ব্যক্তি ডাঃ লি ওয়েনলিয়াং, যিনি নিজেও এর সংক্রমণে অকালে প্রাণ হারালেন। দেখে যেতে পারলেন না আজ বিশ্বের প্রায় ১২ কোটি মানুষ এই অণুজীব দ্বারা আক্রান্ত এবং ২৫ লক্ষের বেশি মানুষ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে।

নভেল করোনা ভাইরাস, যার উৎস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় নি, তবে জেনেটিক এভিডেন্স বলছে উহানের বন্যপ্রাণী বিক্রয়কেন্দ্র থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে এবং বাদুড় কিংবা বনরুই হতে পারে উৎস। করোনা ভাইরাস ছড়ানোর প্রাক্কালে বিশ্বনেতারা যেভাবে একে গুরুত্বের সাথে নেয় নি, ঠিক তেমনি এখনও মানুষ জুনোটিক রোগব্যধি নিয়ে সচেতন নয়। One Health নিয়ে মানুষের জ্ঞান সীমিত এবং এসব নিয়ে তেমন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি। প্রাণীচিকিৎসায় ভেটেরিনারিয়ানদের ভূমিকা যেমন অপরিহার্য,তেমনি জুনোটিক রোগ নিয়ন্ত্রণেও ভেটেরিনারিয়ানদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন ও অতীব জরুরি।যেহেতু শতকরা ৬০ ভাগ মানব রোগ আসে পশু-পাখীর মাধ্যমে।  করোনা ভাইরাস শুধু মানুষকেই নয়,মানুষের দ্বারা প্রাণীতেও সংক্রমিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে কানাডা ও হংকংয়ে বিড়াল এবং নিউইয়র্কের ব্রোংকস চিড়িয়াখানায় দুটি সিংহ ও চারটি বাঘের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুরুর দিকে কোভিড-১৯ টেস্টের জন্য পরীক্ষাগারের সংকট দেখা দেয়। সেসময় বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট (BLRI) তাদের দুটি সর্বাধুনিক পরীক্ষাগারে কোভিড-১৯ টেস্টের আহ্বান জানায়। গণস্বাস্থ্যের স্বল্পমূল্যে করোনা টেস্ট কিট আবিষ্কার  সারা দেশে ও বিশ্বে  হৈচৈ ফেলে দেন ভেটেরিনারিয়ান ড. বিজন কুমার শীল। ইতিপূর্বেও ২০০৩ সালে তিনি সার্স ভাইরাসের দ্রুত শনাক্তকারী কিট আবিষ্কার করেছিলেন। বর্তমানে বিশ্বে যে কয়টি করোনা টিকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম ফাইজার-বায়োএনট্যাকের টিকা। এই টিকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ফাইজারের প্রধান নির্বাহী ভেটেরিনারিয়ান ড. আলবার্ট বোরলা।

যদি করোনার উৎস থেকে টিকা,এসব কিছু চিন্তা করা হয়, সবক্ষেত্রেই ভেটেরিনারিয়ানদের ভূমিকা ও নীরব অংশগ্রহণ রয়েছে।এসবই ভবিষ্যত সুস্থ পৃথিবীকে নিরাপদ ও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে One Health এর তাৎপর্য ও ভূমিকা নির্দেশ করে। আমাদের সকলকে আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত। বন্যপ্রাণী ধরা ও খাওয়া থেকে বিরত  থাকতে হবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে।মানুষ, প্রাণী আর পরিবেশ। এই তিনের স্বাস্থ্যই একে ওপরের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।তাই কোনোটা বাদ দিয়েই সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। আর এই তিনের স্বাস্থ্য ‍সুরক্ষায় বিশ্ব স্বীকৃত ‘ওয়ান হেলথ’ এর ধারণাকে কাজে প্রয়োগের জন্য চিকিৎসক, খামারি ও সাধারণ মানুষদের উদ্বুদ্ধ  করতে হবে ।

-আরিজ আহম্মেদ সাদ, ৩য় বর্ষ ,  সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

 

আমি একজন ভেটেরিনারি মেডিসিন এ অধ্যায়ণরত স্টুডেন্ট। ভেটেরিনারি কি, কেমন সেটা ছোটবেলা থেকে স্বচ্ছ ধারণা না ধাকলে ও পশু পাখির প্রতি অমায়িক একটা টান ছিল, আর সেই টান থেকেই আদ্য পরিণতি হলো প্রিয় ভেটেরিনারি পেশা। বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ২০২১ বিষে বিষময় এর ক্রান্তিলগ্নে বাঙালি জাতির নিরাপদ আমিষ খাদ্য যোগানে ভেটেরিনারিয়ান নিঃসন্দেহে প্রথম সারির যোদ্ধা। শুধু নিরাপদ খাদ্য নয় দেশের সকল পশু পাখির স্বাস্থ্য সেবায় ভেটদের অনবদ্য সেবা। এছাড়াও করোনার বিভিন্ন গবেষণায়, ভাক্সিন তৈরী সহ অনেক কিছুতে ভেটেরিনারিয়ানদের রয়েছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কিন্তু ভেটেরিনারিয়ানদের এই অনবদ্য সেবা কি জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত, এমন প্রশ্ন করতেই হয় ওহে কান্ডারী! যে পরিশ্রম, সেবায় ভিখারির শেষ সম্ভব মুরগী, ছাগল পালনের স্বপ্নকে বাচিঁয়ে রাখছে কিংবা সমাজের, দেশের আমিষ খাদ্য চাহিদায় বৃহৎ ভূমিকা রাখছে! সেই পেশা কি হবে জরুরি সেবার আওতায়!! এবারের বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসে আমার চাওয়া হবে আমার কাজের স্বীকৃতি,ভেটেরিনারিয়ানদের সেবার স্বীকৃতি, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেবায় পরিণত হয়ে জরুরি ঘোষণার দাবি।

-মোঃ হাবিবুল্লাহ শেখ,৪র্থ বর্ষ,পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

 

গত তিন দশকে ৩০ এর অধিক মানুষের রোগজীবাণু শনাক্ত করা হয়েছে, যার ৭৫% এসেছে প্রাণী থেকে।যাদের মধ্যে সবচেয়ে   ভয়ঙ্কর  বর্তমান সময়ের করোনাভাইরাস।ধারণা করা হচ্ছে  বাদুড়  মাধ্যমে এটি ছড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রাণীদের স্বাস্থ্যসেবার বিকল্প নেই। যেখানে কারোনা ভাইরাসের কারণে আজ সারা বিশ্ব অচল হয়ে আছে সেখানেও থেমে নেই ভেটেরিনারিয়ানদের কার্যক্রম। চলছে সার্বক্ষণিক অফলাইন/অনলাইনে সেবা প্রদান।এবার কোভিডের জন্য দেশে RT-PCR টেস্টও শুরু করেন ভেটেরিনারিয়ানরা।সেইসাথে দেশজুড়ে স্বল্পমূল্যে প্রাণীজ আমিষ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া;ডিম,মাংস,দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন।এছাড়াও ড. বিজন শীলের স্বল্পমূল্যে রেপিড টেস্ট কিট আবিষ্কার, গ্লোব বায়োটেকের ভ্যাক্সিন টিমে ভেটেরিনারিয়ানের কাজ করা এমনকি ফাইজারের আবিষ্কৃত ভ্যাক্সিন টিমের প্রধান ড. আলবার্ট বোরলা নিজেও একজন ভেটেরিনারিয়ান। এতকিছুর পরেও আজ আমাদের দেশে ভেটেরিনারিয়ানরা অবহেলিত।২০১৮-১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে মাংস উৎপাদন হয় ৭৫.১৪ লাখ টন,দুধ উৎপাদন হয় ৯৯.২৩ লাখ টন,ডিম উৎপাদন হয় ১৭১১ কোটি।তবুও প্রতি উপজেলায় নিয়োগপ্রাপ্ত ভেটেরিনারিয়ান সংখ্যা মাত্র ২/৩ জন।সরকারি উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালগুলো এখনো পর্যন্ত সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার প্রতি গুরুত্ব নেই।আর সমাজে ভেটেরিনারিয়ানদের পরিচিতি হচ্ছে গরুর ডাক্তার ।সত্যিই কি তাই???প্রশ্ন রেখে গেলাম!!! পরিশেষে আমি গর্বিত, কারণ আমি একজন ভেটেরিনারিয়ান।

-মোঃ মাহাদী হাসান,৩য় বর্ষ , সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২১ ২:৪১ অপরাহ্ন
রাবির পুকুরে বিষ দিয়ে দুর্বৃত্তের মাছ চুরি!
ক্যাম্পাস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রবীন্দ্র ভবনের পেছনের একটি পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এবং সেই মাছ চুরি করে নিয়েও গেছে তারা।

বুধবার দিবাগত রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে পুকুরের পানিতে কিছু মরা মাছ ভাসতে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী ও রিকশাচালক।

পুকুরে মাছ ভাসতে দেখা এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ড্রেনেজ সিস্টেমের কাজ করা এক কন্টাকটার সকালে আমাকে ফোন করে জানান পুকুরের মাছ ভেসে উঠছে। আমি বেলা ১১টার দিকে পুকুরে গিয়ে দেখি, কয়েকজন রিকশাচালক ও কর্মচারী পুকুরের মাছগুলো ধরছে। তবে অধিকাংশ মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলে রাতেই চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

তিনি আরো জানান, ‘আমার মনে হচ্ছে-পুকুরে গ্যাসের ট্যাবলেট দিয়ে মাছগুলো মেরে ফেলে জাল দিয়ে সেই মাছগুলোকে তোলা হয়েছিল। কারণ পুকুরের পাড়ে জাল ও পায়ের দাগ বোঝা যাচ্ছিল।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের সভাপতি ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা কে করেছে আমার জানা নেই। কিছুদিন আগে পুকুরগুলোতে কৃষি প্রকল্পের আওতায় মাছ ছাড়া হয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম, যখন ক্যাম্পাস খুলবে; মাছগুলো বড় হবে; ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা এই মাছগুলো বড়শি দিয়ে ধরবে আর সময় পার করবে। কিন্তু রাতের আধারে কারা মাছগুলোকে হত্যা করে চুরি করে নিয়ে গেল এটা এখনো পর্যন্ত জানতে পারিনি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৮, ২০২১ ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
বাকৃবিতে আওয়ামীপন্থি গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের কমিটি নিয়ে মতবিরোধ
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের ১৪২৮ বঙ্গাব্দের কার্যনির্বাহী নতুন কমিটি প্রত্যাখান করেছে ওই সংগঠনের একাংশ। এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন তারা। সাংবাদিক সম্মেলনে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের ১৪২৭ বঙ্গাব্দ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রকিবুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সংগঠনটির একাংশ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, গণতান্ত্রিক পন্থায় যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করতে না পারায় বিগত কয়েক বছর যাবত সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে। মুষ্টিমেয় কিছু লোক কোটারি করে অসংখ্য কমিটিতে কাজ করে যাচ্ছে। তারাই নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে এবং স্বেচ্ছাচারীতা চালিয়ে যাচ্ছে যা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের গঠণতন্ত্রের পরিপন্থি। উচ্চ মহলের মদদপুষ্ট হয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র সুপরিকল্পিতভাবে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের ঐক্য বিনষ্ট করছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৩ এপ্রিল গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সভায় নতুন কমিটি গঠনের জন্য প্রস্তাবিত কমিটি উপস্থাপিত হলে তা সাধারণ সদস্যদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। সমালোচনা সত্তে সভাপতির অনুমতি ছাড়াই সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বিষয় নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এম এ সালামকে দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ কমিটি ঘোষণা করান। আমরা এই কমিটি প্রত্যাখান করছি। নতুন বিষয় কমিটি করে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের গঠনতন্ত্র মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হবে।

জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস মাহফুজুল বারিকে সভাপতি ও কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালামকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পরপরই ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের উপদেষ্টামণ্ডলীয় সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন চৌধুরী বলেন, ওই দিন সভাপতিকে কথা বলতে না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বানিয়ে তাদের মনোঃপুত কমিটির অনুমোদন দেওয়া খুবই গর্হিত কাজ হয়েছে যা অতীতে কখনো হয়নি। সভায় সভাপতি উপস্থিত থাকার পরও এমনটি করার উদ্দেশ্য ছিল পকেট কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা কুক্ষিগত করা।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪২৭ বঙ্গাব্দ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, সভাপতিকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি এমনটি সত্য নয়। উনি (সভাপতি) আসলে সভার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। কিছু শিক্ষক অসৌজন্যম‚লক আচরণ ও হট্টোগোল শুরু করে দিলে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। পরে সিনিয়র শিক্ষকদের সম্মতিক্রমে ও নিদিষ্ট সময়ে সভা শেষ করার জন্য ওই পরিস্থিতিতে গঠনতন্ত্র মেনে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির সভাপতিত্বে সভা পরিচালিত করা হয়।

ওই সভার রেকর্ডিং চাইলে তিনি বলেন, সেখানে সভাপতির পক্ষের কিছু শিক্ষক এমন কিছু অশালীন শব্দচয়ন করেছেন যা শিক্ষকদের সম্মানে প্রকাশ করা ঠিক হবেনা।

এ বিষয়ে নতুন ঘোষিত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস মাহফুজুল বারি বলেন, গঠনতন্ত্র মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কমিটি করা হয়েছে। সেখানে সবার সম্মতিতে আমাকে সভাপতি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে আমরা কমিটি সুন্দরভাবে পরিচালিত করছি। আসলে একটি পক্ষ চায় না বিশ্ববিদ্যালয় ভালো চলুক। ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে তারা এমন কাজগুলো করছেন।

বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন বলেন, তাদের অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয়। এমন অভিযোগগুলো সুশীল সমাজেও গ্রহণযোগ্য নয়। সহনশীলতা বজায় রেখে এবং পরস্পরকে দোষারোপ না করে প্রত্যেক সংগঠনের ঐক্য ধরে রাখা উচিত।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২১ ৪:০০ অপরাহ্ন
করোনায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন অধ্যাপকের মৃত্যু
ক্যাম্পাস

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের প্লান্ট প্যাথলজি এন্ড সীড সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এইচ. এম. মাহফুজুল হক (৫০) । ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি সিলেট শহীদ সামছুদ্দিন হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (আমুস) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রফেসর ড. এ. এইচ. এম. মাহফুজুল হক।
মাহফুজ স্যারের কিডনির সমস্যা ছিলো। বছর তিনেক আগে মূমুর্ষ অবস্থা থেকে তিনি লড়াই করে ফেরত এসেছিলেন। এবার আর লড়াই করতে পারলেন না। করোনা তার ফুশফুশের ৭২ ভাগ অংশ দখল করে নেয়। যদিও পরবর্তীতে করোনা নেগেটিভ আসে। কিন্তু করোনা পরবর্তী ধকল আর নিতে পারেননি। আজ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে তিনি চলে গেলেন।
গত মাসে  ড. এ. এইচ. এম. মাহফুজুল হক তার সহধর্মিনীকে হারান । ক্যান্সারে  মৃত্যুবরণ করে তিনি।মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ছোট বাচ্চারা বাবা মা দুইজনকেই হারালো।
আল্লাহ ওনাকে যেন জান্নাত দান করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দান করেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন (আমিন)।
উল্লেখ্য গত ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ এ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু বকর সিদ্দিক (৬২) ।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১০, ২০২১ ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
বশেমুরকৃবি‘র গবেষণায় শিমের নতুন জাত উদ্ভাবন
কৃষি গবেষনা

কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. গোলাম রসুল‘র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক শিমের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। এটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে ২০ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৪৪ হাাজর ৫০ টন সিম উৎপাদিত হচ্ছে (বিবিএস, ২০২০)। দেশের প্রায় সব জাতগুলো মৌসুমের একই সময়ে ফলন দেয় এবং বেশিরভাগ চাষি একই সময়ে তাদের শিম বাজারে নিয়ে আসেন। এতে করে শিমের বাজারমূল্য হ্রাস পায়। তাছাড়া খরা, লবণাক্ততা, অতিবৃষ্টি, পোকামাকড় (এফিড) বা রোগবালাইয়ের আক্রমণে উৎপাদন কমে যায়।

বাংলাদেশের মোট আয়তনের ৩৭% উপকূলীয় এলাকা। ওই এলাকাতে চাষ উপযোগী সবজি তথা শিমের অনুমোদিত উফশি তেমন জাত নেই। এমতাবস্থায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, টেকসই খাদ্য উৎপাদন বজায় রাখা এবং খরা, অতিবৃষ্টি ও লবণাক্ততার প্রভাব প্রতিরোধসহ বিস্তৃত উপকূলীয় এলাকায় চাষযোগ্য নতুন জাত উদ্ভাবনই সর্বোত্তম ও বিকল্প উপায়।

এই জাতের বীজ রোপণ করতে হবে গোবর-মাটির মিশ্রণে ভরা (অর্ধেক-অর্ধেক) ছোট পলিথিন ব্যাগে। চারা গজালে মাঠে গর্তে লাগাতে হবে। প্রতি গর্তে ১০ কেজি পচা গোবর, ১০ গ্রাম ইউরিয়া (দুইবারে), ৩০ গ্রাম টিএসপি ও ২০ গ্রাম পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে। এক কঞ্চি বিশিষ্ট বাউনি বা মাচা চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নতুন বিইউ শিম-৭ জাতটি লবণসহনশীল ও উচ্চফলনশীল। এ জাতটি দেশের বিস্তৃত দক্ষিণাঞ্চলে শীত মৌসুমে পতিত থাকা জমির সুষ্ঠু ব্যবহার ও অধিক পরিমাণ সবজি উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হবে।

প্রফেসর ড. মো. গোলাম রসুল জানান, নতুন উদ্ভাবিত এ জাতে গাছপ্রতি ২ দশমিক ৪ থেকে ৩ দশমিক ৫ কেজি সিম উৎপাদিত হয়। সেই হিসেবে হেক্টর প্রতি সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ফলনশীলতা ৩৫ টন।

তিনি বলছেন, ১২ ডিএস/এম লবণাক্ততা সহনশীল হওয়ায় এই জাতের শিম ১৯টি উপকূলীয় জেলাসহ সারাদেশে আবাদ করা সম্ভব। বিশ্বে টাটকা সবজিতে ০.৫ থেকে ৩২.০ মাইক্রোগ্রাম/গ্রাম অ্যান্থসায়নিন পাওয়া যায়। নতুন জাতটিতে উচ্চমাত্রায় অ্যান্থসায়ানিনের উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেছে।

অ্যান্থসায়নিন হলো পোলিফেনোলিক রঞ্জক যা পরাগায়নে সাহায্যকারী পতঙ্গ এবং বীজ বিস্তারককে আকর্ষণ করে ফসলের বংশ বিস্তারের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে গাছকে সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে। শাকসবজিতে প্রাপ্ত অ্যান্থসায়নিন মানবদেহের ভাস্কুলার প্রদাহ হ্রাস এবং থ্রম্বোসিস (রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধা) প্রতিরোধে যথেষ্ট কার্যকরী বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্বীকৃত।

প্রফেসর ড. মো. গোলাম রসুল জানান, প্রায় সব জাতের শিমই জাব পোকা এবং জ্যাসিড দ্বারা আক্রান্ত হয়। শীতের অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে সিমের প্রধান পতঙ্গ শত্রু। অর্থাৎ এফিড এবং জ্যাসিড মাত্রাতিরিক্তভাবে বংশবিস্তারের কারণে ফসলটি মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে ফলন কমে যায়, যা থেকে নতুন জাতটি প্রতিরোধী।

অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে রোপণ করলে ১৩০ দিনে এই সিম সংগ্রহ করা যায়। তবে বীজ সংগ্রহের জন্য আরও ২০ দিন সময় বেশি লাগবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২১ ৯:২৪ অপরাহ্ন
করোনায় আক্রান্ত হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি
ক্যাম্পাস

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত।

০৮ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসি-আর ল্যাব সুত্র সিলেটভিউকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।একই দিনে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলায় ৪৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২১ ৮:২০ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে ‘শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু, অর্ধশতবর্ষে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু, অর্ধশতবর্ষে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে ভার্চুয়ালি সেমিনারটির আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গনতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম।

সেমিনারে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম ‘শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু, অর্ধশতবর্ষে বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি স্মারক প্রকাাশ করে। উক্ত স্মারকে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের ৩০ জন শিক্ষকের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা প্রকাশিত হয়।

গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো রকিবুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জনাব মো. ফরিদুল হক খান। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির সাবেক ভিসি এবং বঙ্গবন্ধু গবেষক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসিবে উপস্থিত ছিলেন ময়মসসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব মো. ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো. কামরুল হাসান এবং বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন। উক্ত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবু হাদী নুর আলী খান।

গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাথে বাকৃবির ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একই সাথে পাওয়া আমাদের জীবনে আর ঘটবে না। এই ঐতিহাসিক ও বিরল সন্ধিক্ষণটি স্মৃতিময় করে রাখার অনন্য সুযোগ পেয়ে আমরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২১ ৬:৪৫ অপরাহ্ন
বাকৃবি‘র অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব‘র “করোনায় ঘরে ফেরা”র গল্প
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: করোনা মহামারীর প্রাক্কালে একটি প্রশিক্ষণে নেদারল্যান্ড গিয়ে আটকে পড়েন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনিস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব। সেই সময়ে বিদেশের মাটিতে দুঃসহ সব স্মৃতি ও স্বদেশে পরিবারের কাছে ফেরার আকুলতা নিয়ে লিখেছেন তার প্রথম বই ‘করোনায় ঘরে ফেরা’।

ড. মাছুমা হাবিব গত বছরের ১ মার্চ সরকারি আদেশে নেদারল্যান্ড সরকারের বৃত্তি নিয়ে একটি প্রশিক্ষণে সেখানে যান। এর দুই সপ্তাহের মধ্যে ইউরোপে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। পুরো ইউরোপ লক্ড হওয়ার পরও বাংলাদেশী দূতাবাস ও বৃত্তি প্রদানকারী সংস্থার সহায়তায় দেশের উদ্দেশ্যে তিনি বিমানের টিকিট পান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে নেদারল্যান্ড থেকে রওনা হয়ে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট বিমানবন্দরে এসে আটকা পড়েন। করোনার ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়ে জার্মানীতে বাংলাদেশী এম্বেসীর সহযোগিতায় ৪০ দিন অবস্থানের পর দেশে ফিরতে সক্ষম হন তিনি।

এমনই দুঃসহ সময়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন ‘করোনায় ঘরে ফেরা’। বইটি গ্রন্থমেলা ২০২১ এর চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনের ২৪৩ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও বইটি ঢাকার দেশলাই, কনকর্ড, কাটাবন, চট্টগ্রামের নন্দন বইঘর, বাকৃবির কেয়ার মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি অনলাইনে রকমারি ডট কমেও বইটি পাওয়া যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন ড. মাছুমা হাবিব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী বলেন, করোনা পরবর্তীকালে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে লেখকের এই বিরল অভিজ্ঞতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে থাকবে। কোনো পরিস্থিতিতেই হতাশাগ্রস্থ হওয়া যাবে না। ড. মাছুমা হাবিবের লেখনীতে দুঃসহ সময়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে।

অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিবের পৈত্রিক নিবাস ঠাকুরগাও। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিআইসি এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি বাকৃবির গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনিস্টিটিউটে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop