১:৪১ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ২৪ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ১৪, ২০২২ ৮:৩১ অপরাহ্ন
পেকুয়ায় বন্যহাতির আক্রমনে কলেজছাত্রের মৃত্যু
পাঁচমিশালি

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বন্যহাতির আক্রমনে মো. সাইমুন (১৮) নামের এক কলেজছাত্রের করুণ মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রবিবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের চেপ্টামোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. সাইমুন চেপ্টামোড়া এলাকার মমতাজুল হকের ছেলে ও বাঁশখালী আলাউল কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অপর আহত জাহেদুল ইসলাম (৮) একই এলাকার কলিম উল্লাহর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী মোস্তাক আহমদ মিস্ত্রী জানায়, আমি ধান পাহারা দিচ্ছিলাম। একটু দুরে সাইমুন এবং জাহেদও তাদের ধান পাহারা দিচ্ছিল। একটি টংঘরে তাঁরা গল্প করছিল। হঠাৎ একটি বন্যহাতি টংঘরে আক্রমণ শুরু করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. ফরহাদ আলী নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বন্যহাতির আক্রমণে নিহতের ঘটনাটি অপমৃত্যু মামলা হিসাবে রুজু করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২২ ৪:১৬ অপরাহ্ন
বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে- কৃষিমন্ত্রী
পাঁচমিশালি

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে ২০২৩ সালে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। কাজেই, আমি মনে করি, বিএনপি এখন যতই বলুক নির্বাচনে আসবে না, সময় হলে তারাসহ সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর নটরডেম কলেজ প্রাঙ্গণে কারিতাস বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

যে কোন মূল্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ধর্মের নামে কিছু জঙ্গি, ধর্মান্ধ, বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে, সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে । একইসাথে, নির্বাচনে যাবে না বলে আন্দোলন সংগ্রামের নামে বিএনপি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি চেষ্টা করছে। কাজেই, এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায়। কাজেই, সরকারের মৌলিক দায়িত্ব রাজনৈতিক সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। সরকার যে কোন মূল্যে এটি করবে। বিএনপির নাশকতা করতে চাইলে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।

কারিতাস বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য বেসরকারি কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কারিতাস বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। কারিতাস বাংলাদেশ আগামী দিনে তাদের সেবাধর্মী কর্মকাণ্ডের আরও বিস্তৃতি ঘটাতে সক্ষম হবে-এ প্রত্যাশা করি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। আমাদের এ অঞ্চলের কৃষি প্রকৃতিনির্ভর। অকাল বন্যা আসে, খরা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল উৎপাদন বিঘ্নিত হয়। এসব কাটিয়ে উঠে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছি প্রধানমন্ত্রীর কৃষিবান্ধব নীতির কারণে।

ভালবাসা ও সেবায় ৫০ বছরের পথ চলা এই মূলসুরে আয়োজিত কারিতাস বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে আর্চবিশপ বিজয় এন. ডিক্রুজ, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, কারিতাসের প্রেসিডেন্ট জেমস রমেন বৈরাগী, নির্বাহী পরিচালক সেবাস্তিয়ান রোজারিও, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাশেদা কে. চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৭, ২০২২ ৯:০০ অপরাহ্ন
খাদ্যের অপচয় নয়, উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পাঁচমিশালি

ইউক্রেন যুদ্ধ ও মহামারির প্রভাবে বিশ্বে দুর্ভিক্ষের যে আভাস মিলেছে, তার প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি খাবারের অপচয় না করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান সরকার প্রধান।

তিনি বলেন, আমি আবারো অনুরোধ করছি, কোনো খাদ্যের অপচয় নয়। খাদ্য উৎপাদন বাড়ান। যার যেখানে যতটুকু জমি আছে সেখানেই ফসল ফলান। সারা বিশ্বে যে দুর্যোগের ঘনঘটার আভাস আমরা পাচ্ছি, তার থেকে বাংলাদেশকে সুরক্ষিত করুন।

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নিজের খাবার নিজেরা উৎপাদন করার চেষ্টা করবেন, যাতে পরিবেশের উপর চাপ কমে, বাজারের উপর চাপ কমে এবং সবাই মিলে আমরা কাজ করলে অবশ্যই আমাদের দেশে কোনো রকম আঘাত আসবে না। আমি বিশ্বাস করি সবার প্রচেষ্টায় এটা করা সম্ভব।

কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলায় সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে সেগুলো রপ্তানি করে অনেক দেশের খাদ্য ঘাটতিতে সহায়তা যাতে করতে পারি, সেটা মাথায় রেখে আমাদের সব পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার পুষ্টিকর খাদ্য, সুষম খাদ্য, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে চায়, যা কেবল দেশে নয়, পুরো বিশ্বের মানুষেরই প্রয়োজন।

দেশের কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় কৃষিবিদদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের কৃষকদের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা জানাই এবং ধন্যবাদ জানাই যে তারা আজকে আমাদের এই খাদ্যের জোগান দিচ্ছে। কাজেই তাদের সম্মান করা, তাদের সহযোগিতা করা এটা একান্তভাবে অপরিহার্য।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩০, ২০২২ ৭:৪১ পূর্বাহ্ন
অবৈধভাবে সুন্দরবনে মাছ ধরায় ৫ জেলে আটক
পাঁচমিশালি

অবৈধভাবে সুন্দরবনে মাছ ধরার অপরাধে পাঁচ জেলেকে আটক করেছেন বনরক্ষীরা।

আটক জেলেদের সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাট আদালতে চালান করা হয়েছে।

এর আগে রবিবার বিকেলে পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলেপল্লীর আওতাধীন ভবানীর খাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই জেলেদের আটক করা হয়।

আটক জেলেরা হলেন, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের আ. মালেকের ছেলে মো. লাল মিয়া (৪৫), খুলনার কয়রা উপজেলার লোকা গ্রামের হাকিম ঢালীর ছেলে আবু হানিফ (৫০), ভান্তারপুল গ্রামের নেছার সরদারের দুই ছেলে সালাম সরদার (৪০) ও করিম সরদার (১৯) এবং কুমারখালী গ্রামের আব জাফরের ছেলেজাহাঙ্গীর সানা (৪৫)।

দুবলা জেলেপল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার মজুমদার জানান, বর্তমানে সুন্দরবনে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা চলছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে পাসপারমিট দেওয়া শুরু হবে। কিন্তু এরই মধ্যে অসাধু এসব জেলেরা অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভবানীর খালে মাছ শিকার করছিলেন। এমন তথ্য পেয়ে দুবলার বনরক্ষী ও স্মার্ট দলের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন।

আটক জেলেদের কাছ থেকে ইঞ্জিন চালিত একটি ট্রলার, বিভিন্ন প্রজাতির চার মণ মাছ ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়। ট্রলারে বরফ না থাকায় জব্দ করা মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট মাছ দুবলা অফিস চত্বরে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। আটকৃতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে বাগেরহাট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৮, ২০২২ ১০:০২ পূর্বাহ্ন
বিশ্ববাজারে কমল খাদ্যপণ্য ও ভোজ্যতেলের দাম
কৃষি বিভাগ

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনার প্রভাবে বিশ্বজুড়ে যখন খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে, তখনই স্বস্তির খবর দিল জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। সংস্থাটি বলছে, ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমেছে ভোজ্যতেলের দাম। আর টানা চতুর্থ মাসের মতো কমেছে খাদ্যপণ্যের দামও।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) এফএওর দেয়া তথ্যের বরাতে চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, গেল জুনের তুলনায় জুলাইয়ে খাদ্যপণ্যের দাম গড়ে কমেছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে গেল এক মাসে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য কমেছে ২০ শতাংশের কাছাকাছি, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে।

একক পণ্য হিসেবে বিশ্বব্যাপী গত মাসে গমের দাম কমেছে সাড়ে ১৪ শতাংশ। ভুট্টার দামও কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ। সব মিলিয়ে জুলাইয়ে খাদ্যশস্যের দাম কমেছে সাড়ে ১১ শতাংশ। যদিও এখনও তা এক বছর আগের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।

এছাড়া চিনির দাম কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এনিয়ে টানা তৃতীয় মাসের মতো কমল পণ্যটির দাম। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রনের মধ্যে পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তির ইতিবাচক প্রভাব দ্রুত বিশ্ববাজারে পড়েছে বলে জানিয়েছে এফএও।

জাতিসংঘের এ সংস্থাটি ভোজ্যতেল ও খাদ্যপণ্যের দাম কমার হিসাব দিলেও এর তেমন কোনো প্রভাব পড়ছে না দেশের বাজারে। বিক্রেতারা বলছেন, কমানোর বদলে বরং আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল, ডাল, চিনিসহ আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার প্রভাব যেন দ্রুত দেশের বাজারে পড়ে তা নিশ্চিত করার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২২ ৯:০৯ পূর্বাহ্ন
জুমার দিনের ফজিলত ও বিশেষ আমল
পাঁচমিশালি

ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমা ও জুমাবারের রাত-দিন অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে।
জুমার দিনের সওয়াব ও মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতোই। এ দিন ইসলামী ইতিহাসে বড় বড় ও মহৎ কিছু ঘটনা ঘটেছে। জুমার গুরুত্ব আল্লাহ তায়ালার কাছে এত বেশি যে, কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাজিল করা হয়েছে।

আল্লাহ তা’আলা কোরআনে ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে। (সূরা জুমা- ০৯)।

রাসুল (সা.) একটি হাদিসে বলেছেন, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।(ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ১০৯৮)।

এক হাদিসে নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর ওই দিনই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম শরিফ , হাদিস নম্বর ৮৫৪)

মহানবী (সা.) আরো ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার একটি সময় আছে , কোনো মুসলিম যদি সেই সময়টা পায়, আর তখন যদি সে নামাজে থাকে, তাহলে তার যেকোনো কল্যাণ কামনা আল্লাহ পূরণ করেন। (বুখারি, হাদিস নম্বর ৬৪০০)

জুমার দিনের বিশেষ আমল
রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়। (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ১০৪৭)।

এমনিতেই তিরমিজি শরিফের হাদিস অনুযায়ী আমরা জানতে পারি, যে ব্যক্তি দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তার ওপর ১০টি রহমত নাযিল করবেন। সুতরাং আমাদের জুমার দিন অন্যান্য আমলের সাথে সাথে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে হবে। জুমার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিবেচনা করে প্রতিটি মুসলিমের উচিত এই দিনটিকে কাজে লাগানো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩০, ২০২২ ৭:১৮ অপরাহ্ন
কর্পোরেট জব আর সংসার সামলিয়েও একজন সফল উদ্যোক্তা শান্তা
পাঁচমিশালি

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ । প্রযুক্তির ছোঁয়া দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও প্রযুক্তির সুফল ভোগ করে নিজেদের করে তোলছেন স্বাবলম্বী, নিয়ে যাচ্ছেন অনন্য এক উচ্চতায় । এফ কমার্সের এই বিপ্লবময় যুগে নারীদের সফলতার গল্প অন্য নারীদের এগিয়ে আসতে অনুপ্রেরণা যোগায়, সাহস দেয় আমিও কিছু করতে পারি এই ভাবনায় । কেউ হয়ত ঘরে বসে সংসার সামলিয়ে; কেউবা ঘর, সংসার আর কর্পোরেট জব সামলিয়ে হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা – অনুপ্রেরণা হচ্ছেন অসংখ্য নারী উদ্যোক্তাদের । এমনি একজন সফল ও অনুপ্রেরণাদায়ী নারী উদ্যোক্তা হচ্ছেন ঢাকার উত্তরার শান্তা যিনি সমানতালে ২ কন্যা সন্তান আর স্বামীর সংসার সামলাচ্ছেন, শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে কর্পোরেট জব করছেন আর উদ্যোক্তা হবার সুযোগ করে দিয়েছেন অন্য নারীদের ।

 

শুরুটা অবশ্য ছিল একটু চ্যালেঞ্জিং, ২০১৬ সালে যখন অনলাইন বিজনেস শুরু করেন তখন কোথা থেকে ড্রেস সংগ্রহ করবেন, কাদের কাছে বিক্রি করবেন, বিক্রি হবে কিনা এইরকম হাজারো প্রশ্ন মনে ঘুরপাক করছিল । কিন্তু তিনি বিশ্বাসী ছিলেন যে শুরু করলে আর সময় দিলে সফলতা আসবেই । ছোট একটি ফেসবুক পেইজের (Fabrics) মাধ্যমে শুরু করেন যাত্রা, বিশ্বাস ছিল যে সর্বোচ্চ গুনগতমান আর কাস্টমারদের সাথে কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে পারলে সফল হওয়া যাবে; পাশাপাশি এগিয়ে যাবার থিম নিজেই ঠিক করে রেখেছিলেন – ১০ টি ড্রেস থেকে ৫ হাজার টাকা লাভ করার চেয়ে ৫০ টি ড্রেস বিক্রি করে ৫ হাজার টাকা লাভ করা উত্তম, এতে ব্যবসার সম্প্রসারণ হতে সময় বেশি লাগে না । হয়েছিলও তাই, অল্প সময়ে কাস্টমার বাড়তে থাকে অনেক, নিজের অধীনে তৈরি হয় ২০ এর অধিক রিসেলার । ফলে পরিশ্রম অনেক কমে যেতে লাগলো আর রিসেলারদের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হতে থাকলো ব্যবসা । এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন কাস্টমার আর রিসেলারদের কাছে পরিচিত মুখ “শান্তা আপু” ।

 

চাকরি আর সংসার এর পাশপাশি অনলাইন বিজনেস শুরু করার কারণ জানতে চাই শান্তা জানান, “আমরা সবাই কমবেশি অনলাইনে সময় ব্যয় করি, কেউ কেউ চ্যাটিং, টিকটক ইত্যাদি দেখে সময় নষ্ট করে, আমার ভাবনা ছিল যে অনলাইনে সময় দিয়ে যদি ভালো একটা আয় হয় তাতে মন্দ কি । তবে এটাও ঠিক যে কোন কিছু করার জন্য স্বপ্ন দেখতে হয়, পারিবারিক সাপোর্টের প্রয়োজন হয়, আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমি সব ধরনের সাপোর্ট পেয়েছিলাম ফলে বড় স্বপ্ন দেখার সাহস বেড়ে গেয়েছিল ।”

 

দ্রুত সময়ে ব্যবসা প্রসার ও সাফল্যের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ব্যবসার প্রসারের কথা যদি বলি তাহলে বলতেই হবে যে আমি কখনোই কোয়ালিটির সাথে আপোষ করি নাই, আমাদের সব ড্রেস ভারত থেকে আনা, আমি সবসময় চেয়েছিলাম যে একই রেঞ্জের ড্রেস আনতে আর যেহেতু আমার শোরুম নেই তাই স্বল্প লাভে ড্রেস সেল করি আর কাস্টমারগণ এখন অনেক আপডেট, তাঁরা বিভিন্ন কিছু কম্পেয়ার করেই তবে অর্ডার দেন । ফলে আমার জন্য সুবিধা হয়েছে, আর এখন তো রি-সেলারগণ প্রচুর সাপোর্ট দিচ্ছেন । তাই ৭ মাসের ছোট মেয়ে আর ৬ বছরের বড় মেয়েকে সামলিয়ে সবকিছু আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালোভাবেই চলছে। তবে করোনার সময় মার্কেট বন্ধ থাকা কিংবা চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় অনলাইন বিজনেস টা অনেক বেশি জমজমাট ছিল । আমাদের দেশে বেশিরভাগ উদ্যোক্তাই করোনার সময়ে তৈরি হয়েছে ফলে অনেকেরই মার্কেট ট্রেন্ড বুঝতে সময় লেগেছিল, আর যেহেতু আমি আরোও আগে থেকেই অনলাইন ব্যবসায় সাথে সম্পৃক্ত তাই করোনার সময় ব্যবসায় প্রসার ঠিকঠাক মত হয়েছিল ।”

 

অনলাইন বিজনেসের স্মরণীয় মুহুর্ত জানতে চাইলে শান্তা জানান, ২ টা দিন তো আমি কখনোই ভুলবো না- ১টা হচ্ছে যেদিন প্রথম অর্ডার পেলাম আর আরেকটা হচ্ছে যেদিন প্রথমবারের মত দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে ড্রেস পাঠালাম ।

 

আগামীর পরিকল্পনা আর তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ হিসেবে তিনি বলেন, যেহেতু এখনো অনলাইন বেজড তাই ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে একটি শোরুম দেওয়ার, জানিনা কবে এই ইচ্ছেটা পূরণ হবে তবে লেগে থাকলে একদিন ইনশাআল্লাহ হবে । নতুন উদ্যোক্তাদের বড় বোন হিসেবে পরামর্শ যে, সবসময় সমানতালে সেল হবে না, প্রথমদিকে এমনও মাস গেছে যে সারা মাসেও ৩/৪ টা অর্ডার পাইনি আবার এমনও সময় গেছে যে এত বেশি অর্ডার যে ১৫ দিন, ২০ দিনের প্রি-অর্ডার নিতে হয়েছিল । তাই ধৈর্য্য, সততা আর কাস্টমারদের কাছে কমিটমেন্ট রাখা গেলে ইনশাআল্লাহ সফলতা একদিন না একদিন ধরা দেবেই ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২২ ২:৩১ অপরাহ্ন
পশুপালন ও সবজি চাষে ঘুচছে দুঃখ
পাঁচমিশালি

বাহারি গাছের সমাহার। সবজি থেকে শুরু করে ফলের গাছ। সবই রয়েছে। ঘরের পেছনে ও সামনে ছোট্ট জায়গায় গড়ে তুলেছেন বাগান। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরের সঙ্গে ২ শতাংশ জমি ও প্রতিবেশী সাদেক হোসেনের সঙ্গে তার জমিতে যৌথভাবে গড়ে তুলেছেন সবজি ও ফলের এই বাগান।

সেখান থেকে প্রায়ই নিজের পরিবারের সবজির জোগানসহ বাজারেও বিক্রি করছেন তিনি। পাশাপাশি নিজের দৈনিক রোজগারের টাকায় চলছে ছোট পরিবারের খাবারের জোগান। এটি ময়মনসিংহের বয়রার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়া মিজানুর রহমানের পরিবারের বর্তমান অবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে তার জীবন পালটে গেছে। ঘরের সঙ্গে হয়েছে একটি ছোট জমি। তিনি ঘরের সঙ্গে জায়গা পাওয়ায় সেটিকে ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে নিজের মতো করে সাজিয়েছেন।

শুধু সবজি চাষই নয়, তিনি এর সঙ্গে কবুতরও পালন করছেন। তার এখন প্রায় আট জোড়া কবুতর। এই কবুতর থেকে তিনি বড় কবুতরের খামার করার চিন্তা করছেন।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিজানুর রহমান তার ঘরের চারপাশে পেঁপেগাছ লাগিয়েছেন, যেখানে বহু পেঁপে ধরেছে। এখান থেকে তিনি বিক্রিও করছেন। এছাড়া পুঁইশাক, লাউ, শিম, আলু, শসা, করলা, কাঁচা মরিচ, বোম্বে মরিচ, দুন্দুল গাছ লাগিয়েছেন। ফলের মধ্যে আছে আমগাছ, ডালিম, আমড়া, পেয়ারা, জলপাই, লেবু ও কাঠগাছ।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘর পাওয়ার পর নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। পাশে যিনি ঘর পেয়েছেন, তিনি আমার আপন ভাইয়ের মতো হয়ে গেছেন। দুজন একসঙ্গে এখন কবুতর পালন ও সবজির চাষ করছি। আমার পাশের প্রতিবেশী রিকশা চালান আর আমি ইলেকট্রিক কাজ করি দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে। কিছু টাকা যদি লোন পেতাম, তাহলে এই সবজি ও কবুতর চাষকে আরো বড় করার ইচ্ছে আছে। আমার দুই মেয়ে। এক জনের ১১ বছর। মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আর ছোট মেয়ের বয়স তিন বছর। দুজনকে লালন-পালন করতেই এখন একটু ভাবতে হয়। এছাড়া আর কোনো চিন্তা নেই, নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। বড় মেয়েটার মাদ্রাসায় টাকা দিতে হয় অনেক।

একই এলাকায় আশ্রয়ণের ঘর পেয়েছেন জান্নাতুল ফেরদাউস। তিনি তার স্বামী-সংসার নিয়ে থাকছেন সেই ঘরে। শুধু থাকছেনই না, গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, ঘরের সামনে তিনি তার দুটি গরু, একটি ছাগল বেঁধে রেখেছেন। এর পাশেই ঘুরছে তার মুরগি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো ২৮৭টি ঘর বিতরণ করবেন। এর মাধ্যমে ময়মনসিংহের চারটি উপজেলা গৃহহীনমুক্ত হবে

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৩, ২০২২ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
কমেছে ডিম মুরগির দাম
পাঁচমিশালি

বাজারে ডিমের দাম কমেছে ডজনপ্রতি ১০ টাকা। কমেছে মুরগির দামও। একইসঙ্গে কমেছে গাজরের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে এ দাম কমেছে রাজধানীর সব বাজারে। গতকাল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুরগির ধরনের ওপর দাম কমেছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। একইসঙ্গে কমেছে বেশকিছু সবজির দামও।

ব্যবসায়ীরা এক ডজন ডিম বিক্রি করছেন ১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। আর মুদি দোকানে পিস প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে কোনো কোনো দোকানে তা ছিল ১২ টাকা।

সবুজ নামের এক ডিম ব্যবসায়ী বলেন, ‘ডিমের দাম মাঝেমধ্যে বাড়ে, আবার কমেও। ১৩০ টাকা করে গত সপ্তাহেও ডিম বিক্রি করছি। সেই ডিমের আজ ডজন ১২০ টাকা। কখনো ডিম কম আসে, কখনও বেশি আসে। যার কারণে ডিমের দাম বাড়ে-কমে।

মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। আর পাকিস্তানী কক বা সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।

গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম কিছুটা কমেছে। এখন এক কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। একইসঙ্গে কমেছে টমেটোর দামও। গত সপ্তাহে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া টমেটো এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় নেমেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এখন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন নতুন সবজি শিম। এক কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে নতুন আসার কারণে এখন শিমের দাম একটু বেশি। দাম বেশি হলেও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।

গত সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটি এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। একইসঙ্গে কমেছে শসার দাম। গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসা এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

বাজারে বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর পটল বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।

দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় আরও রয়েছে করলা, কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, কাঁচ কলা। বাজারে করলা, কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা এ সবজিগুলো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচ কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২২ ১০:১৫ অপরাহ্ন
কোরবানি পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ
পাঁচমিশালি

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট শনাক্ত করতে ব্যাংকগুলোকে বুথ স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার একটি সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

উপজেলা সদর পর্যন্ত সরকার অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটগুলোতে জাল নোট চক্রের অপতৎপরতা রোধে বুথ স্থাপন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সার্কুলারে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ব্যবসায়ীদের বিনা খরচে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত বিভিন্ন পশুর হাটের জন্য বিভিন্ন ব্যাংককে বুথ স্থাপনের দায়িত্ব বণ্টন করে দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এই সেবা দিতে ঢাকার বিভিন্ন পশুর হাটের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত তফসিলি ব্যাংকের মনোনীত কর্মকর্তাদের নাম, পদবী ও মোবাইল নম্বর আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে ইমেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে।

ঢাকার বাইরে যে সব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস আছে, সেখানে অনুমোদিত পশুর হাটে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিস বিভিন্ন ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় বা প্রধান শাখাকে এ ধরনের নির্দেশনা দেবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস নেই এমন জেলার সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, থানা ও উপজেলার অনুমোদিত পশুর হাটে বিভিন্ন ব্যাংককে দায়িত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করবে জেলার সোনালী ব্যাংক।

হাটে স্থাপিত বুথে নোট কাউন্টিং মেশিনের সাহায্যে নগদ অর্থ গণনার সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

বুথ স্থাপনে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, জেলা মিউনিসিপ্যালিটি কর্তৃপক্ষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট পৌরসভা ও সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও আনসারের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop