পিদিম ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেবার মান উন্নয়ন এবং ঝুঁকি মোকাবিলা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
পাঁচমিশালি
কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: পিদিম ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ‘সেবার মান উন্নয়ন এবং ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে-তোলা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) পিদিম ফাউন্ডেশনের সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি (এমআরএ) এর এক্স্রিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মোঃ ফসিউল্লাহ্, পিদিম ফাউন্ডেশন এর সভাপতি শেখ ইমরান কিবরীয়া এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যান,সিডিএফ ও নির্বাহী পরিচালক পপি জনাব মি. মুর্শেদ আলম সরকার, নির্বাহী পরিচালক, সিডিএফ ও চেয়ারম্যান সাউথ এশিয়া মাইক্রো এন্টারপ্রেনারস নেটওয়াক মোঃ আব্দুল আউয়াল, এবং প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার, অন্তর মোঃ ইমরানুল হক চৌধুরী।
সেমিনারে মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন, প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, পিদিম ফাউন্ডেশন এডভিন বরুন ব্যানার্জী।
জয়েস তিথি , সহকারী পরিচালক, আরটিডি সেল এবং তারিক সাঈদ হারুন, পরিচালক ( কোর প্রোগ্রাম) , কোস্ট ফাউন্ডেশন সঞ্চলনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন হুমায়ুন কবীর সেলিম ( সিনিয়র পরিচালক,কার্যক্রম, পিদিম ফাউন্ডেশন), মোঃ শফিউল্লাহ শোভন, সিনিয়র পরিচালক ( মানব সম্পদ, প্রশাসন ও অডিট) পিদিম ফাউন্ডেশন প্রমুখ।
এছাড়া এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোঃ ফসিউল্লাহ, পিদিম ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন এবং এর বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন। পিদিম ফাউন্ডেশনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পিদিম ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় অস্বচছল এবং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে “বঙ্গবন্ধু উচ্চশিক্ষা বৃত্তি”র চেক প্রদান করা হয়েছে। এ বৃত্তির আওতায় প্রতি শিক্ষার্থী তাদের স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে মাসে ৫ হাজার টাকা হারে শিক্ষাবৃত্তি পাবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ফসিউল্লাহ্ বলেন, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠাণগুলো ঋণের বাইরে নানাবিধ সামাজিক ইস্যু নিয়ে কাজ করে সরকারকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। এ সেক্টরের সাথে প্রায় ৩ কোটি উপকারভোগী। যার অধিকাংশই নারী। জিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো: আব্দুল আউয়াল বলেন, গরীব মানুষ আর্থিক সহযোগিতা চায় অনুদান নয়।
তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্রঋণের সা:চার্জ বাংলাদেশে বিশ্বের সবচাইতে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে সা:চার্জ হচ্ছে ২৭ শতাংশ। তবে এ সেক্টরে আমরা আর্থিক কারিগরী এবং ডিজিটাইজেশনে এখনো পিছিয়ে আছি।
উক্ত সেমিনারে দেশের খ্যাতনামা ক্ষুদ্রঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০টি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশগ্রহণ করেন।