১:২৯ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২২ ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
দেশী মুরগির খামার থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় মাহিনুরের
পোলট্রি

দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এনেছেন মাহিনুর বেগম। মাহিনুর গলাচিপা উপজেলার চৌদ্দকানি গ্রামের বাসিন্দা। যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করছেন বলে জানান তিনি।

জানা যায়, স্বামীকে সংসার চালাতে সহায়তা করতে ২০১৫ সালে বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন শুরু করেন মাহিনুর। বর্তমানে তাঁর খামারে ২ হাজার সাদা লেয়ার মুরগি রয়েছে এসব মুরগি প্রতিদিন

গড়ে দেড় হাজার ডিম দেয়। ডিম থেকেই প্রতিদিন ৪ হাজার টাকার বেশি আয় হচ্ছে মাহিনুরের। মুরগির খামারে ভালো লাভ আসতে থাকায় একপর্যায়ে গরুর খামার গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন মাহিনুর প্রাথমিকভাবে একটি ব্যাংক থেকে ৭ লাখ টাকা

ঋণ নিয়ে তাঁর স্বামীকে ৫টি গরু কিনে দেন। এখন তাঁর ১৮টি গরু। প্রতিদিন গড়ে ৭০ লিটার দুধ পান তিনি। এই দুধ বিক্রি করে সাড়ে ৩ হাজার টাকার মতো পান মাহিনুর বলেন, এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা ছিল আমাদের।

এত অভাবের মধ্যেও সুন্দর একটি জীবন গড়ে তোলার আশায় মুরগি ও গরুর খামার গড়ে তুলি। অনেক প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে এগিয়ে আসতে হয়েছে। আল্লাহ রহমতে অনেক ভাল আছি।

রতনদি-তালতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা খান বলেন, মাহিনুর আমাদের ইউনিয়নের গর্ব। সে এখন গ্রামের নারীদের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২২ ৭:১১ পূর্বাহ্ন
মুরগির বসন্ত রোগ দেখা দিলে যা করবেন
পোলট্রি

মুরগির বসন্ত রোগে করণীয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই মুরগি পালন করা হয়ে থাকে। আবার খামারে বাণিজ্যিকভাবে অনেকেই মুরগি পালন করে থাকেন।

মুরগি পালনে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মুরগির বিভিন্ন প্রকার রোগ। মুরগির জটিল রোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মুরগির বসন্ত রোগ। আসুন জেনে নেই মুরগির বসন্ত রোগে করণীয় সম্পর্কে-

মুরগির বসন্ত রোগের কারণঃ
এক সাথে বিভিন্ন বয়সের মুরগী রাখলে এই রোগটি হতে পারে। খামারের মেঝে ভেজা বা চার পাশে পানি থাকলে।খামারে অতিরিক্ত মশা থাকলে মশার কামড়ে হতে পারে।আক্রান্ত মুরগির নিশ্বাসের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে। মুরগী ঠুকরা ঠুকরি করে খত সৃষ্টি করলেও হতে পারে।

মুরগির বসন্ত রোগের লক্ষণঃ
আক্রান্ত মুরগির বাচ্চা ঝিমাবে। অন্য মুরগির বাচ্চা গুলি থেকে আলাদা হয়ে কোনায় বসে থাকবে।মুরগির নাকের চারপাশে এবং ঠোঁটের রং পরিবর্তন হবে।বাচ্চা বার বার নাক বা চোখের কাছে পা দিয়ে চুলকাবে।মুরগির শরীরে জ্বর থাকবে যার ফলে বাচ্চা ঠিক মত খাবে না।মুরগির ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে এক সময় মারা যাবে।

মুরগির বসন্ত রোগে করনীয়ঃ
মুরগির এই রোগ গ্রীস্মে এবং শীতে বেশি হয়ে থাকে তাই গরমে পর্যাপ্ত পরিমান আলো বাতাসের ব্যাবস্থা করতে হবে এবং শীতে তাপের ব্যাবস্থা করতে হবে।বসন্তের টিকা সময় (৩৫ দিন বয়সে) মত দিতে হবে।স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত বাচ্চাটিকে আলাদা করতে হবে।

মুরগির বসন্ত রোগের চিকিৎসাঃ
এই রোগে মুরগির জ্বর শরীরে লেগেই থাকে তাই কোন এন্টিবায়টিক অথবা ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি খাওয়াতে হবে।
যদি কম সংখ্যক বাচ্চা আক্রান্ত হয় তাহলে পটাশ বা জীবাণু নাশক তুলার সাথে লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানে মুছে দিতে হবে দিনে দুই তিন বার করে। এর সাথে ফাইমক্সিল বা এমোক্সিসিলিন সিরাপ ৫ থেকে ৬ দিন পর্যন্ত দিনে দুই তিন বার করে খাওয়াতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২২ ৬:৩২ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লার বাচ্চা পরিবহনে খামারি যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার খামার করে লাভবান হয়েছেন যেমন অনেক খামারী তেমনি মাংসের চাহিদাও পূরণ হয়েছে সবার। তবে এতে লাভ পেতে হলে শুরু থেকেই করতে হবে যত্ন। আর এই যত্নে শুরুটা হতে হবে ব্রয়লার খামার বাচ্চা পরিবহণ থেকে। কারণ ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণের সময় কোন সমস্যা হলে মুরগির জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

ব্রয়লার খামারে বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সতর্কতা:
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় এমনভাবে বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে যাতে সূর্যের আলো সরাসরি বাচ্চার শরীরে এসে না পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে বাচ্চাগুলো যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। গরমকালে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পরিবহণ করতে হলে সকালের দিকে বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। এ সময় কোনভাবেই দুপুর কিংবা প্রচন্ড রোদে বাচ্চা পরিবহণ করা যাবে না। এতে বাচ্চা ক্ষতি হতে পারে। আর শীতের দিনে বাচ্চা দুপুর বা রোদের সময় পরিবহণ করা ভালো।

ব্রয়লার খামারের জন্য বাচ্চা পরিবহণ করার সময় লক্ষ্য করতে হবে পরিবহণ বাক্স জীবাণুমুক্ত আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে বাক্সগুলো ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তার পর বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। সম্ভব হলে বাচ্চা পরিবহণের যানবাহন জীবাণুনাশক নিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা পরিবহণের সময় যদি বেশি তাপ কিংবা বেশি ঠাণ্ডা থাকে তাহলে তাপ ও ঠাণ্ডা থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করেই তারপর বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে।

ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সকল প্রকার ধকল থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২০, ২০২২ ৭:৫৩ অপরাহ্ন
বুধবার (২০ জুলাই) পোল্ট্রি ও ডিমের সর্বশেষ পাইকারী বাজার দর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের পাইকারী মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-
তারিখ:২০/০৭/২০২২ ইং
★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।

ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম=৯.৫০
সাদা ডিম=৮.৭০

ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৭০
সাদা ডিম=৮.১৫

গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=৮.৬০
সাদা ডিম=৮.০০
ব্রয়লার মুরগী=১২৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৪০/কেজি
কালবার্ড সাদা=/কেজি
সোনালী মুরগী=২২০/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=১২-১৫
লেয়ার সাদা=১৫-২০
ব্রয়লার=২০-২৩

ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী) বড় ডিম=
লাল(বাদামী) মাঝারি ডিম=

চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৮০
সাদা ডিম=৮.৪০
ব্রয়লার মুরগী=১৪২/কেজি
কালবার্ড লাল=২৪৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৪৫/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=১২-১৬
লেয়ার সাদা=১৪-১৬
ব্রয়লার=২৪-২৭

রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৬০
সাদা ডিম=৭.৯০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি

খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৫০
সাদা ডিম=

বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.২০
ব্রয়লার মুরগী=১১৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৫০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৪০/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =১৩
ব্রয়লার=২০

ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৫০
ব্রয়লার মুরগী=১২৩/কেজি
সোনালী মুরগী=২১০/কেজি

সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=৯.৪০
সাদা ডিম=৯.১০
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =১২-১৪
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =২২

রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৬০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৮২
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=৮.৭৫
ব্রয়লার মুরগী=১২০/কেজি
সোনালী মুরগী =২১০/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৭৫
বাচ্চার দর:-
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৫০
সাদা ডিম=৭.৮০
ব্রয়লার মুরগী=১৩০/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৭৫
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি

নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৯০

সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী=১৩০/কেজি
কালবার্ড লাল=২২৫/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.০০
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.২০
ব্রয়লার মুরগী=১১৫/কেজি
লেয়ার মুরগী=২২০/কেজি
সোনালী মুরগী=২০০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=৮.৫০
সাদা ডিম=৮.২০

নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=৯.১০
ব্রয়লার মুরগী=১৩০/কেজ
কালবার্ড লাল=২৪০/কেজি
সোনালী মুরগী=২০০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =১২
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =২০

পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.০০
সাদা ডিম=৮.৫০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি

যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৮০

কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=৯.১০
ব্রয়লার মুরগী=১২৫/ কেজি
কালবার্ড লাল=২৩০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৪০/কেজি

কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=৮.৭০
সাদা ডিম=৮.৪০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি

একটি যৌথ উদ্যোগ: বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (বি.পি.কে.আর.জে.পি) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(পিপিবি)।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৯, ২০২২ ৭:৫৬ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
পোলট্রি

প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক গবেষণা ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশে গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি এজেন্ডার লক্ষ্য অর্জনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এবং জুনোটিক রোগ প্রতিরোধ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের সহজলভ্যতা, প্রেসক্রিপশন ছাড়া এর যথেচ্ছা ব্যবহার এবং অযোগ্য ব্যক্তির মাধ্যমে এর ব্যবহার করতে দেওয়ার মাধ্যমে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। এ জন্য প্রশিক্ষণ দরকার। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার যাতে আমাদের দুর্বল করে দিতে না পারে সেজন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। আশার কথা হচ্ছে ট্রস্তবর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী প্রাণিস্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যবহার কমছে।

তিনি আরও যোগ করেন, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অনুধাবন করেছে। এটা নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয় সচেষ্ট রয়েছে। অ্যন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক মানের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ল্যাবরেটরি করা হয়েছে। প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহৃত ঔষধে সঠিক উপাদান আছে কী না সেটা এ ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে এ ল্যাবের পরিধি আরও বাড়ানো হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও এর সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করে, তারাও যাতে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার করতে না পারে সেটাও দেখা হবে।

তিনি আরও বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ভালো উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য হলেও সচেতনতার অভাব এবং মানুষ ও প্রাণীদের চিকিৎসাশাস্ত্র সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে দেশে এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার হচ্ছে। এটি প্রাণি ও মানুষ উভয়ের জন্য বিপন্ন অবস্থা তৈরি করতে পারে।

শ ম রেজাউল করিম আরও যোগ করেন, প্রাণিস্বাস্থ্য খারাপ থাকলে মানুষ নিরাপদ থাকবে এটা ভাবার কারণ নেই। কারণ প্রাণীর সাথে মানুষের এখন সংমিশ্রণ হচ্ছে। শুধু প্রাণীর সুরক্ষার জন্য নয় বরং মানুষের সুরক্ষার জন্যও প্রাণিস্বাস্থ্য রক্ষা করা প্রয়োজন। এ বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। সরকার চায় ওয়ান হেলথ সিস্টেম গড়ে উঠুক। কারণ মানুষের স্বাস্থ্যের সাথে প্রাণিস্বাস্থ্য ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। ওয়ান হেলথ ধারণা সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এক্ষেত্রে সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।

বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান এবং এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. আব্দুস সামাদ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও বিএলআরআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তাগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৯, ২০২২ ৬:৫১ অপরাহ্ন
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) পোল্ট্রি ও ডিমের সর্বশেষ পাইকারী বাজার দর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের পাইকারী মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-
তারিখ:১৯/০৭/২০২২ ইং
★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।

ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম=৯.৫০
সাদা ডিম=৮.৭০

ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৭০
সাদা ডিম=৮.০৫

গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=৮.৬০
সাদা ডিম=৭.৯০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=২৪০/কেজি
কালবার্ড সাদা=/কেজি
সোনালী মুরগী=২২০/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=১২-১৫
লেয়ার সাদা=১৫-২০
ব্রয়লার=২০-২৩

ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী) বড় ডিম=
লাল(বাদামী) মাঝারি ডিম=

চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৯০
সাদা ডিম=৮.৫০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৫০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৪৫/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=১২-১৬
লেয়ার সাদা=১৪-১৬
ব্রয়লার=২০-২৩

রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৬০
সাদা ডিম=৭.৯০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি

খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৫০
সাদা ডিম=

বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.২০
ব্রয়লার মুরগী=১১৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৫০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৪০/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =১৩
ব্রয়লার=২০

ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৫০
ব্রয়লার মুরগী=১২২/কেজি
সোনালী মুরগী=২১০/কেজি

সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=৯.৪০
সাদা ডিম=৯.১০
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =১২-১৪
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =২২

রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৫০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৫৫
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=৮.৮০
ব্রয়লার মুরগী=১১৫/কেজি
সোনালী মুরগী =২০৫/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৭৯
বাচ্চার দর:-
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৫০
সাদা ডিম=৭.৮০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৭৫
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি

নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৯০

সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী=১৩০/কেজি
কালবার্ড লাল=২২৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২০০/কেজি

ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.০০
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.২০
ব্রয়লার মুরগী=১১৫/কেজি
লেয়ার মুরগী=২২০/কেজি
সোনালী মুরগী=২০০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=৮.৭০
সাদা ডিম=৮.৪০

নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=৯.২০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজ
কালবার্ড লাল=২২০/কেজি
সোনালী মুরগী=২০০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =১২
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =২৩

পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.০০
সাদা ডিম=৮.৫০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি

যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৮০

কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=৯.১০
ব্রয়লার মুরগী=১২৫/ কেজি
কালবার্ড লাল=২৩০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৪০/কেজি

কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=৮.৬০
সাদা ডিম=৮.৩০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি

একটি যৌথ উদ্যোগ: বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (বি.পি.কে.আর.জে.পি) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(পিপিবি)।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৮, ২০২২ ৮:০২ অপরাহ্ন
সোমবার (১৮ জুলাই) পোল্ট্রি ও ডিমের সর্বশেষ পাইকারী বাজার দর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের পাইকারী মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-
তারিখ:১৮/০৭/২০২২ ইং
★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।

ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম=৯.৫০
সাদা ডিম=৮.৫০

ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৭০
সাদা ডিম=৭.৮৫

গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=৮.৬০
সাদা ডিম=৭.৭০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=২৪০/কেজি
কালবার্ড সাদা=/কেজি
সোনালী মুরগী=২২০/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=১৫-১৭
লেয়ার সাদা=
ব্রয়লার=১৫-১৬

ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী) বড় ডিম=
লাল(বাদামী) মাঝারি ডিম=

চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৭০
সাদা ডিম=৮.৩০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৩/কেজি
কালবার্ড লাল=২৫০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৪৫/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=১৪-১৬
লেয়ার সাদা=১২-১৬
ব্রয়লার=১৮-২০

রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৬০
সাদা ডিম=৭.৯০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি

খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৪০
সাদা ডিম=

বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.২০
ব্রয়লার মুরগী=১১৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৫০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৪০/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =১৩
ব্রয়লার=২০

ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৫০
ব্রয়লার মুরগী=১২২/কেজি
সোনালী মুরগী=২১০/কেজি

সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=৯.৩০
সাদা ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =১০-১২
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =১৮-২০

রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৫০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৭০
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী=১১৫/কেজি
সোনালী মুরগী =২০০/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৯৯
বাচ্চার দর:-
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৫০
সাদা ডিম=৭.৬০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৭৫
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি

নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=

সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৯০
ব্রয়লার মুরগী=১৩০/কেজি
কালবার্ড লাল=২২৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২০০/কেজি

ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৩৫
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৫৬
ব্রয়লার মুরগী=১১০/কেজি
লেয়ার মুরগী=২২০/কেজি
সোনালী মুরগী=২০০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=৮.৮০
সাদা ডিম=৮.৫০

নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী=১৩০/কেজ
কালবার্ড লাল=২২০/কেজি
সোনালী মুরগী=১৯০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =১২
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =২০

পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.০০
সাদা ডিম=৮.৫০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি

যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৭০

কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=/ কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=৮.৬০
সাদা ডিম=৮.৩০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি

একটি যৌথ উদ্যোগ: বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (বি.পি.কে.আর.জে.পি) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(পিপিবি)।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৮, ২০২২ ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
দেশি মুরগি পালনে যত সুবিধা
পোলট্রি

দেশি মুরগি পালন দিন দিন বেশকিছু কারনে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। স্বল্প বিনিয়গে বেশি মুনাফা অর্জনে দেশি মুরগি পালন হতে পারে আদর্শ ব্যাবসা। অন্যান্য হাইব্রীড মুরগির তুলনায় দেশি মুরগি পালন করা সহজ।

অন্যান্য যেকোনো মুরগির তুলনায় দেশি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো। ফলে দেশি মুরগির মৃত্যুহার কম। দেশি মুরগি পালনে ঔষধ খরচ তেমন একটা হয়না। তবে লাভজনক খামার গড়ে তুলতে চাইলে বায়োসিকিউরিটি ভালোভাবে মেনে চলতে হবে।

উচ্ছিষ্ট বা সাধারণ মানের খাদ্যেও দেশি মুরগি জীবনধারণ করতে পারে। প্রয়োজনীয় মিনারেল নিজে থেকেই চড়ে বেড়িয়ে সংগ্রহ করতে পারে। দেশি মুরগী পালনের অন্যতম সুবিধা হলো, এর খাদ্য খরচ কম।

সবথেকে আকর্ষনীয় বিষয় হলো, দেশি মুরগির বাজার চাহিদা। সাধারণত ব্রয়লার বা কক মুরগির মত দেশি মুরগির বাজারদর কমে যায়না। সারা বছরই দেশি মুরগির বাজার দর ভালো থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৭, ২০২২ ৭:৪৩ অপরাহ্ন
রবিবার (১৭ জুলাই) পোল্ট্রি ও ডিমের সর্বশেষ পাইকারী বাজার দর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের পাইকারী মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-
তারিখ:১৭/০৭/২০২২ ইং
★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।

ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম=৯.২০
সাদা ডিম=৮.৫০

ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৩০
সাদা ডিম=৭.৫৫

গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=৮.৩০
সাদা ডিম=৭.৪০
ব্রয়লার মুরগী=১১৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৩৫/কেজি
কালবার্ড সাদা=/কেজি
সোনালী মুরগী=২২০/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=১৫-১৭
লেয়ার সাদা=
ব্রয়লার=১৫-১৬

ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী) বড় ডিম=
লাল(বাদামী) মাঝারি ডিম=

চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৪০
সাদা ডিম=৮.০০
ব্রয়লার মুরগী=১২৮/কেজি
কালবার্ড লাল=২৫০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৪০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=১৪-১৬
লেয়ার সাদা=১২-১৬
ব্রয়লার=১৮-২০

রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৪০
সাদা ডিম=৭.৭০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি

খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.২০
সাদা ডিম=

বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.২০
ব্রয়লার মুরগী=১১৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৫০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫০/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =১০
ব্রয়লার=২০

ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=৭.৯০
ব্রয়লার মুরগী=১১৩/কেজি
সোনালী মুরগী=২১৫/কেজি

সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=৮.৯০
সাদা ডিম=৮.৬০
ব্রয়লার মুরগী=১২০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =১০-১২
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =১৮-২০

রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.০০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.০০
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=৮.৩৫
ব্রয়লার মুরগী=১১০/কেজি
সোনালী মুরগী =২০০/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৩৫
বাচ্চার দর:-
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=৮.২০
সাদা ডিম=৭.২০
ব্রয়লার মুরগী=১১৩/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৪০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি

নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৩০

সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৬০
ব্রয়লার মুরগী=১৩০/কেজি
কালবার্ড লাল=২২৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২০০/কেজি

ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৭৫
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=৮.৯৫
ব্রয়লার মুরগী=১১০/কেজি
লেয়ার মুরগী=২২০/কেজি
সোনালী মুরগী=২০০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=৮.৬০
সাদা ডিম=৮.৩০

নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=/কেজ
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.০০
সাদা ডিম=৮.৭০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি

যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৫০

কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=৮.৬০
ব্রয়লার মুরগী=১২৭/ কেজি
কালবার্ড লাল=২৩০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫০/কেজি

কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=৮.৫০
সাদা ডিম=৮.২০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি

একটি যৌথ উদ্যোগ: বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (বি.পি.কে.আর.জে.পি) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(পিপিবি)।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৭, ২০২২ ৩:১৯ অপরাহ্ন
প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক এবং তার প্রতিকার
পোলট্রি

সময়ের বৈরি আবহাওয়ার ফলে আমরা অনেক সময়েই সমস্যায় পড়ি। কিছু সমস্যা আছে যেগুলো আমাদের শুধু কষ্ট বা সাময়িক অস্বস্তি দিয়ে যায় আর কিছু আছে যা আমাদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করে থাকে।

যেমন কাল বৈশাখি ঝড়ে আমাদের অর্থনৈতিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়। আর শীতকালের তীব্র শীত আর গরমের প্রচন্ড গরম যে শুধু আমাদের জন্যই ক্ষতিকর তা নয়, তা আমাদের আশ্রয়ে পালন হওয়া গরু ছাগল, হাঁস মুরগী সবাই এর ভুক্তভুগী। তবে এদের মধ্যে বর্তমাণে বানিজ্যিক ভাবে পালন করা মুরগীর এই সমস্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়।

কয়েকদিন থেকেই পত্র পত্রিকায় দেশের বিভিন্ন স্থানে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মুরগী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সুর্য্যের তাপমাত্রা বেশি আর পরিবেশের ভ্যাপসা ও অসনীয় গরমে তাদের মেটাবলিক হার বেড়ে যাচ্ছে। আর এত বেশি তাপমাত্রায় তাদের প্রধান অঙ্গ গুলো ভালভাবে কাজ করতে না পারায় মুরগী মারা যায়।

হিটস্ট্রোকের কারণঃ মানবদেহের সকল জৈবিক কার্যাবলী ঠিকমত সম্পর্ন হতে প্রয়োজন উপযুক্ত পরিবেশের। আর এই পরিবেশের মধ্যে অন্যতম উপাদান হল তাপমাত্রা , চাপ ইত্যাদি। খুব কম তাপমাত্রা যেমন ভাল নয় ঠিক তেমনি বেশি তাপমাত্রা ও ভাল না। আর দ্রুত বর্ধনশীল মুরগীর ক্ষেত্রে এই সমস্যা তো আরো অনেক গুন বেশি। তারা এমনিতেই খুব কাতর হয়ে থাকে।

অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মুরপগীর কিডনি, হার্ট ,ফুসফুস কাজ করতে না পারার কারনে স্ট্রোক করে থাকে। গাদাগাদী করে থাকায় এবং পানির কোন ঘাটতি থাকলে এই প্রকোপ বেড়ে যায় অনেকংশে।

মুরগীর তাপমাত্রা অসহনীয় হয়েছে বোঝার উপায়ঃ

মানুষ তার গরম লাগার কথা বলতে পারে,কিন্তু মুরগী তা পারেনা।

তাই তাদের কিছু বৈশিষ্ট দেখে বুঝতে হয় ফ্লকের তাপমাত্রা বেড়েছে-পানির পাত্রের উপর মুরগি হুমড়ী খেয়ে পড়ছে।

মুরগী গুলো যেদিকে একটূ ঠান্ডা পরিবেশ পাচ্ছে তার দিকে ছুটে যেতে থাকবে।

পাখা গুলো এলিয়ে দিয়ে ঝিমিয়েও যেতে পারে।

মুরগীর হার্ট রেট ও শ্বাসরেট বেড়ে যায় অনেকাংশে।

পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও এর প্রভাব: ঘর্মগ্রন্থি না থাকার কারণে মোরগ-মুরগির অতিরিক্ত গরম অসহ্য লাগে। এতেউত্পাদন ক্ষমতা ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত তাপে এদের পানি গ্রহণ, শ্বাস-প্রশ্বাস, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে থাইরয়েড গ্রন্থিরআকার, রক্তচাপ, নাড়ির স্পন্দন, রক্তে ক্যালসিয়ামের সমতা, খাদ্য গ্রহণ, শরীরের ওজন ও ডিমের উত্পাদন হ্রাস পায়। ১৫ হতে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসতাপমাত্রায় এদের উত্পাদন সর্বোচ্চ। ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে প্রতি ডিগ্রিতাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শতকরা ৪ ভাগ হারে পানি গ্রহণ বৃদ্ধি পায়। ২৪ ডিগ্রিসেলসিয়াস তাপমাত্রার পর হতে ডিমের সংখ্যা না কমলেও প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রাবৃদ্ধিতে ডিমের ওজন শতকরা এক ভাগ হারে কমে যায়। ২৬.৫ সেলসিয়াস ডিগ্রিতাপমাত্রার পর হতে মোরগ-মুরগির খাদ্যের রূপান্তর ক্ষমতা হ্রাস পায়। ২৭ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে প্রতি ডিগ্রি তাপ বৃদ্ধিতে ২ হতে ৪ শতাংশ খাবার গ্রহণকমে যায়। ৩৬ হতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মোরগ-মুরগির জন্য অসহনীয়এবং ৩৮ ডিগ্রির পর মৃত্যু হার খুব বৃদ্ধি পায়।

হিটস্ট্রোক এড়ানোর জন্য স্বল্পকালীন প্রস্তুতিঃ হিট স্ট্রোক যেহেতু পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে হয়ে থাকে। আর তা হল প্রাকৃতিক কারণ। এতে যেমন আমাদের হাত দেয়ার ক্ষমতা থাকেনা, কিন্তু একটু ভালভাবে চেষ্টা করলে এর মারাত্বক প্রভাব থেকে মুরগীকে রক্ষা করা যেতে পারে। বেশি তাপমাত্রা থাকাকালীন সময়ে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ করা যেতে পারে।

ফ্লকের তাপমাত্রা নিয়ত্রণের চেষ্টা করাঃ বাইরের তাপমাত্রা অনেক বেশি হলেও ফ্লকে মুরগীর জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রার ব্যবস্থা করা জরুরি। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্যানের ব্যবস্থা করা। এবং ভিতরের গরম বাইরে বের করার জন্য এক্সিট ফ্যান ব্যবহার করতে হবে। যদি তাপমাত্রা খুবই বেশি দেখা যায় তাহলে টিনের ছাদ হলে তার উপরে পানি রাখার মত কিছু হলেও ব্যবস্থার মাধ্যমে এর তাপমাত্রা নিয়ত্রন করা। গাছের ডাল অথচা টিনের উপর খড়ের চালের ব্যবস্থা করা।

লক্ষ রাখতে হবে ফিড : এ সময় মুরগির ফিড গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়। সেই কারণে দিনের নির্দিষ্ট বেশি গরমের সময় ব্রিডার লেয়ারের ক্ষেত্রে ফিড না দেওয়াই ভালো। শুধু পানি খাবে। দিনের ঠাণ্ডা সময় যেমন ভোর ও সন্ধ্যার পর ফিড দিতে হবে।

এ সময় খামারে দেওয়া ফিডে বিশেষ লক্ষ রাখতে হবে, ফিডে যেন পুষ্টিমান সঠিক এবং বেশি থাকে। যেমন স্বাভাবিক ১০০ গ্রাম ফিডের পুষ্টি ৯০ গ্রাম ফিডে থাকতে হবে। সে কারণে ফিডে ব্যবহার করা প্রোটিনের ক্ষেত্রে অতি উচ্চমানের প্রোটিন ব্যবহার করতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে, এই প্রোটিনে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড মিথুনিন, লাইসিন ঘাটতি আছে কি না? যদি ঘাটতি থাকে তাহলে বাড়তি অ্যামাইনো এসিড মেশাতে হবে।

খামারে রেডি ফিড (পিলেট ফিড) ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফিডে অ্যামাইনো এসিড মেশানোর উপায় থাকে না। সে ক্ষেত্রে পানির মাধ্যমে তরল মিথুনিন যেমন রেডিমেড এটি-৮৮ পানিতে খাওয়াতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে এক থেকে দুই মিলিলিটার দিতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য অ্যামাইনো এসিডের ঘাটতি পূরণের জন্য অ্যামাইনো লাইটস এবং অ্যামাইনো এসিড ও শক্তি সরবরাহের জন্য অ্যামাইনো-১৮ পানির সঙ্গে খাওয়াতে হবে।

হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ : গরমের সময় রক্ত চলাচল দ্রুততর হওয়ার জন্য হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় ও কোনো কোনো সময় রক্ত জমাট হতে পারে। এই রক্ত জমাট হওয়াটাই হিটস্ট্রোক। এতে মুরগি মারা যেতে পারে। এ সময় এসপিরিন ও ভিটামিন-সিযুক্ত কোনো মিশ্রণ যেমন এন্টি স্ট্রেস প্রিমিক্স দিনের উষ্ণতম সময় যেমন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পানির মাধ্যমে খাওয়ালে হিটস্ট্রোকের পরিমাণ অনেক কমে যায়। এ ছাড়া ফিডেও ভিটামিন-সিযুক্ত প্রিমিক্স ব্যবহার করা যেতে পারে।

গরমের বাড়তি যত্ন : গরমে পোলট্রি খামারে বিশেষ যত্ন না নিলে ফ্লকে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এখনকার তাপজনিত ধকলে মুরগির দৈহিক ওজন কমে যাওয়াসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ডিম উৎপাদন কমে যায় এবং মোরগ-মুরগির মৃত্যুও হতে পারে। এ সময় বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।

খামারে এক দিনের বাচ্চা আসার আগে পরিষ্কার ও ঠাণ্ডা পানির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে পানির সঙ্গে ভিটামিন সি, আখের গুড় অথবা ইলেকট্রোলাইটযুক্ত স্যালাইন পানির সঙ্গে দিতে হবে।

খামার শেডে বাতাসের অবাধ চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। মুক্ত বাতাস শেড অভ্যন্তরের তাপমাত্রা শীতল রাখবে, সেই সঙ্গে অ্যামোনিয়াসহ অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাসের বিষক্রিয়াও মুক্ত রাখবে। শেডে সিলিং ফ্যানের পাশাপাশি এগজস্ট ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে।

শেডে মোরগ-মুরগি যেন আরামদায়ক পরিবেশে বাস করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। অহেতুক এদের বিরক্ত করা যাবে না। প্রতিটি বড় মুরগিকে এক বর্গফুটের অধিক জায়গা দিতে হবে।

অধিক রোদে টিনের চালা অতিরিক্ত গরম হলে দিনে দুই-একবার চালায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। টিনের চালার নিচে চাটাই, হার্ডবোর্ড দিয়ে শিলিংয়ের (চাতাল) ব্যবস্থা করতে হবে।

লিটার ব্যবস্থাপনাঃ শেডের চারপাশে সপ্তাহে দুবার চুন ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ব্রয়লার লিটার ভোর কিংবা রাতে ওলটপালট করে দিতে হবে।

খাবার পাত্র ও পানির পাত্রসংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে। পানির পাত্রে দিনে কমপক্ষে তিনবার পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।গরমের ধকলের কারণে মাইকোপ্লাজমা ও কলিব্যাসিলোসিস রোগের আক্রমণ বেড়ে যায়।সে কারণে এ সময় মুরগির স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চলা প্রয়োজন। বিশেষ করে ফিড ও পানিতে ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-ই ব্যবহার করতে হবে।

গরমকালে বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় শেডের মেঝেয় অনেক সময় লিটার দ্রুত ভিজে যায়। যার ফলে রোগ আক্রমণও বেশি হয়। সে কারণে লিটারে পাউডার চুন ব্যবহার করতে হবে। এ সময় ফিডের বস্তা খোলা রাখা যাবে না। কারণ বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে ফিডে ছত্রাক বা মোল্ড জন্মায়, যা পোলট্রি খাদ্যের উপযুক্ত নয়

তাপজনিত ধকল প্রতিরোধে করণীয়: খামারের আশে পাশে ছায়াযুক্ত বৃক্ষ রোপণ এবং ঘর পূর্ব-পশ্চিমে হওয়া বাঞ্চনীয়। তবে আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনায় বায়োসিকিউরিটির কথা চিন্তা করেগাছপালা রোপণের প্রতি অনুত্সাহিত করা হয়ে থাকে। গরমে পোল্ট্রি শেডেপ্রত্যক্ষ সূর্যালোক পরা যাবে না। অত্যধিক গরম প্রতিরোধে প্রয়োজনে শেডেরছাদে/বা টিনের চালায় দিনে দু’তিন বার পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।টিনের নিচে চাটাই/হার্ডবোর্ড দিয়ে সিলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অনেক সময়মুরগি যখন হাঁ করে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয় তখন ঘরে সেপ্র মেশিন দিয়েকুয়াশার মত করে পানি ছিটিয়ে দেওয়া যেতে পারে। পানির ড্রিংকার ও ফিডারেরসংখ্যা বাড়াতে হবে। ঘন ঘন ড্রিংকারের পানি পাল্টাতে হবে। গরমে বাতাসেরআর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে শেডের মেঝে অনেক সময় স্যাঁতসেঁতে হয়ে লিটারদ্রুত ভিজে যায়। ফলে রোগের আক্রমণও বাড়ে। সেজন্য প্রতিদিন সকালেব্রয়লার শেডের লিটার উলোট-পালোট করা প্রয়োজন। লিটারে গুঁড়ো চুন ব্যবহারকরলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। শেড হতে শেডের দূরত্ব ৩০ ফুটের অধিক হলে ভালহয়। শেডে মোরগ-মুরগির ঘনত্ব বেশি হলে তা কমিয়ে দিতে হবে। বাতাসের অবাধচলাচল শেডের ভেতরের তাপমাত্রা শীতল রাখতে সাহায্য করবে এবং পোল্ট্রির জন্যক্ষতিকর অ্যামোনিয়া গ্যাস মুক্ত রাখবে। শেডে স্টেন্ড ফ্যানের ব্যবস্থাকরতে হবে।

ঠান্ডা পানির সরবরাহ: ঠাণ্ডা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে। যেহেতু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এদের খাদ্য গ্রহণ কমে যায়, সেহেতু প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ৮হতে ১০ ভাগ শক্তি কমিয়ে প্রোটিন, খনিজ লবণ ও ভিটামিন বাড়িয়ে দিতে হবে।প্রতি লিটার পানিতে ১০-১২ গ্রাম গ্লুকোজ ও মুরগি প্রতি ১০ গ্রাম ভিটামিন সি পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়া প্রাকৃতিক বিটেইনেধনাত্মক ও ঋনাত্মক আছে যা কোষের মধ্যে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হিটস্ট্রোকের হাত থেকে এরা রক্ষা পায়। গরমে পোল্ট্রির অ্যামাইনো এসিডেরচাহিদা বেড়ে যায়। বিটেইনে মিথাইল মূলক বিদ্যমান, যা মিথিওনিন ও কলিনেরঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। গরমে প্রয়োজনে একদিনের বাচ্চার জন্য পানিতে আখেরগুড়, ভিটামিন সি অথবা ইলেকট্রোলাইট যুক্ত স্যালাইন পানি দিতে হবে।

দীর্ঘকালীন পরিকল্পনাঃ সুষ্ট পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক। আর আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে খামার এমন স্থানে স্থাপন করা দরকার যেন বৈরি আবহাওয়ায় ঐ স্থান সহায়ক হয়। শেডের চারপাশি কিছু গাছ লাগানো যেতে পারে, বিশেষত নিমের গাছ যেখান হতে বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়ার পাশাপাশি জীবানূদের ধ্বংস করতেও সাহায্য করবে।

পর্যাপ্ত বায়ুচলাচলের ব্যবস্থা করে শেড নির্মাণ করতে হবে (যারা নতুন করে করবেন)।

খামারীভাইদের এই সময়ে একটু বিশেষ সচেতন থাকতে হবে। যেন হিটস্ট্রোকে মুরগী মারা না যায়। উপরের বিষয়গুলো খেয়াল করে মুরগীর যত্ন নিলে এর প্রকাপ অনেকাংশেই কমানো যাবে বলে আশাবাদী। এই সময় মুরগীর ভাল দাম পেয়ে লাভবাণও হওয়া যাবে দ্রুত।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop