৭:১৯ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২২ ১২:১৫ অপরাহ্ন
রাজবাড়ী সদরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২২ অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

রাজবাড়ী সদরে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছেবুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ী সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী এই প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার জনাব মার্জিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর শুভ উদ্ভোধন করেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী কেরামত আলী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রকিবুল হাসান পিয়াল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ আলেয়া বেগম।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী নেতা জনাব হেদায়েত আলী সোহরাব, রাজবাড়ী সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং খামারিবৃন্দ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অফিসার্স ক্লাব রাজবাড়ী সদর এর সাধারণ সম্পাদক জনাব ইকবাল হাসান।

বিগত এক দশকে রাজবাড়ী জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ফজলুল হক সরদার।

অতিথিগণ উপস্থিত বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রজাতির প্রাণী, পাখি, প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং প্রাণিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন উপকরণ দেখে উচ্ছ্বসিত হন।

উল্লেখ্য রাজবাড়ী সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খামারি, প্রাণী ও পাখি প্রেমী স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই মেলায় উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনী শেষে নির্বাচক প্যানেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুসারে সেরা ১২ জন খামারির প্রতিজনকে বিভিন্ন পরিমাণের টাকার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককেই দেয়া হয় বিশেষ পুরস্কার এবং সম্মাননা সনদ।

সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ খায়ের উদ্দীন আহমেদ।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ খায়ের উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে  সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ফজলুল হক সরদার।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী ডেইরি ফার্মার্স এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ (কহিনুর) এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন গাজী।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ শাকিল আহমেদ এবং সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ অচিন্ত্য কুমার বিশ্বাস।

সমাপনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) এসএম আবুল বাসার।

উল্লেখ্য প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার, উন্নত প্রজাতির প্রাণী পালনের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, নতুন টেকনোলজির সাথে তরুণ উদ্যোক্তাদের পরিচিতি ঘটানো এবং পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

উল্লেখ্য প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিগত বছরে ভাল কার্যক্রমের জন্য লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার মোঃ হাবিব কে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া নির্বাচিত ১০০ জন খামারির মধ্য থেকে ৫ জন খামারির হাতে বিনামূল্যে ভিটামিন এবং কৃমিনাশক তুলে দেন প্রধান অতিথী আলহাজ কাজী কেরামত আলী এমপি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২২ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মাংস উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মাংস উৎপাদনে এখন আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

‌বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরস্থ পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত ‘প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী, ২০২২’ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও টাংগাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্, মহাপুলিশ পরিদর্শক বেনজীর আহমেদ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্যান্য দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী-গবেষক, উদ্যোক্তা ও খামারিগণ সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে মাংস উৎপাদনে এখন আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাংস আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে যাচ্ছি। এখন ভারত-মিয়ানমার থেকে কোরবানির পশু আমদানি করতে হয় না। বেকাররা এখন খামার করে গর্বের সাথে বলেন আমরা খামারি”।

তিনি আরো বলেন, “দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী করায় মানুষের মধ্যে প্রাণিসম্পদ খাত নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা,  সৃষ্টি হয়েছেঅনুপ্রেরণা। এটা সম্ভব হয়েছে প্রাণিসম্পদ খাতবান্ধব সরকার প্রধান শেখ হাসিনার কারণে”।

মন্ত্রী আরো বলেন, “একটা সময় মানুষ সপ্তাহে একবার মাংস খেতে পারত না। এখন কোন কোন পরিবার দিনে তিন বেলা মাংস খায়। দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তন। এ পরিবর্তনের সূচনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি সর্বপ্রথম বিদেশ থেকে উন্নত জাতের গবাদিপশু দেশে নিয়ে এসেছেন। গবাদি পশুতে কৃত্রিম প্রজনন প্রবর্তন করেছেন”।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর কৃষি,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে সামনের দিকে নিয়ে আসার জন্য সব ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। কারণ তিনি কৃষক ও কৃষি বান্ধব সরকার প্রধান। একটা সময় বিদ্যুতের দাবিতে কৃষকদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। আর এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি, লাইভস্টক ও ডেইরি খাতে রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা দিচ্ছেন। এর ফলে আজ বিকশিত বাংলাদেশ। এর ফলে আজ প্রাণিসম্পদের বিশাল সম্ভাবনাময় জগৎ আমরা সৃষ্টি করতে পেরেছি”।

প্রাণিসম্পদ খাতে বিদ্যমান সব সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে বলেও এসময় জানান মন্ত্রী।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬১টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এ প্রদর্শনী দিনব্যাপী একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় প্রদর্শনীতে ভিন্ন ভিন্ন ভ্যালু চেইনভিত্তিক ১১০টি স্টল স্থাপন করা হয়। এসব স্টলে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল গবাদিপশুসহ বিভিন্ন প্রাণী তথা গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগী, হাঁস, দুম্বা, কবুতর ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও প্রদর্শনীতে প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি, ঔষধ সামগ্রী, টিকা, প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ সরঞ্জাম, মোড়কসহ পণ্য বাজারজাতকরণ প্রযুক্তির স্টলও স্থাপন করা হয়।

প্রদর্শনীতে বিচারক প্যানেলের সামনে র‌্যাম্পের উপর দিয়ে গবাদিপশুর হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য ছিল দেখার মতো। গুণ, মান, জাত, স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য্য, আকার, অবদান, নিরাপদতা, কর্মসংস্থান, বাজারজাতকরণ, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক প্রভাবসহ সার্বিক পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় ১১টি ক্যাটাগরিতে খামারিদের মোট ৩১টি স্টলকে পুরস্কৃত করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২২ ৪:২৩ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদ খাত হবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “প্রাণিসম্পদ খাত হবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম বৃহত্তর খাত। এ খাত হবে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী জায়গায় নিয়ে যাওয়ার একটি খাত। এ খাত হবে দেশের মানুষের খাবারের চাহিদা মেটানোর সবচেয়ে বড় একটি খাত। এ লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে”।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরস্থ পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত ‘প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী, ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিশ্চিয়ান বার্জার, এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা ড. এফ এইচ আনসারী, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মো. মশিউর রহমান ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন বক্তব্য প্রদান করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্যান্য দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী-গবেষক, উদ্যোক্তা,রং ও খামারিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, “রাষ্ট্র প্রাণিসম্পদ খাতকে উদারভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। করোনায় যখন এ খাত নুয়ে পড়ছিল, তখন সরকারের উদ্যোগে বিদেশ থেকে পোল্ট্রি ফিড, ফিশ ফিড ও এনিমেল ফিড আনার জন্য সরাসরি বিভিন্ন দেশের হাইকমিশন ও বন্দরে যোগাযোগ করা হয়েছে, পরিবহন সহজ ও উন্মুক্ত করাসহ সর্বত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতে যারা শিল্প স্থাপন করতে চায় তাদের জন্য উৎসে কর এবং অপ্রয়োজনীয় কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যাতে এ খাত বিকশিত হতে পারে। শুধু সরকারের পক্ষে একা সব কিছু করা সম্ভব নয়। সরকার পদ্ধতি নির্ধারণ করে দেবে, নীতি- নির্ধারণী সহযোগিতা দেবে। বেসরকারি খাত অথবা সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সবাই মিলে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছে।”

মন্ত্রী আরো বলেন, “দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়। আজকের বাংলাদেশকে বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা, নীতিনির্ধারণ ও পৃষ্ঠপোষকতার কারণে”।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, “দেশে মাংস উৎপাদন এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেটা অতীতে কল্পনার বাইরে ছিল। আমরা বিদেশ থেকে মাংস আনব না বরং বিদেশে মাংস রপ্তানি করব-এ প্রত্যয় আমাদের রয়েছে”।

তিনি আরো বলেন, “প্রাণিসম্পদ খাতে এখন আমাদের প্রয়োজন গুণগত ও টেকসই উন্নয়ন। উৎপাদিত মাংস যেন পুষ্টি-আমিষের চাহিদা মেটায়, খাবারের চাহিদা মেটায়। সেটা যেন গুণগত মানে উন্নত থেকে উন্নতর হয়। সে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতের গুণগত মানোন্নয়নে আমরা দেশে আধুনিক গবেষণাগার স্থাপন করেছি। এ ব্যাপারে বেসরকারি খাত উদ্যোক্তা হয়ে এগিয়ে আসলে তাদের সহায়তা করা হবে”।

প্রাণিসম্পদ খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন জাতি গঠনে ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “আমাদের নতুন প্রজন্ম, মধ্যবর্তী বয়সের মানুষ, বয়োজ্যেষ্ঠ তারা যদি পুষ্টিকর খাবার না পায় তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তাদের মধ্যে সৃষ্টি হবে না। মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশ হবে না। অপরদিকে আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এ খাতকে বিকশিত করার জন্য সবাই মিলে ভূমিকা রাখতে হবে”।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬১টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এ প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় প্রদর্শনীতে ভিন্ন ভিন্ন ভ্যালু চেইনভিত্তিক ১১০টি স্টল স্থাপন করা হয়। এসব স্টলে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল গবাদিপশুসহ বিভিন্ন প্রাণী তথা গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগী, হাঁস, দুম্বা, কবুতর ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও প্রদর্শনীতে প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি, ঔষধ সামগ্রী, টিকা, প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ সরঞ্জাম, মোড়কসহ পণ্য বাজারজাতকরণ প্রযুক্তির স্টলও স্থাপন করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২২ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
পশুর ক্ষুরা রোগ দেখা দিলে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশের সব ঋতুতে ক্ষুরা রোগ দেখা গেলেও বর্ষার শেষে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।পশুর জন্য ছোঁয়াচে প্রকৃতির ভাইরাসজনিত রোগের মধ্যে এই ক্ষুরা রোগ অন্যতম। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হরিণ ও হাতিসহ বিভক্ত ক্ষুরা বিশিষ্ট প্রাণির এ রোগ হয়ে থাকে।

কখন বুঝবেন পশুর ক্ষুরা রোগ হয়েছে:
পশু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমত্রা বেড়ে যায়। জিহ্বা, দাঁতের মাড়ি, সম্পূর্ণ মুখ গহ্বর, পায়ের ক্ষুরের মাঝে ঘা বা ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ক্ষত সৃষ্টির ফলে মুখ থেকে ফেনাযুক্ত লালা বের হয়। কখনো বা ওলানে ফোসকা পড়ে। পশু খোঁড়াতে থাকে এবং মুখে ঘা বা ক্ষতের কারণে খেতে কষ্ট হয়। অল্প সময়ে পশু দুর্বল হয়ে পড়ে। এ রোগে গর্ভবতী গাভির প্রায়ই গর্ভপাত ঘটে। দুধালো গাভির দুধ উৎপাদন মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। বয়স্ক গরুর মৃত্যুহার কম হলেও আক্রান্ত বাছুরকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই কঠিন। বলা চলে ৬ মাস বয়সের নিচে আক্রান্ত বাছুরের ৯৫ শতাংশই মারা যায় এই ক্ষুরা রোগে।

কিভাবে বিস্তার করে এই রোগ:
ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত পশুর লালা, ঘায়ের রস, মল-মূত্র, দুধ ইত্যাদির মাধ্যমে এই ভাইরাস বের হয়। এ ভাইরাস বাতাস ও খাদ্যের মাধ্যমে সংবেদনশীল পশুতে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত গরু ও মহিষের সংস্পর্শে এ ভাইরাস সুস্থ পশুতে সংক্রমিত হতে পারে। আক্রান্ত পশুর ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও পশুজাত দ্রব্যের (চামড়া, মাংস, দুধ ইত্যাদি) মাধ্যমে এ ভাইরাস এক স্থান থেকে অন্য স্থানে এমনকি বাতাসের মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ক্ষুরা রোগ।

ক্ষুরা রোগের চিকিৎসা:
ক্ষুরা রোগের চিকিৎসায় প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা রাখতে হবে। অসুস্থ পশুর ক্ষত পটাশ মেশানো পানি (০.০১ শতাংশ পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট) দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। ফিটকিরির পানি ১০ গ্রাম (২ চা চামচ) ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। সোহাগার খৈর গুড়া করে মধু মিশিয়ে মুখের ঘায়ে প্রলেপ দিতে হবে। নরম খাবার দিতে হবে। পশুকে শুষ্ক ও ছায়াযুক্ত স্থানে মেঝেতে রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই কাদা মাটি বা পানিতে রাখা যাবে না। খাওয়ার সোডা ৪০ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে পায়ের ঘা পরিষ্কার করে সালফানিলামাইড পাউডার লাগাতে হবে। মাছি থেকে সাবধান থাকতে হবে, যাতে পোকা না দিতে পারে।

লক্ষণীয়:
ওষুধ লাগানোর আগে পায়ের ঘা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দ্বারা পরিষ্কার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আক্রান্ত গরু মহিষকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য পেনিসিলিন বা অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ইনজেকশন দিতে হবে (চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে)। মুখে ঘায়ের কারণে অতিরিক্ত লালা নির্গত ও খাওয়া ছেড়ে দিলে অবশ্যই স্যালাইন (৫% গ্লুকোজ+০.৯% সেডিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত) শিরায় পুশ করতে হবে। এর সঙ্গে ভিটামিন বি-কম্প্লেক্স ইনজেকশন প্রয়োগে ঘা সেরে ওঠার পাশাপাশি খাওয়ার আগ্রহ বাড়বে। তবে সতর্ক থাকতে হবে- শুধু গ্লুকোজ ইনজেকশন প্রয়োগ করা যাবে না।

ক্ষুরা রোগের প্রতিরোধ:
রোগ যাতে না ছড়ায় সে জন্য আক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষুরা রোগসহ যে কোনো মৃত পশুকে ৪-৫ ফুট মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে হবে। কোনোভাবেই খোলা স্থানে ফেলে রাখা যাবে না। ৬ মাসের কম বয়সের বাচ্চাকে অসুস্থ গাভির দুধ খাওয়ানো যাবে না এবং আলাদা স্থানে রাখতে হবে।

টিকা:
সুস্থ গবাদি পশুকে বছরে দু’বার প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে। ক্ষুরা রোগের টিকা স্থানীয় উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে পাওয়া যায়। সময়মতো এই টিকা দিলে প্রতিহত করা যাবে এই ক্ষুরা রোগ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২২ ৩:৫৯ অপরাহ্ন
উন্নত গুণসম্পন্ন ছাগল নির্বাচন করার জন্য যা যা জানা প্রয়োজন
প্রাণিসম্পদ

লাভজনক ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের খামার স্থাপনে উৎপাদন বৈশিষ্ট্য উন্নত গুনাগুনসম্পন্ন ছাগী ও পাঁঠা সংগ্রহ একটি মূল দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত। মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন বয়সী ছাগী ও পাঁঠা নির্বাচন সফলভাবে পালনের জন্য প্রযুক্তিগত তথ্যাদি সরবরাহ অত্যাবশ্যক। বর্তমানে বাণিজ্যিক ছাগল প্রজনন খামার না থাকায় মাঠ পর্যায় হতে ছাগল সংগ্রহ করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে ব্যাক বেঙ্গল ছাগল, বাচ্চা ও দুধ উৎপাদন ক্ষমতার ভিন্নতা বিদ্যমান। উক্ত ভিন্নতা বংশ অথবা/এবং পরিবেশগত কারণ বা স্বতন্ত্র উৎপাদন দক্ষতার জন্য হতে পারে। সে প্রেক্ষাপটে ব্যাক বেঙ্গল ছাগল খামার প্রতিষ্ঠার জন্য বংশ বিবরণের ভিত্তিতে বাছাই ও নিজস্ব উৎপাদন/পূনরুৎপাদন বৈশিষ্ট্যাবলীর ভিত্তিতে বাছাই বিবেচনায় রেখে ছাগল নির্বাচন করা যেতে পারে।

বংশ বিবরণের ভিত্তিতে বাছাইঃ

মাঠ পর্যায়ে বংশ বিবরণ পাওয়া দুরূহ। কারণ খামারীরা ছাগলের বংশ বিবরণ লিখিত আকারে সংরক্ষণ করেন না। তবে তাঁদেও সাথে আলোচনা করে একটি ছাগী বা পাঁঠার বংশের উৎপাদন ও পূনরুৎপাদন দক্ষতা সম্বন্ধে ধারনা নেয়া যেতে পারে। ছাগীর মা/দাদী/নানীর প্রতিবারে বাচ্চার সংখ্যা, দৈনিক দুধ উৎপাদন, বয়োপ্রাপ্তির বয়স, বাচ্চার জন্মের ওজন ইত্যাদি সংগ্রহ করা সম্ভব। পাঁঠা নির্বাচনের ক্ষেত্রে পাঁঠার মা/দাদী/নানীর তথ্যাবলীর উপর নির্ভর করা যেতে পারে। একটি উন্নত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগী/পাঁঠার বংশীয় গুনাগুন নিম্নরূপ হওয়া প্রয়োজন।

ছাগী নির্বাচনঃ

লাভজনক ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল খামার প্রতিষ্ঠার জন্য সারণী-১ এ উলেখিত জাতের ছাগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দৈহিক যে সমস্ত গুনাবলী বিবেচনা প্রয়োজন তা নিমণরূপ। বিভিন্ন বয়সে দৈহিক বৈশিষ্ট্যের তারতম্য হয়। সে কারণে একটি ছাগীর ৬-১২ মাস, ১২-২৪ মাস এবং ২৪ মাসের উর্দ্ধে বয়সের দৈহিক বৈশিষ্ট্যাবলী ভিন্নভাবে তুলে ধরা হল।

উন্নত গুনাগুন সম্বলিত একটি ছাগীর নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যাবলী থাকা প্রয়োজনঃ

মাথা: চওড়া ও ছোট হবে

দৈহিক গঠন : শরীর কৌনিক এবং অপ্রয়োজনীয় পেশীমুক্ত হবে

বুক ও পেট : বুকের ও পেটের বেড় গভীর হবে

 

পাজরের হাড় : পাজরের হাড় চওড়া এবং দুইটি হাড়ের মাঝখানে কমপক্ষে এক আঙ্গুল ফাঁকা জায়গা থাকবে

ওলান : ওলানের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে। বাঁটগুলো হবে আঙ্গুলের মত একই আকারের এবং

সমান-রালভাবে সাজানো। দুধের শিরা উল্লেখযোগ্যভাবে দেখা যাবে

বাহ্যিক অবয়ব : আকর্ষণীয় চেহারা, ছাগী সুলভ আকৃতি, সামঞ্জস্যপূর্ণ ও নিখুঁত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ

পাঁঠা নির্বাচনঃ

লাভজনক ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল খামার প্রতিষ্ঠার জন্য উল্লেখিত জাতের পাঁঠা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দৈহিক যে সমস্ত গুনাবলী বিবেচনাপ্রয়োজন তা নিমণরূপ। বিভিন্ন বয়সে দৈহিক বৈশিষ্ট্যের তারতম্য হয়।

উন্নত গুনাগুন সম্বলিত একটি পাঁঠার নিমণলিখিত বৈশিষ্ট্যাবলী থাকা প্রয়োজনঃ

চোখ : পরিষ্কার, বড় ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন হবে

ঘাড় : খাটো ও মোটা থাকবে

বুক : গভীর ও প্রশস্ত হবে

পিঠ : প্রশস্ত হবে

লয়েন : প্রশস্ত ও পুরু এবং রাম্প এর উপরিভাগ সমতল ও লম্বা থাকবে

পা : সোজা, খাটো এবং মোটা হবে। বিশেষ করে পিছনের পাদ্বয় সুঠাম ও শক্তিশালী হবে এবং একটি হতে অন্যটি বেশ পৃথক থাকবে

অন্ডকোষ : শরীরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ঝুলানো থাকবে

বয়স : অধিক বয়স্ক (২ বছর বয়সের বেশী) পাঁঠা নির্বাচন করা যাবে না

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২২ ১:৪০ অপরাহ্ন
পরিমাণমতো খাদ্য না দিলে গাভীর যেসব সমস্যা হয়
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশের বর্তমানে ব্যাপকহারে বাড়ছে গাভী পালন। গাভী পালনে ভাগ্য বদল করতে চায় গ্রামের অনেক প্রান্তিক কৃষক। আর এই পরিবর্তনের জন্য দরকার সুস্থ এবং মোটাতাজা গাভী। তাই দরকার গাভীর পরিমাণমত খাবারের নিশ্চয়তা। কারণ পরিমাণমত খাবার না দিলে গাভীর হতে পারে নানাবিধ সমস্যা।

গাভীকে পরিমাণমতো খাদ্য না দিলে যেসব সমস্যা দেখা দিবে:

১। গাভীকে তার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাবার দিতে হবে। কারণ গাভীকে তার শরীরের চাহিদা মোতাবেক খাবার না দিলে দিনদিন গাভী শুকিয়ে যাবে এবং রোগাক্রান্ত হয়ে পড়বে।

২। গাভীকে তার চাহিদা মোতাবেক খাবার না দিলে গাভীর অনেক ক্ষেত্রে গর্ভধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এছাড়া গাভী অনেক সময় হিটেও আসে না। আর তখন গাভীকে হিটে আনার জন্য চিকিৎসায় খরচ করতে হয় বহু টাকা।

৩। প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ না করলে গাভীর শরীরের শক্তি কমে যায়। ফলে গাভী বাচ্চা প্রসবের সময় নানা জটিলতার সম্মুখীন হয়ে থাকে।

৪। পরিমাণমতো সুষম খাদ্য প্রদান না করলে গাভী বাচ্চা প্রদান করলেও বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ পায় না। ফলে গাভীর পাশাপাশি বাছুরও দুর্বল হয়ে পড়ে যা গাভীর উৎপাদনে বাঁধার সৃষ্টি করে থাকে। ফলে গাভীর মালিক সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৫। এছাড়া গাভীকে পরিমাণ মত খাবার না দিলে এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন কমে যাবে । যারফলে গাভী সহজেই যেকোন রোগে আক্রাতন্ত হয়ে যেতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২২ ১:৪৪ অপরাহ্ন
গাভী হিটে না আসা কারণ
প্রাণিসম্পদ

গাভী হিটে না আসা বা গরম বা ডাক না আসা (Anestrum): বকনা পশু বয়:প্রাপ্ত হওয়া সর্ত্বেও ও গাভী বাচ্চা দেওয়ার ৩ মাসের মধ্যে গরম বা হিটে না আসাকে এ্যানস্ট্রাম (Anestrum )বলা হয়। আমাদের দেশের গরুর প্রায় ৮৬% এ্যান্ট্ট্রাম (Anestrum) হওয়ার তথ্য আছে।

হিটে না আসার কারণ

পুষ্টির অভাব যেমন: ফসফরাস, কপার, কোবাল্ট, মাঙ্গানিজ, সিলেনিয়াম ও

ভিটামিন এ, ডি ও ই ইত্যাদির অভাবে এ রােগ হয়।

জরায়ুতে প্রদাহ: বিভিন্ন ধরনের জীবানু দ্ধারা এ রােগ হয়।
ওভারীর সমস্যা: ওভারীতে বিভিন্ন ধরনের সিস্ট বা পানির থলি হলে ও

টিউমার হলে পশু সময়মত পশু গরম হয় না। হরমােনের ভারসাম্যহীনতা: ইস্টোজেন ও প্রজেস্টরেন, ফলিকুল স্টমুলেটিং হরমােন, এল এইচ, পােস্টাগ্লানডিন ইত্যাদির লেভেল রক্তে কম-বেশী হলে
এ রােগ হয়।

লক্ষণ
১) বকনা বা গাভী যথা সময়ে হিটে বা গরম না আসা।
২) হিট বা গরম হওয়ার কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না।

রোগ নির্নয়ঃ
১। পুষ্টিহীনতা, খাওয়া দাওয়ার অপ্রতুলতা ও জনন তন্ত্রের বিভিন্ন রােগের ইতিহাস।
২। রেক্টাল পালপেশন মাধ্যমে জনন অঙ্গের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় যেমন- ডিম্বাশয়ে ফলিকুলার বা লিউটিয়াল সিস্ট, জরায়ুতে সংক্রামন (স্ফীত ও ব্যাথাপূর্ণ) ইত্যাদি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২২ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
বঙ্গবন্ধু কন্যাকে রক্ষা করতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ থাকবে না- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে না পারলে, আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী অবস্থানে রাখতে না পারলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ থাকবে না। এই মুহূর্তে আমাদের একজন নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন”।

রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কৃষিবিদ দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে  মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর মহাসচিব মো. খায়রুল আলম প্রিন্স। আলোচনা সভায় ‘বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা, আজকের কৃষি ও আগামী দিনের সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া

এ সময় মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে না পারা আওয়ামী লীগের ইতিহাসে বড় ব্যর্থতা। ১৯৭৫ সালেও আওয়ামী লীগ ভালো অবস্থায় ছিল। আমাদের ঐক্য ও সাংগঠনিক ভিত্তি আরো দৃঢ় থাকলে হয়তো আমরা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারতাম”।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে  বিএনপি এবং স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের পরিবার-পরিজনরা দেশে ও দেশের বাইরে ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছে। দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা রকম গল্প তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে তারা বিভিন্ন দেশে অকল্পনীয় মিথ্যাচার করছে। নানা অভিযোগ দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও আজকের অবস্থানকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে”।

তিনি আরো বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-ধারার রাজনীতি না থাকলে অনেকেরই অস্তিত্ব থাকবে না। এ কথা ভাবার কারণ নেই যে স্বাধীনতাবিরোধীরা শেষ হয়ে গেছে, প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি শেষ হয়ে গেছে। তারা দেশের  বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন পেশায় ওঁৎ পেতে আছে, খোলস পরে আছে। তারা বঙ্গবন্ধুতে বিশ্বাস করে না, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাস করে না। তাদের সংখ্যা কম নয়। সময় পেলে তারা যে স্বরূপে আবির্ভূত হবে না এ কথা ভাবার কোন কারণ নেই। এজন্য আমাদের ঐক্যের ভিত্তি আরো কঠিন ও দৃঢ়তায় নিয়ে আসতে হবে”।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২২ ১১:২৬ অপরাহ্ন
চিংড়ি উৎপাদন ও রফতানিতে সব সমস্যা সমাধান করা হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

চিংড়ি উৎপাদন ও রফতানিতে যেখানে যে সমস্যা আছে, তা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের একটি হোটেল শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব) এর প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি ও কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান প্রমুখ। শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর মহাসচিব মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম সভা সঞ্চালনা করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, “অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।তার দূরদর্শী ও রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা ও পৃষ্ঠপোষকতার কারণে দেশের মৎস্যখাতসহ অন্যান্য খাত অনেকদূর এগিয়ে গেছে। রাষ্ট্র প্রতিকূল অবস্থা সৃষ্টি করলে এ উন্নয়ন সম্ভব হতো না। করোনায় দুধ, ডিম, মাছ, মাংস উৎপাদনকারীরা সবাই বিপন্ন অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। এ খাতে উৎপাদন ও বিপণন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা মাছের পোনা উৎপাদন ও পরিবহন, মৎস্য খাদ্য পরিবহন বিশেষ ব্যবস্থায় স্বাভাবিক রেখেছি। ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে উৎপাদিত মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। যাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বিপর্যয়ের মুখে না পড়ে”।

মন্ত্রী আরো বলেন, “খাবারের বড় যোগান আসে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম থেকে। মৎস্য খাতে সম্পৃক্তরা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ খাতে সম্পৃক্তরা দেশের অর্থনীতিতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, “মৎস্যখাতের বিকাশের জন্য জন্য সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এই জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে কক্সবাজার কে বেছে নেয়া হয়েছে। এখানে শুটকি প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প, সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

চিংড়ির হ্যাচারি ও পোনা উৎপাদন সংশ্লিষ্ট সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয় সকল সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।

রফতানির সব শর্ত পূরণ করে মৎস্য রফতানি করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী যোগ করেন, “মাছ রফতানির ক্ষেত্রে অসাধুতা ও অতি মুনাফা লাভের মানসিকতা পরিহার করতে হবে। চিংড়ি, কাঁকড়া, কুঁচিয়া এসব রফতানি পণ্যে রাসায়নিক সহ অন্যান্য ক্ষতিকর দ্রব্য মেশানো পরিহার করতে হবে।”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২ ৩:০৮ অপরাহ্ন
১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গবাদি পশুর খাদ্য তালিকা
প্রাণিসম্পদ

গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পে দ্রুত লাভবান হতে গিয়ে অনেকেই ভুল করে বসেন। অনেক খামারি ভাবেন গরুকে বেশি বেশি খাদ্য প্রদান করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকবে এবং দ্রুত গরু মোটাতাজা হবে। আসলে ব্যাপারটি তেমন নয়।

প্রতিটি প্রাণীরই খাদ্য খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট মাপকাঠি থাকে। যেমন মানুষ প্রতিদিন তিনি বেলা খেয়ে থাকেন এবং পরিমিত হারে খেয়ে থাকেন তেমনি গবাদিপশুকেও পরিমিত হারে খাদ্য প্রদান করতে হবে।

গরুর দোহিক ওজনের ভিত্তিতে খাদ্য প্রদানের হার নির্ধারণ করা যায়। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক গরুর দৈহিক ওজনের ভিত্তিতে দৈনিক কি পরিমাণ খাদ্য দেয়া যেতে পারে-

১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা উপাদান পরিমাণ

ধানের খড় ২ কেজি
সবুজ ঘাস ৪-৫ কেজি (ঘাস না থাকলে খড় ব্যবহার করতে হবে

দানদার খাদ্যে মিশ্রন ১.২-২.৫ কেজি
ইউরিয়া ৩৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী)

চিটাগুড়া ২০০-৪০০ গ্রাম
লবণ ২৫ গ্রাম

দানাদার খাদ্যের সাথে লবণ, ইউরিয়া, চিটাগুড় এক সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার দিতে হবে। ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস ছোট ছোট করে কেটে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

১৫০ কেজি ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা উপাদান পরিমাণ

ধানের খড় ৩ কেজি
কাঁচা ঘাস ৫-৬ কেজি

দানাদার খাদ্যের মিশ্রন ১.৫-২ কেজি
চিটাগুড় ৫০০ গ্রাম

ইউরিয়া ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুয়ায়ী)
লবন ৩৫ গ্রাম

১৫০-২০০ কেজি ওজনের পশুর খাদ্য তালিকা উপাদান পরিমাণ

ধানের খড় ৪ কেজি
কাঁচা ঘাস ৫-৬ কেজি

দানাদার খাদ্যের মিশ্রন ১.৫-২ কেজি
চিটাগুড় ৫০০ গ্রাম

ইউরিয়া ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী)
লবন ৩৫ গ্রাম

মোটাতাজাকরণের গরুকে সর্বক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ জাতীয় খাবার (খড়, কাঁচা ঘাস) এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।

গবাদীপশুকে ইউরিয়া প্রক্রিয়াজাত খাবার প্রদানে কিছু কিছু সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।
১। এক বছরের নিচে গরুকে ইউরিয়া খাওয়ানো যাবে না।
২। কখনও মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া খাওয়ানো যাবে না
৩। গর্ভাবস্থায় ইউরিয়া খাওয়ানো যাবে না।
৪। অসুস্থ গরুকে ইউরিয়া খাওয়ানো যাবে না, তবে দূর্বল গরুকে পরিমাণের চেয়ে কম খাওয়ানো যেতে পারে।
৫। ইউরিয়া খাওয়ানোর প্রাথমিক অবস্থা (৭ দিন পর্যন্ত পশুকে ঠান্ডা ছায়াযুক্ত স্থানে বেঁধে রাখতে হবে এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। প্রকল্প মেয়াদ তিন মাস, শুরু হবে ইউরিয়া মিশ্রিত খাবার প্রদানের দিন থেকে।
শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop