৪:২৩ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২৯, ২০২১ ৩:২৯ অপরাহ্ন
অতিরিক্ত আম খেলে যেসব ভয়ঙ্কর বিপদ
প্রাণ ও প্রকৃতি

আমকে ফলের রাজা বলা হয়। স্বাদ ও সুবাসে আম অন্যান্য ফলের চেয়ে সেরা। ছোট বড় সবাই আম পছন্দ করেন। আমার বেশি সুস্বাদু বলে বেশি পরিমাণে খায়া যাবে না। এবার জেনে নিন বেশি আম খেলে যেসব ভয়ঙ্কর বিপদ হবে।বেশি আম খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় হলেও অতিরিক্ত আম খেয়ে কিন্তু বিপদও ডাকছেন আপনি। ডাক্তারদের মতে শরীরের দিকে খেয়াল না রেখে আম খেলে কিন্তু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে নানা ক্ষতি।

ডায়াবেটিস রোগীদের:

আম  ফ্রুকটোজে ভরপুর হওয়ায় রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যারা ডায়াবিটিসের রোগী, তাদের জন্য আম বিপদ ডেকে আনতে পারে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া একেবারে আম খাওয়া ঠিক না্। খেলেও নিয়ম মেনে কম খেতে হবে।

কৃত্রিমভাবে পাকানো আম:

আজকাল বহু আমই কৃত্রিম ভাবে পাকানো হয়। ক্যালশিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা হয় আম পাকাতে। এই রাসায়নিকগুলি ব্যবহারের ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এর থেকে শরীরে ক্লান্তি, অবশ বোধ করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এই সব রাসায়নিক ব্যবহার করার ফলে ত্বকেরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হজমে সমস্যা:

অতিরিক্ত আম খেলে আরও যে বড় সমস্যা হয় সেটি হল হজমের সমস্যা। রোজ বেশি পরিমাণে আম খেলে হজমশক্তির উপর তার প্রভাব পড়ে। শুধু তাই নয়, দিনের পর দিন অতিরিক্ত আম গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই হজমকে ঠিক রাখতে হলে ঘন ঘন আম খাওয়া বাদ দিতে হবে।

পুষ্টিগুণ ঠিক রাখতে:

আম অনেকে আম জুস করে খেতে পচ্ছন্দ করেন। কিন্তু আম কেটে খাওয়াই বেশি ভালো। কারণ জুস করে খেলে আমের মধ্যে যে ফাইবার আছে তার গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

ত্বকেরও সমস্যা

আজকাল বহু আমই কৃত্রিম ভাবে পাকানো হয়। ক্যালশিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা হয় আম পাকাতে। এই রাসায়নিকগুলো ব্যবহারের ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এর থেকে শরীরে ক্লান্তি, অবশ বোধ করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এই সব রাসায়নিক ব্যবহার করার ফলে ত্বকেরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সচেতনতা:

আম খাওয়ার সময় কিছু সচেতনতাও অবলম্বন করতে হয়। খেয়াল রাখুন, আমে লেগে থাকা আঠা যেন কোনও ভাবে মুখে লেগে না যায়। এ থেকে মুখে চুলকানি, জ্বালাপোড়া হতে পারে। বেশ কয়েকদিন এর দাগও থেকে যায়।

অ্যালার্জির সমস্যায়:

যাদের ত্বকে অ্যালার্জির প্রবণতা আছে, তারাও আম খাওয়া নিয়ন্ত্রণ আনুন। কারণ আম থেকে চোখ জ্বালা, হাঁচি, পেটে ব্যথা, ঠান্ডা লেগে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

বাতের ব্যাথায়:

আর্থারাইটিস বা বাতের ব্যথায় যারা ভোগেন তারা আম এড়িয়ে চলুন। আম খেলে এই ধরনের ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।যাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তারা আম খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিন।

 

অনেকে আম চিবিয়ে না খেয়ে আমের জুস করে খান। কিন্তু এতে আমের মধ্যে অবস্থিত ফাইবারগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সেই ফাইবারের গুণাগুণ শরীরে কাজে লাগে না। উল্টে পেটের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৯, ২০২১ ৩:১০ অপরাহ্ন
এগারোটি পাখি সহ শিকারির এয়ারগান উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বেতকান্দি থেকে ১১ টি পাখি ও শিকারির কাছ থেকে এয়ারগান উদ্ধার করা হয়েছে। দি বার্ড সেফটি হাউজ সংগঠন গুলিবিদ্ধ পাখি ও এয়ারগান উদ্ধার করে থানায় জমা দিয়েছে সংগঠনটি।
এ সময় ওই শিকারি পালিয়ে গেলে এয়ারগান এবং শিকারকৃত ৮টি ঘুঘু, ২ টি হরিয়াল ও ১ টি সাদা বক উদ্ধার করা হয়। এর মধ্য ৯ গুলিবিদ্ধ জবাই করা ও ২ টি গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত।
দি বার্ড সেফটি হাউজ সংগঠনের চেয়ারম্যান মামুন বিশ্বাস জানান, এয়ারগান ও পাখি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহীর পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেনের ও শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহার সাথে আলোচনা করে থানায় জমা দেওয়া হয়।পরে দেড়টার দিকে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিদ মাহমুদ খানের কাছে সংগঠনটি উদ্ধার করা এয়ারগান ও ১১ টি পাখি জমা দেন।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৯, ২০২১ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
পাহাড়ে মিশ্র ফলের চাষ করে তাক লাগিয়েছেন ৫ হাজার কৃষক
প্রাণ ও প্রকৃতি

পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিত্যক্ত পাহাড়ে মিশ্র ফলজ বাগান করে সফলতার মুখ দেখেছে পাহাড়ের প্রায় ৫হাজার কৃষক। এ বছর এ মিশ্র ফল বাগান থেকে আমসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করে কৃষকরা অনেক লাভবান হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে মিশ্র ফলচাষ প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলার পরিত্যক্ত পাহাড়ে মিশ্র ফল বাগান করে পাহাড়ের ৫হাজার কৃষক সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় পরিত্যক্ত পাহাড়গুলোকে মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের আওতায় আনতে ২০১৫ সালে প্রায় ৬৩ কোটি ৫০লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেয়া হয়। এ প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলায় প্রায় ৫ হাজার ফলের বাগান করা হয়। তার মধ্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় ১৫১০টি, খাগড়াছড়িতে ১৮২৫টি এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ১৬৪৫টি বাগান করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা আরো জানান, ২০১৩ সালে আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পাালনকালীন সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদিত বোর্ডের চলমান ১৫টি প্রকল্পের ১ টি ছাড়া বাকি সবই আমার দায়িত্ব পালনকালে অনুমোদিত ও বাস্তবায়িত হয়েছে। তার মধ্যে জনকল্যাণ মূলক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ছিলো পাহাড়ে মিশ্র ফলজ বাগান প্রকল্প।

তিনি জানান, এ প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলার প্রায় ৫হাজার কৃষকদের মিশ্র ফলের বাগান করতে তাদের সাথে সরাসরি আলাপ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়।

১.৫ একর আয়তনের বাগানের কৃষককে আম, লিচু, মাল্টা, কুল, জলপাই, আমলকী, কাজুবাদাম, জাম্বুরা, মিস্টি তেঁতুল, পেপে,আনারস, নিম, হরিতকি,বয়রা, সাজনা, লেবু ,লটকন ও কলম্বো লেবুর চারা প্রত্যেক কৃষককে ১৬৭০ টি চারাকলম ও ০.৭৫ একর বাগানের কৃষককে ৮৩৫ টি করে চারা-কলম দেওয়া হয়।

এছাড়া কৃষকদের উদ্যান উন্নয়ন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার পাশাপাশি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে পানির উৎস তৈরী করে সেখানে সেচেঁর সুবিধা সৃষ্টি করা হয় এবং কৃষকদের মিশ্র বাগান সফল করতে সেখানে সিলভামিক্স-ফোর্ট সার, নেপসেক স্প্রেয়ার,সিকেচার,হাসুয়া ও কোদাল প্রদান করা হয়। মিশ্র ফল বাগানের পাশাপাশি কৃষকরা সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির সবজির চাষাবাদ করে লাভবান হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম কৃষি ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনাময় অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক সহায়তা করে যাচ্ছে। সকলে সম্মিলিতভাবে সরকারের দেয়া সহায়তাকে কাজে লাগাতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় গড়ে উঠা মিশ্র ফল বাগানের ৫হাজার কৃষক এখন সফলতার মুখ দেখছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান। এবছর এ মিশ্র ফল বাগান থেকে আমসহ বিভিন্ন রকমের ফল বিক্রি করে কৃষকরা অনেক লাভবান হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ন্যাড়া পাহাড়কে সবুজ বৃক্ষে সুশোভিত করার প্রত্যয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে তিন পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার চাষিকে আমসহ মিশ্র ফল বাগানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলার প্রক্রিয়া অনেকটাই সফল হয়েছে। মিশ্র ফল বাগান করে পাহাড়ের কৃষক এখন স্বাবলম্বী বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। ভবিষ্যতে ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিত্যক্ত পাহাড়ে মিশ্র ফলজ বাগানসহ কৃষি নির্ভর যেকোন উদ্যোগ নিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রকল্প নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

কৃষি বিভাগের পাশাপাশি তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে মিশ্র ফলজ বাগানের মাধ্যমে ৫হাজার কৃষকের সফলতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক।
তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের পাশাপাশি পাহাড়ের সম্ভাবনাময় কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে যেসব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে তার সফলতায় কৃষকরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি আমরা আরো একধাপ কৃষি ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলাম। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নবোর্ডের মতো অন্যান্য সরকারী বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাকে কৃষিনির্ভর প্রকল্প গ্রহণের আহবান জানান।

পরিত্যক্ত পাহাড়ে মিশ্র বাগানের সফলতায় খুশি পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় ৫হাজার কৃষক। এ ধারা অব্যাহত রেখে নতুন নতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে পাহাড়ের অব্যবহৃত কৃষি জমিকে কাজে লাগাতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা সচেতন মহলের। বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২১ ১২:৪৬ অপরাহ্ন
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ‘সুগার ফ্রি’ আম উদ্ভাবন
প্রাণ ও প্রকৃতি

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ‘সুগার ফ্রি’ আম উদ্ভাবন করেছে পাকিস্তান। দেশটির বাজারে এমন আম বিক্রি করা হচ্ছে

পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফল গবেষক এমএইচ পানওয়ারের নাতি গোলাম সারওয়ার এই আম উদ্ভাবন করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

পাকিস্তানের (Pakistan) কিংবদন্তি ফল গবেষক এমএইচ পানওয়ারের নাতি গুলাম সারওয়ার করেছেন এই কাণ্ড। তিনি উদ্ভাবন করেছেন সুগার ফ্রি আমের তিন প্রজাতি। তিন রকমের আমই বাজারে বিকোচ্ছে ভারতীয় মূল্যে ৭০ টাকা কেজি দরে। তাদের নাম সোনারো, গ্লেন ও কেট। পাঁচ বছরের নিরলস গবেষণার পরে এই আম তৈরি করা গিয়েছে। এর মধ্যে কেটের শর্করার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৪.৭ শতাংশ। বাকি সোনারো ও গ্লেনের মধ্যে শর্করার পরিমাণ ৫.৬ শতাংশ ও ৬ শতাংশ। পাকিস্তানে সদ্য শেষ হয়েছে সিন্ধ্রি ও চৌসা আমের মরশুম। এই সুগার ফ্রি আম পাওয়া যাবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত।

গোলাম সারওয়ার জানান, পাকিস্তান সরকার আমার দাদাকে সিতারা-এ-ইমতিয়াজ উপাধি দিয়েছিলেন আম ও কলা নিয়ে গবেষণার জন্য। তার মৃত্যুর পর আমি কাজ চালিয়ে যাচ্ছি এবং বিভিন্ন বিদেশি আম নিয়ে গবেষণা করছি।

প্রসঙ্গত সিন্ধুপ্রদেশের তান্দো আল্লাহইয়ার শহরে গোলাম সারওয়ারের ৩০০ একর জমির ওপরে একটি খামার রয়েছে। ‘এমএইচ পানওয়ার’ নামের ওই খামারে সব মিলিয়ে ৪৪ রকমের আমের প্রজাতি রয়েছে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২১ ১২:১০ অপরাহ্ন
হোমনায় সাপের কামড়ে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি

কুমিল্লার হোমনায় বিষধর সাপের কামড়ে কলেজছাত্র তামিম (১৮) এর মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয় রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলো।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তামিম চান্দেরচর গ্রামের মো. আক্তার হোসেনের ছেলে।

হোমনা থানার ওসি মো. আবুল কায়েছ আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তামিমের বাবা আক্তার হোসেন জানান, প্রতিদিনের মত সন্ধ্যায় বৈঠক ঘরে পড়ার টেবিলে লেখাপড়া করতে বসে তামিম।সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টেবিলের নিচে পা দিলে একটি গোখরা সাপ তার পায়ের কামড় দেয়। এতে সে চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৪, ২০২১ ৬:০২ অপরাহ্ন
গোপালপুরে আনসার ভিডিপি সদস্যদের মাঝে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ
প্রাণ ও প্রকৃতি

এ কিউ রাসেল, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের গোপালপুর আনসার ভিডিপি অফিসের উদ্যোগে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

মঙ্গলবার (২২ জুন)  আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে ৩শত ৪টি ফলদ, বনজ এবং ঔষধি গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শামছুন্নাহার, প্রশিক্ষক মো. আব্দুল কদ্দুস, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মো. আবু কায়সার রাসেল, দলপতি মামুনুর রশিদ আকন্দ, ইউনিয়ন দলনেতা (হাদিরা) মো. জুলহাস উদ্দিন, দলনেতা (আলমনগর) জয়নাল আবেদিন, দলনেতা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড মো. শাকিল আহাম্মেদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২১ ১১:৪১ অপরাহ্ন
আট বিভাগেই দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
প্রাণ ও প্রকৃতি

বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে এবং আট বিভাগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।আজ সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

অপরদিকে, আগামী দুইদিনে সারাদেশে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও পরবর্তী পাঁচদিনে সারাদেশে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।

পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রা।

এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রিী এবং সর্বনি¤œ তাপমাত্রা নিকলিতে ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এই সময়ে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে খেপুপাড়ায় ২৮ মিলিমিটার, তেঁতুলিয়ায় ২২ মিলিমিটার, খুলনায় ১৮ মিলিমিটার, ভোলায় ১৭ মিলিমিটার, টেকনাফে ১৬ মিলিমিটার এবং হাতিয়ায় ১০ মিলিমিটার।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বাড়তি অংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।

ঢাকায় কাল বৃহস্পতিবার সূর্যোদয় ভোর ৫ টা ১৩ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৪৯ মিনিটে। সূত্র: বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২১, ২০২১ ১:৪৩ অপরাহ্ন
যে আমগাছ দিনরাত পাহারা দেয় কুকুর!
প্রাণ ও প্রকৃতি

মিয়াজকি আম।১৯৭০-১৯৮০ সালের মাঝামাঝি জাপানে মিয়াজাকির ফলন শুরু হয়। যা জাপানের একটি প্রজাতি।জাপানে কাউকে দামি উপহার হিসেবে এই আম দেওয়া হয়। টকটকে লাল রং, তাতে হালকা বেগুনি আভা। এই আমের প্রায় ৩৫০ গ্রামের কমে হয় না। দুটি আমে হয় একটি বক্স। যার মূল্য হতে পারে ৩ লক্ষ টাকা প্রায়। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম এই মিয়াজাকিই। জাপানে অবশ্য একে আদর করে ‘তাইও-নো-তোমাগো’ অর্থাৎ ‘সূর্য কিরণের ডিম’ বলে ডাকা হয়। আনন্দবাজার পত্রিকায় এমন তথ্য উঠে আসে।

জানা যায়, এপ্রিল থেকে অগস্ট মাসে ফলন হয় এই আমের। এক একটি আম ৮৬০০ টাকা থেকে শুরু। দু’টো আমের বাক্স গত বছর আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয়েছিল ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায়। ২০১৬ সালে নিলামে দু’টি মিয়াজাকি আম বিক্রি হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকায়। সম্প্রতির বাংলাদেশের ঢাকাতেও ছাদের বাগানে এই আম ফলিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

হিমসাগর, চৌষা, দশেরী, ল্যাংড়া, আলফানসো আম বিদেশে একচেটিয়া রফতানি করে ভারত। তবে এ দেশেও মিয়াজাকি পাওয়া যায়। মধ্যপ্রদেশের এক দম্পতির বাগানে মিয়াজাকি গাছ রয়েছে। তবে এই গাছ দু’টিই এখন তাঁদের যাবতীয় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঝে মধ্যেই আম কিনতে চেয়ে প্রস্তাব আসছে তাঁদের কাছে। কেউ কেউ এর জন্য যে কোনও মূল্য দিতেও রাজি।

এক গয়না ব্যবসায়ী এমন প্রস্তাব দিয়েছেন সম্প্রতি। যদিও ওই দম্পতি তাঁর প্রস্তাবে রাজি হননি। তাঁরা জানিয়েছেন, এই আম কাউকে বিক্রি করবেন না তাঁরা। বরং আমের বীজ থেকে গাছের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে তাঁদের। এমনকি গাছ থেকে যাতে কেউ আম চুরিও না করতে পারে, তার জন্য রক্ষী রেখেছেন মধ্যপ্রদেশের ওই দম্পতি। চার জন সশস্ত্র পাহারাদার এবং ছ’টি কুকুর দিনরাত পাহারা দেয় ওই আমগাছ।

অবশ্য এই আমের নাম যে মিয়াজাকি এবং তা যে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম, সে ব্যাপারে বছর খানেক আগেও কোনও ধারণা ছিল না তাঁদের।

জব্বলপুরের ওই দম্পতি রানি এবং সঙ্কল্প পরিহার এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর আগে সাধারণ আম গাছ ভেবেই দু’টি চারা পুঁতেছিলেন বাগানে। চেন্নাইয়ে নিজের বাগানের জন্য গাছের চারা কিনতে গিয়েছিলেন সঙ্কল্প। ট্রেনে তাঁকে গাছ দু’টি দেন এক ব্যক্তি। তাঁর কথায়, ‘‘চারাগাছ দু’টি দিয়ে লোকটি বলেছিল, এদের নিজের সন্তানের মতো যত্ন কোরো।’’

পরে গাছের ফল আর তার অদ্ভুত রং দেখে অবাক হন দু’জনেই। সঙ্কল্পের কথায়, ‘‘আমার চেনা কোনও আমের প্রজাতি যে নয় সেটা বুঝেছিলাম। মায়ের নামে ওই আমের নাম রেখেছিলাম ‘দামিনী’।’’

দামিনী যে জাপানের মিয়াজাকি তা সঙ্কল্পরা জানতে পারেন কিছু দিন পরে। তত দিনে আম

কিনতে চেয়ে, গাছ ভাড়া নিতে চেয়ে একের পর এক প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে তাঁদের কাছে। কেউ একটা আমের জন্য ২১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে চেয়েছেন। কারও আবার দামের পরোয়া নেই, যত চাই তত দিতে প্রস্তুত। বিরল আম! এলাকায় তার খবর ছড়াতে দেরি হয়নি। ফল চুরির চেষ্টাও হয়েছে বেশ কয়েক বার। বাধ্য হয়েই গাছ পাহারার ব্যবস্থা করেন রানি এবং সঙ্কল্প।

পরে মধ্যপ্রদেশের কৃষি দফতরের তরফেও যোগাযোগ করা হয় ওই দম্পতির সঙ্গে। মধ্যপ্রদেশের কৃষি দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা আর এস কাটারা সঙ্কল্পদের বাগান ঘুরে গাছ পরীক্ষা করে যান। তবে তাঁর কথায়, ‘‘এই আমের এত দামের কারণ এটির উৎপাদন অত্যন্ত কম বলে।’’ ভারতে এই আমের চাষ বাড়ানোর কথাও বলেছেন কাটারা। তবে তার আগে এই আম সত্যিই মিয়াজাকি কি না তা পরখ করতে দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মধ্যপ্রদেশের কৃষি দফতরের প্রাক্তন অধিকর্তা জি এস কৌশল জানিয়েছেন, এর আগে আফগানিস্তানের নুরজাহান আম শিরোনামে এসেছিল তার দামের জন্য। মিয়াজাকির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এই আম তার গুণ বা স্বাদের জন্য নয় দামের জন্য চর্চার কেন্দ্রে। নুরজাহানের এক একটি আমের দাম ছিল ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। মিয়াজাকির দর অবশ্য তার থেকে অনেকটাই বেশি।

জব্বলপুরের জওহরলাল নেহরু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যেই এই আম নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে।তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মিয়াজাকি আম ফলনের অনুকূল আবহাওয়া ভারতে আছে। তাই এই আম ভারতে হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

জাপান ছাড়াও ফিলিপিন্স এবং তাইল্যান্ডে এই আমের চাষ হয়। আম চাষের জন্য দরকার প্রচুর রোদ, উষ্ণ আবহাওয়া আর নির্দিষ্ট পরিমাণ বৃষ্টি।রোদের তাপ যাতে আমের চারপাশে সমান ভাবে পড়ে তার জন্য জাল দিয়ে মুড়ে রাখা হয় আমগুলিকে।

বিটা ক্যারোটিন এবং ফলিক অ্যাসিডে ঠাসা এই আম দৃষ্টিশক্তির জন্যও ভাল। বিশেষজ্ঞদের মতে তা ক্যানসারেরও ঝুঁকি কমায়। কোলেস্টেরল কমায় এমনকি ত্বকের জন্যও উপকারী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২১, ২০২১ ১:০০ অপরাহ্ন
লালমাই পাহাড়ে চলছে কাঁঠাল বিক্রির উৎসব
প্রাণ ও প্রকৃতি

কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় এলাকায় প্রবেশ করলেই এখন নাকে আসে কাঁঠালের ঘ্রাণ। এই জেলা থেকে পিকআপ ভ্যান যোগে কাঁঠাল চলে যাচ্ছে বিভিন্ন বাজারে। এ ছাড়া পাহাড়ের পাশের বিভিন্ন বাজারেও বসছে কাঁঠালের বাজার। চন্ডীমুড়া, রতনপুর, লালমাই ও বিজয়পুর বাজার কাঁঠালের ক্রেতা বিক্রেতায় এখন সরগরম।

জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, সদর, বরুড়া ও বুড়িচং উপজেলায় লালমাই পাহাড়ের অবস্থান। তবে বেশি অংশ সদর দক্ষিণে পড়েছে। পাহাড়ের সালমানপুর, জামমুড়া, হাতিগাড়া, বিজয়পুর, রতনপুর, রাজার খোলা, চৌধুরী খোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশি কাঁঠাল উৎপন্ন হয়।

জামমুড়া এলাকার বাগান মালিক মোস্তফা আলী জানান, এখানে কয়েক ধরনের ক্রেতা-বিক্রেতা আছেন। এখানে ব্যক্তি উদ্যোগে পাহাড়ে-ঢালুতে কাঁঠাল বাগান করা হয়। ফল আসার পর পাইকার কাঁঠাল বাগান ক্রয় করেন। তারা আবার ফল পাকার পর আরেক পাইকারের কাছে বিক্রি করেন। কয়েক হাত হয়ে কাঁঠাল বাজারে আসে। তার ২৫/৩০টি গাছ আছে। তিনি কাঁঠাল কেটে এনে পাইকারের কাছে সরাসরি বিক্রি করছেন। বড় জাতের কাঁঠাল প্রতিটি ১০০/১২০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। ওই এলাকার বাগান ক্রয় করা পাইকার ছায়েদ আলী বলেন, তিনি ১০ বছর ধরে কাঁঠাল বাগান ক্রয় করেন। এবার ২৫০টি গাছের বাগান ক্রয় করেছেন।

এখানে ২ হাজার ৬০০ কাঁঠাল আছে। মাঝারি সাইজ ৬৫ টাকা এবং ছোটগুলো ২৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তাই এবার লাভ কম হবে। ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে বাগান কিনেছেন। ইতোমধ্যে ৬০ হাজার টাকার কাঁঠাল বিক্রি করেছেন। আশা করছেন মোট দেড় লাখ টাকার কাঁঠাল বিক্রি করতে পারবেন। কাঁঠালের খুচরা বিক্রেতা সাইফুল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। তিনি থাকেন কুমিল্লা নগরীর ধর্মপুরে। তিনি জামমুড়া থেকে ১০০ কাঁঠাল ৯ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন। আশা করছেন এ কাঁঠাল ফেরি করে বিক্রি শেষে খরচ বাদে তার ২ হাজার টাকা লাভ থাকবে।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মজুমদার জানান, পাহাড়ের অধিকাংশ এলাকা সদর দক্ষিণে। এখানে স্থানীয় জাতের কাঁঠাল উৎপন্ন হয়। এ সময় পাহাড়ে কাঁঠাল বিক্রির ধুম পড়ে যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, জেলায় ৩৩৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল চাষ হয়। তার মধ্যে লালমাই পাহাড় এলাকায় ১৩৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল চাষ হয়। পাহাড়ে ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপন্ন হয়। এ পাহাড়ের কাঁঠাল স্বাদে অনন্য। তাই এর চাহিদা বেশি। কাঁঠালের চাষ ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত হাজারো মানুষের এ সময় বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২০, ২০২১ ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
ছোট কানাকুক্কা
প্রাণ ও প্রকৃতি

ড. আ ন ম আমিনুর রহমান।। বালি হাঁসের প্রজনন-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলে গেলাম ২০১২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সারাটা দিন বিলে ঘুরে ঘর্মক্লান্ত দেহে পড়ন্ত বিকেলে বিলের পাশের পুকুর ও খালের মাঝের রাস্তা ধরে হাঁটছিলাম। কিছুটা দূরে সিএনজি অটোরিকশা দাঁড়িয়ে আছে আমাদের নিয়ে মৌলভীবাজার যাবে বলে।

সহকর্মী ড. জীবন চন্দ্র দাস, ড. সদরুল ইসলাম ও প্রয়াত বন্যপ্রাণীপ্রেমী তানিয়া খানের সঙ্গে গল্প করতে করতে এগোচ্ছি। হঠাৎই খালপাড়ের ঢোল কলমির ঝোপ থেকে খয়েরি-কালো কিছু একটা উড়ল। আলো বেশ কমে গেছে। তবুও এক টিপে কয়েকটা ক্লিক করলাম। পাখিটি আবার ঝোপের গভীরে হারিয়ে গেল। আর বের হলো না। কাজেই প্রথমবার দেখা পাখিটির সাক্ষী ছবি নিয়েই খুশি থাকতে হলো।

২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর কক্সবাজারের ইনানিতে অবস্থিত বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে একই প্রজাতির একটি পাখিকে উড়ে যেতে দেখলাম। কিন্তু এবারও ছবি তুলতে পারলাম না। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর পড়ন্ত বিকেলে ওকে আবার দেখলাম রাজশাহীর পদ্মা নদীর চর মাজারদিয়ারে। কিন্তু ফলাফল একই; আবারও ছবি তুলতে ব্যর্থ হলাম। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির বিকেলে অবশেষে পাখিটির কিছু ভালো ছবি তুলতে সক্ষম হলাম শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলের সেই একই জায়গা থেকে, যেখানে প্রথমবার পাখিটিকে দেখেছিলাম দীর্ঘ সাড়ে আট বছর আগে। এটি ২০১২ সালের সেই পাখিটিরই বংশধর হবে হয়তো। মনটা খুশিতে ভরে উঠল।

এতক্ষণ যে পাখিটির গল্প বললাম, সে এদেশের সচরাচর দৃশ্যমান আবাসিক পাখি ছোট কানাকুক্কা। ছোট কুকো, কুক্কা বা ছোট কুবো (পশ্চিমবঙ্গ) নামেও পরিচিত। ইংরেজি নাম Bengal Coucal বা Lesser Coucal। বৈজ্ঞানিক নাম Centropus bengalensis। পাকিস্তান ও মালদ্বীপ বাদে ভারতীয় উপমহাদেশ, দক্ষিণ চীন, ফিলিপাইন প্রভৃতি দেশে পাখিটির দেখা মেলে।

ছোট কানাকুক্কা বড় কানাকুক্কার খুদে সংস্করণ। দৈর্ঘ্যে পুরুষ ও স্ত্রী যথাক্রমে ৩১ ও ৩৪ সেন্টিমিটার। স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে ওজন ৮০-৯২ গ্রাম। প্রজননকালে খয়েরি ডানা বাদে পুরো দেহ চকচকে কালো পালকে মোড়ানো থাকে। তবে ডানা ও কাঁধে প্রায়ই হলুদ ডোরা দেখা যায়। চোখের রং গাঢ় বাদামি। চঞ্চু খাটো ও হলদে। পা, আঙুল ও নখ কালচে। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম। প্রজননহীন পাখির কালো পালক হলদে-বাদামিতে রূপান্তরিত হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখি দেখতে প্রজননহীন বয়স্ক পাখির মতোই; তবে ডানা-লেজের ডোরা ছাড়াও দেহের উপরিভাগে কালো ছিটের উপস্থিতি চোখে পড়ে।

ছোট কানাকুক্কা মিশ্র চিরসবুজ বা পত্রঝরা বন, বনের চারপাশ, জলার পাশের ঝোপজঙ্গল ও ঘাসবনের বাসিন্দা। দিবাচর পাখিগুলো সচরাচর একাকী বা জোড়ায় থাকে। অল্প উঁচুতে দুর্বলভাবে উড়ে। ঘাসফড়িং, বড় কীটপতঙ্গ ও ছোট সরীসৃপ এদের প্রধান খাদ্য। সচরাচর ‘পুপ-পুপ-পুপ-টোটক-টোটক…’ শব্দে ডাকে।

মার্চ থেকে অক্টোবর প্রজননকাল। এ সময় ভূমির কাছাকাছি ঘন ঝোপে লতাপাতা ও শিকড় দিয়ে গোলাকার বাসা বানায়; যার একপাশে থাকে প্রবেশপথ। স্ত্রী সাদা রঙের ২-৪টি ডিম পাড়ে। ডিম ফোটে ১৪-১৯ দিনে। স্ত্রী-পুরুষ পালাক্রমে ডিমে তা দেয় ও ছানাদের যত্ন করে। এদের আয়ুস্কাল প্রায় চার বছর।সূত্র: সমকাল

লেখক :অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop