১২:৩১ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ২০, ২০২৪ ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
ময়মনসিংহ ভেটস্ ক্লাব এর উদ্যোগে কৃষিবিদ ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম এমপি কে সংবর্ধনা
প্রিয়মুখ

ভেটেরিনারি পেশা এবং শিক্ষার আতুড়ঘরে প্রতিষ্ঠিত ময়মনসিংহ ভেটস্ ক্লাব এর উদ্যোগে;
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য স্বনামধন্য ভেটেরিনারিয়ান ও ময়মনসিংহ ভেটস্ ক্লাবের সন্মানিত উপদেষ্টা কৃষিবিদ ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম-মহোদয়কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, উনি ‘এনিম্যাল হেলথ্ কোম্পানীজ এসোসিয়েশন অব্ বাংলাদেশ’ এর সাবেক সভাপতি।

উক্ত “সংবর্ধনা” অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম, মহাসচিব, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন- ময়মনসিংহ বিভাগ; ডাঃ মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম কনক, যুগ্নমহাসচিব- বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন; ডাঃ সফিউল আহাদ সরদার, সাবেক পরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর- ঢাকা;
ডাঃ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পরিচালক, ভিটিআই, ময়মনসিংহ। উক্ত অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ত্বে ডাঃ খন্দকার মুহাম্মদ মাহমুদ হোসেন এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ডা: কামরুজ্জামান মাসুদ ।

এছাড়াও ময়মনসিংহের বরেণ্য ভেটেরিনারিয়ান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যাংকার ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১২, ২০২৩ ৯:২১ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত ডা. মো. নাজমুল হক এর সাথে কিছুক্ষণ
প্রাণিসম্পদ

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রয়াসকে উৎসাহিত করতে ২০১৬ সাল থেকে জনপ্রশাসন পদক দেওয়া শুরু করে সরকার। গত বছর থেকে এই পদকের নাম বদলে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক করা হয়। দেশের জনপ্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই বছর ২৮ ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২৩’ দেয়া হয়েছে। গত ৩১ জুলাই ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে মনোনীতদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এবার ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ শ্রেণিতে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হক বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পান। এগ্রিভিউ২৪.কম এর সম্পাদকের সাথে কথা হচ্ছিল ডা. মো. নাজমুল হক এর, পদক প্রাপ্তির অনুভূতি ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে এই সাক্ষাতকারটি পাঠকের জন্য তোলে ধরা হলোঃ

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আপনি জনপ্রশাসন পদক নিয়েছেন, আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?

ডা. মো. নাজমুল হক : আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর শুকরিয়া যে তাঁর রহমতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে জনপ্রশাসনের এই সর্বোচ্চ পদক “বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক” গ্রহণ করলাম। এই সম্মাননা ও স্বীকৃতি প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এ অনুভূতি ব্যক্ত করার মতো ভাষা আমার জানা নাই। শুধু এতটুকু বলবো এ পাওয়া আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া।

এগ্রিভিউ২৪.কম : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য আপনি এই রাষ্ট্রীয় পদক পেয়েছেন, আসলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তে কিভাবে অবদান রাখলেন?

ডা. মো. নাজমুল হক : আসলে আমার উদ্যোগটি ছিলো “মডেল লাইভস্টক সার্ভিস” যার ৪ টি মিশন ছিলোঃ ক) ভেটেরিনারি জরুরী বিভাগ স্থাপন করা, এর জন্য জরুরী সেবা ডেস্ক নির্মাণ করেছি; খ) ভেটেরিনারি হাসপাতালের সকল সেবা কাঠামো ও ইউনিট স্থাপন করে একটি পূর্ণ ভেটেরিনারি হাসপাতাল গড়ে তোলা, এর জন্য হাসপাতালে সীমানা প্রাচীর, গেইট, গ্যারেজ, বাইকস্ট্যান্ড এর পাশাপাশি ৭ টি সেবা ইউনিট নির্মাণ করেছি, যেমন: অপারেশন থিয়েটার, আলট্রাসনোগ্রাম চেম্বার, এনিমেল কেয়ার শেড, পেট এন্ড বার্ডস কেয়ার সেন্টার, স্যাম্পল কালেকশন চেম্বার, পোল্ট্রি ভ্যাক্সিনেশন চেম্বার, জরুরী বিভাগ। এর বাহিরে আরো কয়েকটি শাখা নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে; গ) ডিজিটাল প্রযুক্তি ও মিডিয়া ব্যবহার করে প্রাণিসম্পদ সেবা, প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া। এর জন্য নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল “লাইভস্টক ভিশন” প্রতিষ্ঠা করা, অনলাইন ভেটেরিনারি মেডিকেল সার্ভিস, অনলাইন পশুরহাট, অনলাইন খামার/হ্যাচারি/ফিডমিল নিবন্ধন ইত্যাদি সেবা চালু করা। ডিজিটাল আলট্রাসাউন্ড মেশিন ব্যবহার করে এনিমেল প্রেগন্যান্সি টেস্ট, মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক এর ব্যবহার ইত্যাদি এবং ঘ) প্রাণিসম্পদ জনসুশাসনমূলক কার্যাবলী অফিস ও মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা। এর অধিনে সেবা সহজীকরণে সেবার তালিকাসহ সেবা শাখা বিভাজন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল লালন, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, ই-গভ: ও ইনোভেশনমূলক উদ্যোগ গ্রহণ, তথ্য অধিকার ও অভিযোগ প্রতিকারে ব্যবস্থাগ্রহণ, নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণ, প্রাণিজাত পন্যের মান পরীক্ষা, প্রাণিসম্পদ আইন অনুশাসন বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ যেমন: প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রোগ্রাম, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাৎসরিক কর্মমূল্যায়ন, তাদের অফিসিয়াল স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান ইত্যাদি নানান কার্যক্রম বাস্তবায়ন। এই ৪ টি মিশন নিয়ে যদিও আমার উদ্যোগটি ছিলো সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা ক্যাটেগরিতে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাচাই বাছাই করে ওভারঅল এটিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন দেয়।

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : আমরা যতদূর জানি আপনি ২৪ ঘন্টাই সার্ভিস দিচ্ছেন, ২৪ ঘন্টা কিভাবে সার্ভিস দিচ্ছেন? দেশের ভেটেরিনারি হাসপাতাল গুলোয়ে কি আসলে ২৪ ঘন্টা সার্ভিস দেবার মত জনবল কিংবা সুযোগ সুবিধা আছে? জনবল কি সরকার থেকে দেওয়া নাকি নিজেই নিয়েছেন?

ডা. মো. নাজমুল হক : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট লাইভস্টক লাগবে। আর এর জন্য লাইভস্টক সেক্টর ও ভেটেরিনারি সেবাকে জরুরী পরিসেবার আওতাভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। কেননা প্রাণীদের স্বাস্থ্য ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা সার্ভিসের বিকল্প নেই। তাদের জন্য যে কোন সময় জরুরী চিকিৎসা, অপারেশন, ভ্যাক্সিনেশন ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রাণীদের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসা থেকে বিনামূল্যে এ সেবা কার্যক্রম চালু করেছি। এবং এটি সরকারের সর্বোচ্চ মহলের নজরে এনেছি যে, ভেটেরিনারি সেবাকে জরুরী সেবার আওতাভুক্ত করে সারা বাংলাদেশে এটিকে যেন বাস্তবায়ন করা হয়। তবে বর্তমানে আমাদের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা জরুরী সেবা নিশ্চিত করা খুবই কঠিন একটি কাজ এবং আমাদের জনবলের প্রচুর সঙ্কট রয়েছে। তথাপি আমি এটি বাস্তবায়ন করার জন্য হাসপাতাল ক্যাম্পাসে জরুরী বিভাগ ডেস্ক স্থাপন করেছি এবং ডক্টর স্টাফদের ডিউটি ভাগ করে দিয়েছি। এছাড়া একটি ৫ সদস্যের ইমারজেন্সি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করে তাদের কন্ট্যাক্ট নংসহ তালিকা জরুরী বিভাগে টানিয়ে দিয়েছি। যাতে যে কোন সেবাগ্রহীতা ছুটির সময় কিংবা রাতের বেলা যদি সেবা নিতে আসে, এবং তারা যদি ডেস্কে কোন কারণে কাউকে না পান, তাহলে এই মেডিকেল টিমের সাথে যোগাযোগ করলে দ্রুততম সময়ে এ টিমের সদস্যবৃন্দ জরুরী সেবা নিশ্চিত করবে। আর এই জরুরী সেবাকে সাসটেইনেবল ও দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করার জন্য বিজ্ঞ সরকারকে আমি ২ টি প্রস্তাবনা দিয়েছি। (১) বিদ্যমান অর্গানোগ্রাম সংশোধন করে ২৪ ঘণ্টা অফিস কাঠামো তৈরী করা এবং জনবলের চাহিদা পূরণ করা। (২) সেটি এই মুহুর্তে সম্ভব না হলে আপাতত “মডেল লাইভস্টক সার্ভিস” নামক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া। যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ডক্টর স্টাফ নেওয়া হবে জরুরী সেবা নিশ্চিত করতে এবং ভেটেরিনারি হাসপাতালের সকল সেবা কাঠামো এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণ করা হবে।

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : জরুরি বিভাগ আপনি চালু করেছেন, কি কি সুযোগ সুবিধা এখানে রয়েছে??

ডা. মো. নাজমুল হক : আমি বাংলাদেশে ১ম লাইভস্টক সেক্টরে উপজেলা পর্যায়ে জরুরী বিভাগ চালু করেছি। এই বিভাগের মাধ্যমে যে কোন সময় জরুরী চিকিৎসা, অপারেশন, ডেলিভারি, ভ্যাক্সিনেশন এবং কৃত্রিম প্রজনন সেবা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে আমরা বিগত ১ বছরের অধিক সময় জরুরী সেবা রেজিস্টার এর তথ্য অনুযায়ী পঞ্চাশ হাজারের উপর প্রাণীকে ছুটির দিনে জরুরী সেবা প্রদান করেছি।

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : সম্প্রতি ক্যাডার সার্ভিসে ১০ বছরে পা দিয়েছেন, এই বছরগুলো কেমন কেটেছে? আগামী ১০ বছরে প্রাণিসম্পদ কে কোথায় নিয়ে যেতে চান??

ডা. মো. নাজমুল হক : হ্যাঁ, ক্যাডার সার্ভিসে আমি ৯ বছর পূর্ণ করে ১০ম বছরে পা দিয়েছি। এই ৯ বছর ভেটেরিনারি সার্জন, সায়েন্টিফিক অফিসার এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার হিসেবে কাজ করেছি। খুবই আমেজিং ও উপভোগ্য ছিল এ জার্নি। পেয়েছি সকল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্নেহ সান্নিধ্য ও ভালোবাসা। জুনিয়রদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও সম্মান। খামারি, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও মিডিয়া প্রতিনিধিদের অকুন্ঠ ভালবাসা। পেশার প্রতি নিবেদন থেকে ইতোপূর্বে সায়েন্টিফিক অফিসার পদে কর্মরত অবস্থায় ল্যাবকে দিয়েছি “ভেটেরিনারি ল্যাব এইড” নামক স্বতন্ত্র ম্যানুয়াল। আর সর্বশেষ ইউএলও পদে থেকে ড্রিম ইনিশিয়েটিভ ছিলো “মডেল লাইভস্টক সার্ভিস”। এটি আমার স্বপ্ন ধ্যান জ্ঞান। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ও স্বীকৃতি দিয়েছে মহামান্য সরকার ” বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক” প্রদানের মাধ্যমে। আগামী ১০ বছর এই মডেল নিয়ে কাজ করতে চাই এবং প্রাণিসম্পদ সেক্টরকে আধুনিক, স্মার্ট, স্টান্ডার্ড, কোয়ালিটি সম্পন্ন করতে চাই। গড়ে তুলতে চাই সারা বাংলাদেশে পূর্ণ ভেটেরিনারি হাসপাতাল।। দু’আ, সহযোগিতা ও সমর্থন চাই সকলের কাছে।।

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : ধন্যবাদ, আপনার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি ।

ডা. মো. নাজমুল হক : আপনাকেও ধন্যবাদ, জয় বাংলা ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৮, ২০২৩ ৯:০২ অপরাহ্ন
জাতীয় পাট পুরস্কার পাচ্ছেন ১১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান
কৃষি গবেষনা

পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন-রপ্তানি বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য ১১ ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, চাষি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিচ্ছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

রোববার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক এ তথ্য জানান।

পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- পাটবীজ, পাট ও পাটজাত পণ্যের গবেষণায় সেরা গবেষক ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদ আল হোসেন, সেরা পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষি ক্যাটাগরিতে কিশোরগঞ্জের আবু হানিফ, সেরা পাট উৎপাদনকারী চাষি পাবনার মো. এনামুল হক, পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা প্রতিষ্ঠান (হেসিয়ান, সেকিং ও সিবিসি) উত্তরা জুট ফাইবার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড, পণ্য রপ্তানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান (হেসিয়ান, সেকিং ও সিবিসি) জোবাইদা করিম জুট মিল মিলস লিঃ।

এছাড়াও পুরস্কার পাচ্ছেন পাটের সূতা উৎপাদনকারী সেরা পাটকল হিসাবে আকিজ জুট মিলস লিমিটেড, পাটের সূতা রপ্তানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান হিসাবে জনতা জুট মিলস লিমিটেড, বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল হিসাবে সোনালি আঁশ লিমিটেড, বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ক্রিয়েশন (প্রাঃ) লিমিটেড, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের সেরা নারী উদ্যোক্তা হিসাবে তরঙ্গ ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের সেরা পুরুষ উদ্যোক্তা হিসাবে গোল্ডেন জুট প্রোডাক্ট।

এছাড়াও সম্মাননার জন্য সুপারিশ করা অ্যাসোসিয়েশন ও সমিতিগুলো হচ্ছে: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ পাট চাষি সমিতি, বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লেমিনেটিং জুট ব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতি, বাংলাদেশ জুট গুডস্ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজেজিইএ), বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ), বাংলাদেশ জুট মিলস্ অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ), বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২৩ ৭:০৩ অপরাহ্ন
মাছ চাষে ভাগ্য বদল টুটুলের
প্রিয়মুখ

প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টা করলে অসাধ্য সাধন করা যায়। নিজের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি অন্যদেরও ভাগ্য বদলে দেয়া যায়। এ সত্যকে প্রমাণ করেছেন শার্শার সফল মৎস্য চাষী কামরুজ্জামান টুটুল। ২০০২ সাল থেকে পরিশ্রম আর অক্লান্ত চেষ্টার মধ্য দিয়ে পোনা ব্যাবসার পাশাপাশি পাবদা মাছ চাষ করে তার ভাগ্য পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।

যশোর জেলার শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামে তিনি একজন সফল মৎস্যচাষী হিসেবে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং এ বছর জাতীয় মৎস্য পুরুষ্কার ২০২৩ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। সাফল্যটি সত্যি সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়ার মতো।

জানা গেছে, চাকরি না পেয়ে ২০০২ সালে অল্প কিছু পুঁজি নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন কামরুজ্জামান টুটুল। এতে তার অভাবনীয় সাফল্য আসে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তায় প্রথম দিকে অল্প পরিসরে ও স্বল্প পুঁজিতে নিজস্ব একটি ছোট পুকুরে কার্প জাতীয় মাছ চাষ শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে টুটুলের আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সাফল্য এসেছে।

বর্তমানে টুটুল প্রায় ৭.৬ হেক্টরের, জলায়তনে পাবদা মাছ চাষ করছেন। তার পুকুরে পাবদা মাছের পাশাপাশি রয়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, বেশ কয়েকটি জাতের মাছ।

এক সময় টুটুল ছিলেন বেকার যুবক। অনেক কষ্টে ধার-দেনা করে পাঁচ হাজার টাকা জোগাড় করেন। এ টাকা দিয়ে বগুড়া জেলার কাহালু থানা থেকে ১০/১২ কেজি মাছের রেণু পোনা কিনে পুকুরে ছাড়েন। এক সময় মৎস্য অফিসসহ বিভিন্ন এনজিওতে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ চাষে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কাজের মধ্য দিয়ে সেই থেকে টুটুলের নতুন জীবনযাত্রা শুরু হয়। এতে তার সংসারে বাড়তি আয়ের ছোঁয়া লাগে। পরিবর্তন আসে জীবনে।

তিনি পাবদা মাছ উৎপাদন করে গত ২০১৯ সাল থেকে তা বাণিজ্যিক ভাবে ভারতে রপ্তানি করছেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি মৎস্য চাষ করে আসছেন। তার সাফল্য দেখে আশপাশের ৫০ প্রতিবেশীও মৎস্য খামার গড়ে তুলতে উদ্যোগ শুরু করেছেন। শেষ বছর টুটলের খামরে থেকে ১১৫ টন পাবদা মাছ উৎপাদিত হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।

কামুজ্জামান টুটুল জানান, খুব সহজেই বেকাররা মৎস্য চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে। বেকার যুবকদের মৎস্য খামার করায় উৎসাহ দিতে ব্যাংকগুলো সুদমুক্ত ঋণ দিলে এ অঞ্চলের বেকার যুবকরা দ্রুত স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। তিনি আশা করেন, ব্যাংকগুলো এ ধরনের ঋণ সুবিধা চালু করে বেকারত্ব কমাতে সহযোগিতা করবে।

শার্শা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, সফল মৎস্য খামারী কামরুজ্জামান টুটুল মাছ চাষের কারণে উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি এই উপজেলায় মৎস্য চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। মৎস্য চাষে সফলতা অর্জনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি। তিনি এবার জাতীয় মৎস্য পুরুষ্কার ২০২৩ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আমরা তার খামারটি পরিদর্শন করেছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৯, ২০২৩ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
‘মুক্ত করো রুদ্ধ চেতন’গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
পাঁচমিশালি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু:

পিদিম ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণ রুমে শনিবার (২৮ জানুয়ারি ২০২৩)লেখক এডভিন বরুন ব্যানার্জী রচিত ‘মুক্ত করো রুদ্ধ চেতন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) পিদিম ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণ রুমে এটি উন্মোচন করা হয়।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত, প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক, বাংলা একাডেমির সভাপতি, সেলিনা হোসেন। উইং কমান্ডার (অব.) খ্রীষ্টফার অধিকারী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবেষক, বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. তপন বাগচী। অনুষ্ঠানে “মুক্ত করো রুদ্ধ চেতন” বইয়ের লেখক স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্যে তিনি সমসাময়িক বিষয়াবলি কীভাবে তাঁকে আন্দোলিত করেছে এবং বই লেখার পিছনে প্রেরণা যুগিয়েছে তা চমৎকার ভাবে তুলে ধরেন। বইটি লিখতে যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রেরণা দিয়েছেন এবং সুন্দর সুন্দর মতামত দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাঁদের প্রত্যেকের প্রতি তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিশেষ বক্তা সিসিডিবি’র নির্বাহী পরিচালক, জুলিয়েট কেয়া মালাকার তাঁর বক্তব্যে লেখকের সমসাময়িক বিষয়াবলির উপর বিশদ জ্ঞানের ভূয়সী প্রসংশা করেন। তিনি বলেন, বইটিতে যে বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করা হয়েছে তা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। বইটি পড়ে পাঠক,পাঠক সমাজ এবং সর্বোপরি সমাজ উপকৃত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংক্ষিপ্ত আলোচনায় গ্রন্থ আলোচক লেখক ও এনজিও কর্মী ড. ফ্লোরেন্স লিপিকা সমাদ্দার বলেন, বইটিতে লেখক তাঁর লেখনি দিয়ে বহুমুখী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। বইটি নতুন পাঠকদের কাছে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে। গ্রন্থ আলোচক, লেখক ও লিটল ম্যাগ সম্পাদক, মি. আহমেদ ফয়েজ বলেন, লেখক তাঁর লেখনী দিয়ে সমাজ,ধর্ম ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বিষয়গুলোকে যেভাবে পাঠক সমাজের কাছে তুলে ধরেছেন, তা তাঁর গভীর জ্ঞান ও শিল্পকর্মের-ই বহি:প্রকাশ। পাঠক বই-টি পড়ে নানা উপজীব্য খুঁজে পাবে। যা তাকে জ্ঞান অন্বেষণের ক্ষুধা মিটাবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন লেখক রঞ্জনা বিশ্বাস, মি. জুলিয়াস অধিকারী, রেভারেন্ড মিলিতা দাস প্রমূখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. তপন বাগচী বলেন, লেখক সমসাময়িক বিষয়াবলি তাঁর লেখনী দিয়ে সাবলীল ভাবে তুলে ধরেছেন। বইটিতে একই সাথে সমাজ,ধর্ম ও রাষ্ট্রীয় নানা বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। সুন্দর সুন্দর উপমা এবং যুক্তি দিয়ে তাঁর লেখনীকে সমৃদ্ধ করেছেন। লেখক যে একজন ভালো পাঠক বইটিতে তারও প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠেছে। তিনি লেখককে আরো ভালো বই উপহার দেয়ার আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিনা হোসেন বলেন, লেখক “মুক্ত করো রুদ্ধ চেতন”বইয়ের মাধ্যমে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বিদ্যমান মূল্যবোধের উপর আঘাত করেছেন। যেন সমাজে পরিবর্তন আসে। এ বইটি পাঠকের নিকট দিকনির্দেশনা হিসাবে কাজ করবে। লেখক তাঁর লেখনী দিয়ে আমাদের মাঝে মহাদিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছেন। যারা পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য রাজনীতি করেন তাঁরা যদি বইয়ের ভাবনাকে সমাজের মানুষের কাছে নিয়ে যান তাহলে আমাদের দেশ একটি মহান দেশে পরিনত হবে। লেখকের বিচিত্রমূখী চিন্তা ভাবনা পাঠকের কাছে ভিন্নমাত্রা যোগ করবে। আমরা সবাই বইটি পড়ে সৎ পথে চলব অন্যকেও সে পথে চলতে উৎসাহিত করব।
সভাপতির বক্তব্যে উইং কমান্ডার (অব.) খ্রীষ্টফার অধিকারী বলেন, বইটিতে লেখক সমাজ পরিবর্তনের যে ডাক দিয়েছেন তা সত্যিই একটি সাহসী পদক্ষেপ। বইটিতে পৌরাণিক ভাষার পাশাপাশি আধুনিক ভাষার চমৎকার মেলবন্ধন খুঁজে পাওয়া যায়।

সমাপনী বক্তব্যে জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর সেলিম (সিনিয়র পরিচালক, কার্যক্রম, পিদিম ফাউন্ডেশন) বলেন, বইটিতে লেখক তাঁর লেখনি দিয়ে সমাজ, ধর্ম এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বিষাবলীর উপর যুগোপযোগী এবং যুগান্তকারী ভাববিনিময় করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংনীয়। বই-টি পড়ে নতুন পাঠকদের মধ্যে সাহিত্য চর্চাবোধ জেগে ওঠবে।

অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন জনাব মোঃ শফিউল্লাহ শোভন, সিনিয়র পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ, প্রশাসন ও মনিটরিং) পিদিম ফাউন্ডেশন। মোড়ক উন্মোচন
অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন, জয়েস তিথি, উপ-পরিচালক (মানবসম্পদ ও আরটিডি) এবং সোমা সরকার, সহকারী পরিচালক (অর্থ), পিদিম ফাউন্ডেশন ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৯, ২০২২ ৭:১৯ পূর্বাহ্ন
শিল্পপতি জনাব জহুরুল ইসলামের ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রিয়মুখ

বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পথিকৃৎ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ইসলাম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শিল্পপতি জনাব জহুরুল ইসলামের ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৫ সালে আজকের দিনে ৬৭ বছর বয়সে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি। ব্যক্তিত্বে, মানবতায়, ব্যবসায় এবং সমাজসেবায় তিনি ছিলেন অনন্য এবং অতুলনীয়। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি সর্বজনবিদিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় লন্ডন থেকে সুবিদ আলী ছদ্মনামে স্বাধীনতাকামীদের জন্য তিনি অর্থ পাঠাতেন। ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষের সময় কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি অনেক লঙ্গরখানা খুলেছিলেন, সাহয্যের হাত প্রসারিত করেছিলন ক্ষুধার্ত, গরীব, দুঃখী মানুষের কল্যানে।

১৯২৮ সালের ১ আগস্ট কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার ভাগলপুরের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জহুরুল ইসলামের জন্ম। তাঁর বাবা আলহাজ আফতাব উদ্দিন আহম্মদ ছিলেন কিশোরগঞ্জের সজ্জন ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর মা রহিমা আক্তারের পুণ্যতা, দানশীলতা, বদান্যতা আজও ওই এলাকার মানুষের মুখে মুখে আলোচিত।

এ উপলক্ষ্যে মরহুমের গ্রামের বাড়ি ভাগলপুরে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা উনাকে বেহেশতে নসিব করুন (আমীন)।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৭, ২০২২ ৮:৫১ পূর্বাহ্ন
রঙিন মাছ চাষে ঘুরে দাঁড়ালেন শারীরিকভাবে অসুস্থ বেকার যুবক
প্রিয়মুখ

বাড়ির পাশে লীজ নেওয়া একটি পুকুরে মুক্তভাবে রঙিন মাছ চাষ করছেন শারীরিকভাবে অসুস্থ বেকার যুবক বিশ্বজিৎ।

তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের পাঁচকাহুনিয়া গ্রামের শিবু মন্ডলের ছেলে। গত এক মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা মাছ বিক্রি করেছেন। পুকুরে এখনো লক্ষাধিক টাকার মাছ রয়েছে তার।

বিশ্বজিৎ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে।

২০১২ সালে ব্রেইন স্ট্রোক হয় তার। এরপর শরীরের ডানপাশ অবস হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে আসেন। দুইবছর বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেননি। এখনও পুরোপুরি সুস্থ্য হননি। কিছুটা সুস্থ্য হলে একটি টং দোকান দেন কিন্তু সেখান থেকে উপার্জন ভালো না হওয়ায় রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন।

প্রথম দিকে বাড়িতে কয়েকটি ড্রামে এই মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। সেখানে মাছ বড় হতে থাকে। কয়েক মাস পর বিক্রিও করেন। এরপর চলতি বছরের মে মাসে পুকুরে বিদেশি জাতের রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন। মাছগুলো আকারে ছোট হলেও বেশ সতেজ ও বাহারি নানা রঙের। পুকুরে ১২ থেকে ১৫ প্রজাতির মাছ রয়েছে।

বিশ্বজিৎ জানায়, তার বাবা একজন কৃষক। মাঠে তাদের চার বিঘা চাষযোগ্য জমি নেই। তার আরো দুই ভাই ও এক বোন রয়েছে। অভাবের সংসার হলেও বাবা আমাদের লেখাপড়াা শেখাতে কার্পন্য করেননি। আমি মাস্টার্স শেষ করেছি। চাকরিও শুরু করেছিলাম। কিন্তু স্ট্রোক আমার জীবনে ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। কিছুটা সুস্থ্য হলে চলতি বছরের মে মাসে যশোরের চৌগাাছা মাছ ব্যবসায়ী সালমান সর্দারের নিকট থেকে গাপ্পি মলি, গোল্ডফিস, কমেন্ট, রেডটিকা, কইকাপ এবং প্লাটিসহ বিভিন্ন জাতের মাছ কিনে আনি। এ পর্যন্ত পরিচর্যা ও মাছ ক্রয় বাবদ প্রায় ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছি।

কালীগঞ্জ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. হাসান সাজ্জাদ জানান, শিক্ষিত বেকার যুবক বিশ্বজিৎ বাড়িতে একটি পুকুরে রঙিন মাছের চাষ করছে। তার মাছ চাষ পরিদর্শন করেছি। এলাকায় এ মাছ চাষ অনেকটা নতুন হওয়ায় মৎস অফিসের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১১, ২০২২ ৩:২৯ অপরাহ্ন
বাকৃবি প্রফেসর ড. মো. আবুল মনসুর পেলেন মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২
প্রিয়মুখ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু,বাকৃবি থেকে:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ন বিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর (মিল্লাত) মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২ লাভ করেছেন।

শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুরকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও আলোকিত মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ সম্মননা প্রদান ও এক আলোচনা সভা আয়োজন করেছে।

গত ৬ আগস্ট বিকাল ৪টায় ঢাকার পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরাম অডিটরিয়ামে “অলোকিত ও মানবিক সমাজ গঠনে জ্ঞানতাপস ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ ও মহিয়সী নারী মাদার তেরেসার কর্মময় জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আর. খান আদনান, মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খান, প্রধান আলোচক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এডভোকেট মোঃ লতিফুর রহমান, জনাব বাবুল সরদার চাখারী, ও অন্যান্য বিশেষ অতিথি মন্ডলী।

আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ বিচারপতি জনাব খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী।

প্রধান অতিথির ভাষনে বিজ্ঞ বিচারপতি জনাব খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী জ্ঞানতাপস ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও মহিয়সী নারী মাদার তেরেসার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। পরে সম্মাননা প্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট প্রদান করেন।

প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর উক্ত অনুষ্ঠানে ্উপস্থিত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন।

প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর বিগত ৩৬ বৎসর যাবৎ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। তিনি ২ বার বিভাগীয় প্রধান, ১ বার হল প্রভোস্ট, ফিশ মিউজিয়াম ও জার্মপ্লজম সেন্টারের পরিচালক ছিলেন।

বর্তমানে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে কর্মরত। প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর (মিল্লাত) রচিত “ফিশারিজ স্টাডিজ ১ম খন্ড, ২য় খন্ড, ৩য় খন্ড, ৪র্থ খন্ড” পাঠ্যপুস্তক সমূহ যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে গৃহীত হয়েছে এবং ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। জাতীয় ও আন্তজার্তিক জার্ণাল, কনফারেন্স ইত্যাদিতে তাঁর শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ৭৫ জন এম. এস. ও পিএইচ.ডি ছাত্র-ছাত্রীর গবেষণা সুপাইভাইজার ও কো-সুপারভাইজার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২২ ৮:৫৫ অপরাহ্ন
মৎস্য মেলায় অংশগ্রহণকারী ১১ সেরা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান
প্রাণিসম্পদ

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ আজ সমাপ্ত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর মূল্যায়ন ও সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এবারের জাতীয় সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, মৎস্য চাষ ও মৎস্যসম্পদের মানোন্নয়ন সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হয়েছে। মাছ আমাদের নিরাপদ আমিষ। মৎস্য চাষের মাধ্যমে এ আমিষের যোগানের ক্ষেত্রে মৎস্য খাত সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের ভূমিকা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মৎস্য খাতের টেকসই আহরণ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য মাছের প্রকৃত মজুদ নির্ণয়ের বিষয়ে আরও আজ করতে হবে। সামুদ্রিক মাছের মজুদ কতটুকু আছে সেটি জানতে হবে। সামুদ্রিক মাছের বংশবৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মৎস্য অধিদপ্তর ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করবে। মাছের সহনশীল আহরণ নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে ও রপ্তানির ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন মাছ নিশ্চিত করা জরুরি। রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের নির্ধারিত মান অর্জন করা সম্ভব না হলে রপ্তানি বৃদ্ধি করা যাবে না। এজন্য বিভিন্ন দেশের চাহিদা অনুযায়ী মাছের মান অর্জনে আরও কাজ করতে হবে-যোগ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. আব্দুল কাইয়ূম ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব এ টি এম মোস্তফা কামালসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রম উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. খালেদ কনক।

অনুষ্ঠানে ২৪ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলায় অংশগ্রহণকারী ২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫ টি ক্যাটাগরি তথা ১১টি সেরা প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়।

এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান,বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং কাঁচা মাছ বিক্রয় ও প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে

উল্লেখ্য ২৩ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদযাপন করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৮, ২০২২ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
মাছ চাষে স্বর্ণপদক পেলেন তারেক!
প্রিয়মুখ

এবার মাছ চাষে বিশেষ অবদান রাখান জন্য স্বর্ণপদক পেলেন দিনাজপুরের আবু সালেহ মো. তারেক। তিনি গুণগত মানের পোনা উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে মাছ চাষ সম্প্রসারণে অবদান রাখায় দেশের শ্রেষ্ঠ মাছচাষি হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেশের শ্রেষ্ঠ মাছ চাষি হিসেবে স্বর্ণপদক ও ৫০ হাজার টাকা তাঁর হাতে তুলে দেয় কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

জানা যায়, ৬৬ বিঘা জমির ওপর ১৩টি পুকুর নিয়ে তাজ অ্যাগ্রো ফার্ম গড়ে তুলেন। রেণু থেকে পোনা উৎপাদনের পাশাপাশি চাষ হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির রুই, পাবদা, শিং, কই, মাগুর, টেংরা মাছ। তাছাড়া তাঁর খামারে কাজ করেন ১২ শ্রমিক কাজ করেন।

আবু সালেহ জানান, একটি পুকুরে পোনা উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে নিজস্ব জমিতে ছোট–বড় ৯টি পুকুর ও ইজারা নেওয়া ৪টি পুকুরে মাছ চাষ করছি। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ হেক্টর পুকুরে কার্প–জাতীয় রুই মাছ, শিং, পাবদা, গুলশা ও টেংরা মাছের মোট ৪৬ লাখ পোনা উৎপাদন করেছেন। এ সময় ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে বছর শেষে পেয়েছেন ৮৭ লাখ ৭ হাজার টাকা।

তিনি আরও জানান, গত অর্থবছরে দিনাজপুরের পার্বতীপুর মৎস্য বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে জেলার সর্বোচ্চ রেণু সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাজ অ্যাগ্রো ফার্মকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ফার্মটি দিনাজপুরের পোনা ও মাছের চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলাতেও পোনা সরবরাহ করছে।

বিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাউসার হোসেন জানান, উপজেলায় ২ হাজার ২০০টি পুকুরে ১ হাজার ৬০০ মাছ চাষি রয়েছেন। আবু সালেহ তারেক দেশের মধ্যে প্রথম কম বয়সী তরুণ মৎস্য উদ্যোক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বর্ণপদক পেয়েছেন। এই ফার্মে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রেণু থেকে পোনা উৎপাদন কর হয়। রোগমুক্ত ও গুণগত মান উন্নত হওয়ায় মৎস্য খামারিদের কাছে এসব পোনার বেশ গ্রহণযোগ্যতা আছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop