৪:৫৪ অপরাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২২ ৫:৪৭ অপরাহ্ন
ফিড দি ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিশ’র সেক্টর মিটিং-২২ অনুষ্ঠিত
মৎস্য

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি: দারিদ্র বিমোচন, মৎস্যভিত্তিক পুষ্টি বৃদ্ধিকরণ খাদ্য নিরাপত্তা ও প্রান্তিক চাষীদের জীবনমানের উন্নয়নের লক্ষ্যে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশে মৎস্যখাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন গবেষণা কর্মসূচী পরিচালনা করে যাচ্ছে ফিড দি ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিশ।

এ লক্ষ্য বাংলাদেশে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে মাছের ম্পার্ম ব্যাংক, ফেক্যাল প্যাথজেনের উৎস নির্ণয়, মৎস্যখাতের ভ্যালু চেইন অংশগ্রহণমূলক করা ও মানোন্নয়নের জন্য, রপ্তানি বৃদ্ধি, মেশিন লার্নিং এর ব্যবহার ও রপ্তানি বৃদ্ধিকল্পে পরিচালিত প্রকল্প সমূহে ফিশ ইনোভেশন ল্যাব সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও কৌশলগত সহযোগিতা প্রদান করছে।

সোমবার (২৫ জুলাই)বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউএসএআইডি ইনোভেশন ল্যাব এর এশিয়া অঞ্চলের সমন্বয়ক ড. গোলাম হুসেইন এর সভাপতিত্বে উক্ত প্রকল্পসমূহের গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে “বাংলাদেশ সেক্টর মিটিং-২০২২” অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনিস্টিটিউট পরিচালক ড. খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ এর ডীন প্রফেসর ড. আব্দুল মনসুর, উপ-পরিচালক,মৎস অধিদপ্তর,ময়মনসিংহ ড.মো; আফতাব হোসাইন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক এবং গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন। স্পার্ম ব্যাংক প্রকল্পে কার্প জাতীয় মাছের জিন উন্নয়নের মাধ্যমে উক্ত মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত গবেষনা কার্যক্রমের অর্জিত ফলাফল ও ভবিষৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম সরদার। জেনেটিক উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিচালিত প্রকল্পের অগ্রগতি ও অর্জন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. ম্যাথু হ্যামিলটন।

ফেকাল প্যাথজেন প্রকল্পে বাংলাদেশ অংশের প্রধান গবেষক ড. বদরুল আমীন মৎস্যভিত্তিক প্রাণীজ প্রোটিনের গুনগতমান উন্নয়নের লক্ষ্যে মাছের দূষণের উৎস নির্ণয়, ধরন ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে পরিচালিত গবেষণার কার্যক্রমের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক মাছের ভ্যালু চেইন উন্নয়নের কৌশল প্রনয়ন ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিচালিত গবেষনা কার্যক্রমের অগ্রগতি ও ভবিষৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন উক্ত প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান খান।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মৎস্যখাতের অবদান নির্ণয়ের সূচক সমূহের অধিকতর বিশ্বস্ত ও কার্যকরী পরিসংখ্যান নিরূপণের উদ্দেশ্যে মেশিন লার্নিং প্রয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই ও এর প্রয়োগের মাধ্যমে মৎস্যখাতের টেকসই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত গবেষণা কর্মসূচীর অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ করনীয় বিষয় সমূহ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মোঃ মহফুজুল হক।

অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি কর্তৃক উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশে ফিড দি ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব এর মাধ্যমে পরিচালিত গবেষনা প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও কার্যক্রমের উপর বক্তব্য প্রদান করেন ইনোভেশন ল্যাবের পরিচালক মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটি এর প্রফেসর ড. মার্ক এল. লরেন্স। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন টেক্সাস স্টেট ইউনিভাসিটি,যুক্তরাষ্ট এর প্রফেসর ও ভ্যালু চেইন প্রকল্পের যুক্তরাষ্ট্র অংশের প্রধান গবেষক ও ফিশ ইনোভেশন ল্যাব এশিয়া স্পেশালিষ্ট প্রফেসর ড. মদন মোহন দে। সভায় প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দ এবং অন্যান্য আলোচকবৃন্দ ইউএসএআইডি এর অর্থাায়নের পরিচালিত গবেষণা প্রকল্প সমুহের অর্জিত ফলাফল বাংলাদেশের মৎস্যখাতের আধুনিক লাগসই প্রযুক্তি নির্ভর টেকসই উন্নয়ন বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২২ ৮:৪২ পূর্বাহ্ন
বিলুপ্তির পথে দেশি মাছ
মৎস্য

আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি। কিন্তু দিনে দিনে কমছে নদী-খাল-জলাশয়! যে সব নদী বা খাল রয়েছে তাও আবার বিভিন্ন বিষাক্ত বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে! ফলে দেশি প্রজাতির মাছ এখন বিলুপ্ত পথে।

এক সময় গোপলগঞ্জ জেলার বিভিন্ন খাল-বিল, পুকুর-জলাশয় ও নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর মাছ পাওয়া যেতো। কিন্তু প্রাকৃতিক আবাসভূমি দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা

এসব মাছের অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন নাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চ্যাপিলা, বৈচা, চাটুয়া, চাঁদা, নামা চাঁদা, গোল চাঁদা, আইড়, গুলশা, পাবদা, দেশি পুঁটি, সরপুঁটি, তিত পুঁটি, বাইলা, মেনি, ভেদা, শিং, কৈ, টাকি, শোল, ফলি, চেলি, মলা, ঢেলা, কানপোনা, দারকিনা, বাচা, বাটা, রিটা, পিয়ালি, জয়া, খৈলশা, ছোট টেংরা, বড় টেংরা, চান্দা, কাজলি, চ্যাং, ছোটচিংড়ি, বাতাশি, বড় বাইন, তারা বাইন, শালবাইন, চিকরা বাইন, কাকিয়া, কুচিয়া, তারা, খোকসা, খরকুটি, দেশি জাতের পটকা, বেলেসহ নাম না জানা অনেক প্রজাতির দেশি মাছ।

এক সময় দেশি জাতের এসব ছোট মাছের উৎস ছিল হাওর, বাওড়, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয় ও বিভিন্ন নদী-নালা। জেলার সদর উপজেলা, কোটালীপাড়া উপজেলা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা, মুকসুদপুর উপজেলা, কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন হাওড়-বাওড় জলাশয় ছাড়াও মধুমতি, ঘাঘরনদী, কুমারনদী থেকে এক দশক আগেও প্রতিদিন জেলার ছোট বড় বিভিন্ন বাজারে দেশি জাতের পর্যাপ্ত ছোট মাছ আসত। এর মধ্যে মধুমতি, কুমার ও ঘাঘর নদী দখল আর দুষণের কবলে পড়ে অস্তিত্ব প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। চাহিদা সত্বেও ক্রেতারা এখন এ জাতীয় মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া গ্রামের কাজী মাহমুদ বলেন, কোনো রকম চাষ ছাড়াই আমাদের গ্রামের জলাশয়ে এক সময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। বাজারগুলোও ভরে যেত দেশি মাছে। জলাশয়ের অধিকাংশ এলাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা ও নতুন নতুন ঘর-বাড়ি গড়ে উঠায় জলাশয়ের অস্তিত্ব নেই।

গোপালগঞ্জের মৎস্য চাষী মো: মনির মোল্লা বলেন, ছোট জাতের মাছের সরবরাহ অনেক হ্রাস পেয়েছে। দুটি কারণে ছোট মাছের চালান কমে গেছে। উৎপাদন কমে যাওয়া হচ্ছে প্রধান কারণ। এর সঙ্গে বেড়ে গেছে স্থানীয় চাহিদা।

জেলার মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট উভয় কারণেই অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়েছে। বিলুপ্তির পথে রয়েছে বহু মাছ। প্রাকৃতিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে জলাভূমির সঙ্গে বিশেষ করে হাওর-বাওড় ও বিলের গভীরতা কমে যাওয়া, প্লাবন ভূমির সঙ্গে সংযোগ খাল ভরাট, জলাশয়ে বছরের অধিকাংশ সময় পানি না থাকা এবং প্রজনন মৌসুমে পানি প্রবাহ কমে যাওয়া। মনুষ্যসৃষ্ট কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে জমিতে রাসায়নিক সার ও অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে প্রজনন সক্ষম মাছ ও পোনা ধরা, কারেন্ট জালের ব্যবহার, মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করা এবং ক্ষতিকর মৎস্য আহরণ সরঞ্জামের ব্যবহার। তাই দেশি প্রজাতির মাছ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের নজর দেয়া জরুরি প্রয়োজন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৪, ২০২২ ৫:৩৩ অপরাহ্ন
নিরাপদ মাছ উৎপাদন ও সরবরাহে কাজ করছে সরকার: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

নিরাপদ মাছ উৎপাদন ও সরবরাহে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে অতীতে মাছের মান নিয়ন্ত্রণে কোন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পরীক্ষাগার ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষাগার স্থাপন করেছেন। মাছের খাবার এবং যে মাছ রপ্তানি করা হবে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এখন সম্ভব হচ্ছে। সরকারের পদক্ষেপের কারণে বাজারে এখন ফরমালিনের প্রয়োগ নেই। মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাসহ সরকারের অন্যান্য পর্যায়ের কর্মকর্তারা দেখভাল করছে।

নিরাপদ মাছ ছাড়া ক্ষতিকর কোন মাছ বাজারে বা অন্য কোন জায়গায় বিক্রি হবে না। যে মাছ ক্ষতিকর তা উৎপাদনও কেউ যাতে করতে না পারে সে বিষয়ে সরকার কাজ করছে।

মন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মৎস্য খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য সর্বপ্রথম গণভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য যেখানে যেভাবে বিনিয়োগ দরকার সেখানে সেভাবে বিনিয়োগ করছেন। তার লক্ষ্য মাঝে যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, শুধু এখানে থেমে থাকলে হবে না। ব্যাপক উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করে বিদেশ থেকে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করব। সে অর্থ দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এ খাতকে আরও সম্প্রসারিত করার জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। যারা এগিয়ে আসবে রাষ্ট্র তাদের সব ধরনের সহায়তা দেবে।

তিনি আরও বলেন, মাছ হবে খাবারের একটা বড় অংশ। মাছ হবে পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানোর একটা সহায়ক খাত। বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করা এবং বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির একটি বড় খাত হবে মাছ।

এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাককে সাথে নিয়ে কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছোট মনির এমপি ও মোছা. শামীমা আক্তার খানম এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

এদিন সকালে গণভবনে থেকে ভার্চুয়ালি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ ও কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুরু হওয়া কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলা আগামী তিন দিন অনুষ্ঠিত হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৪, ২০২২ ৪:৩৫ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ পালিত
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে উদযাপিত হয়েছে মৎস্য সপ্তাহ ২০২২।

রবিবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদযাপিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে বাকৃবি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ।

এ উপলক্ষে সকাল ৯ টায় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে ব্রহ্মপুত্র নদে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।

এ উপলক্ষে বাকৃবি উদিচী ঘাটে আয়োজিত মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিনসহ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আমিনুল হক ভবনের সভাকক্ষে এ উপলক্ষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৩, ২০২২ ৭:০৪ অপরাহ্ন
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে হাতিরঝিলে বর্ণাঢ্য নৌ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষ্যে হাতিরঝিলে বর্ণাঢ্য নৌ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর হাতিরঝিলে এ নৌ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। নৌ শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন হচ্ছে। ভাতে-মাছে বাঙালির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা কাজ করছি। যেখানে পানি আছে অর্থাৎ লেক, নদী, পুকুর সর্বত্রই মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নিরাপদ মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য নৌ শোভাযাত্রার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, আগামীকাল (২৪ জুলাই) বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন এবং মৎস্য সেক্টরে যারা ভালো অবদান রেখেছেন তাদের পদক প্রদান করবেন।

তিনি আরও যোগ করেন, সরকার চায় নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়-বাওড় যেন মুক্ত থাকে এবং মাছ চাষের জন্য উপযোগী অবস্থায় থাকে। পরিবেশ যেন দূষণ না হয়, পানি যেন দূষণ না হয়। মা মাছ ও জাটকা ধরা থেকে সবাই যেন বিরত থাকে। যাতে মাছ বৃদ্ধি পেয়ে আমাদের সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।

মৎস্য খাতের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের মাছের চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা আমাদের হয়েছে। ভবিষ্যতে মাছ রপ্তানি করে আমরা বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে চাই। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধিতে মৎস্য খাত ভূমিকা রাখবে সেটাই লক্ষ্য।

নৌ শোভাযাত্রায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, নৌপুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

এদিন সকালে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বণার্ঢ্য সড়ক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৩, ২০২২ ৩:০৯ অপরাহ্ন
নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাছ সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া সরকারের লক্ষ্য: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাছ সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সভা কক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মৎস্য খাতে বাংলাদেশ একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য নিরাপদ মাছ উৎপাদন। শুধু মাছের উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, নিরাপদ ও পুষ্টিকর মাছ উৎপাদনে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। ভোক্তার কাছে আমরা নিরাপদ মাছ পৌঁছে দিতে চাই। এ লক্ষ্য নিয়ে ২৩ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদযাপন হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও জানান, মিঠা পানির মাছ, সামুদ্রিক মাছ সব ক্ষেত্রে আমাদের অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বিগত ১৬ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ মৎস্যখাতের অবদান। বিশ্বে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ ৩য়, বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম, ইলিশ উৎপাদনে ১ম ও তেলাপিয়া উৎপাদনে ৪র্থ স্থানে রয়েছে। এ অর্জন সম্ভব হয়েছে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার কারণে।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, একটা সময় মৎস্য খাতে যথাযথ পরিচর্যা না হওয়ায় ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় মাছের আকাল দেখা দিয়েছিল। আমাদের নিজস্ব যেসব মাছ তার একটা বিশাল অংশ হারিয়ে গিয়েছিল। ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ৩৬ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছ আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মাছ যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য ময়মনসিংহে লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে, যেখানে শতাধিক প্রকারের মাছ থাকবে। কোথাও কোন মাছ হারিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হলে তার রেণু ও পোনা ছড়িয়ে দেওয়া যাবে। এছাড়া নিজস্ব গবেষণা থেকে সুবর্ণ রুই নামক একটি দ্রুত বর্ধনশীল ও অধিক উৎপাদনশীল মাছ উদ্ভাবন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরও বলেন, বন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশাল সমুদ্র জয়ের পর এর অভ্যন্তরে কত প্রকার মাছ আছে, কী সম্পদ আছে, প্রচলিত-অপ্রচলিত মাছ আছে সেগুলো অনুসন্ধান করার জন্য আমাদের মীন সন্ধানী জাহাজ কাজ করছে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় প্রচলিত-অপ্রচলিত বিশাল মৎস্য ভান্ডার রয়েছে। এই মৎস্যসম্পদ এক সময় আমাদের বড় ধরনের আয়ের উৎস হতে পারে। সে জায়গায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তরসমূহ কাজ করছে। সমুদ্রসীমায় আমাদের কূটনৈতিক সাফল্যের ধারাবাহিকতায় গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

মাছ রপ্তানির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ইলিশ পূর্বেই আমাদের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য ছিল। ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নতুন সংযুক্ত হয়েছে আমাদের বাগদা চিংড়ি। বিশ্বপরিমণ্ডলে বাগদা এখন বাংলাদেশের হিসেবে পরিচিত। এটি বিশ্বপরিমন্ডলে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছে। পৃথিবীর প্রায় ৫২ টি দেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমাদের মাছের চাহিদা রয়েছে। এসব দেশে বিভিন্নভাবে মাছ রপ্তানি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও তার সরকারের ব্যবস্থাপনায় মাছের মান নিয়ন্ত্রণে দেশে তিনটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরী স্থাপন করা হয়েছে। এখানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হবে। কোন দেশেই যাতে মাছের সাথে বিষাক্ত উপাদান না যায়, এটা আমরা নিশ্চিত করছি।

করোনায় বিশ্বের অনেক দেশের মৎস্য খাতে বিপর্যস্ত অবস্থা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, এ সময় আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তিনটি দেশ মৎস্য উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছে। এ তিনটি দেশের একটি বাংলাদেশ, অপর দুটি দেশ মিশর ও ভিয়েতনাম। করোনার সময় মৎস্য উৎপাদনকারীরা বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়লে তাদের জন্য সরকার ভ্রাম্যমান বিক্রয় ব্যবস্থা চালু করেছে। সে সময় মাছের খাদ্য বিদেশ থেকে আনার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিকূলতা ছিল সেগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে যাতে মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য তাদের পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য বিনামূল্যে বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লক্ষ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে সরকার কাজ করছে। যাতে দেশের সব প্রান্তিক মানুষ ইলিশের স্বাদ নিতে পারে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. আব্দুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সকালে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ মাছ নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছি। মাছ বাঙালি জাতির কৃষ্টির অন্যতম অংশ। ভাতে-মাছে বাঙালির সে ঐতিহ্য আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। মাছ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে চাই। মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবে, উদ্যোক্তা তৈরি হবে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২২, ২০২২ ৩:১৮ অপরাহ্ন
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২
মৎস্য

আগামীকাল ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, ২০২২। চলবে ২৯ জুলাই ২০২২ পর্যন্ত।

এ বছর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। নিরাপদ মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশের জনগণকে আরো সচেতন ও সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এবারের মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে।

এ উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও গণপ্রজাতন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি এবং দেশের সব জেলা-উপজেলায় স্থানীয় কর্মসূচি পালন করা হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সপ্তাহের প্রথম দিন ২৩ জুলাই সকাল ৮ টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সড়ক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে।

এদিন সকাল ১০ টায় রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সংবাদ সম্মেলন করবেন। একইদিন বিকাল ৪ টায় রাজধানীর হাতিরঝিলে বর্ণাঢ্য নৌ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে।

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন ২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে গণভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন এবং সকাল ১০ টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, ২০২২ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

এ অনুষ্ঠানে দেশের মৎস্য খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় মৎস্য পদক প্রদান করা হবে। এদিন জাতীয় সংবাদপত্রে দেশের মৎস্য খাতের সাফল্য ও অর্জন নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তৃতীয় দিন ২৫ জুলাই বিকাল ৫ টায় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বঙ্গভবন পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন। পঞ্চম দিন ২৭ জুলাই জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে তিন দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

তাছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মৎস্য সপ্তাহের গুরুত্ব তুলে ধরে সপ্তাহব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। এছাড়াও দেশের সকল জেলা-উপজেলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, ২০২২ উপলক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২২, ২০২২ ২:৪৩ অপরাহ্ন
সবাই মিলে মাছ ধরে সমহারে বণ্টন
মৎস্য

আশ্রয়ন প্রকল্পের সরকারি পুকুরের মাছ নিজেরা ধরে নিজেদের মধ্যে সমহারে বন্টনের দৃশ্য দেখা যায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব চাকামাইয়া গামরবুনিয়া এলাকায়।

শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে আবাসনের পুকুরের মাছ ধরে সমহারে ভাগ করে দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের এমন আয়োজন ছিলো প্রশংসনীয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে পূর্ব চাকামাইয়া গ্রামে ৮ একর জমির উপর ১শ হতদরিদ্র মানুষের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে সরকার। আর এ আশ্রয়ন প্রকল্পের মধ্যে ৩ একর জায়গাজুড়ে পুকুর।

এ পুকুরে সরকার প্রতি বছরই মাছ চাষ হয়। কিন্তু এসব মাছ ধরে নিয়ে যেতো স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বঞ্চিত হতো আবাসনে বসবাসকারী শত পরিবার। সর্বশেষ গত ২৬ রমজান চাকামাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ পুকুরের মাছ ধরে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। পরে মাছ ধরা নিয়ে আবাসনের বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২২ জুন আবাসনে প্রবেশ করে কহিনুর (৩৭) নামের এক নারীকে চেয়ারম্যানের নির্দেশে মারধর করে আলম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহসিন ও আলমগীর আকন। এঘটনায় ওই দিনই ওই নারী বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ (শুক্রবার) সকাল ১০টায় ওই পুকুর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৮ মন মাছ ধরা হয়। এসময় এসব মাছ আবাসনে বসবাসকারীদের মাঝে বন্টন করা হয়। দীর্ঘদিন পর এ পুকুরের মাছ পেয়ে হাসি ফুটেছে আবাসনের বাসিন্দাদের মাঝে। মাছ বন্টনের এমন কাজকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।

মাছ বিতরনের সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বক্কর সিদ্দিকী, কলাপাড়া থানা পুলিশের সদস্য ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চাকামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবর ফকির জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বক্বর সিদ্দিকী জানান, সরকারি নীতিমালায় আছে আশ্রয়ের সব কিছু আশ্রয়নের প্রকল্পের বাসিন্দারা ভোগ করবে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন আগে এই আবাসনের কহিনুর (৩৭) নামের এক নারীকে মারধর করা হয় এবং চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এনিয়ে একটি মামলাও চলমান রয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় আজ মাছ ধরে স্থানীয় বাসিন্দারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২০, ২০২২ ২:২৪ অপরাহ্ন
খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর
প্রাণিসম্পদ

খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদসহ সংশ্লিষ্ট সব খাতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২০ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে কনসালটিভ গ্রুপ ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (সিজিআইএআর)-বাংলাদেশ রিসার্চ পোর্টফোলিও ইন্ট্রোডাকশন অ্যান্ড পার্টনারশিপ ডায়ালগের উদ্বোধন অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা সবসময়ই একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। প্রাকৃতিক সম্পদের স্বল্পতা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বের কিছু অংশে সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য ও ক্ষুধা বাড়ছে। বিশ্বের অনেক দেশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন। সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্ন হওয়ায় খাদ্যের দামও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, বেসরকারি খাত, উৎপাদক এবং ভোক্তাদের সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন সম্পর্কিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। গবেষণার চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে তা সমাধানে একটি সামগ্রিক পদ্ধতি বের করতে হবে। সিজিআইএআর-এর অংশীদারিত্ব সংলাপ বিশ্ব খাদ্য উৎপাদন ও ভোগের পদ্ধতি রূপান্তরে সাহসী নতুন পদক্ষেপ তৈরি করবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন এবং এই খাতের উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর কল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। সবার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজ করে যাচ্ছে। মাছের জাত সংরক্ষণ, অধিক উৎপাদনশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল মাছের জাত উদ্ভাবন, গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন, পোলট্রির নতুন জাত উদ্ভাবনসহ নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে সরকারের এ মন্ত্রণালয়। এছাড়া দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান সরকার নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এর মধ্যে অন্যতম। এর লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানুষের মধ্যে সহনশীলতা তৈরি করা।

সিজিআইএআর এর নতুন উদ্যোগ বাংলাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে। প্রাসঙ্গিক এবং উপযুক্ত যেকোন উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকার সব সময় সহযোগিতা করবে- যোগ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন সিজিআইএআর-এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ খান। স্বাগত বক্তব্য ও সিজিআইএআর এর কার্যক্রম সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করেন সিজিআইএআর-এর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক টেমিনা লালানি-শরিফ। এছাড়া উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৯, ২০২২ ৫:২২ অপরাহ্ন
নদ-নদী প্লাবিত, বিক্রি হচ্ছে মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম
মৎস্য

বর্ষাকালে গাছ-পালা প্রকৃতিতে যেমন পরিবর্তন দেখা দেয়, তেমনি খাল-বিল, নদ-নদী পানিতে প্লাবিত হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে মাছ ধরতে নেমে পড়ে মানুষজন।

কুড়িগ্রাম সদরের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের যাত্রাপুর হাটে দেশীয় মাছ ধরার জন্য বাঁশের তৈরি ডারকি, চেচলা, খলাইসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি বিক্রি করতে দেখা যায়।

চরাঞ্চল বা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এসব মাছ ধরার ফাঁদ তৈরি করে এনে বিক্রি করছেন কারিগররা।

যাত্রাপুর হাটে কারিগররা বাঁশের তৈরি এসব ফাঁদ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় একজোড়া দুটি বিক্রি করছেন।

যাত্রাপুর হাটে মাছ ধরার ফাঁদ (ডারকি) কিনতে আসা মাছ শিকারি শমসের আলী বাংলানিউজকে জানান, বর্ষাকাল এলেই নদী-নালা উপচে খাল-বিলে পানি ঢুকতে শুরু করে। ফলে খাল-বিলে নানা জাতের দেশি মাছও আসে।

আর এসব মাছ ধরাতে বাঁশের তৈরি ফাঁদ খুবই উপযোগী।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বাংলানিউজকে জানান, আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির ফলে নদ-নদী উপচে খাল-বিল-নালায় পনি ঢুকলে সেসঙ্গে দেশীয় প্রজাতির মাছ দেখা দেয়। এসব মাছ ধরার জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে বাঁশের তৈরি ফাঁদ খুব কাজে দেয়। তাই হাটের দিন বিপুল পরিমাণ মাছ ধরার ফাঁদ কেনাবেচা হয়। স্থানীয় কারিগররা এসব বিক্রি করে যেমন লাভবান হন।  ঠিক তেমনি গ্রামাঞ্চলের মানুষ এই ফাঁদ ব্যবহার করে মাছ ধরে নিজেদের চাহিদা মেটাবেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop