৩:৫০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২৪, ২০২২ ৫:৩৩ অপরাহ্ন
নিরাপদ মাছ উৎপাদন ও সরবরাহে কাজ করছে সরকার: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

নিরাপদ মাছ উৎপাদন ও সরবরাহে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে অতীতে মাছের মান নিয়ন্ত্রণে কোন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পরীক্ষাগার ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষাগার স্থাপন করেছেন। মাছের খাবার এবং যে মাছ রপ্তানি করা হবে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এখন সম্ভব হচ্ছে। সরকারের পদক্ষেপের কারণে বাজারে এখন ফরমালিনের প্রয়োগ নেই। মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাসহ সরকারের অন্যান্য পর্যায়ের কর্মকর্তারা দেখভাল করছে।

নিরাপদ মাছ ছাড়া ক্ষতিকর কোন মাছ বাজারে বা অন্য কোন জায়গায় বিক্রি হবে না। যে মাছ ক্ষতিকর তা উৎপাদনও কেউ যাতে করতে না পারে সে বিষয়ে সরকার কাজ করছে।

মন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মৎস্য খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য সর্বপ্রথম গণভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য যেখানে যেভাবে বিনিয়োগ দরকার সেখানে সেভাবে বিনিয়োগ করছেন। তার লক্ষ্য মাঝে যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, শুধু এখানে থেমে থাকলে হবে না। ব্যাপক উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করে বিদেশ থেকে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করব। সে অর্থ দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এ খাতকে আরও সম্প্রসারিত করার জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। যারা এগিয়ে আসবে রাষ্ট্র তাদের সব ধরনের সহায়তা দেবে।

তিনি আরও বলেন, মাছ হবে খাবারের একটা বড় অংশ। মাছ হবে পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানোর একটা সহায়ক খাত। বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করা এবং বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির একটি বড় খাত হবে মাছ।

এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাককে সাথে নিয়ে কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছোট মনির এমপি ও মোছা. শামীমা আক্তার খানম এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

এদিন সকালে গণভবনে থেকে ভার্চুয়ালি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ ও কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুরু হওয়া কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলা আগামী তিন দিন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২২ ৮:০১ পূর্বাহ্ন
ডিজিটাল হাটের কেনা গরু অপছন্দ হলে দেওয়া যাবে ফেরত
প্রাণিসম্পদ

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এবারও চালু হল ‘ডিজিটাল হাট’, যেখানে পছন্দ না হলে অনলাইনে কেনা কোরবানির পশু ফেরত দেওয়ারও ব্যবস্থা থাকছে।

পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতার হিসাব সমস্যার সমাধানের ভার্চুয়াল ক্যালকুলেটরও সংযোজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘ডিজিটাল হাট ২০২২’ এর উদ্বোধন করে তিনি বলেন, “অনলাইনে গবাদি পশু কেনাবেচার ক্ষেত্রে যাতে কেউ প্রতারণার শিকার না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”

ডিজিটাল হাটের সাথে সম্পৃক্ত এটুআই, একশপ, ই-ক্যাব সহ অন্যান্য ফোরামকে সম্মিলিতভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, মানুষের আস্থা বাড়াতেই এটা করা প্রয়োজন।

“যদি কেউ প্রতারিত হয়, তারা আগামী বছর এ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী থাকবে না।”

মন্ত্রী বলেন, “অনলাইনে কেনা গবাদিপশু পছন্দ না হলে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে, যাতে এটা সবার কল্যাণে কাজে লাগে এবং কেউ যেন কোনোভাবে প্রতারণার শিকার না হয়।

“এ বছর ভার্চুয়াল ক্যালকুলেটর নতুন সংযোজন করা হয়েছে। এটি ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে অনাহুত সমস্যা থেকে মুক্ত রাখবে এবং তাদের দুশ্চিন্তা দূর করবে।”

এবারের কোরবানিতে পশুর সংকট হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের জরিপ অনুযায়ী এবার ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে । তার বিপরীতে দেশে কোরবানি যোগ্য গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে ১ কোটি ২১ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৮৯টি।

প্রকাশ : জুন ২৯, ২০২২ ৪:১২ অপরাহ্ন
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুতে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর শোক
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি ।

সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বুধবার সকালে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ১২ জুন রাতে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নির্মল রঞ্জন গুহকে। এরপরই তাকে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৬ জুন দুপুরে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

প্রকাশ : মার্চ ৭, ২০২২ ৫:৩৮ অপরাহ্ন
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ধরে রাখাই হোক ৭ মার্চের প্রত্যয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের মাহকাব্যিক ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মৌলিক ভিত্তি। এ ভাষণে বঞ্চনার অবসানে বাঙালির বিজয়ের কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ধরে রাখাই হোক ৭ মার্চের দৃপ্ত প্রত্যয়”।

সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, পিরোজপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম মন্টু, জেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম লিটন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, “মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহাকাব্যিক মাস। এ মাসেই ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু কার্যত গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন। যার যা কিছু আছে তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়ে এ দিন তিনি সরাসরি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ মাসের ২৬ তারিখ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জীবনের চেয়ে বাঙালিকে ভালোবাসতেন, প্রাণের চেয়ে ভালোবাসতেন বাংলার মাটিকে। সেজন্যই বঙ্গবন্ধু কারো সাথে আপস না করে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় করেছিলেন”।

শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এখন ইউনেস্কোর মূল্যবান দলিলের অংশে পরিণত হয়েছে। সারা দুনিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শ্রদ্ধার জায়গা করে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করি, দল মত নির্বিশেষে আমাদের মৌলিক ভিত্তি ৭ মার্চের ভাষণ। অথচ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ দেশে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এ ভাষণ প্রচারকারীদের নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। আর্কাইভ থেকে এ ভাষণ নষ্ট করে ফেলা হয়েছিল। এভাবে বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্বকে বিনাশ করে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। রাস্টাঘাটে, বইপত্রে, সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে, সরকারি কার্যক্রমে সর্বত্র বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এ ধারাবাহিকতায় গোটা জাতিকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ধ্বংস করে পাকিস্তানী স্টাইলের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২১ বছর রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়”।

তিনি আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুকে বলা হতো শোষিতের কন্ঠস্বর আর শেখ হাসিনাকে বলা হয় দুর্গতদের কন্ঠস্বর। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উন্নত বাংলাদেশের ভিত্তি রচিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক জায়গা ধারণ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে হবে। জয় বাংলা শ্লোগানকে আমাদের প্রাণসঞ্চারী, সঞ্জিবনী শ্লোগান হিসেবে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে”।

এদিন সকালে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর আওতাদীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেন মন্ত্রী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকসহ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৭, ২০২১ ৬:৩১ অপরাহ্ন
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর শোক
প্রাণিসম্পদ

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

শোকবার্তায় মন্ত্রী জানান, “আবদুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে বাংলাদেশের আইন অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো। আইন অঙ্গনে ৫০ বছরেরও অধিক সময় তার দৃপ্ত পদচারণা ছিলো। তিনি ছিলেন আইনজীবীদের জনপ্রিয় নেতা। আইনজীবীদের কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনসহ তিনি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। দেশে আইনর শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় তার অবদান দীর্ঘকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে”।

প্রকাশ : অক্টোবর ১১, ২০২১ ৫:০৪ অপরাহ্ন
আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তরুণদের স্বনির্ভর হতে হবে :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, “আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তরুণদের স্বনির্ভর হতে হবে। মেধায়, চিন্তা-চেতনায়, সততা ও নৈতিকতায় কর্মক্ষম মানুষ হতে হবে। শুধু ভালো জিপিএ দিয়ে আদর্শ মানুষ হওয়া যায় না। নিজের প্রতিভা ও যোগ্যতার বিকাশ ঘটাতে হবে। তাদের যেন চাকরির নেশায় পেয়ে না বসে। ঐকান্তিক ইচ্ছা, নিরলস প্রচেষ্টা, গভীর অধ্যাবসায় এবং সততা ধারণ করতে পারলে তরুণরা কখনো ব্যর্থ হবে না। তরুণদের স্বাবলম্বী করার জন্য সরকার সকল সহেযোগিতা করবে”।

সোমবার (১১ অক্টোবর) পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহিদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত বাংলাদেশ: তারুণ্যের ভাবনায় মিট দ্যা মিনিস্টার’ শীর্ষক সংলাপে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির অহমেদের সঞ্চলনায় এ আয়োজনে প্যানেল আলোচক ছিলেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী ও দৈনিক ইত্তেফাকের পিরোজপুর প্রতিনিধি মুনিরুজ্জামান নাসিম আলী।

তিনি আরো বলেন, “তরুণ প্রজন্মের আগ্রই হচ্ছে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। তাদের মধ্যে আকাঙ্খা জাগ্রত করতে না পারলে মাতৃভূমি বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের ধারণা অস্পষ্ট থেকে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল-আমরা সবাই ভালো মানুষ হবো। আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ থাকবে না, কোনভাবে সাম্প্রদায়িকতায় জড়িত হবো না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলে-মিশে থাকবো। দেশে দুর্নীতি থাকবে না, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য থাকবে না। গ্রামের একজন মানুষ না খেয়ে মারা যাবে, আরেকজন শত কোটি টাকার মালিক হবে, সেটা হবে না। এ দেশটা আমাদের সকলের। প্রত্যেকটি মানুষের নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার সমান”।

সুশাসন সম্পর্কিত তরুণদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ সময় বলেন, “সবার জন্য একই ধরনের শাসনই হলো সুশাসন। সরকারি কর্মকর্তাদের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন, কেউ দুর্নীতি করলে, অন্যায় করলে ছাড় না পাওয়া-সেটাই সুশাসন। সমাজের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য যেটা ন্যায্য, যেটা ভালো সেটা প্রশাসনিকভাবে সবার জায়গা থেকে করাই হচ্ছে সুশাসন”।

তরুণদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, “আইন অনুযায়ী নিম্ন আদালত পরিপূর্ণভাবে স্বাধীন। আদালতের অনিয়ম দূর করার জন্য সরকার সচেষ্ট রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে বিচারের জন্য মানুষের হাহাকার থাকবে না”।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোভিড ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে শ ম রেজাউল করিম বলেন, “কোভিড ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ যা করতে পেরেছে তা পৃথিবীর অনেক দেশ পারে নি। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র নীতির অভাবনীয় সাফল্য। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দূরদৃষ্টির পরিচয় দিয়েছেন, এটা সারা বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছে। পররাষ্ট্র নীতিতে ও ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনায় অনন্য নজির দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা”।

এর আগে মন্ত্রী পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন, ঘূর্ণিঝড় ও অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের মাঝে ঢেউটিন ও আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগীদের মাঝে মিল্ক ক্রিম সেপারেট মেশিন বিতরণ করেন। পরে পিরোজপুর জেলা ব্যান্ড বুকের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। একইদিন বিকেলে শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন দুর্গা মন্দিরে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান, ব্যক্তিগত অনুদান এবং জেলা পরিষদের অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন মন্ত্রী।

মিল্ক ক্রিম সেপারেট মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বরেন, “দেশের যেসব অঞ্চলে অধিক দুধ উৎপাদিত হয় সেসব অঞ্চলে উৎপাদনকারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং দুধ বাজারে বিক্রির সময় প্রতিকূল অবস্থায় পড়লে বিকল্প ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার মিল্ক ক্রিম সেপারেটর মেশিন দিচ্ছে। পোল্ট্রি, ডেইরি বা মৎস্য খাতের মাথে সম্পৃক্তদের প্রণোদনা প্রদানের এ ধারাকে অব্যাহত রাখা হবে। প্রান্তিক পর্যায়ে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনকারীদের শেখ হাসিনা সরকার স্বাবলম্বী করতে চায়। শেখ হাসিনা সরকার সব সময় মানুষের পাশে আছে, পাশে থাকবে”।

প্রকাশ : অক্টোবর ১০, ২০২১ ৬:২৬ অপরাহ্ন
বাঙালির ঐক্যের তান হোক সম্প্রীতির বাংলাদেশ: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “বাঙালির ঐক্যের তান হোক সম্প্রীতির বাংলাদেশ। বাঙালির বাংলাদেশে, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আজকের সমাজ ব্যবস্থায় মানুষরূপী যে অসুর রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে”।

রবিবার (১০ অক্টোবর) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে নাজিরপুর উপজেলার দুর্গা মন্দিরের সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক বিতরণ, ব্যক্তিগত অনুদান প্রদান এবং জেলা পরিষদের অনুদান প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদ পিরোজপুর, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এবং নাজিরপুর পূজা উদডাপন পরিষদ যৌথভাবে এ মতিবিনিময় সভা আয়োজন করে।

তিনি আরো বলেন, “সকল ধর্মই সৃষ্টির কল্যাণের কথা বলে। সত্যকে গ্রহণ করে অসত্যকে বর্জন করার কথা বলে। পরার্থে নিজেকে বিলীন করার কথা বলে। কোন ধর্মই উগ্রতাকে প্রশ্রয় দেয় না। কিছু উগ্র ব্যক্তি আছে যারা নিজেদের মতো করে আলাদা ধর্ম রচনা করে। সে ধর্ম দিয়ে সমাজে সম্প্রীতি নষ্ট করে, মানবতার জয়গানে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। তারা মানবতার শত্রু, অসাম্প্রদায়িকতার শত্রু। এরা অস্তিত্বের উৎসমূলে আঘাত করে, ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করে। এদের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে”।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “দুর্গাপূজা এখন আর পূজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা এখন বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমাদের সৌভাতৃত্ব, সহমর্মিতা, ভালোবাসা আমাদের একটি জায়গায় আবদ্ধ করেছে। সে জায়গা হচ্ছে আমরা সকলে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি। যে বাঙালিত্বকে প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের ত্রিশ লাখ শহিদ রক্ত দিয়েছিল, দুই লাখ মা-বোন সম্ভ্রম দিয়েছিল”।

নাজিরপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুখরঞ্জন বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমল কৃষ্ণ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি সুরঞ্জিত দত্ত লিটু প্রমুখ।

এর আগে মন্ত্রী নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের দিঘীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন এবং নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হল রুম নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১ ৬:৩৩ অপরাহ্ন
প্রতিটি মাছ বাজারে একটি করে ফরমালিন বুথ স্থাপন দুরূহ: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মাছে ফরমালিনের ব্যবহার রোধে মৎস্য অধিদপ্তর নিয়মিতভাবে বাজার পরিদর্শন, অভিযান ও মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে আসছে। মৎস্য অধিদপ্তরের সীমিত জনবল দিয়ে বর্তমানে প্রতিটি মাছ বাজারে একটি করে ফরমালিন বুথ স্থাপন করা দুরূহ।’

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সংসদে টেবিলে উত্থাপিত দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, তবে খাদ্যে ভেজাল রোধে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আওতায় বাজার পরিদর্শন, মোবাইলকোর্ট পরিচালনা ও ফরমালিন মুক্ত বাজার ঘোষণা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনার (মার্চ, ২০১৬ থেকে জুন, ২০২১ পর্যন্ত) আওতায় ১০৫টি উপজেলাকে মাছ বিপণনে ফরমালিন মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ৪২ হাজার ১৬১টি বাজার পরিদর্শন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিগত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সারাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার, আড়ত এবং অবতরণকেন্দ্রে সর্বমোট ২ হাজার ৮৬৪টি অভিযান, ২২৬টি মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে মাছ জব্দ ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান অবস্থায় সরকার তথা সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রতিটি আড়তে মনিটরিং সেল গঠন করা যেতে পারে।

ভবিষ্যতে মৎস্য অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবলের সংস্থান করলে মাছে ফরমালিন ব্যবহার প্রতিরোধে প্রতিটি মৎস্য আড়তে মনিটরিং কার্যক্রম আরও জোরদার করা সম্ভব হবে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১ ৬:৩৪ অপরাহ্ন
হাওর অঞ্চলের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

হাওর অঞ্চলের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন হাওরে দেশীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন,”হাওর অঞ্চলকে উন্নত-সমৃদ্ধ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা বর্তমান সরকার করবে। প্রাকৃতিক পরিবেশ স্বাভাবিক রেখে হাওর অঞ্চল কিভাবে উন্নত করা যায় এ লক্ষ্যে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে হাওর অঞ্চলের মৎস্যসম্পদ কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়, কীভাবে মৎস্যসম্পদকে জাতীয় অর্থনৈতিক সম্পদে পরিণত করা যায় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। হাওর অঞ্চলের মাছ কীভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন করা যায়, মৎস্যজাত পণ্য কিভাবে সৃষ্টি করা যায়, এ বিষয়গুলো গভীরভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।”

শীঘ্রই কিশোরগঞ্জে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের হাওর মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও এ সময় জানান মন্ত্রী।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “প্লাস্টিক বা অন্যান্য বর্জ্যের কারণে মৎস্যসম্পদ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাছের ডিম নষ্ট হয়, প্রজনন বাধাগ্রস্ত হয়। হাওড়ের মধ্যে প্লাস্টিক জাতীয় বা অন্যান্য বর্জ্য কেউ যাতে না ফেলে সে জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হয়ে গেলে আমরা সবাই এর ক্ষতির মুখোমুখি হবো। তাই হাওরের পরিবেশ রক্ষায় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ ও মিঠামইন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আছিয়া আলম। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও সুবোল বোস মনি, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার পাল, মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিন মিঠামইন হাওরে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পাবদা, গুলশা, টেংরা, চিতল, ফলি, দেশি পুঁটি, ঢেলা, হিরালু, দেশি শোল, মহাশোল, সুবর্ণ রুই ও কাতলা মাছের প্রায় ১২ হাজার পোনা অবমুক্ত করা হয়।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১ ৪:২০ অপরাহ্ন
মৎস্যসম্পদের বহুমুখী ব্যবহারের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করার জন্য মৎস্যসম্পদের বহুমুখী ব্যবহারের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২১ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, “মৎস্যসম্পদের বহুমুখী ব্যবহারের ক্ষেত্র সৃষ্টির জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। শুধু ভাতের সাথে মাছ খাওয়া নয়, মাছ থেকে কী কী পণ্য তৈরি করা যায় সেটা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশে মৎস্য ও মৎস্যজাতীয় জলজ সম্পদ থেকে বিভিন্ন বেকারি পণ্য তৈরি হচ্ছে। মাছ থেকে চিপস, ফিস বল বা অন্যান্য খাবার তৈরি করা যেতে পারে। মাছের বহুবিধ ব্যবহারে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে। অনেকে স্বাভাবিকভাবে মাছ খায়না কিন্তু রেস্তোরায় মাছ দিয়ে তৈরি খাবার খেতে চায়। পুষ্টি চাহিদা পূরণে এক প্রক্রিয়ায় মাছ না খেলে মানুষকে অন্য প্রক্রিয়ায় খাওয়াতে হবে। আমরা চাই মাছের বহুমুখী পণ্যের বিকাশ হোক।”

দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা মৎস্য খাদ্য উপকরণ দেশে তৈরির শিল্প স্থাপনে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার জন্য এ সময় আহ্বান জানান মন্ত্রী। কর অব্যাহতি সুযোগসহ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে ধরনের সহযোগিতা লাগবে তা দেওয়া হবে বলেও এসময় আশ্বস্ত করেন তিনি। আমাদের মৎস্যসম্পদ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কোন অংশে কম নয় উল্লেখ করে দেশের সমুদ্র অঞ্চল, বদ্ধ জলাশয় ও উন্মুক্ত জলাশয়সহ মৎস্য চাষ উপযোগী সব ক্ষেত্রের সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য সৃজনশীল কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, “মৎস্য খাতের যে কোন সমস্যা সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে যা কিছু করণীয় সেটা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান তাঁর সরকার আমলে মৎস্য খাত বিকশিত হোক। সেজন্য তিনি এ খাতে সকল সহযোগিতার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। মৎস্যজীবী নয় এমন মানুষের কার্ড বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কার্ড দেয়া এবং তাদের কাছে যথাযথভাবে সরকারি সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে পূর্বের চেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করে আমরা কাজ করছি।”

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বিদেশে মৎস্য রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থে রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। যাতে কোন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জাল সনদ অথবা রাসায়নিক মিশ্রিত মৎস্য রপ্তানি না করে। মৎস্য খাতে কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে ভালো কাজ করা ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ খাতে ভালো কাজ করা ব্যক্তিদের আমরা সহযোগিতা করতে চাই।”

এ সময় তিনি বলেন, “মৎস্য খাত সংশ্লিষ্টদের উদ্বুদ্ধ করা, উচ্ছ্বসিত করা ও কাজে সম্পৃক্ত করা, এ খাতের প্রতি জনগণকে আগ্রহী করে তোলা এবং এ খাতের সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের মাধ্যমে খাতটিকে গতিশীল করার জন্য প্রতি বছর মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হয়। পাশাপাশি এ খাতে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করাও মৎস্য সপ্তাহের অন্যতম লক্ষ্য। করোনায় সৃষ্ট বেকারত্ব দূর করতে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ একটা ক্ষেত্র হতে পারে। এ কারণে এ বছর মৎস্য সপ্তাহে বিষয়টিকে প্রতিপাদ্য হিসেবে রাখা হয়েছে।”

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২১ উদযাপনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের বাস্তবায়িত কার্যক্রম তুলে ধরেন মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অভ্যন্তরীণ মৎস্য) আজিজুল হক। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের উপপরিচালক মোঃ আনিছুর রহমান তালুকদার, যশোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব মোঃ আহসানুজ্জমান, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমানউল্লাহ, বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ২০৪১ সালের মধ্যে মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ করার প্রত্যয়ের কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মোঃ তৌফিকুল আরিফসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের মৎস্য কর্মকর্তাগণ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop