১০:২৯ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ৬, ২০২৩ ৭:০৯ অপরাহ্ন
উদ্ভোধন হলো সংসদ ভবনে মাছ ধরার কার্যক্রম
মৎস্য

জাতীয় সংসদ লেকে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের জন্য বড়শি দিয়ে মাছ-ধরা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকালে লেকের ১৯ ও ২০ নম্বর ফিশিং পয়েন্টে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এসময় একাদশ জাতীয় সংসদের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, খাদিজাতুল আনোয়ার এমপি ও আদিবা আনজুম মিতা এমপি উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি, বড়শি দিয়ে মাছ শিকারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৬, ২০২৩ ১১:৪৮ অপরাহ্ন
নওগাঁয় মাছ চাষে বিপ্লব
মৎস্য

স্থানীয় মৎস্য অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, গত অর্থবছরে নওগাঁয় ৮৩ হাজার ৮৬১ টন, এর মধ্য থেকে ১২২ টন মাছ বিদেশে রফতানি করেছে ৩ প্রতিষ্ঠান। ৭ নদী, ১২৩ বিল জলাশয় ও ৪৮ হাজার পুকুরে নিবন্ধিত এ জেলার মাছ চাষি ৫২ হাজার। জেলায় বার্ষিক মাছের চাহিদা ৬১ হাজার টন কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ৮৩ হাজার টন। দৈনিক মাথাপিছু ৬০ গ্রাম মাছের চাহিদা হিসাবে মাছের উদ্বৃত্ত উৎপাদন ২২ হাজার ৮৭৮ টন। যেখানে আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৬৩ হাজার টন।

বার্ষিক চাহিদার ২০ হাজার টন বেশি মাছ উৎপাদন হচ্ছে। তবে মাছের খাবারের দর দফায় দফায় বৃদ্ধি মাছ চাষিদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। বিদেশে মাছ রফতানির সুযোগ সৃষ্টি ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর দাবি উদ্যোক্তাদের। রুক্ষ বরেন্দ্রভূমি নওগাঁর নিয়ামতপুরের কয়েকটি পুকুরে মাছ চাষিরা জানান, বরেন্দ্রভূমিতে গত দেড় দশকে মাছ চাষে এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। লাভজনক হওয়ায় মাছ চাষের কারবারে এগিয়ে এসেছেন অনেক শিক্ষিত বেকার তরুণরাও।

স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন বোনা এসব উদ্যোক্তা পুকুরে চাষ করছেন দ্রুত বর্ধনশীল রুই, কাতল মৃগেল তেলা পিয়া, পাঙাশ দেশীয় হারিয়ে যাওয়া অনেক প্রজাতির মাছ। আর চাষ করা এসব জীবন্ত মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে গত কয়েক মাস ধরে মাছের ফিডের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধিতে চিন্তায় ফেলেছে মাছ চাষি উদ্যোক্তাদের। মাছ চাষি সাদ্দাম হোসেন বলেন, গত দু’বছর ভালো লাভ হলেও এখন ফিডের দাম বেশিতে লাভ কম হচ্ছে।

এদিকে পুকুর থেকে তোলা মাছ আড়তে বেচতে এসে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের জালে দরবঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি নানা হয়রানির শিকার মাছ চাষিরা। নিয়ামতপুরের মাছ চাষি দুরুল ইসলাম জানান, আড়তে ৫০ কেজিতে মণ নেয়া ও সিন্ডিকেট করে দাম কমানোয় তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। উন্মুক্ত জলাশয় ও পুকুরে মাছ চাষ বাড়াতে আধুনিক কলাকৌশল প্রদানসহ উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতার কথা জানায় মৎস্য বিভাগ।

জেলায় নিবন্ধিত মৎস্যজীবীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৫১ জন, সর্বমোট মৎস্য চাষির সংখ্যা ৩৩ হাজার ২৭৬ জন। জেলায় ৫টি সরকারি মৎস্য হ্যাচারি ও ২৮টি বেসরকারি মৎস্য হ্যাচারি রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২৩ ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
২০ এপ্রিল থেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ কাপ্তাই হ্রদে
মৎস্য

হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় এবং কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে আগামী ২০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে হ্রদে সকল প্রকার মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।

সোমবার (১০ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জরুরী সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অংশ নেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাঙ্গামাটি জেলার ব্যবস্থাপকসহ জেলার মাছ ব্যবসায়ীরা।

মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অবৈধভাবে মাছ শিকার বন্ধে হ্রদ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১০, ২০২৩ ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
গবেষণায় ফিরে এলো বিলুপ্তপ্রায় জারুয়া মাছ
বিজ্ঞান ও গবেষণা

একের পর এক সফলতা অর্জন করে চলেছেন, নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি উপকেন্দ্র সৈয়দপুরের বিজ্ঞানীরা। গুতুম, টেংরাসহ অন্যান্য বিলুপ্ত মাছের পোনা উত্পাদনের পর এবার জারুয়া মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উত্পাদনে সফলতা দেখিয়েছেন তারা।

কেন্দ্রের একদল বিজ্ঞানী এই মাছটি রক্ষায় ২০১৮ সাল থেকে নিবিড়ভাবে গবেষণা শুরু করেন। অবশেষে সেই সফলতা আসে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। জারুয়া মাছের এ গবেষণা সফলতার ফলে ব্যক্তি মালিকাধীন ও সরকারি মত্স্য হ্যচারিসমূহে জারুয়া মাছের পোনা প্রাপ্তি সহজতর হবে বলে ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে। কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আজহার আলীর নেতৃত্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালিহা হোসেন, ইশতিয়াক হায়দার, শ্রীবাস কুমার সাহা, তাশরিফ মাহমুদ মিনহাজ এই গবেষণায় অংশ নেন।

জারুয়া মাছ মূলত বাংলাদেশের মিঠাপানির একটি মাছ। মাছটির (বৈজ্ঞানিক নাম Chagunius chagunio)। দেশের উত্তর জনপদে মাছটি উত্তি নামে পরিচিত। মিঠাপানির জলাশয় বিশেষ করে পাথুরে তলদেশ ও অগভীর স্বচ্ছ নদীতে এদের আবাসস্থল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। মাছটি সুস্বাদু, মানবদেহের জন্য উপকারী অণুপুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ এবং উত্তরাঞ্চলে খুবই জনপ্রিয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একসময় মাছটির প্রাচুর্য ছিল। মাছটির উত্তর জনপদে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু জলাশয় দূষণ অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, নদীতে বানা ও কারেন্ট জালের ব্যবহার এবং চৈত্র মাসে জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরা নানাবিধ কারণে বাসস্থান ও প্রজননক্ষেত্র বিনষ্ট হওয়ায় এ মাছের প্রাচুর্যও ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রজাতিটিকে বিপন্নের হাত থেকে রক্ষার লক্ষ্যে ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি উপকেন্দ্রের দীর্ঘ পাঁচ বছর গবেষণা চালিয়ে প্রথম বারের মতো কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উত্পাদনের কলাকৌশল উদ্ভাবনে সফলতা লাভ করেছে।

ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, জারুয়া মাছের প্রধান প্রজননকাল জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রজনন মৌসুমের এক-দুই মাস আগেই নদনদী, বিল, হ্রদ ইত্যাদি থেকে সুস্থ-সবল ও রোগমুক্ত ১০০-১৫০ গ্রাম ওজনের জারুয়া মাছ সংগ্রহ করে পূর্ব প্রস্তুতকৃত পুকুরে শতাংশে ১৫০টির সঙ্গে দুটি কাতলা, দুটি সিলভার কার্প, তিনটি রুই এবং তিনটি রাজপুঁটি মজুত করে এক-দুই মাস প্রতিপালন করে প্রজনন উপযোগী ব্রড মাছ তৈরি করা যায়।

মজুতকৃত মাছগুলোকে প্রতিদিন দেহ ওজনের ৫-৩ শতাংশ হারে ৩০ শতাংশ প্রোটিনসমৃদ্ধ সম্পূরক খাবার সরবরাহ করতে হবে। নিয়মিত পানির গুণাগুণ যেমন তাপমাত্রা, পিএইচ, দ্রবীভূত অক্সিজেন, অ্যামোনিয়া ও মোট ক্ষারত্বের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। মজুতের পর থেকে প্রতি ১৫ দিন পরপর জাল টেনে মাছের দেহের বৃদ্ধি ও পরিপক্বতা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য পুকুরে এয়ারেটর ব্রড স্থাপন করা যেতে পারে।

একটি পরিপক্ব মা-মাছ থেকে বয়স ও ওজনভেদে প্রতি ১০০ গ্রাম দৈহিক ওজনের জন্য ১২ হাজার থেকে ২২ হাজার ১৭৫টি ডিম পাওয়া যায়। মাছটি প্রায় ৫০ সেমি এবং ২৫০-৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে তবে অঞ্চলভেদে ১৫০-২০০ গ্রাম থেকেই স্ত্রী মাছ প্রজননক্ষম হতে শুরু করে।

সিস্টার্নে স্থাপনকৃত হাপায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন নিশ্চিত করতে কৃত্রিম ঝরনা ব্যবহার করা হয়। প্রজননের জন্য জারুয়া মাছের স্ত্রী ও পুরুষ মাছকে কৃত্রিম হরমোন ওভোহোম দ্রবণ বক্ষ পাখনার নিচে ইনজেকশন হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। জারুয়া মাছের কৃত্রিম প্রজননে একক মাত্রার হরমোন ইনজেকশন প্রতি কেজি পুরুষ মাছকে ০.৫ মি.লি. হারে এবং স্ত্রী মাছকে ২.০ মি.লি. হারে প্রয়োগ করা হয়।

হরমোন ইনজেকশন প্রয়োগের ১৮-২০ ঘণ্টা পর স্ত্রী মাছকে চাপ প্রয়োগ করে ডিম বের করা হয় এবং পুরুষ মাছের স্পার্ম বের করে ০ দশমিক ৯ শতাংশ লবণ পানির সঙ্গে মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করা হয়। উক্ত দ্রবণ ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে পাখির পালক দিয়ে দুই-তিন মিনিট নাড়ানো হয় এবং ফ্রেশ পানি দিয়ে ধুয়ে ট্রেতে কৃত্রিম ঝরনায় স্থানান্তর করা হয়। ডিম ছাড়ার ৮০-১০৪ ঘণ্টা পর ডিম থেকে রেণু বের হয়। রেণু বের হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পর থেকে রেণুকে খাবার দিতে হবে। রেণু পোনাকে সিদ্ধ ডিমের কুসুমের দ্রবণ দিনে ছয় ঘণ্টা পরপর চার বার দিতে হবে। হাপাতে রেণু পোনাকে এভাবে সপ্তাহব্যাপী রাখার পর নার্সারিতে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ছোট পুকুর (১-৫ শতক) নার্সারি হিসাবে ব্যবহার করা যায় এবং সঠিক পরিচর্যায় ৫০-৬০ দিনের মধ্যে আঙুলি পোনায় পরিণত হয়।

কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আজহার আলী জানান, ‘বিলুপ্তপ্রায় এই মাছটি খানসামার জয়গঞ্জ এলাকার আত্রাই নদী থেকে সংগ্রহ করা হয়। এরপর দীর্ঘ গবেষণার পর কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উত্পাদনে সফলতা আসে। আমরা প্রযুক্তি হেড অফিসে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে মত্স্য বিভাগের মাধ্যমে চাষি পর্যায়ে যাবে জারুয়া মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উত্পাদনের কৌশল।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, দেশের মত্স্য উত্পাদনে দেশীয় ছোট মাছের অবদান ৩০-৩৫ শতাংশ। দেশীয় মাছের চাষাবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের মানুষ এর সুফল পাচ্ছে। জারুয়া মাছের কৃত্রিম প্রজননে সফলতা এর নতুন সংযোজন। মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা কার্যক্রম সাম্প্রতিক কালে জোরদার করা হয়েছে এবং দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে গবেষণা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব দেশীয় মাছকে পুনরুদ্ধার করার জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৫, ২০২৩ ৩:৫৬ অপরাহ্ন
জালে আটকা পড়লো ৩১ কেজির বাঘাইড়
মৎস্য

গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে জেলের জালে ধরা পড়ে ৩১ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ। আর এই মাছটি বিক্রি হয় ২১ হাজার ৭০০ টাকায়। পরে মাছটি ক্রেতারা ভাগাভাগি করে নেন।

মঙ্গলবার বিকালে পলাশবাড়ী পৌরশহরে বিশালাকৃতির এই বাঘাইড় মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন এক জেলে। এ সময় উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। এরই মধ্যে দাম হাঁকানো হলে প্রতি কেজি ৭০০ টাকা দরে ক্রয় করেন ভোক্তারা। যৌথভাবে মাছ কিনে নেওয়া হয় বলে জানান তারা।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই জেলে (বিক্রেতা) জানান, গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে তার জালে বিশালাকৃতির বাঘাইড় মাছটি ধরা পড়ে। এরপর বিক্রির জন্য পলাশবাড়ী পৌর শহরে উঠানো হয়। গ্রাহকদের দর-দামের একপর্যায়ে ৩১ কেজি ওজনের বাঘাইড়টি ২১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেন। এর আগেও ৪৫ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ তার জালে আটকা পড়ছিল বলেও জানান তিনি।

পলাশবাড়ীর ক্রেতা সুমন মিয়াসহ অনেকে বলেন, বড় আকারের এই মাছটি দেখে কেনার আগ্রহ হয়। সামর্থ্য না থাকায় এককভাবে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই আমরা কয়েকজন মিলে ৭০০ টাকা কেজি দরে মোট ২১ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২৩ ৫:৪৪ অপরাহ্ন
নদী দূষণে মরে যাচ্ছে মাছ
মৎস্য

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে পানি দূষণে জাটকাসহ নির্বিচারে মারা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ জলজ প্রাণী। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গার কল-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য পানিতে মিশে দূষণের সৃষ্টি করেছে দাবি স্থানীয় জেলেদের।

পানির গুণাগুণ পরীক্ষা করে মৎস্য বিজ্ঞানীরাও প্রাথমিক পর্যায়ে এর সত্যতা পেয়েছেন। তারা বলছেন, নদী দূষণ বন্ধ করা না গেলে আগামীতে মেঘনায় ইলিশসহ সব মাছের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘুরে ঘুরে উড়ে উড়ে মনের আনন্দে উদরপূর্তি করছে এক ঝাঁক কাক, তবে কোনো অনুষ্ঠানের ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট নয়। মেঘনা নদীর তীরে মরে পড়ে থাকা মাছ খাওয়ায় মেতে উঠেছে তারা।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমন দৃশ্যের দেখা মিলছে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের বাবু বাজার এলাকার মেঘনা নদীর তীরে।

সম্প্রতি ওই ইউনিয়নে মেঘনার পানি দূষণের ফলে বাবু বাজার, ইস্পাহানির চর, গজারিয়া, ষাটনল, সটাকি, মহনপুর, এখলাসপুরসহ প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে নদীর সকল মাছ মরে ভেসে উঠেছে তীরে। জাটকা, পোয়া, বেলে, চেউয়া, চিংড়ি, কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুকসহ নদীতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাসহ বেঁচে নেই কোনো জলজ প্রাণী। নদীর তীরে পড়ে থাকা এসম মাছ পচে, গলে পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনছে। দুগন্ধের পাশাপাশি কালচে বর্ণ ধারণ করে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে নদীর পানি।

মতলব উত্তর উপজেলার বাবু বাজার এলাকার জেলে রতন দাস বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন কল-কারখানার দূষিত বর্জ্য মেঘনা নদীতে ছড়িয়ে পড়ায় নদীতে থাকা সব মাছ মরে তীরে ভেসে উঠেছে। গত কয়েক দিন ধরে শতশত মানুষ মৃত মাছ সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক মাছ নদীর তীরে পচে গন্ধ চড়াচ্ছে। কাক, চিল খাচ্ছে এসব মাছ। সরকার ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অথচ পানি পচে গিয়ে জাটকাসহ সকল মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে আমরা কী ধরবো নদীতে!

শনিবার দুপুরে গুণাগণ পরীক্ষায় নদীর পানি সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মেজবাবুল আলম। দূষণের কারণে পানিতে অ্যামোনিয়ার উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় মাছ মরে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১, ২০২৩ ৪:৩৫ অপরাহ্ন
জাটকা নিধন বন্ধ হলে দেশের মানুষ সুস্বাদু বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

জাটকা নিধন বন্ধ হলে দেশের মানুষ সুস্বাদু বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (০১ এপ্রিল) সকালে পিরোজপুরের হুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, একটা মা ইলিশ ছয় লক্ষাধিক ডিম দেয়। কিছু দুর্বৃত্ত বালু উত্তোলন করতে গিয়ে ইলিশের প্রজননস্থলের পরিবেশ নষ্ট করে। নদী দূষণ করে ইলিশের ডিম ও পোনা নষ্ট করে। ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে যত্রতত্র মাছ আহরণ করে মা ইলিশ ও জাটকা নিধন করে। একটা মা ইলিশ ধরা মানে ছয় লাখ ডিম নষ্ট করা। জাটকা ধরা মানে ছোট ইলিশ বড় হওয়ার পথ রুদ্ধ করে দেওয়া। যারা জাটকা ধরছে, এ মাছ বড় হলে তারাই ধরবে, বড় মাছ বিক্রি করে তারাই লাভবান হবেন। দেশের মানুষ সুস্বাদু বড় ইলিশ খেতে পারবে।

তিনি বলেন, একটা সময় দেশে মাছের আকাল ছিল। বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ মাছের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। ইলিশের উৎপাদন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিশ্বের মোট ইলিশের শতকরা ৮০ ভাগ শুধু বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। ২০০৮-০৯ সালে দেশে ইলিশের মোট উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন। ২০২১-২২ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা এবং তাঁর সরকারের অবদানের কারণে ইলিশের উৎপাদন অভাবনীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, সরকারের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি ঘরে সুস্বাদু ও সুদৃশ্য ইলিশ পৌঁছে দেওয়া এবং উদ্বৃত্ত উৎপাদন হলে দেশের বাইরে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা। তাই মৎস্যজীবীদের কাছে আহ্বান, জাটকা যাতে কেউ ধরতে না পারে।

মন্ত্রী আরো জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের অভিযাত্রায় স্মার্ট মৎস্য খাতের দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির অনেক মাছ ফিরিয়ে এনে লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের পোনা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে অঞ্চলে যে মাছ নেই, সে অঞ্চলে সে মাছের পোনা ছাড়া হচ্ছে। এভাবে ভাতে-মাছে বাঙালির বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি আবার ফিরিয়ে আনা হবে।

শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, দেশে মাছের উৎপাদন বাড়ার ফলে খাবারের যোগান বৃদ্ধি পাচ্ছে, পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে। মাছ চাষের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। মাছ উৎপাদন, পরিবহন, বিপণন ও রপ্তানির মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হচ্ছে। অপরদিকে মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে যা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, জিআই সনদপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদ ইলিশ বিলুপ্ত হলে বাঙালির গর্বের ইলিশের জিআই সনদ থাকবে না।
সেজন্য কোনোভাবেই মা ইলিশ ধরা যাবেনা, জাটকা ইলিশ নিধন করা যাবে না। জাটকা নিধন বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ দেওয়া হচ্ছে, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইলিশ বড় হতে দিতে হবে। বড় ইলিশ মৎস্যজীবীরাই আহরণ করবে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, জাটকা নিধন বন্ধ না করলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। যারাই জাটকা নিধনের অবৈধ কাজে জড়িত থাকবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের মামলা ও জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, নৌপুলিশের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন এস এম এনামুল হাসান, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পিরোজপুরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেষে জাটকা রক্ষায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর প্রতিনিধিসহ কয়েকহাজার জেলে ও মৎস্যজীবীদের সাথে পিরোজপুরের হুলারহাট লঞ্চ ঘাট থেকে কচা নদীতে বর্ণাঢ্য নৌর‍্যালিতে অংশ নেন মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ‘করলে জাটকা সংরক্ষণ, বাড়বে ইলিশের উৎপাদন’-এ প্রতিপাদ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হয়েছে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩। চলবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদপ্তর।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২৩ ৬:৫৪ অপরাহ্ন
মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু
মৎস্য

শরীয়তপুরে নড়িয়ায় পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (২৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের বাহের কুশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের এলাহী বক্স ওঝার ছেলে সিরাজ ওঝা (৩৫) এবং একই এলাকার আবুল বাসার মাঝির ছেলে শাহিন শেখ (৩৬), তিনি পেশায় মাঝি। নিহতদের একজনে পরিচয় জানা যায়নি।

ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পরিষদের ৫নম্বার ওয়ার্ডের সদস্য বুলবুল আহম্মেদ বলেন, ঘড়িষার ইউনিয়নের বাহের কুশিয়া গ্রামে জানু মেম্বারের মাছের পুকুরে মাছ ধরতে গেলে ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহিন শেখসহ কয়েকজন বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শাহিন ও সিরাজকে মৃত ঘোষণা করেন।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৯, ২০২৩ ৫:১৬ অপরাহ্ন
নদীতে ভাসছে লাখ লাখ মরা মাছ
মৎস্য

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের ডার্লিং-বাকা নদীতে মারা গেছে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ মাছ। আর এ ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে মেনিন্ডি শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে।

মরা মাছের দুর্গন্ধে টিকতে পারছে না তারা। ফলে বন্ধ রাখতে হচ্ছে ঘরের দরজা-জানালা। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

মেনিন্ডি শহরে মাত্র ৫০০ জনের মতো মানুষ বসবাস করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ধারণা করছেন, পচনশীল মাছগুলো পানি থেকে আরও অক্সিজেন শুষে নেবে, যার ফলে মারা যাবে আরও বেশি মাছ।

স্থানীয় বাসিন্দারা ধোঁয়া ও গোসলের জন্য নদীর পানির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু লাখ লাখ মাছ মারা যাওয়ার কারণে নদীর পানি মৌলিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা কঠিন হয়ে উঠেছে।

এর আগে গত শুক্রবার সকালে নদীতে লাখ লাখ মরা মাছ ভাসতে দেখেন শহরের বাসিন্দারা। স্থানীয় নদী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তীব্র গরমে পানি কমে মারা গেছে মাছগুলো।
অবশ্য তিন বছর আগে ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি এ ধরনের আরেকটি ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন মেনিন্ডি শহরের বাসিন্দারা। তবে এবার মারা যাওয়া মাছের সংখ্যা অনেক বেশি।

নিউ সাউথ ওয়েলসের ডিপার্টমেন্ট অব প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিপিআই) বলছে, লাখ লাখ মরা মাছ দেখতে পাওয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য পীড়াদায়ক অনুভূতি।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২৩ ৭:৪৮ অপরাহ্ন
৬০ দেশে দেশেই যাচ্ছে সুনামগঞ্জের হাওরের মাছ
মৎস্য

মাছ খেতে কার না ভালো লাগে। আর সেই মাছ যদি হাওর-নদীর দূষণমুক্ত সুস্বাদু হয় তাহলে তো কথাই নেই। দেশের সব অঞ্চলে মাছ কমবেশি থাকলেও হাওরের মৎস্য সম্পদের জন্য এখনও বিখ্যাত সুনামগঞ্জ। দেশের ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে শুধু সুনামগঞ্জের হাওর-নদীতেই দুইশো প্রজাতির অধিক মাছ পাওয়া যায়। হাওর অধ্যুষিত এ জেলায় কল-কারখানা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে প্রাকৃতিক জলজ খাবার খেয়েই এসব মাছ বেড়ে ওঠে। আর পানি দূষণমুক্ত হওয়ায় এ মাছ খেতেও অনেক সুস্বাদু। তাই ঢাকাসহ সারাদেশেই এ মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আবার দেশের আমিষের চাহিদা পূরণ করে বিশ্বের ৫০-৬০ দেশে রপ্তানি হচ্ছে সুনামগঞ্জের হাওর-নদীর মাছ।

জানা যায়, মৎস্য, পাথর ও ধান সুনামগঞ্জের প্রাণ। আদিকাল থেকেই সুনামগঞ্জের মাছের সুনাম ছড়িয়ে আছে দেশজুড়ে। এই সুনাম এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও। হাওরের রাজধানী কিংবা মাছের রাজধানী যে নামেই বলা হোক দেশের মিঠা পানির সর্ববৃহৎ জলাধার সুনামগঞ্জ।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বড়দৈই বিল। প্রায় ২৫০ জেলে এ বিলে মাছ ধরা ও বাছাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলেরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাল দিয়ে মাছ ধরেন। পরে নৌকায় সেই মাছ বিলের খলায় (বিলে মাছ রাখার জায়গাকে খলা বলা হয়) নিয়ে আসেন। জেলেরা প্রায় ২০০ প্রজাতির ভিন্ন ভিন্ন সাইজের মাছ ধরে সাজিয়ে রাখেন সেখানে। এসব মাছের মধ্যে ১০-১৫ কেজি ওজনের রুই, বোয়াল, কাতল, গ্রাসকার্প ও কার্পজাতীয় মাছ রয়েছে।

একইভাবে চিতল, কালিবাউশ, শোল, গজার, পাবদা, টেংরা, কই, শিং, মাগুরসহ প্রচুর ছোট মাছ ধরে খলায় থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত বিলে এই কর্মযজ্ঞ চলে। বছরে এই বিল থেকে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা।

সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে দুইভাবে মাছের উৎপাদন হয়। মুক্ত জলাশয়ে এবং ইজারাদারদের তত্ত্বাবধানে। সুনামগঞ্জে নদী-খাল ছাড়াও এক হাজারের মতো জলাশয় বা বিল রয়েছে। মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির মাধ্যমে স্থানীয়রা মুক্ত জলাশয় ইজারা নেন সরকারের কাছ থেকে। এই জলাশয়গুলোকে স্থানীয়ভাবে বিল বলা হয়। ইজারাদার প্রতি দুই বা তিন বছর পর পর বিলে মাছ ধরেন। এই দু-তিন বছর হাওর-বিলে পোনা ছাড়া, গাছের ডাল দিয়ে অভয়াশ্রম বানানোসহ প্রাকৃতিকভাবে মাছের রক্ষণাবেক্ষণ করেন ইজারাদাররা। এই দু-তিন বছর পরপর মাছ ধরার কারণে মাছের সাইজ অনেক বড় এবং এর গুণগত মানও ভালো হয়।

সুনামগঞ্জে ছোটবড় প্রায় এক হাজার বিল রয়েছে। এসব বিল থেকে ৯০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

সুনামগঞ্জের হাওরের এই মাছ প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। তবে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন বিশ্বের ৫০-৬০টি দেশে হাওর ও নদীর এই মাছ রপ্তানি হচ্ছে।

জেলেরা জানান, সুনামগঞ্জে অনেক প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়, যা অন্য কোনো জেলায় পাওয়া যায় না। বড়দৈই বিলের ইজারাদার মনোয়ার পীর জানান, আমাদের এই বিলের মাছ দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত দে জানান, সুনামগঞ্জের হাওরগুলো দেশীয় ছোট মাছের বৈচিত্র্যে ভরপুর। পানি দূষণমুক্ত এবং প্রাকৃতিক জলজ উদ্ভিদ খাওয়ায় এসব মাছ খেতে সুস্বাদু। সুনামগঞ্জের হাওর ও নদীর মাছ ৫০-৬০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop