৫:৪১ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ৪ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ৪, ২০২৩ ৩:৩৩ অপরাহ্ন
পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরা নিষিদ্ধে দুর্ভোগে নিবন্ধনহীন জেলেরা
মৎস্য

জাটকা সংরক্ষণে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করায় বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন সরকারি প্রণোদনার বাইরে থাকা জেলেরা। নিবন্ধিত না হওয়ায় তাদের আয়ের পথ একেবারেই বন্ধ। এতে জাল ও নৌকা তৈরিতে ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন তারা। অবশ্য বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।

জানা যায়, জাটকা সংরক্ষণে পদ্মা ও মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরা পহেলা মার্চ থেকে নিষিদ্ধ করায় পুরনো জাল মেরামত করে অলস সময় পার করছেন চাঁদপুরের জেলে হাকিম আলী। তার সঙ্গে রয়েছেন আরও অনেকেই। এদের একজন মো. কিরণ। কিন্তু পেশায় জেলে হলেও সরকারি তালিকায় নেই তার নাম। ফলে নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

এমন কষ্ট আরও অনেকের। মাছ ধরতে না পেরে আয় রোজগার বন্ধ থাকায় সংসার চালানো নিয়েই চরম দুশ্চিন্তায় থাকেন তারা। তার ওপর জাল ও নৌকা তৈরিতে ঋণের বোঝা তো রয়েছেই। সপ্তাহ শেষ না হতেই কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই তাদের। শহরের নিশি বিল্ডিং এলাকার মো. কিরণ জানালেন সেই দশ বছর থেকে জাল ও নৌকা নিয়ে নদীর জলের সঙ্গে তার মিতালি। অথচ সরকারি তালিকায় নেই তার নাম। এতে এ সময় কর্ম হারিয়ে বৃদ্ধা আর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন পার করছেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৩ ৯:৫৯ অপরাহ্ন
মাছ শিকারে দু’মাসের নিষেধাজ্ঞা
মৎস্য

ইলিশসহ সকল প্রকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে সরকার দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে প্রতিবছরের মতো এ বছরও ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস সকল প্রকার মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ভোলার মেঘনার ইলিশা থেকে চর পিয়াল ও তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ১শত ৯০ কিলোমিটার এলাকার দুইটি অভয়াশ্রমেও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। মাছ শিকার থেকে বিরত থাকা জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা মাছ শিকার করবে তাদের বিরুদ্ধে পরিচালনা করা হবে বিশেষ অভিযান।

অক্টোবরের প্রজনন মৌসূমে ডিম ছাড়ার পর বর্তমান সময়টি ইলিশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় ইলিশ জাটকা থেকে বেড়ে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। ইলিশের বেড়ে ওঠার পাশা-পাশি অন্যান্য মাছ এসময় নদীতে ডিম ছাড়ে বিধায় ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা থেকে মনপুরার চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং তেতুঁলিয়ার ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তমের ১ শত কিলোমিটারসহ মোট ১ শত ৯০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ১ মার্চ থেকে ইলিশসহ সকল মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। জেলেদেরকে এসময় মাছ শিকার থেকে বিরত রাখতে মৎস্য বিভাগ ভোলা জেলার ১শত ৩২ টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছে বিশেষ প্রচার-প্রচারণা। জেলেরাও মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে প্রস্তুত। তবে তাদের দাবি প্রতি বছরই তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলে কিন্তু প্রভাবশালীরা অবৈধ জাল দিয়ে ইলিশসহ অন্যান্য মাছগুলো নষ্ট করে ফেলে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেদিকে গুরুত্ব দেয় না। জেলেরা বলছেন,এ দু’মাস তাদেরকে খুব কষ্টে থাকতে হয়। ঠিকমতো ঋণের কিস্তি দিতে পারেন না। অনেকে বিকল্প কাজ যোগার করতে ব্যর্থ হন। তাদের জন্য প্রনোদনা হিসাবে জন প্রতি ৪০ কেজি করে ২ মাসের যে চাল বরাদ্দ করা হয় তাও তারা সময় মতো পান না। শুধু কোনদিন আর চাল নয় এর পাশাপাশি বিকল্পকর্মসংস্থান তৈরি করা ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার দাবিও করছেন জেলেরা।

ভোলার নাসির মাঝি ঘাটের জেলে মোহাম্মদ নুর উদ্দিন বলেন, প্রত্যেক বছরই আমরা ছোট-খাটো যে সমস্ত জেলেরা রয়েছি তারা অভিযান মেনে চলি। এবারও মেনে চলবো। কিন্তু প্রভাবশালী কিছু জেলেরা রয়েছে, যাদেরকে বড় বড় গডফাদাররা নেতৃত্ব দেয় তারা বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল দিয়ে অভিযানের সময় এবং অভিযানের বাইরেও মাছ শিকার করে। সেগুলো বন্ধ করতে না পারলে অভিযান সফল হবে না।

ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানিয়েছেন, নিষিদ্ধকালীন সময় জেলেরা যাতে মাছ শিকার না করে সেজন্য প্রত্যেকটি ঘাটে, হাটবাজারে সচেতনতা মূলক প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। এছাড়া দু’মাস অভয়াশ্রমে জেলেদেরকে মাছ শিকার থেকে বিরত রাখার জন্য বরাদ্দকৃত প্রণোদনার চাল আগামী ১০ দিনের মধ্যেই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। জেলেদের যে সমস্ত সমিতির ঋণের কিস্তি রয়েছে সেগুলো যাতে নিষেধাজ্ঞার এই দুই মাস বন্ধ রাখা যায় সে বিষয়েও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। তবে আইন অমান্যকারী জেলেদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানাসহ শাস্তির আওতায় আনা হবে।

জেলায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮ শত ১৬ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। নিবন্ধনের বাইরেও রয়েছে আরো অন্তত ২ লাখ জেলে। জাটকা রক্ষা কর্মসূচির আওতায় ৮৯ হাজার ৪ শত ১০ জন জেলেকে ২ মাস ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২৩ ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
তেলাপিয়া চাষে নার্সিং পুকুরে মাছ ছাড়ার নিয়ম
মৎস্য

তেলাপিয়া চাষে নার্সিং পুকুরে মাছ ছাড়ার নিয়ম মৎস্য চাষিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার। লাভজনক হওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের পুকুরে মাছ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সঠিক নিয়ম মেনে চাষ করলে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। আজকে আমরা জানবো তেলাপিয়া চাষে নার্সিং পুকুরে মাছ ছাড়ার নিয়ম সম্পর্কে-

তেলাপিয়া চাষে নার্সিং পুকুরে মাছ ছাড়ার নিয়ম:
সার প্রয়োগের অন্তত ৭ থেকে ১০ দিন পরে ২১-২৮ দিন বয়সের মাছ ছাড়তে হবে। প্রতি ৩০ শতকে ৭০-৯০ হাজার তেলাপিয়া মাছের পোনা ছাড়া যাবে। এখানে এগুলিকে ৩০-৫০ দিন অবধি রাখাতে হবে। এই সময় এদের খাদ্যের চাহিদা বেশি থাকে। তাই প্রাকৃতিক খাবারের সঙ্গে সঙ্গে পরিপূরক খাবারও দিতে হয় যথেষ্ট পরিমাণে।

মাছের গড় ওজনের ১০-১৫ ভাগ খাবার দিতে হবে। এই খাবার সারা দিনে ৩ থেকে ৪ বারে দিলে খাবারের ভালো ব্যবহার হয়। যেহেতু এরা আমিষভোজী এই খাবার আমিষসমৃদ্ধ হওয়া উচিত অর্থাৎ খাবারে অন্তত ৩০%-৩৫% প্রোটিন থাকতে হবে। এখানে এদের ওজন ১৫ – ৩০ গ্রাম হলে চাষের পুকুরে চালান করে দিতে হবে।

মাছ এর চাষ পদ্ধতি খুব সহজ।কার্প মাছের সাথে এ মাছ চাষ করা যায়। তবে অধিক ফলনের জন্য বর্তমানে তেলাপিয়া চাষ পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশে কিছু নতুন কোম্পানী হয়েছে যারা মাছের খাবার উৎপন্ন করেন। এসব খাবার বা মৎস ফিড দিয়ে এ মাছ চাষ করলে চার মাসে মাছের ওজন ৫০০-৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। এতে নিয়মিত খাবার প্রয়োগ ও চিকিৎসক দ্বারা মাছের যত্ন নিতে হয়। তেলাপিয়া গোত্রের নতুন সংযোজন মনোসেক্স যা অধিক ফলনশীল।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২৩ ১২:২১ অপরাহ্ন
মাছের সাথে শত্রুতা,সাত লাখ টাকার মাছ নিধন!
মৎস্য

বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাওঘা গ্রামের গনি প্যাদার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে বিভিন্ন প্রজাতির সাত লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন পানি নষ্ট বা অন্য কোনো কারণে মাছগুলো মরে যাচ্ছে। পরে বিকেলে এলাকার লোকজন এসে দেখেন পুকুরে বিষ দেওয়া হয়েছে।

গনি প্যাদা বলেন, আমার পুকুরে পাঁচ প্রজাতির মাছ ছিল। বিষ দেওয়ার কারণে সব মাছ মরে গেছে। আমার সঙ্গে শত্রুতা করে এত বড় সর্বনাশ কে করল। আমি এর বিচার চাই।

হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মারার বিষয়টি আমি জেনেছি। আমি গনি প্যাদাকে বলে দিয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নিতে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয় এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২৩ ৬:০০ অপরাহ্ন
দিনাজপুরের মাছের আঁশ রপ্তানি হচ্ছে বিদেশের মাটিতে
মৎস্য

দিনাজপুরের হিলিতে আবর্জনা হিসেবে মাছের আঁশ ফেলে দেওয়া হলেও তা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এ আঁশ রপ্তানি হচ্ছে চীনসহ বিভিন্ন দেশে।

হিলি মাছবাজারে নিজেদের পাশাপাশি অন্যান্য দোকান থেকেও মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন। এরপর এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা মাছ কিনে তা দোকান থেকেই কেটে নিয়ে যান। আর ফেলে দেওয়া হচ্ছে মাছের আঁশ। সেই আঁশ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। মাছবাজারে ছোট-বড়  মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫টির মতো মাছের দোকান রয়েছে। এ আঁশ রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। তৈরি হচ্ছে ওষুধের ফয়েলসহ নানা কিছু। দেশেও মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাছ ও মুরগির খাদ্য।

মাছ বিক্রেতা আশরাফুল জানান, আমরা প্রতিদিন এক থেকে দুই কেজি করে মাছের আঁশ জড়ো করি। মাসে ৩০ থেকে ৪০ কেজির মতো আঁশ বিক্রি করতে পারি। যা থেকে তিন-চার হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। এতে আমরা মাছ ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারছি।

হিলি বাজারের মাছ বিক্রেতা কাওসার হোসেন জানান, মাছের আঁশগুলো আগে ফেলে দিতাম, যা পরিবেশ দূষিত করত। এখন মাছের আঁশগুলোর চাহিদা থাকায় সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বিক্রি করি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৩ ১১:২৮ অপরাহ্ন
এক নৌকায় ১০০ মণ জাটকা
মৎস্য

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৫ জন মাঝিমাল্লাসহ একটি মাছের নৌকা আটক করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় ওই নৌকা থেকে একশ মণ জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার ভোরে মেঘনা নদীর ডালচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাটকাগুলো জব্দ করা হয়। পরে জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে স্থানীয় এতিমখানা ও গরিব-অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

কোস্টগার্ড বিসিজি স্টেশন হাতিয়ার স্টেশন কমান্ডার এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোলার মনপুরা থেকে মেঘনা নদীর ডালচর হয়ে একটি কেরিং বোট জাটকা ইলিশ নিয়ে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় যাচ্ছে- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন তথ্য পেয়ে হাতিয়া কোস্টগার্ডের একটি দল ডালচর এলাকায় অবস্থান নেয়। মাছবোঝাই বোটটি ডালচর এলাকায় পৌঁছলে ৫ জন মাঝিমাল্লাসহ সেটি আটক করা হয়। পরে ওই বোটে তল্লাশি চালিয়ে একশ মণ জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আগামীতে এমন কাজ করবে না মর্মে আটক ৫ জেলের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এম রফিকুল ইসলাম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৩ ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
পুকুরপাড়ে সবজি চাষে সফল ঈশ্বরদীর চাষিরা
কৃষি গবেষনা

দুটি পুকুরে মাছ চাষ করেন মারমী গ্রামের সুজন দেওয়ান। তিনি জানান, মাছ চাষের পাশাপাশি কলা, পেঁপে, বেগুন ও শিমের আবাদ করেছেন। বিষমুক্ত এসব সবজি পরিবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে মাছ চাষের খরচ তুলেছেন। পুকুরে যারা মাছ চাষ করেন; তারা যদি পুকুরপাড় ফেলে না রেখে সবজি ও দেশীয় ফল আবাদ করেন, তাহলে ফল-মূল বিক্রি করে মাছ চাষের খরচ কমে যাবে।

পুকুরপাড়ে সবজি ও দেশীয় ফলের আবাদ করে পাবনার ঈশ্বরদীর মাছ চাষিদের ভাগ্য বদলে গেছে। মাছ চাষের ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ লভ্যাংশ আসে পুকুরপাড়ে সবজি ও দেশীয় ফল-মূলের আবাদে।

ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ও মুলাডুলি ইউনিয়নের প্রায় ৬ শতাধিক পুকুরপাড়ে মাছ চাষিরা পরিকল্পিতভাবে সবজি ও দেশীয় ফলের আবাদ করছেন। দাশুড়িয়া ও মুলাডুলি ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামজুড়ে পদ্ম ও চামগড়া বিল। বছরজুড়েই জলাবদ্ধতার কারণে এ বিলের বেশিরভাগ জমিতে একসময় কোনো ফসল ফলতো না। বিলের অল্প জমিতে ফসল হলেও সেগুলো এক ফসলি জমি। তাই এসব জমিতে যারা পুকুর খনন শুরু করেন। বিলগুলো ঘুরে দেখা যায়, বিশাল বিলের যতদূর চোখ যায়, সবুজের হাতছানি। পুকুরপাড়ের মাচায় ঝুলছে লাউ, কুমড়া, শসা, ঝিঙা, শিম, বরবটি, পুঁইশাক। পাশাপাশি ঢ্যাঁড়শ, করলা, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি চাষ হচ্ছে। এ ছাড়াও পুকুরপাড়ে দেশীয় কলা ও পেঁপের ব্যাপক ফলন হয়েছে।

শতাধিক পুকুর খনন করা হয়। পুকুরের পাড় চওড়া করে তৈরি করা হয়, যাতে সবজি ও দেশীয় ফলের চাষ করা যায়। ‘ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে’-এ ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন মাছ চাষিরা। মাছের পাশাপাশি সবজি ও ফল চাষ করে অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পুকুরপাড়সহ আবাদযোগ্য কোনো জমি যেন পতিত না থাকে। সেজন্য মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা তৎপর। কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা পুকুরপাড়, বাড়ির আঙিনা, পরিত্যক্ত জমিতে ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন।

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম মাঝি জানান, ‘মারমী, শ্যামপুর, সুলতানপুর, হাতিগড়াসহ ১০ গ্রামের মধ্যবর্তী পদ্ম ও চামগড়া বিলজুড়ে প্রায় ৬০০ পুকুর। এসব পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুরপাড়ে সবজি চাষ করে চাষিদের দিন বদলে গেছে। এখন তারা স্বাবলম্বী।’

উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, ২০১৭-১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী এ উপজেলায় পুকুর আছে ২,৪৭৬টি। বর্তমানে পুকুরের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা এসেছে। তাই পুকুরের পাড়ে সবজি ও দেশীয় ফলের চাষাবাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সুফল পাওয়া গেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২৩ ৭:০৩ অপরাহ্ন
মাছ চাষে ভাগ্য বদল টুটুলের
প্রিয়মুখ

প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টা করলে অসাধ্য সাধন করা যায়। নিজের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি অন্যদেরও ভাগ্য বদলে দেয়া যায়। এ সত্যকে প্রমাণ করেছেন শার্শার সফল মৎস্য চাষী কামরুজ্জামান টুটুল। ২০০২ সাল থেকে পরিশ্রম আর অক্লান্ত চেষ্টার মধ্য দিয়ে পোনা ব্যাবসার পাশাপাশি পাবদা মাছ চাষ করে তার ভাগ্য পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।

যশোর জেলার শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামে তিনি একজন সফল মৎস্যচাষী হিসেবে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং এ বছর জাতীয় মৎস্য পুরুষ্কার ২০২৩ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। সাফল্যটি সত্যি সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়ার মতো।

জানা গেছে, চাকরি না পেয়ে ২০০২ সালে অল্প কিছু পুঁজি নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন কামরুজ্জামান টুটুল। এতে তার অভাবনীয় সাফল্য আসে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তায় প্রথম দিকে অল্প পরিসরে ও স্বল্প পুঁজিতে নিজস্ব একটি ছোট পুকুরে কার্প জাতীয় মাছ চাষ শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে টুটুলের আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সাফল্য এসেছে।

বর্তমানে টুটুল প্রায় ৭.৬ হেক্টরের, জলায়তনে পাবদা মাছ চাষ করছেন। তার পুকুরে পাবদা মাছের পাশাপাশি রয়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, বেশ কয়েকটি জাতের মাছ।

এক সময় টুটুল ছিলেন বেকার যুবক। অনেক কষ্টে ধার-দেনা করে পাঁচ হাজার টাকা জোগাড় করেন। এ টাকা দিয়ে বগুড়া জেলার কাহালু থানা থেকে ১০/১২ কেজি মাছের রেণু পোনা কিনে পুকুরে ছাড়েন। এক সময় মৎস্য অফিসসহ বিভিন্ন এনজিওতে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ চাষে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কাজের মধ্য দিয়ে সেই থেকে টুটুলের নতুন জীবনযাত্রা শুরু হয়। এতে তার সংসারে বাড়তি আয়ের ছোঁয়া লাগে। পরিবর্তন আসে জীবনে।

তিনি পাবদা মাছ উৎপাদন করে গত ২০১৯ সাল থেকে তা বাণিজ্যিক ভাবে ভারতে রপ্তানি করছেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি মৎস্য চাষ করে আসছেন। তার সাফল্য দেখে আশপাশের ৫০ প্রতিবেশীও মৎস্য খামার গড়ে তুলতে উদ্যোগ শুরু করেছেন। শেষ বছর টুটলের খামরে থেকে ১১৫ টন পাবদা মাছ উৎপাদিত হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।

কামুজ্জামান টুটুল জানান, খুব সহজেই বেকাররা মৎস্য চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে। বেকার যুবকদের মৎস্য খামার করায় উৎসাহ দিতে ব্যাংকগুলো সুদমুক্ত ঋণ দিলে এ অঞ্চলের বেকার যুবকরা দ্রুত স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। তিনি আশা করেন, ব্যাংকগুলো এ ধরনের ঋণ সুবিধা চালু করে বেকারত্ব কমাতে সহযোগিতা করবে।

শার্শা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, সফল মৎস্য খামারী কামরুজ্জামান টুটুল মাছ চাষের কারণে উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি এই উপজেলায় মৎস্য চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। মৎস্য চাষে সফলতা অর্জনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি। তিনি এবার জাতীয় মৎস্য পুরুষ্কার ২০২৩ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আমরা তার খামারটি পরিদর্শন করেছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৩ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
পাবদা মাছের মিশ্র চাষে পুকুর প্রস্তুতি ও খাদ্য প্রয়োগ
মৎস্য

পাবদা মাছের মিশ্র চাষে লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে অনেকেই তাদের পুকুরে পাবদা মাছ চাষ করছেন। কেউ কেউ মিশ্র চাষ করে থাকেন। চলুন জেনে নিব পাবদা মাছের মিশ্র চাষে পুকুর প্রস্তুতি ও খাদ্য প্রয়োগ সম্পর্কে-

পাবদা মাছের মিশ্র চাষে পুকুর প্রস্তুতি ও খাদ্য প্রয়োগঃ

পুকুর প্রস্তুতিঃ
বছরে অন্তত ৭-৮ মাস পানি থাকে এমন সেচকৃত পুকুর নির্বাচন করা সবচেয়ে ভালো । তবে সারা বছর পানি থাকে অর্থাৎ অন্য মাছের চাষ হচ্ছে এমন পুকুরে পাবদা মাছ চাষ করা আরো ভালো।
নতুন পুকুরের পাড় মেরামত ও জলজ আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
পুকুরে প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে। চুন প্রয়োগের ২ থেকে ৩ দিন পর প্রতি শতাংশে ৫ কেজি হারে গোবর প্রয়োগ করতে হবে। এতে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য জন্মাবে।
পুকুর থেকে রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছ থাকলে তা দূর করতে হবে।

মিশ্র চাষে পোনা মজুদের হারঃ
পুকুরের পানি ৪ থেকে ৫ ফুট গড় উচ্চতা ও হালকা সবুজাভ হলে পোনা মজুদ করতে হবে । মিশ্র চাষের ক্ষেত্রে প্রতি শতাংশে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি সাইজের ৫০টি পাবদা , ১০০টি শিং এবং ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি সাইজের ৫টি কাতলা , ১০টি রুই , ১০টি মৃগেল , ২টি সিলবার কার্প ও ২টি গ্রাস কার্পের সুস্থ পোনা মজুদ করতে হবে ।

খাদ্য প্রয়োগঃ
নিয়মিত সম্পূরক খাদ্য মাছের দেহ ওজনের শতকরা ৩ থেকে ৮ ভাগ হারে প্রয়োগ করতে হবে। অনুর্বর পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যের প্রাচুর্যতা বৃদ্ধির জন্য ১৫ দিন পর পর প্রতি শতাংশে ২ থেকে ৫ কেজি পচা গোবর প্রয়োগ করতে হবে।

পানির রং গাড় সবুজ হয়ে গেলে অবশ্যই গোবর প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে এবং পানির পি,এইচ পরীক্ষা করতে হবে।

এখানে একটি ব্যাপার উল্ল্যেখ্য যে,পাবদা মাছ পুকুরের তুলনা মূলক ছোট মাছ খেয়ে ফেলবে তাই চাষের অন্যান্য মাছ যাতে পাবদার চাইতে বড় সাইজের হয় সে দিকে নজর রাখতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২৩ ৯:৪০ অপরাহ্ন
হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণ করা হবে: মন্ত্রী
মৎস্য

উন্নত ব্যবস্থাপনা, নিয়মিত মনিটরিং, আইনের প্রয়োগ এবং স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।

বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সুফল প্রকল্পের আওতায় প্রণীত ২টি হাঙ্গর প্রজাতি ও ২টি শাপলা পাতা মাছ প্রজাতির ‘নন ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস’ এবং ‘ন্যাশনাল কনজারভেশন স্ট্রাটেজি অ্যান্ড প্ল্যান অব অ্যাকশন ফর শার্ক অ্যান্ড রেজ ইন বাংলাদেশ ২০২৩-২০৩৩’ এর অনুমোদন সংক্রান্ত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত ‘ন্যাশনাল কনজারভেশন স্ট্রাটেজি অ্যান্ড প্ল্যান অব অ্যাকশন ফর শার্ক অ্যান্ড রেজ ইন বাংলাদেশ ২০২৩-২০৩৩’ হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের অতিরিক্ত ও অনাকাঙ্ক্ষিত আহরণ কমাতে এবং ‘নন ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস’ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা ২টি হাঙ্গর প্রজাতি ও ২টি শাপলাপাতা মাছ প্রজাতির দলের সংখ্যা হ্রাস রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ আমাদের উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তবে অতিরিক্ত মাছ ধরা এবং এদের দেহাংশের অবৈধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। বিলুপ্তির উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের প্রজাতি আমাদের জাতীয় আইন দ্বারা কঠোরভাবে সুরক্ষিত।

সমস্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এসকল প্রজাতিকে সুরক্ষা দিতে কার্যকরভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। এসকল প্রজাতিকে বিলুপ্তি রোধে ও অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য কাস্টমস, পুলিশ, বর্ডার গার্ড, নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী এবং নৌ পুলিশের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, হাঙ্গর ও শাপলাপাতা সম্পর্কিত এই কৌশলগত পরিকল্পনাটি বিভিন্ন সংস্থা, অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ী, সম্প্রদায় এবং বিদেশী পরামর্শকের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের জন্য প্রস্তুতকৃত ন্যাশনাল কনজারভেশন স্ট্রাটেজি অ্যান্ড প্ল্যান অব অ্যাকশন শুধুমাত্র এদের সংরক্ষণের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গৃহীত পদক্ষপের কৌশলগত দিকনির্দেশিকা নয়। বরং, এদের অবস্থার উন্নতির জন্য অনুকরণীয় গাইডলাইন। হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের সুরক্ষা নিশ্চিতে আমাদের এখনই সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) মো. মিজানুর রহমান, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়, ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির সিনিয়র ম্যানেজার এলিজাবেথ ফার্নি মনসুর, প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজারসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop