১:১৮ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২১ ১:২১ অপরাহ্ন
বুড়োল বিলে কমে যাচ্ছে দেশি মাছ!
মৎস্য

মাগুরা জেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কুমার, ফটকি, গড়াই, মধুমতি, চিত্রা, নবগঙ্গা নদী।একটা সময় বর্ষা মৌসুম আসলেই এখানে জেলে সমাজের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যেতো। মাছ ধরাটা উৎসবের মত ছিল এখানে। কিন্তু বর্তমানে বর্ষা মৌসুমেও এখানে মিলছে না দেশি প্রজাতির মাছ। হাটবাজারগুলোতে চাহিদার তুলানায় মাছের সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম আকাশ ছোঁয়া।

মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামুড়া বুড়োল বিল এক সময় দেশি মাছের জন্য বিখ্যাত ছিল। আগে বর্ষা মৌসুমে এখানে যে পরিমাণ মাছ পাওয়া যেতো, চলতি মৌসুমে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। বিলের জমিগুলোতে অতিরিক্ত সারপ্রয়োগ, বর্ষা মৌসুমে মা মাছ নিধন, অভয়াশ্রমের অভাব ও সংরক্ষণে সরকারি–বেসরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় এ বিল থেকে দেশি মাছ কমে যাচ্ছে।

সচেতন মহল মনে করছেন, এসব মাছকে সচেতনতার মাধ্যমে ধরে রাখতে না পারলে মাগুরা বুড়োল বিলের দেশি মাছের কথা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে রূপকথার গল্পের মত মনে হবে। তাই সবাইকে দেশি মাছ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে বলে উল্লেখ করেন তারা।

মাগুরা জেলা মৎস্য কর্মকতা মো. আনোয়ারুল কবির জানান, দিন দিন দেশি প্রজাতির মাছ কমে যাচ্ছে। জেলা মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আড়বাঁধ, কারেন্ট জাল ইত্যাদি পুড়িয়ে দেওয়া হয়, জরিমানা করা হয়। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। জনসচেতনা বৃদ্ধি করতে না পারলে দেশি প্রজাতির মাছ রক্ষা করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২১ ১২:৪২ অপরাহ্ন
মাছ বিক্রি করে ‘হাফ মিলিয়নিয়ার’ ভৈরবের উদ্যোক্তা লামিয়া
মৎস্য

‘গুড ফুড’ নামের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ টাকারও বেশি প্রসেসিং মাছ বিক্রি করেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার নারী উদ্যোক্তা লামিয়া চৈতি। শুধুই অনলাইনে না, বর্তমানে অফলাইনে কিংবা ফোন কলের মাধ্যমেও মাছ বিক্রি করছেন তিনি।

জানা যায়, রাতে মাছের আড়তে ঘুরে ঘুরে মাছ কেনা থেকে শুরু করে, কাটাকুটি, ওয়াশ করা, প্যাকেজিং, বক্স করা, গ্রাহকদের ঠিকানায় পাঠানো ইত্যাদি সব কাজেই তিনি নিজেই করেন। এসব কাজে বেশ কিছু নারীর কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে।তাঁর কাজে সহায়তা করেন বাবা মিজানুর রহমান, বোন চিশতিয়া, ভাই সামি ও সাইফ। আট মাস আগে ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় লামিয়ার বিয়ে হয়। সুখের বিষয় হলো-স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ সেখানকার সবাই তাঁর এই কাজকে সমর্থন ও সহযোগিতা করছেন। বিশেষ করে স্বামী আজফার উল আলমের অনুপ্রেরণা এখন যেন তাঁর সব সময়ের সঙ্গী।

লামিয়া চৈতি ফেসবুকে নারী উদ্যোক্তাদের প্ল্যাটফর্ম উইম্যান অ্যান্ড ই-কমার্সের (উই) একজন হাফ মিলিয়নিয়ার। সম্প্রতি তিনি এই ফোরামের কিশোরগঞ্জ জেলার সহ-প্রতিনিধি মনোনীত হয়েছেন।

প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বিক্রি ছাড়াও লামিয়া মাছ দিয়ে বিভিন্ন খাবার তৈরি করে বিক্রির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে ফিস বল, ফিস সসেস, ফিস রোল, ফিস মিনস, ফিস ফ্রাই, ফিস আচার, ফিস কেক ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করার চিন্তা করছেন। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রামের (এনএটিপি-২) আওতায় লামিয়াকে তিন লাখ টাকা অনুদানের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে।

লামিয়া চৈতি জানান, ‘দেশব্যাপী ভৈরবসহ হাওরাঞ্চলের মিঠাপানির মাছের সুনাম রয়েছে। বিভিন্ন এলাকার লোকজন এই অঞ্চলের মাছের স্বাদ নিতে মুখিয়ে থাকেন। অনেকেই ভৈরবে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাছের আড়তে ছুটে আসেন মাছের জন্য। আর যারা আসতে পারেন না, তাঁরা থাকেন আক্ষেপ নিয়ে। সেই ভাবনা থেকেই আমি প্রসেসিং মাছের ব্যবসা শুরু করি।’

বর্তমানে লামিয়ার মাছ যাচ্ছে ভৈরবসহ ব্রাক্ষণবাড়িয়া, কক্সবাজার, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায়। এক লাখ টাকার মাছ বিক্রিতে তাঁর বেশ ভালো মুনাফা হয় বলে জানান তিনি। মাছের সঙ্গে তিনি বর্তমানে যোগ করেছেন রেডি টু কুক হাঁস এবং কবুতরের মাংস। যার মাসিক গড় বিক্রি হচ্ছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। শতকরা ১০ টাকা লাভে তিনি ভোক্তার বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন এই দুই প্রকারের মাংস।

ভৈরব উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমান জানান, ‘লামিয়া চৈতি অনেকদিন ধরে অনলাইনে প্রসেসিং মাছের ব্যবসা করছেন সফলতার সঙ্গে। মাছের চাহিদা বাড়াতে তাঁর মাধ্যমে আমরা মাছের তৈরি বিভিন্ন খাবার তৈরির একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। সেজন্য আমরা তাঁকে তিন লাখ টাকা অনুদানের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৭, ২০২১ ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
মাছ শিকারে গিয়ে সাপের কামড়ে মৃত্যু
মৎস্য

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সারীঘাট ঢুপি গ্রামের এক যুবক মাছ শিকার করতে গিয়ে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবি।

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে সারীঘাট নয়াখেল হাওরে মাছ ধরতে যান কবির আহমদ (৩৫)। পরদিন দুপরে স্থানীয় এক যুবক ধানক্ষেত দেখতে গিয়ে মৃত অবস্থায় কবির আহমদকে দেখতে পায়। বিষয়টি এলাকাবাসী পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে দুপুর ১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

জৈন্তাপুর মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেটে প্রেরণ করি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৬, ২০২১ ১:২৬ অপরাহ্ন
মহেশখালীতে প্রকল্পের দূষিত পানিতে মরে গেছে কোটি টাকার মাছ
মৎস্য

ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ:ঘেরের পাড়ে পাড়ে পরে আছে বলদা চিংড়ি, কাকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ। অবাক চোখে চেয়ে আছে ঘের শ্রমিক। বিশাল লোকসানে ঘের ইজারায় নেয়া মৎস ব্যবসায়ীরা। হ্যাঁ, এ দুর্লভ চিত্রটি এই মুহুর্ত ঘটছে মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার পশ্চিমের শুদ্ধখালি চিংড়ি ঘের, আজগর বাপের ঘোনা ও ভরাখালী ঘোনার বিশাল ৩টি চিংড়ি ঘেরে।

এসব চিংড়ি প্রজেক্ট ও ঘেরগুলোতে আকষ্মিকভাবে চলমান অধিকগ্রহণকৃত জমিতে ক্যামিক্যাল দিয়ে সিপিপি নামে একটি প্রতিষ্ঠান মাটি পরীক্ষা করা দূষিত পানি ছেড়ে দেয়ায় বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয়ে মরে গেছে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার মাছ। এতে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন চিংড়ি ঘের ইজারা নেওয়া মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমি মালিকদের কাছ থেকে হালসনের টাকা দিয়ে বর্গা নিয়ে ওই চিংড়ি প্রকল্পের শুদ্ধখালী ঘোনা ইজারা নিয়েছে মাছ চাষিরা।

ওই ঘেরের পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদ জানান, পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়া চিংড়ি ঘেরের পাড়েই সিপিপির লোকজন বিষাক্ত ক্যামিক্যাল দিয়ে মাটি সল্টস করায় নির্মাণাধীন মাটি সল্টটেস ট্যাংকের ক্যামিক্যাল মিশ্রিত দূষিত পানি ওসব চিংড়ি ঘেরে ছেড়ে দেওয়ার ফলে গত ১ সপ্তাহ ধরে চিংড়ি প্রকল্পের পানিতে বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়ে প্রকল্পের চাষ করা বাগদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় এক কোটি টাকার মাছ মরে ভেসে ওঠে আমার প্রকল্পে।

মৎস্য চাষি আজগর বাপের ঘের পরিচালক তোফাইল আজম জানান, ‘বিষাক্ত পানি পড়ে আমার চিংড়ি প্রকল্পে প্রায় ৯০লাখ টাকার মাছ মরা গেছে। একইভাবে ভরাখালী ঘোনার পরিচালক আনছারুল করিম রুমি বলেন, ‘আমার চিংড়ি প্রকল্পের প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাছ মরে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি ক্ষতিপূরর্ণের দাবি জানান। সবমিলিয়ে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার মাছ মরে গিয়েছে।

অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা বিষয়টি স্থানিয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপিকে অবহিত করেছেন।

সিপিপি মহেশখালীতে দায়িত্বরত সুপারভাইজার শাহীন বলেন, ‘আমাদের মাটি পরীক্ষায় যে ক্যামিক্যাল ব্যবহার করে হয়েছে তা বিষাক্ত নই, তবে কি কারণে মাছ মরে গেছে সে ব্যাপারে আমি অবগত না। তার পরেও চাষিরা মাছ মরে যাওয়ায় ক্ষতিপূরর্ণের দাবিতে যে অভিযোগ করেছেন তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত ইজারাদার ও মৎস্য ব্যবসায়ী যাতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন সে বিষয়ে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৬, ২০২১ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিং মাছ চাষে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ দমনে যা করবেন
মৎস্য

আগের মত এখন আর প্রাকৃতিক উৎসে তেমন শিং মাছ পাওয়া যায় না। তাই অনেকেই পুকুরে শিং মাছ চাষ করে থাকেন। শিং মাছ চাষে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ দমনে করণীয় যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো মৎস্য চাষিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার।

শিং মাছ চাষে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ দমনে করণীয়:
লক্ষণসমূহ:
মাছ ভারসাম্যহীনতা মাঝে মাঝে ঝাঁকুনিনদিয়ে চলাফেরা করে।
মাছের শরীর সাদাটে বর্ণ ধারণ করে এবং লেজে পঁচন ধরে।
সাদাটে দাগ ক্রমশ: বিস্তৃত হয় ও আক্রান্ত অংশ ক্রমে ক্ষয় হয়ে যায়।
আক্রান্ত মাছ খাদ্যগ্রহণে অনীহা প্রদর্শন করে।
মাছের শরীরে শ্লেষ্মার পরিমাণ কমে যায়।
আক্রান্ত হওয়া ২-৭ দিনের মধ্যে ব্যাপক মড়ক দেখা দেয়।

রোগ দমনে যা করবেন:
১। শিং মাছ চাষের পুকুরের পানি পরিবতর্ন ও সঠিক ঘনত্বে শিং মাছ চাষ করতে হবে।
২। শিং মাছ চাষ করা পুকুরে শতাংশে ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম হারে চুন ও লবন প্রয়োগ করতে হবে।
৩। পুকুরের শতাংশে প্রতি ৩ ফুট গভীরতার জন্য ৫ থেকে ৭ গ্রাম হারে সিপ্রোফ্লোক্সাসিন ৩ থেকে ৪ দিন প্রয়োগ করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২১ ১:০৫ অপরাহ্ন
মাছের সংকট, শামুক নিধনে ব্যস্ত মৎস্য চাষিরা!
মৎস্য

পানি কমে যাওয়ায় চলনবিলে দেখা দিয়েছে মাছের সংকট। সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শামুক নিধন করে জীবিকা নির্বাহী করছেন মৎস্যজীবীরা। উপজেলার নদী-খাল-বিল থেকে বিনা বাধায় এসব শামুক নিধন ও বেচাকেনা চলছে। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রকারের এসব শামুক হাঁস ও মাছের খাদ্য হিসেবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ, সগুনা, মাগুড়া বিনোদ, বারুহাস, ইউনিয়নের ছোট ছোট নদী, খাল, বিল ও ডোবা থেকে ছোট ছোট শামুক ধরছে স্থানীয়রা। জলাশয়ের পানি কমে যাওয়ায় খুব সহজেই শামুক ধরছেন তারা। এদিকে পানি কমে যাওয়ায় চলনবিলে মাছের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা মাছ না পাওয়ায় শামুক ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে- চলনবিলের শামুক হাঁস ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। স্থানীয় খামারিদের চাহিদা মিটিয়ে কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, বরিশাল, বাগেরহাট, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খামারিদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এই শামুক।

তাড়াশের কামারশন গ্রামের লোকমান সরদার, সিদ্দিক, রফিক, রবি ও কুশাবাড়ি গ্রামের ইয়ানুস আলীসহ অনেক মাছ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের মতো বিল অঞ্চলের বহু মানুষের সংসার চলে মাছ ধরে। কিন্তু এ বছর ভরা বর্ষায়ও বিলে পানি কম। অল্প পানিতে মাছের দেখা মিলছে না। বাধ্য হয়ে শামুক ধরে বিক্রি করছেন তারা।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, বিলের শামুক ধরতে ভোর রাতে বেরিয়ে পড়েন মৎস্য চাষিরা। দুই থেকে তিনজন মই জাল টেনে দুপুরের মধ্যেই এক নৌকা শামুক সংগ্রহ করেন। কামারশন গ্রাম এলাকার তাড়াশ-গুরুদাসপুর মৈত্রী সড়কের পাশেই চলছে শামুক বেচা-কেনা। শ্যালো মেশিনের নৌকায় শামুক ভরে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন মাছ চাষিরা।

স্থানীয় শামুকের ব্যাপারী আব্দুল কাদের রিন্টু জানান, তিনি প্রতিদিন কামারশন ও কুন্দইল ঘাটের দুই থেকে আড়াই হাজার বস্তা শামুক কিনে থাকেন। অনরূপভাবে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের আট নম্বর সেতুর পাশে ও নাদোসৈয়দপুর খেয়াঘাটসহ বিল অঞ্চলের বেশ কয়েকটি স্থানে শামুক বেচা-কেনা হচ্ছে।

তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম জানান, প্রাকৃতিকভাবে শামুক পানি পরিষ্কার করে। যা মাছসহ অধিকাংশ জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। তাছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে শামুক নিধন হলে চলনবিলের জমির মাটির ক্যালসিয়াম কমে ফসলহানির আশঙ্কাও রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২১ ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার অব্যাহত
মৎস্য

জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে সরকারি নির্দেশনায় সুন্দরবনে মাছসহ সব ধরনের প্রধান ও অপ্রধান বনজদ্রব্য আহরণের পাস পারমিট বন্ধ রয়েছে। কিন্তু অসাধু জেলেরা রাতের অন্ধকারে সুন্দরবনের নদী ও খালে ঢুকে বিষ প্রয়োগ করে নিষিদ্ধ ভেষালি জালে বিপুল পরিমাণ চিংড়ি মাছ শিকার করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে।

এ চিংড়ি কয়রার দেউলিয়া বাজার মৎস্য আড়ত, উত্তর বেদকাশির ফুলতলা মিনি মৎস্য আড়ত ও চাদালি মৎস্য আড়তে দেদার বিক্রি করা হয়।

এসব মাছ উত্তর মদিনাবাদের ফুলতলা, কাছারিবাড়ি, সাতহালিয়া, ইসলামপুর, পালের বাঁধ এলাকার ১০ থেকে ১২টি টংঘরে আগুনে পুড়িয়ে শুঁটকিতে রূপান্তরিত করা হয়। সূত্র জানায়, সুন্দরবনের আদাচাকি, মার্কি, নাকজোড়া, নলবুনি, চালকি, পিনমারা, দুধমুখ, হংসরাজ, বজবজা, ছেড়া, খড়খুড়ি, খাসিটানা, ভোমরখালি, পাথকষ্টা, শাপখালি, মান্দারবাড়ি, পুষ্পকাটিসহ বনের অন্যান্য নদী-খালে ঘন ফাঁসের ভেষালি জাল পেতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে অসাধু জেলেরা।

বন কর্মকর্তারা চেষ্টা করেও বিষ দিয়ে মাছ শিকার রোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। কয়রার মৎস্য ব্যবসায়ী আবু মুছা জানান, অতীতের তুলনায় বর্তমানে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বেড়ে গেছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান, বিষ দিয়ে মাছ শিকার রোধ করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৪, ২০২১ ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
এক টানেই জালে ধরা পড়লো ২৭ লাখ টাকার ইলিশ!
মৎস্য

গভীর বঙ্গোপসাগরে একটি জালে এক টানেই ৮৭ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। যা বিক্রি করা হয়েছে ২৭ লাখ টাকায়। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে (বিএফডিসি) এফবি সাইফ ২ ট্রলারে ওই মাছ নিয়ে আসা হয়। এগুলো কেনেন সেমার্স সাইফ ফিশিং কোম্পানি অ্যান্ড কমিশন এজেন্ট। এক টানে এত মাছ পেয়ে হতবাক ট্রলারের জেলেরা। এক ট্রলারে এত পরিমাণ মাছ ধরা পড়ায় বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

এফবি সাইফ-২ ট্রলারের মাঝি মো. জামাল হোসেন জানান, কয়েক দিন আগে গভীর সাগরে মাছ শিকার করতে যান। সাগরে গিয়ে মাছ ধরার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করতেই প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ে। ট্রলারে মাছ রাখার জায়গা পূরণ হওয়াতে দ্রুত পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে (বিএফডিসি) বৃহস্পতিবার রাতে আসেন তিনি। পরে শুক্রবার সকাল থেকেই মাছ বিক্রি শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় শেষ হয়।

ট্রলারটির মালিক মোস্তফা গোলাম জানান, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম থাকলেও একটি ট্রলারে এত পরিমাণ মাছ পাওয়াটা একেবারেই নজিরবিহীন ঘটনা। এ জন্য আমি মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

স্থানীয়রা জানান, এ বয়সে এত বড় ইলিশ এবং একই ট্রলারে এত পরিমাণ মাছ দেখিনি। একেকটি মাছের ওজন হবে দেড় থেকে দুই কেজি।

মেসার্স সাইফ ফিশিং কোম্পানির স্বত্বাধিকারী পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির জানান, বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ইলিশ জেলেদের জালে ধরা না পড়লেও একটি ট্রলারে এত মাছ নজিরবিহীন।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, এত বড় ইলিশ একসঙ্গে সাধারণত ধরা পড়ে না। পাথরঘাটার মৎস্য খাতে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২১ ৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
মাছ ধরতে গিয়ে সাপের কামড়ে তরুণের মৃত্যু
মৎস্য

বগুড়ার ধুনটে বিলের পানিতে মাছ ধরতে নেমে সাপের কামড়ে আব্দুস ছালাম (১৭) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।নিহত আব্দুস ছালাম উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের সাতবেকী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ভোরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজাহার আলী পাইকাড় বলেন, বুধবার রাত ৯টার দিকে আব্দুস ছালাম বাবার সঙ্গে পলো দিয়ে মাছ ধরার জন্য সাতবেকী বিলের পানিতে নামে। মাছ শিকারের একপর্যায়ে আব্দুস ছালামের পায়ে সাপ কামড় দেয়।

বাড়িতে ফিরে কবিরাজি চিকিৎসার একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়ে আব্দুস ছালাম। রাত ১২টার দিকে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসাধীন ভোরে অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আব্দুস ছালামের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১২, ২০২১ ৪:৫২ অপরাহ্ন
কালাইয়ে বিলুপ্তির পথে দেশি মাছ
মৎস্য

কালাইয়ে মুক্ত জলাশয় কমে যাওয়ায় দেশীয় মাছ বিলুপ্তির পথে। অত্র উপজেলার ৫টি ইউপিতে নদী বা বিল না থাকলেও সরকারি খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন অনেক পুকুর, ডোবা, খাল ও রাস্তার ধারে জলাশয় রয়েছে। আগের দিনে ওই সব পুকুর ডোবা সবই মুক্ত জলাশয় হিসাবে থাকত এবং এমনিতেই বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় মাছ পাওয়া যেত। এখন এসব বিলুপ্তির পথে।

এ দেশের মানুষকে আগে বলা হতো মাছেভাতে বাঙালি। একসময় মাছ থেকেই মানুষের আমিষের চাহিদার বেশির ভাগই পূরণ হতো। সে সময় সাধারণ মানুষ ও জেলেরা খুব সহজেই বিভিন্ন জাতের মাছ ধরতে পারত দেশীয় মাছের মধ্যে ছিল শিং, মাগুর, কৈ, পুঁটি, মোয়া, টাকি, টেংরা, পাবদা, বাতাসি, চিংড়ি, গুচি, বালিয়া, কাকলা, শোল, বোয়ালসহ আরো অনেক। দেশীয় মাছে ছিল স্বাদে ভরা।

বর্তমানে সরকারি খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরগুলো অধিক লাভের আশায় মাছচাষিদের কাছে পত্তন রাখা হয়। তারা রুই, কাতলা, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, বিদেশি পুঁটি, ব্রিকেট, কালবাউশ, সিলভারকাপ, গøাসকাপসহ আরো অনেক মাছ চাষ করে।

ছোটপুকুর বা ডোবায় নিজেরায় মাছ চাষ করে থাকে। উপজেলাতে মুক্ত জলাশয় একেবারেই নাই বললেই চলে। যেটুকু আছে সেগুলোতেও বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে মাছ চাষ করা হয়। মাছচাষিরা মাছ চাষ করতে গিয়ে ওই সব জলাশয়ে পোকামাকড় মারার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করলে দেশীয় মাছগুলোও মারা যায়। তাছাড়া ফসলের জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করলে ওই জমি ও ডোবায় থাকা দেশীয় মাছ মারা যায়। আবার দু-একটা থাকলে সেটার ডিম থেকে পোনা ফুটলেই ছোট পোনাকে এবং মা মাছকে শিকারিরা ধরে ফেলে বংশবিস্তার করতে পারে না। এভাবেই দেশীয় মাছ একেবারেই বিলুপ্তি পথে।

তবে কেউ কেউ আবার অধিক লাভের আশায় দেশীয় মাছ পুকুরে চাষ করছেন। সেগুলোতে আবার দেশি মাছের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না। এভাবে নিধন হতে থাকলে বর্তমান প্রজন্ম দেশীয় মাছের শুধু নাম জানবে দেখতে না পেয়ে তারা মাছ চিনবে না। আবার অনেক সময় দেশীয় মাছগুলো বন্যার পানিতে ভেসে নদী বা সমুদ্রে যায়। মুক্ত জলাশয় কমে যাওয়ায় জেলেরা তাদের পেশা বদলিয়ে অন্য পেশায় যোগ দিচ্ছে। তারাও পুকুর লিজ নিয়ে বিভিন্ন পুকুরে মাছ চাষ করছে, কেউ কৃষিকাজে যোগ দিচ্ছে, কেউ মাছের পোনার ব্যবসা করে, আবার কেউ মাছ ক্রয়-বিক্রয় করে।

উপজেলার পুনট মালিপাড়ার জেলে তপন চন্দ্র, লাল চাঁনসহ আরো অনেকেই জানান, আমাদের বাপ-দাদার পেশা মাছ ধরা। উপজেলায় মুক্ত জলাশয় না থাকায় আমরা কোথাও মাছ ধরতে পারছি না। তাই ওই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে হচ্ছে।
উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মাছচাষি আলহাজ আব্দুল কাদের মণ্ডল বলেন, আমি দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষার জন্য কয়েকটি পুকুরে শিং, মাগুর ও পাবদা মাছ চাষ করে ফলাফল ভালো পাচ্ছি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, দেশীয় জাতীয় মাছ বিলুপ্তির কারণ মাছের বিচরণ ক্ষেত্র পুকুর ডোবা খাল কমে যাচ্ছে। প্রজননে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে, নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের সাহায্যে মা মাছ ও পোনা মাছসহ অতিরিক্ত মাছ শিকার করা হচ্ছে। মৎস্য আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে পারলে দেশীয় প্রজাতির মাছ কিছুটা হলেও রক্ষা করা সম্ভব। সূত্র: ভোরের কাগজ

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop