১২:২৫ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ২৩, ২০২১ ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
মাছ চাষ করে যুবসমাজকে স্বাবলম্বী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মৎস্য

শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে সরকারি সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে ঘরের পাশের পরিত্যক্ত জলাশয়ে মৎস্য চাষের মাধ্যমে নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করে তুলতে দেশের যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার(২২ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া শিখবে। শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরাই যদি মৎস্য খামার করে মাছ উৎপাদন করে এবং বাইরে বিক্রি করে তাহলে সে পয়সা পেতে পারে। আর যুব সমাজের জন্য আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। সেখানে থেকে কোনো জমানত ছাড়াও ঋণ নেয়া যেতে পারে। সেই ঋণ নিয়ে যে কেউ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, কাজ করতে পারবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে আমরা একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি এবং সেখানে আমরা খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলার ওপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। সেখানে যাতে মৎস্যজাতীয় পণ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং বাজারজাত করা যায় সেই সুযোগও সৃষ্টি হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের নিজেদেরও সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত করা এবং আমাদের যুব সমাজ যাতে আরও এগিয়ে আসে ও মৎস্য উৎপাদনে মনেযোগী হয় সেদিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। কেননা এখানে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

তিনি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিটি সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তখনই কাজ করেছে।

‘আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে’, উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ’৯৬ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি ’৯৮ সালেই বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে ফেলি। দ্বিতীয়বার যখন ক্ষমতায় আসি তখনও আমাদের লক্ষ্য পূরণ করি এবং খাদ্য নিরাপত্তার সাথে সাথে পুষ্টি যাতে যোগ হয় তার ব্যবস্থা নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেজন্য আমাদের যুবসমাজকে ট্রেনিং দেয়া, সুযোগ সৃষ্টি করা, জলাধারগুলো সংস্কার করে মাছ উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায় তার ব্যবস্থা করা, এর ওপর গবেষণার ব্যবস্থা করা, গবেষণা করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা, কৃত্রিম প্রজননের ব্যবস্থা করা এবং খাদ্য তালিকায় সবচেয়ে নিরাপদ পুষ্টি মাছ যাতে থাকে তার ব্যবস্থা করি।

তিনি বলেন, একটা মানুষ যদি ৬০ গ্রাম মাছ খেতে পারে তা যথেষ্ট সেখানে একজনের খাদ্য তালিকায় আমরা ৬২ গ্রাম মাছ তুলে দিচ্ছি, সেই সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আর সেই সাথে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। এ দেশে শত শত নদী রয়েছে। আমাদের খাল-বিল ও জলাধারগুলো সংস্কার করে যাচ্ছি এবং সেখানে আরও বেশি পরিমাণ মাছ যাতে উৎপাদন হয় তার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের মাছের উৎপাদন যেখানে ২৭ লাখ মেট্রিক টন ছিল সেখানে আমরা ৫০ লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি উৎপাদন শুরু করেছি। আর সেই সাথে সাথে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যাতে মাছ থাকে তারও ব্যবস্থা নিয়েছি। আর ইলিশ উৎপাদনে আমরা এখন পৃথিবীর এক নম্বর অবস্থানে চলে এসেছি।

ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রজননের সময়ে আমরা মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে থাকি, তাদের খাদ্য সাহায্য দেই।

তিনি বলেন, প্রত্যেককে প্রতিমাসে বিনা পয়সায় খাদ্য দিয়ে থাকি, চাল দিয়ে থাকি, আবার সেই সঙ্গে আবার ঝাকায় করে মাছের চাষের উদ্যোগের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগও নিয়ে থাকি যাতে আমাদের মৎস্যজীবীরা কোনোরকম কষ্ট না পান। সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এভাবে মাছ উৎপাদনে আমরা বিশেষ যত্ন নিচ্ছি। একারণে আমরা খাদ্য নিরাপত্তার পর এখন পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়াতে মানুষ আর পুষ্টিহীনততায় ভুগছে না।

তিনি বলেন, সেই সাথে আমি একটি অনুরোধ করব খাদ্য তালিকায় শুধু বেশি করে ভাত খাওয়া নয় সেই সঙ্গে বেশি করে মাছ, শাক-সবজি এবং ফলমূল খাওয়াসহ পুষ্টিগুণ যেন থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি এটুকু বলব যে আদর্শ এবং নীতি নিয়ে তিনি এদেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ করব এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।

তিনি পুনরায় সকলকে কোভিড-১৯ সম্পর্কে সতর্ক করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন যাতে করোনাভাইরাস কারো ক্ষতি করতে না পারে। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। নিজেকে এবং অপরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।’-বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২২, ২০২১ ৫:০৫ অপরাহ্ন
সুন্দরবনে কীটনাশক দিয়ে মাছ শিকার যেন দিন দিন বাড়ছে!
মৎস্য

বন বিভাগের অসাধু কিছু কর্মচারীর সহায়তায় জেলে নামধারী একদল সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা কীটনাশক দিয়ে যেন মাছ শিকার কিছুতেই বন্ধ করছেন না সুন্দরবনের খাল ও নদীতে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়রার জোড়শিং, পাতাখালি, গোলখালি, আংটিহারা, ৬নং কয়রা, পাথরখালি, মঠবাড়ি ৪নং কয়রা, তেতুলতলাচর, শেখেরকোনা, কালিবাড়ি, মহেশ্বরীপুর, বানিয়াখালি, হড্ডা, দাকোপ, সুতারখালি, কালাবগিসহ স্থানীয় শতাধিক জেলে গোনের শুরুতে ঘন ফাঁসের চরপাতা জালের পাস পারমিট কিংবা বিনা পারমিটে মরা গোনে নিষিদ্ধ ভেষালি জাল নিয়ে বনের গহীনে যায়। প্রবেশের সময় তারা নৌকায় বিষাক্ত রিপকর্ড বিষ নিয়ে যায়। জোয়ারের কিছু আগে চিড়া, ভাত বা অন্য কিছুর সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে পানিতে ছিটিয়ে দেয়। বিষের তীব্রতায় কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই এলাকায় থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিস্তেজ হয়ে ভেসে উঠে। এসময় চাকা ও চালি চিংড়িসহ বড় বড় মাছগুলো শিকার করে লোকালয়ে সরবরাহ করা হয়।

এসব মাছ কয়রায় স্থানীয় ডিপো, মাছ ব্যবসায়ী, দেউলিয়া বাজার মৎস্য আড়ৎ, ফুলতলা মিনি আড়ৎ ও চাঁদালি মৎস্য আড়তে নিয়মিত বিক্রি হয়। সম্প্রতি ৬নং কয়রা এলাকা থেকে পুলিশ সুন্দরবনে কীটনাশক দিয়ে শিকার করা ১২০ কেজি চাকা চিংড়িসহ তিন জেলেকে আটক করে। তবে প্রশাসনের এমন অভিযান নিতান্তই অপ্রতুল।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিষাক্ত ওই পানি পান করে বাঘ, হরিণ, বানরসহ বন্য প্রাণীর জীবননাশের শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া উপকূলের মানুষের পানীয় জলের উৎসগুলোও বিষাক্ত হচ্ছে।

জেলে নামধারী এসব দুর্বৃত্তরা স্থানীয় মৎস্য আড়ৎদার, দাদনদাতা ও প্রভাবশালীদের লোক। মূলত অধিক মুনাফার লোভে জেলেদের মোটা অঙ্কের দাদন দিয়ে তারা এ কাজ করান। তাদের সহায়তা করেন বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা সদরের লোকালয় গড়ে ওঠা অবৈধ শুটকি ব্যবসায়ীরা মোটা অংকের দাদনের সঙ্গে জেলেদের হাতে তুলে দেন কীটনাশক। এর মাধ্যমে তারা একদিকে ধ্বংস করছে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ, অন্যদিকে বিষাক্ত চিংড়ি শুকানোর কালো ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ করে তুলেছে জনজীবন।

এদিকে, পশ্চিম সুন্দরবনের অভয়ারণ্যাঞ্চল গেওয়াখালি, ভোমরখালি, পাথকস্টা, আদাচাকি, ছিচখালি, নীলকমল, পুস্পকাটি, নোটাবেকি, শাপখালি, আগুন জ্বালাসহ অন্যান্য নদী, খাল থেকে দাদন বা বিনা দাদনভুক্ত জেলেদের ধরা বিপুল পরিমাণ চিংড়ি ও সাদা মাছ দাকোপ, কয়রা, শ্যামনগর ও আশাশুনির অর্ধ-শতাধিক মাছ ব্যবসায়ী খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে মোকামে দীর্ঘদিন ধরে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ওইসব মাছের বেশিরভাগ বিষ ক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে জানান, কতিপয় অসাধু বনরক্ষীর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে অভয়ারণ্যে অবাধে কীটনাশক প্রয়োগে মাছ, কাঁকড়া আহরণ করা হয়।

সুন্দরবন খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের বজবজা, খাসিটানা, পাথকস্টা, গেওয়াখালি, নীলকমল, নোটাবেকি, পুস্পকাটি, টেংরাখালি টহল ফাঁড়িতে কর্মরত বনরক্ষীরা উৎকোচের বিনিময়ে জেলেদের মাছ ধরার সুযোগ দিচ্ছেন বলে এলাকাবাসীর এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

এ ব্যপারে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান বলেন, বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার বন্ধে জোর চেষ্টা চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষায় অবৈধ শুটকি স্থাপনা খুব দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে। সূত্র: জাগো নিউজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২২, ২০২১ ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরে পুকুরে মিললো আটলান্টিক মহাসাগরের ‘টারপোন’ মাছ
মৎস্য

পিরোজপুরে পুকুরে মিলেছে আটলান্টিক মহাসগরের ‘টারপোন’ মাছ। পুুকুরের সাথে কোন নদীর সাথে কোন নালা সংযোগ না থাকার পরেও এমন মাছ পাওয়া নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

শুক্রবার (২১ মে) এ মাছটি পাওয়া গেছে পৌর শহরের শিকারপুর এলাকার তানভীর আহম্মেদের পুকুরে।

ওই পুকুরের মালিক তানভীর আহম্মেদ জানান, সকালে আমার সম্মন্ধি (স্ত্রীর বড় ভাই) মো. আজাদ হোসেন জাল দিয়ে বাড়ির পুকুরে মাছ ধরতে গেলে তার জালে ধরা পড়ে মাছটি। অন্যান্য মাছ ধরার পরে অনেক সময় বেঁচে থাকলেও এ মাছটি ডাঙায় তোলার কিছু সময়ের মধ্যে মারা যায়। মাছটির ওজন এক কেজির একটু বেশি। পরিবারের সদস্যরা দুপুরে মাছটি রান্না করে কিছু অংশ খান। এখন মাছটির মাথা ও লেজসহ কিছু মাছ রয়েছে।

আরো পড়ুন : তীব্র দাবদাহ. বাগেরহাটে মারা যাচ্ছে ঘেরের মাছ!

তানভীর জানান, মাছটি খেতে বেশ সুস্বাদু। মাছটি দেখতে অনেকটা ইলিশ মাছের মতো হলেও এর মুখ ও সামনের অংশ সম্পূর্ন আলাদা। নতুন ধরনের মাছ দেখে বিষয়টি তিনি মংস্য অফিসে জানান। এছাড়া তিনি ইন্টারনেটে সার্চে দিয়ে মাছটি আটলান্টিক মহাসাগরের ‘টারপোন’ মাছ বলে ধারণা করেন।

তিনি জানান, গত দু’বছর আগে চাষের উদ্দেশে তিনি দু’দফা কার্প জাতীয় মাছ ছেড়েছেন পুকুরে। তবে তার পুকুরে নদীর সঙ্গে কোনো নালা বা সংযোগ নেই।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আব্দুল বারী জানান, এমন মাছের সন্ধান আমাদের দেশে এখানো মেলেনি। তবে পুকুরের অবস্থান পরিদর্শন করে মাছের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পিরোজপুর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জেরিন সুলতানা জানান, মাছটির খোঁজ নিতে ওই পুকুর পরিদর্শন সহ যাবতীয় তথ্য নিতে হবে। পুকুরের অবস্থানসহ সরেজমিন পরিদর্শন করে বাকিটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২১, ২০২১ ১১:০৬ অপরাহ্ন
তীব্র দাবদাহ. বাগেরহাটে মারা যাচ্ছে ঘেরের মাছ!
মৎস্য

সারাদেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। আর এই তীব্র দাবদাহে শুকিয়ে গেছে বাগেরহাটে অনেক ঘেরের পানি। আর যেগুলোতে সামান্য পানি আছে তাতে টিকে থাকতে পারছেনা মাছ। মরে ভেসে উঠছে সেখানকার চিংড়ি। সেখানে গলদা পোনা সংকটও মারত্মক আকার ধারণ করেছে।

মৎস্য বিভাগ জানায়, দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি চিংড়ি উৎপাদন হয় বাগেরহাট জেলায়। বর্তমানে সরকারি হিসেবে বাগেরহাট জেলায় ৬৬ হাজার ৭১৩ হেক্টর জমিতে ৭৮ হাজার ৬৮৫টি বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে।

এসব ঘেরে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৪২৭ মেট্রিক টন বাগদা ও ১৮ হাজার ৮৪২ মেট্রিক টন গলদা উৎপাদন হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে এর পরিমাণ আরও বেশি। এই উৎপাদনের ধারা বজায় রাখতে ২ কোটি গলদা চিংড়ির রেনুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সংকটের কারনে অতিরিক্ত দাম দিয়েও চাষিরা চাহিদা অনুযায়ী পোনা পাচ্ছেন না।

বাগেরহাট সদর, মোংলা, রামপাল, কচুয়াসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার চিংড়ি চাষিরা জানায়, এবার বৃষ্টির দেখা নেই। ঘেরের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ইচ্ছে থাকলেও পোনা ছাড়তে পারছেন না তারা।

আরো পড়ুন: পোরশায় পুকুরে গ্যাসবড়ি দিয়ে দুর্বৃত্তের মাছ নিধন

অন্যদিকে পুকুর বা ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে মৌসুমের শুরুতে পোনা ছাড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন অনেক চাষি। কারণ লকডাউনের ফলে জেলার বাইরে থেকে সহজে পোনা আসতে পারছে না। আবার নদী থেকে আহরিত পোনা চাষিদের হাতে পৌঁছানোর আগে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আবারও নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন হাটে ঘুরেও পোনার ব্যবস্থা করতে পারছেন না চাষিরা।

বাগেরহাটের সব থেকে বড় গলদা চিংড়ি পোনার হাট ফকিরহাটের ফলতিতা। ভোর বেলা ফলতিতা হাটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে চাষিরা আসছেন পোনা কিনতে। কিন্তু বিক্রির জন্য পোনা এসেছে চাহিদার তুলনায় খুবই কম। ফলতিতা বাজারে প্রায় ৫০টির মত গলদা চিংড়ি পোনার আড়ত রয়েছে। যেখানে প্রতিবছর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কোটি পোনা বিক্রি হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২৫ কোটি টাকা।

বাগেরহাট জেলা চিংড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, অতিরিক্ত খরার কারনে অধিকাংশ ঘের ও পুকুরের মাছ মরে যাচ্ছে। ঘের-পুকুর শুকিয়ে গেছে।

এদিকে আবার পোনাও পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের সব থেকে বেশি গলদা চিংড়ি উৎপাদিত হয় বাগেরহাটে। এখানে ১৭টি বাণিজ্যিক হ্যাচারি ছিল, সেই হ্যাচারিগুলো এখন বন্ধ।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল জানান, তীব্র দাবদাহ ও পোনা সংকটে চিংড়ি চাষে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। চিংড়ি চাষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুষ্ঠু-সবল পোনা। কিন্তু এ জেলার বাণিজ্যিক হ্যাচারিগুলো নানা কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি কারিগরি পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার মাধ্যমে কিছু হ্যাচারিকে আবারও সচল করতে। এছাড়া পোনা সংকট সমাধানে সরকারি মৎস্য খামারে কিছু গলদার পোনা উৎপাদন করা হচ্ছে। নদী থেকে আহরিত পোনা যাতে চাষিদের হাতে পৌঁছাতে পারে সে জন্য বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করছি। বৃষ্টি হলে এবং ‘কঠোর লকডাউন’ শিথিল হলে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে আশাবাদী তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২১, ২০২১ ১০:৫০ অপরাহ্ন
পোরশায় পুকুরে গ্যাসবড়ি দিয়ে দুর্বৃত্তের মাছ নিধন
মৎস্য

নওগাঁর পোরশা মশিদপুর ইউনিয়নের গোরখাই গ্রামে ৫টি পুকুরে গ্যাসবড়ি প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার(২০ মে) এই ঘটনা ঘটে।

গোরখাই জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুল হাকিম জানান, মসজিদের পক্ষে প্রায় ১৭/১৮ বছর থেকে স্থানীয় ভাবে পোরশা গ্রামের শাহুদের কাছ থেকে পুকুরগুলি মৌখিক লীজ নিয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ মাছ চাষ করে আসছিল।

মাছ বিক্রি হতে আয়কৃত টাকা মসজিদের উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হতো। হঠাৎ কে বা কাহারা বৃস্পতিবার দিবাগত রাতে পুকুর গুলিতে গ্যাসবড়ি প্রয়োগ করে। ফলে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার মাছ মরে যায় বলে তিনি জানান। তবে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে মাছ নিধনের কাজটি হয়েছে এবং এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে তিনি জানান।

পোরশা থানা অফিসার ইনচার্জ শফিউল আজম খাঁন জানান, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্যরা ঘটনা স্থলে গিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২১, ২০২১ ৪:৫৪ অপরাহ্ন
মাছ আর শামুক সংগ্রহে ব্যস্ত পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষ
প্রাণ ও প্রকৃতি

পাহাড়ের চারপাশে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে আছে অসংখ্য ঝিড়ি। তবে শুকিয়ে যাওয়া ঝিড়ির সংখ্যাও কম নয়। জীবিত ঝিড়িগুলোতে জমে থাকা পানিতে মাছ আর শামুক ধরতে প্রতিদিনই দল বেঁধে নেমে পড়ছেন বিভিন্ন বয়সী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষ।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাথরের খাদে-খাদে লুকিয়ে থাকা মাছ আর শামুক খোঁজায় ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে। মাছ ধরার যন্ত্র হিসেবে কেউ ব্যবহার করছেন ছোট মশারি, বেতের তৈরি জাল যাকে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর ভাষায় য়াক শে (মারমা ভাষা) বা লুই (চাকমা ভাষা) বলে। কারোর বেতের তৈরি জালে উঠছে বেশি সংখ্যক কালো শামুক আবার কারোর ছোট মাছ। কিন্তু ঝিড়িতে পানি না থাকায় আগের মত মাছ আর শামুক পাওয়া যায় না। বড় মাছ নেই বললেই চলে।

মাছ ধরতে আসা লাইমি পাড়ার বাসিন্দা ক্লংথুন বম জানান, বর্ষাকালে পানি বেশি হওয়ায় মাছ ধরা সম্ভব হয় না। এখন পানি কম । ছোট-ছোট মাছ ধরতে আসছি। মাছের সাথে শামুকও পাচ্ছি।
ফারুক পাড়ার আরেক বাসিন্দা জুম তং বম নামে আরেকজন জানান, সকাল থেকে বিভিন্ন ঝিড়িতে গেছি। ছোট বড় মিলে আধা কেজির মাছ পেয়েছি। আগের মত মাছ নাই ।

চিম্বুক পাড়ার গ্যাৎসামনি পাড়ার ভানরাম বম জানান, সকাল থেকে আসছি। বড়-বড় মাছ আগের মত ঝিড়িতে পাওয়া যায় না। ছোট ছোট মাছ পাওয়া যায়। সবজি দিয়ে ছোট-ছোট মাছ খাব।

বান্দরবান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল কুমার সাহা জানান, প্রাকৃতিক জলাশয়ের প্রাচুর্য্য কমে গেছে। মা মাছের আশ্রয়স্থলগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সারাবছর যেখানে পানি থাকে সেসব জায়গায় আমরা অভয়াশ্রম তৈরি করব। বর্ষার সময় এ মা মাছগুলো ডিম দিবে। মাছ সব সময় বিপরীত মুখী যায়। এই মাছের পোনাগুলো বিভিন্ন ঝিড়িতে ছড়িয় পড়বে।

তিনি আরো বলেন, আমরা এগুলো সংরক্ষণ করার জন্য সবাইকে সচেতন করব। আর মাছগুলো রক্ষা করতে পারলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা চাহিদা পূরণ করতে পারবে সেই সাথে পুষ্টি মানও বজায় থাকবে।- বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২০, ২০২১ ৫:০৩ অপরাহ্ন
তেলাপিয়া মাছের রোগ ও করণীয়
মৎস্য

তেলাপিয়া চিনেনা এমন লোক পাওয়া যাবে না। এই মাছ চাষে লাভ বেশি হওয়ায় অনেকেই লাভবান হতে এখন বাণিজ্যিকভাবে এই মাছের চাষ করছেন। এই মাছ পুকুরে চাষ করার সময় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই মাছের রোগ এবং প্রতিকার করণীয় সম্পর্কে জেনে চাষ করলে অনেক লাভ হওয়ার সুযোগ থাকে চাষিদের।

তেলাপিয়ার রোগের কারণ:

১। পুকুরে বা খাঁচায় মাছের অধিক ঘনত্ব হলে অর্থাৎ পুকুরের জায়গার তুলনায় মাছের পরিমাণ অনেক বেশি হলে।

২। কোন অনুজীব যেমন- ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করলে এই মাছের রোগ হতে পারে।

৩। কোন কারণে তেলাপিয়া মাছ চাষের পুকুর কিংবা খাঁচায় চাষ করা হলে সেই খাঁচার পরিবেশগত বিশৃঙ্খলতা হলে।

৪। আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক সার কিংবা আগাছা নাশকের ব্যবহার।

৫। চাষের পুকুর কিংবা খাঁচায় মাছের জন্য অতিরিক্ত খাবার সরবরাহ।

৬। পুকুর কিংবা খাঁচায় পানির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গেলে।

৭। পুকুর কিংবা খাঁচায় অক্সিজেন সরবরাহ কম হলে।

রোগ হলে করণীয়ঃ

১। তেলাপিয়া মাছ চাষের পুকুরের পরিবেশ যাতে দূষিত না হয়ে থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। কোন কারণে পুকুরের পরিবেশ নষ্ট হলে তা দ্রুত ঠিক করতে হবে।

২। মাছের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। কোনভাবেই অতিরিক্ত খাদ্য প্রদান করা যাবে না।

৩। তেলাপিয়া মাছ চাষের পুকুরে কিংবা খাঁচায় বেশি পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে।

৪। পুকুরে তেলাপিয়া মাছের চাষ করা হলে পুকুরে মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে। আর খাঁচায় চাষ করা হলে তেলাপিয়া চাষের খাঁচায় মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে।

৫। তেলাপিয়া মাছের রোগ হলে প্রথমেই রোগের সঠিক কারণ নির্ণয় করতে হবে। এরপর সেই নির্দিষ্ট কারণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২০, ২০২১ ৯:১৫ পূর্বাহ্ন
আজ থেকে সুন্দরবনে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ
মৎস্য

সাগর ও সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদী থেকে মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বৃহস্পতিবার (২০ মে) থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত মৎস্য আহরণ এবং বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই অবস্থায় জেলেদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে জেলে পুনর্বাসনের বরাদ্দ আরও বাড়িয়ে দিলে কিছুটা হলেও সঙ্কট দূর হতো।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপকূলীয় মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, সমুদ্রগামী জেলেরা জাল, ট্রলার ও ফিশিংবোট নিয়ে সাগর ও সুন্দরবন থেকে উপকূলে ফিরছেন।

মোংলার চিলা এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা সাগরে ও সুন্দরবনে মাছ ধরি, কিন্তু ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়ছি। ধারদেনা করে দিন কাটাতে হবে।

জেলেদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে জেলে পুনর্বাসনের বরাদ্দ আরও বাড়িয়ে দিলে কিছুটা হলেও সঙ্কট দূর হতো।

মোংলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, এবার নিষেধাজ্ঞার সময়ে সাগর ও বন বিভাগের নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলেকে ৬৫ দিনে দুই দফায় ৮৬ কেজি চাল দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৯, ২০২১ ৫:১৪ অপরাহ্ন
কাপ্তাই লেকে বিলুপ্তের পথে ৬ প্রজাতির মাছ, কমছে রুই-কাতল-মৃগেল!
মৎস্য

মাছের প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট হওয়ায় রাঙামাটি লেকে বিলুপ্তের পথে মহাশোল-পাবদা-গুলশার মতো আরও ৬ প্রজাতির মাছ। আর কমেছে রুই-কাতলা-মৃগেলের পরিমাণ। এর আগে বাঘাআইড়-পাঙ্গাসের মতো অন্তত সাত প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

রাঙামাটির কাপ্তাই লেক থেকে বছরে অন্তত ১০ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হলেও দখল-দূষণ এবং অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরার ফলে ক্রমশ বিলুপ্ত হচ্ছে অনেক প্রজাতির মাছ।

জরিপে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে কাপ্তাই লেক থেকে সীলন-সরপুঁটি-ঘাউরা-বাঘাআইড়-দেশি পাঙ্গাসের মতো সাত প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়েছে। বিপন্ন অবস্থায় আছে ৬ প্রজাতির মাছ।

রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, আমরা কিছু মাছের রেনু উৎপাদন ও সংগ্রহ করার চেষ্টা করব। যদি আমরা রেনু থেকে কোয়ালিটি পোনা উৎপাদন করতে পারি তাহলে সেখান থেকে আমরা লেকে ছাড়ব।

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আজহার উদ্দিন জানান, দুইটা বিডিং মোটামুটি মৃত, আর বাকি যে দুইটা আছে সেখানে খুবই সামান্য মাছ বিট করতে পারে সেখানে। ৭২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ লেকে কেচকি-চাপিলা-মইল্যা-তেলাপিয়া এবং বাটার মতো ছোট মাছ পাওয়া গেলেও রুই-কাতলা-মৃগেল মাছ আর পাওয়া যাচ্ছে না।

মৎস্য বিজ্ঞানীদের দাবি, দখলের কবলে পড়ে কাপ্তাই লেকের মাছের প্রজনন ক্ষেত্রগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) মৎস্য অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম নুরুল আবসার খান জানান, অবশ্যই আমাদের মৎস উৎপাদন বাড়াতে হলে দখলদারিত্বের মনোভাব পরিহার হবে। দুষণ কমানোর দিকেও নজর দিতে হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, এ অবস্থায় সরকারি অনুমোদন পেলেই মাছ রক্ষায় কাপ্তাই লেকে ক্যাপিটেল ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৯, ২০২১ ২:১৭ অপরাহ্ন
মধ্যরাত থেকে সাগরে ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু
মৎস্য

মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বুধবার (১৯ মে) মধ্যরাত থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত তথা ৬৫ দিনের জন্য দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

দুপুরে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা ২ এর ক্ষমতাবলে এ নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গত ১৩ এপ্রিল এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ৬৫ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় যেকোনও প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭২১ মেট্রিক টন ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মৎস আহরণ নিষিদ্ধকালে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দেশের উপকূলীয় ১৪ টি জেলার ৬৬ টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৫ জেলে পরিবারকে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিটি জেলে পরিবার প্রথম ধাপে (২০ মে থেকে ৩০ জুন ২০২১) মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪২ দিনের জন্য মোট ৫৬ কেজি চাল পাবে।

ভিজিএফ চাল ১০ জুনের মধ্যে যথানিয়মে উত্তোলন এবং নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য মঞ্জুরি আদেশে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কার্ডধারী জেলে ছাড়া অন্য কাউকে এ ভিজিএফ প্রদান করা যাবে না।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop