৫:৩৩ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১৫, ২০২১ ৪:০০ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীতে পালিত হয়েছে মাছ ধরা উৎসব
পাঁচমিশালি

ঈদ মানেই খুশি আর ঈদ মানেই আনন্দ। এই আনন্দ উপভোগ করা হয় বিভিন্ন উপায়ে। তেমনি এই ঈদে আনন্দ করতে পটুয়াখালীর দশমিনায় দ্বিতীয় দিন আয়োজন করা হয়েছে পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব। এসময় এলাাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

শনিবার (১৫ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চরহোসনাবাদ এলাকার খালে এ উৎসব পালিত হয়। উৎসবে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।

এলাকার বাসিন্দা কামরুল জানান, শোল, শিং ও কৈ মাছ পেয়েছি। এলাকার মানুষ মাছ ধরতে নেমেছে। অনেক মজা হয়েছে। এছাড়া খালের পাড়ে বসে এ দৃশ্য অনেকে উপভোগ করছেন।

অন্য একজন জাননা, ঢাকা থেকে ঈদ উপলক্ষে গ্রামে এসেছি। মাছ ধরার উৎসব শুনে পলো হাতে নেমে পড়লাম। মাছ পাই আর না পাই, মজা পাচ্ছি এটাই বড় কথা।

উল্লেখ্য, ২০ বছর ধরে উৎসবটি পালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর বৈশাখ মাসে এলাকাবাসীর আয়োজনে এ উৎসব পালিত হয়। তবে এ বছর উৎসবটি ঈদের দ্বিতীয় দিনে পালিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১২, ২০২১ ৯:২২ অপরাহ্ন
জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭২১ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ
মৎস্য

দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭২১ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দেশের উপকূলীয় ১৪টি জেলার ৬৬টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৫টি জেলে পরিবারকে এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।এর মাধ্যমে প্রতিটি জেলে পরিবার ১ম ধাপে (২০ মে থেকে ৩০ জুন ২০২১) মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪২ দিনের জন্য মোট ৫৬ কেজি চাল পাবে।

বুধবার (১২ মে) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো— খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া, দিঘলীয়া ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মীরসরাই, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম মহানগর ও সীতাকুণ্ডু, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, সদর, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ, ফেনীর জেলার ফুলগাজী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, সদর, কমলনগর ও রায়পুর, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, হিজলা, সদর ও উজিরপুর, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়িয়া, ভাণ্ডারিয়া, নাজিরপুর, নেছারাবাদ, কাউখালি ও ইন্দুরকানি, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও মনপুরা।

 

দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১২, ২০২১ ৪:১১ অপরাহ্ন
হাটহাজারী বাজার থেকে ২০ কেজি নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ
মৎস্য

হাটহাজারী বাজারে বিক্রি করার সময় ২০ কেজি রাক্ষুসে পিরানহা মাছ জব্দ করেছে প্রশাসন।

গত মঙ্গলবার (১১ মে) শেষ বিকেলে জ্যৈষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বাজারে অভিযান চালিয়ে এসব নিষিদ্ধ মাছ জব্দ করার আদেশ দেন। মানবদেহের জন্য চরম ক্ষতিকর এসব মাছ খেলে নিরাময় অযোগ্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে হাটহাজারী বাজারে বিক্রি করার সময় ২০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে মাছ বিক্রেতা সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত মাছগুলো পরে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।

পিরানহা মাছটি নিষিদ্ধ ও বিষাক্ত। এটি খাওয়াতো দূরের কথা কোন কারণে কামড় দিলেও তা মানবদেহের জন্য চরম ক্ষতিকর। এ মাছ খেলে নিরাময় অযোগ্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১২, ২০২১ ৩:৪৪ অপরাহ্ন
জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭২১ মেট্রিক টন ভিজিএফ বরাদ্দ
মৎস্য

২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন (২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ২০২১) মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭২১.৩২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দেশের উপকূলীয় ১৪ টি জেলার ৬৬ টি উপজেলায় ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫৯৫ টি জেলে পরিবারকে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিটি জেলে পরিবার ১ম ধাপে (২০ মে থেকে ৩০ জুন ২০২১) মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪২ দিনের জন্য মোট ৫৬ কেজি চাল পাবে।

আজ বুধবার (১২ মে)সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী আদেশ জারী করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

ভিজিএফ চাল ১০ জুন ২০২১ তারিখের মধ্যে যথানিয়মে উত্তোলন এবং নিষিদ্ধকালে সমুদ্রে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য মঞ্জুরী আদেশে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কার্ডধারী জেলে ব্যতীত অন্য কাউকে এ ভিজিএফ প্রদান করা যাবে না মর্মেও মঞ্জুরী আদেশে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া, দিঘলীয়া ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মীরসরাই, সন্দীপ, কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম মহানগর ও সীতাকুন্ড, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, সদর, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ, ফেনীর জেলার ফুলগাজী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, সদর, কমলনগর ও রায়পুর, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, হিজলা, সদর ও উজিরপুর, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর, নেছারাবাদ, কাউখালি ও ইন্দুরকানি, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও মনপুরা।

দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ অনুযায়ী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরণের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ১৩ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারী করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২১ ১০:৩৬ অপরাহ্ন
ডিম ছাড়ার তিথিতে হালদায় মাছ শিকার, ঘেরা জাল জব্দ
মৎস্য

আকাশে মেঘের গর্জন আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সময়টাতেই শুরু হয় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদায় মা-মাছের ডিম ছাড়ার জো (তিথি)। বৃষ্টি হলেই এসময় ডিম ছাড়ে মা মাছ। আর এই সযোগেই হালদায় মাছ ধরে শিকারীরা।

ঘেরা জাল বসিয়ে মা-মাছ শিকারের এমন খবর পেয়ে ভোরেই অভিযানে নামে প্রশাসন। হাটহাজারি উপজেলা প্রশাসন হালদার সাত্তারঘাট থেকে সমিতির হাট পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ৫০০ মিটার ঘেরা জাল জব্দ করে।

মঙ্গলবার (১১ মে) ভোর ৫টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে।

মো. রুহুল আমিন জানান, হালদায় মা-মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ শিকারীরা ঘেরা জাল বসিয়ে মা মাছ শিকারে তৎপর হয়ে উঠেছে। উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযানে ঘেরা জাল জব্দ করে। আজকের অভিযানে প্রায় ২ হাজার ৫০০ মিটার জাল জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযান অব্রাহত থাকবে বলে জানান ইউএনও।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২১ ৫:৩১ অপরাহ্ন
লকডাউন: রাজশাহীতে কমছে মাছের যোগান!
মৎস্য

রাজশাহীর বাজারে করোনা লকডাউন, খারাপ আবহাওয়া আর পাইকারের অভাবে কমছে মাছের যোগান। খুচরা ক্রেতা বেশি থাকায় বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে পাইকারদেরও। আবার পুকুর মালিকরাও পাইকারের অভাবে উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে চিন্তিত।গাড়ি না চলাচল না করায় পাইকাররা আসছে না। সেজন্য মাছের দাম কমেছে বলে অভিযোগ জেলেদের।

যোগানের তুলনায় খুচরা ক্রেতা বেশি থাকায় পাইকারদের চড়া দামে কিনতে হয়েছে মাছ। প্রতিকেজি মৃগেল বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৮০, কাতলা ২৬০ থেকে ৩৭০ টাকা, ট্যাংরা ৬ ৫০ টাকা, সিলভার ও মিনার কার্প ১৮০ টাকা কেজি।

পাইকাররা জানান, আজকে মাছের অনেক দাম। গতকাল একটু কম ছিল। এছাড়াও বাজারে মাছের সরবরাহও কম। ঈদকে ঘিরে মাছ বিক্রির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি পুকুর মালিকদের। উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে চিন্তিত তারা।

একজন পুকুর মালিক জানান, মাছে পোনা ও খাবারের দাম অনেক বেশি। সে তুলনায় আমরা লাভবান হতে পারছি না।

জানা যায়, রাজশাহী জেলায় মাছের উৎপাদন হয় ৮৪ হাজার মেট্রিক টন। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে উদ্বৃত্ত ৩২ হাজার টন সরবরাহ হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১০, ২০২১ ৩:৫৭ অপরাহ্ন
কেন্দুয়ায় পুকুরে বিষ, ৬ লাখ টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় শত্রুতার জের ধরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করার অভিযোগ ওঠেছে। এতে ওই পুকুরে চাষ করা শিং ও দেশীয় জাতের রুই-কাতলাসহ আরো কয়েকটি জাতীয় মাছ নষ্ট হয়ে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষি দাবি করেছেন।

শনিবার রাতে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের আটিগ্রামে প্রতিবন্ধী হেলাল মিয়ার পুকুরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

মৎস্য চাষি হেলাল মিয়া জানান, আমি নিজে কোনো কাজকর্ম করতে পারি না। ৪০ শতকের এই পুকুরটি ৪ বছরের জন্য লিজ নেই ৩ বছর আগে। এই পুকুরের আয় দিয়েই আমার পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতাম। বর্তমানে পুকুরটি শিং মাছ সঙ্গে বাংলা মাছ চাষ করেছিলাম। মাছগুলো বিক্রয় করার উপযোগী হয়েছিল। ঈদের পরেই বিক্রয় করতে পারতাম। এরই মধ্যে শত্রুতার জের ধরে বিষ দিয়ে পুকুরের সব মাছ মেরে ফেলেছে।

হেলাল মিয়া জানান, পুকুরে সেচ দেয়ার মোটরটি গত ২রা মে চুরি হয়েছে। আমাদের সঙ্গে এলাকার কয়েকজনের শত্রুতা চলে আসছে, তারাই হয়তো মোটর চুরিসহ এই সর্বনাশ করেছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সাজ্জাতুল হাসান। তিনি পানির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেছেন পানি স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। পানির কোনো সমস্যার কারণে মাছ মারা যাওয়ার কারণ নেই।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সাজ্জাতুল হাসান বলেন, পানির কয়েকটি গুণাগুণ পরীক্ষা করে দেখেছি। এতে যা বুঝতে পারলাম পানি স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। পানির কোনো সমস্যার কারণে মাছ মারা যায়নি। আর মাছ বিষক্রিয়ার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার যন্ত্র আমাদের কাছে নেই। কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত সহায়তা দেয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৯, ২০২১ ১:৫৬ পূর্বাহ্ন
পাথরঘাটায় বিষ দিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন!
মৎস্য

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীরের পুকুরে রাতের আঁধারে কেউ পানিতে বিষ মেশানোয় লক্ষাধিক টাকার মাছ মারা পড়েছে। পুকুরে রুই, কাতল, পাঙ্গাস, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, মৃগেল, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিল।

শনিবার (৮ মে) সকালে উঠে জাহাঙ্গীর পুকুরের এ করুণ অবস্থা দেখতে পান। তিনি জানান, কমপক্ষে এক লাখ ১৭ হাজার টাকার মাছ ছিল তার পুকুরে। শুক্রবার (৭ মে) রাতে কোনো এক সময় দুষ্কৃতিকারীরা পুকুরের পানিতে বিষ মিশিয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।

জাহাঙ্গীর বলছেন, তার কোনো শত্রু নেই। কে বা কারা এ কাজ করেছে, বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি।

কালিবাড়ি গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর একজন মাছ ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ই দেখি পুকুরে মাছগুলো মরে ভেসে উঠেছে। রুই, কাতল, পাঙ্গাস, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, মৃগেল, তেলাপিয়াসহ নানা প্রজাতির মাছ ছিল আমার পুকুরে। কিছুদিন আগে এই মাছগুলো পাশের একটি ঘের থেকে তুলে আমি এই পুকুরে রেখেছিলাম।

জাহাঙ্গীর ক্ষোভ নিয়ে বলেন, আমার কোনো শত্রু নেই। তারপরও কেন এমন হলো, আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জালাল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরাও দেখেছি জাহাঙ্গীরের পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। শত্রুতা থেকে যে কেউ এ কাজ করে থাকতে পারে।

কাঠালতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ব্যস্ত থাকায় তার প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন বলে জানান জাহাঙ্গীর। প্রতিবেশী সাবেক পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল আলমও পুকুরটি দেখেছেন।

তিনি বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মানুষের সঙ্গে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে। তাই বলে মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা! এ ঘটনায় দায়ীদের খুঁজে বের করে সঠিক বিচার করা উচিত‌ তা না হলে সমাজে বাড়তেই থাকবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৮, ২০২১ ৪:৪০ অপরাহ্ন
সিলেটের কুশিয়ারা নদীতে ধরা পড়ল সাড়ে ৪ মণ ওজনের বাঘাইড়
মৎস্য

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে জেলেদের জালে সাড়ে ৪ মণ ওজনের একটি বাঘাইড় ধরা পড়েছে। লালবাজারে বাঘাইড় মাছটি বিক্রির জন্য তোলার খবর শুনে উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছে।

শনিবার (৮ মে) সকাল ১০টার দিকে মাছটি বিক্রির জন্য সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকার লালবাজারে নিয়ে আসেন জেলেরা।

মাছ ব্যবসায়ী বেলাল জানান, ভোরে জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ার পর সেটি বিক্রির জন্য জেলেরা কাজীরবাজার মাছের আড়তে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে তারা মাছটি বিক্রির জন্য লালবাজারে নেন।

তিনি বলেন, ক্রেতাদের কাছে সাড়ে ৪ মণের বাঘাইড় মাছটির দাম চাওয়া হচ্ছে ৪ লাখ টাকা। আস্ত মাছ কেনার মতো ক্রেতা না থাকায় দুপুর ২টায় কেটে কেজিদরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাছটির প্রতি কেজি আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

নগরের জেলরোড এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হোসেন জানান, বিশালাকৃতির বাঘাইড় মাছ লালবাজারে তোলা হয়েছে শুনে এখানে এসেছি। এটি কেজি দরে বিক্রি হলে আমি এক কেজি কিনব। বড় আকৃতির এ ধরনের মাছের স্বাদই আলাদা। তিনি এর আগেও একাধিকবার বাঘাইড় কেজিদরে ক্রয় করে খেয়েছেন বলে জানান।

এর আগে একই নদীতে সাত মণ ওজনের বাঘাইড় ধরা পড়েছিল। সে মাছটিও এই বাজারে কেটে কেজিদরে চার লাখ টাকা বিক্রি করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৭, ২০২১ ২:৩৪ অপরাহ্ন
বরগুনাসহ বরিশাল বিভাগে বাড়ছে খাদ্যশস্য ও মাছ উৎপাদন
কৃষি বিভাগ

বরগুনাসহ বরিশাল বিভাগে কয়েক বছর ধরে খাদ্যশস্য চাল ও ফসলের উৎপাদন বাড়ছে। চলতি বছর বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে। নদী, সাগর থেকে আহরণ করা ও মিঠা পানির মাছের পরিমাণও চাহিদার তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি পাওয়া গেছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর তিন ফসল মিলিয়ে এই বিভাগে প্রায় ৩১ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়। একইভাবে দেশের ৮০ ভাগ মুগ ডাল, ৬৫ ভাগ তরমুজ উৎপাদন হয় এই বিভাগে। চলতি বছর বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৭ লাখ টন চাল। মুগ আবাদ হয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টরে। লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৩ লাখ মে. টন। এ ছাড়া ৫০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে রবি আবাদ হয়েছে।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলিমুর রহমান জানান, জমিতে লবণাক্ততা বাড়ছে। উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে। তাই এটা রোধে দ্রুত সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

শুধু কৃষি নয়, বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের মোট ইলিশের ৬৬ ভাগের জোগান দেয় বরিশাল অঞ্চল। একইভাবে মিঠাপানির মাছ উৎপাদনেও এই বিভাগের অবদান অনেক। তবে লবনাক্ততার কারনে নদীতে নদী, খালে হঠাৎ করে মাছের প্রাপ্যতা কমে গিয়েছে বলে জেলেরা জানিয়েছেন।

মৎস্য বিভাগের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার জানান, জেলেরা চরগড়া, কারেন্ট, বেহুন্দি এসব অবৈধ জালের ব্যবহার করায়, নদীতে চর পড়ে স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘœ ঘটায়, লোনা পানি, বৃষ্টি কম হওয়া, জেলের সংখ্যা কয়েকগুন বৃদ্ধি পাওয়াতে মাছের আধিক্য কমেছে। তবে আশা করছি বৃষ্টি হলেই কয়েক দিনের মধ্যে নদীগুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop