১২:০৯ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ৬ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ৪, ২০২২ ৫:১৩ অপরাহ্ন
বাকৃবির গবেষকদের গবেষণা: প্রথমবারের মত মৎস্য জরিপে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির ব্যবহার
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি প্রতিনিধি: মৎস্য জরিপে সাধারণত কোন একটি দেশের মোট মৎস্য উৎপাদন, মৎস্য ফার্ম, মাছ চাষির সংখ্যা, মাছ ব্যবসায়ীর সংখ্যা, মৎস্যখাদ্য ব্যবসায়ীর সংখ্যা, মৎস্য হ্যাচারির সংখ্যাসহ প্রভৃতির গণনা করা হয়।

এই পরিসংখ্যানের ফলে দেশের মৎস্য সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার, বিভিন প্রকল্প বাস্তবায়ন, রপ্তানিসহ নানা বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়।

কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে মৎস্য জরিপে তথ্য সংগ্রহে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ না করায় অনেক ক্ষেত্রে ভুল তথ্য উঠে আসে।

তাই মৎস্য সম্পদের সহজ এবং সঠিক পরিসংখ্যান পেতে দেশে প্রথম মেশিন লার্নিং নামে একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের একদল গবেষক।

বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় ঢাকার রমনায় অবস্থিত মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘হার্নেসিং মেশিন লানিং টু এস্টিমেট একোয়াকালচার প্রডাকশন এন্ড ভেল্যু চেইন পারফর্মেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান প্রকল্পটির প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অঞ্চলের) বাকৃবির একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক।

জানা যায়, প্রকল্পটি ইউএসএআইডি এর আওতাধীন ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিশ’ এর অর্থায়নে আমেরিকার ‘মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি’ কর্তৃক পরিচালিত।

ওই প্রকল্পটি বাংলাদেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের একোয়াকালচার প্রধান জেলা খুলনা, সাতক্ষিরা, বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, ভোলা, এবং গোপালগঞ্জ জেলা নিয়ে কাজ করছে।

কর্মশালায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক আরও জানান, যে প্রক্রিয়ায় দেশে মৎস্য সম্পদের জরিপ করা হয় তা সেকেলে হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেয় পরিসংখ্যানে ভুল তথ্য চলে আসে। এমনকি তা অনেক সময়সাপেক্ষ। যা মৎস্য সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার অন্তরায়। সঠিক পরিসংখ্যানের জন্য আমরা মেশিন লার্নিং সিস্টেম ব্যবহার করেছি। যেখানে কোন এলাকার স্যাটেলাইট ছবির তথ্য ব্যবহার করে আমারা মাছচাষের সঙ্গে জড়িত জমির আয়তন নির্ধারণ করেছি। এই ফলাফল গুলোকে জরিপ হতে প্রাপ্ত মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও আঞ্চলিক অর্থনীতিতে একোয়াকালচারের গুরুত্ব ইত্যাদি তথ্যের সাথে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এর ফলে খুব কম সময়ে নির্ভূলভাবে মৎস্য জরিপ সম্ভব।

বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক, ওয়ার্ল্ড ফিশের দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক ক্রিসটোফার রোস প্রাইস এবং বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এ. সালাম উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক (আমেরিকা অঞ্চলের) ও মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেন বেল্টন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩১, ২০২২ ৫:৪৭ অপরাহ্ন
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ইলেকট্রনিক ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ইলেকট্রনিক ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে যার মাধ্যমে সঠিক গবেষণায় খাদ্যের মান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যেকোন প্রয়োজনে ৩৩৩ নম্বওে ফোন কওে ভোক্তগণ অভিযোগ জানাতে পারবেন।

বাকৃবিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর আইন বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল কাইউম সরকার এসব কথা বলেছেন। বাকৃবি গবেষকগণ যেভাবে কৃষি বিপ্লব এনে দিয়েছেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণেও তারা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে সরকারের পাশে থাকবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগ এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর যৌথ আয়োজনে রবিবার (৩১ জুলাই) সকাল ১০টায় বাকৃবি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, উন্নত ও মেধা শক্তিসম্পন্ন জাতি গঠনে সুষম ও নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই। নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক গবেষণালব্ধ ফলাফল সবপর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া বাকৃবি গবেষকদের দায়িত্ব।
এছাড়াও সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদেও ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মকবুল হোসেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আলীম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ।

অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক, আমন্ত্রিত অতিথি বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩০, ২০২২ ৭:২৬ অপরাহ্ন
শিম জাতীয় সবজির উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

অর্ঘ্য চন্দ, সিকৃবি প্রতিনিধি : সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় শিম জাতীয় সবজির উন্নয়ন ও উৎপাদন কলাকৌশল নিয়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৩০ জুলাই) সিলেটের ধোপাদিঘীর পাড় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে। এতে অর্থায়ন করেছে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন।

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মোশাররফ হোসেন খান। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ দেবনাথের সঞ্চালনায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য দেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপজেলা পর্যায়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রশিক্ষকবৃন্দ অংশ নেন যারা পরবর্তীতে মাঠপর্যায়ে চাষীদের এবিষয়ে প্রশিক্ষিত করবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘শিম বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় সবজি ফসল যা প্রধানত শীতকালে চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে গ্রীষ্মকালীন শিমের বেশ কয়েকটি জাত জনপ্রিয় হয়েছে। যেহেতু শিম একটি আমিষ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি তাই গ্রীষ্মকালীন সময়ে এ ফসলটি চাষ করতে পারলে আপামত জনগোষ্ঠির পুষ্টির উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব’।

অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম শিম উৎপাদনের নানা কলাকৌশল নিয়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মো: শহীদুল ইসলাম সিকৃবি শিম-১ (সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিম-১) ও সিকৃবি শিম-২ জাত আবিষ্কার করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২২ ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
বশেমুরকৃবিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ পালিত
ক্যাম্পাস

মো. গোলাম শাহারিয়া লিমন :  ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৩-২৯ জুলাই দেশব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সামনের পুকুরে পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ উপলক্ষে বশেমুরকৃবি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ আয়োজিত মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া। তিনি তার বক্তৃতায় মাছের সাথে বাঙালি সম্পর্ক উল্লেখ করে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনে অন্য দেশের সাথে তুলনা করেন এবং মাছ খাওয়ার গুণাগুণের কথা উল্লেখ করেন।এছাড়াও বাংলাদেশ যে নিজের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে মাছ রপ্তানি করছে তাও উল্লেখ করেন।এ উৎপাদনের বৃদ্ধির কৃতিত্ব দেন মৎস্যবিজ্ঞানীদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সর্বোপরী মাছচাষীদের।পরিশেষে মৎস্য সপ্তাহ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
পরে মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. এস. এম. রফিকুজ্জামান তার বক্তব্যে উপস্থিত ভাইস- চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, প্রক্টর ছাড়াও অনুষ্ঠান সাফল্যমন্ডিত করতে যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান।
তাছাড়াও পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তৃতা রাখেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের জেনেটিক্স এন্ড ফিস ব্রিডিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সালাম।


উক্তসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ, প্রক্টর ড. মো. আরিফুর রহমান খাঁন সহ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন অ্যাকুয়াচালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌসুমি দাস।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৪, ২০২২ ৪:৩৫ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ পালিত
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে উদযাপিত হয়েছে মৎস্য সপ্তাহ ২০২২।

রবিবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদযাপিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে বাকৃবি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ।

এ উপলক্ষে সকাল ৯ টায় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে ব্রহ্মপুত্র নদে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।

এ উপলক্ষে বাকৃবি উদিচী ঘাটে আয়োজিত মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিনসহ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আমিনুল হক ভবনের সভাকক্ষে এ উপলক্ষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২২ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
শেরে বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেলেন ড. আবুল মনসুর
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর এবছর ‘শেরে বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২’ লাভ করেছেন।

বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, ইকোনোমিক রিপোর্টারস ফোরাম মিলনায়তনে গত শনিবার এক সেমিনার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এ এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।

গত ৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর লেখা এক অবহিতকরণ চিঠিতে প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল ‘উপমহাদেশে শিক্ষা বিস্তারে শেরে বাংলার ভূমিকা’।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্রেস্ট প্রদান করেছেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শরীফ সাকী ও আলহাজ্ব আব্দুস শক্কুর। সেমিনার উদ্বোধন করেন ব্যারিষ্টার জাকির আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন জনাব মুহাম্মদ আতাউল্লাহ্ খান। প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ সম্মাননা লাভ করেন। প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর বিগত ৩৬ বৎসর যাবৎ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।

তিনি দুইবার বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। একবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের প্রভোস্ট ছিলেন। ফিশ মিউজিয়াম এন্ড জার্মপ্লাজম সেন্টারের পরিচালক ছিলেন। বর্তমানে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে কর্মরত।

প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর ১৯৯৫ সালে ইংল্যান্ডের হাল বিশ্ববিদ্যালয় হতে পি.এইচ-ডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০০১ সালে জে.এস.পি.এস. পোস্ট-ডক ফেলোশীপে জাপানে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২২ ৪:২৯ অপরাহ্ন
শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে সিকৃবিতে মানববন্ধন
ক্যাম্পাস

অর্ঘ্য চন্দ, সিকৃবি প্রতিনিধি: সম্প্রতি শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যা এবং অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সাড় ১২টার দিকে শিক্ষক সমিতির আয়োজনে প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন প্রধান সড়কে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষক সমিতির (২০২২) সভাপতি প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. এম এম মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো : মতিয়ার রহমান হাওলাদার।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিকৃবি ছাত্র পরামর্শ ও নিদের্শনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো : মোস্তফা শামসুজ্জামান, ডিন কাউন্সিলরের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো : রাশেদ আল মামুন ও শিক্ষক সমিতির শিক্ষকবৃন্দ। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেন, ছাত্রসমাজের একটা অংশের নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে। তাই নৈতিক শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে, যা পরিবার থেকে শুরু করতে হবে।

নৈতিক উন্নতি না হলে, কেবল অর্থনৈতিক উন্নতি দিয়ে প্রকৃত সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব না। আরো বক্তব্য রাখেন মো : আবু কাউসার ( সাধারণ সম্পাদক, ল্যাপস) , প্রফেসর ড. মো : আব্দুল আজিজ ( সাধারণ সম্পাদক, সাদা দল), প্রফেসর ড. মো : মোশাররফ হোসেন সরকার ( সাধারণ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ) প্রমুখ । মানববন্ধনের সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ বলেন,আমাদের বিবেক জাগ্রত করা উচিত। সমাজের প্রতিটি পরিবারে সন্তানকে সুশিক্ষিত করতে হবে। সেই সাথে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শিক্ষকদের মাঝে একতা বজায় রাখতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২২ ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
ইউজিসিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিটিজেন চার্টার কমিটির অবহিতকরণ সভা
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি :বিশ্ববিদ্যালয় মাঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটিজেন চার্টার কমিটির ফোকাল পয়েন্টদের নিয়ে দিনব্যাপী অবহিত করন সভা ও ফিডব্যাক প্রদান কম’শালা অনুষ্ঠিত। গত ২৯ জুন অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সচিব, ইউজিসি

ড. ফেরদৌস জামান, প্রধানঅতিথি ছিলেন , সদস্য, ইউজিসি প্রফেসর ড. আবু তাহেরসহ পঁচিশটি বিশ্ববিদ্যালয় সভায় অংশ গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ হতে ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মোঃ জহিরুল আলম, প্রতিনিধিত্ব করেছেন ।
উল্লখ্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন এবং এ সম্পর্কিত সেবাদান কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ও এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৮, ২০২২ ২:১৪ অপরাহ্ন
চুয়েটের সহকারী পরিচালক হিসেবে পদোন্নয়ন পেলেন রাশেদুল
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা জনাব মুহাম্মদ রাশেদুল ​ ইসলাম (রাশেদ পারভেজ) ‘সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ)’ হিসেবে পদোন্নয়ন পেয়েছেন।

সোমবার (২৭ জুন) অপরাহ্নে তিনি সহকারী পরিচালক পদে যোগদান করেন।

রাশেদুল ইসলাম বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ সমিতি (বাপজস)এর ক্রীড়া সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬শে জুন অনুষ্ঠিত চুয়েটের ১২৫তম সিন্ডিকেট সভার সুপারিশক্রমে তিনি এ পদোন্নয়ন লাভ করেন।

তিনি চুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা পদে গত ৩০ মার্চ ২০১৭ খ্রি. থেকে কর্মরত আছেন। প্রসঙ্গত, চুয়েটে যোগদানের পূর্বে রাশেদ পারভেজ দৈনিক আজাদীর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে প্রায় তিন বছর (২০১৪-২০১৭) কর্মরত ছিলেন।

মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ২০১৩ সালে প্রথম শ্রেণীতে বি.এস.এস (অনার্স) এবং ২০১৪ সালে একই বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে এম.এস.এস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। উল্লেখ্য যে, তিনি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় নারী কৃষকের অবদানের স্বীকৃতি বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্চাসেবী সংগঠন ‘অক্সফাম’ ও দেশিয় গণমাধ্যম গবেষণা সংস্থা ‘সমষ্টি’ কর্তৃক “অক্সফাম ফেলোশীপ-২০১৫” মনোনীত হন।

এছাড়া চট্টগ্রামের পোল্ট্রি শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য ওয়াচডগ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি সমন্বয় কমিটি কর্তৃক ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট “সেরা প্রতিবেদক” হিসেবেও পুরষ্কার লাভ করেন। তিনি জার্মানির ডয়েচে ভেলে থেকে গণমাধ্যম বিষয়ক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৯৩ সালের ০১লা জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শাইর মুহাম্মদ পাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল গফুর ও মাতার নাম মনোয়ারা বেগম। তিনি বড় চারবোনের পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২২ ৭:৩৯ অপরাহ্ন
স্বপ্নের পদ্মা সেতু অনন্য গৌরব, মর্যাদা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক: বাকৃবি ভিসি
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু,বাকৃবি: স্বপ্নের পদ্মা সেতু অনন্য গৌরব, মর্যাদা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক বলেছেন বাকৃবি ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম।

শনিবার সকাল ৯টায় বাকৃবি ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যালিটি প্রশাসন ভবন সংলগ্ন হেলিপ্যাড থেকে শুরু হয়ে বাকৃবি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। র‌্যালি উদ্বোধনের প্রাক্কালে প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মানদী পদ্মা পাড়ের মানুষের শিক্ষা, শিল্প ও বাণিজ্যিক অগ্রযাত্রায় কঠিন বাধা ছিল। যা নিরসনে ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং সকল ষড়যন্ত্রের জাল ও বাধা ছিন্ন করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে সক্ষম হয়েছেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু অনন্য গৌরব, মর্যাদা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক।

এরপর সকাল ১০টায় বাকৃবি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে বাংলদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কর্তৃক পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম ফারুক, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মোঃ ছাইফুল ইসলামসহ শিক্ষক সমিতি,গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম, অফিসার পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদ, তৃতীয় শ্রেণি কারিগরি পরিষদ, চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদসহ বিভিন্ন শিক্ষক-ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop