৫:৪৪ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ৪, ২০২১ ৭:১২ অপরাহ্ন
মশা কমাবে দেশীয় প্রজাতির খলিসা মাছ
কৃষি গবেষনা

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশের শহর, গ্রাম সর্বত্র মশার উপদ্রবে বিপর্যস্ত। মশার মাধ্যমে মানুষের ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগ। এছাড়া ‘মাইক্রোসেফালি’ যা মশাবাহিত জিকা ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। মশা প্রতিরোধে ব্যবহৃত হচ্ছে ক্ষতিকর কীটনাশক। যা পরিবেশ ও মানুষের শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে মশা থেকে রক্ষা পেতে জৈবিক পদ্ধতিতে (মশাভুক্ত মাছ) মশা নিধনসহ সমন্বিত উদ্যোগের কথা বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদ। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মলেনে এসব কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মলেনের সভাপতিত্ব করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর।

ড. হারুনুর রশীদ জানান, মশার বিস্তার রোধে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। সমন্বিত ব্যবস্থাপনাগুলো মূলত ‘জৈবিক বালাইদমন পদ্ধতি’ যা দীর্ঘমেয়াদী কিন্তু টেকসই ও কার্যকর। মশা নিয়ন্ত্রণে পাশ^বর্তী সফল দেশগুলোর (ভারত, ভিয়েতনাম) দিকে তাকালে দেখতে পাই যে, সারা বছর ধরে বেশ কিছু জৈবিক (মশাভুক মাছ) ও রাসায়নিক দমন পদ্ধতির সমন্বিত প্রয়োগের মাধ্যমে সাফল্য পেয়েছেন তারা। আমরা তাদেরকে অনুসরণ করতে পারি। জৈবিক উপায়ে মশা নিধনের জন্য ২০১৭ সালে চট্টগ্রামে একটি গবেষণা করেছিলাম। এসময় আমরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন ড্রেনে ও নর্দমার নোংরা পানিতে প্রচুর পরিমাণ মসকুইটো ফিশ পাই । তাদের পেট কেটে দেখেছি প্রচুর পরিমাণে মশার লার্ভা। এই মাছটি কিছুটা আমাদের দেশি দাড়কিনা মাছের মতো দেখতে এবং মাছগুলো শহরের অ্যাকোরিয়ামের দোকানে বিক্রি হয়ে থাকে। ঢাকা-চট্টগ্রামে বেশ কয়েক বছর আগে এই মাছ ও গাপ্পি ছাড়া হয়েছিল বলে শুনেছি। আমি চট্টগ্রামের ড্রেনে গাপ্পি তেমন দেখিনি, কিন্তু মসকুইটো ফিশ প্রচুর পরিমাণে দেখেছি। এ মাছগুলো ড্রেনের নোংরা পানিতে শুধু বছরের পর বছর টিকে আছে তাই নয়, বংশও বিস্তার করছে। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ মশার লার্ভা খেয়ে আমাদের সাহায্য করছে।

পরবর্তীতে মসকুইটো ফিশ ছাড়াও দেশি-বিদেশি মাছ নিয়ে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করি। উদ্দেশ্য ছিল মশার লার্ভা ভক্ষণে তাদের দক্ষতার তুলনা করা। গবেষণায় আমরা দেখেছি যে, বিদেশি মসকুইটো ফিশ বা গাপ্পির তুলনায় মশক লার্ভা ভক্ষণের ক্ষেত্রে আমাদের দেশি জাতের খলিসা মাছের দক্ষতা প্রায় দ্বিগুণ। বিদেশি মাছের তুলনায় দাড়কিনা মাছের দক্ষতাও ভালো লার্ভা দমনের ক্ষেত্রে কিন্তু ড্রেন বা নর্দমার পানিতে এই মাছ বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। অপরদিকে খলিসা শুধু মশার লার্ভা ভক্ষণেই ভালো নয়, এটির ড্রেনের পানিতে অভিযোজন ও টিকে থাকার হারও ভালো। এসব মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন খুবই সহজ। মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য মাছগুলো যাতে হারিয়ে না যায় এজন্য সিটি কর্পোরেশনগুলো প্রতিবছর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন ও বড় করে শহরের বদ্ধ জলাগুলোতে প্রতিবছর ছেড়ে দিতে পারে। এতে করে এসব জলায় মশা ডিম ছাড়লে উৎপন্ন লার্ভা খেয়ে দেশি মাছগুলো মশা দমনে অনেকাংশে অবদান রাখবে। কর্তৃপক্ষ চাইলে দেশের স্বার্থে এ পোনার প্রযুক্তি সরবরাহ, পোনা উৎপাদনের প্রশিক্ষণ সহায়তা থেকে শুরু করে যাবতীয় সহায়তায় বিশ^বিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের বিশেষজ্ঞ দল বিনা পারিশ্রমিকে সহায়তা প্রদানের করবে বলেও আশ^স্ত করেন।

 

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩, ২০২১ ৬:৪৮ অপরাহ্ন
বাকৃবি‘র গবেষণা: আমন-বোরোর মাঝে শিম জাতীয় ফসল চাষে লাভবান হবে কৃষক
কৃষি গবেষনা

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশে প্রচলিত দ্বি-ফসলি আমন-বোরোকে তিন ফসলি করা ও আবাদকৃত জমির উর্বরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক।

শনিবার (৩এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাকক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে গবেষকগণ এসব জানান।

গবেষকদল তিন বছরের গবেষণায় দেখেছেন, স্বল্পকালীন আগাম রোপা আমন (যেমন বিনাধান-৭) এবং নাবী বোরো ধান (যেমন বিনাধান-১৪) চাষ করে আমন-বোরোর মাঝের পতিত সময়কাল বাড়িয়ে ৭০-১০০ দিন করা সম্ভব। এই সময়ে সবজি হিসেবে খাওয়া যায় এমন শিম জাতীয় ফসল যেমন মটরশুটি, লিগনোসাস শিম, ঝাড় শিম, ফেলন, সয়াবিন এবং মুগ আবাদ করা সম্ভব। এতে করে দ্বি-ফসলি জমি থেকে তিন ফসল পাওয়া যায়।

সম্মেলনে ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণা কার্যক্রমের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকিরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী ফরহাদ কাদির এবং সহযোগী গবেষক ড. মো. নেছার উদ্দীন।

এসময় গবেষকেরা বলেন, বাংলাদেশে প্রচলিত ফসলগুলোর মধ্যে দ্বি-ফসলি আমন-বোরো অন্যতম। দেশের মোট আবাদযোগ্য জমির শতকরা প্রায় ২২ ভাগ আসে এখান থেকে। আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময় কম। যার ব্যাপ্তি ৬০ দিনেরও কম। আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী স্বল্প সময়ে প্রচলিত অন্য কোনো ফসল চাষের জন্য যথেষ্ট নয়। এসময় কৃষকরা জমি পতিত রাখেন। কিন্তু স্বল্পকালীন আগাম রোপা আমন এবং নাবী বোরো ধান চাষ করে দ্বি-ফসলি জমি থেকে তিন ফসল পাওয়া সম্ভব।

শিম জাতীয় গাছগুলো থেকে বীজ সংগ্রহ করে গাছগুলোর অবশিষ্ট অংশ জমিতে সবুজ সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে জমির জৈব উপাদান ও পুষ্টিগুন বেড়ে যায়। ফলে জমিতে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন কম হবে। পাশাপাশি দুই ফসলের জায়গায় তিন ফসল পেয়ে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। এই উৎপাদন ব্যবস্থায় শিম পরবর্তী বোরো ধানের উৎপাদন শতকরা ১৫-২০ ভাগ পর্যন্ত বেশি পাওয়া গেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২১ ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
সিভাসুর উদ্যোগে দু`দিনব্যাপী বিনামূল্যে প্রাণী টিকা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান
ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দু`দিনব্যাপী বিনামূল্যে প্রাণী টিকা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস.এ. কাদেরী টিচিং ভেটেরিনারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় গত ২৮ মার্চ আকবরশাহ থানার উত্তর লেকসিটি এলাকায় এবং ২৯ মার্চ সীতাকুন্ডের ছোট দারোগার হাটে এই সেবা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কর্মসূচিতে গবাদি প্রাণীর ড়্গুরারোগ (এফএমডি), বাদলা (ব্ল্যাক কোয়াটার) এর জন্য প্রতিরোধক টিকা প্রদানের পাশাপাশি গবাদি প্রাণীর চিকিৎসা সেবা, কৃমিনাশক, ভিটামিন ও রুচিবর্ধক ঔষধ প্রদান করা হয়।

এছাড়াও খামারীদের খামার পরিচালনা সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করা হয়।

এই আয়োজনে উত্তর লেকসিটিতে ২৩টি গরুর ক্ষুরা রোগের টিকা ও ৫টি গরম্নর বাদলা রোগের টিকাসহ মোট ৪১টি গরু এবং ৩টি ছাগলের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। সীতাকুন্ড উপজেলার ছোট দারোগা হাট কমিউনিটি ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ২৫টি ক্ষুরা রোগের টিকা ১টি গরুর বাদলা রোগের টিকাসহ মোট ৩৭টি গরু ও ৬টি ছাগলের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

এছাড়াও ৭টি খামারে মৃত মুরগীর ময়না তদন্তে ও পরামর্শ প্রদান করা হয়।

এ সময় এস.এ. কাদেরী টিচিং ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ড. ভজন চন্দ্র দাস, বহিরাঙ্গণ কার্যক্রম পরিচালক প্রফেসর ড. এ.কে.এম. সাইফুদ্দীন, ফার্মাকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. এস.কে. এম. আজিজুল ইসলাম, মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ড. আহাদুজ্জামানসহ বিভাগীয় শিক্ষক ও ইন্টার্ন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৩১, ২০২১ ১২:০৮ অপরাহ্ন
আমেরিকার “ফাইটোপ্যাথলজি নিউজ ইভেন্ট” এ উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি পেলেন খুবির শিক্ষক
কৃষি গবেষনা

উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিষয়ক গবেষণা প্রকাশের জন্য বিখ্যাত আমেরিকার প্রকাশনা সংস্থা ” আমেরিকান ফাইটোফ্যাথলজি এসোসিয়েশন” তাদের ২০২০-২০২১ সেশনের “ফাইটোপ্যাথলজি নিউজ ইভেন্ট ” এ স্টুডেন্ট ক্যাটাগরি থেকে উদ্ভিদ
রােগতত্ত্বের উপরে গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযােগী অধ্যাপক ড. শিমুল দাস-কে মনােনয়ন করে তার গবেষণালব্ধ আবিষ্কার নিয়ে ফিচার করেছে। তিনি তার পিএইচডি
গবেষণায় শীম জাতীয় সবজির সবচেয়ে
বিধ্বংসী রােগ বিন কমন মােজাইক ভাইরাস’ ও ‘কাউপি মাইল্ড মটল ভাইরাস রােগের সম্পূর্ণ জেনেটিক মেকআপ এক্সপ্লোরসহ তাদের প্রত্যেকটি জীনের “NT” ও “AA” ম্যাপিং করেছেন যা বাংলাদেশ ও আমেরিকার কৃষির জন্য এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। তার এ গবেষণার মাধ্যমে উপরােক্ত দুটি ভাইরাসের লােকাল ও সিস্টেমিক মুভমেন্টসহ তাদের জেনেটিক লেভেলে প্রতিরােধ করার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।

তিনি তার অন্য একটি গবেষণায় লেনটিল জাতীয় ডালের জার্মপ্লাজমের জেনােম ওয়াইড অ্যাসােসিয়েশন এনালাইসিসের (GWAS) মাধ্যমে Insect Vector এপিড বাহিত ভাইরাস রােগ বিন লিফ রােল ভাইরাস’ ও ‘পি এনেশন মােজাইক ভাইরাস এর বিপরীতে ১৩টি সিগিনিফিক্যান্ট
SNPs এবং ১৭টি ক্যান্ডিডেট জীন ডিসকভার করেছেন যা আমেরিকা ও বাংলাদেশের লেনটিল ক্রপ ইমপ্রুভমেন্ট গবেষণার জন্য একটি মাইলফলক। আর তার এই গবেষণালব্ধ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিগত বছরের ন্যায় এ বছর আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা
প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে উদ্ভিদ রােগতত্ত্ব বিষয়ে উদীয়মান ও প্রমিসিং সাইনটিস্টের স্বীকৃতিস্বরূপ ড. শিমুল দাসকে তাদের ম্যাগাজিনে হাইলাইট করেছেন।

সূত্র : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফেইসবুক পেজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৩১, ২০২১ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
টিভিএসএ’র নবনির্বাচিত কমিটিতে সভাপতি নাঈম, সাধারন সম্পাদক কনক
ক্যাম্পাস

টাংগাইল ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস’ এসোসিয়েশনের (টিভিএসএ) নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।

৬১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটিতে নাঈম আল হাসানকে (বাকৃবি) সভাপতি ও মোঃ কনক মিয়াকে (গবি) সাধারণ সম্পাদক করা হয়।সর্বশেষ,মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) নতুন কমিটির অনুমোদন দেয় সংগঠনটির সম্মানিত সদস্য বাংলাদেশ ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস’ ফেডারেশনের (বিভিএসএফ) সাধারণ সম্পাদক রতন রহমান, ভেটেরিনারি অফিসার ডা. মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোঃ জয়নাল আবেদীন ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোঃ শিহাব মিয়া।

উল্লেখ্য যে , বাংলাদেশ ভেটেরিনারি স্টুডেন্ট’স ফেডারেশন এর সভাপতি ইমতিয়াজ আবির ও সাধারণ সম্পাদক রতন রহমান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসোসিয়েশনটি গঠিত হয়।

টিভিএসএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি -নাইম আল হাসান বলেন, সাধারণ মানুষের ভেটেরিনারি পেশা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিই টাংগাইল ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস’ এসোসিয়েশনের মূল উদ্দেশ্য। এই সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলায় প্রানীস্বাস্থ্য সেবামূলক ক্যাম্পেইন করে ভেটেরিনারি পেশাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিব ইনশাআল্লাহ।

এব্যাপারে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক- মোঃ কনক মিয়া বলেন, আমাদের সংগঠন পেশার স্বার্থে কাজ করে যাবে সবসময়। প্রাণিস্বাস্থ্য সেবাকে কে আমরা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে চাই। আশা রাখি সকলের সহযোগিতায় সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। এবং আমার পক্ষ থেকে পদপ্রাপ্ত সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৬, ২০২১ ৫:২৪ অপরাহ্ন
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে স্মৃতিস্তম্ভ ‘দুর্জয় হবিগঞ্জ’ এ শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত।

২৬ মার্চ (শুক্রবার) সকালে তিনি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ- ৩ আসনের সাংসদ এডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী।

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে গত ২৩ মার্চ নিয়োগ পেয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিসম্পদ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল বাসেত।

রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আবদুল বাসেতকে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে চার বছর মেয়াদে নিয়োগ প্রদান করেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো. নূর-ই-আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উপাচার্য নিয়োগের এ খবর প্রকাশ করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২২, ২০২১ ১১:৩৬ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ড. আবদুল বাসেত
ক্যাম্পাস

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণিসম্পদ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত।

সোমবার (২২ মার্চ) মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মো. নুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আগামী ৪ বছরের তাঁকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এরআগে গতবছরের ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ অধিবেশনে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২০ পাস হয়।

অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও ২০১২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি ড. বাসেত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২২, ২০২১ ৮:৩৭ অপরাহ্ন
সিভাসু`তে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
ক্যাম্পাস

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার চেতনায় আবহমান বাংলার সংস্কৃতির বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের ২০২০-২০২১ এর নতুন কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি গঠিত এ কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন প্রফেসর ডা. ওমর ফারুক মিয়াজী, সহ-সভাপতি হয়েছেন প্রফেসর ড. ইমরান হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন প্রফেসর ড. আশুতোষ দাশ।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কোষাধ্যক্ষ ড. ইন্দ্রজিত সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মো: ফয়সাল, প্রচার সম্পাদক ডা. নাসিমা আকতার এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ডা. কণা অধিকারী।

কার্যকরী সদস্য মনোনীত হয়েছেন- প্রফেসর ড. বিবেক চন্দ্র সূত্রধর, মুজিবুল হক জুয়েল, রোকেয়া জাহান মুক্তি, ডা. তৌহিদা কামাল, ডা. শারমিন আক্তার, মাঈনুদ্দিন মামুন এবং নাঈমা ফেরদৌসী হক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২১, ২০২১ ৮:১৭ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক বর্ণ বৈষম্য বিলোপ দিবস ও হরিজন কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
ক্যাম্পাস

আন্তর্জাতিক বর্ণ বৈষম্য বিলোপ দিবস ও হরিজন কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর নাজরানা ইয়াসমিন হীরা, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাস ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সজল কুমার রায়। সভাপতিত্ব করেন কৃষ্ণ লাল।

গত বছর ২০২০ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৯ জন শিক্ষার্থীর হাতে ক্রেস্ট ও প্রশংসা পত্র প্রদান করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২১, ২০২১ ৭:১৭ অপরাহ্ন
লবণ সহিষ্ণু তিনটি সরিষার জাত উদ্ভাবন করলো বাকৃবি
কৃষি গবেষনা

বাকৃবি প্রতিনিধি:লবণ সহিষ্ণু ও স্বল্প সময়ে উৎপাদনক্ষম উচ্চফলনশীল তিনটি সরিষার জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষকবৃন্দ। জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রকল্পের পিএইচডি প্রোগামের আওতায় বাকৃবি এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) যৌথভাবে জাতগুলো উদ্ভাবনে কাজ করেন। গবেষণায় বাকৃবির বর্তমান ভিসি এবং কৌলিতত্ত¡ ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের তত্ত¡াবধানে প্রধান গবেষক হিসেবে ছিলেন বিএআরইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসী বেগম। এছাড়াও সহকারী গবেষক হিসেবে ছিলেন বাকৃবির কৌলিতত্ত¡ ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল হক ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম এবং বিএআরআইয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রোজিনা আফরোজ। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বাকৃবি ও বিএআরআইয়ের যৌথভাবে উদ্ভাবিত তিনটি সরিষার জাত হলো ‘বাউ সরিষা-১’, ‘বাউ সরিষা-২’ এবং ‘বাউ সরিষা-৩’। উদ্ভাবিত জাতগুলো ১২ ডেসিসিমেন্স পর্যন্ত লবণ সহনশীল।

রবিবার (২১ মার্চ) দুপুরে বিশ^বিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ‘স্বল্প মেয়াদে লবণ সহনশীল র‌্যাপসীড জাতের সরিষার বিকাশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।

কর্মশালায় কৌলিতত্ত¡ ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শরীফ আর রাফির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ^াস, কৃষি অনুষদীয় ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির সহ-সমন্বয়ক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান।

গবেষকরা জানান, বাকৃবির উদ্ভাবিত এই তিনটি সরিষার জাত থেকে লবণাক্ত মাটিতে প্রতি হেক্টরে ২ দশমিক ৫ মেট্রিক টন এবং অন্যান্য মাটিতে প্রতি হেক্টরে ৩ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যাবে। এই জাতগুলো থেকে ৪০-৪১ শতাংশ তেল পাওয়া যাবে। উদ্ভাবিত জাতগুলো অলবণাক্ত ও লবণাক্ত উভয় এলাকায় চাষ করা যায় বলে দেশে সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। উদ্ভাবিত তিনটি জাত ইতিমধ্যেই জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা প্রায় ৫১ দশমিক ২৭ লাখ মেট্রিক টন যার মধ্যে ৪৬ দশমিক ২১ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করতে হয়। এর মূল্য প্রায় ২৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী থেকেই সাধারণত ভোজ্য তেল তৈরী করা হয়। দেশের মানুষ গড়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ গ্রাম করে তেল খায়। দেশে মোট ৪ দশমিক ৪৪ লাখ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়। নতুন উদ্ভাবিত সরিষার চাষাবাদ করলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

 

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop