৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৪, ২০২১ ৩:২৭ অপরাহ্ন
গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!
পাঁচমিশালি

পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনার জন্য এ বছর পুকুর পাড়ে টমেটো গাছ লাগিয়েছিলেন কৃষক অপূর্ব বিশ্বাস। প্রতিটি গাছেও টমেটো ধরেছিলো। স্বপ্ন ছিল এসব টমেটো বিক্রি করে সব ধার দেনা মিটিয়ে পরিবারের আর্থিক সমস্যা মিটাবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন ধূলিসাৎ হয়েছে কৃষক অপূর্বের।

মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক অপূর্ব বিশ্বাসের ক্ষেতের পাঁচ শতাধিক ফলন্ত টমেটো গাছ কেটে নষ্ট করেছে দূর্বৃত্তরা। এতে কৃষকের প্রায় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।

কৃষক অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, আজ (মঙ্গলবার) ভোরে ক্ষেতে গিয়ে দেখি কে বা কারা রাতের আধারে আমার ৫ শতাধিক টমেটো গাছের গোড়া থেকে কেটে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এসব টমেটো গাছের পরিচর্যা করতে ইতোমধ্যে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে। এসব ফল বিক্রি করে আমার অন্তত এক লাখ টাকা আয় হতো। কিন্তু এখন আমি সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। কৃষি বিভাগ থেকে সহায়তা না দিলে আমি পথে বসবো। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) তারেকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখন পযর্ন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, এ বিষয়ে একটি ফৌজদারী মামলা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সহায়তার আবেদন করলে কৃষি বিভাগ থেকে তাকে সহায়তা করার চেষ্টা করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ ১:৩২ অপরাহ্ন
গরু ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কৃষক নিহত
পাঁচমিশালি

সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলায় গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।

নিহত নজির হোসেন (৫০) মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মৃত মেহের বখতের ছেলে। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে মান্নারগাঁও গ্রামের মদরিছ মিয়ার গরু কৃষক নজির হোসেনর আমন ক্ষেতে ঢুকে পাকা ধান খেয়ে ফেলে। এতে নজির হোসেন গরুটিকে ধানক্ষেত থেকে বের করে দিলে ক্ষিপ্ত হন মদরিছ মিয়া। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে তর্ক বির্তক শুরু হলে মান্নারগাঁও ও জালালপুর দুই গ্রামের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়।

এতে গুরুতর আহত হন কৃষক নজির হোসেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে নজির হোসেনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

দোয়ারা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, গতকাল গরুর ধান খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১১, ২০২১ ২:৩০ অপরাহ্ন
গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি করতে গিয়ে আটক মা ও মেয়ে
পাঁচমিশালি

বনার চাটমোহরে কৃষকের গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আটক হয়েছেন মা ও মেয়ে। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের রামনগর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী কৃষক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোররাতের দিকে রামনগর গ্রামের নজরুল ইসলামের গোয়াল ঘরের বাঁশের বেড়া খুলে মা-মেয়ে  তিনটি গরু চুরির চেষ্টা করে। এ সময় কৃষক ও তার স্ত্রী বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার করে। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে মা-মেয়ে বাঁচার জন্য পাশের একটি পুকুরে ঝাঁপ দেয়। পুকুর থেকে মেয়েকে গ্রামবাসী আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে। এর কিছু সময় পর গ্রামবাসী মাকেও আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

স্থানীয়রা আরও জানায়, সম্প্রতি আমাদের উপজেলায় গরু চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহে চাটমোহর থেকে অন্তত ৬টি গরু চুরি হয়েছে। চাটমোহরের কৃষক ও খামারিরা প্রতি রাতে গরু চুরির আতঙ্কে থাকছেন। গরু চুরি ঠেকাতে রাত জেগে গোয়ালঘর পাহারা দিচ্ছেন তারা।

চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় সন্ধ্যায় কৃষক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মা-মেয়ে দুজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শনিবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা কারাগারে পাঠানো হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৯, ২০২১ ৪:২০ অপরাহ্ন
মোংলায় ৫৫টি সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার, আটক ১
পাঁচমিশালি

মোংলায় বিলুপ্ত প্রায় মিঠা পানির সুন্ধি প্রজাতির কচ্ছপসহ একজনকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। বুধবার দিবাগত রাতে দিগরাজ বাজার এলাকা থেকে কচ্ছপসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। 

কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার মোঃ হাসানুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে মোংলা বন্দরের শিল্প এলাকা সংলগ্ন দিগরাজ বাজার এলাকায় অভিযান চালায় কোস্ট গার্ড সদস্যরা।

এ সময় ওই এলাকা থেকে ৫৫টি কচ্ছপ জব্দসহ মো. তৌহিদ সরদার (৩০) কে আটক করে অভিযানকারীরা। আটক ব্যক্তি অন্য জায়গা থেকে এ কচ্ছপগুলো সংগ্রহ করে তা বিক্রির জন্য দিগরাজে নিয়ে আসেন।

জব্দকৃত ওই কচ্ছপ ও আটককৃত ব্যক্তিকে খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগই আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন এবং জব্দকৃত বিলুপ্ত প্রায় সুন্ধি প্রজাতির এ কচ্ছপগুলো তাদের পছন্দনুযায়ী জায়গায় অবমুক্ত করবেন বলেও জানায় কোস্ট গার্ড।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৮, ২০২১ ১২:৫৫ অপরাহ্ন
বড়াইগ্রামে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা
পাঁচমিশালি

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌর এলাকার গুনাইহাটী এলাকায় আব্দুস সামাদ (৬৫) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত আব্দুস সামাদের ভাই খলিলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার এহিয়া (৪৫) গত ৫ বছর যাবত সামাদের ৮ বিঘা জমি আবাদ করছেন। মঙ্গলবার সকালে সামাদ তার জমি দেখতে গেলে এহিয়া ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর তার পথ রোধ করে পাইপ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে তাকে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, সামাদের সঙ্গে এহিয়ার স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, নিহতের ভাই খলিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৭, ২০২১ ৪:০২ অপরাহ্ন
শেরপুরে বন্য হাতি সাবাড় করল ২০০ একর জমির ধান
পাঁচমিশালি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা এলাকায় বন্য হাতির পাল প্রায় ২০০ একর জমির ধান নষ্ট করছে। খেয়ে ও পায়ে পিষে দেড় শতাধিক কৃষকের এসব ফসল নষ্ট করে। গত ২০-২৫ দিনে ৪০-৫০টি বন্য হাতির একটি পাল খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। ফলে চরম দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে কৃষকদের। বেশি দুশ্চিন্তা করছেন অন্যের জমিতে বর্গায় চাষাবাদকারীরা।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত খেতের ছবি ও ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ বন বিভাগের ফরমে আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ৪০-৫০টি বন্য হাতির পাল পানিহাটা অতল জঙ্গলে ও তালতলা জঙ্গলে অবস্থান নিয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার আগে বন্য হাতির পাল আমন ধানের খেতে নেমে আসে। এ সময় প্রান্তিক কৃষকরা তাঁদের পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী ও বন বিভাগের কর্মীরা হইচৈই করে, বাঁশি বাজিয়ে ও পটকা ফুটিয়ে ও মশাল জ্বালিয়ে হাতি জঙ্গলে ফেরাতে প্রাণপন চেষ্টা করেন। এ ছাড়া শতাধিক কৃষক পাহাড়ের ঢালে খেতের পাশে মাঁচা বেঁধে রাত্রী যাপন করে জেগে পাহারা দেন। কিন্তু তাতে ও হাতির আক্রমণ বন্ধ হয় না। গত এক মাসে পানিহাটা গ্রামে দেড় শতাধিক প্রান্তিক কৃষকের ২০০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে হাতির আক্রমণে।

কৃষক হাসমত আলী বলেন, চলতি মৌসুমে পাহাড়ের ঢালে দেড় একর জমি বর্গা নিয়ে আমন আবাদ করেছিলেন তিনি। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু গত ক’দিনে চোখের সামনেই হাতির পাল তাঁর খেতের প্রায় সব ধান খেয়ে সাবাড় করে ফেলেছে।

কৃষক মোতালেব হোসেন বলেন, হাতির ভয়ে ১৫ দিন ধইরা আমরা খেতের পাশে রাত জেগে পাহারা দিয়েছি। কিন্তু হাতির পাল আমাদের অনেকের খেতের ফসল খাইয়া শেষ কইরা ফালাইছে। এত কষ্টের ফসল চোখের সামনে শেষ হইয়া গেল। এহন ক্ষতিপূরণ চাইয়া আবেদন করছি।

দিনমজুর বিজার কুবির বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী মিনিগ চিসিম দুজনে মিলে তিন একর জমি বর্গা নিয়ে পাইজাম ধান চাষ করছি। ফলনও ভালো হয়েছিল। একর প্রতি ৪৫- ৫০ মণ ধান পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ২৫ দিনে ৪০-৫০টি বন্য হাতির পালের আক্রমণ ৭-৮ বার আক্রমণ চালিয়ে আমার ধানি জমি নষ্ট কইরা দিছে। এহন সব মিলাইয়া তিন একর জমি থেকে দেড় মণ ধান পাইছি।

এ ব্যাপারে বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, এই পর্যন্ত পানিহাটা গ্রামের শতাধিক কৃষকের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের জন্য বন বিভাগের কাছে আবেদন করা হয়েছে। নিয়ম মেনে আবেদন করা হলে একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন।

মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম বলেন, একজন কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত খেতের ছবি, তাঁর নিজের ছবি, ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ বন বিভাগের ফরমে আবেদন করতে হয়। দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আবেদন করতে বলা হয়েছে

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৬, ২০২১ ১:০৬ অপরাহ্ন
চিন্তায় কৃষক, হতাশায় জেলে পরিবার, জাওয়াদে অব্যাহত বর্ষণ
পাঁচমিশালি

অতীতে বাংলাদেশে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন, ফনিতে সমুদ্র উপকূলীয় বরগুনার পায়রা (বুড়িশ্বর), বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী বসবাসকারী মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। সেই সাথে পশু,পাখিসহ গবাদি পশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিও হয়েছে। এখন নুতন ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে আবার উপকূলবাসীর আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত না করলেও এর প্রভাব ঠিকই পড়ছে।

রোববার রাতভর বিরামহীন বর্ষণ ও সোমবারও ভারী বর্ষণে বরগুনা উপকূলের কৃষি ও ধান ক্ষেতে জলাবদ্ধতা হওয়ায় কৃষককূল চিন্তিত হয়ে পড়েছে।সমুদ্র উপকূলীয় বরগুনা, পাথরঘাটা, আমতলী, তালতলী, বামনা ও বেতাগীতে ভারী বর্ষণ ও দিনব্যাপী আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থেকে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে । এতে উপকূলীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কৃষককূল জানান,তাদের মাঠে এখন রোপণ করা পাকা আমন ধান। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় ধান গাছগুলো হেলে পড়ে অর্ধেক ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপকূলীয় বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, সাগরে প্রচণ্ড ঢেউ ও ঝড়ো হাওয়া বিরাজ করছে। শত শত মাছ ধরার ট্রলার গভীর সমুদ্রে অবস্থান করায় নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে পারেনি। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছে সমুদ্রে থাকা জেলে পরিবারগুলো।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বহু ট্রলার এখনো গভীর সমুদ্রে অবস্থান করছে। কোনো ঘাটেই কোনো ট্রলার নেই। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় আমরা যাদের মুঠোফোনে পেয়েছি তাদেরকে নিরাপদ স্থানে আসতে বলেছি। এখন পর্যন্ত কোনো ট্রলার ঘাটে আসতে পারেনি। এতে করে জেলে পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৫, ২০২১ ৪:৫৬ অপরাহ্ন
গরুর খামারে ডাকাতি, দায়িত্বে অবহেলায় ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
পাঁচমিশালি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ১৫ গরু ডাকাতির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার রাতে তাদেরকে গোমস্তাপুর থানা থেকে পুলিশ লাইনে সরিয়ে নেওয়া হয়। রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান।

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন–গোমস্তাপুর থানার উপ-পরিদর্শক বদিউজ্জামান, উপ-পরিদর্শক (ডিএসবি) গাজী নুরুল ইসলাম ও সহকারী উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম এবং তিন কনস্টেবল রহিম, বিপ্লব ও শফিকুল ইসলাম।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, শনিবার রাতে গোমস্তাপুর উপজেলার পাবর্তীপুর ইউনিয়নের জিনারপুর গড়বাড়ি এলাকায় একটি গরুর খামারে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি হয়। ডাকাতরা খামার মালিক ও তার স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে খামার থেকে ১৫টি গরু নিয়ে যায়। অথচ পাবর্তীপুর-আড্ডার ওই সড়কে নিয়মিত পুলিশের টহল টিম থাকে। খামার মালিকের অভিযোগ, ৯৯৯-এ দুইবার ফোন দেওয়ার পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে যথাসময়ে পৌঁছায়নি। পুলিশের দায়িত্বে কোনও অবহেলা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই ছয় পুলিশ সদস্যকে গোমস্তাপুর থানার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গরুগুলো উদ্ধারে এবং ডাকাতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।

এদিকে, এ ঘটনায় গরুর মালিক আশরাফুল ইসলাম গতকাল গোমস্তাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৫, ২০২১ ২:৪৪ অপরাহ্ন
৫০০ টাকার টিকিটে ৪০০ টাকার মাছ
পাঁচমিশালি

মৌলভীবাজার: বিরতিহীন ধৈর্যের অপর নাম বড়শি! কথাটি একটু জটিল ঠেকলেও তার আপাদমস্তক শব্দার্থ একই। মানে এখানে ‘বড়শি’ বলতে বড়শির বা ছিপের সহযোগে শখের মাছ ধরাকে বোঝানো হয়েছে।বড়শিতেই প্রতিটি মানুষের ধৈর্যের রসায়ন ধরা পড়ে সহজভাবে।

সম্প্রতি এক আদিবাসী উৎসবে বিচিত্রভাবে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হলো ৪০ জনকে। কেউ পারলো। কেউ পারলো না। হাহুতাশ নিয়ে বাড়ি ফিরলো অধিকাংরাই। যারা পারলো তাদের সংখ্যা অতি নগণ্য। সংখ্যা বিবেচনার এই সফলতায় আনন্দ তাদের বাঁধভাঙ্গা। খুশি তাদের অট্টহাসিময়।

কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া পুঞ্জির খাসিয়া জনগোষ্ঠীর একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সেখানে বড়শি দিয়ে বা ছিপের সাহায্যে মাছ ধরার আয়োজন করা হয়েছে। এটি তাদের নিজস্ব রীতিপ্রথা বলে খাসি সম্প্রদায় ব্যতিত অন্য কেউ এই আয়োজনে অংশ নিতে পারেনি। যারা এখানে অংশ নিয়েছেন, তারা মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন খাসিয়াপুঞ্জি থেকে আগত সৌখিন বড়শিবিদরা।

এই উৎসবের অন্যতম আয়োজকের নাম ফিলা পাতমি। তিনি লাউয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জির মন্ত্রী (পুঞ্জিপ্রধান)। ফিলা বলেন, আমাদের খাসি ভাষায় একটি সাংস্কৃতিক আয়োজনের নাম ‘খাসি সেং কুটস্নেম’। এর মানে হচ্ছে আমাদের বর্ষপুঞ্জি অনুযায়ী ১৫৭তম বর্ষকে বিদায় ও ১৫৮তম বর্ষকে বরণ। এই আয়োজনের একটি পর্ব বড়শি দিয়ে মাছ ধরা। দিনব্যাপী আয়োজন শুরু হয় সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্তের আগে পর্যন্ত।

এই আয়োজনে মৌলভীবাজার জেলার প্রায় দশটি পুঞ্জি থেকে ৪০ জন বড়শিবিদ মাছ ধরতে টিকিটে কেটেছেন। প্রতি টিকিটের মূল্য ধরা হয় ৫০০ টাকা। এই পুকুরে কার্পজাতীয় মাছসহ রুই, কাতলা মাছ রয়েছে। যিনি সবচেয়ে বড় এবং বেশি ওজনের মাছটি নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর ধরতে পারবেন তাকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয় হবে বলে জানান তিনি।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেল, পুকুরের চারদিকে আধুনিক বরশি নিয়ে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে ব্যস্ত বড়শিবিদরা। তাদের একজনের নাম গোবিন পকটাই।

তিনি বলেন, এবার মাছ ধরতে লোকজন কম এসেছেন। গতবছর এই সংখ্যা ১শ বা দেড়শ জন ছিল।

বড়লেখা উপজেলার বড়লেখা খাসিপুঞ্জি থেকে এখানে মাছ ধরতে এসেছেন জয় পার্সনেম। তিনি বিকেলে দেড় কেজি ওজনের একটি কার্প মাছ বড়শি দিয়ে ধরে নেটের সাহায্যে মাছটিকে পানিতে ভাসিয়ে তাজা রেখেছেন।

তার মাছ ধরার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জয় জানান, তিনি আট বছর ধরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত আছেন।

সন্ধ্যার শেষ দিকে এসে দুই কেজি ওজনের একটি কার্ফু মাছ ধরে তালিকার প্রথমে নাম লিখিয়েছেন ইউকি সুচিয়াং। সৌখিন এ বড়শিবিদ এসেছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার খেজুরিছড়ার লাংলিয়া এলাকা থেকে।

দারুণ উচ্ছ্বসিত ইউকি বলেন, মনে হয় আমি জিতে যেতে পারি। সারাদিন বসে বসে শেষের দিকে এসে বড়শিতে মাঝারি আকারের কার্ফু মাছ ধরলাম। দারুণ! ভালো লাগছে।

এ মাছের বাজারমূল্য সম্পর্কে তিনি বলেন, যেহেতু এটি চাষের মাছ তাই কেজি প্রতি দুশো টাকা হবে। যাই হোক, তারপরও শখ বলে কথা!

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৪, ২০২১ ৪:১৪ অপরাহ্ন
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা দেখতে যাচ্ছেন পর্যটকরা
পাঁচমিশালি

দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এই সৈকতে বেড়াতে আসা মানেই নোনা জলে গা ভাসিয়ে গোসলে মেতে ওঠা, একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা। এবার বাড়তি বিনোদন দিতে স্পিডবোটে সমুদ্রের মাঝে নিয়ে দেখানো হচ্ছে গভীর সমুদ্রের রূপ ও জেলেদের কর্মযজ্ঞ।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সৈকত ঘুরে দেখা যায়, সৈকতের তীরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে স্পিডবোটগুলো। জনপ্রতি একশো টাকার টিকিট করে পর্যটকরা সমুদ্রের গভীরে যাচ্ছেন গভীর সমুদ্রকে আলিঙ্গন করতে। এতে উপভোগ করতে পারছেন জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য।

সিলেট থেকে বেড়াতে আসা দেবাশীষ নামের একজন পর্যটক জানান, কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে দেখলাম স্পিডবোটে গভীর সমুদ্রে যাওয়া যায় এবং সেখানে জেলেরা যে জাল টানছে, মাছ ধরছে সবকিছুই নিজের চোখে দেখলাম বেশ উপভোগ করলাম।

জয়া নামের আরেক পর্যটক জানান, সমুদ্রের তীরে বসে গভীরের পরিবেশ অনুভব করা যায় না। এখানে এসে চারদিকে সমুদ্র, জেলেরা মাছ ধরছে দেখে অনেক পর্যটক ছবি তুলছে, গান করছে বেশ আনন্দদায়ক পরিবেশটা।

স্পিডবোড মালিক বশির বলেন, আমরা পর্যটকদেরকে একটু বেশি বিনোদন দেয়ার জন্য তীর থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে নিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। এতে তারা বেশ আনন্দ পান।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop