৪:১৯ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী , ২০২৫
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ৪, ২০২১ ১:৪৩ অপরাহ্ন
পাখির বাসা বাঁধেন ইউএনও
পাঁচমিশালি

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা খাতুন রেখা। একদিন ভোরবেলা পাখির কলকাকলিতে ঘুম ভাঙে তার। জানালায় দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন, তার বাসার চারদিকের গাছে প্রচুর পাখি ডাকাডাকি করছে। বেলকনিতে বের হয়ে নানা প্রজাতির পাখিকে অস্থির হয়ে কিচিরমিচির করতে দেখেন। তারা যেন তাকে ঘিরে ধরেছে।

তিনি ভাবতে থাকেন, পাখিগুলো এত ডাকাডাকি করে কেন? তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। এ সময় কয়েক বাটি চাল নিয়ে তার বাসার রান্নাঘরের ছাদের ওপর ছিটিয়ে দেন তিনি। পাখিগুলো হুমড়ি খেয়ে পড়ে।

পেট ভরে খেয়ে এক সময় পাখিগুলো চলে যায়। এ অবস্থা দেখে তার মধ্যে পাখিগুলোর জন্য মায়া জন্ম নেয়। পাখির প্রেমে পড়ে যান তিনি। ভাবতে থাকেন পাখিগুলো কোথায় গিয়ে থাকে, ওদের আশ্রয়স্থল আছে কিনা।

আমাদের সমাজে মানুষের বসবাসের জন্য আমরা কত কী করি। কিন্তু পাখিগুলো কোনো না কোনোভাবে আমাদের পরিবেশের জন্য ওদের সাধ্যমতো সহায়তা করছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে। অথচ ওদের জন্য আমরা কিছুই করছি না। এই চেতনাবোধ থেকে তিনি স্থির করেন, পাখিদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যায় কীভাবে।

একপর্যায়ে সোনাকুর মৃৎপল্লি থেকে মাটির হাঁড়ি কিনে তা সুন্দর করে কেটে গাছের ডালে টানিয়ে দেওয়া শুরু করেন। নিজের সরকারি বাসভবন থেকে শুরু করে উপজেলা সদরের কলেজপাড়া, ইকোপার্ক, আবাসন এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাখির বাসা বানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আরও বাসা তৈরি জন্য তার বাসার সামনে অনেক হাঁড়ি জমা রয়েছে।

ইউএনওর এই সেবামূলক কাজে সহায়তা করেন কাউখালীর সমাজসেবক আব্দুল লতিফ খসরু। তিনি জানান, করোনাকালে কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়া, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও সরকারি বই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া, অসহায় মানুষের সেবা দান, পথহারা মানুষকে সেবা দেওয়াসহ নানা সেবামূলক কাজ করে চলেছেন উনি। শুধু মানুষই নয়, পশুপাখির পাশেও নিজের সাধ্যমতো দাঁড়ান এই মমতাময়ী ইউএনও। নিজের পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি এসব মানবিক কর্মকাণ্ড করে থাকেন তিনি।

ইউএনও খালেদা খাতুন বলেন, আমরা মানুষের জন্য কত কী করছি। এরপরও মানুষের চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই। কিন্তু পাখিগুলোর মনে কী কষ্ট, কী ওদের চাহিদা তা আমরা জানি না বা জানার কোনো পদ্ধতিও আমাদের জানা নেই। ওরাও পৃথিবীর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে। একজন মানুষের যেমন মৌলিক অধিকার রয়েছে। পশুপাখিরও তেমন মৌলিক অধিকার রয়েছে। এসব উপলব্ধি থেকে পাখিদের প্রতি এ মমত্ববোধ। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক বাসা তৈরি করে দিয়েছি। আরও কিছু বাসা তৈরির মালপত্র আনা হয়েছে। আমার দায়িত্ব পালনের ফাঁকে ফাঁকে লোকজন নিয়ে কাজগুলো করি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২১ ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
তেঁতুলিয়ায় অবৈধভাবে আনা ১৫টি ভারতীয় গরু জব্দ
পাঁচমিশালি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার একটি বাড়ি থেকে অবৈধভাবে আনা ১৫টি ভারতীয় গরু জব্দ করেছে পুলিশ। তবে, গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভুতিপুকুর-সিপাইপাড়া এলাকা থেকে গরুগুলো জব্দ করা হয়।

তেঁতুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, ভারত থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসা ১৫টি গরু উপজেলার ভুতিপুকুর-সিপাইপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে রাখা হয়েছে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে একজন অভিযোগ করেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫টি গরু জব্দ করে।

ওসি আবু সায়েম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই গরুগুলো রেখে পাচারকারীরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরো জানান, মামলা হলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গরুগুলোর বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গরু পাচারের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২১ ৬:৩৯ অপরাহ্ন
স‌বজি মা‌ঠে কৃষক রুমানের আঁকা শহীদ মিনার
কৃষি বিভাগ

কৃষক রুমান আলী শাহ্ বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শাক দিয়ে সবজির মাঠে শহীদ মিনার এঁকেছেন। কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আবদুল্লাপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামে নিজের সবজির মাঠে এই শহীদ মিনার এঁকেছেন তিনি। দৃষ্টিনন্দন এ মিনার দেখতে ভিড় করছে শত-শত মানুষ। তিনি নিজের এক একর ১৪ শতাংশ জায়গায় গড়ে তুলেছেন কৃষিক্লাব নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, খামা‌রের ভেত‌রে ৬ শতাংশ জ‌মি‌তে পালং শাক এবং লাল শাক দিয়ে শহীদ মিনার, বর্ণমালা ও অতুল প্রসাদ সেনের বিখ্যাত চরণ এঁ‌কে এলাকায় তাক লা‌গি‌য়ে দেন। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে দেশের ইতিহাস তুলে ধরতে এর আগেও সবজি দিয়ে দেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা অঙ্কন করেছিলেন এই কৃষক।

বিজয় দিবস, শহীদ দিবস ও স্বাধীনতা দিবস সবজি দিয়ে অঙ্কন করে দিবসের তাৎপর্য মানুষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছে বলে জানান এ কৃষক।

কৃষক রুমান আলী শাহ্ জানান, সাম‌নের মার্চ মাসে মহান স্বাধীনতা দিবসেও সবজি দিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধ অঙ্কন করা হবে। নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করতে আর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানাতে তার এ প্রয়াস ব‌লে জানান তি‌নি।

দীর্ঘদিন প্রবাস জীবনে কা‌টি‌য়ে বা‌ড়ি ফি‌রেন রুমান আলী শাহ। নিজের জমিতেই গড়ে তোলেন ‘মিশ্র বহুমুখী খামার বাড়ি’। মিশ্র খামার বাড়িতে প্রতিটি প্রকল্প সাজানো হয়েছে ছোট-বড় বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্ল্যাকার্ড দিয়ে।

কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াছির মিয়া জানান, দেশপ্রে‌মিক এ কৃষক কৃষির মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। এজন্য তা‌কে উপজেলা পরিষদ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২১ ১০:৫৬ অপরাহ্ন
সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১
ক্যাম্পাস

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১ | সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি admission-agri.org তে প্রকাশিত হবে । সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার তারিখ, মানবন্টন ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে গ্রহণের করা হবে। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীরা অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন ।

গুরুত্বপূর্ণ তারিখ এবং সময়সূচী
১. ভর্তি পরীক্ষা: ২৯ মে ২০২১।
২. আবেদন শুরু: মার্চ ২০২১ এ জানানো হবে।
৩.আবেদন শেষ : মার্চ ২০২১ এ জানানো হবে।
৪. আবেদন ফি: মার্চ ২০২১ এ জানানো হবে।
৫. ফলাফল প্রকাশের তারিখ: মার্চ ২০২১ এ জানানো হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় ও আসন সংখ্যা
গত বছরের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩৫৫৫ টি আসন রয়েছে । ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে আসন সংখ্যা আরো বাড়ানো হতে পারে।
১. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, আসন সংখ্যা-১১০৮
২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর,আসন সংখ্যা-৩৩০
৩. শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, আসন সংখ্যা-৭০৪
৪. সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট,আসন সংখ্যা-৪৩১
৫. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী,আসন সংখ্যা-৫৮৭
৬. চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম,আসন সংখ্যা-২৪৫
৭. খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা,আসন সংখ্যা-১৫০
সর্বমোট ৩৫৫৫

আবেদনের ন্যূনতম যােগ্যতা
২০১৭/২০১৮ সালে এসএসসি/ সমমান এবং ২০১৯/২০২০ সালে এইচএসসি/ সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করতে হবে।
এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সর্বমােট ন্যূনতম জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে।
এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় জীববিদ্যা, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিত আলাদা বিষয় হিসেবে থাকতে হবে।

লিখিত নির্বাচনী পরীক্ষা
লিখিত নির্বাচনী পরীক্ষার সময়সূচী আগামী মার্চ মাসে জানিয়ে দেওয়া হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সর্বশেষ পাঠ্যক্রম অনুসরণে ইংরেজি, জীববিদ্যা, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিত বিষয়ে Multiple Choice Question (MCQ) পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাংলা ও ইংরেজিতে প্রণীত হবে।
প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ (শূন্য দশমিক দুই পাচ) নম্বর কর্তন করা হবে।

মেধা স্কোর নির্ধারণ
লিখিত পরীক্ষার জন্য ১০০ নম্বর এবং এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় ব্যতীত প্রাপ্ত জিপিএ এর যথাক্রমে ৮ ও ১২ গুণ অর্থাৎ এসএসসি/ সমমান হতে ৪০ নম্বর এবং এইচএসসি/ সমমান হতে ৬০ নম্বর যােগ করে সর্বমােট ২০০ নম্বরের মধ্যে মেধা স্কোর নির্ধারণ করা হবে।

সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১
২০২০-২০২১ সালের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি এখনো প্রকাশিত হয় নি । নতুন নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাথে সাথে তা আপডেট করা হবে। সূত্র: admissionwar

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:১২ পূর্বাহ্ন
মানিকগঞ্জে গাজর চাষে বাম্পার ফলন
এগ্রিবিজনেস

চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় গাজর চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন মানিকগঞ্জের গাজর চাষিরা। এছাড়া বাজারে পাচ্ছেন গাজরের ভালো দাম।

উপজেলার কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবারের মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে গাজরের চাষ করেছেন চাষিরা। মাটি ও জলবায়ু গাজর চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলন ভালো পেয়েছেন কৃষকরা। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সকল ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

উপজেলার কৃষি অফিসার টিপু সুলতান বলেন, লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলার কৃষকরা গাজর চাষে ঝুঁকছেন। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের সকল ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

কৃষক আবুল কালাম বলেন, একই জমিতে অন্য সবজির জায়গায় গাজর চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া গাজর চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবারও ফলন ভালো হওয়ায় পাশাপাশি দামও ভালো পেয়েছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:১১ পূর্বাহ্ন
মাছের উৎপাদন বাড়াতে চালু করা হয়েছে ‘ফিশটেক ল্যাবরেটরি’
এগ্রিবিজনেস

মাছ চাষিদের জন্য সুখবর। এবার মাছ ও চিংড়ির রোগ রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে চাষিদের পরামর্শ সেবা দেয়া ও গবেষণার জন্য চালু হয়েছে অ্যাকোয়াটেক অ্যানিমেল হেলথ ল্যাবরেটরি। যার নাম দেয়া হয়েছে ফিশটেক ল্যাবরেটরি। নতুন এ গবেষণাগারটি মৎস্য খাতের সমস্যা সমাধান ও উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) খুলনায় এ ল্যাবরেটরির উদ্বোধন করা হয়। ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফিশটেক (বিডি) লিমিটেডের যৌথ অংশীদারিত্বের এই গবেষণাগারে অর্থায়ন করছে মার্কিন সহায়তা সংস্থা ইউএসএইড বলে জানা যায়।

জানা যায়, এর মাধ্যমে মাছ ও চিংড়ির রোগ নির্ণয়, সংশ্লিষ্ট খামারের মাটি-পানি পরীক্ষা, পুকুরের সঠিক সমস্যা নির্ণয়সহ নির্দিষ্ট খরচে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন মাছ চাষিরা।

ওয়ার্ল্ড ফিস জানায়, ২০১৭-১৮ সালে খুলনা জেলায় মাছ উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ২৭৪ টন। মাছ ও চিংড়ির বিভিন্ন রোগের মারাত্মক প্রাদুর্ভাবের কারণে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিনদিন মাছ বিশেষ করে চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ফলে দেশের রফতানি আয় কমেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:১০ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারে বেড়েছে ছাগল কমেছে গরু
এগ্রিবিজনেস

মৌলভীবাজারে গরুর সংখ্যা না বাড়লেও বেড়েছে ছাগল ভেড়া ও মুরগির সংখ্যা। কর্মকর্তাদের মতে, গরুর কোয়ান্টিটি না বাড়লেও কোয়ালিটি বেড়েছে। ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, মৌলভীবাজারে ২০১৯ সালে মোট গরু ছিল পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৪৩৫টি, ছাগল ছিল এক লাখ ৮১ হাজার ৭৬০, ভেড়ার সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৮৯৬ ও ২৫ লাখ ৫৫ হাজার ১৩টি মুরগি ছিল।

গত বছরের তথ্য মতে গরুর সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ২৩৮টি, ছাগল দুই লাখ ১৫ হাজার ২৩৩টি, ভেড়া ছিল ২১ হাজার ৭২৮টি এবং মুরগির সংখ্যা ছিল ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫৩৭টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস ছামাদ বলেন, করোনা মহামারির কারণে পশু পালনে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। আগের তুলনায় গরু, ছাগল, মুরগি পালন বেড়েছে। গরু কোয়ান্টিটি না বাড়লেও কোয়ালিটি বেড়েছে। ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরব বাজারের ছাগল বিক্রেতা সাজ্জাদ মিয়া জানান, গত বছরের চেয়ে সরবরাহ বাড়ায় আনুপাতিক হারে ছাগলের দাম আগের তুলনায় কমেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
ক্যালেন্ডুলা ফুল ছাড়া বাগানের সৌন্দর্য যেন অর্থহীন
এগ্রিবিজনেস

এমনিতেই দেখতে খুবই অসাধরণ লাগে ক্যালেন্ডুলা ফুলকে। তারউপর শীত আসলে এই ফুল যেন সাজে আর অসাধারণ ভঙ্গিমায়। বলা চলে এই ফুল ছাড়া বাগানের সৌন্দর্য যেন একেবারেই অর্থহীন। এই ফুলের বিস্তার এখন রাজধানী ছাড়িয়ে মফস্বলে গিয়েও তার সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। এই ফুলের রয়েছে বহু জান। অনেকে এগুলোকে ভুল করে জার্বেরা বা জিনিয়াও ভেবে থাকেন।

মূলত এরা দক্ষিণ ইউরোপের প্রজাতি। গাছ ঝোপাল, ৩০ থেকে ৬০ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পাতা লম্বা, খসখসে, রোমশ এবং কিছুটা আঠালো। বৃন্তের ওপর প্রায় ১০ সে.মি. চওড়া বড়সড় ফুলগুলো চ্যাপ্টা ধরনের, থাকে জোড়ায় জোড়ায়। রং গাঢ় কমলা, ক্যানারি-হলুদ, ঘন হলুদ এবং কমলা লাল।

জোড়া ফুলের পরিচিত জাতগুলো হলো- বল, ক্যাম্পফায়ার, গোল্ডপিঙ্ক গ্রান্ডিফ্লোরা, প্যাসিফিক বিউটি, পার্সিমোন বিউটি, অরেঞ্জ কিং, অরেঞ্জ সান, রেডিও, হলুদ কলোসাল ইত্যাদি। নোভা জাতের ফুলগুলো জার্বেরার মতো একক, রং কমলা, কেন্দ্রের দিকটা গাঢ় একরকম চকলেট বর্ণের হয়ে থাকে।

নতুন জাতের ভোলানেকস ক্রেস্টেড মিক্স ফুলগুলো ভারি সুন্দর। একসারি করে পাপড়ি, কেন্দ্রস্থল সরু সরু নলের ঝুঁটির মতো বা ভাঁজ করা। ক্যালেন্ডুলা (Calandula officinalis) ব্যবহূত হয় ভূমিশয্যায় এবং কলম করার কাজে। টবেও চাষযোগ্য।

ভালো ফলনের জন্য সূর্যের আলো এবং সেচ দুটোই দরকার। বীজ বপনের সময় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস। আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে ফুল ফোটে। তবে পাহাড়ি ও বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে সময়ের কিছুটা তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। আমাদের বাগানগুলোতে চারার মাধ্যমেই চাষ। পাতার রস কৃমি দমনে কাজে লাগে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
গবাদি পশুর খাদ্যের কার্যকারিতা বৃদ্ধির পদ্ধতি উদ্ভাবন
এগ্রিবিজনেস

বাংলাদেশে গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ওষুধি ঘাসের ব্যবহার নতুন নয়। কিন্তু বায়োএক্টিভ কম্পোনেন্ট বিশ্লেষণের মাধ্যমে এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ঘাসের মাধ্যমে গবাদিপশুর প্রচলিত খাদ্যের কার্যকারিতা বৃদ্ধির পদ্ধতি দেশে প্রথমবারের মতো উদ্ভাবিত হয়েছে। এই উদ্ভাবন আগামীতে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে ও সুস্থ-সবল প্রাণি ও মানবদেহ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। খবর জাগোনিউজ।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের পশু-পুষ্টি বিভাগের আয়োজনে দুগ্ধজাত গাভীর প্রচলিত খাদ্যের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, নিরাপদ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ দুধ উৎপাদনে ওষুধি ঘাসের প্রভাব বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওই কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাউরেসের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আবু হাদি নুর আলি খান, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (প্রাণিসম্পদ) ড. মো. মেহেদি হোসাইন।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-মামুন। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে দেশীয় ১১টি ঘাসের নির্বাচন করে তাদের থিন লেয়ার ক্রোমাটোগ্রাফ ও ডিপিপিএইচ-এর মাধ্যমে সেরা ৭টি ঘাস নির্বাচন করি। তারপর এদের বায়োএক্টিভ কম্পোনেন্ট নির্ণয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ফর্ম যেমন- ফ্রিজ, শেড ও সান ড্রাইয়ের মাধ্যমে ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ ৬টি ঘাস নির্বাচন করি। খামারিদের জন্য ঘাসের সহজলভ্যতা ও খরচ বিশ্লেষণ বিবেচনা করে বায়োমাস ও খনিজ পদার্থের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে সেরা ৪টি ঘাস (আনারসের উচ্ছিষ্টাংশ, তেলাকুচার পাতা, সজিনার পাতা ও লেমন ঘাস) নির্বাচন করেছি।

তিনি জানান, তারপর আমরা বিভিন্ন ফর্মে এদের টোটাল ফেনোলিকসের পরিমাণ, গরুর দুধ উৎপাদন ও তাতে এন্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ, ফ্যাটি এসিড প্রোফাইল অ্যানালাইসিস করে শেড ড্রাই ফর্মে ভালো রেজাল্ট পেয়েছি। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটি সফল করতে ও পরোক্ষভাবে এএমআর-এর ভয়াবহতা থেকে মানবদেহকে রক্ষা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
নেত্রকোনায় ফসলের ধুম, বাঁধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা
এগ্রিবিজনেস

বেশ কয়েক বছর ধরেই নেত্রকোনার কৃষকরা পাচেছ না তাদের ন্যায্য মূল্য। তবে এবার আমন মৌসুমে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় নেত্রকোনার কৃষকরা অধিক পরিমাণ জমিতে ধান আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছে। প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে নেত্রকোনায় ইরি-বোরো আবাদের ধুম পড়েছে। অন্যদিকে দুশ্চিন্তায় ভোগছে ফসল রক্ষা বাঁধ সংস্কার সময়মতো শুরু না হওয়াতে সেখানকার চাষিরা।

জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা শেষ করার কথা।

সম্প্রসারণের দেয়া তথ্যমতে, নেত্রকোনায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ২ শত ৫০ হেক্টর। এর মধ্যে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ১ লাখ ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল এবং ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৬৪ হাজার ৪ শত ৯৩ মেট্রিক টন। ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত চলবে ইরি-বোরো ধানের আবাদ।

জেলা পাউবো’র সূত্র অনুযায়ী, নেত্রকোনার ছোট বড় মোট ১৩৪টি হাওর রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খালিয়াজুরিতে ৮৯টি হাওর। হাওরের একমাত্র ফসল বোরো। হাওরঞ্চলে ৩১০ কিলোমিটার ডুবন্ত (অস্থায়ী) বাঁধ রয়েছে। এরমধ্যে খালিয়াজুরিতে মোট ১৮১ কিলোমিটার ডুবন্ত অস্থায়ী বাঁধ আছে। এই বাঁধের ওপর খালিয়াজুরি ও মোহনগঞ্জের স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল নির্ভর করে।

হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধগুলো মেরামতের জন্য এ বছর পাউবো প্রথম পযায়ে ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬১টি নির্মাধীন ফসল রক্ষা বাঁধের মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে ১০০টির। কাজ শুরু বাকি রয়েছে এখনো ৬১ টি বাঁধের পিআইসি প্রকল্পের।

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, কয়েক দফা বন্যার কারণে হাওরের পানি নামতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। একারণে সময়মতো বাঁধের কাজ শুরু করা যায়নি। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। আমি নিজেও হাওরে গিয়ে বাঁধের কাজ তদারকি করছি।

নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন, ১ ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। সেই লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদেরকে কৃষি আবাদ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ কৃষি প্রণোদনা দিয়ে আসছে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ অঞ্চলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। এতে কৃষকরা অধিক লাভবান হবে।

নেত্রকোনা জেলা পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত বলেন, ‘হাওরে এবার পানি ধীর গতিতে নেমেছে। আর কার্যালয়ের জনবল শূন্য থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার ১৬১ টি পিআইসি মধ্যে ১শটির কাজ শুরু হয়েছে। বাকি গুলোর কাজও শিগ্রই শুরু করা হবে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই(আটাশ ফেব্রুয়ারি) কাজ শেষ করা হবে।’

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop