১২:৩৮ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ১৭, ২০২১ ১২:৩২ অপরাহ্ন
হাতি হত্যা বন্ধে বন বিভাগের সভা
প্রাণ ও প্রকৃতি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ফাঁদ পেতে হাতি মারা বন্ধ করতে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে বন বিভাগ। মঙ্গলবার উপজেলার মির্জাখীল এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘হাতি সংরক্ষণ এবং হাতি মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস।

সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম। মাদার্শা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন মিয়ার সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, পদুয়ার বন সংরক্ষক একেএম আজহারুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজীব কান্তি রুদ্র, সাতকানিয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি সৈয়দ মাহফুজ-উন নবী খোকন।

এতে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, বাঁশখালী, লোহাগাড়া, কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ফাঁদ পেতে বা গুলি করে হাতি হত্যা হয়েছে। অথচ সরকার হাতির আক্রমণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছে।

সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। পাহাড়ি বনাঞ্চলে বাড়িঘর ঠেকানো গেলে বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তোলা যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৭, ২০২১ ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
জলহস্তীর ঘরে নতুন অতিথি
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আবারও বাচ্চা দিয়েছে জলহস্তী। গত ২১ অক্টোবর শাবকটির জন্ম হয়। সাফারি পার্কে জলহস্তীর বাচ্চা দেওয়ার এটি তৃতীয় ঘটনা। এর আগে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দুটি শাবক পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলো বাঁচেনি।

সাফারি কিংডমের ভেতর নতুন সদস্যসহ জলহস্তীর বসতিতে এখন সদস্যসংখ্যা ৩। জলহস্তীশাবকটি স্ত্রী, নাকি পুরুষ, তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরুষ জলহস্তীগুলো সব সময় শাবকের প্রতি হিংস্র আচরণ করে। আক্রমণও করে। ফলে শাবকের জন্ম হলেও শেষ পর্যন্ত সেগুলোর টিকে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

গত সোমবার সাফারি কিংডমের ভেতর জলহস্তী থাকার বিশাল লেকের পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, পানিতে মায়ের সঙ্গে অবস্থান করছে সদ্যোজাত শাবকটি। খাবার দেওয়া হলে মা শাবকটিকে নিরাপদে রেখে এসে খাবার খেয়ে আবার পানিতে নেমে যাচ্ছে। এদিকে সদ্যোজাত শাবকের কথা চিন্তা করে জলহস্তীগুলোর খাবারের পরিমাণ বাড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। খাবারে যোগ করা হয়েছে নতুন উপাদান।

পার্কের বন্য প্রাণী পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান বলেন, জলহস্তীর গর্ভধারণকাল ১০ মাস। এগুলো ২০ থেকে ২৫ বছর প্রকৃতিতে বাঁচে। সংরক্ষিত জায়গায় আরও বেশি দিন বাঁচার নজির আছে। এগুলো একসঙ্গে একটি বাচ্চার জন্ম দেয়। জলহস্তী তৃণভোজী। একবার ডুব দিয়ে পানির নিচে এগুলো পাঁচ মিনিটের বেশি থাকতে পারে। এগুলোর বসতি মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন বনাঞ্চলে। পার্ক প্রতিষ্ঠাকালে দুটি জলহস্তী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কিনে আনা হয়েছিল। তিনি বলেন, জলহস্তীর বসতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন জঙ্গলে। এগুলোর ধারালো দাঁত থাকে। এগুলো তৃণভোজী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান বলেন, ‘বাচ্চা মেরে ফেলার প্রবণতা আছে পুরুষ জলহস্তীর। তাই আমরা কিছুটা চিন্তিত। শাবকটির বয়স প্রায় এক মাস হয়েছে। মা সার্বক্ষণিক নজরদারি করে শাবকটিকে আগলে রাখছে এখনো। এটি টিকে থাকবে বলে আশা করছি। কারণ, শাবকটিকে রক্ষার জন্য মা সব সময় সজাগ থাকছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৬, ২০২১ ১২:৫১ অপরাহ্ন
উদ্ধারকৃত মেছো বিড়ালটি এখন লাউয়াছড়ার রেসকিউ সেন্টারে
প্রাণ ও প্রকৃতি

মৌলভীবাজারের আখাইলকুরা ইউনিয়নের জগতপুর এলাকা থেকে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় একটি মেছো বিড়াল উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে মেছো বিড়ালটি উদ্ধার করা হয়। স্ট্যান্ড ফর আওয়ার ইনডেঞ্জেরাড ওয়াইল্ড লাইফ (সিউ) নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় মেছো বিড়াল উদ্ধার করে বন বিভাগ। বর্তমানে বিড়ালটি লাউয়াছড়ার জানকিছড়ার ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারে আছে।

সিউ’র সদস্য সোহেল শ্যাম জানান, ঢাকা থেকে ফোনে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বন বিভাগের সহযোগিতায় মৌলভীবাজার ৫ নং আখাইলকুরা ইউনিয়নের জগতপুর এলাকা হতে ফাঁদ পেতে ধরা খাঁচায় বন্দী অবস্থায় মেছো বিড়ালটি (FISHING CAT) উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন- সনজয় রায় রাজু, মৌলভীবাজার সদরের রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার প্রমূখ।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে মেছো বিড়ালটি আমাদের কাছে পর্যবেক্ষণে আছে। সুস্থ মনে হলে দ্রুত অবমুক্ত করে দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৫, ২০২১ ১১:০০ পূর্বাহ্ন
বরগুনায় ৭টি হরিণের চামড়াসহ মাংস উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী নদীসংলগ্ন চরলাঠিমারা এলাকা থেকে সাতটি হরিণের চামড়াসহ মাংস উদ্ধার করেছে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে হরিণঘাটা ইকোপার্কের খাল এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাতটি হরিণের চামড়াসহ মাংস উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেননি কোস্টগার্ডের সদস্যরা।

কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার ফাহিম শাহরিয়ার বলেন, একটি চক্র হরিণ শিকার করে হরিণঘাটা বন এলাকা থেকে পাথরঘাটায় প্রবেশ করবে—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে অভিযান চালানো হয়। রাত ১১টার দিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৭টি হরিণের চামড়া, ১০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করে কোস্টগার্ড। তবে এ সময় কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। জব্দ করা হরিণের মাংস ও চামড়া পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুল হক আজ সোমবার সকালে বলেন, কোস্টগার্ড হরিণের চামড়া ও মাংস পাথরঘাটা বন বিভাগে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৪, ২০২১ ২:৫৫ অপরাহ্ন
নেত্রকোনায় বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উদ্ধার হওয়া একটি বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানরকে চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করা হয়েছে। রবিবার সকালে স্থানীয় পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য এনিমেলস অফ সুসং এর স্বেচ্ছাসেবকরা বানরটিকে অবমুক্ত করে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে বানরটি উদ্ধার করে অসুস্থ বানরকে দু’দিন চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলে।

স্থানীয়রা জানায়, গত দুই দিন আগে সদর ইউনিয়নের উত্তর ফারংপাড়া গ্রামে এক বাড়ির পেছন থেকে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে হিংস্র প্রাণী ভেবে পিটিয়ে আহত করে কয়েকজন। পরে প্রাণীটির গলায় রশি বেঁধে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় এক কিশোর প্রাণীটিকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে বিরল এই প্রাণীটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে স্বেচ্ছাসেবকরা।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে শেষ পর্যন্ত গুরুতর আহত অবস্থায় বানরটি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে প্রাণীটি পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নেয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। বানরটি সুস্থ হলে রবিবার সকালে সংগঠনের সদস্যরা গোপালপুর বনে অবমুক্ত করে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য এনিমেলস অফ সুসং এর সভাপতি রিফাত আহমেদ রাসেল জানান, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাণীটিকে পিটিয়ে আহত করার খবর জানার পরপরই তাকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করি। ভিডিও দেখে এলাকার মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করে শেষ পর্যন্ত আমরা প্রাণীটির কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হই। প্রাণীটিকে লাঠি দিয়ে পিটানোর কারণে গুরুতর আহত হয়েছ। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে দুটি হাত এবং একটি চোখ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারের পরপরই আমরা প্রাণী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

পরিচর্যা করে এবং ক্ষতস্থানে অ্যান্টিসেপটিকসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়েছি। একটু সুস্থ হওয়ায় আমরা তার আবাসস্থল অর্থাৎ বনে আবার ফিরিয়ে দিয়ে এসেছি।

আমরা এই নিয়ে মোট ১৯টি রেস্কিউ অভিযান পরিচালনা করেছি। এর মাঝে মোট পাঁচটি দুর্লভ প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছে তারা। সব কয়টি পুরোপুরি সুস্থ করে আবার বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৪, ২০২১ ২:৩১ অপরাহ্ন
সিলেটে হাতি হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
প্রাণ ও প্রকৃতি

হাতি রক্ষায় বন বিভাগের ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য বলে দেশে নির্বিচারে বন্যহাতি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন পরিবেশবাদীরা। শনিবার সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলন সিলেট শাখার উদ্যোগে আয়োজন করা হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। এই সমাবেশে যুক্ত হয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন প্রাধিকার।

বিকাল চারটায় শুরু হওয়া এ প্রতিবাদ কর্মসুচীতে মূল বক্তব্য রাখেন বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দূল করিম কিম। প্রাধিকারের সভাপতি তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাপা সিলেটের সহ-সভাপতি এডভোকেট ই ইউ শহিদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রাহক ডাঃ শাহজামান চৌধুরী বাহার, সাংস্কৃতিক সংগঠক এনামুল মুনির, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডঃ আফম জাকারিয়া, সারি নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল হাই আল হাদি।
২০১৯ সালে আইইউসিএন-এর দেয়া হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে হাতির সংখ্যা ২৬৩টি। কিন্তু গত দুই বছরে দেশে প্রায় অর্ধশত হাতি হত্যা হয়েছে। আর এ সপ্তাহে পাঁচটি। যা কোন ভাবে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। দেশে নির্বিচারে হাতি হত্যার ঘটনার তাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রকে শুধু জলবায়ু ফান্ডের টাকার জন্য হুতাসন করলে হবে না, দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
বন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬ বছরে ৫৪টি হাতি মারা গেছে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই মারা গেছে মানুষের হাতে। আর এ সময়ে হাতির আক্রমণে ১৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময়ে হাতি হত্যা করার ঘটনায় মোট মামলা হয়েছে ১৪টি। তবে একটি মামলাও নিষ্পত্তি হয়নি, কেউ সাজা পেয়েছে, এমন নজিরও নেই।
গুলি করে, বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে এবং বিষ দিয়ে একের পর এক হত্যা করে চলেছে বন্য হাতিগুলো। সরকার বা বন বিভাগ এখানে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডকে স্বাভাবিক মৃত্যু বা দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে হাতি হত্যার সাজা হিসেবে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ৭ বছরের সাজার বিধান থাকলেও এই আইনে কারও সাজা হয়েছে বলে জানা নেই।
বক্তারা আশংকা করেন, মৌলবীবাজার জেলার জুড়িতে হাতির বসতি হিসাবে পরিচিত ‘লাঠিটিলা’ ধ্বংস করে সাফারি পার্ক নির্মান একটি হটকারী সিদ্ধান্ত। যার কারনে সিলেট অঞ্চল থেকে হাতি অচিরেই বিলুপ্ত হবে।সভায় অন্যান্যের মধ্যে সংহতি প্রকাশ করেন সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক ছামির মাহমুদ, প্রানী অধিকার কর্মী অরুপ শ্যাম বাপ্পী, ভুমিসন্তান বাংলাদেশের আশরাফুল কবির, সমাজসেবী মঞ্জুর আল বাছেত, সোসাস আহবায়ক ওয়াজি আহমেদ, প্রকৃতি বিষয়ক লেখক শিমুল খালেদ, সামাজিক সংগঠন উষা’র আহ্ববায়ক তমিশ্রা তিথি, প্রাধিকার সেক্রেটারী নীলোৎপল দে প্রমুখ।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৪, ২০২১ ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দেখা মিললো ডলফিনের
প্রাণ ও প্রকৃতি

কক্সবাজার সৈকতের কাছাকাছি সাগরে ডলফিনের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। ভোরের প্রথম সূর্যের আলোয় এই প্রাণীরা দাপাদাপি করে সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্টের সীমানায়।

ভোরের কুয়াশা ছেদ করে সূর্য ওঠার সময়টাতেই কক্সবাজারের সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্টের সমুদ্রের একটু দূরে দেখা মিলছে ডলফিনের। কখনো দুই বা একটা করে, আবার দল বেঁধে কখনো কখনো, সাগর জলে সাঁতার-ডোবা খেলায় মাতে ডলফিন।

গত শুক্রবার নিঝুম সকালে ডলফিনের ছোটাছুটির দৃশ্য ধারণ করেন সৈকতের জেটস্কি চালক সোনা মিয়া। ১৩ মিনিট ধরে ডলফিনের সঙ্গে খেলায় মেতেছিলেন তিনি। সাগরের লাইফগার্ড কর্মীরা বলছেন, শীত মৌসুমে মাছ চলে আসে সাগরের কিনারায়। তাই ডলফিনও মাছ শিকারে সমুদ্র পাড়ের কাছাকাছি আসে।

তবে তারা আরও বলছেন, ডলফিনের এই দৃশ্যের প্রতিদিন দেখা মেলে না। সৈকতের কাছেই আরও একবার দেখা মিলেছিল সেই করোনার শুরুর দিকে। স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি বহু জাতের হয়। তবে সমুদ্র উপকূলে যা দেখা যায়, তা মূলত শুশুক জাতের ডলফিন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২১ ১২:২১ অপরাহ্ন
লোকালয় থেকে উদ্ধার কুমির সুন্দরবনে অবমুক্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের মোল্লারহাট গ্রাম থেকে জেলেদের জালে আটক হওয়া দুই বছর বয়সী একটি লবণ পানি প্রজাতির কুমির (শুক্রবার) রাতে উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। উদ্ধারকৃত কুমিরটি রাত দশটার দিকে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের পাশের খালে অবমুক্ত করা হয়েছে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলা মিঠাখালী ইউনিয়নের মোল্লারহাট গ্রামের খালে রাত ৯টার দিকে জেলেরা জাল ফেলে মাছ ধরছিল। এসময় জেলেদের জালে একটি কুমির আটকা পড়ে। জেলেরা জালে আটকা পড়েছে দেখে বিষয়টি মোবাইল ফোনে আমাকে জানায়। বিষয়টি জানার পর দ্রুত করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবিরকে জানালে সে ঘটনাস্থলে গিয়ে জালে আটক কমিটি উদ্ধার করে।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, খবর পেয় দ্রুত মোল্লাহাট গ্রামে গিয়ে জেলেদের জাল থেকে কুমিরটি উদ্ধার করে সুন্দরবনের নিয়ে আসা হয়। দুই বয়সী লবণ পানি প্রজাতির এই কুমিরটিকে রাত দশটার দিকে করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের পাশের খালে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সুন্দরবন থেকে পথ ভুলে জোয়ারের পানিতে লোকালয়ের খালে গিয়ে জেলেদের জালে আটকা পড়ে এই বাচ্চা কুমিরটি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২১ ১২:১৫ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নতুন অতিথি
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নায়ালা পরিবারে নতুন অতিথির আগমন ঘটেছে। সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠালগ্নে দুইটি নায়ালা আনা হয়েছিল। সম্প্রতি পার্কে একটি নায়ালা শাবকের জন্ম হয়। লুকিয়ে থাকায় জন্মের বেশ কিছু দিন পর দেখা মেলে এই শাবকের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান

সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে, নায়ালা দক্ষিণ- পূর্ব আফ্রিকার সাভানা অঞ্চলের প্রাণী। একে সর্পিল শিংযুক্ত হরিণ বলেও অভিহিত করা হয়। লাজুক প্রকৃতির হওয়ায় সচরাচর এ প্রাণীটির দেখা মেলে না। ঘন বনজঙ্গল ও ঝোপঝাড়ের ভিতর নির্জনে অবস্থান করা এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তবে আহারের জন্য নিস্তব্ধ সময়ই এরা বেছে নেয়। সাফারি পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে নায়ালার বিচরণ।
এই পার্কে ইতোপূর্বে আরেকটি শাবকের জন্ম হয়েছিল। তবে সে সময় শিয়ালে সেটি খেয়ে ফেলে। এদিকে বয়স্কজনিত কারণে একটি পুরুষ নায়ালা সম্প্রতি মারা যায়। সম্প্রতি পার্কে একটি নায়ালা শাবকের জন্ম হলেও প্রথম দিকে তার দেখা মেলেনি।

সম্প্রতি পার্কেও জেব্রা বেষ্টনীর সঙ্গে এ শাবক ও তার মাকে দেখা যায়। কাছে যেতে না পারায় এখনো জন্ম নেওয়া শাবকের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি। ঘন বন ও ঝোপঝাড়ে থাকার কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয় এ প্রাণীর শাবক জন্মের পর। শিয়াল ও অন্যান্য হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে মারা যাওয়ার সম্ভাবনার মধ্যেও বেঁচে থাকে এ প্রাণী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, দেশি ও বিদেশি নানা প্রাণীর সমাহার এখন আমাদের সাফারি পার্কে। দর্শনার্থীদের বিনোদন ও অজানা প্রাণীর সঙ্গে পরিচয়ের এক দ্বার খুলে দিয়েছে এই পার্ক। বিদেশি প্রাণী নায়ালা থেকে ইতোপূর্বে একটি শাবকের জন্ম হলেও শিয়ালের আক্রমণে সে মারা যায়। এবার জন্ম নেওয়া এ প্রাণীটি নিজস্ব নিরাপত্তায় বড় হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২১ ৮:২৭ অপরাহ্ন
জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবনে সময় কমিয়ে আনতে চাই
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আমরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছি। লবণাক্ততা, খরা, জলমগ্নতা, উচ্চ তাপমাত্রাসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশে চাষের উপযোগী বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবনে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক সফলতাও এসেছে। কিন্তু এসব জাত উদ্ভাবনে অনেক সময় লেগে যায়। এটিকে আমরা কমিয়ে আনতে চাই। এক্ষেত্রে নেদারল্যাণ্ডের সহযোগিতা প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডের স্থানীয় সময় বিকালে দেশটির ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চের (Wageningen University and Research) এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট লুইজি ও. ফ্রেসকোর (Louise O. Fresco) সাথে বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কৃষি, খাদ্য ও লাইফ সাইন্সের গবেষণা এবং শিক্ষায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চের এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নিকট কৃষিমন্ত্রী লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) উপস্থাপন করেন। মন্ত্রী কৃষি গবেষণা বিশেষ করে দ্রুত ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্ট ক্রপ ভ্যারাইটি উদ্ভাবন, পচনশীল কৃষিপণ্যের সংরক্ষণকাল বাড়ানোর গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে এবং বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণ কর্মীদের প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রেসিডেন্ট লুইজি ও. ফ্রেসকো এসব বিষয়ে সহযোগিতায় বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন। শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্ট করার প্রতি জোর দেন।

এর আগে দুপুরে কৃষিমন্ত্রী ও ফার্মিং সিস্টেম বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ ড. রাজ্জাক ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ড প্ল্যান্ট ইকো-ফেনোটাইপিং সেন্টার (এনপিইসি) পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি পচনশীল কৃষিপণ্যের সংরক্ষণকাল বাড়ানোর গবেষণাগার (ফেনোমিয়া ল্যাব) এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাত মোকাবেলায় জিন প্রযুক্তি ব্যবহার ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খুব স্বল্প সময়ে নতুন জাত উদ্ভাবনে প্রযুক্তিগত গবেষণাগারের (ফেনোমিক্স  ল্যাব) কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।

একই দিন সকালে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক ভাখেনিঙেন শহরের মেয়র ফ্লুর ভার্মিউলেনের (Floor Vermeulen) সাথে বৈঠকে মিলিত হন এবং তাঁকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী ‘The Unfinished Memoirs’ বই উপহার দেন।

এসময় সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউভেন, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, এসিআই এগ্রো লিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এফএইচ আনসারী, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম, এবং জেমকন গ্রুপের ডিরেক্টর কাজী ইনাম আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop