৪:৫৬ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ১৯, ২০২১ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
লটকনের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
প্রাণ ও প্রকৃতি

 

লটকন ফল খাওয়া যায়। আবার লটকনে আছে অনেক পুষ্টি। এ সব মানুষের ভাবনার বাইরে ছিল। ফল হিসেবে লটকন পরিচিত হয়েছে বেশ কিছু দিন আগে। বনে বাদাড়ে পড়ে থাকত। বুনো ফল হিসেবেই মানুষ একে চিনত। অথচ লটকন পুষ্টিকর অর্থকরী একটি ফল।

লটকনের বৈজ্ঞানিক নাম ব্যাকারিয়াস্যাপাডিয়া। ইংরেজিতে লটকনকে বলা হয় বার্মিজ গ্রেপ। বাংলাদেশে লটকন এলাকাভেদে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন হাড় ফাটা, ভুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, লোটকা ইত্যাদি। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র লটকন গাছ হয়। বাংলাদেশ ছাড়া মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে লটকন বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয়। মৌসুমী এই ফলটির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা প্রচুর। যেমন-

১. লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানে দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণ হওয়া। এ ছাড়া ফলটিতে রয়েছে আমিষ, লৌহ ও খনিজ পদার্থ।

২. লটকন গাছের শুকনো গুঁড়ো পাতায় ডায়রিয়া উপশম হয়। এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের পীড়া ও পুরাতন জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ।

৩. প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। এতে ক্যালরি আছে জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ।

৪. লটকনে ভিটামিন বি-১ আছে ১০.০৪ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন বি-২ আছে ০.২০ মিলিগ্রাম। ফলে পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ।

৫. অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম আছে লটকনে যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ৬. লটকন খেলে সহজেই বমি ভাব দূর হয়। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। মানসিক চাপ কমায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৮, ২০২১ ১০:৪৭ অপরাহ্ন
আমের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

আমের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেন, দেশের আমকে আমরা ব্যাপকভাবে বিশ্ব বাজারে নিয়ে যেতে চাই। সেজন্য, রপ্তানি বাধাসমূহ চিহ্নিত করে তা নিরসনে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে, নিরাপদ আমের নিশ্চয়তা দিতে ৩ টি ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। উৎপাদন থেকে শিপমেন্ট পর্যন্ত আম নিরাপদ রাখতে উত্তম কৃষি চর্চা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট দেয়ার কাজ চলছে। এর ফলে আগামী বছর আম রপ্তানির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পাবে।
কৃষিমন্ত্রী রবিবার বিকালে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি ‘আম রপ্তানি বৃদ্ধিতে করণীয়’ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর আমের ভাল ফলন হয়েছে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি লকডাউন ও বাজার না থাকায় চাষিরা আম বিক্রিতে হিমশিম খাচ্ছে ও আশানুরূপ দাম পায় নি। সেজন্য, আন্তর্জাতিক বাজারে আরও বেশি যেতে হবে। যাতে করে চাষিরা আশানুরূপ দাম পায় ও আম চাষে আরও আগ্রহী হয়।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, আম বাংলাদেশের একটি উচ্চমূল্যের অর্থকরী ফসল। বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগ, আমের উন্নত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে প্রতিবছর আমের উৎপাদন বাড়ছে। আম রপ্তানির সম্ভাবনাও অনেক। কিন্তু রপ্তানিতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। অনেক দেশ বাংলাদেশের চেয়ে কম উৎপাদন করেও রপ্তানিতে এগিয়ে রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার। এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থাপ্রধান, আমচাষি, ব্যবসায়ী, শাকসবজি ও ফল রপ্তানিকারক এবং প্রাণ গ্রুপ, স্কয়ার ফুড, এসিআই, আকিজ ফুড, ব্র্যাক ডেইরিসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর আমের উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে আম উৎপাদনে ৭ম স্থান অধিকার করেছে। কিন্তু বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানি হলেও এর পরিমাণ উৎপাদনের তুলনায় অনেক কম। ২০১৯-২০ সালে দেশে প্রায় ১৫ লাখ টন আম উৎপাদিত হলেও রপ্তানি হয়েছে মাত্র ২৭৯ মেট্রিক টন। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার।
২০২০ সালে থাইল্যান্ড সর্বোচ্চ ৭৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আম রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত ১৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও পাকিস্তান ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আম রপ্তানি করেছে। সেখানে বাংলাদেশ মাত্র ৫০ হাজার ডলারের আম রপ্তানি করেছে।
আম রপ্তানির ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হলো উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চার অভাব, রপ্তানিযোগ্য উন্নতজাতের অভাব, সেলফ লাইফ কম, সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে সনাক্তকরণের অভাব, আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিংয়ের অভাব, ব্র্যান্ডিং ইমেজ সৃষ্টি না হওয়া, রপ্তানি কার্যক্রমে দক্ষতা, সচেতনতা ও প্রশিক্ষণের অভাব প্রভৃতি।
সেজন্য, আম রপ্তানির সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য নতুন বাজার অনুসন্ধান, রপ্তানি চাহিদা অনুযায়ী জাত নির্বাচন, ফাইটোস্যানিটারি পদ্ধতি ও আমদানিকারক দেশের উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদন, সার্টিফিকেশন, উন্নত প্যাকিং, বিমান বন্দরে কার্গো ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এপিএ বাস্তবায়নে কৃষি মন্ত্রণালয় এবারও ২য় স্থান অর্জন করেছে
২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) চূড়ান্ত মূল্যায়নে কৃষি মন্ত্রণালয় ৫১টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করেছে। এপিএ বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের অর্জিত নম্বর ৯৩.১৩। ৯৫টি কর্মসম্পাদন সূচকের মধ্যে ৭৪টিতে শতভাগ অর্জন করেছে।
উল্লেখ্য যে, কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপির নেতৃত্বে পরপর দুইবছর কৃষি মন্ত্রণালয় এপিএ বাস্তবায়নে ২য় স্থান অর্জন করলো।
আজ রবিবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এপিএ পুরস্কার গ্রহণ করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৩, ২০২১ ১২:২৮ অপরাহ্ন
বিকল্প ফসল চাষের মাধ্যমে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, দেশে এখন ফসলের অনেক উন্নত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে ভুট্টা চাষের সম্ভাবনা অনেক। অনেক অপ্রচলিত অর্থকরী উচ্চমূল্যের ফসল ও ফল চাষেরও সুযোগ এখন তৈরি হয়েছে। তামাকের পরিবর্তে এগুলোর চাষ করে তামাকের চাষ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
কৃষিমন্ত্রী সোমবার বিকালে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে যুক্ত হয়ে ‘তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য উৎপাদনে করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধেী জোট (বাটা) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে এখন তামাক চাষ করার কোন যৌক্তিকতা নেই। তামাক চাষের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কোন গবেষণা পরিচালনা করা হয় না। মন্ত্রণালয় থেকে ভর্তুকি প্রদান ও কোন রকম সহযোগিতাও প্রদান করা হয় না। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বিকল্প ফসলের চাষ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করতে হবে।
ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন টিসিআরসির প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বিশেষ অতিথি হিসাবে সংযুক্ত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী ও অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, পিকেএসএফের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গনেশ চন্দ্র সাহা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।
এছাড়া,আন্তর্জাতিক সংস্থা ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের হেডস অব প্রোগ্রামস মো. শফিকুল ইসলাম, সিটিএফকের লিড পলিসি এ্যাডভাইসার মো: মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার, প্রমুখ বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসাবে ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, দেশের কৃষি জমির একটি বড় অংশে তামাক চাষ হয়। এসকল জমিতে খাদ্য শস্য চাষ করা হলে তা দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও উদ্বৃত্ত খাদ্য রপ্তানির মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। অন্যদিকে, তামাক চাষ কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট এবং কৃষক ও কৃষকের পরিবারের স্বাস্থ্যহানিসহ আশেপাশের পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। দেশের আবাদি জমি রক্ষা, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ ও তামাকের বিকল্প ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ওয়েবিনারে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১০, ২০২১ ১২:২২ অপরাহ্ন
ড্রাগন ফল চাষাবাদ পদ্ধতি
প্রাণ ও প্রকৃতি

ড্রাগন ফল মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল যা বর্তমানে আমাদের দেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে এই ফলের বিভিন্ন জাত আনা হয়। ড্রাগন ফলের গাছ এক ধরনের ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। এই গাছের কোন পাতা নেই। ড্রাগন ফলের গাছ সাধারনত ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সিটিউট (বারি) কতৃক উদ্ভাবিত ড্রগন ফলের নতুন জাতটি হলো বারি ড্রাগন ফল-১ যা দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়াতে জনপ্রিয় ফল। এ ফলের আকার বড়, পাকলে খোসার রং লাল হয়ে যায় ,শাঁস গাঢ় গোলাপী রঙের, লাল ও সাদা এবং রসালো প্রকৃতির । ফলের বীজগুলো ছোট ছোট কালো ও নরম । একটি ফলের ওজন ১৫০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

 ড্রাগন ফল সাধারণত তিন প্রজাতির হয়ে থাকে-

১) লাল ড্রাগন ফল বা পিটাইয়া। এর খোসার রঙ লাল ও শাঁস সাদা। এই প্রজাতির ফলই বেশি দেখতে পাওয়া যায়।
২) কোস্টারিকা ড্রাগন ফল। খোসা ও শাঁস উভয়ের রঙই লাল।
৩) হলুদ রঙের ড্রাগন ফল। এই জাতের ড্রাগন ফলের খোসা হলুদ রঙের ও শাঁসের রঙ সাদা।

জাতঃ বাংলাদেশে উদ্ভাবিত জাতগুলো হলো-

বারি ড্রাগন ফল-১, বাউ ড্রাগন ফল-১ (সাদা) ,বাউ ড্রাগন ফল-২ ( লাল ), বাউ ড্রাগন ফল-৩

পুষ্টিগুণঃ ভিটামিন সি, মিনারেল এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত।ফলে ফিবার, ফ্যাট, ক্যারোটিণ, প্রচুর ফসফরাস, এসকরবিক এসিড, প্রোটিন ,ক্যালসিয়াম, আয়রন রয়েছে।

প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য ড্রাগন ফলে যে পুস্টিমান পাওয়া যায় তা দেওয়া হলো-
  • পানি- ৮০-৯০ গ্রাম
  • শর্করা- ৯-১০ গ্রাম
  • প্রোটিন- ০.১৫-০.৫ গ্রাম
  • আঁশ- ০.৩৩-০.৯০ গ্রাম
  • খাদ্যশক্তি- ৩৫-৫০ কিলোক্যালরি
  • চর্বি- ০.১০-০.৬ গ্রাম
  • ক্যালসিয়াম- ৬-১০ মি গ্রাম
  • আয়রন- ০.৩-০.৭ মি.গ্রাম
  • ফসফরাস- ১৬-৩৫ গ্রাম
  • ক্যারোটিন- (Vitamin A থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন সামান্য
  • ভিটামিন- বি-৩ – ০.২ – ০.৪ মি গ্রাম

ড্রাগন ফলের গুরুত্বঃ

১. ক্যারোটিন সমৃদ্ধ থাকায় চোখ ভালো রাখে।

২. আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় হজমে সহায়তা করে। এছাড়া আঁশ শরীরের চর্বি কমায়।

৩. এই ফলে বিদ্যমান প্রোটিন শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজে সহায়তা করে।

৪.  এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত ও দাঁত মজবুত রাখে।

৫. ভিটামিন বি-৩ রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং ত্বক মসৃণ রাখে।

৬. ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক , দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।

জমি নির্বাচন ও তৈরিঃ

সুনিষ্কাশিত উঁচু ও মাঝারি উঁচু উর্বর জমি নির্বাচন করতে হবে এবং ২-৩ টি চাষ দিয়ে ভালোভাবে মই দিতে হবে।

রোপণ পদ্ধতি ও রোপণ সময়ঃ

সমতল ভূমিতে বর্গাকার বা ষঢ়ভূজাকার এবং পাহাড়ি ভূমিতে কন্টুর পদ্ধতিতে ড্রগন ফলের কাটিং রোপণ করতে হবে। ড্রগন ফল রোপণের জন্য উপযোগী সময় হলো মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য ওক্টোবর।

বংশবিস্তারঃ

অঙ্গজ পদ্ধতি বা বীজের মাধ্যমে ড্রাগন ফলের বংশবিস্তার হয়ে থাকলেও মাতৃ গুনাগুণ বজাই রাখার জন্য অঙ্গজ পদ্ধতিতে অর্থাৎ কাটিং এর মাধ্যমে বংশ বিস্তার করাই ভালো। কাটিং এর সফলতার হার প্রায় শতভাগ এবং তাড়াতাড়ি ধরে। কাটিং থেকে উৎপাদিত একটি গাছে ফল ধরতে ১২-১৮ মাস সময় লাগে। সাধারণত বয়স্ক এবং শক্ত শাখা ১ থেকে ১.৫ ফুট কেটে হালকা ছায়াতে বেলে দোআঁশ মাটিতে গোড়ার দিকের কাটা অংশ পুতে সহজেই চারা উৎপাদন করা যায়। তারপর ২০ থেকে ৩০দিন পরে কাটিং এর গোড়া থেকে শিকড় বেরিয়ে আসবে। তখন এটা মাঠে লাগানোর উপযুক্ত হবে। তবে উপযুক্ত পরিবেশে ও প্রয়োজন অনুযায়ী কাটিংকৃত কলম সরাসরি মূল জমিতে লাগানো যায়।

প্রনিং  ট্রেনিংঃ

ড্রাগন ফল খুব দ্রুত বাড়ে এবং মোটা শাখা তৈরি করে। একটি ১ বছরের গাছ ৩০টি পর্যন্ত শাখা তৈরি করতে পারে এবং ৪ বছরের বয়সী একটি ড্রাগন ফলের গাছ ১শ’ ৩০টি পর্যন্ত প্রশাখা তৈরি করতে পারে। তবে শাখা প্রশাখা উৎপাদন উপযুক্ত ট্রেনিং ও ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১২ থেকে ১৮ মাস পর একটি গাছ ফল ধারণ করে। ফল সংগ্রহের ৪০ থেকে ৫০টি প্রধান শাখায় প্রত্যেকটি ১ বা ২টি সেকেন্ডারি শাখা অনুমোদন করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে টারসিয়ারী ও কোয়ার্টারনারী প্রশাখাকে অনুমোদন করা হয় না। ট্রেনিং এবং প্রনিং এর কার্যক্রম দিনের মধ্যে ভাগে করাই ভালো। ট্রেনিং ও প্রনিংকরার পর অবশ্যই যে কোন ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। তানা হলে বিভিন্ন প্রকার রোগবালাই আক্রমণ করতে পারে।

গর্ত তৈরীও চারা রোপণঃ

১.৫ মিটার x ১.৫ মিটার x ১ মিটার আকারের গর্ত করে তা রোদে খোলা রাখতে হবে। গর্ত তৈরির ২০-২৫ দিন পর প্রতি গর্তে ২৫-৩০ কেজি পচা গোবর , ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ২৫০ গ্রাম এমওপি, ১৫০ গ্রাম জিপসাম এবং ৫০ গ্রাম জিংক সালফেট সার গর্তের মাটির সাথে ভালো করে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে দিতে হবে। প্রয়োজনে সেচ দিতে হবে। গর্ত ভরাটের ১০-১৫ দিন পর প্রতি গর্তে ৫০ সেমি দূরত্বে ৪ টি করে চারা সোজাভাবে মাঝখানে লাগাতে হবে। চারা রোপণের ১ মাস প থেকে ১ বছর পর্যন্ত প্রতি গর্তে ৩ মাস পর পর ১০০ গ্রাম করে ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে।

পরিচর্যাঃ

আগাছা অপসারণ করে নিয়মিত সেচ প্রদান এবং প্রয়োজনে চারপাশে বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। গাছ লতানো এবং ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার লম্বা হওয়ায় সাপোর্টের জন্য ৪ টি চারার মাঝে ১টি সিমেন্টের ৪ মিটার লম্বা খুঁটি পুততে হবে। চারা বড় হলে খড়ের বা নারিকেলের রশি দিয়ে বেধে দিতে হবে যাতে কাণ্ড বের হলে খুতিকে আঁকড়ে ধরে গাছ সহজেই বাড়তে পারে। প্রতিটি খুঁটির মাথাই একটি করে মটর সাইকেলের পুরাতন টায়ার মোটা তারের সাহায্যে আটকিয়ে দিতে হবে। তারপর গাছের মাথা ও অন্যন্য ডগা টায়ারের ভিতর দিতে বাইরের দিকে ঝুলিয়ে দিতে হবে। কেননা এভাবে ঝুলন্ত ডগাই ফল বেশি ধরে ।

সার প্রয়োগঃ

গাছের বয়স বাড়ার সাথে নিম্নলিখিতভাবে সার দিতে হবে-

গাছের বয়স  মাদা প্রতি সারের পরিমাণ/বছর
গোবর সার (কেজি) ইউরিয়া(গ্রাম) টিএসপি (গ্রাম) এমওপি (গ্রাম)
১-৩ বছর ৪০-৫০ ৩০০ ২৫০ ২৫০
৩-৬ বছর ৫০-৬০ ৩৫০ ৩০০ ৩০০
৬-৯ বছর ৬০-৭০ ৪০০ ৩৫০ ৩৫০
১০ বছের ঊর্ধে ৭০-৮০ ৫০০ ৫০০ ৫০০

সেচ ব্যবস্থাপনাঃ

ড্রাগন ফল খরা ও জলাবর্ধতা সয্য করতে পারে না। তাই শুস্ক মৌশুমে ১০-১৫ দিন পর পর সেচ দিতে হবে।এছাড়া ফলন্ত গাছে ৩ বার অর্থাৎ ফুল ফোটা অবস্থায় একবার, ফল মটর দানা অবস্থায় একবার এবং ১৫ দিন পর আরেকবার সেচ দিতে হবে।

রোগ ও বালাই ব্যবস্থাপনাঃ

ফলে রোগ বালাই খুবই একটা চোখে পড়ে না। তাবে কখনো কখনো এ গাছে মূলপঁচা, কান্ড ও গোড়া পঁচা রোগ দেখা যায়।

মূলপচা:

গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে গেলে মূল পঁচে যায়। এ রোগ হলে মাটির ভিতরে গাছের মূল একটি দুটি করে পঁচতে পঁচতে গাছের সমস্ত মূল পঁচে যায়। গাছকে উপরের দিকে টান দিলে মূল ছাড়া শুধু কান্ড উঠে আসে। তবে এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে উঁচু জমিতে এ ফলের চাষ করা ভালো। এ রোগটি Fusarium sp দ্বারা সংঘটিত হয়।

কাণ্ড  গোড়া পচা রোগ:

ছত্রাক অথবা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগ হতে পারে। এ রোগ হলে গাছের কাণ্ডে প্রথমে হলুদ রং এবং পরে কালো রং ধারণ করে এবং পরবর্তীতে ঐ অংশে পঁচন শুরু হয় এবং পঁচার পরিমাণ বাড়তে থাকে। এ রোগ দমনের জন্য যে কোন ছত্রাকনাশক (বেভিস্টিন, রিডোমিল, থিওভিট ইত্যাদি) ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করে সহজেই দমন করা যায়।

পোকা মাকড়ঃ

ড্রাগন ফলের জন্য ক্ষতিকর পোকা মাকড় খুব একটা চোখে পড়ে না, তবে মাঝে মাঝে এফিড ও মিলি বাগের আক্রমণ দেখা যায়। এফিডের বাচ্চা ও পূর্ণ বয়স্ক পোকা গাছের কচি শাখা ও পাতার রস চুষে খায়, ফলে আক্রান্ত গাছের কচি শাখা ও ডগার রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় ও গাছ দূর্বল হয়ে পড়ে। এ পোকা ডগার উপর আঠালো রসের মতো মল ত্যাগ করে ফলে শুটিমোল্ড নামক কালো ছত্রাক রোগের সৃষ্টি হয়। এতে গাছের খাদ্য তৈরি ব্যাহত হয়। এতে ফুল ও ফল ধারণ কমে যায়। এ পোকা দমনে সুমিথিয়ন/ডেসিস/ম্যালাথিয়ন এসব কীটনাশক প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২৫ মিলিলিটার বা ৫ কাপ ভালো ভাবে মিশিয়ে স্প্রে করে সহজেই এ রোগ দমন করা যায়।

ড্রাগন ফল সংগ্রহ ও ফলনঃ

ড্রাগন ফলের কাটিং থেকে চারা রোপনের পর ১ থেকে ১.৫ বছর বয়সের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়। ফল যখন সম্পূর্ণ লাল রঙ ধারণ করে তখন সংগ্রহ করতে হবে। গাছে ফুল ফোঁটার মাত্র ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়। বছরে ৫-৬টি পর্যায়ে ফল সংগ্রহ করা যায়। প্রথমত জুন-অক্টোবর, দ্বিতীয় ডিসেম্বর-জানুয়ারি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৯, ২০২১ ৮:১৬ অপরাহ্ন
বেড়েছে সবজি-মাছের দাম, কমেছে ব্রয়লারের
প্রাণ ও প্রকৃতি

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মাছের দাম। তবে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম।

শুক্রবার (৯ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তাহে বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা পর্যন্ত। আর ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে সব থেকে বেশি বেড়েছে গাজরের দাম। এক সপ্তাহ আগে কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হওয়া গাজরের দাম বেড়ে ১৩০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এটিই এখন বাজারের সব থেকে দামি সবজি।

কেজি একশ টাকার ওপরে বিক্রি হওয়ার তালিকায় রয়েছে পাকা টমেটো। আগের সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটোর দাম বেড়ে এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এর সঙ্গে দাম বেড়েছে বেগুন, ঝিঙে, করলা, বরবটি, চিচিঙ্গার। বেগুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঝিঙের দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা হয়েছে।

করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। চিচিঙ্গার কেজি সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা হয়ে গেছে। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম বেড়ে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বেশিরভাগ সবজির দাম বাড়ার মধ্যে অপরিবর্তিত রয়েছে ঢেঁড়স, পটল, পেঁপে, কাঁচকলার দাম। আগের মতো ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী আয়নাল বলেন, বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেতের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ কম। এ কারণে দাম বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন থাকলে সামনে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে।

খিলগাঁও তালতলা বাজার থেকে সবজি কেনা আমিনুল ইসলাম বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে আসলে তেমন কিছুই কেনা যায় না। করোনার কারণে এমনিতেই আয় কমে গেছে। এখন সবকিছুর দাম বাড়লে, আমাদের কী অবস্থা বুঝে দেখেন?

এদিকে দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া আদা বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। আর দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে, যা আগে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে।

চিংড়ি আগের মতো ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। রূপচাঁদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এ দুটি মাছের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

মাছের দামের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী সুবল বলেন, বাজারে মাছের আমদানি কম। এ কারণে দাম একটু বেশি। সামনে মাছের দাম আরও বাড়তে পারে।

মাছ ও সবজি দাম বাড়ার মধ্যে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। বেশিরভাগ বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ টাকা কেজি।

ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগি এবং লাল লেয়ার মুরগি। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা।

মুরগির পাশাপাশি দাম অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।

এর সঙ্গে গত সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, ডিম ও পেঁয়াজের। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। আর ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।

মুরগির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. আব্দুস সালাম বলেন, লকডাউনের কারণে হোটেলগুলোতে বিক্রি কমেছে। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কম এবং দাম কমেছে।

সুত্রঃ জাগো নিউজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৯, ২০২১ ৬:৫০ অপরাহ্ন
নওগাঁর ‘ব্যানানা ম্যাঙ্গো’ যাচ্ছে ইংল্যান্ডে
এগ্রিবিজনেস

নওগাঁ জেলা থেকে আম রুপালি আমের পর এবার বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে ‘ব্যানানা ম্যাঙ্গো’। ইংল্যান্ডে রপ্তানির উদ্দেশ্যে বুধবার (৭ জুলাই) বিকেলে তৃতীয় চালানে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্ক থেকে ৫০০ কেজি ব্যানানা আম ও ৫০০ কেজি আম রুপালি আম ঢাকার শ্যামপুরে পাঠানো হয়েছে।

সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) রাতেই নওগাঁর আমের এই চালান যুক্তরাজ্যে পৌঁছাবে।

এর আগে গত ১৭ ও ২০ জুন সাপাহার উপজেলার বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্ক ও রূপগ্রাম অ্যাগ্রো ফার্ম-এর মালিক তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা দুই চালানে আম রুপালি আড়াই মেট্রিক টন ইংল্যান্ডে পাঠান। বাংলাদেশ ফুড অ্যান্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তিনি ইংল্যান্ডে আম রপ্তানি করেন।

সম্প্রতি দেশে আম উৎপাদনকারী অন্যতম প্রধান জেলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁ। এ জেলায় চলতি বছর ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এ বছর ২ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

এ জেলায় উৎপাদিত আমের ৬০ শতাংশই আম রুপালি জাতের আম (বারি আম-৩)। এ জন্য নওগাঁ আম রুপালি আমের জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেছে। এছাড়াও দেশীয় জাত ক্ষিরসাপাত, ল্যাংড়া, নাগফজলী, আশ্বিনা, কাটিমন, বারি আম-৪ ও হাড়িভাঙা আম চাষ হচ্ছে। দেশী প্রজাতির আম ছাড়াও বিদেশী জাতের মিয়াজাকি, থাই ব্যানানা ম্যাঙ্গো, রেড পালমার, টেনসিংটন প্রাইড, অস্টিন, গিলানি ও রুবি জাতের আমগাছও রয়েছে। এ জেলার সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলা উপজেলায় আমের বাগান বেশি রয়েছে।

সাপাহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুজিবর রহমান জানান, বিষমুক্ত ও নিরাপদ আম চাষের জন্য উপজেলার ১৫ চাষিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মৌসুমজুড়েই এই চাষিদের বাগানে আম উৎপাদনের প্রক্রিয়া আমরা দেখভাল করেছি। এই চাষিদের উৎপাদিত ও ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত আম বিদেশে পাঠানোর জন্য উপযুক্ত। যে আম দেশের বাজারে দুই হাজার টাকা মণে বিক্রি হচ্ছে সেই আম রপ্তানিকারকদের কাছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন চাষিরা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (বারি) ফল ও উদ্যান গবেষণা বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিনের সহযোগিতায় গত ১৭ জুন এক মেট্রিক টন (এক হাজার কেজি) ও ২০ জুন আরও দেড় মেট্রিক টন আম রুপালি আম কোনো ঝামেলা ছাড়াই বিদেশে পাঠাতে পেরেছেন তিনি। তৃতীয় চালান নিয়েও ঝামেলা হবে না বলে তিনি মনে করেন। লন্ডনের একজন ক্রেতা আমগুলো আমার থেকে নিচ্ছেন। সেখান থেকে ইংল্যান্ড ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তিনি আম বিক্রি করে থাকেন। এ বছর আরও প্রায় ৫-৬ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করতে পারবেন। যুক্তরাজ্য ছাড়াও ফিনল্যান্ড, ইতালি ও সুইডেনে আম পাঠানোর জন্য তিনি অর্ডার পেয়েছেন।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২১ ৯:২৩ অপরাহ্ন
বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম
প্রাণ ও প্রকৃতি

লকডাউনে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে প্রথম দিকে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তি লক্ষ্য করা যায়। আজও রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে গুটি কয়টা পণ্য ছাড়া অধিকাংশ পণ্যের দাম এখনো নামেনি। বাড়তি দামেও বেলা বাড়ার সাথে সাথেই বাজারে পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়তে থাকে। কাঁচা সবজির বাজার, মাছের বাজার, মুদি দোকানগুলোতেও ভিড়। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেও বাজার করছেন অনেকে।

বুধবার (৭ জুলাই) রাজধানীর মালিবাগ বাজার, বউবাজার, হাজীপাড়া, রামপুরা এলাকার বাজারগুলোতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। সকালের ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যেও ক্রেতাদের যথেষ্ট সমাগম বাজারে দেখা যায়। লকডাউনে আয় কমেছে অথচ পণ্যে দাম এখনো না কমায় অস্বস্তি দেখা দিয়েছে ক্রেতাদের মাঝে।

বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, আলু ২৫, টমেটো ৮০-৯০, ঢেঁড়স ৪০-৫০, কাঁকরোল ৫০, বেগুন ৫০-৬০, কাঁচা মরিচ ৬০, পেঁপে ৪০, কচুর লতি ৬০-৭০, বরবটি ৫০-৬০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বাজারে আসা নতুন সবজির দামও বাড়তি। আটি প্রতি লাল শাক ২০-২৫, পুইশাক ২৫-৩০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি মাসে কাঁচা সবজির দাম প্রায় কেজি প্রতি ২০-৩০ বেড়েছে।

বেসরকারি অফিসের চাকরিজীবী মুছলেম উদ্দীন বলেন, লকডাউনে আয়  কমেছে, কিন্তু পণ্যের দাম যদি না কমে তাহলে আমাদের সংসার বাঁচবে কিভাবে। পণ্যের দাম কমানোর জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে তো না খেয়ে মারা যেতে হবে। ঘর ভাড়া দিয়ে আয়ের কিছুই থাকে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২১ ১:০৪ অপরাহ্ন
বর্ষাকালে ছাদ বাগানের যত্ন
প্রাণ ও প্রকৃতি

আবারও এসেছে বর্ষাকাল,গাছ লাগানোর মৌসুম।এমন দিনে চলে রোদ ও মেঘের লুকোচুরি খেলা। এই রোদ, আবার এই আকাশ থেকে নামছে অঝোর ধারায় বৃষ্টি।প্রকৃতির এই নান্দনিক দৃশ্যগুলো যদি দেখা যায় বারান্দায় গড়ে ওঠা সবুজ বাগানে বসে, তবে সেই অনুভূতি কী রকম হয়, তা শুধু সেখানে বসেই অনুভব করা যাবে।

ইট-পাথরের এই শহরে যেদিকেই চোখ যায়, উঁচু দালান, গাড়ি, নানা চোখ ধাঁধানো স্থাপনা। সবুজ, সতেজ গাছগুলো ঠাঁই পাচ্ছে ছাদের ওপরেই।ইট-পাথরের শহুরে বাড়িঘরে একটু সবুজের পরশ যেন প্রাণের সঞ্চার করে।ঘরের সামনে একফালি সবুজ নিমেষে আপনার মন ভালো করে দিতে পারে। সারাদিনের ক্লান্ত অবসন্ন শরীর-মন নিয়ে যখন আপনি ঘরে ফেরেন, তখন এই সাধের সবুজ গেরস্থালিই, আপনার  মনে বুলিয়ে দিতে পারে শান্তির পরশ তাই অবসর পেলেই গাছের একটু যত্নআত্তি করুন।বিনিময়ে পান ফ্রেশ অক্সিজেনের আবিরাম যোগান।

বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি গাছের জন্য অনেক উপকারী। বৃষ্টির পানিতে যেমন থাকে পটাশিয়াম তেমনি থাকে সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফেট ও নাইট্রেট আয়ন। তাছাড়া এই বৃষ্টির পানিতে রয়েছে নাইট্রোজেন যা গাছের প্রয়োজনীয় খাদ্য সুনিশ্চিত করে। এক পশলা বৃষ্টির পর ছাদ বা বারান্দার গাছগুলোকে অন্যরকম লাগে। চির সবুজ একান্তই সতেজ নির্মল লাগে যা চোখে দৃষ্টি নন্দিত মনে হয়। হ্যাঁ এই বৃষ্টির পানি আপনার ট্যাপের পানির চেয়ে অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ যার জন্যে বর্ষাকালে গাছের পাতাগুলো আরো চির সজীব আরোও সবুজ মনে হয়। তবে এই অতিরিক্ত বৃষ্টি গাছের জন্য অনেক ক্ষতিকর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।তাই এমনভাবে বাগান সাজাতে হবে, যাতে শুধু বৃষ্টির পানিটুকুই গাছ পায়। তার ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে বাগানকে।বর্ষায় ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাগানকে রক্ষা করতে আপনাদের জন্য উপস্থাপন করা হলো কিছু টিপস।

 

) গাছকে ছায়ায় রাখা

বর্ষাকালের অতিবৃষ্টি কিছু কিছু গাছের জন্য অনেক ক্ষতি বয়ে আনে। ক্যাকটাস বা সাকুলেন্ট সদস্যদের গাছ বেশি পানি সহ্য করতে পারে না তাই এদের খোলা আকাশের নিচে না রাখাই ভালো। এই জাতীয় গাছগুলোকে  কোনও শেডের তলায় নিয়ে গিয়ে রাখতে হবে। অথবা ছাদের একটা পাশে নিয়ে গিয়ে তার উপরে টিন বা এ জাতীয় কিছু দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। শেডের সুবিধে না থাকলে চারাগুলিকে বারান্দার কোণে বা ঘরের জানালার কাছেও রাখতে পারেন।

) পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা রাখা: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গাছে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।গাছের গোড়ায় যেন বৃষ্টির পানি না জমে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।  যেকোনো ঘরোয়া গাছের জন্য এমন টব বা পাত্র বাছাই করা দরকার যেটায় পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনমত ছিদ্র থাকে। আর ইদানীং বড় বড় ড্রাম ব্যবহার করা হয় তাই এই ড্রামগুলোতে যেন নির্দিষ্ট পরিমাণ ছিদ্র থাকে তা খেয়াল রাখা জরুরি।খোলা জায়গায় বাগান থাকলে যাতে সেখানে পানি না জমে সেদিকে নজর দিতে হবে।

) মাটির ক্ষয় রোধ:

অনেক সময়েই দেখা যায়, বর্ষার পানিতে গাছের মাটির উপরের স্তর ধুয়ে যায়। এর সঙ্গে কিন্তু মাটির সার, উর্বর অংশটুকুও ধুয়ে সাফ হয়ে যায়। ফলে গাছ পানি পেলেও পুষ্টি পায় না। তাই গাছের কাণ্ড থেকে প্লাস্টিক বেঁধে টবের মাটি ঢেকে রাখতে পারেন। তবে অস্বচ্ছ আবরণের পরিবর্তে পারফোরেটেড শিট দিয়ে টবের উপরটা ঢেকে দিতে পারেন। এতে বৃষ্টির পানি চুয়ে চুয়ে মাটিকে পুষ্ট করবে। এঁটেল মাটি বেশি ব্যবহার করতে পারেন। এরা খুব তাড়াতাড়ি জল টেনে নেয়।

) প্রুনিং:

বর্ষায় অনেক গাছই খুব ঝাঁকড়া হয়ে যায়। ফলে একনাগাড়ে অনেক দিন বৃষ্টির পরে মাঝেমাঝে রোদ উঠলেও গাছের সব জায়গায় সেই রোদ পৌঁছয় না। বিশেষ করে শিকড়ে রোদ, অক্সিজেন না পৌঁছলে গাছের গোড়া পচে যেতে পারে। তাই গাছের ডাল ছেঁটে দিতে হবে। ফুলের গাছে যে ডালে ফুল শুকিয়ে যাবে, তা কেটে দিতে পারেন। তা হলে সেখান থেকে আবার নতুন কুঁড়ি জন্মাবে।

) কেঁচোর কারবার:

বর্ষায় কেঁচোর আনাগোনা বাড়ে। তবে এরা বন্ধু কীট। মাটি খুঁড়ে যেমন মাটি উর্বর করে তেমনই নাইট্রোজেনের জোগান দিয়েও গাছকে পুষ্টি দেয়। তাই কোনও গাছের গোড়ায় যদি দেখেন, একাধিক কেঁচো জমা হয়েছে, তাদের তুলে অন্যান্য গাছের টবে সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে পারেন। এতে সব গাছেরই উপকার হবে।

) কীটনাশক:

বর্ষার আর্দ্র পরিবেশে পোকামাকড়ের আক্রমণ বাড়ে। নতুন পাতার রস খেতেও এরা গাছে জড়ো হয়। তাই বর্ষার শুরু থেকেই কীটনাশকের ব্যবহার শুরু  করতে হবে। প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে নিমের তেল, গোলমরিচ গুঁড়ো, শুকনো মরিচের গুঁড়া দিতে পারেন গাছের গোড়ায়। এতেও কাজ না হলে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।

) সার প্রয়োগ:

যেহেতু বর্ষার পানি উপরের স্তরের মাটি অনেকটাই ধুয়ে যায় তাই গাছে সার দিতে হবে নিয়মিত।  তবে এ সময়ে গলা-পচা সারের তুলনায় শুকনো সারের উপরে ভরসা রাখাই ভাল। চায়ের পাতা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে,  ডিমের খোলা শুকিয়ে গুঁড়ো করে দিতে পারেন।

নামঃসৈয়দা সাজেদা খসরু নিশা
শিক্ষার্থী, কৃষি অনুষদ
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২১ ১২:০১ পূর্বাহ্ন
মোদি-মমতার জন্য ৬৫ মণ আম উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ৬৫ মণ (২,৬০০ কেজি) আম উপহার পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায়কে ২৬০ কার্টুনের এ আমের চালানটি পাঠায় বাংলাদেশি ঢাকা মেট্রো ডি-১২-৩৩২৩ নং কাভার্ডভ্যানে। এটা বাংলাদেশের বিখ্যাত রংপুরের হাড়িভাংগা আম। ঢাকার রফতানি কারক প্রতিষ্ঠান এগ্রোভিশন প্রাইভেট লি. এর মাধ্যেমে বেনাপোল নোম্যন্সল্যান্ডে আমের এ চালানটি আসে।

রোববার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্টের নো-ম্যান্সল্যান্ডে উপহারের আমের প্যাকেট ভারতে নিযুক্ত কলকাতার প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. সানিউল কাদেরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।এ সময় বেনাপোল নো ম্যানস ল্যান্ডে ভারতে নিযুক্ত কলকাতার প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মুহাম্মাদ সামিউল উপহারের ২৬০০ কেজি (২৬০ কার্টন) আম গ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২১ ৬:৫৮ অপরাহ্ন
বন্যপ্রাণী আইনে টিয়াপাখি পালা অপরাধ
প্রাণ ও প্রকৃতি

শরীরে অপূর্ব সুন্দর সবুজ রঙ। এমন রঙের সাথে মিল রেখে পাখি বিজ্ঞানীরা এর নামকরণ করেছেন সবুজ টিয়া। এরা বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। এরা সবুজ বনভূমি, পাতাঝরা বন, আবাদি জমি, বাগান ও লোকালয়ে বিচরণ করে। সচারাচর ছোট ছোট দলে ঘুরে বেড়ায়। ফুল ও ফলদ গাছের ঘেরা বাগান ও শস্যক্ষেতে এসে খাবার খায়।

দেশে প্রায় ৭ রকমের টিয়া রয়েছে। এর মাঝে ‘সবুজ টিয়া’ একটি বিশেষ প্রজাতি। কলাপাতা ও সবুজ রঙের দীর্ঘ সুদর্শন পাখি। আকারে অনেকটা কাকের সমান। এর আরেকটি নাম ‘টিয়া-তোতা’। এরা সারা দেশেই আছে, সহজে দেখা মেলে।কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে বেশ কিছু জায়গায় এর সংখ্যা কমে আসছে।

টিয়ারা সহজেই পোষ মানে এবং কিছুটা মানুষের মতো করে কথা বলতে পারে। আর এটিই বিভিন্ন প্রজাতির টিয়াদের জন্য চরম বিপদের কারণ হয়েছে। এর জন্যই বর্তমানে প্রচুর পরিমানে টিয়া অবৈধভাবে ধরা ও বিক্রি করা হয়। বন্যপ্রাণী নিরাপত্তা ও সংরক্ষণ আইনে এমন কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে অবৈধ এবং দন্ডবিধিযুক্ত অপরাধ। অবৈধভাবে বন বা পাহাড়ি এলাকা থেকে সবুজ টিয়াসহ অন্য প্রজাতির টিয়া শিকার এবং তারা যেসব গাছে বসবাস করে সেগাছগুলো কেটে ফেলার ফলে জীবন বর্তমানে অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ৩৮(২) ধারা অনুযায়ী কেউ অভিযুক্ত হলে সর্বোচ্চ ৬ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

 

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop