ঝড়ে আম পড়তে দেখে বাগানেই হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেন শিক্ষক
পাঁচমিশালি
পুঠিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ও ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে বাগানের বেশিরভাগ আম পড়ে যাওয়া খবরে বাগানে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে নব কুমার সরকার নামের এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার পচা মাড়িয়া হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় এবং শিলাবৃষ্টিতে ওই এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মকুল।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে এই এলাকায় ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওই শিক্ষক তার বাগানে আমের কেমন ক্ষতি হয়েছে তা দেখতে যান। বাগানের বেশিরভাগ আম পড়ে যাওয়ায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সেখানেই তিনি মারা যান। পরে এলাকার লোকজন তার লাশ উদ্ধার করেন এবং বিকেলে স্থানীয় শ্মশানে তাকে দাহ করা হয়।’
মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়ে টানা চলে পৌনে এক ঘণ্টা পর্যন্ত। উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কার্তিকপাড়া, বড়বরিয়া, পদপাড়া, কাশিয়াপুকুর, তেবাড়িয়া, পচামাড়িয়া, নান্দিপাড়া, মোল্লাপাড়া, শক্তিপাড়া, যশোপাড়া, কানমাড়িয়া, রাতোয়াল এবং ভালুকগাছি ইউনিয়নের ধোকড়াকুল এলাকার ওপর দিয়ে এ ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টি বয়ে যায়। এতে করে আম, কলা, পাটসহ বিভিন্ন কাঁচা বাড়িঘর ও ফল-ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার একটি তালিকা দিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুন নাহার ভুইয়া জানান, ভোররাতের ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে কয়েকটি গ্রামে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছেন। তারা রিপোর্ট দিলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।