৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১৩, ২০২১ ৪:৫০ অপরাহ্ন
ঝড়ে আম পড়তে দেখে বাগানেই হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেন শিক্ষক
পাঁচমিশালি

পুঠিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ও ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে বাগানের বেশিরভাগ আম পড়ে যাওয়া খবরে বাগানে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে নব কুমার সরকার নামের এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার পচা মাড়িয়া হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় এবং শিলাবৃষ্টিতে ওই এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মকুল।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে এই এলাকায় ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওই শিক্ষক তার বাগানে আমের কেমন ক্ষতি হয়েছে তা দেখতে যান। বাগানের বেশিরভাগ আম পড়ে যাওয়ায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সেখানেই তিনি মারা যান। পরে এলাকার লোকজন তার লাশ উদ্ধার করেন এবং বিকেলে স্থানীয় শ্মশানে তাকে দাহ করা হয়।’

মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়ে টানা চলে পৌনে এক ঘণ্টা পর্যন্ত। উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কার্তিকপাড়া, বড়বরিয়া, পদপাড়া, কাশিয়াপুকুর, তেবাড়িয়া, পচামাড়িয়া, নান্দিপাড়া, মোল্লাপাড়া, শক্তিপাড়া, যশোপাড়া, কানমাড়িয়া, রাতোয়াল এবং ভালুকগাছি ইউনিয়নের ধোকড়াকুল এলাকার ওপর দিয়ে এ ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টি বয়ে যায়। এতে করে আম, কলা, পাটসহ বিভিন্ন কাঁচা বাড়িঘর ও ফল-ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার একটি তালিকা দিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুন নাহার ভুইয়া জানান, ভোররাতের ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে কয়েকটি গ্রামে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছেন। তারা রিপোর্ট দিলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১২, ২০২১ ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
বৃষ্টিতে সজীব হয়ে উঠেছে চা বাগান
প্রাণ ও প্রকৃতি

মার্চ ও এপ্রিলের অগ্রিম বৃষ্টি ইতোমধ্যে চা শিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। বৃষ্টির পানি পেয়ে গাছের পাতা সজীব হয়ে উঠছে। বাগানে বাগানে এখন সবুজ পাতার সমারোহ। শ্রমিকরা দু’টি পাতা একটি কুঁড়ি উঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাতা চা উৎপাদনের জন্য এই বৃষ্টি আর্শীবাদ হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন চা বাগান সংশ্লিষ্টরা।

চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চা উৎপাদনের মূল চালিকা শক্তি প্রাকৃতিক পরিবেশ। প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত ও সহনীয় তাপমাত্রা চা উৎপদানের মূল নিয়ামক। পাহাড়-টিলাবেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলা বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা। দেশের সবচেয়ে বৃষ্টিপাত হয় এ অঞ্চলে। এতে এই অঞ্চলের মাটিতে চায়ের ভালো উৎপাদন হয়ে থাকে। দেশের ১৬৭ চা বাগানের মধ্যে মৌলভীবাজারে রয়েছে ৯৩টি চা বাগান।

মৌলভীবাজারের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মার্চ ও এপ্রিলের শুরুতে দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি। একমাত্র সিলেট অঞ্চলের মৌলভীবাজারে মার্চে ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এপ্রিলে রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। মে মাসের শুরু থেকে প্রতিদিন রাতে অথবা দিনে কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১৫ লাখ কেজি। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় উৎপাদন ভালো হওয়ার কথা। আবহাওয়ার এ ধারা অব্যাহত থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে হয়তো বেশি চা উৎপাদন হতে পারে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, দেশের পয়ষট্টি শতাংশ চা মৌলভীবাজার জেলা থেকেই উৎপাদিত হয়ে আসছে। শুষ্ক মৌসুমে টানা প্রায় তিন চার মাস চা উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে। এ সময় শ্রমিকরা চা বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত থাকেন। চা গাছ ছাঁটাই আগাছা পরিষ্কারসহ নানাভাবে বাগানে কাজ করা হয়। এরপর মার্চ-এপ্রিলে বৃষ্টিপাত হলেই গাছে গাছে তখন নতুন কচিপাতা আসতে শুরু করে। শ্রমিকরা তখন নতুন উদ্যমে চা পাতা উত্তোলনের কাজে হাত দেন।

চায়ের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গেল বছর এ সময়ে খরার কবলে পড়ে জেলার বেশকিছু বাগানের চা গাছ মারা যায়। এতে বাগান যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অমনি উৎপাদন মৌসুমের শুরুতে প্রায় পঁচিশ শতাংশ চা উৎপাদন পিছিয়ে যায়। তবে এ বছর দেখা গেছে অন্যচিত্র।

মৌলভী চা-বাগানের সহযোগী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী জানান, তার বাগানে মার্চের ১৬ তারিখ থেকে পাতা উত্তোলন ও কারখানায় চা উৎপাদন শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকায় বাগানে ভালো পাতা পাওয়া যাচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়লে উৎপাদনও বাড়বে।

রাজনগর মাথিউড়া চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক ইবাদুল হক জানিয়েছেন, তার বাগানে এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৪ লাখ ৩০ হাজার কেজি। এ পর্যন্ত তিনি তার বাগান থেকে চা উৎপাদন করেছেন ১৬ হাজার ৩২ কেজি চা। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ছয় দশমিক পাঁচ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এবারে চায়ের ভালো উৎপাদন পাওয়া যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২১ ৫:৫১ অপরাহ্ন
জুনেই বাজারে আসবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুস্বাদু আম
প্রাণ ও প্রকৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুস্বাদু ফল আমের দেখা মিলবে জুনের প্রথম সপ্তাহে। শেষ মুহূর্তের পরিচর্যায় ব্যস্ত মালিক ও ব্যবসায়ীরা। তবে বাগান মালিকরা খরার কারণে চলতি মৌসুমে উৎপাদন খানিকটা কম হবার আশঙ্কা জানিয়েছেন।

আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানগুলোতে ল্যাংড়া, ফজলি, গোপালভোগ, আশ্বিনাসহ হরেক জাতের আম থোকায় থোকায় ঝুলছে বাগানে । তিন সপ্তাহের মধ্যে কিছু জাতের আম পরিপক্ক হয়ে বিক্রির জন্য বাজারে উঠতে শুরু করবে।

রাজা আমকে বলা হয় এই অঞ্চলের প্রধান অর্থকারী ফসল। যদিও ক্ষরার কারণে চলতি মৌসুমে আমের উৎপাদন খানিকটা কম হওয়ার কথা জানান বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

এ অবস্থায় পোকার আক্রমণ ও আম ঝরে পড়া রোধে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন ফল গবেষক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হরিদাস চন্দ্র মহন্ত।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, এখানকার আম দেশের বাইরে যাবে, সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

কৃষি বিভাগ চলতি বছরে এ জেলায় ৩৪ হাজার ৭’শ ৭৮ হেক্টর জমির বাগানে আড়াই লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২১ ৩:৫৬ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ৫টি বাঘ শাবকের জন্ম, বেঁচে আছে ৩টি
প্রাণ ও প্রকৃতি

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পাঁচটি বাঘ শাবকের জন্ম হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকেলে বাঘিনী পরীর ঘরে জন্ম নেয় শাবক তিনটি। পরের দিন শুক্রবার আরেক বাঘিনী জয়া জন্ম দিয়েছে আরো দুইটি শাবক। তবে এখন তিনটি শাবক বেঁচে আছে।

গত সোমবার  চিড়িয়াখানাটির ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে সাউথ আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছিলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার জাতের বাঘ রাজ ও বাঘিনী পরীকে। ৬ মে জন্ম নেওয়া পরীর ৩টি শাবক ভালো আছে। মায়ের দুধও খাচ্ছে। মা-ও এদের আদর-যত্ন নিচ্ছে।

তবে জয়ার গর্ভে জন্ম নেওয়া শাবক (বাঘিনী) দুটি মারা গেছে। মা বাঘিনী দুধ না খাওয়ানোয় ৯ মে দুটি বাচ্চাই মারা যায়।

এর আগে, গত বছরের ১৪ই নভেম্বর জয়া তিনটি বাঘ শাবকের জন্ম দিয়েছিলো। তবে প্রসবের একদিন পর তিন শাবককে হঠাৎ করেই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দেয় সে। ফলে একটি শাবক পরের দিন মারা যায়। ৩ দিনের মাথায় মারা যায় আরেকটি। অপরটিকে মায়ের থেকে আলাদা করে আদর যতেœ বড় করা হয়। তার নাম রাখা হয় জো বাইডেন। যেটিকে গতমাসে চিড়িয়াখানার খাঁচায় ফেরানো হয়েছে।

ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, বাঘগুলোর চলাফেরা, আচার আচরণ দেখে প্রসবের ২০ দিন আগে অন্য বাঘ থেকে আলাদা করা হয়। ফলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্মানো বাঘ বেশি বাঁচে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় সদ্য জন্ম নেওয়া ৩ শাবকসহ মোট ৯টি বাঘ রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২১ ৩:৩৬ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু সাফা‌রি পার্ক থে‌কে পালিয়ে যাওয়া নীলগাই মিললো মধুপুর বনাঞ্চলে
প্রাণ ও প্রকৃতি

টাঙ্গাই‌লের মধুপুরের পাহা‌ড়ি বনাঞ্চল থে‌কে এক‌টি নীলগাই উদ্ধার ক‌রা হ‌য়ে‌ছে। এর আ‌গে, নীলগাই‌টি গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থে‌কে পা‌লি‌য়ে যায়।

সোমবার বিকেলে উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ লাউফুলা এলাকার ঝোপঝাড় থে‌কে নীলগাই‌টি আটক করা হয়। প‌রে সেটি দেখ‌তে শতশত মানুষ ভিড় করে। এরপর বনবিভাগের হেফাজতে দেয় স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, দুদিন ধরে নীলগাইটি উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ লাউফুলা এলাকার আশপাশের জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। বি‌কা‌লে গ্রামবাসীরা ফাঁদ পেতে গাইটি আটক করে। প‌রে সেটি দেখ‌তে শত শত মানুষ ভিড় করে। এরপর নীলগাইটি বন বিভাগের হেফাজতে দেয় স্থানীয়রা।

মধুপুর বনাঞ্চ‌লের সহকারি বন সংরক্ষক জামাল হোসেন জানান , এক বছর আগে সীমান্ত পেরিয়ে দিনাজপুর এলাকায় ধরা প‌রে। পরব‌র্তীতে প্রাণী‌টি গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর গত ১০ ফেব্রুয়ারি সাফারী পার্ক থেকে নীলগাই‌টি পালিয়ে যায়। বর্তমা‌নে প্রাণীটি এখন সুস্থ রয়েছে। গাজীপুর সাফারী পার্কের কর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৫, ২০২১ ৯:১৬ অপরাহ্ন
হাতিয়ায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল এক জেলের, আহত ২
প্রাণ ও প্রকৃতি

নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপে বজ্রপাতের শিকার হয়ে মোবারক হোসেন নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পাশে থাকা আরো দুই জেলে আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল মঙ্গলবার (৪ মে) এই ঘটনা ঘটে। নিহত মোবারক উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইসমাইলের ছেলে। আহতরা হলেন মো. ইরাক (১৭) ও ইলিয়াস (২৬)।

স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় জেলেরা স্থানীয়ভাবে তৈরি ঠেলা জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে নদীতে যান। তারা নিঝুম দ্বীপের পশ্চিম পাশে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থানের সময় বজ্রপাতের শিকার হন। এ সময় তিনজন পাশাপাশি অবস্থান করছিলেন। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আহত দু’জনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।

নিঝুম দ্বীপ ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খবির উদ্দিন বলেন, নিহত জেলে মোবারক হোসেনের মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩, ২০২১ ৯:২৮ অপরাহ্ন
মে মাসেই বাজারে আসবে বরেন্দ্রের আম
প্রাণ ও প্রকৃতি

নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকায় আমের ভালো ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা। টানা এক মাস খরার পর ক’দিন আগে বৃষ্টিতে সতেজ হয়ে উঠেছে বাড়ন্ত আমগুলো। মে মাসের মাঝামাঝিতে আম বাজারজাত করতে বাগানে চলছে নিবিড় পরিচর্যা। এবার ঘন কুয়াশা ও শীত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় দেরিতে মুকুল আসলেও শেষ পর্যন্ত ভালো ফলনের আশা বাগান মালিকদের।

কৃষি বিভাগ বলছে, অনুকূল আবহাওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আম উৎপাদন হবে জেলায়।

গত প্রায় এক মাস বৃষ্টি ছিল না বরেন্দ্র এলাকায়, তাই বোটা থেকে ঝরে পড়তে শুরু করেছিল আম। কিন্ত গত সপ্তাহে মুষলধারে বৃষ্টিতে সতেজ হয়ে উঠেছে নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার আম বাগানগুলো। এতে ঝরে পড়া রোধসহ পোক্ত বোটায় বাড়ছে পরিপক্বতা।

আসছে মে মাসের শেষ সপ্তাহে বাণিজ্যিকভাবে আম বাজারজাত করার জন্য বাগানে চলছে নিবিড় পরিচর্যা। আপদকালীন বালাই দূর করতে গাছে ঝুলে থাকা আমে সকাল বিকেল ছিটানো হচ্ছে পানি।

গতবারের মতো এবারো আমের ভালো ফলন ও বাজার নিশ্চিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ বলে জানান মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শ্রী অরুণ কুমার রায়।

কৃষি গবেষণার তথ্য মতে, বরেন্দ্র এলাকায় অন্তত ২২ প্রজাতির সুস্বাদু জাতের আমের বাগান রয়েছে। এর মধ্যে ল্যাংড়া, গোপাল ভোগ ও খিরসাপাত জাতের আম রয়েছে। বাগানের গাছ থেকে মে মাসের ২০ তারিখের পর নামানো শুরু হবে আম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১, ২০২১ ৭:২৬ অপরাহ্ন
তীব্র খরায় আমের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা লালপুরের চাষিদের
প্রাণ ও প্রকৃতি

নাটোরের লালপুর উপজেলায় গত কয়েক বছর ধরে ব্যাপক হারে বেড়েছে আমের বাগান। উত্তরাঞ্চলের অন্যতম এই উপজেলায় বিপুল পরিমাণ জমিতে আমের বাগান গড়ে উঠেছে। এবার গাছে গাছে ৯৫ শতাংশ মুকুল দেখে আশায় বুক বেঁধে ছিলেন আম চাষি ও ব্যাবসায়ীরা, কিন্তু টানা অনাবৃষ্টি ও তাপদাহের কারণে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। প্রতিকুল আবহাওয়ার কারনে আম চাষীদের রঙ্গীন স্বপ্ন যেনো এক নিমেশেই মলিন হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়‘এই উপজেলায় ১ হাজার ৮শত ৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান রয়েছে। এই সকল জমি থেকে হেক্টর প্রতি ১৫ মেট্রিকটন হিসেবে ২৭ হাজার ৭৫ মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্র্ধিারণ করা হয়েছে। যা থেকে ১৬শ টাকা মণ হিসেবে ১ হাজার কোটি টাকার আম বিক্রয় হবে।’

উপজেলার আম ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন জানান, ‘তার এই বছর ১৩ বিঘা বিভিন্ন জাতের আমের বাগান কেনা আছে। আম গাছে মুকুল ও গুটি ভালো এসেছিলো কিন্তু তীব্র খরা ও শিলাবৃষ্টিতে তার আম বাগানের আমের সব গুটি ঝরে যাচ্ছে। যে বাগানের আম ২ লক্ষ টাকায় বিক্রয় করতেন এখন সেই বাগানের আম ৫০ হাজার টাকাতেও বিক্রয় করতে পারবেন না। আম বিক্রয় করে লাভ তো দুরের কথা এবার তার অনেক টাকা ক্ষতি হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।’

লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান‘ অতি খরার কারনে অনেক বাগানে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষক পর্যায়ে আম বাগনে নিয়েমিত সেচ ও ছোট আম গাছ গুলিতে পানি স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টি হলে আমের গুটি ঝরা বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২১ ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
গাছ কাটার জরিমানা এক কোটি ২০ লাখ রুপি!
প্রাণ ও প্রকৃতি

মধ্য প্রদেশের একটি জঙ্গলে দুইটি সেগুন গাছ কাটায় নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর এক সদস্যকে এক কোটি ২০ লাখ রুপি জরিমানা করেছে ভারতের বন বিভাগ। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই ধরণের একটি গাছ পরিমাপযোগ্য এবং অপরিমাপযোগ্যতার হিসাবে মানুষকে প্রায় ৬০ লাখ টাকা উপকার দিয়ে থাকে। সেই হিসাবে এই জরিমানা করা হয়েছে।

মধ্য প্রদেশের রাইসেন জেলার সিলওয়ানি গ্রামের বাসিন্দা ছোটে লাল বিহালা (৩০) কে গত ৫ জানুয়ারি দুইটি সেগুন গাছ কাটার সময় শনাক্ত করে বন বিভাগের কর্মীরা। সিংগোরি অভয়ারণ্যের ওই গাছ কাটার অভিযোগে গত ২৬ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বামহরি ফরেস্ট রেঞ্জার্স মহেন্দ্র সিং বলেন, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন এর এক জরিপ অনুযায়ী একটি গাছ ৫০ বছরে ৫২ লাখ রুপির স্পর্শনাতীত উপকার দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ১১ লাখ ৯৭ হাজার রুপির অক্সিজেন, বাতাস দূষণ নিয়ন্ত্রণে ২৩ লাখ ৬৮ হাজার, ভূমি ক্ষয় রোধের ১৯ লাখ এবং পানি বিশুদ্ধকরণের ৪ লাখ রুপি। এছাড়া গাছটি স্পর্শযোগ্য উপকার দেয় দুই লাখ। এই ভাবে একটি গাছ তার জীবনকালে মানুষকে প্রায় ৬০ লাখ টাকার উপকার দেয়।’

গত ফেব্রুয়ারিতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি সুপ্রিম কোর্টকে জানায় একটি গাছ তার জীবনকালে প্রতিবছর ৭৪ হাজার পাঁচশ’ রুপির উপকার দেয়।

মহেন্দ্র সিং বলেন, ‘গাছের কাছ থেকে যে উপকার পাওয়া যায় তার ভিত্তিতেই জরিমানা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ছোটেলাল একজন স্বভাবসুলভ অপরাধী আর স্থানীয়দের অভিযোগ তিনি অবৈধভাবে গাছ ফেলে দিয়ে তা ফার্নিচারের দোকানে বিক্রির সঙ্গে জড়িত।’

তবে ছোটেলালের চাচা ফুল বিহালালা বলেন, ‘আমরা জঙ্গলের গ্রামে বাস করি আর বাড়ি বানাতে উপড়ে পড়া পুরনো গাছ ব্যবহার করি কিন্তু রেঞ্জার্সরা আমাদের হয়রানি করছে।’

ভারতের বন আইন বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাডভোকেট বিএল গুপ্ত বলেন, ‘ভারতীয় বন আইন অনুযায়ী অবৈধভাবে গাছ কাটার জন্য পাঁচশ’ রুপি জরিমানা এবং ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু রেঞ্জার্সরা একটি জরিপের উল্লেখ করে জরিমানা আরোপ করেছেন। এটা একটা আগ্রহ তৈরিকারী মামলা হতে যাচ্ছে।’

মধ্য প্রদেশের বন বিভাগের মুখ্য বন সংরক্ষক রাজেশ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘আমি রাইসেনের আঞ্চলিক বন কর্মকর্তাকে এই ইস্যুতে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছি কেননা রাজ্যে এটাই এই ধরনের প্রথম কোনও ঘটনা বলেও তিনি বলেন।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২১ ১:৪৪ অপরাহ্ন
প্রচণ্ড দাবদাহে ঝরে যাচ্ছে আম, শঙ্কায় নওগাঁর চাষিরা!
এগ্রিবিজনেস

সারাদেশে চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। এর মধ্যে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে, ২৬শে এপ্রিল ঢাকায় গত ২৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। ওইদিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এই তীব্র তাপমাত্রা চলতি সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত চলবে। আর এতে বৃষ্টি শূণ্যতায় ভুগছে নওগাঁ জেলার আম বাগানগুলো। প্রচণ্ড খরায় ঝরে যাচ্ছে গাছের আম। আমের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, খরার কারণে কিছুটা আম ঝড়ে পড়ছে। পাশাপাশি প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে উকুন পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে করেও গতবারের চেয়ে এবার আমের ফলন ভালো হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর নওগাঁ জেলায় ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। যেখানে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। এছাড়াও গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে ২৪ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমি বেশি জমি আম চাষের আওতায় এসেছে।

চাষিরা বলছেন, অতিরিক্ত খরায় আমে বোঁটা শুকিয়ে আম ঝরে পড়ছে। আমে হপার ও মাকর পোকার আক্রমণ খুব বেশি। পোকামাকড়ের আক্রমণে আম কালো হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষেধক ব্যবহার করা হলেও কিছুদিন আবারও পোকার উপদ্রব দেখা দিচ্ছে। এবার অনাবৃষ্টির কারণে আমের ফলন কম হবে। একমাত্র বৃষ্টি হলে আম রক্ষা পেতে পারে বলে ধারণা করছেন চাষীরা।

পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম জানান, প্রথম দিকে আমে ভাল গুটি এসেছিল। তীব্র দাবদাহে আমের গুটি ঝরে পড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তবে গত কয়েকদিন আগে প্রায় ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাটিতে রস এসেছে। এ বৃষ্টি আমের ভাল উপকারে এসেছে। আর রোগ বালাইয়ের পরিমাণ খুবই কম।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop