৪:৩৬ অপরাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ৯, ২০২১ ১০:২০ পূর্বাহ্ন
২৫টি হাঁস দিয়ে শুরু, এখন মাসে মুনাফা অর্ধলক্ষাধিক টাকা
কৃষি বিভাগ

আগের মতো কঠোর পরিশ্রম করতে পারছিলেন না। ছেলের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তিন মেয়ের বিয়ে দিতে জমি বন্ধক রাখতে হয়েছিল, করতে হয়েছিল ধারদেনা। এখন সেসব অতীত। নিজের চেষ্টায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি, পেয়েছেন অর্থনৈতিক সচ্ছলতা। হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা ও খামারি।

এই গল্পের যিনি নায়ক, তাঁর নাম সিরাজুল ইসলাম। বয়স ৭০ বছর ছুঁইছুঁই। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কশবা গ্রামে তাঁর বাড়ি। রোববার বেলা ১১টার দিকে গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছেউটিয়া নদীর পাশে বসে কথা হচ্ছিল তাঁর সফলতা ও ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প নিয়ে।

দুই বছর আগে মাত্র ২৫টি পাতিহাঁস লালন-পালন শুরু করেন সিরাজুল ইসলাম। তা থেকে এখন ৭০০ হাঁসের খামারে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৩০০টি হাঁস ডিম পাড়ে। এসব ডিম পাইকারি দরে প্রতিটি ৭ থেকে ৮ টাকায় বিক্রি করে নগদ টাকা পাচ্ছেন তিনি। দুই কর্মচারীর বেতন ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে তাঁর মাসিক মুনাফা এখন অর্ধলক্ষাধিক টাকা।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রথমে ২৫টি হাঁসের দল নিয়ে পাশের ছেউটিয়া নদীতে ছেড়ে দিয়ে আসেন। সারা দিন হাঁসগুলো নদীর শামুকসহ বিভিন্ন খাবার খেয়ে কাটিয়ে দেয়। দিনে দিনে হাঁসের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিছুদিন যাওয়ার পর নদীর দুই পাশে নেট জাল দিয়ে হাঁসগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে আটকানোর ব্যবস্থা করেন। সন্ধ্যা হলেই হাঁসগুলো তুলে এনে খামারে ঢোকানো হয়। একসঙ্গে ২৫০ থেকে ৩০০টি ডিম দিতে থাকে। এসব ডিম অনেকে বাড়ি থেকে নগদ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে যান।

রোববার সিরাজুলের খামারে গিয়ে দেখা যায়, ছেউটিয়ার বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে ভেসে বেড়াচ্ছে হাঁসের দল। হাঁস দেখাশোনার জন্য আছেন দুই কর্মচারী। পানিতে ডিঙি ভাসিয়ে হাঁসের দলগুলোর নজরদারি করছেন তাঁরা।

ডিম দেওয়ার পর থেকেই লাভের টাকা দিয়ে খামারে নতুন হাঁস কেনা হয় বলে জানালেন খামারি সিরাজুল। বলেন, কিছু ডিম রাখা হয় বাচ্চা ফোটানোর জন্য। এতে হাঁসের সংখ্যার পাশাপাশি আয়ও বাড়তে থাকে। বর্তমানে ৭০০ হাঁস আছে খামারে। গত শীতে হাঁসের ডিমের চাহিদা ও দামও বেশি ছিল। বর্তমানে কর্মচারীসহ সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়।

দুই কর্মচারী সন্ধ্যায় খামারে হাঁস নিয়ে ফেরার পর রাতে সিরাজুল নিজেই দেখাশোনা করেন। রোগবালাইয়ের হাত থেকে বাঁচাতে প্রতিষেধক ওষুধ মেশানো খাবার নিজেই তৈরি করেন। কোথাও থেকে প্রশিক্ষণ না নিলেও এই কাজগুলো শিখেছেন অন্যদের দেখাদেখি। সিরাজুল বলেন, ‘দিনের বেশির ভাগ সময় হাঁসের সঙ্গে কাটানোয় পরিবারের মতো হয়ে গেছে। এখন তাদের গতি-প্রকৃতি দেখেই বুঝতে পারি কখন কী করতে হবে।’

খামারের ডিম বিক্রি করে অর্জিত মুনাফা দিয়ে সিরাজুল ইসলামের বাড়ির চেহারাও পরিবর্তন হয়েছে। ভিটেমাটিতে তিনি একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ছেলের পড়াশোনা ও থাকা–খাওয়া বাবদ মাসিক টাকা মাস শেষ হওয়ার আগেই পাঠাতে পারেন। তিন মেয়ের জামাইদের ভালো করে দেখাশোনাও করতে পারেন। চার বিঘা কৃষিজমি বন্দক নিয়ে ইজারা দিয়েছেন। সড়কের পাশে একটি গুদামসহ জায়গা কেনার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

গ্রামের বাসিন্দা হজরত আলী বলেন, মানুষের ইচ্ছাশক্তি মানুষকে অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারে। এর উজ্জ্বল নিদর্শন সিরাজুল ইসলাম। বৃদ্ধ বয়সেও তিনি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। দেশের প্রতিটি মানুষের এই ধরনের উদ্যম ও ইচ্ছাশক্তি থাকা দরকার।

কশবা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম স্বনির্ভরশীল একজন উদ্যমী মানুষ বলে জানান ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান। বলেন, বয়স কোনো বাধা হতে পারেনি। তাঁর এই দৃষ্টান্ত সমাজের সবার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সক্ষম হবে।

সুত্রঃ প্রথম আলো
শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২১ ১১:২৩ অপরাহ্ন
মাগুরায় থোকায় থোকায় আমের মুকুল, মৌ মৌ গন্ধ
প্রাণ ও প্রকৃতি

এবার শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকায় একটু আগেই থোকা থোকা মুকুলের ভারে নুয়ে পড়েছে মাগুরা শহরসহ জেলার গ্রাম অঞ্চলের আম বাগানগুলো। চারদিক থেকে আসছে মৌ মৌ ঘ্রাণ।

মাগুরা সদর উপজেলার ইছাখাদা গ্রামের কয়েকটি আম বাগান দেখা যায়, আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল আর মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে প্রতিটি গাছের ডালপালা।

ইছাখাদা গ্রামের আরেক বাগান মালিক হরশিৎ জানান, এবার প্রতিটি আম গাছেই মুকুল ভালো এসেছে। তবে শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেই ফলন ভালো পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

বাগান মালিক আব্দুর রহমান জানান, প্রায় গত দুই তিন সপ্তাহ আগে থেকেই তাদের বাগানের আম গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। বেশির ভাগ গাছেই মুকুল এসে গেছে। কিছু গাছে মুকুল বের হচ্ছে। মুকুল আসার পর থেকেই তিনি গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে মুকুলকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন বলেও জানান তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক গণমাধ্যমকে বলেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আম্রপালি, গোপালভোগ, ফজলি ও ল্যাংড়াসহ উন্নত জাতের বিভিন্ন আমের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলও এসেছে ভালো। তবে ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২১ ১০:২৭ পূর্বাহ্ন
গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে মনমাতানো ঘ্রাণ
প্রাণ ও প্রকৃতি

পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার পংক্তিগুলো, আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা / ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে / মামার বাড়ে যাই। ঝড়ের দিনে মামার দেশে / আম কুড়াতে সুখ, পাকা জামের মধুর রসে / রঙিন করি মুখ।

গাছে গাছে ফুলের সমাহার। কুমিল্লায় প্রতিটি গাছের শাখায় শাখায় নতুন ফুলে বাংলার প্রকৃতিকে এক অপরূপ সাজে সাজিয়েছে। বিশেষ করে গাছে গাছে আমের মুকুল যেন বাংলার প্রকৃতিকে অপরুপ করে তুলেছে। আমের মুকুল দেখতে যেমন-তেমন, এর মৌ মৌ গন্ধ পাগল করে সকল বাঙালিকেই। মৌমাছির দল গুন গুন শব্দে, মনের আনন্দে আহরণ করে মধু। মৌমাছির এ গুন গুন সুরও কেড়ে নেয় অনেক প্রকৃতি প্রেমীর মন। ফালগুন এলেই বাংলার পত্রহরিৎ অরণ্যে নতুন এ পত্র-কুড়ি দেখা যায়। নতুন ফুলে-ফুলে ভরে ওঠে গাছের শাখা। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এ মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।

মাঘের সন্ন্যাসী হয়ে শীত বিদায় নিয়েছে প্রকৃতি থেকে। ফালগুনের প্রথম দিনেই বর্ণাঢ্য আয়োজনে বরণের মধ্য দিয়ে বাংলা পঞ্জিকায় সদ্যই অভিষিক্ত ঋতুরাজ বসন্ত। হলুদ, বাসন্তী আর গাঢ় লালচে ফুলে ফুলে সেজেছে গ্রাম বাঙলা। আগুনঝরা ফাগুনের আবাহনে ফুটেছে শিমুল-পলাশ। কুমিল্লার গ্রামের মেঠোপথে কখনও কখনও দূর সীমানা থেকে কানে ভেসে আসছে কোকিলের কুহু কুহু কলতান।

এরই মধ্যে বসন্তের আগুনরাঙা গাঁদা ফুলের সঙ্গে সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুলও। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে এখনই মৌ মৌ করতে শুরু করেছে কুমিল্লার চারিদিক। মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস আন্দোলিত করে তুলছে মানুষের মন।
ঋতু বৈচিত্রে কুমিল্লায় সবুজ প্রকৃতির আমেজ এখন অনেকটা এমনই আবেগের হয়ে উঠেছে। বসন্তের ফাগুন আর আমের মুকুল যেন একই সুতোয় গাঁথা। বছরের নির্দিষ্ট এ সময়জুড়ে তাই চাষি তো বটেই, কমবেশি সব শ্রেণির মানুষেরও দৃষ্টি থাকে সবুজ পাতায় ঢাকা আমগাছের শাখা-প্রশাখায়। সদ্য মুকুল ফোটার এমন দৃশ্য এখন ইট-পাথরের গড়া নগর থেকে শুরু করে বিস্তৃত কুমিল্লার গ্রামীণ জনপদেও।

আমের মাস বলতে জ্যৈষ্ঠ মাসকে বোঝালেও কুমিল্লা অঞ্চলে সাধারণত বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে এখানকার গাছের আম হাট-বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। সেই হিসেবে এবারে মাঘ মাসের শুরু থেকেই এখানকার আমগাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ বলে দিচ্ছে ব্যাপক ফলনের ইতিবাচক লক্ষণ। ফালগুন-চৈত্রে এসব মুকুল শেষ পর্যন্ত গাছে টিকে থাকলে কুমিল্লায় আমের বেশ ভালো ফলন মিলবে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় কুমিল্লার চান্দিনার উপজেলার এতবারপুর, জোয়াগ, গলাই, নবাবপুর, বরকইট, শুহিলপুর, বাড়েরা, মাইজখার, জয়দেবপুর, বাতাঘাসী, বরকরইসহ অন্যান্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর ও আশ্বিনিজাতের আমগাছগুলো মুকুলে ছেয়ে গেছে। হলুদ বর্ণের মুকুল সূর্যের সোনালী আলোয় যেনো অপরূপ রঙ ছড়াচ্ছে।

অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবারে কুমিল্লার বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। মুকুলের সমারোহ দেখে বাড়ির লোকদের মনে-প্রাণে আনন্দ বইছে। অনেকেই মুকুল রক্ষার জন্য কৃষি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছেন। কেউ কেউ গাছের যত্নে বেশ মনোযোগী উঠেছেন। আমগাছগুলোতে মুকুলের ব্যাপক সমারোহ দেখে উপজেলার উদ্ভিদবিদরা বলছেন এবারে কুমিল্লায় আমের ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত বলেন, কুমিল্লায় ব্যক্তি উদ্যোগে বৃহতাকার আম বাগান না থাকলেও পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নেই কম বেশি আম গাছ বা ছোট ছোট বাগান রয়েছে। আম এর ভালো ফলনের জন্য আমরা যে কোন ব্যক্তিকেই পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।-বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৪, ২০২১ ৯:১১ পূর্বাহ্ন
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে: বনমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

বিষ দিয়ে কেন মাছ ধরবে? মাছ ধরার জন্য জাল আছে। জাল দিয়ে মাছ ধরবে। ’বিষ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও বনভবন হৈমন্তী মিলনায়তনে ‘বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

‘সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার কথা আমি আর শুনতে চাই না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর কাছে শুনলাম, সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। কেন বিষ দিয়ে মাছ ধরা হবে? সরকারি বাহিনী ও বনবিভাগের কর্মকর্তারা থাকতেও বিষ দিয়ে মাছ ধরা হবে। সে মাছ আবার মানুষ খাবে। তাহলে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা কোথায়?’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২১ ৮:০৯ অপরাহ্ন
অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে টিম গঠনের নির্দেশ
কৃষি বিভাগ

উপকূলীয় ও সিলেট এলাকার অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে দ্রুত ‘টিম গঠন’ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিকউন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় যুক্ত হয়ে একথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। সভা সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সিলেট ও উপকূলীয় এলাকায় এখনো অনেক অনাবাদি পতিত জমি আছে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে কত জমি অনাবাদি আছে, তার কতটুকু চাষের আওতায় আনা যায়, তা স্টাডি করে দেখতে হবে। সেখানে সেচের পানির অভাব রয়েছে। তবে ভূ-উপরিস্থ পানির জন্য কয়েকটা নদী রয়েছে। পাম্প ব্যবহার করে নদীর পানি কীভাবে সেচের জন্য কাজে লাগানো যায় তা স্টাডি করে বের করতে হবে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শাকসবজি, আলু, ভুট্টা, গমসহ ফলমূলের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। কিন্তু মানুষ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বলতে চালকেই বুঝে। সেজন্য, চালের উৎপাদন বৃদ্ধিতেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু মন্ত্রণালয়ে বসে রুটিন কাজকর্ম করলে চলবে না। মাঠ পর্যায়ের কাজে সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সবসময় সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। মাঠের অবস্থা, উৎপাদনের পাশাপাশি বাজারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। উৎপাদন বাজারে কী প্রভাব ফেলতে পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে জানাতে হবে। প্রকল্পের কাজে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম এ সময় বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীলের ক্ষেত্রে শুধু উৎপাদনের পরিসংখ্যান দেখলে হবে না। এর সঙ্গে দেশে চালের চাহিদার দিকটিও বিবেচনায় নিতে হবে। দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে, করোনাকালে অনেক প্রবাসী ফিরে এসেছেন; তাছাড়া চাল প্রাণিখাদ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৩৬ শতাংশ। যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ২৮ দশমিজক ৪৫ শতাংশ।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থার প্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২১ ১১:০৬ অপরাহ্ন
চিকিৎসায় সুস্থ ভুবন চিল অবমুক্ত
ক্যাম্পাস

তিনদিন চিকিৎসার পর সিলেটের টিলাগড় এলাকার বন বিভাগের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে ভুবন চিল  অবমুক্ত করা হয়।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রাণীপ্রেমী তাজওয়ার রশিদ ভুবন চিলটি উদ্ধার করে। প্রাধিকারের প্রচার সম্পাদক  মোঃ মাহাদী হাসানের তত্বাবধানে  তিনদিন চিকিৎসা চলে। এতে সার্বিক সহায়তা করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মাহফুজুর রহমান।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি টিলাগড়  বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে ভুবন চিল  অবমুক্ত করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সম্মানিত ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদি হাসান খান ।প্রাধিকার এর সাবেক সভাপতি ডাঃ বিনায়ক শর্মা, বর্তমান সভাপতি  আবু ইরবাত আহমেদ রাফি, প্রচার সম্পাদক মোঃ মাহাদী হাসান ও রাশেদুল ইসলাম রাজু।তাছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন এনিমেল লাভার অফ সিলেট এর মাছুম আহমেদ সাইমন, বদরুল হোসেন এবং  আয়েশা আরা লস্কর ।

ড. মোহাম্মদ মেহেদি হাসান খান  জানান, বর্তমানে আবাসস্থল সংকট, খাদ্য সংকট, অবৈধ শিকার, পাচার, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ইত্যাদি নানা কারণে অধিকাংশ বন্য প্রানী ও পাখী আজ বিলুপ্তির পথে। জীব বৈচিত্র আজ হুমকীর সম্মুখীন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২১ ৪:৫৫ অপরাহ্ন
দেলোয়ারের বাগানে টিউলিপের হাসি
প্রাণ ও প্রকৃতি

টিউলিপকে বলা হয় বিদেশি ফুল। এটা হলো তুরস্কের জাতীয় ফুল। আর তুরস্কের জাতীয় ফুল হলেও এর চাষ বেশি হয় নেদারল্যান্ডসে। টিউলিপকে নিয়েই সেখানে গড়ে উঠেছে শিল্প। দেশটি প্রতিবছর উদ্যাপন করে টিউলিপ উৎসব। শীতপ্রধান দেশ ছাড়া এশিয়া মহাদেশের ভারত, আফগানিস্তান ছাড়া এমন দৃষ্টিনন্দন টিউলিপ ফুলের দেখা মেলে না। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে একসময় এই ফুল চাষের কথা কল্পনাও করা যেত না। তবে এখন এর দুয়ার খুলে দিয়েছেন গাজীপুরের ফুলচাষি দেলোয়ার।

গত বছর প্রথমবারের মতো দেশে টিউলিপ ফুল ফুটিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিলেন তিনি। এবারের শীতে বৃহৎ পরিসরে টিউলিপ ফুটতে শুরু করেছে তার বাগানে। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ফুলচাষি দেলোয়ার হোসেনের বাগানে এখন দারুণ পরিবেশ বিরাজ করছে। গতবারের মতো এবারও দৃষ্টিনন্দন টিউলিপ ফুল দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকেই আসছেন পুষ্পপ্রেমীরা।

টিউলিপ ফোটার খবরে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বাগান দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। দেলোয়ারের বাগানের এই টিউলিপ উপহার হিসাবে পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেও। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই টিউলিপ ফুলের ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

দেলোয়ার হোসেন তার টিউলিপ বাগানের নাম দিয়েছেন ‘মৌমিতা ফ্লাওয়ারস’। সঙ্গে সার্বক্ষণিক এ বাগানে শ্রম দিয়ে থাকেন তার স্ত্রী শেলি। এর আগে জার্বেরা, চায়না গোলাপ ও বিদেশি বিভিন্ন ফুল চাষে সফল হয়েছেন তিনি। সফল ফুলচাষি হিসাবে ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক পান দেলোয়ার। দেশে প্রথমবারের মতো ভাইরাসমুক্ত সবজির চারা উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেন এই গাজীপুর থেকেই তিনি।

ফুলচাষি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের দেশে ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা মেটাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ফুল আমদানি করা হয়। ফুল চাষে যুক্ত আছে কৃষি অর্থনীতির একটি অংশ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ফুল চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠলেও আমরা পিছিয়ে। অর্থনীতি ও চাহিদার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন বিদেশি ফুল দিয়ে আমার স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়। নানা প্রতিবন্ধকতার পরও থেমে থাকিনি। এরইমধ্যে পেয়ে যাই একটির পর একটি সফলতা।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির টিউলিপ থাকলেও গত বছরের মতো এবারও নেদারল্যান্ডস থেকে এক প্রজাতির চার রঙের বিশ হাজার টিউলিপ বাল্ব এনে ৩টি বাগানে রোপণ করি গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। গাজীপুরে সফল হওয়ার পর দেশের অন্যান্য স্থানে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে চুয়াডাঙ্গায় তিন হাজার ও ঠাকুরগাঁওয়ে সাড়ে তিন হাজার বাল্ব রোপণ করা হয়। বাকি সাড়ে তেরো হাজার বাল্ব তার গাজীপুরের মৌমিতা ফ্লাওয়ার বাগানে রোপণ করা হয়। জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকেই শুরু হয় এই টিউলিপ ফুল ফোটা। আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে ২০-২২ দিনেই ফোটে এ ফুল।

তিনি আরও বলেন, এ ফুল ফুটতে সাধারণত ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন হয় বিধায় শীত পড়ে এমন এলাকাগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ঠাকুরগাঁও ও চুয়াডাঙ্গায় তিনি পরীক্ষামূূলক বাগান করেছেন। গত বছর এ ফুল ফুটিয়ে সফল হওয়ার পর এবারের মৌসুমে তার ব্যাপকভাবে ফুলটির বাগান করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। তবে তার আশা, এক সময় টিউলিপময় ভালোবাসার ছোঁয়া তিনি সারা দেশেই ছড়িয়ে দেবেন।

গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহবুব আলম বলেন, বর্তমানে উচ্চমূল্যে টিউলিপ আমদানি করে আমাদের দেশের চাহিদা মেটাতে হয়। সফল ফুল চাষি দেলোয়ারের বাগানে গত বছরের মতো এবারও টিউলিপ ফুল ফোটায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ ফুল চাষ সম্প্রসারিত হলে কৃষি অর্থনীতিতে দারুণ ছোঁয়া লাগবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের ফুল গবেষক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারজানা নাসরিন খান বলেন, টিউলিপ সাধারণত শীতপ্রধান অঞ্চলের ফুল। আমাদের দেশে শীত মৌসুমে অনেকেই বাসাবাড়ির টবে বা শখের বশে টিউলিপ ফুলের চাষ করেন। তবে ফুল পাওয়া খুবই অস্বাভাবিক।

তবে দেলোয়ার হোসেনের বাগানে টিউলিপ ফুল ফোটায় নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। দেশে বাণিজ্যিকভাবে এখনো এই ফুল চাষ শুরু হয়নি। তবে শীত মৌসুমে আবহাওয়া ফুলের অনুকূলে থাকলে এ ফুলের চাষ করা যায়। বিশেষ করে উত্তরের জেলাগুলোয় এই ফুল চাষ উপযোগী। দেশের কৃষকদের মনে নতুন করে টিউলিপ ফুল চাষের স্বপ্ন বুনে দিয়েছেন দেলোয়ার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২১ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে
কৃষি বিভাগ

কিশোরগঞ্জে প্রথমবারে মতো বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করা হচ্ছে। আর এতে সফলতা পেয়েছেন পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের চাষি আমিনাল হক।

তিনি জানান, বর্তমানে আমি ৪০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করছি। বৃহস্পতিবার আবারো ৬৩ কেজি ক্যাপসিকাম উত্তোলন করি। বর্তমানে দাম কমে যাওয়ার প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আশা করছি দাম ও ফলন ভালো হলে খরচের চেয়ে তিন থেকে চার গুণ লাভ হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ক্যাপসিকামের দাম ও ফলন অন্যান্য ফসলের থেকে বেশি হওয়ার কারণে এটি চাষ করে কৃষক বেশি লাভবান হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:১২ পূর্বাহ্ন
মানিকগঞ্জে গাজর চাষে বাম্পার ফলন
এগ্রিবিজনেস

চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় গাজর চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন মানিকগঞ্জের গাজর চাষিরা। এছাড়া বাজারে পাচ্ছেন গাজরের ভালো দাম।

উপজেলার কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবারের মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে গাজরের চাষ করেছেন চাষিরা। মাটি ও জলবায়ু গাজর চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলন ভালো পেয়েছেন কৃষকরা। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সকল ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

উপজেলার কৃষি অফিসার টিপু সুলতান বলেন, লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলার কৃষকরা গাজর চাষে ঝুঁকছেন। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের সকল ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

কৃষক আবুল কালাম বলেন, একই জমিতে অন্য সবজির জায়গায় গাজর চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া গাজর চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবারও ফলন ভালো হওয়ায় পাশাপাশি দামও ভালো পেয়েছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:১১ পূর্বাহ্ন
মাছের উৎপাদন বাড়াতে চালু করা হয়েছে ‘ফিশটেক ল্যাবরেটরি’
এগ্রিবিজনেস

মাছ চাষিদের জন্য সুখবর। এবার মাছ ও চিংড়ির রোগ রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে চাষিদের পরামর্শ সেবা দেয়া ও গবেষণার জন্য চালু হয়েছে অ্যাকোয়াটেক অ্যানিমেল হেলথ ল্যাবরেটরি। যার নাম দেয়া হয়েছে ফিশটেক ল্যাবরেটরি। নতুন এ গবেষণাগারটি মৎস্য খাতের সমস্যা সমাধান ও উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) খুলনায় এ ল্যাবরেটরির উদ্বোধন করা হয়। ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফিশটেক (বিডি) লিমিটেডের যৌথ অংশীদারিত্বের এই গবেষণাগারে অর্থায়ন করছে মার্কিন সহায়তা সংস্থা ইউএসএইড বলে জানা যায়।

জানা যায়, এর মাধ্যমে মাছ ও চিংড়ির রোগ নির্ণয়, সংশ্লিষ্ট খামারের মাটি-পানি পরীক্ষা, পুকুরের সঠিক সমস্যা নির্ণয়সহ নির্দিষ্ট খরচে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন মাছ চাষিরা।

ওয়ার্ল্ড ফিস জানায়, ২০১৭-১৮ সালে খুলনা জেলায় মাছ উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ২৭৪ টন। মাছ ও চিংড়ির বিভিন্ন রোগের মারাত্মক প্রাদুর্ভাবের কারণে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিনদিন মাছ বিশেষ করে চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ফলে দেশের রফতানি আয় কমেছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop