২:৩৩ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২২ ৭:৩০ অপরাহ্ন
চাষযোগ্য এক ইঞ্চি জায়গাও খালি না রাখার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
কৃষি বিভাগ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ইউরোপে চলমান যুদ্ধের কারণে আগামী বছর বিশ্বব্যাপী খাদ্যসঙ্কট হতে পারে। এজন্য আমাদের এখন হতেই প্রস্তুত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতো চাষযোগ্য এক ইঞ্চি জায়গাও খালি না রাখার আহ্বান করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে উৎপাদিত রোপা আমন ধানের হালি চারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ধান, ফসল, তরিতরকারিসহ যখন যে ফসল জন্মে তাই ফলাতে হবে। আজ হতে সতর্ক হলে সম্ভাব্য এ সঙ্কট আমরা মোকাবিলা করতে পারবো।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন,  দেশকে কিভাবে উন্নত করা যায়, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা যায় তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় ভাবেন।

চাষীদের জন্য বিনামূল্যে চারা বিতরণের ব্যবস্থা করায় এসময় কৃষি বিভাগের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা সকলে দেশকে ভালোবাসলে, দেশের মাটিকে ভালোবাসলে, দেশের জন্য দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করলে সকল সঙ্কট কাটিয়ে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে পারবো।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মোদাচ্ছির বিল আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. তাজ উদ্দিন এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর এবং উপজেলা কৃষি অফিসার দেবল সরকার প্রমুখ।

এরপূর্বে মন্ত্রী বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান সামগ্রী বিতরণ করেন এবং উপজেলা প্রশাসনিক ভবনে নির্মিত মুজিব কর্নারের উদ্বোধন করেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২২ ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
শরণখোলায় হরিণের গোশত ও চিংড়িসহ নৌকা উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বনরক্ষীরা অভিযান চালিয়ে ৭ কেজি হরিণের গোশত ও ২০ কেজি চিংড়িসহ একটি নৌকা উদ্ধার করেছে।

বুধবার শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন সুন্দরবনের রায় বাঘীনি খাল এলাকা থেকে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা টহল ফাঁড়ির এলাকার রায়বাঘীনি খালে অবরোধ অমান্য করে জেলেরা মাছ ধরছে- এমন গোপন সংবাদে ভোলা টহল ফাঁড়ি ইনচার্জ সামানুল কাদিরের নেতৃত্বে বনরক্ষীদের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায় ও একটি নৌকা দেখে সিগনাল দিলে চোরা শিকারী ও জেলেরা নৌকাটি ফেলে বনের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে বনরক্ষীরা নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে প্রায় ৭ কেজি হরিণের গোশত ও ২০ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করে। পরে নৌকা, গোশত ও চিংড়ি মাছ শরণখোলা স্টেশনে নিয়ে আসে।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো: আছাদুজ্জাজামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবরোধ চলাকালীন সময় নিয়মিত টহল চলছে। তার মধ্যেও চোরা শিকারী ও জেলেরা গোপনে সুন্দরবনে প্রবেশ করে এ অঘটন ঘটাচ্ছে। টহল আরো জোরদার করা হবে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৭, ২০২২ ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
কমছে নদীর পানি, দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগবালাই
প্রাণ ও প্রকৃতি

ঝালকাঠিতে কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। তবে পানি কমলেও এখনো নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের দুশতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসতঘর, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলের ক্ষেত। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে সুগন্ধা, বিষখালী, গাবখান ও বাসন্ডা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানিবন্দি এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এসব রোগে। জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ও চর্মরোগে আক্রান্ত অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে।

ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন জানান, জলাবদ্ধতায় অনেক সময় পানিবাহিত রোগ হয়। এসব রোগে আক্রান্ত অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বন্যার্তদের ঘরের পাশে কিংবা রাস্তায় জমে থাকা পানিতে নামা থেকে বিরত থাকতে হবে।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, ১০ আগস্ট সকাল থেকে নদীর পানি বাড়তে শুরু।

অস্বাভাবিক জোয়ারে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। ১৪ আগস্ট রাত পর্যন্ত তা বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে।

সোমবার থেকে বৃষ্টি কম হওয়া এবং মঙ্গলবার রোদ ওঠায় পানি কমতে শুরু করে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে দু-তিন দিন সময় লাগবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২২ ৫:৫১ অপরাহ্ন
সারাদেশে ট্যুরিস্ট পুলিশের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
কৃষি বিভাগ

সারাদেশে একযোগে ট্যুরিস্ট পুলিশের স্থাপনায় সকল পতিত ও পরিত্যক্ত জমিতে মাসব্যাপী সবজি চাষ এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। 

ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি রাজধানীতে তাঁর সরকারি অফিস প্রাঙ্গণ থেকে ভার্চুয়ালি একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রশাসন ও মিডিয়া শাখা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

উদ্বোধনের পর, অতিরিক্ত আইজিপি অফিসের জন্য বরাদ্দকৃত জমিতে বিভিন্ন সবজির বিজ বপন ও কাঠাল গাছের চারা রোপন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইলিয়াস শরীফ বিপিএম (বার), পিপিএম ডিআইজি ট্যুরিষ্ট পুলিশ সহ অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার প্রশাসন, পুলিশ সুপার অপ্স, পুলিশ সুপার লিগ্যাল মিডিয়া, পুলিশ সুপার লজিস্টিক, পুলিশ সুপার ট্রেনিং এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ সকল স্তরের পুলিশ সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।

এই সময় সারাদেশের ট্যুরিস্ট পুলিশের রিজিয়ন ও জোনের কর্মকর্তা ও সদস্যরা এক সাথে সকাল ১১ টায় অতিরিক্ত আইজিপি এর সাথে পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ ও বৃক্ষ রোপণে অংশগ্রহণ করে।

অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের সকল পতিত ও পরিত্যক্ত জমিতে সবজি চাষ এবং বৃক্ষ রোপণ করছি। এই কর্মসূচী এক মাস যাবৎ চলমান থাকবে। আমি ইতিমধ্যে সারা দেশের সকল রিজিয়ন পুলিশ সুপার ও জোন ইনচার্জদের সকল পতিত ও পরিত্যক্ত জমিতে সবজি চাষ এবং বৃক্ষ রোপণ নির্দেশনা প্রদান করেছি।

তিনি বলেন, জনসচেতনার লক্ষ্যে এই প্রথম আমরাই দেশে একযোগে এই ধরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।

মিডিয়া শাখার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, অতিরিক্ত আইজিপি স্যারের নির্দেশে সকল রিজিয়ন ও জোনের পতিত ও পরিত্যক্ত স্থানে বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি, ফ্লজ বৃক্ষ রোপণ এবং পরিচর্চার বিষয়টি ফলো আপ নেয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩, ২০২২ ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় রাজ-পরীর কোল জুড়ে এলো ৪ সন্তান
প্রাণ ও প্রকৃতি

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ দম্পতি রাজ-পরীর ঘরে আবারও এসেছে নতুন অতিথি। এবার ৪টি সাদা রঙের শাবকের জন্ম দিয়েছে পরী। ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনার পর দ্বিতীয় বারের মতো শাবক জন্ম দিলো রাজ-পরী।

এবারের শাবকগুলো সাদা হলেও, এগুলোর বাবা-মা সাদা রঙের নয়। এর আগেরবার এ দম্পতির ঘরে জন্ম নেওয়া শাবকগুলোর মধ্যে একটি সাদা ছিল।

চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, মা ও শাবকগুলোকে আপাতত আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছে। ‘শাবক ও মা বাঘকে নিবিড় যত্ন দেওয়া হবে এবং কিছু সময়ের জন্য দর্শকদের দৃষ্টির বাইরে রাখা হবে। আমরা বাঘগুলোর স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নিশ্চিত করব’, যোগ করেন তিনি।

শাবক ৪টি পুরুষ নাকি নারী তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি জানতে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। জানার পর শাবকগুলোর নামকরণ করা হবে।’

৪ শাবকের জন্মের ফলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা বেড়ে ১৬টি হয়েছে। শাবকগুলোর কারণে চিড়িয়াখানার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং আরও বেশি দর্শনার্থী আকৃষ্ট হবেন বলে আশা করছেন চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৮, ২০২২ ১০:১২ পূর্বাহ্ন
হনুমানকে ‘বিরক্ত’ না করতে বন বিভাগের আহ্বান
প্রাণ ও প্রকৃতি

বেশ কিছুদিন থেকেই নীলফামারী শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেফিরে একটি হনুমানকেই চোখে পড়ছে। উৎসুক মানুষের ভিড়ে দ্রুত স্থান পরিবর্তন করছে বিপন্নপ্রায় এই প্রাণীটি। ধারণা করা হচ্ছে, টাঙ্গাইল থেকে ট্রাকযোগে এদিকে এসেছে হনুমানটি। যথাসময়ে নিজ গন্তব্যে ফিরবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫ থেকে ২০ দিন আগে সৈয়দপুর থেকে নীলফামারীতে আসে এই হনুমানটি। বেশ কিছুদিন থেকে তাকে দেখা যাচ্ছে শহরের গাছবাড়ি, কৃষি ফার্ম, মিলনপল্লী, হাড়োয়া, পুরাতন রেলস্টেশন এবং সবশেষ মঙ্গলবার দেখা গেছে নীলফামারী সরকারি কলেজ এলাকায়।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকা থেকে ট্রাকে করে এদিকে আসতে পারে হনুমানটি। কারণ আনারস ও কলা ট্রাকে করে পরিবহন করা হয় এদিকে। হনুমানটি ওই ট্রাকগুলোতে এসেছে। তবে মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি এই প্রাণীটি।

জেলা শহরের গাছবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আবদুল ওয়াহেদ সরকার জানান, ১৫ দিন আগে আমার এলাকায় হনুমানটির দেখা মেলে। মোবাইল ফোন টাওয়ারে অবস্থান নেয় সে। আমরা অবশ্য ভাত, কলা খেতে দিয়েছিলাম। খেয়ে তাকে আবারো টাওয়ারে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সেখান থেকে আবার অন্যত্র চলে যায়।

শহরের মিলনপল্লী এলাকার বাসিন্দা আবদুল খালেক জানান, ১০ থেকে ১২ দিন আগে বিকেলে আমাদের পাড়ায় দেখা যায় হনুমানটি। উৎসুক মানুষ ভিড় করলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে সে। এ ছাড়া আগের দিন সকালে দেখা যায় কৃষি ফার্মের কদম গাছে। সেখান নেমে পুরাতন রেলস্টেশন এলাকার দিকে যায় সে।

ওই এলাকার বাসিন্দা আইনুল হক বলেন, প্রাণীটি কাউকে ক্ষতি করতে দেখিনি। তবে হনুমানটিকে কুকুর দেখতে পেলে উচ্চস্বরে ডাকাডাকি শুরু করে।

নীলফামারী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূরুল করিম জানান, মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে কলেজ এলাকার একটি দেয়ালে তাকে বসে থাকতে দেখা গেছে। উৎসুক মানুষ দেখতে ভিড় জমায়। যেহেতু সে আমাদের ক্ষতি করছে না, সে হিসেবে সংরক্ষণ করার সুযোগ থাকলে কর্তৃপক্ষ সেটি করতে পারে।

রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মতলুবুর রহমান জানান, হনুমানটি টাঙ্গাইল মধুপুর থেকে ওই এলাকায় গেছে। কিছুদিন পর আবার সে তার এলাকায় ফিরে যাবে এক্ষেত্রে তাকে বিরক্ত করা যাবে না। এ সময় হনুমানটিকে বিরক্ত না করার আহ্বান জানান তিনি। বন বিভাগের এই কর্মকর্তা আর বলেন, আমরা হনুমানটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২২ ২:৩১ অপরাহ্ন
পশুপালন ও সবজি চাষে ঘুচছে দুঃখ
পাঁচমিশালি

বাহারি গাছের সমাহার। সবজি থেকে শুরু করে ফলের গাছ। সবই রয়েছে। ঘরের পেছনে ও সামনে ছোট্ট জায়গায় গড়ে তুলেছেন বাগান। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরের সঙ্গে ২ শতাংশ জমি ও প্রতিবেশী সাদেক হোসেনের সঙ্গে তার জমিতে যৌথভাবে গড়ে তুলেছেন সবজি ও ফলের এই বাগান।

সেখান থেকে প্রায়ই নিজের পরিবারের সবজির জোগানসহ বাজারেও বিক্রি করছেন তিনি। পাশাপাশি নিজের দৈনিক রোজগারের টাকায় চলছে ছোট পরিবারের খাবারের জোগান। এটি ময়মনসিংহের বয়রার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়া মিজানুর রহমানের পরিবারের বর্তমান অবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে তার জীবন পালটে গেছে। ঘরের সঙ্গে হয়েছে একটি ছোট জমি। তিনি ঘরের সঙ্গে জায়গা পাওয়ায় সেটিকে ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে নিজের মতো করে সাজিয়েছেন।

শুধু সবজি চাষই নয়, তিনি এর সঙ্গে কবুতরও পালন করছেন। তার এখন প্রায় আট জোড়া কবুতর। এই কবুতর থেকে তিনি বড় কবুতরের খামার করার চিন্তা করছেন।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিজানুর রহমান তার ঘরের চারপাশে পেঁপেগাছ লাগিয়েছেন, যেখানে বহু পেঁপে ধরেছে। এখান থেকে তিনি বিক্রিও করছেন। এছাড়া পুঁইশাক, লাউ, শিম, আলু, শসা, করলা, কাঁচা মরিচ, বোম্বে মরিচ, দুন্দুল গাছ লাগিয়েছেন। ফলের মধ্যে আছে আমগাছ, ডালিম, আমড়া, পেয়ারা, জলপাই, লেবু ও কাঠগাছ।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘর পাওয়ার পর নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। পাশে যিনি ঘর পেয়েছেন, তিনি আমার আপন ভাইয়ের মতো হয়ে গেছেন। দুজন একসঙ্গে এখন কবুতর পালন ও সবজির চাষ করছি। আমার পাশের প্রতিবেশী রিকশা চালান আর আমি ইলেকট্রিক কাজ করি দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে। কিছু টাকা যদি লোন পেতাম, তাহলে এই সবজি ও কবুতর চাষকে আরো বড় করার ইচ্ছে আছে। আমার দুই মেয়ে। এক জনের ১১ বছর। মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আর ছোট মেয়ের বয়স তিন বছর। দুজনকে লালন-পালন করতেই এখন একটু ভাবতে হয়। এছাড়া আর কোনো চিন্তা নেই, নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। বড় মেয়েটার মাদ্রাসায় টাকা দিতে হয় অনেক।

একই এলাকায় আশ্রয়ণের ঘর পেয়েছেন জান্নাতুল ফেরদাউস। তিনি তার স্বামী-সংসার নিয়ে থাকছেন সেই ঘরে। শুধু থাকছেনই না, গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, ঘরের সামনে তিনি তার দুটি গরু, একটি ছাগল বেঁধে রেখেছেন। এর পাশেই ঘুরছে তার মুরগি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো ২৮৭টি ঘর বিতরণ করবেন। এর মাধ্যমে ময়মনসিংহের চারটি উপজেলা গৃহহীনমুক্ত হবে

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৪, ২০২২ ৫:১৮ অপরাহ্ন
বাফিটার উদ্যোগে সিলেটের বানবাসিদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
প্রাণ ও প্রকৃতি

বাংলাদেশ এগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

গত শুক্রবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ এগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন সিলেটের বানবাসিদের মাঝে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন

দেশের কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট প্রাণীজ (পোল্ট্রি, মৎস্য ও ডেইরী) খাদ্য উৎপাদণ শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার হিসাবে প্রাণীজ খাদ্য তৈরির উপকরণসমূহ আমদানি ও সরবরাহকারীদের একমাত্র প্লাটফর্ম বাংলাদেশ এগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোটার্স এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় রাধানগর, জাফলং, গোয়াইনঘাট, এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২২ ৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
পাকা আম যেভাবে সংরক্ষণে রাখবেন
প্রাণ ও প্রকৃতি

আম পছন্দ করেন না এমন লোকের সংখ্যা পৃথিবীতে খুব কম। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালকে বলা হয় মধু মাস।এসময় আম, কাঁঠাল, লিচুসহ নানা দেশীয় ফলে বাজার থাকে সয়লাব। পাকা আম হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, হাঁড়িভাঙা, ফজলিসহ নানা জাতের আম রয়েছে। একেক জাতের আমের একেক স্বাদ। তবে খুব বেশি দিন পাওয়া যায় না। এ জন্য করে রাখতে হয় সংরক্ষণ। তবে কিনে আনার পর দুই দিন পরই দেখা যায় আম পচে গেছে। আমের স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অটুট রেখে ১০-১৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। জেনে নিন আম সংরক্ষণের উপায়-

সংরক্ষণের জন্য পরিপক্ব আম বেছে নিতে হবে। একটু শক্ত থাকতেই আম সংরক্ষণ করতে হবে। মাপমতো কাগজ কেটে প্রতিটি আম আলাদাভাবে মুড়িয়ে নিয়ে বড় পলিব্যাগে ভরে ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে রাখুন। এভাবে এক মাসেও আম ভালো থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে ১০ দিন পরপর খুলে দেখে নিন। আবার কাগজ বদলে দিতে হবে।

দীর্ঘদিন ডিপ ফ্রিজে আম সংরক্ষণ করার জন্য প্রথমে ভালো পাকা আম বেছে নিন। খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ছোট ছোট করে কেটে জিপলক ব্যাগে রাখুন। মুখ বন্ধ করে ব্যাগটি ডিপে রাখুন। খাবার কিছুক্ষণ আগে ডিপ থেকে জিপলক ব্যাগ বের করে রাখুন। এভাবে ছয় থেকে আট মাস পর্যন্ত আম সংরক্ষণ করা যায়।

আস্ত আম বেশি দিন সংরক্ষণ করতে চাইলে খবরের কাগজে মুড়ে নিয়ে সব আম একটি কাপড়ের ব্যাগে ভরুন। কাপড়ের ব্যাগের মুখ ভালো করে আটকে সেটিকে আবার একটি বড় পলিথিনে মুড়ে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। এভাবে আম চার থেকে ছয় মাস পর্যন্ত রাখা যায়।

পাকা আম কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে আইসবক্স কিংবা ছোট পাত্রে আমের পাল্প দিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে জমিয়ে নিন। জমে গেলে জিপলক ব্যাগে ভরে আবার ডিপে রাখুন। সারা বছর যে কোনো সময় বের করে স্মুদি, লাচ্ছি বা ডেজার্টেও ব্যবহার করতে পারবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১০, ২০২২ ২:২৯ অপরাহ্ন
দুপুর থেকেই বর্জ্য অপসারণ শুরু রাজধানীতে
প্রাণ ও প্রকৃতি

ঢাকায় দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বাসস জানায়, আজ সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়র একথা বলেন।

তিনি জানান, ‌ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে যে কোরবানি দেওয়া হবে, আমি সকলকে অনুরোধ করব- খুব সুষ্ঠুভাবে, পরিবেশ বজায় রেখে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে যেন আমরা কোরবানি দিতে পারি। এরপর আমরা দুই মেয়র মিলে, ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য সকল বর্জ্য অপসারণে আমরা দুপুর ২টা থেকে কার্যক্রম শুরু করব।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামও জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এসময় মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা দুই মেয়র প্রধান বিচারপতিসহ প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির সাথে নামাজ আদায় করেছি।

বর্জ্য অপসারণে সকলের সহযোগিতা কামনা করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করব, ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করুন। আপনারা নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্যটা রেখে দিন। আমাদের সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে। জনগণের সহযোগিতা পেলে, আমরা আশা করি খুব শিগগিরই সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পারব।

এর আগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন। জামাত পরবর্তী এক বিশেষ মোনাজাতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জাতির পিতার পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। এ সময় তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে আল্লাহপাকের রহমত প্রার্থনা করেন।

প্রধান ঈদ জামাতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ সরকার ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নামাজ আদায় করেন। নামাজ পরবর্তী দুুই মেয়র একে অপরের সাথে এবং প্রধান বিচারপতিসহ উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে কোলাকুলি করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামানসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop