১০:৩৪ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ১৬, ২০২২ ৪:০৬ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী শহরের মাছের বাজারে দেখা মিললো বিরল প্রজাতির মাছ!
মৎস্য

পটুয়াখালী শহরের মাছের বাজারে দেখা মিললো বিরল প্রজাতির একটি মাছ। মানুষ ভিড় করছে জীবিত এই মাছটি দেখতে।

রবিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর মাছটি মাছ বিক্রেতা রতন বিক্রির জন্য দোকানে রেখেছে। দেড় কেজি ওজনের মাছটি লম্বায় প্রায় আড়াই ফুট। মাছটি ক্যামেরার আলো কিংবা কোন কিছু সামনে নিলেই সে হাঁ করছে। মৎস্য বিভাগ মাছটিকে ইউরোপীয় বানমাছ বললেও স্থানীয়রা এটিকে ম্যাদ বাইন/তেলকুমার বলছেন।

মাছ বিক্রেতা রতন মোল্লা বলেন, বিকেলে লাউকাঠী নদীতে স্থানীয় এক জেলে তার বড়সিতে মাছটি ধরেছে। দুইশ টাকা কেজি দরে কিনে এখন আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা দরে মাছটি বিক্রি করতে চাচ্ছেন।

তবে এটি মাছ নাকি অন্য কিছু তা নিয়ে সন্দেহ থাকার কারণে মাছটি কেনার জন্য কোন ক্রেতা আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

পটুয়াখালী মৎস্য বিভাগ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এটি মূলত ইউরোপীয় বানমাছ। ইউরোপীয় ঈল নামেও এটি পরিচিত। এটি ঈল প্রজাতির একটি সাপের মত ক্যাটাড্রামাস মাছ, এগুলো সাধারণত ৬০ থেকে ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয় এবং খুব কমই ১ মিটারের বেশি পৌঁছায়। তবে ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে দেড় মিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্যে পৌঁছাতে পারে।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম জানান, দক্ষিণাঞ্চলে এই প্রজাতির মাছ খুব একটা দেখা যায় না। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৬, ২০২২ ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে ‘সাকার ফিশ’
মৎস্য

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় দেশে সাকার ফিশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এখন থেকে এ মাছ আমদানি, সংরক্ষণ বা ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মাছটি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কেউ সাকার মাছ আমদানি, প্রজনন, চাষ, পরিবহন, বিক্রি, গ্রহণ বা প্রদান, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও মালিক হতে পারবেন না। তবে এ বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে, তা লিখিতভাবে প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে অনধিক দুই মাসের মধ্যে দেওয়া যাবে। এর মধ্যে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি বা পরামর্শ না পাওয়া গেলে, তা চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

এ প্রজ্ঞাপনের ফলে কেউ আর মাছটি আমদানি, অ্যাকুয়ারিয়ামে পালন বা বিক্রি কিংবা প্রজনন কিছুই করতে পারবেন না।
সাকার ফিশকে স্থানীয়ভাবে অনেকে ‘রোহিঙ্গা মাছ’ বলেন। বিশেষ করে ঢাকার আশপাশে বুড়িগঙ্গা বা তুরাগ নদীতে এখন প্রচুর পরিমাণে এই মাছ ধরা পড়ছে। এই মাছ খেতেও চান না কেউ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. সগীর আহমেদ বলেন, সাকার দেশীয় প্রজাতির মাছের ডিম ও রেণু খেয়ে মাছের বংশবিস্তারে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ মাছ যেকোনো পরিবেশে বাঁচতে পারে এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধির কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থান নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। মাছটি খাওয়া যায় না। সর্বোপরি সাকার মাছ জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৫, ২০২২ ৮:০৩ অপরাহ্ন
মাছের খামারে মিলল ৮ ফুট লম্বা কুমির
মৎস্য

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার আলাউলপুর এলাকার একটি মাছের খামারে পাতা ফাঁদে প্রায় আট ফুট লম্বা একটি কুমির ধরা পড়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১টায় আলাওলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গনি বেপারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে মাছ খেতে এসে আলাওলপুর ইউনিয়নের পাজালকান্দি এলাকার একটি মাছের খামারে পাতা ফাঁদে কুমিরটি আটকা পড়ে। খামারটির মালিক আব্দুল খলিল কাজি। সম্প্রতি তার মাছের খামারের পাড়ে গর্ত দেখে সেখানে কুমির আসে বলে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে ফাঁদ পেতে কুমিরটি ধরা হয়। কুমিরটি প্রায় আট ফুট লম্বা।

এ ব্যাপারে গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাফি বিন কবির বলেন, সোমবার রাতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে কুমিরের ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছি। তারা জানিয়েছেন, এটা নোনা পানির কুমির। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে পাঁচ সদস্যের একটি দল কুমিরটি উদ্ধার করতে আসছে।

এ ব্যাপারে জেলা বনবিভাগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সানাউল্লাহ পাটোয়ারী আসবেন। পরে কুমিরটির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৪, ২০২২ ৯:১১ অপরাহ্ন
৫১ দেশে মাছ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ
প্রাণিসম্পদ

পৃথিবীর ৫১টা দেশে মাছ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। মৎস্যজাত পণ্য, নৌ ও সামুদ্রিক উপকরণও রপ্তানি করা হচ্ছে। এসবই হচ্ছে নৌ পুলিশ কর্তৃক নৌ পথের নিরাপত্তা ও কার্যক্রমের কারণে হচ্ছে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

সোমবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত নৌ পুলিশের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে করোনাকালে তিন দেশ মৎস্য আহরণে বড় কোনো বাধার সম্মুখীন হয়নি। তারমধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। আমরা নৌ পুলিশকে বিশেষ সহযোগিতা করতে পারি না। তবে তারা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করছেন। দেশকে সম্মিলিত প্রয়াস ছাড়া এগিয়ে নেয়া যায় না।

তিনি বলেন, অনেক ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এক সময় কাজ করেছে নৌ পুলিশ। সে দৃশ্য বদলেছে। মৎস্য ও নৌ প্রাণিসম্পদ রক্ষা, মৎস্য আহরণ বৃদ্ধিতে নৌ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক বলেন, ঐতিহ্যবাহী নদীগুলো রক্ষার নকশায় নৌ পুলিশ বড় ভৃমিকা পালন করছে। সীমিত সংস্থাপন স্বত্ত্বেও আমরা চেষ্টা করছি। সরকারের সময়োচিত উদ্যোগের কারণে নদী, হাওর বিল খালে মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, ২০ বছর ধরে হালদা নদী নিয়ে গবেষণা করছি। হালদা নদী রক্ষা জরুরি। নদী মাতৃক দেশ হওয়া স্বত্ত্বেও নেই নদী ব্যবস্থাপনা। তবে ২০২০ সালে হালদা নদীতে মৎস্য ডিম উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছে। এক্ষেত্রে নৌ পুলিশের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

তিনি বলেন, হালদা নদীর পাড়ে তামাক চাষ মৎস্য চাষে বাধা তৈরি করেছিল। সেখানে হস্তক্ষেপ করেছে নৌ পুলিশ। সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ডলফিন হত্যা কমে এসেছে। হালদা পাড়ের মানুষের পক্ষ থেকে নৌ পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৪, ২০২২ ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
এক মাছের ওজন ৫৫০ কেজি
মৎস্য

মাছ নয় যেন রাক্ষস! ভারতের দিঘা মোহনার মাছের আড়তে সেই মাছ দেখতে উত্সুক মানুষের ভিড়। মৎস্যজীবীরা বলছেন, মাছটির ওজন প্রায় ৫৫০ কেজি।

মাছটি ‘করাত মাছ’ বা ‘চিরুনি ফলা’ মাছ বলে পরিচিত। মাছটির ঠোঁট কয়েক হাত লম্বা করাতের মতো। চেহারা অনেকটা হাঙরের মতো। মাছটি কোথাও কোথাও ‘কারপেন্টার হাঙর’ নামেও পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম pristis pectinata.

গত সপ্তাহে দিঘা মোহনার মাছের আড়তে এই মাছ দেখে রীতিমতো হুড়াহুড়ি পড়ে যায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। অরূপ কুমার বল নামের এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই মাছ জালে ওঠে না এখন। বঙ্গোপসাগরের অনেকটা গভীরে এই মাছ দেখতে পাওয়া যায়। আগে অবশ্য এই মাছ প্রায়ই পাওয়া যেত। ’

অরূপ জানিয়েছেন, এই মাছটি ওড়িশার পারা দ্বীপে ধরা পড়ে। সেখান থেকে দিঘা মোহনায় বিক্রি করার জন্য আনা হয়। দিঘা মোহনার জিকেডি আড়তে মাছটি নিলামে ওঠে।

দিঘার মাছ ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, এই চিরুনি করাত মাছটির কদর রয়েছে এর পাখনার জন্য। পাখনা যত বড় হবে, এর দামও তত বেশি হয়। এগুলো ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহার হয় বলেই জানিয়েছেন তারা।

এই মাছের করাতের মতো লম্বা আর ভয়ংকর একটা নাক থাকলেও সাধারণত কোনো প্রাণীকে বিরক্ত করে না। তবে কোনো কোনো সময় অন্য মাছের দ্বারা আক্রান্ত হয়। বড় বড় হাঙর, এমনকি ডলফিনরাও এদের আক্রমণ করে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২২ ৫:১৩ অপরাহ্ন
নিষিদ্ধ রিং জালে বিলুপ্তির পথে দেশিয় মাছ!
মৎস্য

কুমিল্লার খাল-বিল, পুকুর-জলাশয় থেকে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দেশিয় বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ছোট মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক ও একশ্রেণির মানুষের কারণে ছোট জাতীয় অনেক মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। প্রাকৃতিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে জলাভূমির সঙ্গে সংযোগ খাল ভরাট, জলাশয়ে বছরের অধিকাংশ সময় পানি না থাকা এবং প্রজনন মৌসুমে পানিপ্রবাহ কমে যাওয়া।

আরেকটি কারণের মধ্যে রয়েছে- একশ্রেণির মানুষ অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে প্রজনন সক্ষম মাছ ও পোনা ধরা, নিষিদ্ধ কারেন্ট বা রিংজালের ব্যবহার করে মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করায় দেশিয় বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-ছোট মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্তির শঙ্কায় থাকা এসব মাছের মধ্যে রয়েছে- চ্যাপিলা, বইচা, আইড়, পুঁটি, সরপুঁটি, বাইলা, মেনি, শিং, মাগুর, শোল, কই, টাকি ইত্যাদূ।

খাল, বিল, জলাশয়ে একসময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। বাজারগুলোও ভরে যেত দেশিয় মাছে। বর্তমানে চায়না প্রযুক্তির কারেন্ট জালের পর রিংজাল ব্যবহার করায় ওই জাতীয় ছোট মাছের আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে।

ফলে বাজারে ছোট প্রজাতির মাছের সরবরাহ অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।

কুমিল্লার মুরাদনগর, দাউদকান্দি, দেবিদ্বার ও লাকসামে খাল, বিল, জলায়শের ছোট মাছ ধরার জন্য রিংজালের ব্যবহারে রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে একশ্রেণির মৎস্য শিকারিদের মধ্যে।

জানা যায়, ওইসব উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চায়না রিংজাল নদ-নদী, খাল-বিল জুড়ে ফাঁদ পেতে রাখা হচ্ছে। এতে প্রাকৃতিক সবধরনের দেশিয় মাছ ধরা পড়ছে চায়না প্রযুক্তির রিংজালে।
বিশেষ করে মুরাদনগরে রিংজালের ব্যবহার অত্যধিকহারে বেড়েছে। এ উপজেলার রামচন্দ্রপুর ও কোম্পানিগঞ্জসহ বিভিন্ন বাজার থেকে রিংজাল কিনে খাল-বিলের মাঝে অবাধে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে লোকজন।

প্রতিদিনই মাছ ধরার এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। কেউ কেউ খাল বা বিলের পাড়ে টং ঘর বানিয়ে একেবারে জেঁকে বসেছেন। সন্ধ্যা রাতে রিংজালের ফাঁদ পেতে রাখে খাল, বিল, জলাশয়ে। পরদিন খুব ভোরে রিংজাল উঠিয়ে দেশিয় প্রজাতির মাছ ধরে নিচ্ছেন তারা।

মুরাদনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান বলেন, সকল প্রকার নিষিদ্ধ ‘কারেন্ট জাল ও চায়না রিংজাল দিয়ে মাছ শিকার করা বেআইনি কাজ। মাছ শিকারে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার না করার জন্য প্রচার প্রচারণা চলমান রয়েছে। আমরা দ্রুত সকল প্রকার নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো।

কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ জানান, আকারে ছোট হলেও এসব দেশিয় মাছ পুষ্টিগুণে সেরা। তাই এসব মাছ বিলুপ্তির কারণে পুষ্টির বড় উৎস্য হারিয়ে যাচ্ছে। খাল, বিল, জলাশয়ে মূলত ছোট মাছ প্রাকৃতিকভাবে জন্মে থাকে।

জমিতে রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে এবং কারেন্ট জাল বা রিংজাল ব্যবহার করায় প্রোটিন ছাড়াও ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন ও ভিটামিনযুক্ত এসব মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

কারেন্টজাল বা রিংজালের ব্যবহার বন্ধ এবং জমিতে কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে দেশিয় প্রজাতির মাছ রক্ষা করা সম্ভব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২২ ৪:০৮ অপরাহ্ন
দুবলারচরে ধরা পড়ল ‘নাম না জানা’ মাছ!
মৎস্য

বঙ্গোপসাগরের দুবলারচরে জেলের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির ‘নাম না জানা’ একটি মাছ।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে সাগরে মাছ ধরার সময় এক জেলের জালে মাছটি ধরা পড়ে। মাছটিকে দুবলারচরের আলোরকোল জেলেপল্লীতে নিয়ে আসা হয়েছে।

আলোরকোল থেকে রামপাল জেলে সমিতির সভাপতি মোতাসিম ফরাজি জানান, সাতক্ষীরার এক জেলে শুক্রবার দুপুরে সাগরে মাছ ধরা জন্য জাল ফেলেন। জাল উঠিয়ে দেখেন, তার জালে বিরল প্রজাতির নাম না জানা একটি মাছ ধরা পড়েছে।

পরে মাছটিকে আলোরকোল জেলেপল্লীতে নিয়ে আসা হয়। মাছটির নাম কেউ বলতে পারেননি। এ ধরণের মাছ আগে কেউ কখনো দেখেননি বলে জেলেরা জানিয়েছেন।

দুই কেজি ওজনের মাছটির মুখে পিরানহা মাছের মতো দাঁত রয়েছে বলে মোতাসিম ফরাজি জানিয়েছেন।

দুবলারচরে জেলের জালে বিরল প্রজাতির মাছ ধরা পড়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১১, ২০২২ ৭:৩৬ অপরাহ্ন
এক কৈয়া মাছের দাম সাড়ে ৮ লাখ!
মৎস্য

বাগেরহাট দুবলারচরের জেলেদের জালে ধরা পড়া ২৮ কেজি ওজনের কৈয়া ভোল মাছ সাড়ে ৮ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে  বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে খুলনার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মাসুম মাছটি কিনে নেন।

বঙ্গোপসাগরে বুধবার সন্ধ্যায় রামপালের জেলে সবুর সিকদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

শুক্রবার সকালে দুবলার আলোরকোল থেকে রামপাল জেলে সমিতির সভাপতি মোতাসিম ফরাজি  জানান, প্রতিদিনের মত বুধবার সকালে সাগরে মাছ ধরতে যায় দুবলারচরের জেলেরা। ওই দিন সন্ধ্যায় জেলে সবুর সিকদারের জালে ভোল মাছটি ধরা পড়ে। পরে রাতে আলোরকোল চরের মাছের ডিপোতে ওজন করা হলে মাছটির ওজন ২৮ কেজি  উঠে। বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনার মৎস্য ব্যবসায়ী মো মাসুম  দর কষাকষি করে সাড়ে ৮ লাখ টাকায় মাছটি কিনে নেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  জেলেপল্লী দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির এক কর্মকর্তা জানান, পোঁয়া প্রজাতির ভোল মাছের ফুসফুসের বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ভোল মাছের ফুসফুসের অনেক দাম এ মাছের ফুসফুস দিয়ে ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি করা হয় বলে শুনেছেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৮, ২০২২ ১০:০২ অপরাহ্ন
সেন্ট মার্টিনে এক জালে ৫৫ কেজির ২ পোপা মাছ, দাম ‘১৫ লাখ’
মৎস্য

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মাটিনে কোরাল জালে ধরা পড়েছে সাড়ে ৫৫ কেজির দুটি পোপা মাছ; ট্রলার মালিক এর দাম হাঁকছেন সাড়ে ১৫ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে সেন্ট মার্টিন পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা আবদুল গণির মালিকানাধীন ‘এফবি গণি’ ফিশিং ট্রলারের জালে মাছ দুটি ধরা পড়ে। পরে সকাল ৮টার দিকে ট্রলারটি সেন্ট মাটিন জেটি ঘাটে এসে পৌঁছালে লোকজন মাছ দুটি দেখতে ভিড় জমায়। ট্রলার থেকে মাঝি-মাল্লারা পোপা মাছ দুটি ফিশারি ঘাটে নিয়ে আসেন।

মাছ ধরার খবর পেয়েছেন জানিয়ে টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি (Mycteroperca bonaci)।

“এই মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা আছে। পোপা মাছের বায়ুথলি বেশ মূল্যবান বলে এই মাছের দাম অনেক বেশি।”

ট্রলারের মালিক আবদুল গণি জানান, ভোর রাতে কোরাল জালে ধরা পড়েছে দুইটি ৫৫ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ‘কালা পোপা’। এর মধ্যে একটির ওজন সাড়ে ৩০ কেজি এবং অপরটি ২৫ কেজি।

“মাছ দুটির দাম চাইছি সাড়ে ১৫ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত মাছ দুটি সেন্ট মার্টিনে দাম উঠেছে সাড়ে আট লাখ টাকা পর্যন্ত। ভালো দামে বিক্রির আশায় মাছ দুটি ফ্রিজিং করে কক্সবাজার শহরে নিয়ে যাচ্ছি।”

ট্রলারের মাঝি ওসমান জানান, রোববার সকালে সাত মাঝি-মাল্লাসহ ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে রওনা হয়। রাতে সেন্ট মাটিন দ্বীপের দক্ষিণে সাগরে জাল ফেলেন তারা। ভোররাতে জেলেরা জাল টেনে উঠাতে গিয়ে দেখেন কোরাল জালে দুটি বড় বড় কালা পোপা মাছ আটকা পড়েছে। “এই দামি মাছ দুটি পেয়ে জেলেরা খুব খুশি হয়েছে।”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৮, ২০২২ ১:৫২ অপরাহ্ন
ফুলবাড়ীর মাছের আঁশ এখন বিশ্ববাজারে
মৎস্য

আঁশ সংগ্রহকারী ফুলবাড়ী পৌর বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সমবারু মিয়া, রেজাউল ইসলাম ও মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, মাছের আঁশ সংগ্রহের পর সেগুলো ৪-৫ মণ জমা হলে পাইকাররা বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান। প্রতিকেজি প্রকারভেদে ৫০-৬০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে করোনা মহামারীর আগে এগুলো ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো।

সরাসরি রফতানির সুযোগ না থাকায় তারা চাহিদা অনুযায়ী লাভ করতে পারছেন না। ভবিষ্যতে যদি সরাসরি রপ্তানির সুযোগ পান, তবে আশানুরূপ লাভবান হবেন এবং ব্যবসার পরিধি সম্প্রসারণ ঘটবে বলে জানান তারা।

পৌরবাজারের পাইকার মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার আলী জানান, স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের মাছের আঁশগুলো ফেলে না দিয়ে যত্ন সহকারে জমিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। আগে সৈয়দপুর, নওগাঁ, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে পাইকাররা এসে মাছের আঁশগুলো নিয়ে যেতেন। কিন্তু এখন স্থানীয়ভাবেই মাছের আঁশ সংগ্রহ ব্যবসায় অর্ধশত ব্যক্তি যুক্ত হয়েছেন। এটি সরাসরি বিদেশে রপ্তানি করতে পারলে লাভ অনেক বেশি হবে। এতে সরকারি সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার জানান, মাছের আঁশ সংগ্রহ ও বিক্রির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। বিষয়টি ভালোভাবে জেনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop