৮:৪৬ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ১১, ২০২২ ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
কেশবপুরে ইলিশ মাছ জব্দ
মৎস্য

যশোরের কেশবপুরে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ বিক্রি করায় এক ব্যবসায়ীর মাছ জব্দ করেছে মৎস্য অফিস।

সোমবার দুপুরে শহরের মাছ বাজার থেকে ওই মাছ জব্দ করে এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

মৎস্য অফিস জানায়, শহরের মাছ বাজার এলাকায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ বিক্রি করছিলেন উপজেলার ভোগতীনরেন্দ্রপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ।

খবর পেয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সজীব সাহা অভিযান চালিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আনুমানিক ৭ কেজি নোনা ইলিশ মাছ জব্দ করেন। পরে তিনি জব্দ ইলিশ মাছ কেশবপুর শিশু সদন এতিমখানায় বিতরণ করে দেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১০, ২০২২ ১০:০০ অপরাহ্ন
হাতিয়ায় ৫ জেলের অর্থদন্ড, মাছ ও জাল জব্দ
মৎস্য

ইলিশের প্রদান প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করা অবস্থায় একটি ট্রলারসহ ৫ জেলেকে আটক করেছে হাতিয়ার নলচিরা নৌ-পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে অন্তত ২০ কেজি মা ইলিশ মাছ, ১০হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সবাইকে ৫হাজার টাকা করে অর্থদ- করা হয়েছে।

সোমবার সকালে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম হোসেন তাদের অর্থদ- প্রদান করেন। এরআগে একইদিন ভোরে বুড়িরচর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর সূর্যমূখী ঘাটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে নৌ-পুলিশ।

নৌ পুলিশ জানায়, ভোরে হাতিয়ার সূযমূখী ঘাট এলাকার পূর্বে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করছে কয়েকজন জেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালায় নলচিরা নৌ-পুলিশের একটি দল। এসময় একটি মাছধরা ট্রলার, ২০ কেজি মাছ ও জালসহ ৫ জেলেকে আটক করা হয়।

পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের প্রত্যেককে ৫হাজার টাকা করে মোট ২৫ হাজার টাকা অর্থদ- করা হয়েছে। জব্দকৃত মাছগুলো স্থানীয় ইতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম হোসেন বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে আগামি ২৮ অক্টোবর পযন্ত আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে। আইন লঙ্গনকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

উল্লেখ্য, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের বংশ বৃদ্ধিতে সহায়তার লক্ষে সরকার ঘোষণা অনুযায়ি গত ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামি ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৯, ২০২২ ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
কুয়াকাটার বাজারে মিলল বিরল প্রজাতির মাছ!
মৎস্য

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ফিস ফ্রাই মার্কেটের একটি দোকানে এবার দেখা মিললো ‘লংফিন ব্যাট ফিস’ বা ‘কিং চান্দা’ নামের এক সামুদ্রিক মাছের।

বিরল প্রজাতির না হলেও বছরে মাত্র ৮-১০ টির দেখা মেলে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায়। তবে কক্সবাজার, সেন্টমাটিন এলাকায় এ মাছের দেখা মিলে সচরাচর।

শনিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টের পূর্ব পাশে মায়ের দোয়া নামের একটি ফ্রাই দোকানে দেখা মিলে এ সামুদ্রিক মাছের। সচরাচর যে মাছগুলো ফ্রাই হয় তার থেকে অনেকটা ভিন্ন এবং প্রথম দেখাতে অনেক পর্যটক ভিড় জমায় এ ‘লংফিন ব্যাট ফিস’ দেখতে।

কাওসার নামের ওই ফ্রাই দোকানের মালিক জানান, এক জেলের কাছ থেকে ৩ কেজি ৭৫০ গ্রামের এই মাছটি ৫৫০ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ৫০ টাকায় কিনে আনি। এখন আমরা ফ্রাই করে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করবো। মাছটি এখনো বিক্রি হয়নি, তবে চাহিদা অনেক।

কাওসার জানান, আমরা এই মাছটির নাম ‘কিং চান্দা’ হিসেবে চিনে থাকি। এটা খুব কম পাওয়া যায় আমাদের এলাকায়। এ বছর মাত্র ৭-৮টির মত পাওয়া গেছে। তবে চাহিদা অনেক। যারা একবার নেন তারা আবার আগাম অর্ডার করে রাখেন। এ মাছ দেখার জন্য অনেক মানুষ ভিড় জমায়।

মঈনুল নামের এক পর্যটক জানান, এর আগেও আমি কুয়াকাটা এসেছি, ফ্রাই খেয়েছি। কিন্তু এ মাছ কখনো দেখিনি। মাছটির সঙ্গে ছবি তুললাম। দাম চাইলো ৭০০ টাকা কেজি। অনেক মানুষ দেখছে আগ্রহ নিয়ে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, এই মাছটির প্রধান নাম ‘লংফিন ব্যাট ফিস’। এর বৈজ্ঞানিক নাম (Platax teira) প্লাট্যাক্স টেইরা। এছাড়াও এটি টেইরা ব্যাটফিশ, লংফিন স্প্যাডফিশ বা গোলাকার মুখের ব্যাটফিশ নামেও পরিচিত। এটি ইন্দো-ওয়েস্ট প্যাসিফিকের একটি মাছ। মাঝে মাঝে অ্যাকোয়ারিয়াম বাণিজ্যে প্রবেশ করে। এটির দৈর্ঘ্যে ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত আকারে বাড়ে।

তিনি জানান, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন এলাকায় মাঝে মাঝে পাওয়া গেলেও পটুয়াখালীসহ এসব এলাকায় এটা খুব কম পাওয়া যায়। তবে এখন কিছু দেখা মিলে। স্থানীয় জেলে ও ব্যবসায়ীরা এটার সঠিক নাম না জানার কারণে অনেকে ‘কিং চান্দা’ বা বিভিন্ন নাম দিয়ে থাকেন। আবার অনেকে রুপচাঁদা মাছের সাথেও তুলনা করেন। তবে এটি রুপচাঁদা প্রজাতির মাছ না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৮, ২০২২ ৯:১৮ অপরাহ্ন
ইলিশের প্রজনন বাড়তে পারে কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে
মৎস্য

প্রজনন সময়ে মা-ইলিশ শিকার বন্ধ রাখতে সরকার ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশের নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে মা-ইলিশের বিচরণ বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মাছ শিকারের এ নিষিদ্ধ সময়ে কুড়িগ্রামের ইলিশ জেলেদের মধ্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১শ’ ৮৭ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। মৎস্য বিভাগের তালিকাভুক্ত জেলেদের মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার দুস্থ ও প্রকৃত মৎস্যজীবী এই চাল পাবেন বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) কালিপদ রায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে কুড়িগ্রাম জেলাকে ইলিশ জোনভুক্ত করা হয়। এরপর ২০১৯ সাল থেকে ইলিশ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে জেলার ইলিশ জেলেদের জন্য প্রণোদনা হিসেবে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল দেওয়া শুরু হয়। তখন থেকে প্রতিবছর খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন ইলিশ জেলেরা।

মৎস্য বিভাগ জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার ৩৬৬ জন তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ উপজেলার ( সদর, নাগেশ্বরী, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) ৭ হাজার ৫০০ দুস্থ ও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে মাথাপিছু ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। ইলিশ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ আহরণের ওপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে মাছ আহরণে বিরত রাখতে পারলে ইলিশ প্রজননে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন মৎস্য খাত সংশ্লিষ্টরা।

ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোতে পানির প্রবাহ থাকায় চলতি বছর কিছুটা আগে থেকে জেলার নদ-নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে। গত ১৫-২০ দিন আগে থেকে বাজারে সীমিত পরিমাণে স্থানীয়ভাবে শিকার করা ইলিশ পাওয়া যাচ্ছিল। ফলে এ বছর প্রজনন মৌসুমের এই সময়টাতে জেলার নদ-নদীতে ইলিশের আগমন আগের সময়ের তুলনায় বেশি হবে বলে আশা প্রকাশ করছে মৎস্য বিভাগ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৮, ২০২২ ৩:০৯ অপরাহ্ন
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ শিকার, আটক দুই জেলে
মৎস্য

কুয়াকাটায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ শিকারের দায়ে হাসেম ফরাজী (৪০) ও হাসান (৩৮) নামের দুই জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১শ’ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটার গঙ্গামতী চর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকৃতদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নে।

কুয়াকাটা নৌপুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ জানান, মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে প্রথম দিনে তাদের মাছ শিকাররত অবস্থায় আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৬, ২০২২ ৫:৩৭ অপরাহ্ন
গত একযুগে দেশে ইলিশ আহরণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

গত একযুগে দেশে ইলিশ আহরণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী একথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদনে একসময় খারাপ অবস্থা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, ইলিশ সমৃদ্ধির জন্য সুনির্দিষ্ট গবেষণা ও বর্তমান সরকারের গৃহিত ব্যবস্থাপনায় ইলিশের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে গত ১২ বছরে ইলিশ আহরণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশ আহরণ ছিল ২ দশমিক ৯৮ লাখ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ দশমিক ৬৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ইলিশের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে এমনভাবে বৃদ্ধি পাবে যে প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বত্র মানুষ ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে। ইলিশের উৎপাদন ব্যাপক আকারে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অত্যন্ত সুস্বাদু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও আবেগের মাছ ইলিশ। ইলিশের জিআই সনদ বাংলাদেশের। পৃথিবীতে মোট উৎপাদিত ইলিশের ৮০ শতাংশ আমাদের দেশে উৎপাদন হয়। সরকারের কঠোর ব্যবস্থাপনা, ইলিশের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি, মা ইলিশ ধরতে না দেওয়া, জাটকা আহরণ বন্ধ রাখা এবং ইলিশ যেখানে ডিম দেয় সে জায়গায় উপযোগী পরিবেশ রক্ষার ফলে ইলিশের উৎপাদন এভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখাকালে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত মৎসীজীবীদের যাতে কোন ক্ষতি না হয়, সেজন্য তাদের সরকার চাল দেয়, বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সহযোগিতা দেয়। মা ইলিশ অথবা ছোট ছোট ইলিশ ধরলে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে না। সেক্ষেত্রে ইলিশ আহরণকারী জেলেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের মানুষ ইলিশ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে, রপ্তানি পণ্যের ক্ষতি হবে এবং নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ ধরতে যাওয়া অসাধু ব্যক্তিরা নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য স্থানীয়ভাবে সচেতন করা, বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়াসহ নানাভাবে সরকার জেলেদের মা ইলিশ ও জাটকা আহরণ থেকে বিরত রাখে।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কেউ মাছ আহরণ করে কী না সেটা বিমানবাহিনীর মাধ্যমে আকাশপথে মনিটর করা হবে। নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে কাজ করবে। নৌ পাহারা, আকাশ পথে পাহারা ও স্থলপথে পাহারা দেওয়া হবে। মা ইলিশ ধরা বন্ধ রাখতে কোথাও কোথাও বরফকল বন্ধ রাখা হবে। নিষেধাজ্ঞার সময় যারা আইন অমান্যের অপরাধ করবে তাদের তাৎক্ষণিক সাজা প্রদানে মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া অবৈধভাবে মাছ আহরণ করা যানবাহন জব্দ করা, প্রয়োজনে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা, মা ইলিশ ধরা থেকে বিরত রাখতে মৎসীজীবীদের উৎসাহিত করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

সাংবাদিকদের মন্ত্রী আরও জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সহজ-সরল জেলেদের যানবাহনে নিয়ে বন্ধকালে মাছ ধরার চেষ্টা করে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। যারা অবৈধ জাল তৈরি করে আহরণ বন্ধকালে জাটকা অথবা মা ইলিশ ধরে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেয়। এমনকি জাল তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে বেআইনি জাল উদ্ধার করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ইলিশ বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৩৫২ মেট্রিক টন। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এই মুহূর্তে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ইলিশ বৃদ্ধি না পেলে আমরা রপ্তানি করে এ বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারতাম না।

মন্ত্রী যোগ করেন, জলবায়ুর পরিবর্তন, নদীর স্রোত ও পরিবেশের সঙ্গে ইলিশ সম্পৃক্ত। বৈরী পরিবেশ, অসাধুভাবে বালু উত্তোলন, নদী ভাঙ্গন, নদীর পানি দূষণসহ নানা কারণে মা ইলিশের প্রজনন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বিধায় বর্তমানে ইলিশের বিস্তৃতি অনেক বেড়েছে। এখন ছোট নদীসহ অনেক দুর্লভ জায়গায় ইলিশ পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের অতীতে পরিবার প্রতি ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হতো। এ বছর এটি ২৫ কেজিতে উন্নীত করা হয়েছে। এবার দেশের ৩৭ জেলার ১৫৫টি উপজেলায় ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৭ টি জেলে পরিবারকে ১৩ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ আহরণ বন্ধকালে আমাদের জলসীমায় নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশসহ মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে। মিয়ানমার অথবা অন্য কোন দেশের কেউ এসে আমাদের ভৌগলিক এলাকায় মৎস্য আহরণের কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ লুকিয়ে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে চায় আমরা তাদের গ্রেফতার করবো। এ ব্যাপারে আমরা কঠোরভাবে নজরদারি করছি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রতিবছরের ন্যয় এবছরও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৭ হতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৬, ২০২২ ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য ধরা, তীরে ভিড়ছেন তরী
মৎস্য

মা ইলিশ রক্ষায় বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য নদী ও সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।

এমন নিষেধাজ্ঞায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি ঘাটে ট্রলার নিয়ে ফিরছেন জেলেরা।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটেরর মৎস্য গবেষক ড. মো. আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আশ্বিন মাসের বড় পূর্ণিমায় মা ইলিশ সবচেয়ে বেশি ও পরিপক্ব ডিম ছাড়ে। ওই বড় পূর্ণিমার দিন পড়েছে ৯ অক্টোবর। আবার একই মাসের অমাবস্যা বেশি ও পরিপক্ব ডিম ছাড়ে। ওই অমাবস্যা দিন পড়েছে ২৪ অক্টোবর। এ কারণে বড় পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তারিখ ঠিক রেখে সরকার ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশের ডিম ছাড়ার সময় নির্ধারণ করেছে। সে হিসেবে ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ।

জেলেরা জানান, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন এ চার মাস ইলিশ শিকারের প্রধান মৌসুম। কিন্তু এর মধ্যে ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। ঘূর্ণিঝড়সহ বেশ কয়েকটি নিম্নচাপও ছিল। তাই অল্প কিছুদিন ইলিশ শিকার করতে পারলেও লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলে ও ট্রলার মালিকরা। নিষেধাজ্ঞার সময় বরগুনা উপকূলের প্রায় দেড় লাখ জেলে বেকার হয়ে পড়বেন। তাই পরিবার চালাতে চালের পাশাপাশি নগদ অর্থ সহায়তারও দাবি জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশে মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর দাবি, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের জেলেরা মাছ না ধরলেও দেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করবে ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা। তাই ভিনদেশি জেলেদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে না পারলে ব্যর্থ হবে এ নিষেধাজ্ঞা।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জাগো নিউজকে বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম সফল করতে তারা কঠোর অবস্থানে থাকবো। এ ২২ দিন কোনোভাবেই সাগর ও নদীতে কোনো জেলেকে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সুফল সম্পর্কে জেলেদের সঙ্গে মতবিনিময় করবো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৫, ২০২২ ৭:৫৫ অপরাহ্ন
শুক্রবার থেকে ২২ দিন বন্ধ থাকবে ইলিশ আহরণ
মৎস্য

উৎপাদন বাড়াতে ও ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে আগামী ৭ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে।

এসময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেবে ভিজিএফ।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশে ২০০৩-০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে ১১ দিন মা-ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তখন থেকেই এর সুফল দেখতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। তখন তারা গবেষণায় দেখতে পান, শুধু পূর্ণিমায় নয়, এ সময়ের অমাবস্যাতেও ইলিশ ডিম ছাড়ে।

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’ এর অধীন প্রণীত ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫’ অনুযায়ী এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যকারী কমপক্ষে এক থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

এ বিষয়ে মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে যারা মাছ ধরতে নামে তারা সবাই মৎস্যজীবী নয়। তাদের নেপথ্যে অনেক ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তি থাকেন। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অতীতের মতো এবারও এসব অসাধু ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হবে না। ইলিশ সম্পদ ধ্বংসকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিনে অভিযানের পাশাপাশি এবার রাতেও অভিযান জোরদার করা হবে।

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলায় বরফ কল বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। গত বছরের ন্যায় এবারও অবৈধ জাল উৎপাদনস্থলে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অবৈধ পথে ইলিশ পাচার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত জেলা-উপজেলায় নদীতে ড্রেজিং বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের মাধ্যমে ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে যা যা করা দরকার তা করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২, ২০২২ ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
হালদায় মিলল ইলিশ!
মৎস্য

দেশের অন্যতম মিঠাপানির কার্প জাতীয় মা-মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ চট্টগ্রামের হালদা নদীতে মিলল ছোট্ট একটি ইলিশ মাছ। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১.৫ ইঞ্চি, প্রস্থ ২ ইঞ্চি এবং ওজন ২৬৫ গ্রামের মতো।

গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হালদা নদী মোহনার নিকটবর্তী চাঁদগাঁও অংশে অবৈধভাবে পাতানো একটি জালে আটকা পড়ে ইলিশ মাছটি।

পরে মাছটিকে জীবিত উদ্ধার করে ফের নদীতে অবমুক্ত করেন বলে জানান হাটহাজারীর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার নাজমুল হুদা।

তিনি আরও জানান, বিকালে হালদা নদীর হাটহাজারী অংশের গড়দুয়ারা নয়াহাট থেকে মোহনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে পাতানো অবস্থায় দুটি কারেন্ট জাল ও একটি চর ঘেরা জাল এবং মাছ ধরার ৫টি বড়শিও জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব জালের দৈর্ঘ্য প্রায় ২ হাজার ৫০০ মিটার।

এছাড়া অভিযান পরিচালনাকালে নদীর মোহনার নিকটবর্তী চাঁদগাও অংশে অবৈধভাবে পাতানো একটি কারেন্ট জালে একটি ছোট্ট ইলিশ মাছ আটকা পড়েছিল। পরে মাছটি জীবিত উদ্ধার করে নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১, ২০২২ ৩:২৭ অপরাহ্ন
কুমিল্লায় দুর্বৃত্তের দেওয়া বিষে মারা গেলো ১২ লাখ টাকার মাছ
মৎস্য

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর পশ্চিমপাড়ার একটি ফিশারিতে বিষ প্রয়োগ করে ১২ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাতে মাছচাষি মো. জুয়েল রানার ফিশারিতে এ ঘটনা ঘটে।

বুড়িচং পূর্বপাড়ার মরহুম সহিদ মিয়ার ছেলে মাছচাষী মো. জুয়েল মিয়া জানান, রাজাপুর পশ্চিমপাড়া ৩২০ শতক ফিশারিতে প্রায় ১২ লাখ টাকার বিভিন্ন জাতের দেশীয় মাছ রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলেছে। বিষ প্রয়োগের ফলে মাছগুলো মরে ভেসে উঠেছে। কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠত। এর আগেই দুর্বৃত্তরা মাছগুলো মেরে ফেলেছে। মাছচাষি জুয়েল রানা এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চান।

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি মো. মারুফ রহমান জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং থানার পুলিশ ফোর্স পরিদর্শন করে এসেছে। অভিযোগ পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop