চার জেলা নিয়ে গঠিত হচ্ছে ক্লাস্টার চিংড়ি ফার্মিং নেটওয়ার্ক
মৎস্য
সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ির মানসম্পন্ন উৎপাদন, চাষ সম্প্রসারণ, বিপণন, আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে ক্লাস্টার চিংড়ি ফার্মিং নেটওয়ার্ক তৈরি করছে মৎস্য অধিদফতর। এ জন্য দেশের বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং কক্সবাজার জেলাকে নির্বাচন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খঃ মাহবুবুল হক।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, এক্সপোর্ট অরিয়েন্টেড এই চিংড়ি চাষকে একটি ছাতার তলে এনে চিংড়ি অধ্যুষিত এলাকার চিংড়ি চাষিদের নিয়ে গ্রুপ ভিত্তিক চাষাষাদ করানো হবে। ইতোমধ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা চাষিদের চিহ্নিতকরার কাজ শুরু করেছেন। সমমনা এবং আগ্রহীদের সবাইকে একই ধরণের বা মানের উৎপাদন, কৌশল, পানি, পোনা, টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে পণ্য উৎপাদন করানো হবে। প্রতিযোগতিায় যারা ভালো করবে তাদের মধ্য থেকে ৩০০ টি গ্রুপ করা হবে। এদের মধ্য থেকে একশটিকে বিজনেস প্রমোশনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তাও দেয়া হবে।
এগুলো সম্পন্ন করা হবে মৎস্য অধিদফতরের চলমান প্রকল্প সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রকল্পের মাধ্যমে। এই প্রকল্পে অনেকগুলো কম্পোনেন্টের মধ্যে একটি হচ্ছে এই ক্লাস্টার চিংড়ি ফার্মিং।
প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরো বলেন, আমাদের সহায়তা নিয়ে যারা ভালো করবে তাদের জন্য আমরা আর্থিক সহায়তারও ব্যবস্থা করবো। এক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব চাওয়া হবে বা প্রজেক্ট প্রপোজাল নেওয়া হবে। এ কাজেও আমরা সহায়তা দেবো। যাতে করে তারা তাদের ব্যবসাকে আরা বড় করতে পারে। জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। প্রস্তাবিত তাদের প্রকল্পের বা প্রস্তাবনার ৭৬ শতাংশ আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। বাকি ২৪ শতাংশ ফার্মারকে যোগান দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমারা চাই ক্লাস্টার চিংড়ি ফার্মিংয়ে যুক্তরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদার রাখুক, এ কারণে তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট থেকে শুরু করে পণ্য বাজারজাত করণেও আমারা সহায়তা দেবো।
তবে আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে আমরা তাদের হাতে কোনো নগদ টাকা দেবো না। যারা বা যেসব প্রতিষ্ঠান এসব খামারি বা ক্লাস্টারের সদস্যদের স্টাবলিস্টমেন্টে সহায়তা দেবে তাদেরকে আমারা তাদের খরচের বা প্রয়োজনের ৭৬ শতাংশ টাকা পরিশোধ করবো।