৭:৪৬ অপরাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৩ ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
পুকুরপাড়ে সবজি চাষে সফল ঈশ্বরদীর চাষিরা
কৃষি গবেষনা

দুটি পুকুরে মাছ চাষ করেন মারমী গ্রামের সুজন দেওয়ান। তিনি জানান, মাছ চাষের পাশাপাশি কলা, পেঁপে, বেগুন ও শিমের আবাদ করেছেন। বিষমুক্ত এসব সবজি পরিবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে মাছ চাষের খরচ তুলেছেন। পুকুরে যারা মাছ চাষ করেন; তারা যদি পুকুরপাড় ফেলে না রেখে সবজি ও দেশীয় ফল আবাদ করেন, তাহলে ফল-মূল বিক্রি করে মাছ চাষের খরচ কমে যাবে।

পুকুরপাড়ে সবজি ও দেশীয় ফলের আবাদ করে পাবনার ঈশ্বরদীর মাছ চাষিদের ভাগ্য বদলে গেছে। মাছ চাষের ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ লভ্যাংশ আসে পুকুরপাড়ে সবজি ও দেশীয় ফল-মূলের আবাদে।

ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ও মুলাডুলি ইউনিয়নের প্রায় ৬ শতাধিক পুকুরপাড়ে মাছ চাষিরা পরিকল্পিতভাবে সবজি ও দেশীয় ফলের আবাদ করছেন। দাশুড়িয়া ও মুলাডুলি ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামজুড়ে পদ্ম ও চামগড়া বিল। বছরজুড়েই জলাবদ্ধতার কারণে এ বিলের বেশিরভাগ জমিতে একসময় কোনো ফসল ফলতো না। বিলের অল্প জমিতে ফসল হলেও সেগুলো এক ফসলি জমি। তাই এসব জমিতে যারা পুকুর খনন শুরু করেন। বিলগুলো ঘুরে দেখা যায়, বিশাল বিলের যতদূর চোখ যায়, সবুজের হাতছানি। পুকুরপাড়ের মাচায় ঝুলছে লাউ, কুমড়া, শসা, ঝিঙা, শিম, বরবটি, পুঁইশাক। পাশাপাশি ঢ্যাঁড়শ, করলা, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি চাষ হচ্ছে। এ ছাড়াও পুকুরপাড়ে দেশীয় কলা ও পেঁপের ব্যাপক ফলন হয়েছে।

শতাধিক পুকুর খনন করা হয়। পুকুরের পাড় চওড়া করে তৈরি করা হয়, যাতে সবজি ও দেশীয় ফলের চাষ করা যায়। ‘ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে’-এ ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন মাছ চাষিরা। মাছের পাশাপাশি সবজি ও ফল চাষ করে অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পুকুরপাড়সহ আবাদযোগ্য কোনো জমি যেন পতিত না থাকে। সেজন্য মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা তৎপর। কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা পুকুরপাড়, বাড়ির আঙিনা, পরিত্যক্ত জমিতে ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন।

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম মাঝি জানান, ‘মারমী, শ্যামপুর, সুলতানপুর, হাতিগড়াসহ ১০ গ্রামের মধ্যবর্তী পদ্ম ও চামগড়া বিলজুড়ে প্রায় ৬০০ পুকুর। এসব পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুরপাড়ে সবজি চাষ করে চাষিদের দিন বদলে গেছে। এখন তারা স্বাবলম্বী।’

উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, ২০১৭-১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী এ উপজেলায় পুকুর আছে ২,৪৭৬টি। বর্তমানে পুকুরের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা এসেছে। তাই পুকুরের পাড়ে সবজি ও দেশীয় ফলের চাষাবাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সুফল পাওয়া গেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২৩ ৭:০৩ অপরাহ্ন
মাছ চাষে ভাগ্য বদল টুটুলের
প্রিয়মুখ

প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টা করলে অসাধ্য সাধন করা যায়। নিজের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি অন্যদেরও ভাগ্য বদলে দেয়া যায়। এ সত্যকে প্রমাণ করেছেন শার্শার সফল মৎস্য চাষী কামরুজ্জামান টুটুল। ২০০২ সাল থেকে পরিশ্রম আর অক্লান্ত চেষ্টার মধ্য দিয়ে পোনা ব্যাবসার পাশাপাশি পাবদা মাছ চাষ করে তার ভাগ্য পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।

যশোর জেলার শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামে তিনি একজন সফল মৎস্যচাষী হিসেবে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং এ বছর জাতীয় মৎস্য পুরুষ্কার ২০২৩ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। সাফল্যটি সত্যি সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়ার মতো।

জানা গেছে, চাকরি না পেয়ে ২০০২ সালে অল্প কিছু পুঁজি নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন কামরুজ্জামান টুটুল। এতে তার অভাবনীয় সাফল্য আসে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তায় প্রথম দিকে অল্প পরিসরে ও স্বল্প পুঁজিতে নিজস্ব একটি ছোট পুকুরে কার্প জাতীয় মাছ চাষ শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে টুটুলের আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সাফল্য এসেছে।

বর্তমানে টুটুল প্রায় ৭.৬ হেক্টরের, জলায়তনে পাবদা মাছ চাষ করছেন। তার পুকুরে পাবদা মাছের পাশাপাশি রয়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, বেশ কয়েকটি জাতের মাছ।

এক সময় টুটুল ছিলেন বেকার যুবক। অনেক কষ্টে ধার-দেনা করে পাঁচ হাজার টাকা জোগাড় করেন। এ টাকা দিয়ে বগুড়া জেলার কাহালু থানা থেকে ১০/১২ কেজি মাছের রেণু পোনা কিনে পুকুরে ছাড়েন। এক সময় মৎস্য অফিসসহ বিভিন্ন এনজিওতে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ চাষে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কাজের মধ্য দিয়ে সেই থেকে টুটুলের নতুন জীবনযাত্রা শুরু হয়। এতে তার সংসারে বাড়তি আয়ের ছোঁয়া লাগে। পরিবর্তন আসে জীবনে।

তিনি পাবদা মাছ উৎপাদন করে গত ২০১৯ সাল থেকে তা বাণিজ্যিক ভাবে ভারতে রপ্তানি করছেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি মৎস্য চাষ করে আসছেন। তার সাফল্য দেখে আশপাশের ৫০ প্রতিবেশীও মৎস্য খামার গড়ে তুলতে উদ্যোগ শুরু করেছেন। শেষ বছর টুটলের খামরে থেকে ১১৫ টন পাবদা মাছ উৎপাদিত হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।

কামুজ্জামান টুটুল জানান, খুব সহজেই বেকাররা মৎস্য চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে। বেকার যুবকদের মৎস্য খামার করায় উৎসাহ দিতে ব্যাংকগুলো সুদমুক্ত ঋণ দিলে এ অঞ্চলের বেকার যুবকরা দ্রুত স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। তিনি আশা করেন, ব্যাংকগুলো এ ধরনের ঋণ সুবিধা চালু করে বেকারত্ব কমাতে সহযোগিতা করবে।

শার্শা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, সফল মৎস্য খামারী কামরুজ্জামান টুটুল মাছ চাষের কারণে উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি এই উপজেলায় মৎস্য চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। মৎস্য চাষে সফলতা অর্জনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি। তিনি এবার জাতীয় মৎস্য পুরুষ্কার ২০২৩ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আমরা তার খামারটি পরিদর্শন করেছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৩ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
পাবদা মাছের মিশ্র চাষে পুকুর প্রস্তুতি ও খাদ্য প্রয়োগ
মৎস্য

পাবদা মাছের মিশ্র চাষে লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে অনেকেই তাদের পুকুরে পাবদা মাছ চাষ করছেন। কেউ কেউ মিশ্র চাষ করে থাকেন। চলুন জেনে নিব পাবদা মাছের মিশ্র চাষে পুকুর প্রস্তুতি ও খাদ্য প্রয়োগ সম্পর্কে-

পাবদা মাছের মিশ্র চাষে পুকুর প্রস্তুতি ও খাদ্য প্রয়োগঃ

পুকুর প্রস্তুতিঃ
বছরে অন্তত ৭-৮ মাস পানি থাকে এমন সেচকৃত পুকুর নির্বাচন করা সবচেয়ে ভালো । তবে সারা বছর পানি থাকে অর্থাৎ অন্য মাছের চাষ হচ্ছে এমন পুকুরে পাবদা মাছ চাষ করা আরো ভালো।
নতুন পুকুরের পাড় মেরামত ও জলজ আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
পুকুরে প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে। চুন প্রয়োগের ২ থেকে ৩ দিন পর প্রতি শতাংশে ৫ কেজি হারে গোবর প্রয়োগ করতে হবে। এতে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য জন্মাবে।
পুকুর থেকে রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছ থাকলে তা দূর করতে হবে।

মিশ্র চাষে পোনা মজুদের হারঃ
পুকুরের পানি ৪ থেকে ৫ ফুট গড় উচ্চতা ও হালকা সবুজাভ হলে পোনা মজুদ করতে হবে । মিশ্র চাষের ক্ষেত্রে প্রতি শতাংশে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি সাইজের ৫০টি পাবদা , ১০০টি শিং এবং ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি সাইজের ৫টি কাতলা , ১০টি রুই , ১০টি মৃগেল , ২টি সিলবার কার্প ও ২টি গ্রাস কার্পের সুস্থ পোনা মজুদ করতে হবে ।

খাদ্য প্রয়োগঃ
নিয়মিত সম্পূরক খাদ্য মাছের দেহ ওজনের শতকরা ৩ থেকে ৮ ভাগ হারে প্রয়োগ করতে হবে। অনুর্বর পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যের প্রাচুর্যতা বৃদ্ধির জন্য ১৫ দিন পর পর প্রতি শতাংশে ২ থেকে ৫ কেজি পচা গোবর প্রয়োগ করতে হবে।

পানির রং গাড় সবুজ হয়ে গেলে অবশ্যই গোবর প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে এবং পানির পি,এইচ পরীক্ষা করতে হবে।

এখানে একটি ব্যাপার উল্ল্যেখ্য যে,পাবদা মাছ পুকুরের তুলনা মূলক ছোট মাছ খেয়ে ফেলবে তাই চাষের অন্যান্য মাছ যাতে পাবদার চাইতে বড় সাইজের হয় সে দিকে নজর রাখতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২৩ ৯:৪০ অপরাহ্ন
হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণ করা হবে: মন্ত্রী
মৎস্য

উন্নত ব্যবস্থাপনা, নিয়মিত মনিটরিং, আইনের প্রয়োগ এবং স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।

বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সুফল প্রকল্পের আওতায় প্রণীত ২টি হাঙ্গর প্রজাতি ও ২টি শাপলা পাতা মাছ প্রজাতির ‘নন ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস’ এবং ‘ন্যাশনাল কনজারভেশন স্ট্রাটেজি অ্যান্ড প্ল্যান অব অ্যাকশন ফর শার্ক অ্যান্ড রেজ ইন বাংলাদেশ ২০২৩-২০৩৩’ এর অনুমোদন সংক্রান্ত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত ‘ন্যাশনাল কনজারভেশন স্ট্রাটেজি অ্যান্ড প্ল্যান অব অ্যাকশন ফর শার্ক অ্যান্ড রেজ ইন বাংলাদেশ ২০২৩-২০৩৩’ হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের অতিরিক্ত ও অনাকাঙ্ক্ষিত আহরণ কমাতে এবং ‘নন ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস’ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা ২টি হাঙ্গর প্রজাতি ও ২টি শাপলাপাতা মাছ প্রজাতির দলের সংখ্যা হ্রাস রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ আমাদের উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তবে অতিরিক্ত মাছ ধরা এবং এদের দেহাংশের অবৈধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। বিলুপ্তির উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের প্রজাতি আমাদের জাতীয় আইন দ্বারা কঠোরভাবে সুরক্ষিত।

সমস্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এসকল প্রজাতিকে সুরক্ষা দিতে কার্যকরভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। এসকল প্রজাতিকে বিলুপ্তি রোধে ও অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য কাস্টমস, পুলিশ, বর্ডার গার্ড, নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী এবং নৌ পুলিশের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, হাঙ্গর ও শাপলাপাতা সম্পর্কিত এই কৌশলগত পরিকল্পনাটি বিভিন্ন সংস্থা, অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ী, সম্প্রদায় এবং বিদেশী পরামর্শকের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের জন্য প্রস্তুতকৃত ন্যাশনাল কনজারভেশন স্ট্রাটেজি অ্যান্ড প্ল্যান অব অ্যাকশন শুধুমাত্র এদের সংরক্ষণের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গৃহীত পদক্ষপের কৌশলগত দিকনির্দেশিকা নয়। বরং, এদের অবস্থার উন্নতির জন্য অনুকরণীয় গাইডলাইন। হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের সুরক্ষা নিশ্চিতে আমাদের এখনই সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) মো. মিজানুর রহমান, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়, ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির সিনিয়র ম্যানেজার এলিজাবেথ ফার্নি মনসুর, প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজারসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৩ ৪:২২ অপরাহ্ন
বাগেরহাটে সরবরাহ কমায় মাছের দাম চড়া
মৎস্য

বাগেরহাটের মাছবাজারে সব ধরনের সামুদ্রিক হিমায়িত মাছের সরবরাহ কমেছে। এতে প্রকারভেদে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

বাগেরহাট শহরের দড়াটানা নদীর তীরে কেবি মাছবাজার। ভোর থেকেই শুরু হয় মাছ বেচাকেনা। চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ফ্রিজিং ট্রাকে করে মাছ আনা হয় এই বাজারে।

এদিকে সাগরে মাছ কম ধরা পড়ায় নানা প্রজাতির হিমায়িত মাছের সরবরাহ কমেছে। স্বল্প পরিমাণে মিলছে নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। তবে দাম বেড়েছে প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত।

আর ইলিশের দামও বাড়তি থাকায় মাছ কিনতে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা। প্রতি কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৫০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, সাগরে সংকট দেখা দেয়ায় দাম বেড়েছে ইলিশের। বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায়। আর পরিবহন খরচ, তেলের দাম ও শ্রমিক খরচ বাড়ায় দাম বেড়েছে সব মাছের।

বাগেরহাট কেবি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার সমিতির সভাপতি আবেদ আলী বলেন, সাগরে মাছ অনেক কম ধরা পড়ছে। তবে মাছ হিমায়িত থাকায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেচাকেনা চলছে।

উল্লেখ্য, বাগেরহাট কেবি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ মেট্রিকটন সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৩ ১০:৪০ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে মাছের খামারে প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি এবং গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে “স্ট্র্যাটেজিস ফর ইনক্লুসিভ একুয়াকালচার ভেল্যুচেইন ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের উদ্যোগে গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি)দিনব্যাপি মৎস্য চাষিদের নিয়ে “টেকনোলজি এডাপশন ইন একোয়াকালচার ফার্মস” শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রকল্পটির পরিচালিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালইয়-এর যৌথ উদ্যোগে। প্রকল্পের অর্থায়ন করেছে ইউএসএআইডি’র অঙ্গ সংগঠন ফিড দ্য ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিশ।

উক্ত প্রশিক্ষণটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক এবং প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের পরিচালক ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান খান।

এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে জুম অ্যাপের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রকল্প পরিচালক ড. মদন মোহন দে। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিস-এর এশিয়া রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর ড. এম গোলাম হোসাইন এবং কৃষি অর্থনীতি এবং গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মানিত ডিন প্রফেসর ড. খন্দকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান খান। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন কৃষি অর্থনীতি বিভাগের মার্স্টাস অধ্যায়নরত শীক্ষার্থী নাজিফা জাহিন অহনা। প্রকল্পের গবেষণা সহযোগী মোঃ ইমরান হোসাইন অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করেন।No description available.

প্রশিক্ষকদের মধ্যে একোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর, ড. এম মাহফুজুল হক রিপন, “একোয়াকালচার সিস্টেম এবং ইন্সট্রুমেন্টেশন: মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল” বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। এ পর্বে কিভাবে নতুন প্রযুক্তি মাছ চাষে ব্যবহার করা যায় এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া NAAFCO এগ্রোভেট লিমিটেডের ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার কৃষিবিদ লিটন চৌধুরী নিরাপদ মাছ উৎপাদনের জন্য অ্যাকুয়াকালচারে প্রোবায়োটিক্সের সম্ভাবনা-এর আলোকে বিস্তর বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি দেখান, যথাযথ প্রোবায়োটিক্সের ব্যবহারের মাধ্যমে সফলভাবে মাছ চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।

প্রশিক্ষণ শেষে ৪০ জন মৎস্য চাষি প্রশিক্ষন সনদ প্রদান করা হয় এবং তারা তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। উক্ত প্রশিক্ষনে ৪ জন মহিলা মৎস্য চাষি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন এবং তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৩ ৭:০০ অপরাহ্ন
খাঁচায় ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষে স্বাবলম্বী কুমিল্লার হানিফ তালুকদার
মৎস্য

জেলার দাউদকান্দি উপজেলার সৈয়দ খারকান্দি গ্রামে ড্রাম, বাঁশ, নেট এবং জিআই পাইপ দিয়ে তৈরি জালের বুননে নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করছেন হানিফ তালুকদার। নদীতে ভাসমান মাছ চাষ করে তিনি জীবনে নিয়ে এসেছেন স্বাবলম্বী হওয়ার নবদিগন্ত।

বেকার যুবকদের জীবনে আশার আলো-স্বপ্নদ্রষ্টা হয়ে আর্বিভূত হয়েছে দাউদকান্দি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়। বেকার যুবকদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার আতুঁড়ঘর হিসেবে কাজ করছে এই অফিসটি। মৎস্য অফিস নদীতে খাঁচায় মাছ চাষের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহ তৈরি করছে বেকার যুবকদের।

হানিফ তালুকদার তাদেরই একজন নতুন পথের অগ্রপথিক। বিগত তিনবছর শ্রম মেধা ও অধ্যবসায়ের চর্চায় সফলতা অর্জন করেছেন নদীতে ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে।

মেঘনা, শীতলক্ষা ও ধনাগোদা নদীর ত্রি-মোহনা এবং মুন্সিগঞ্জ-চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলার প্রান্ত এলাকায় নদীতে ভাসমান পদ্বতির খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্প হানিফ তালুকদারের। এখানেই জল-মাটি আর প্রকৃতির অপরুপ এক মোহনীয় মায়ার মাঝেই তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। নদীর সঙ্গে তার আজন্ম সখ্যতাই তাকে নদীমুখী মাছ চাষে উদ্যোগী করে তুলেছে। তিনমাস প্রশিক্ষণের পর হানিফ তালুকদারকে প্রথমে ১০টি খাঁচা সরবরাহ করে দাউদকান্দি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়। পরবর্তীতে দেয়া হয় আরো ১০টি খাঁচা। মাছ চাষে সফলতা দেখে হানিফ তালুকদার নিজ অর্থায়নে যোগ করেন আরো ২০টি খাঁচা। বর্তমানে তিনি ৪০টি খাঁচায় নদীতে ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন।

হানিফ তালুকদার জানান, প্রতিবছরে তিনি দুইবার প্রায় ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেন। সামান্য পুঁজি দিয়েই শুরু করা সম্ভব এই ব্যবসা। এর জন্য প্রয়োজন হয় না নিজস্ব জলাশয়ের। নিজ বাড়ির পাশে বহমান ধনাগোদা নদীতেই তিনি শুরু করেন খাঁচায় মাছ চাষ। তিন বছর আগে মাত্র ১০টি খাঁচায় যে স্বপ্নযাত্রার শুরু হয়েছে। আজ তা বর্ধিত হয়ে ৪০টি খাঁচা পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিটি খাঁচা ১২ বাই ২২ ফুট। চট্টগ্রাম থেকে সংগ্রহ করেন মাছের রেনু পোনা। এরপর পাশবর্তী পুকুরে করেন পরিচর্যা। পরিচর্যার পর ছাড়া হয় খাঁচায়। প্রতি খাঁচায় ৫ শত পোনা মাছ ৫ মাস পর উপযোগী হয় বিক্রির। তখন প্রতিটি তেলাপিয়া মাছের ওজন দাঁড়ায় প্রায় ৭ শত গ্রাম।

নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ প্রসঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন বাসসকে জানান, মানুষ যেন কর্মমুখী হয়ে সচ্ছল জীবন যাপন করতে পারে, তাই আমরা আগ্রহীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের অনুদান দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, অনেকেরই নেই নিজস্ব পুকুর। তাই নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ করে একজন বেকার যুবক যেমন নিজে সমৃদ্ধ হবে, ঠিক তেমনি দেশেও মাছ উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৬, ২০২৩ ৬:০০ অপরাহ্ন
“জাটকা ও মা মাছ নিধন বন্ধে আরও বেশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার করতে হবে”
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলাপ্রশাসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন উল্লেখ করে জাটকা ও মা মাছ নিধন বন্ধে আরও বেশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য জেলাপ্রশাসকদের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলাপ্রশাসক সম্মেলন ২০২৩ এ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অধিবেশনে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশের মৎস্যসম্পদে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। পৃথিবীর প্রায় ৫১টি দেশে মাছ রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি। এখন দেশে এতো গবাদিপশু উৎপাদন হচ্ছে যে, ভারত-মিয়ানমার থেকে আমদানি ছাড়াই কোরবানির পশুর চাহিদা মিটানো সম্ভব হচ্ছে। শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় এ খাত এতটা এগিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বেকারত্ব দূর করছে, উদ্যোক্তা তৈরি করছে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনের ফলে খাদ্যের একটি বড় অংশের যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রাণিজ মানুষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে এ খাত থেকে। রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের উন্নয়নের ভূমিকা রাখছে এ খাত। পাশাপাশি এ খাত গ্রামীণ অর্থনীতিও সচল করছে। দেশের মোট জিডিপিতে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে ৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ অবদান রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। ১ কোটি ৯৫ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতে সম্পৃক্ত।

জেলাপ্রশাসকদের উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ের প্রেক্ষিতে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিক হারের পরিবর্তে কৃষিজ হারে নির্ধারণের বিষয়টি আশা করি সমাধান হবে। ২২ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে রেজিস্টার্ড মৎস্যজীবীদের প্রণোদনার বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। চরাঞ্চলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প চলমান আছে। জেলাপ্রশাসকদের সুপারিশের আলোকে প্রয়োজনে আরো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

করোনাকালে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়সহ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন, সংগ্রহ, পরিবহন ও বিপণনে সহযোগিতার জন্য জেলাপ্রশাসকদের এ সময় ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঈপ্সিত লক্ষ্য পূরণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে উল্লেখ করে এ মন্ত্রণালয়ের সকল কাজ বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে জেলাপ্রশাসকরা দেখভাল,পরামর্শ প্রদান এবং কর্মকর্তাদের সহায়তা করবেন বলে এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

মাঠ পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা, কর্মযজ্ঞ ও সাফল্য জেলাপ্রশাসকদের উপর নির্ভর করে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা প্রধানগণ, বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ এবং জেলাপ্রশাসকগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৪, ২০২৩ ২:৫৬ অপরাহ্ন
পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ
মৎস্য

পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ করার উপায় আমাদের দেশের অনেক মৎস্য চাষিরাই জানেন না। নদী-নালায় মাছ কমে যাওয়ায় এখন অনেকেই তাদের পুকুরে মাছ চাষ করছেন। পুকুরে চাষ হওয়া মাছগুলোর মধ্যে তেলাপিয়া মাছ অন্যতম। আজকে জেনে নিব পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ সম্পর্কে-

পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষঃ
আমাদের দেশে মাছ চাষ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তেমনই হচ্ছে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া চাষ পদ্ধতি। এই চাষ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে দারুণ সফল হচ্ছেন চাষিরা। এ ধরনের মাছ চাষের জন্য প্রথমে পুকুরে মলা মাছ ছাড়তে হবে তারপর তেলাপিয়া। মাছ বড় হলে আগে মলা মাছ ধরতে হবে। কারণ বাজারে এর চাহিদা অনেক। মলা মাছ বড় হতে কম সময় লাগে। মলা মাছে লাভের পরিমাণও অনেক বেশি।

প্রথমেই পুকুরে বিষ দিয়ে অবাঞ্ছিত মাছ দূর করে তার পরদিন পুকুরের তলদেশের অবস্থা বুঝে শতাংশপ্রতি আধা কেজি থেকে এক কেজি চুন দিয়ে এর ছয়-সাতদিন পর শতাংশপ্রতি শূন্য দশমিক ৩ মিলি পিপিএম হারে সুমিথিয়ন প্রয়োগ করতে হবে।

একদিন পর পুকুরে মলা মাছের রেণু ছাড়তে হবে। আমাদের বর্তমান চাষ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি ৫০ শতাংশের পুকুরে এক হাপা মলা মাছের রেণু দিতে হবে। তারপর এ মলা মাছের ওপর তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা ছাড়তে হবে।

মাছের বয়স যখন ৯০ দিন পূর্ণ হবে সেদিন মলা মাছ বাজারজাত করার পরিকল্পনা করতে হবে। তেলাপিয়া বাজারজাত হবে আরও পরে। সঠিকভাবে মাছের যত্ন নিলে ৯০ দিন পর মলা মাছ ২০০ থেকে ৩০০ পিসে কেজি হবে।

এভাবে মাছের বয়স ৯০ দিন হলে আনুমানিক ৯০ শতাংশ মলা মাছ বিক্রি করে ১০ শতাংশ মলা মাছ তেলাপিয়ার সাথে রেখে দিতে হবে। তারপর তেলাপিয়া সাইজ হওয়ার আগ পর্যন্ত চাষে রেখে দিতে হবে ৫০ কেজি উৎপাদন হওয়ার আগ পর্যন্ত।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১০, ২০২৩ ১:৫৪ অপরাহ্ন
ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে সিরাজগঞ্জের চাষিদের ভাগ্যবদল!
মৎস্য

অল্প পুঁজিতে বেশি লাভজনক হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে পুকুরে চাষকৃত মাছের চেয়ে খাঁচায় চাষকৃত মাছ বেশি সুস্বাদু হয়। আর প্রবাহমান পানিতে চাষ করলে মাছ বাড়েও তাড়াতাড়ি। তাই সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের চাষিরা খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ফুলজোর নদীতে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে খাঁচায় মাছ চাষ। অল্প পুঁজি নিয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় মৎস্যজীবী ও বেকার যুবকরা। ফলে দূর হচ্ছে বেকারত্ব।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ফুলজোর নদীতে বকুলতলা, তিননান্দীনা, নলছিয়া, সাহেবগঞ্জ, ফরিদপুর, রামপুর, ঘুড়কা, বিষ্ণুপুর, ধানগড়া, জয়ানপু, চান্দাইকোনা। এ সব এলাকাজুড়ে বড় বড় খাঁচায় ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ হচ্ছে। নদীর পানি প্রবাহমান থাকার কারণে পানি দূষিত হতে পারে না। আর খাঁচার মাছের উচ্ছিষ্ট খেয়ে নদীর মাছেরও প্রবৃদ্ধি হয়। আর নদীর প্রবাহমান পানিতে মাছ বাড়ে তাড়াতাড়ি তাই বাজারে এর চাহিদাও প্রচুর। পুকুরের মাছ থেকে ভাসমান খাঁচার মাছের স্বাদ ভালো হওয়ায় এই মাছ বিক্রি করে লাভবান মৎস্যচাষিরা।

উপজেলা মৎস অফিস সূত্র মতে, এই উপজেলায় প্রায় ৫১ জন মৎস্যচাষি মোট ১ হাজার ৮০০টি খাঁচায় মাছ চাষ করছেন।

ফরিদপুর গ্রামের মাছচাষী আব্দুস সালাম জানান, পানির গভীরতা ৬ ফুট প্রস্থ ১৫ ফুট ও দৈর্ঘ্য ২০ ফুট থাকে এমন ভাবে বাঁশ, লোহা, ড্রাম ও জাল দিয়ে খাঁচা তৈরি করতে হয়। একেকটি খাঁচা তৈরীতে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিটি খাঁচায় ৭০০-৮০০ পিস মাছ দেওয়া যায়। মাছ ছাড়ার ৫-৬ মাস পর তা বিক্রির উপযুক্ত হয়। ১ কেজি মাছে উৎপাদন খরচ ১১০ টাকা আর বিক্রি হয় ১৫০ টাকায়। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি খাঁচায় লাভ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা হয়।

রায়গঞ্জ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা ড. হাফিজুর রহমান জানান, উপজেলায় নদীর প্রবাহমান পানিতে ভাসমান খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আগামীতে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করছি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop