৫:৪২ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১৯, ২০২১ ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
ঘেরে বিষ দিয়ে ১০ লাখ টাকার মাছ নিধন, দোষীদের শাস্তির দাবিতে মাববন্ধন
মৎস্য

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার হাড়িখালি গ্রামের এক তরুণ উদ্যোক্তার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে ১০ লাখ মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগে এখনও কাউকে শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করতে পারেনি। দ্রুত এই দুর্বৃত্তদের শাস্তির আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী মাহাবুবসহ এলাকাবসাী।

মঙ্গলবার সকালে হাড়িখালী মাছের ঘেরের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত তরুণ উদ্যোক্তা এহসানুল হক মাহাবুবসহ এলাকাবাসী অংশ নেন।

গত ৭ মে রাতের আঁধারে ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় নলছিটি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন মাহাবুব। মামলার পরেও পুলিশ কাউকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলেও মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ঘেরের মালিক মাহাবুব অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকায় পড়ালেখা শেষে চাকরি না পেয়ে বাড়িতে আসেন। দীর্ঘদিন বেকার থাকার পরে গত বছর ১ একর জমিতে একটি মাছের ঘের করেন। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়েছিল। লাভের মুখ দেখার আগেই শত্রুতাবশত তার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে ১০ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবি করেছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৮, ২০২১ ১১:২৩ অপরাহ্ন
কলাপাড়ায় লবণ পানিতে মরে গেছে মাছ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ!
পাঁচমিশালি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে লবণ পানি ঢুকে একটি খালের মাছ মরে যাওয়ায় দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। আর এতে করে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের মাস্টারবাড়ি স্টেশন সংলগ্ন গোলমইয়ার খালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে পঁচে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।

এলাকাবাসীর তথ্যমতে, শুক্রবার (১৪ মে) ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এখনও।

পার্শ্ববর্তী গ্রামের সামসু গাজী বলেন, প্রতিদিন এই পথ দিয়ে চলাচল করি। যাতায়াতের সময় নাকে কাপড় দিয়ে চলতে হচ্ছে। খালের পাড়ে বসবাসকারী পরিবারগুলোও একই অভিযোগ। তারা বলেন, পঁচা মাছের দুর্গন্ধে আমাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারা এই দুরাবস্থা থেকে মুক্তি চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

পায়রা মৎস্য চাষ সমবায় সমিতি লইমটেডের অন্যতম সদস্য সমীর কর্মকার বলেন, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গোল মইয়ার খালে আমাদের সমিতির নামে এ ঘেরটি রয়েছে। ডিসি অফিস থেকে সমিতির নামে ডিসিআর নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে মাছ চাষ করে আসছি। কেউ শত্রুতা করে লোনা পানি ঢুকিয়ে মাছ মেরে ফেলেছে।

পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য আমরা যতদূর সম্ভব বড় বড় মাছগুলো সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছি। এখনো অনেক ছোট আকারের মরা মাছ রয়েছে যা আমরা সরাতে পারিনি।

নীলগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, মাছগুলো কেন, কী কারণে মারা যাচ্ছে জানি না। তবে পঁচা মাছগুলো দ্রুত অপসারণ করা হবে বলে তিনি জানান।

কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৮, ২০২১ ৯:২৭ অপরাহ্ন
দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর
প্রাণিসম্পদ

দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫দিন সকল প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

এসময় তিনি বলেন, “মৎস্য দেশের বড় সম্পদ। এ সম্পদের কথা বঙ্গবন্ধু বলে গিয়েছিলেন, মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপে সে মাছ আজ বাংলাদেশে সহজলভ্য হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ আমরা ফিরিয়ে এনেছি। ইতোপূর্বে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, মৎস্যজীবী সমিতি ও সংগঠন সম্মিলিতভাবে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছে। রাষ্ট্রের একটি অংশ হিসেবে সকলে মিলে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধ করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে বাধাপ্রাপ্ত হলেও তারা পিছপা হননি। এটি আমাদের এগিয়ে যাবার মূলমন্ত্র। এভাবে দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”

নতুন প্রণীত সামুদ্রিক মৎস্য আইন নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ছিল উল্লেখ করে এসময় মন্ত্রী বলেন, “সামুদ্রিক মৎস্য আইনের অপপ্রয়োগের কোন অভিযোগ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তারপরও এই আইনের অপপ্রয়োগ দেখলে সেটি বন্ধ করা হবে। তাই এই আইন নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নেই।

দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। তবে অকারণে কোন ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়ে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষা করতে হবে। মৎস্যজীবী সম্প্রদায়সহ জনগণকে মৎস্যসম্পদ রক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে হবে।”

“করোনা সংকটে সরকারের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। তারা অর্পিত দায়িত্ব পালনে কোনরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন করেন নি। করোনায় মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা বিশেষ করে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে। মানুষের দোরগোড়ায় এ মন্ত্রণালয় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম পৌঁছে দিয়েছে।

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের আন্তরিকতা, একাগ্রতা ও উৎসর্গের কারণে করোনাকালেও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নতি সম্ভব হয়েছে। এসময় যেখানে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রের অর্থনীতি নুয়ে পড়ছে সেখানে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অসাধারণ। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।”-যোগ করেন মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মোঃ তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, নৌপুলিশের অতিরিক্ত মহাপুলিশপরিদর্শক মোঃ আতিকুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর, চট্টগ্রাম-এর পরিচালক এবং বন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিসহ মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাগণ সভায় অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ অনুযায়ী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে সব ধরণের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ২০১৫ সাল থেকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে মন্ত্রণালয়। এ বছর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে দেশের উপকূলীয় ১৪ টি জেলার ৬৬ টি উপজেলায় ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫৯৫ টি জেলে পরিবারকে ১৬ হাজার ৭২১.৩২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল ইতোমধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৮, ২০২১ ৫:৫৫ অপরাহ্ন
নওগাঁয় মাছের দাম কমাতে বিপাকে চাষিরা
মৎস্য

ঈদের ছুটির পর বাড়ছে নওগাঁর পাইকারি বাজাদের মাছের সরবরাহ। সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে কেজি প্রতি। বি‌দে‌শে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকায় দফায় দফায় কম‌ছে মা‌ছের দর।

নওগাঁর সান্তাহার মাছের আড়ত। স্থানীয় মাছ চাষিরা সকা‌লে এ আড়‌তে তো‌লেন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। পাইকার‌দের হাঁকডা‌কে সরব হয়ে ওঠে বেচাকেনা। বিল, জলাশয় ও পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বে‌ড়ে‌ছে মা‌ছের সরবরাহ। তবে নেই দূরের পাইকার। তাই স্থানীয় বেপারীরা কে‌জি প্রতি ২০ থে‌কে ৩০ টাকা কম দ‌রে কিন‌ছেন মাছ। আর দফায় দফায় দর প‌ড়ে যাওয়ায় লোকসা‌নের কথা বল‌ছেন মাছ চাষিরা।

মাছ চাষিরা জানান, বাজারের মাছের চাহিদা বেড়ে যাওয়া দাম একবারেই কমে গেছে। এখন মাছ চাষিদের বিপদ চলছে। কেননা দূরের পাইকাররা আসছে না। অন্যদিকে চাষ করা মাছের খাবারের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় ক্ষ‌তির মু‌খে পড়‌ছেন বলে অভিযোগ মাছ চাষিদের।

দূরের পাইকার না থাকা ক‌রোনার কার‌ণে বি‌দে‌শে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকায় এবার দর ক‌মে‌ছে ব‌লে ম‌নে দাবি ব্যবসায়ীদের।

সান্তাহার পৌর আড়ৎ সমিতির সহ-সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া জানান, লকডাউন কারণে দেশের বিভিন্নস্থানে পাইকাররা আসতে পারছেন না। এছাড়া বিদেশে মাছ রপ্তানি না হওয়ায় মাছের দাম কমছে।

স্থানীয় মৎস‌স্য অফিস জানায়, জেলায় ৩৩ হাজার ২৭৬ জন নিবন্ধিত চাষি, ৪৮ হাজার পুকুর ও জলাশয়ে মাছ চাষ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৮, ২০২১ ১:২৯ অপরাহ্ন
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে চলছে অবাধে মাছ নিধন
প্রাণ ও প্রকৃতি

সুন্দরবন এলাকায় বিষ প্রয়োগে অবাধে মৎস্য নিধন করা হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের উৎকোচের বিনিময়ে বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা এ কাজে সহায়তা করছে। অপরদিকে প্রকৃত জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের কালাবগী স্টেশন, পূর্ব বিভাগের ঝাপসি, ঢাংমারি এবং ভদ্রা টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন খালগুলোয় মৎস্য শিকার করে দাকোপের আইউব মোল্যা ও ঢাংমারি এলাকার মুন্না। ওই স্টেশনগুলোর মধ্যে ভদ্রা নদীতে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ। গরমের এ মৌসুমে এই নদী মাছে পরিপূর্ণ থাকে। জেলেদেরও নজর থাকে ওই এলাকায়। ফলে এ নদীকে ঘিরে যতগুলো স্টেশন রয়েছে, সেগুলো ‘ম্যানেজ’ করেই মাছ ধরেন ওই দুই ব্যবসায়ী। তাদের নিয়োজিত জেলেরা চালের ড্রামে করে ইন্ডিয়ান রিপকর্ড বিষ নিয়ে যায়। সেটি সুন্দরবনের নির্ধারিত স্থানে লুকিয়ে রাখে। সুবিধামতো সময়ে এ বিষ ব্যবহার করে তারা।

কালাবগী স্টেশনে এক বছর আগে যোগদান করেন স্টেশন কর্মকর্তা মনিরুল হোসেন। এ সময় ধরেই আইউব মোল্যা ও মুন্না ভদ্রাসহ আশপাশের খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে। তারা কালাবগী এলাকার কাওসার সানা নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে স্টেশনগুলোয় নৌকাপ্রতি ৩ হাজার টাকা দেয়। এরপর ওই টাকা কালাবগী স্টেশনের বোটম্যান তারেকের মাধ্যমে কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। অর্থ পরিশোধ হলেই তারা এসব এলাকার খালে মাছ ধরে। নিষিদ্ধ এলাকা, বিষ দিয়ে মাছ ধরা, নিষিদ্ধ ডুবোজাল দিয়ে মৎস্য শিকার করে তারা।

অপরদিকে যেসব জেলে স্টেশনগুলোর চাহিদামতো অর্থ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, তারা মাছ ধরতে পারছে না। পশ্চিম বিভাগের পাশ নিয়ে আইয়ুব, মুন্নাসহ আরও কয়েক ব্যবসায়ী কখনো পূর্ব বিভাগ, কখনো পশ্চিম বিভাগে মাছ শিকার করছে। সিন্ডিকেট করে তারা সাধারণ জেলেদেরও প্রবেশ করতে দিচ্ছে না বৈধ খালগুলোয়ও। চলতি বছরের প্রথমদিকে আইউব মোল্যা ও মুন্নার জেলেরা নিষিদ্ধ ডুবোজাল নিয়ে ধরা পড়ে ঢাংমারি ও ঝাপসি এলাকায়।

তবে অদৃশ্য হস্তক্ষেপে তাদের আবার ছেড়েও দেন স্টেশনের কর্মকর্তারা। অভিযোগ ওঠে, অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ওই জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এরপর ডিবি ও বন বিভাগের যৌথ অভিযানে তাদের ৭টি নৌকাসহ ৮ জন আটক হয়। তাদেরকে আদালতেও পাঠানো হয়। এরপর কিছুদিন বন্ধ থাকলেও বর্তমানে তারা ঢাংমারি স্টেশন কর্মকর্তা, কালাবগি ও ঝাপসি টহল ফাঁড়ি ম্যানেজ করে দেদার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য ঢাংমারি স্টেশনে (গোনে) ৩০ হাজার টাকা, স্টাফদের পৃথক ১০ হাজার টাকা ও জোংড়া টহল ফাঁড়িকে ১০ হাজার টাকা হারে পরিশোধ করেন। খুলনা-রূপসা ফিশের মহুরি মো. সাহেব আলী বন বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় অর্থের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যবসায়ী আইয়ুব হোসেন বলেন, আমার কোনো জেলে বিষ দিয়ে মাছ ধরে না। মুন্নার জেলে একাধিকবার ধরা খেয়েছে প্রশাসনের হাতে। কিছু জেলে আছে যারা কালাবগি এলাকার খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরে।

এ ব্যাপারে ঢাংমারি স্টেশনের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিষ দিয়ে মাছ ধরা আগের তুলনায় কমেছে। তবে অনেকেই অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরে। আইয়ুব ও মুন্নাসহ কয়েক ব্যবসায়ী কালাবগি থেকে পাশ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরে। অর্থ লেনদেনের কোনো সম্ভাবনাই নেই। আমরা টহলও জোরদার করেছি।’

জেলের সূত্রটি দাবি করেছে, সরকারি পাশ-পারমিটের রাজস্ব ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। সেখানে কালাবগি স্টেশনে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নৌকায় তিনজন হলে থোক ২ হাজার টাকা দিতে হয়। চারপাটা ও খেপলা জালে ২ জনে ১ হাজার ও বেন্দি জালের জন্য জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা করে দিতে হয়। বিএলসি নবায়নে ৭৫ থেকে ১১০ টাকা রাজস্ব প্রদানের নিয়ম হলেও ২ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে।

কালাবগি স্টেশন কর্মকর্তা মনিরুল হোসেন বলেন, ঢাংমারি ও ঝাপসি পূর্ব বিভাগের মধ্যে। কালাবগি স্টেশন থেকে পাশ নেয় অনেকেই। তারা বিভিন্ন জায়গায় মাছ ধরে। জেলেদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ নেওয়া হয় না। এছাড়া বিষ দিয়ে মাছ ধরার বিষয়ে বন বিভাগ এখন খুবই কঠোর। অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করা হয় না বলে তিনি দাবি করেন। সূত্র: যুগান্তর

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৭, ২০২১ ১০:৪৯ অপরাহ্ন
ত্রিশ কেজির বাঘাইড় মাছ বিক্রি ৩৫ হাজার টাকা
মৎস্য

ত্রিশ কেজি ওজনের এক বাঘাইড় মাছ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায়।

গত শনিবার উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামের জেলে জীবন বিশ্বাসের জালে কুশিয়ারা নদীতে মাছটি ধরা পড়ে। উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের পাইলগাঁও বাজারে শেনুর মিয়া নামে এক যুবক মাছটি কিনেছেন।

জীবন বিশ্বাস জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবারও তিনি কুশিয়ারা নদীতে মাছ ধরতে যান। এদিন জাল ফেলেই পেয়ে যান বিশালাকার বাঘাইড়। খবর পেয়ে অনেকেই মাছটি কিনতে এসেছিলেন। পরে দর-দাম করে শেনুর মিয়া মাছটি কেনেন। এসময় পাইলগাঁও বাজারে দেখা গেছে উৎসুক মানুষের ভিড়।

শেনুর মিয়া জানান, ‘৩৫ হাজার টাকায় মাছটি কিনে আমরা ১৫ জন বন্ধু ও স্বজন কেটে ভাগ করে নিয়েছি বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৭, ২০২১ ৯:১৮ অপরাহ্ন
ঘেরে বিষ প্রয়োগে ১০০ মণ মাছের মৃত্যু!
মৎস্য

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আঁঠারমাইলের মাগুরাঘোনায় মইনুর রহমান নামের এক ব্যক্তির মাছের ঘেরে বিষ দিয়ে ১০০ মণ মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের ভুক্তভোগী। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও ডুমুরিয়ার কাঞ্চনপুর বিলে ২০ একর জমি ইজারা নিয়ে মাছের ঘের তৈরি করেছেন মইনুর রহমান। সেখানে তিনি রুই, কাতলা ও মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ চাষ করেছেন।

তার বড় ছেলে মুন্না সরদার ঘেরটি দেখাশুনা এবং পাহারা দিতেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার (১৫ মে) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তিনি ঘেরের বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর রাত দেড়টার দিকে ঘেরের ক্যানেলের মধ্যে মাছের লাফালাফির শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দেখেন বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ ছটফট করে মারা যাচ্ছে। তখন তিনি ঘেরের পানি নাকের কাছে নিয়ে বিষের গন্ধ পান।

এজাহারে কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত কওসার আলী সরদারের ছেলে আরিজুল সরদার (৪৬), মো. হালিম শেখের ছেলে মো. তালিম শেখ (২৭), আরশাফ আলী সরদারের ছেলে মো. মহসিন সরদার (২৫) ও আব্দুল কাদের মোড়লের ছেলে আলিমুল মোড়লের (২৮) নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাদী মইনুর রহমান বলেন, তার ছেলে মুন্না বিবাদীদের শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘেরের বেড়িতে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন। এ জন্যই তাদের নামে মামলা করা হয়েছে।

১ নং বিবাদী মো. আরিজুল সরদার তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান জানান, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিষ দিয়ে মাছ মারা হয়েছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৭, ২০২১ ৪:২৩ অপরাহ্ন
২০ মে থেকে শুরু হচ্ছে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা
মৎস্য

সাগরে মাছ বৃদ্ধি এবং সুষ্ঠু প্রজননের জন্য ৬৫ দিন মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে যাচ্ছে। আগামী ২০ মে থেকে শুরু হয়ে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে। বাংলাদেশ সরকার এ নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলেদের সহায়তা প্রদান করে আসছে।

মেরিন ফিশারিজ অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে প্রতিবছর ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ। ২০১৫ সালে সব ধরনের নৌযানকে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী আগামী ২০ মে থেকে বন্ধ থাকবে মাছ ধরা।

ইতোমধ্যে জেলেদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৬ হাজার ৭২১ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দিয়েছে। এর আওতায় উপকূলের ১৪টি জেলার ৬৬টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৫টি জেলে পরিবার ৫৬ কেজি করে চাল পাবে।

করোনা মহামারীতে জেলেদের ও আয় কমে গেছে। তার মধ্যে আবার মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এখন কিভাবে তাদের পরিবার চলবে, এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আছেন সব জেলেরা ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৬, ২০২১ ১০:৪৯ অপরাহ্ন
কেন্দুয়ায় শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন
মৎস্য

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় শত্রুতার জেরে হাফিজ উদ্দিন নামের এক খামারের পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার দাবি খামারের জায়গার মালিকদের সাথে লিজ নিয়ে তার দ্বন্দ্বের জেরে এ বিষ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার রাতে উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের রামপুর দুর্গাশ্রম গ্রামে হাফিজ উদ্দিনের মৎস্য খামারে এ ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সাজ্জাত হোসেন বলেন, “পুকুরের পানির প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি। পানির কোনো সমস্যায় মাছগুলো মরে নাই। ধারণা করছি মাছগুলো বিষক্রিয়ায় মারা গেছে।

খামারটির মালিক হাফিজ উদ্দিন জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর পুকুরগুলোতে মাছের খাবার দিয়ে বাড়িতে যান তিনি। রাত ৯টার দিকে পুকুরের মাছ মরে ভেসে ওঠার খবর পেয়ে পুকুর পাড়ে এসে বিষের গন্ধ পান। সবগুলো পুকুরের রুই, কাতল, কার্প, সরপুটিসহ আরও কয়েক প্রজাতির ‘প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে’। “পুকুরের পাড়ে কিছু ট্যাবলেট ও একটি ট্যাবলেটের কৌটা পাওয়া যায়।”

তবে হাফিজের অভিযোগ অস্বীকার করে পুকুরের জায়গার মালিক সুজন আহম্মেদ খা জানান, “তদন্ত করে দেখুক কারা এ কাজ করেছে। তদন্তে যদি আমি দোষী হই তাহলে আমার বিচার হবে।”

কেন্দুয়া থানা ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৫, ২০২১ ৪:৪৬ অপরাহ্ন
দুর্বৃত্তদের বিষে মরল ১৫ লাখ টাকার মাছ
মৎস্য

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে দুর্বৃত্তের দেয়া বিষে মৎস্য ঘেরে ১৫ লাখ টাকার মাছ মারা গিয়েছেঠ। বিষক্রিয়ায় ঘেরে চাষ করা রুই, কাতলা, মৃগেল, গলদা চিংড়িসহ সকল মাছ মরে ভেসে ওঠে।

ঈদের দিন শুক্রবার (১৪ মে) রাতে উপজেলার গাংনি রহমতপুর গ্রামের দুই ভাই আলমগীর সরদার ও ফুরাঙ্গী সরদারের ৬ বিঘা ঘেরে এই বিষ প্রয়োগ করা হয়।

এই ঘটনায় আলমগীর সরদার বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঘের মালিক আলমগীর ও ফুরাঙ্গী সরদার বলেন, শনিবার (১৫ মে) সকালে ঘেরে এসে দেখি ছোট-বড় সব ধরনের মাছ মরে ভেসে উঠছে। এবং ঘেরের পাশে দুটি কিটনাশকের বোতল পড়ে রয়েছে। ধারণা করছি ছোট ভাই বাদশা সরদার হত্যা মামলার আসামিরা পরিকল্পিতভাবে মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে। মাছের ঘেরে বিষ দেওয়ায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্তার শেখ বলেন, আমাদের এলাকার মানুষের আয়ের একমাত্র উপার্জনের উৎস্য মাছ এবং ধান। খবর পেয়ে এসে দেখি ঘেরের মাছ সব-ই মারা গেছে। এ ক্ষতি অপূরণীয়। আমরা এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির জানান, মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop