২:৫০ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • কোরবানির জন্য সুস্থ গরু চিনবেন যেভাবে
ads
প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২২ ৮:২৭ পূর্বাহ্ন
কোরবানির জন্য সুস্থ গরু চিনবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা তথা কোরবানি ঈদ। এই ঈদে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ত্যাগের মহিমা তথা পশু কোরবানি দিয়ে থাকে। আর শরিয়াহ মোতবেক এই পশু হতে একেবারে সুস্থ সবল। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের অবশ্যই নজর রাখতে হবে পশুটিকে স্টেরয়েড ব্যবহার করে মোটাতাজা করানো হয়েছে কিনা? পশুটি রোগাক্রান্ত কিনা? আর একটু সচেতন হলেই এসব সহজে বুঝা সম্ভব।

এ বিষেয়ে মুফতি সাহেবরা বলেন,‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য কোরবানির পশু হতে হবে প্রিয় ও পছন্দনীয় এবং সুস্থ-সবল। চতুষ্পদ পশু অর্থাৎ উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা কোরবানি দেওয়ার বিধান আছে। তবে হরিণ, খরগোশ দিয়ে কোরবানি করার বিধান নেই। এছাড়া কোরবানির জন্য পশুর বয়সও নির্ধারিত রয়েছে।’‘উট ও গরু-মহিষে সাত জনে মিলে সাত ভাগে কোরবানি দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে উটের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর, গরু-মহিষ বয়স ২ বছর এবং ছাগল, ভেড়া, দুম্বার বয়স এক বছর হতে হবে।’

মুফতি আনছারুল হক ইমরান জানান, ‘কোরবানির জন্য শিং যুক্ত হৃষ্টপুষ্ট, অধিক গোশত সম্পন্ন, নিখুঁত, দেখতে সুন্দর এমন পশু নির্বাচন করা উচিত। তবে দু’চোখ বা এক চোখের এক তৃতীয়াংশের বেশি অন্ধ, তিন পায়ে চলে বা চার পায়ে ভর দিতে পারে না এমন পশু, পশুর কান বা লেজের এক তৃতীয়াংশের বেশি কাটা থাকলে, হাড্ডিসার পশু, শিং ওঠেনি অথবা মূল থেকে শিং ভাঙা পশু, যে পশুর একটিও দাঁত নেই, বন্ধ্যা পশু, চর্মরোগের কারণে গোশত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন পশু, গর্ভবতী পশু বা বাচ্চা প্রসবের সময় অত্যাসন্ন পশু কোরবানি করা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাদিসের বিবরণে রয়েছে, কোরবানির পশুকে হাশরের ময়দানে শিং, কান, চোখ, লেজ ইত্যাদিসহ হাজির করা হবে। তবে কেনার পর পশু মারামারি করে শিং ভেঙ্গে গেলে, পা ভেঙ্গে গেলে বা অন্য কোনও উপায়ে আহত হলে সামর্থ থাকলে পুনরায় উত্তম পশু কিনতে পারলে উত্তম। তবে কেনা না গেলে সেই পশু দিয়ে কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে পশুর পা একেবারেই ভাঙা থাকলে, শিং ভেঙ্গে মস্তিষ্ক আহত হলে, অবহেলা বা অযত্নে যদি পশুটি দোষযুক্ত হয় বা পশু চুরি হয়ে গেলে আগের চেয়ে ভালো পশু কিনে কোরবানি দেওয়া উত্তম।’

সুস্থ-সবল পশু চেনার উপায় বর্ণনা করতে গিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিম্যাল সাইন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন জানান, ‘সুস্থ পশুর বৈশিষ্ট্য হলো- লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে, কান নাড়াবে, অবসরে জাবর কাটবে, নাকের নিচের কালো অংশ ভেজা থাকবে যাতে মনে হয় ঘাম বা শিশির জমেছে, চোখ বড় ও উজ্জ্বল থাকবে, নাক দিয়ে পানি বা সর্দি পড়বে না, ষাড় গরুকে বিরক্ত করলে সহজে রেগে যাবে ও গোবর স্বাভাবিক থাকবে।’

পশুর বয়স কিভাবে নিশ্চিত হওয়া নিয়ে তিনি জানান, ‘কোরবানির গরুর বয়স দুই বছর হতে হবে এবং ছাগলের বয়স এক বছর হতে হবে। দাঁত দেখে এ বয়স নির্ণয় করা যায়। পশুরু জন্মের পর যখন দাঁত উঠে তখন তাকে দুধ দাঁত বলা হয়। দুধ দাঁত আকারে খুব ছোট থাকে। গরুর দুই থেকে আড়াই বছর বয়সে প্রথম এক জোড়া দুধ দাঁত (মাঝখানের) পড়ে যায় এবং সে স্থানে বড় আকৃতির এক জোড়া স্থায়ী কর্তন দাঁত উঠে। যার আকার দুধ দাঁতের প্রায় দুই থেকে তিন গুণ। যা দেখলে সহজেই গরুর বয়স বোঝা যায়। এভাবে গরুর বয়স বাড়তে থাকে এবং স্থায়ী দাঁতের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। আর ছাগলের ১২ মাস থেকে ১৫ মাস বয়সে প্রথম এক জোড়া কর্তন দুধ দাঁত (মাঝখানের) পড়ে যায় এবং সে স্থানে বড় আকৃতির এক জোড়া স্থায়ী কর্তন দাঁত উঠে। যার আকার দুধ দাঁতের প্রায় তিন গুণ বড়। যা দেখে ছাগলের বয়স নির্ণয় করা হয়।’

পশুকে স্টেরয়েড খাওয়ানোর বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন বলেন, ‘স্টেরয়েড ব্যবহারে অল্প সময়ে পশুর শরীরে পানি জমে ফুলে উঠে। খাবার কম খেয়ে পানির প্রতি আগ্রহ দেখায়। গরু খুবই শান্ত বা নির্জীব প্রকৃতির হয়। শরীরের মাংসালো অংশে জোরে চাপ দিলে দেবে যায়। মাছি তাড়ানোর জন্য ঘন ঘন লেজ নাড়াবে না।’

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop