ভালো মানের লেয়ার যেভাবে চিনবেন
পোলট্রি
ডিম উৎপাদনের জন্য আমাদের দেশের অনেকেই লেয়ার মুরগি পালন করে থাকেন। তবে ভালো মানের লেয়ার মুরগি নির্ণয় করতে না পারাতে লাভের অংকটা খুব বেশি হচ্ছে না। এই জন্য দরকার ভালো মানের লেয়ার মুরগি নির্ণয় করা। যা একজন খামারিকে আরো লাভবান হতে সহায়তা করবে।
ভালো মানের লেয়ার মুরগি চেনার উপায়:
১.উন্নত মানের মুরগির বেশি ডিম দেয়। মুরগির মাথা হবে ছোট, হালকা এবং মাংসল অংশ থাকবে কম।
২.ভাল মানের মুরগির চোখ সবসময় সতর্ক থাকবে। নাক ও মুখ থাকবে শ্লেষ্মাহীন পরিষ্কার। নাক দিয়ে সর্দিঝরা কিংবা গলার ভেতর ঘড়ঘড় শব্দ হবে না।
৩.ভাল মানের মুরগির মাথার ঝুটি ও গলার ফুল হবে উজ্জ্বল লাল রঙ কিংবা গোলাপি বর্ণের।
৪.ভাল মানের মুরগির চোখের বর্ণ উজ্জ্বল হয়ে থাকে।
৫.পেটে ডিম অনুভব হলে অবশ্যই ওজনে ভারি হবে। এ ধরনের মুরগির পিঠ হয় লম্বা ও প্রশস্ত।
৬.মুরগির দেহ সুগঠিত হবে। পরিমাণমতো খাদ্য ও পানি পান করবে, সে কারণে খাদ্যথলিতে খাবারে ভর্তি থাকবে।
৭.ভাল মানের মুরগির শরীরের কোনো অংশে খুঁত, অপূর্ণতা অথবা বিকলাঙ্গ হবে না। সুস্থ অবস্থায় মুরগির পালক উজ্জ্বল ও সুবিন্যস্ত থাকে।
লেয়ারের ভাল জাতঃ বোভানস্ ব্রাউন ,হাই লাইন ব্রাউন ,ইসা ব্রাউন
যা জানা দরকার:
১। উৎপাদনশীল মুরগির দু’হাড়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব হবে দু’ইঞ্চি। মুরগির তলপেটে হাত দিয়ে বুঝা যাবে এর ডিম ধারণের ক্ষমতা। ডিম দেয়া অবস্থায় তলপেট প্রশস্ত ও নরম থাকে।
২। ডিম পাড়া মুরগির মলদ্বার হবে প্রশস্ত ও ডিম্বাকৃতি। পরীক্ষা করলে সেখানে আর্দ্র ও রক্তাভ দেখাবে। মলদ্বারের উভয় পাশে হাত দিলে পাছার হাড় অনুভব করা যায়।
৩। মুরগীর বয়স বেশি হলে বয়স্ক মুরগি খাবারের জন্য বিক্রি করে খামারের নতুন মুরগি তোলা উচিত। সুস্থ মুরগি সবসময় চঞ্চল থাকে এবং খাবার খুঁজতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। সুত্রঃ কৃষি তথ্য সার্ভিস,বরিশাল