১:২৬ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ ৭:১৪ অপরাহ্ন
ডিম, মুরগি ও ১ দিনের বাচ্চার শুক্রবারের পাইকারি দর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের খামারীদের প্রাপ্ত মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-
তারিখ:০১/০৯/২০২৩ ইং

★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।

ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম= ১২.০০
সাদা ডিম=১১.৮০

ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৪০
সাদা ডিম=১১.০৫

গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১১.২০
সাদা ডিম=১০.৯০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৭০/কেজি
কালবার্ড সাদা=২২০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬০/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৫৮-৬০
লেয়ার সাদা=৬২-৬৪
ব্রয়লার=৩৮-৪০

ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী)
ডিম=
লাল(বাদামী) মাঝারী ডিম=

চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=১২.০০
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
কালবার্ড লাল=৩১০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৫৫-৫৮
লেয়ার সাদা=৫৩-৫৬
ব্রয়লার=৪০-৪২

রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৯০
সাদা ডিম=১০.৫০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি

খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=
সাদা ডিম=

বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৪০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
কালবার্ড লাল=৩০০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬০/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৫৬
ব্রয়লার=৩৬
সোনালী =

ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৩০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৪/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬৫/ কেজি

সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=১২.০০
সাদা ডিম=১১.৯০
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৫৮-৬০
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =৩২-৩৫

[ খাদ্যের দাম কমানোর দাবি করছি]

রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৩০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড=

বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=১১.৫০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজি
সোনালী মুরগী =২৬০/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=১১.২০
সাদা ডিম=১০.৭০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৩৫
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি

নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৪০

সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.১০
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮০/কেজ
সোনালী মুরগী=২৭০/কেজি

ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজি
লেয়ার মুরগী=২৭০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৯০
সাদা ডিম=১০.৫০

নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=১১.৫০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৭/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৪০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.২০
সাদা ডিম=১০.৮০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি

যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=

চুয়াডাঙ্গা:-
লাল(বাদামী ডিম)=১১.৪০

কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=১১.২০
সাদা ডিম=১০.৮০
ব্রয়লার মুরগী=/ কেজি
বাচ্চার দর:-
ব্রয়লার =

লক্ষীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১১.৯০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=১১.৫০
সাদা ডিম=১১.০০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি

একটি যৌথ উদ্যোগ
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (B P I A) এবং
বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (B P K R J P).

ধন্যবাদান্তে
মো:শিমুল হক রানা
যোগাযোগ:০১৮৫৫৯৪৪২৭

প্রকাশ : মার্চ ১, ২০২৩ ২:৫৮ অপরাহ্ন
লেয়ারের বাচ্চা পালনে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী
পোলট্রি

লেয়ারের বাচ্চা পালনে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সেগুলো খামারিদের সঠিকভাবে জেনে খামার শুরু করতে হবে। লেয়ার খামারে উৎপাদন ঠিক রাখার জন্য বাচ্চার যত্ন নেওয়া জরুরী। বাচ্চার ভিত্তিতেই খামারের উৎপাদন অনেক ক্ষেত্রেই নির্ভর করে থাকে।

লেয়ারের বাচ্চা পালনে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবেঃ
বাতাস চলাচলঃ
বাচ্চার যাতে ঠান্ডা না লাগে সে জন্য সীমিতভাবে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হয়।
ছোট ঘরের উপরিভাগে দূষিত বাতাস বের হওয়ার জন্য ফাঁকা জায়গা রাখা হয়।
ঘরের দূষিত বাতাস বের হওয়া এবং বিশুদ্ধ বাতাস প্রবেশের জন্য বাতাস চলাচলের প্রয়োজন।
ঘরের আর্দ্রতাঃ

মেঝেতে যে লিটার বিছানো হয় তার আর্দ্রতা শতকরা ২০ ভাগ থাকা উচিত। লিটারের আর্দ্রতা কমে গেলে মুরগির দেহের জলীয় অংশ শুষে নেয়, ফলে ডিহাইড্রেশন হয়। লিটারের আর্দ্রতা বেশি হলে ঘরে এ্যামোনিয়ার উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং মুরগির শ্বাস-কষ্টজনিত সমস্যা হয়।

লিটার ব্যবস্থাপনাঃ
ভিজা লিটার তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেয়া।
শুকনো মেঝেতে ১ থেকে ২ ইঞ্চি পুরু করে লিটার সামগ্রী বিছানোর পর ব্রুডার গার্ড, হোভার এবং হিটিং সরঞ্জাম বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। লিটার জমাট বাঁধতে না দেয়া। খাঁচায় বাচ্চা ব্রুডিং করলে মেঝেতে লিটার বসানোর প্রয়োজন নেই। সরাসরি ব্রুডার খাঁচা স্থাপন করতে হয়।

খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ
প্রথম দুই দিন বিছানো কাগজের উপর গম বা ভূট্টা ভাঙ্গা বা চালের ক্ষুদ।
তৃতীয় দিন হতে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত সুষম বা সম্পূর্ণ ষ্টার্টার খাদ্য।
তৃতীয় দিন পাত্রে ষ্টার্টার রেশন দেয়া শুরু।
চতুর্থ দিন কাগজের উপর খাদ্য দেয়া বন্ধ করতে হবে।
পানি ব্যবস্থাপনাঃ

প্রাথমিভাবে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা গ্লুকোজ বা চিনি মিশ্রিত পানি প্রদান।
পরবর্তিতে ৩ দিন ভিটামিন মিশ্রিত পানি প্রদান।
ব্রুডারের তাপে পানি গরম হতে দেওয়া, কখনও ঠান্ডা পানি প্রদান করা উচিত নয়।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১১, ২০২২ ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
লেয়ার খামারে উৎপাদন বাড়াতে যত্ন নিবেন যেভাবে
পোলট্রি

লেয়ার খামারে উৎপাদন বাড়াতে যেসব যত্ন নেওয়া দরকার সেগুলো খামারিদের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশে ডিমের চাহিদা পূরণ করতে ব্যাপকহারে লেয়ার মুরগি পালন করা হচ্ছে। খামারে উৎপাদিত এসব ডিম স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন স্থানে সরবারহ করা হচ্ছে।

লেয়ার খামারে উৎপাদন বাড়াতে যেসব যত্ন নেওয়া দরকার:
১। খামারে অধিক ডিম পাওয়ার জন্য মুরগির জন্য সবসময় বিশুদ্ধ পানিয় জল সরবরাহ করা উচিত। গরমের সময় অবশ্যই ঠান্ডা বিশুদ্ধ পানিয় সরবরাহ করা উচিত। পানি পরে গিয়ে মুরগির মেঝে বা লিটার যাতে ভিজে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

২। খামারে অধিক ডিম উৎপাদনের জন্য মুরগিগুলোকে চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য প্রদান করতে হবে। এছাড়াও খামারের মুরগিকে নিয়মিত সবুজ খাদ্যের সরবরাহ দিলে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়।

৩। ডিম পাড়ার সময় প্রাকৃতিক আলো ছাড়াও কৃত্রিম আলোর প্রয়োজন হয়। প্রাকৃতিক আলো ও কৃত্তিম আলোর মোট সময় প্রায় ১২ ঘন্টা + ৫ ঘন্টা = ১৭ ঘন্টা আলোর প্রয়োজন হয়। ভোর বেলা ও সন্ধ্যের সময় এই কৃত্তিম আলো দিতে হবে।

৪। ডিম উৎপাদনের খামারের মুরগির স্বাস্থ্য ঠিক রাখার পাশাপাশি ডিমের উৎপাদন ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।

৫। মুরগির দেহের ওজন কোনভাবেই যাতে খুব বেশি না বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দেহে ফ্যাট বেশি জমলে পরবর্তীকালে ডিমের পরিমাণ কমে যেতে থাকে।

৬। লেয়ার মুরগির খামারে সব সময় আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। খামারের চারপাশে খোলামেলা রাখতে হবে। তবে শীতের সময়ে চারদিকে পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১১, ২০২২ ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
লেয়ার খামারে খাদ্য ও আলোক ব্যবস্থা করবেন যেভাবে
পোলট্রি

ডিম উৎপাদনের জন্য বর্তমানে অনেকেই খামারে লেয়ার মুরগি পালন করে থাকেন। লেয়ার খামারে খাদ্য প্রদান ও আলোক ব্যবস্থাপনা কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে আমাদের দেশের অনেক পোলট্রি খামারিরাই সঠিক ধারণা রাখেন না।

খাদ্য ব্যবস্থাপনা:
লেয়ার মুরগি পালনে খাদ্য খরচ মোট উৎপাদন ব্যয়ের প্রায় ৬০% থেকে ৭৫% এবং খাদ্যের গুনাগুণ ও মূল্যের ওপর লাভলোকসান নির্ভর করে। সেজন্য খামার ব্যবস্থাপনায় খাদ্যের গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু বাসস্থানের পরিবেশ অনুকূল ও আরামদায়ক না হলে শুধু খাদ্য দিয়ে তার অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই খাদ্য সংগ্রহ করা সহজ কি না এবং খাদ্যের মূল্য ন্যায্য কি না তা বিবেচনা করে খামার স্থাপন করতে হবে।

খামারে লেয়ার মুরগির সংখ্যা অনুসারে প্রতিটি মুরগির জন্য দৈনিক ১১০ থেকে ১২০ গ্রাম খাদ্যের প্রয়োজন হিসেবে কমপক্ষে ২ মাসের খাদ্য সংরক্ষণাগার তৈরি করতে হয়। প্রতিটি ব্রয়লার ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত ৪ কেজি খাদ্য খাবে। তাই এ পরিমাণকে ব্রয়লারের মোট সংখ্যা দিয়ে গুণ করে যে ফল দাঁড়াবে সে পরিমাণ খাদ্য ধারণক্ষমতাসম্পন্ন গুদাম তৈরি করতে হবে। বয়সভেদে ব্রয়লারের জন্য ২.৫ থেকে ১০ সেন্টিমিটার লম্বা খাদ্যের পাত্র বা ফিড ট্রাফের প্রয়োজন। সাধারণত ৫০টি বাচ্চার জন্য একটি খাদ্যের লম্বা ট্রে বা পাত্র এবং তদনুযায়ী পানির পাত্র প্রতি ১০০টি বাচ্চার জন্য প্রবহমাণ পানির ১টি ড্রিংকার প্রয়োজন হয়।

আলোক ব্যবস্থাপনা:
খামারে লেয়ার মুরগির জন্য দৈনিক আলোর প্রয়োজন হবে ১৬ ঘন্টা। কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা বছরের ছোট-বড় দিন অনুযায়ী দৈনিক ২.৫ ঘন্টা হতে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত হবে। আলোর উৎস বৈদ্যুতিক বাল্ব। যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই সেখানে উজ্জ্বল হারিকেনের আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। বাল্ব স্থাপনের এক পয়েন্ট হতে আরেক পয়েন্টের দূরত্ব হবে ২০ফুট। প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম যে কোনো উৎস থেকেই ব্রয়লার গৃহে আলোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রথম সপ্তাহে ব্রয়লার গৃহে খাবার ও পানি দেখার জন্য সারারাত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে রাতের বেলায় মাঝে মাঝে আলো নিভিয়ে আবার জ্বালাতে হবে এবং এভাবে সারারাত মৃদু আলো জ্বালিয়ে রাখতে হবে।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৯, ২০২২ ১২:১৫ অপরাহ্ন
আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে খামারিরা যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করার জন্য এখন বিপুল সংখ্যক পোলট্রি তথা মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। আবহাওয়া বা ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে খামারে অনেক সময় প্রভাব পড়ে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি কি রয়েছে সেগুলো খামারিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার।

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে করণীয়:
আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে খামারে বাচ্চা আসার সময় বক্স মর্টালিটি হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে ব্রুডিং অব্যবস্থাপনাজনিত কারণে মুরগির বাচ্চা মারা যায়।

লেয়ার মুরগির খামারের ক্ষেত্রে প্রোডাকশন কিছুটা কমে যায়। শীতকালের মত কম জায়গায় বেশি মুরগি পালনের ফলে মুরগির ওজন কম আসে।

খামারে পর্দা ব্যবস্থাপনার কারণে গ্যাস জমে এবং মুরগির চোখে এ্যামোনিয়া বার্ন হয়, এসসাইটিস দেখা দেয়। খামারে হঠাৎ মুরগির মড়ক দেখা দিতে পারে এবং খামারিদের লোকসান হয়ে থাকে।

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যায় করণীয়:
আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যায় প্রথম এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বায়োসিকিউরিটিতে।খামারের মুরগি অসুস্থ হলে সব ঔষধ বন্ধ করে পরিস্কার পানি দেয়া এবং দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

সঠিক ভাবে এলাকা উপযোগী ভ্যাকসিনেশন শিডিউল মেনে চলা।ব্রুডিংয়ের সময় মুরগীর অবস্থা বুঝে তাপ দেয়া। যেমন বাচ্চা ব্রুডারের নিচে গাদাগাদি করলে তাপ বাড়িয়ে দেয়া।

হঠাৎ অনেক বেশী মড়ক দেখা দিলে অতিদ্রুত পার্শ্ববর্তী ল্যাবে পরীক্ষা করানো।মুরগির খামারে সবসময় জীবাণুমুক্ত পানি সরবরাহ করতে হবে। রাতের বেলা কোন মতেই যেন পানি গ্যাপ না পড়ে তার দিকে খেয়াল রাখা। যদি গ্যাপ পড়ে যায় এবং পাত্র খালি হয়ে যায় তা হলে পরের বার পানি দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই পানির পাত্র বাড়িয়ে দিতে হবে।

প্রকাশ : জুন ১৫, ২০২২ ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
ভালো মানের লেয়ার যেভাবে চিনবেন
পোলট্রি

ডিম উৎপাদনের জন্য আমাদের দেশের অনেকেই লেয়ার মুরগি পালন করে থাকেন। তবে ভালো মানের লেয়ার মুরগি নির্ণয় করতে না পারাতে লাভের অংকটা খুব বেশি হচ্ছে না। এই জন্য দরকার ভালো মানের লেয়ার মুরগি নির্ণয় করা। যা একজন খামারিকে আরো লাভবান হতে সহায়তা করবে।

ভালো মানের লেয়ার মুরগি চেনার উপায়:
১.উন্নত মানের মুরগির বেশি ডিম দেয়। মুরগির মাথা হবে ছোট, হালকা এবং মাংসল অংশ থাকবে কম।

২.ভাল মানের মুরগির চোখ সবসময় সতর্ক থাকবে। নাক ও মুখ থাকবে শ্লেষ্মাহীন পরিষ্কার। নাক দিয়ে সর্দিঝরা কিংবা গলার ভেতর ঘড়ঘড় শব্দ হবে না।

৩.ভাল মানের মুরগির মাথার ঝুটি ও গলার ফুল হবে উজ্জ্বল লাল রঙ কিংবা গোলাপি বর্ণের।

৪.ভাল মানের মুরগির চোখের বর্ণ উজ্জ্বল হয়ে থাকে।

৫.পেটে ডিম অনুভব হলে অবশ্যই ওজনে ভারি হবে। এ ধরনের মুরগির পিঠ হয় লম্বা ও প্রশস্ত।

৬.মুরগির দেহ সুগঠিত হবে। পরিমাণমতো খাদ্য ও পানি পান করবে, সে কারণে খাদ্যথলিতে খাবারে ভর্তি থাকবে।

৭.ভাল মানের মুরগির শরীরের কোনো অংশে খুঁত, অপূর্ণতা অথবা বিকলাঙ্গ হবে না। সুস্থ অবস্থায় মুরগির পালক উজ্জ্বল ও সুবিন্যস্ত থাকে।

লেয়ারের ভাল জাতঃ বোভানস্ ব্রাউন ,হাই লাইন ব্রাউন ,ইসা ব্রাউন

যা জানা দরকার:

১। উৎপাদনশীল মুরগির দু’হাড়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব হবে দু’ইঞ্চি। মুরগির তলপেটে হাত দিয়ে বুঝা যাবে এর ডিম ধারণের ক্ষমতা। ডিম দেয়া অবস্থায় তলপেট প্রশস্ত ও নরম থাকে।

২। ডিম পাড়া মুরগির মলদ্বার হবে প্রশস্ত ও ডিম্বাকৃতি। পরীক্ষা করলে সেখানে আর্দ্র ও রক্তাভ দেখাবে। মলদ্বারের উভয় পাশে হাত দিলে পাছার হাড় অনুভব করা যায়।

৩। মুরগীর বয়স বেশি হলে বয়স্ক মুরগি খাবারের জন্য বিক্রি করে খামারের নতুন মুরগি তোলা উচিত। সুস্থ মুরগি সবসময় চঞ্চল থাকে এবং খাবার খুঁজতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। সুত্রঃ কৃষি তথ্য সার্ভিস,বরিশাল

প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২২ ৩:৪২ অপরাহ্ন
লেয়ার ফার্মে রেকর্ড রাখার গুরুত্ব
পোলট্রি

লেয়ার ফার্মে দৈনন্দিন কাজের রেকর্ড রাখা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারন  লেয়ার মুরগী খামারে প্রতিদিনের হিসাব থাকলে একজন খামারি লাভ-লোকসানের হিসাব সর্ম্পকে অবগত থাকবেন। তাই লেয়ার ফার্মিংয়ে রেকর্ড রাখতে হলে কিছু দিকনির্দেশনা মেনে চলতে হবেঃ-

কোন তথ্যে বেশি গুরুত্ব দিবেন?

লেয়ার ফার্ম-
নাম ঠিকানাঃ
ডেইলি রিপোর্ট-

শেড নং-
১.মুরগি উঠানোর তারিখ:
২. প্রথম দিন মুরগির সংখ্যাঃ
৩। আজকের তারিখে বয়স (দিন বা সপ্তাহে)ঃ
৪। আজকের দিনের শুরুতে মুরগির সংখ্যাঃ
৫ । আজকে মৃত মুরগির সংখ্যা:
৬। আজকে কাল মুরগীর সংখ্যাঃ
৭। আজ বিক্রিত মুরগির সংখ্যাঃ
৮৷ বিক্রি করা মুরগির গড় ওজন এবং মোট কত কেজিঃ
৯। মুরগির প্রতি কেজির দামঃ
১০। দিন শেষে মুরগির সংখ্যাঃ (ব্যালেন্স)
১১। অসুস্থ মুরগির সংখ্যা ( যদি থাকে)
১২। আজকে ডিম উৎপাদনঃ
১৩৷ আজকে ডিম উৎপাদনের হার (%) ( হেন ডে প্রোডাকশন)ঃ
১৪। নষ্ট ডিমের সংখ্যা:
১৫। ভালো ডিমের সংখ্যাঃ
১৬। আজকে প্রতিটি ডিমের গড় ওজনঃ
১৭। এই পর্যন্ত মোট কত ডিম পাড়ল ( হেন হাউজ প্রোডাকশন)
১৮। আজ মোট খাবার গ্রহনের পরিমানঃ কেজি।
১৯। মুরগি প্রতি আজ খাবার গ্রহনের পরিমানঃ গ্রাম।
২০। মোট পানি গ্রহনঃ লিটার।
২১। এ পর্যন্ত মুরগী মোট কত খাবার খেলঃ কেজি
২২। আজকে ব্যবহার ঔষধ ও টিকা : ক) খ) গ) ঘ)
২৩। ডিমের আজকের বাজার দরঃ ক) ভাল ডিম খ) ছোট ডিম গ) ভাঙা ডিম
২৪। আজ শেডে দিন শেষে খাবার মজুদঃ কেজি।
২৫। আজকের ডিম মজুদঃ

ছোট থেকে মাঝারি লেয়ার খামারি ভাইয়েরা এই চার্ট ফলো করে দেখেন আপনি আপনার ফার্মে আসলে কি হচ্ছে একটা ধারনা সব সময় পাবেন। 

অঞ্জন মজুমদার
লেখক ও সমন্বয়ক
পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ ( পিপিবি)

প্রকাশ : এপ্রিল ১, ২০২২ ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
লেয়ার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল
পোলট্রি

লেয়ার মুরগি হলো ডিম উৎপাদনের জন্য বিশেষ ধরনের মুরগি যাদেরকে একদিন বয়স থেকে পালন করা হয়, যারা ১৮ থেকে ১৯ সপ্তাহ বয়সে ডিম দিতে শুরু করে এবং উৎপাদনকাল ৮০ থেকে ১০০ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত স্হায়ী হয়।

খামারকে ভাইরাস জনিত রোগ থেকে মুক্ত রাখতে হলে যথাযথভাবে টিকা প্রাদান করার বিকল্প নেই। মুরগির টিকাপ্রাদন তালিকা প্রনয়নে, অনেকগুলি বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। যেমন- লেয়ারের জাত, প্রাপ্ত ইমিউনিটি, এলাকা, আবহাওয়া, মুরগির স্বাস্থ্য ইত্যাদি।

যদিও বিভিন্ন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানি বিভিন্ন টিকাদান কর্মসূচি প্রস্তাবন করে থাকে। তবে আমাদের দেশে সর্বাধিক প্রচলিত টিকাদান কর্মসূচি নিচে উল্লেখ করা হলো।

বাণিজ্যিক লেয়ার মুরগির প্রস্তাবিত টিকাদান কর্মসূচি

 

বয়স রোগের নাম ভ্যাকসিনের নাম প্রকৃতি প্রয়োগ পদ্ধতি
১-৩ দিন ম্যারেক্স
রাণীক্ষেত+ ব্রংকাইটিস
ম্যারেক্স,
আইবি+ এনডি
লাইভ ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন
চোখে ফোঁটা
৭-৯ দিন গামবোরো আই বি ডি লাইভ ফুখে ফোঁটা
১০-১২ দিন রাণীক্ষেত+ গামবোরো জি + এনডি কিল্ড ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন
১৬-১৭ দিন রাণীক্ষেত ল্যাসোটা লাইভ চোখে ড্রপ
১৮-২০ দিন গামবোরো আই বি ডি লাইভ খাবার পানিতে
২৪-২৮ দিন এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা
(বার্ড ফ্লু)
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (H5N1) কিল্ড চামড়ার নিচে ইনজেকশন
৩০-৩৫ দিন ফাউল পক্স ফাউল পক্স ডি এন এ লাইভ ডানায়সূচ ফুটানো
৪০-৪৫ দিন মাইকোপ্লাজমা মাইকোপ্লাজমা কিল্ড ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন
৬-৭ সপ্তাহ রাণীক্ষেত এনডি কিল্ড ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন
৮ সপ্তাহ ফাউল কলেরা ফাউল কলেরা কিল্ড নির্দেশনা মোতাবেক
৯ সপ্তাহ ইনফেকশাস করাইজা, সালমোনেলা করাইজা + সালমোনেলা কিল্ড
লাইভ
নির্দেশনা মোতাবেক
১০ সপ্তাহ ব্রংকাইটিস (ভ্যারিয়ান্ট) আইবি ভ্যারিয়ান্ট লাইভ খাবার পানিতে
১২ সপ্তাহ ফাউল কলেরা ফাউল কলেরা কিল্ড নির্দেশনা মোতাবেক
১৫-১৬ সপ্তাহ এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা
(বার্ড ফ্লু)
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (H5N1) কিল্ড চামড়ার নিচে ইনজেকশন
১৬ সপ্তাহ করাইজা, সালমোনেলা, রাণীক্ষেত, ব্রংকাইটিস
ও এগ ড্রপ সিন্ড্রোম
জি + এনডি +আইবি + ইডিএস কিল্ড নির্দেশনা মোতাবেক

 

প্রতি ৬ মাস অন্তর রানীক্ষেত কিল্ড ভ্যাকসিন দিতে হবে। ভ্যাকসিন টাইটার কমে গেলে লাইভ ভ্যাকসিন করা যেতে পারে। সালমোনেলা রোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার পূর্বে মুরগি সালমোনেলা মুক্ত কিনা পরীক্ষা করে নিলে ভ্যাকসিন কার্যকর হয়ে থাকে।উল্লেখ্য বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে ভ্যাকসিন বাজারজাত করে থাকে। এক্ষেত্রে রোগের নাম অনুযায়ী ভ্যাকসিন নির্বাচন করতে হবে।

এলাকা আবাহাওয়া, মুরগির স্বাস্থ ইত্যাদি বিবেচনায় উল্লেখিত লেয়ার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল পরিবর্তন করা যেতে পারে।

প্রকাশ : মার্চ ২০, ২০২২ ১২:১৫ অপরাহ্ন
ভালো মানের লেয়ার মুরগি যেভাবে চিনবেন
পোলট্রি

ডিম উৎপাদনের জন্য আমাদের দেশের অনেকেই লেয়ার মুরগি পালন করে থাকেন। তবে ভালো মানের লেয়ার মুরগি নির্ণয় করতে না পারাতে লাভের অংকটা খুব বেশি হচ্ছে না। এই জন্য দরকার ভালো মানের লেয়ার মুরগি নির্ণয় করা। যা একজন খামারিকে আরো লাভবান হতে সহায়তা করবে।

ভালো মানের লেয়ার মুরগি চেনার উপায়:
উন্নত মানের মুরগির বেশি ডিম দেয়। মুরগির মাথা হবে ছোট, হালকা এবং মাংসল অংশ থাকবে কম।
ভাল মানের মুরগির চোখ সবসময় সতর্ক থাকবে। নাক ও মুখ থাকবে শ্লেষ্মাহীন পরিষ্কার। নাক দিয়ে সর্দিঝরা কিংবা গলার ভেতর ঘড়ঘড় শব্দ হবে না।

ভাল মানের মুরগির মাথার ঝুটি ও গলার ফুল হবে উজ্জ্বল লাল রঙ কিংবা গোলাপি বর্ণের।
ভাল মানের মুরগির চোখের বর্ণ উজ্জ্বল হয়ে থাকে।

পেটে ডিম অনুভব হলে অবশ্যই ওজনে ভারি হবে। এ ধরনের মুরগির পিঠ হয় লম্বা ও প্রশস্ত।
মুরগির দেহ সুগঠিত হবে। পরিমাণমতো খাদ্য ও পানি পান করবে, সে কারণে খাদ্যথলিতে খাবারে ভর্তি থাকবে।
ভাল মানের মুরগির শরীরের কোনো অংশে খুঁত, অপূর্ণতা অথবা বিকলাঙ্গ হবে না। সুস্থ অবস্থায় মুরগির পালক উজ্জ্বল ও সুবিন্যস্ত থাকে।

লেয়ারের ভাল জাতঃ বোভানস্ ব্রাউন ,হাই লাইন ব্রাউন ,ইসা ব্রাউন

যা জানা দরকার:

১। উৎপাদনশীল মুরগির দু’হাড়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব হবে দু’ইঞ্চি। মুরগির তলপেটে হাত দিয়ে বুঝা যাবে এর ডিম ধারণের ক্ষমতা। ডিম দেয়া অবস্থায় তলপেট প্রশস্ত ও নরম থাকে।

২। ডিম পাড়া মুরগির মলদ্বার হবে প্রশস্ত ও ডিম্বাকৃতি। পরীক্ষা করলে সেখানে আর্দ্র ও রক্তাভ দেখাবে। মলদ্বারের উভয় পাশে হাত দিলে পাছার হাড় অনুভব করা যায়।

৩। মুরগীর বয়স বেশি হলে বয়স্ক মুরগি খাবারের জন্য বিক্রি করে খামারের নতুন মুরগি তোলা উচিত। সুস্থ মুরগি সবসময় চঞ্চল থাকে এবং খাবার খুঁজতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। সুত্রঃ কৃষি তথ্য সার্ভিস,বরিশাল

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২১, ২০২১ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
২ হাজার দিয়ে শুরু করে ১০ হাজার মুরগির মালিক হাফেজ সোহেল
পোলট্রি

দু‘হাজার লেয়ার দিয়ে শরু করে এখন সাড়ে আট হাজার লেয়ার এবং তেরো‘শ ব্রয়লারের মালিক ভোলার লালমোহনের হাফেজ সোহেল। হাফেজী, ক্বওমী এবং ভোকেশনাল পড়া অবস্থায় স্বাবলম্বী হওয়া এবং পরিবারকে সাপোর্ট দেয়ার তাড়নায় শুরু করেন মুরগি এবং মাছের খামার। সময়ের স্রোতে আজ একজন সফল খামারি তিনি। এগ্রিভিউ২৪.কম এর সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে উঠে আসে সংগ্রামী জীবনের গল্প।

এক সময় এলাকায় নিয়মিত ক্রিকেট খেলায় ভালো নামডাক ছিল। বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে পুরো পরিবারের দ্বায়িত্ব চলে আসে তার কাঁধে। ফলে পরিবারের কথা চিন্তা করে এক বন্ধুর সাথে কিছু মাস মুরগির খামারে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শুরু করেন খামার।

সোহেল জানান, ১০ লাখ টাকা চালান দিয়ে এবং ডিলারের কাছে ৯লাখ টাকা বকেয়া রেখে শুরু করেন খামার। তবে, তার সেই ব্যাচ শেষ হওয়ার আগেই শোধ করে দেন ডিলারের বকেয়া। তারপর ২০১৭ সালের প্রথম দিকের ১ম ব্যাচ এর লাভ দিয়ে পরে তিন হাজারের একটা পুরো সেট তিনি সম্পূর্ণ করেন। যেখানে তার লাভ হয়েছিলো প্রায় ১৫ লাখ টাকার মত। এভাবেই চলতে থাকে হাফেজ সোহেলের খামার ব্যবসা ।

খামারে ভালো উৎপাদন, ডিমের দাম ভালো থাকা আর খামারে নিজেই কাজ করাতে ভালো লাভের মুখ দেখেছেন তিনি । লকডাউনের ভিতরে লাভ কিছুটা কম হলেও লস হয়নি বলে এগ্রিভিউ২৪.কম কে জানান হাফেজ সোহেল।

বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, আজ ৫ বছর ধরে খামার করছি তবে ২০২১ সালটাতে এসে খুব একটু সুবিধা করতে পারছি না, বর্তমানে বাজারে ফিডের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা খামারিদের নাগালের বাইরে। যে হারে ফিডের দাম বাড়ছে সেই হারে বাড়ছে না বাজারে মুরগির দাম। এছাড়া ডিমের দামও খুব বেশি উঠানামা করে ফলে বেশি টাকা দিয়ে ফিড কিনে যদি চালানও না উঠে তবে সেখানে খামারিদের হতাশ হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।

তিনি বলেন, ফিডের সাথে সাথে বাজারে মুরগি এবং ডিমের দামও বাড়াতে হবে। একদিকে ফিডের দাম বাড়বে আর অন্যদিকে মুরগি আর ডিমের দাম কমবে এতে করে খামারিদের লস ই হবে। তবে, এই সেক্টরে দাম উঠা-নামা করলে এবং সঠিক পরিচর্যা আর নিয়ম মেনে খামার করতে পারলে লাভের অংকটাই বেশি বলে জানান সোহেল।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop