চালের দাম বাড়লেও একদম গরিরেব কষ্ট হয়নি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ
‘আমরা ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেই। চালের দাম বাড়লেও যারা একদম গরিব তাঁদের কিন্তু অত কষ্ট হয়নি। খাদ্য নিয়ে দেশে কিন্তু কোনও হাহাকার হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতর থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বোরো ধান কাটা কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘আপনারাও (সাংবাদিকরা) কিন্তু খবর লিখতে পারেননি যে, উত্তরবঙ্গে মঙ্গা হয়েছে, মানুষ না খেয়ে আছে। দুর্ভিক্ষ হলে কিন্তু বাজারে চাল পাওয়া যায় না। এ রকম কিন্তু হয়নি। জেলা পর্যায়ে ওএমএস দেওয়া হয়েছে। কাজেই ও রকম কষ্ট মানুষের হয়নি। কিছু কষ্ট হয়েছে আমরা সেটা স্বীকার করি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর বোরোর ফলন ভালো হয়েছে। এবার বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বোরো চাল বাজারে এলে দাম স্বাভাবিক হবে।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ। প্রতি বছর ২২ লাখ নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে। এদের মুখে আমাদের অন্ন তুলে দিতে হচ্ছে। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের খাবার জোগান দিতে হচ্ছে। ডব্লিউএফপি বাংলাদেশ থেকে খাদ্য কিনেই রোহিঙ্গাদের দেয়, বাইরে থেকে আনা হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষকের দিকটাও দেখতে হবে। আবার লেখা শুরু হয়েছে, ধানের দাম কমে যাবে কিনা। আমার মনে হয় না, এবার ধানের দামটা সেভাবে কমবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘যদি কোনও বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, আমরা যদি ধান ঘরে তুলতে পারি, ইনশাআল্লাহ ধান-চালের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে।’