কোরবানির জন্য ৪ লাখ গরু প্রস্তুত করছেন সিরাজগঞ্জের খামারিরা
প্রাণিসম্পদ
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার ১৫ হাজার খামারে চলছে গবাদিপশু মোটাতাজা করণের কাজ।
করোনার প্রভাবে গত দুই বছর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এ বছর ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। জেলায় প্রায় ৪ লাখ গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন স্থানীয় খামারিরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১৫ হাজার বাণিজ্যিক খামার ও ব্যক্তিগতভাবে এই গবাদিপশুগুলো প্রস্তুুত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়তি লাভের আশায় অনেকেই কোরবানির ৫ থেকে ৬ মাস আগেই গরু লালন-পালন শুরু করেন। কোরবানি উপলক্ষে জেলায় ৩ লাখ ৯১ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে।
এবছর জেলায় প্রায় আড়াই লাখ গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে। বাকি পশু ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য পাঠানো হবে বলে খামারিদের সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলায় খামারি আছেন ১৫ হাজার। এই খামারগুলোতে দেশি, শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে প্রত্যেক খামারি কয়েক লাখ টাকা করে লোকসান গুনেছেন। এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সেই লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছেন খামারিরা। তবে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। এতে গবাদি পশু পালনে খরচ বেড়েছে।
খামারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩ মাস আগে ৪০ কেজি ভুষির মূল্য ছিল ১৩শ থেকে ১৪শ টাকা। এখন সেই ভুষি কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। আর খৈলের ৪০ কেজি বস্তার বাজারদর আগে ছিল ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা। এখন খৈলের বস্তার দাম ২ হাজার টাকা।