২:৫৭ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • শীতকালিন সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় যশোরের চাষিরা
ads
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ ৮:১৩ পূর্বাহ্ন
শীতকালিন সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় যশোরের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

ডিজেল, সার-কীটনাশক ও শ্রমিকের মূল্য বেশি হওয়ায় এবার সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তার পড়েছেন যশোরের চাষিরা। শেষ সময়ে সবজি চাষের পরিচর্যায় তারা ব্যস্ত সময় পার করলেও সবজি উৎপাদনের উপযুক্ত সময়ে দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। এ অবস্থায় প্রান্তিক চাষিরা সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।

দেশের সবজি উৎপাদনের উল্লেখযোগ্য জেলার মধ্যে যশোর হচ্ছে অন্যতম জেলা। দেশের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ সবজিই এ জেলা থেকে সরবরাহ করা হয়। প্রায় বছরজুড়েই জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে নানা জাতের সবজি চাষ হয়। তবে শীত মৌসুমকে টার্গেট করে এ জেলার চাষিরা প্রচুর সবজি চাষ করলেও এবছর প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারণে তারা অনেক পিছিয়ে পড়েছেন। অন্যান্য বছরে এ সময় বাজারগুলো আগাম জাতের শীতকালীন সবজিতে সয়লাব হয়ে গেলেও দীর্ঘ অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে উৎপাদনের সময় প্রায় এক মাস পিছিয়ে গেছে বলে জানান চাষিরা। সর্বশেষ বৃষ্টি পেয়ে সবজি চাষ শুরু করলেও চাষিরা খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

চাষিরা জানান, একদিকে প্রকৃতির বৈরিতার কারণে তারা চাষে কোনো লাভ করতে পারছেন না। এরপর সার-কীটনাশকের সংকট ও মূল্য বেশি। একইসঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত শ্রমিকের মূল্য মেটাতে গিয়ে তারা পথে বসতে চলেছেন। এ অবস্থায় সবজির ন্যায্য দাম ও সরকারি সহায়তার দাবি তাদের।

জানা যায়, বিস্তীর্ণ ক্ষেতে কৃষকরা তাদের সবজির পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। এ সময় তারা চলতি মৌসুমের সবজি চাষ নিয়ে নানা আক্ষেপ ও উদ্বেগের কথা জানান। কৃষকরা জানান, অন্যান্য বছরে ঠিক এই সময়ে এসব তারা সবজি বাজারে তুলতে পারলেও এ বছর দীর্ঘ অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে প্রায় এক মাস পিছিয়ে রয়েছি। ফলে সময়মতো এ বছর শীতের এ সবজি বাজারে তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা।
গোলাম সরোয়ার নামে আরেক চাষি জানান, বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ এই কপি যখন আমরা বাজারে তুলব, তখন এর দাম পাওয়া যাবে না। এতে নিশ্চিত আমরা ক্ষতির মুখে পড়ব বলে মনে করছি। তিনি বলেন, বাজারে সার কিনতে গেলে সার পাওয়া যাচ্ছে না। গেলেও তা অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। একই সঙ্গে শ্রমিকের মূল্যে আগের চেয়ে জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। এ অবস্থায় আমরা পেরে উঠছি না। তিনি বলেন, সরকার যদি আমাদের প্রণোদনার আওতায় না আনে, তাহলে আগামীতে এ অঞ্চলে অনেক চাষিই ঝরে পড়বে। তারা বিকল্প হিসেবে অন্যকিছু চাষ করতে বাধ্য হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক জানান, আবহাওয়াজনিত সমস্যার কারণে এ বছর শীতকালীন সবজি চাষে কৃষক কিছুটা পিছিয়ে আছে বটে, তবে শেষ সময়ে বৃষ্টি পেয়ে তারা পুরোদমে চাষ শুরু করেছেন। আশা করছি, সামনে কোনো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক তাদের ক্ষেতে বাম্পার ফলন পাবেন। উৎপাদনের উপযুক্ত সময়ে তারা ভালো দামে সবজি বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে তিনি দাবি করেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop