নতুন খামারী হয়েও কোন লসের মুখ দেখেননি হৃদয়
পোলট্রি
মো. হৃদয় একজন নতুন সফল খামারী। তিনি কুষ্টিয়া জেলার খোকশা উপজেলার রাধানগরের মো.ইউনুছ আলী প্রামানিকের ছেলে। চাকরী না করে অন্যকে চাকরী দেয়ার মানসিকতা থেকেই খামারের দিকে ঝুঁকেছিলেন তিনি। ফরিদপুর পলিটেকনিক্যালে ইঞ্জিয়ার ৪র্থ সেমিস্টারে পড়া অবস্থায় তিনি গড়ে তুলেন খামার। আর এই খামার করতে গিয়ে এখনও কোন লসের মুখ দেখেননি এই নতুন খামারী মো. হৃদয়। এগ্রিভিউ২৪.কম এর একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তার সফলতার গল্প।
হৃদয় জানান, তিনি ২০২০ সাল থেকেই পাশের গ্রামের বন্ধুর দেখাতে শুরু করেন খামার। প্রথমে মাত্র ৩০০০ টাকায় ২০০ সোনালি মুরগির বাচ্চা দিয়ে শুরু করেন খামার। আর তাতে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টাকার মত। তিনি সেই প্রথম সেডে লাভ করেন প্রায় চার হাজার টাকার মত। যা ছিলো তাঁর অনুপ্রেরণার প্রথম মাধ্যম।
২য় সেড তিনি শুরু করেন ৭ হাজার টাকার ৬০০ বাচ্চা দিয়ে। যাতে মোট খরচ হয় প্রায় ৭২ হাজার টাকার মত। আর তিনি তাতে লাভ করেন ২৫ হাজার টাকার মত। তারপরে খামার বিভিন্ন কারণে বন্ধ রাখেন কয়েক মাস। কয়েক মাস বন্ধ রেখে আবার ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে তিনি শুরু করেন ব্রয়লার দিয়ে খামার। আর তাতেও লাভের মুখই দেখেন এই নতুন খামারী হৃদয়।
এগ্রিভিউ২৪.কম‘কে হৃদয় জানান, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এসে তিনি ২৮০টি বাচ্চা দিয়ে শুরু করেন। আর তাতে তথা ২০২১ সালের প্রথম সেডে তিনি লাভ করেন প্রায় ১৩ হাজার টাকার মত। আর বর্তমানে তার খামারে ৫০০ বাচ্চা আছে যার বয়স মাত্র ২২ দিন। ইনশাআল্লাহ সব ঠিক থাকলে এবারও তিনি লাভের আশা করছেন বলে জানান এগ্রিভিউ২৪‘কে।
যদিও সফলতার গল্প শুনিয়েছেন তিনি। তবে অভিযোগও তার কম না। বাজারে বাচ্চার মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশার কথাও তিনি শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এভাবে বাচ্চার দাম বৃদ্ধি পেতে থাকলে আমরা যারা উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা করেছি আমাদের পথে এটা বাধা হয়ে দাঁড়াবে। তাছাড়া খাবারের দামও অধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে ২২‘শ টাকার খাবারের বস্তা এখন প্রায় ২-৩‘শ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়। যার কারণে নতুন খামারিরা সামনে এগোতে ভয় পাচ্ছে। একদিকে বাড়ছে মুরগির বাচ্চার দাম আর অন্যদিকে খাবারের দাম। এই দুটোতে সামঞ্জস্য আনার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।