পেঁয়াজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পাইকপাড় গ্রামের কৃষকরা বিক্রির আশায় স্তুপ করে রেখেছে পেঁয়াজ। সংরক্ষণের অভাব থাকায় প্রত্যাশিত দামের বাইরে গিয়ে অল্পতেই ফসল বিক্রি করে দিচ্ছে উপজেলার কৃষকরা।
পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলামের বাড়িতে দেখা যায়, বাড়ির বাইরে মেয়েরা গাছ থেকে পেঁয়াজ কেটে আলাদা করছেন। বাড়ির মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পেঁয়াজ।
তিনি জানান, এবছর আট বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছেন তিনি। এসব জমিতে চাষ করেছেন হাইব্রীড লাল তীরকিং জাত। যার মধ্যে অর্ধেক জমির পেঁয়াজ বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। এখনও মাঠে পেঁয়াজ রয়েছে। প্রতি বিঘায় সব মিলিয়ে ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একবিঘায় (৪০ শতাংশ) একশো ২০ মণ পেঁয়াজ পাচ্ছেন। যা ১৪ শত টাকা প্রতি মণ দরে বিক্রি করে এক লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা ঘরে আসবে।
চর সোন্দহ গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম জানান, তিনিও তার জমিতে এ পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ক্ষেত থেকে ছয়শো মণ পেঁয়াজ পাবেন বলে তিনি আশা করছেন। তবে সরকারিভাবে এ উপজেলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে কৃষকরা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারেন না। তাই অনেক সময় সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হন।
শৈলকুপার পেঁয়াজ ব্যাবসায়ী রেজাউল বিশ্বাস জানান, শৈলকুপা বাজার থেকে ঢাকার কারওয়ান বাজার, ভৈরব, সিলেট, চট্রগাম, খুলনা, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজ যায়। দেশের চাহিদার বড় একটি অংশের যোগান শৈলকুপা থেকে হয়ে থাকে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলায় চাষযোগ্য জমি আছে ২৮ হাজার পাঁচশো হেক্টর। তারমধ্যে এ বছর পেঁয়াজের চাষ হয়েছে সাত হাজার আটশো ৯০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে শুধু পাইকপাড়া গ্রামে চাষ হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে। বারি-১, লাল তীর, লাল তীর কিংসহ বেশ কয়েকটি জাতের পেঁয়াজ বেশি চাষ হচ্ছে। এবছর অনেক কৃষক সুখসাগর জাতও চাষ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আক্রাম হোসেন জানান, এ উপজেলায় পেঁয়াজের চাষ বাড়ছে। গত ১০ বছরে এ চাষ বেড়েছে। এবার উপজেলায় পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম। এখানে একটি কোল্ড স্টোর জরুরি।