৯:৩২ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ৯, ২০২১ ৬:৫০ অপরাহ্ন
নওগাঁর ‘ব্যানানা ম্যাঙ্গো’ যাচ্ছে ইংল্যান্ডে
এগ্রিবিজনেস

নওগাঁ জেলা থেকে আম রুপালি আমের পর এবার বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে ‘ব্যানানা ম্যাঙ্গো’। ইংল্যান্ডে রপ্তানির উদ্দেশ্যে বুধবার (৭ জুলাই) বিকেলে তৃতীয় চালানে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্ক থেকে ৫০০ কেজি ব্যানানা আম ও ৫০০ কেজি আম রুপালি আম ঢাকার শ্যামপুরে পাঠানো হয়েছে।

সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) রাতেই নওগাঁর আমের এই চালান যুক্তরাজ্যে পৌঁছাবে।

এর আগে গত ১৭ ও ২০ জুন সাপাহার উপজেলার বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্ক ও রূপগ্রাম অ্যাগ্রো ফার্ম-এর মালিক তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা দুই চালানে আম রুপালি আড়াই মেট্রিক টন ইংল্যান্ডে পাঠান। বাংলাদেশ ফুড অ্যান্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তিনি ইংল্যান্ডে আম রপ্তানি করেন।

সম্প্রতি দেশে আম উৎপাদনকারী অন্যতম প্রধান জেলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁ। এ জেলায় চলতি বছর ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এ বছর ২ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

এ জেলায় উৎপাদিত আমের ৬০ শতাংশই আম রুপালি জাতের আম (বারি আম-৩)। এ জন্য নওগাঁ আম রুপালি আমের জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেছে। এছাড়াও দেশীয় জাত ক্ষিরসাপাত, ল্যাংড়া, নাগফজলী, আশ্বিনা, কাটিমন, বারি আম-৪ ও হাড়িভাঙা আম চাষ হচ্ছে। দেশী প্রজাতির আম ছাড়াও বিদেশী জাতের মিয়াজাকি, থাই ব্যানানা ম্যাঙ্গো, রেড পালমার, টেনসিংটন প্রাইড, অস্টিন, গিলানি ও রুবি জাতের আমগাছও রয়েছে। এ জেলার সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলা উপজেলায় আমের বাগান বেশি রয়েছে।

সাপাহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুজিবর রহমান জানান, বিষমুক্ত ও নিরাপদ আম চাষের জন্য উপজেলার ১৫ চাষিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মৌসুমজুড়েই এই চাষিদের বাগানে আম উৎপাদনের প্রক্রিয়া আমরা দেখভাল করেছি। এই চাষিদের উৎপাদিত ও ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত আম বিদেশে পাঠানোর জন্য উপযুক্ত। যে আম দেশের বাজারে দুই হাজার টাকা মণে বিক্রি হচ্ছে সেই আম রপ্তানিকারকদের কাছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন চাষিরা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (বারি) ফল ও উদ্যান গবেষণা বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিনের সহযোগিতায় গত ১৭ জুন এক মেট্রিক টন (এক হাজার কেজি) ও ২০ জুন আরও দেড় মেট্রিক টন আম রুপালি আম কোনো ঝামেলা ছাড়াই বিদেশে পাঠাতে পেরেছেন তিনি। তৃতীয় চালান নিয়েও ঝামেলা হবে না বলে তিনি মনে করেন। লন্ডনের একজন ক্রেতা আমগুলো আমার থেকে নিচ্ছেন। সেখান থেকে ইংল্যান্ড ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তিনি আম বিক্রি করে থাকেন। এ বছর আরও প্রায় ৫-৬ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করতে পারবেন। যুক্তরাজ্য ছাড়াও ফিনল্যান্ড, ইতালি ও সুইডেনে আম পাঠানোর জন্য তিনি অর্ডার পেয়েছেন।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩০, ২০২১ ৬:১৭ অপরাহ্ন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বিক্রির হিড়িক এখন অনলাইনে!
এগ্রিবিজনেস

মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ঘোষণা করা হয় বিশেষ লকডাউন। আর এই লকাডাউনে অন্যান্য ব্যবসার ন্যায় এবার সেখানে জমে উঠেছে অনলাইনে আম বেচাকেনা। ফেসবুক পেইজ থেকে শুরু করে অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে তারা বেচাকেনা শুরু করছেন আম। তাতে লাভবানও হচ্ছেন সেখান চাষিরা। এবং সহজে আম কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারাও।

জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে আম পাড়ার উদ্বোধন করা হয় গত ২১ মে। এরপর থেকেই মূলত জেলার অনলাইন ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠেছেন অনলাইনে আম বিক্রিতে।

সদর উপজেলার চাঁদলাই এলাকার অনলাইন আম ব্যবসায়ী শাহজান আলী জানান, তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে আম বিক্রির প্রচারণা চালিয়ে অর্ডার নিয়েছেন। চলতি মৌসুমে মোট ছয়দিন দেশের বিভিন্নস্থানে আম সরবরাহ করেছেন।
বর্তমানে উন্নতমানের কিছু গুটি ও হিমসাগর আম সরবরাহ করা হচ্ছে। ঢাকার বাইরের ক্রেতারায় মূলত এই আমের অর্ডার করছেন বলে জানান তিনি।

আবদুল্লাহ জানান, তার নিজস্ব কোনো আমবাগান নেই। তিনি অনলাইনের মাধ্যমে বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। এবারও প্রায় ৪০ মণ আম সরবরাহ করেছেন। এতে মোটা অংকের টাকা আয় হচ্ছে। সারা বছর আম মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করেন এই ব্যবসায়ী। গত মৌসুমে তিনি সাড়ে ৫শ মণ আম অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে দুই লাখ টাকা আয় করেন তিনি।

এসআর কুরিয়ার সার্ভিসের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন জামিল জানান, হেড অফিস থেকে আমাদের চার্জ নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সে নিয়ম অনুযায়ী আমরা চার্জ আদায় করে থাকি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ মার্কেটিং অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, করোনাকালীন আম বেচাকেনার জন্য কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে জনসমাগম এড়িয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করতে হবে। বাগানেই আম ট্রাকে লোড করে বিভিন্নস্থানে পাঠাতে হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৯, ২০২১ ১২:১৯ অপরাহ্ন
‘আম অর্থনীতিতে’ খাগড়াছড়িতে চমক!
এগ্রিবিজনেস

আম অর্থনীতিতে এবার খাগড়াছড়িতে চমক। চলতি মৌসুমে খাগড়াছড়িতে প্রায় ৩ হাজার ৩৬৯ একর জমিতে হয়েছে আমের চাষ। অনুকূল আবহাওয়া ও মাটি চাষের উপযোগী হওয়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে বাগানের সংখ্যা। ছোট-বড় মিলিয়ে জেলায় বর্তমানে আম বাগানের সংখ্যা প্রায় ৭ শতাধিক। আর তাতে সেখানে বাড়ছে আম অর্থনীতির পরিধি। খাগড়াছড়ি থেকেই উৎপাদিত আম্রপালি, রাংগুয়াই, বারি-৪ প্রভৃতি উন্নত জাতের আম যাচ্ছে সারাদেশে।

স্থানীয়রা জানায়, খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলায় আম চাষির সংখ্যা বাড়ছে। জেলা সদর, দীঘিনালা, মাটিরাঙা, গুইমারা, পানছড়িসহ সবখানেই বাড়ছে আমের আবাদ। শুধু জেলা সদরের ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের জোরমরম ও বানছড়া এলাকায় আম চাষির সংখ্যা প্রায় ১৫০ জন।

জানা যায়, সুজন চাকমা ২০০৭ সালে এই এলাকায় প্রথম বাগান গড়ে তোলেন। বিশ একর পাহাড়ি টিলাতে তিনি ২ হাজার আম গাছ রোপণ করেন। বর্তমানে তার বাগানের পরিমাণ ৭৬ একর।

তিনি জানান, প্রথম বাগান করার সময় গ্রামবাসী আমাকে উপহাস করত। এত আম কে খাবে, বিক্রি করবে কোথায়, নানা কথা! তারা আমাকে সেগুন বা রাবার চাষ করার পরামর্শ দিত। তবে এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। আমার সাফল্য দেখে পুরো গ্রামে চাষির সংখ্যা বেড়ে দেড়শ। প্রত্যেকে দুই থেকে পাঁচ একরের চাষ গড়ে তুলেছে। বছরে আম বিক্রি করে আয় করছে ২ থেকে ১০ লাখ টাকা।

জেলার মহালছড়ি এলাকায় ধুমনিঘাট এলাকায় ৩৫ একরের বাগান গড়ে তুলেছে মহালছড়ি ফল বাগান মালিক সমিতির সভাপতি হ্ল্যাশিমং চৌধুরী। তিনি জানান, ২০১৫ সালে বাগান গড়ে তুলেছি। বাগানে ৬০ প্রজাতির আম রয়েছে। গত মৌসুমে প্রায় ১০ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি। চলতি মৌসুমে উৎপাদন আরো বাড়বে।

খাগড়াছড়ির মায়াবিনী লেক এলাকায় আম্রপালি, রাংগুয়াই ও বারি-৪ জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছে অংহ্ল্যা মারমা। তিনি বলেন, বাগানে ১৩শ আম গাছ রয়েছে। এবার আমের ভালো ফলন হয়েছে। ফলন তোলার আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে বাগানটি ২০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে পারব বলে আশাবাদী।

খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মর্ত্তুজ আলী জানান, চলতি মৌসুমে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ হাজার ৪শ মেট্রিক টন। একসময় খাগড়াছড়িতে আম উৎপাদন হত যৎসামান্য। অথচ এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খাগড়াছড়ির আম যাচ্ছে। স্বাদে ও গুণে এখানকার আম বিশেষত আম্রপালি সারাদেশে সমাদৃত। তিনি জানান, খাগড়াছড়িতে আম চাষের উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। বছরে আম চাষকে কেন্দ্র করে প্রায় ১৬০ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ড. মুন্সী রাশীদ আহমেদ জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৫ থেকে ২০ বছর আগে আম চাষ শুরু হলেও গত ১০ বছর ধরে ব্যাপকভাবে চাষ শুরু হয়। প্রতিবছরই নতুন করে আমের বাগান সৃজিত হচ্ছে। পাহাড়ের মাটি কিছুটা অম্লীয় ভাবাপন্ন এবং ঢালু অংশে চাষাবাদ করার কারণে সূর্যের আলোও বেশি পায়। ফলে বাগান ভালো হয়। এখানে যে আম হয় তা আকারে বড় হয় এবং মিষ্টতা বেশি হয় বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৭, ২০২১ ৫:৩১ অপরাহ্ন
আমসহ সবজি জাতীয় পণ্য কম খরচে ঢাকায় আনবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’
এগ্রিবিজনেস

আমসহ সবজি জাতীয় পণ্য কম খরচে ঢাকায় পরিবহনের জন্য এবারও চালু হচ্ছে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’। ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় নিয়ে আসলে খরচ পড়বে প্রতি কেজি মাত্র ১ টাকা ১৭ পয়সা। আর এতে করে কেজিপ্রতি আমের পরিবহন খরচ কমবে ১৪ থেকে ১৯ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ট্রেনের উদ্বোধন করবেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী হয়ে ঢাকা পর্যন্ত প্রতিদিন চলাচল করবে বিশেষ এই ট্রেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে বিকেল সাড়ে চারটায় ট্রেনটি ছাড়বে। রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত দুইটায়। আম নামিয়ে রাতেই ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। এ ট্রেন মালামাল তোলার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ, আমনুরা, রহনপুর, কাঁকন, রাজশাহী, হরিয়ান, সরদাহ, আড়ানী ও আবদুলপুর স্টেশনে থামবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া জানান, ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনের পাঁচটি ওয়াগনে (পণ্যবাহী বগি) পণ্য পরিবহন করা হবে। প্রতিটি ওয়াগনে ৪০ টন করে মোট ২০০ টন আম পরিবহন করা যাবে।

গত বছর ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি প্রথমবারের মতো চালু করা হয়। সে বছর জুনে ৫৯৮ টন এবং জুলাই মাসে ২৫৯ টন আমসহ কাঁচামাল পরিবহন করা হয়। ৮৫৭ টন পণ্য পরিবহন করে রেল কর্তৃপক্ষ আয় করে ৯ লাখ ২৯ হাজার ৮৬৯ টাকা।

করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজশাহীর আম ও লিচুসহ সবজি জাতীয় পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে গত বছর ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন নামের এ বিশেষ ট্রেন চালু করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৬, ২০২১ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
বিদেশের মাটিতে রফতানি হচ্ছে কুমিল্লার কচুর লতি
এগ্রিবিজনেস

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কুমিল্লার কচুর লতি এখন রফতানি হচ্ছে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ ২৫টি দেশে।সারা বছর কচুর লতির ফলন হলেও মূলত এটি গ্রীষ্মকালীন ফসল। বছরের মার্চ থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত ফসল বেশি হয়। এ সময় কৃষকদের ব্যস্ততা বেশি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর কুমিল্লা জেলায় ৩৮২ হেক্টর জমিতে কচুর লতি চাষ করা হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে বরুড়া উপজেলায়। সেখানকার কৃষকরা জানান, কচুগাছ একবার রোপণ করলে বছরজুড়ে তার ফলন হয়। বরুড়া উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া কচু চাষের উপযোগী বলে বহু বছর ধরে বরুড়ায় কচুর লতির চাষ হয়ে আসছে।

বরুড়ার কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, ৩০ শতক জমিতে তিনি কচু চাষ করেছেন। বিনিয়োগ করেছেন ২০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার টাকার কচুর লতি বিক্রি করেছেন। এখনও আরও অন্তত ছ’মাস কচুর লতি বিক্রি করতে পারবেন। লতি বিক্রি শেষ হলে কচু বিক্রি করবেন।

জানা যায়, কুমিল্লা থেকে ২০২০ সালে দেড় লাখ চারা দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হয়েছে। ২০২১ সালে এক লাখ চারা বিক্রি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লতি রাজের চারা ৩ টাকা ও পানি কচুর চারা ৪টাকায় বিক্রি হয়।

চারা রোপণের পর ভাদ্র মাসে গাছের মূল থেকে নতুন চারা গজায়। সে চারা বিক্রি হয়; আবার একই চারা দিয়ে বরুড়ার কৃষকরা নতুন নতুন জমি আবাদ করেন। বরুড়ার আগানগরের কৃষক সেলিম মিয়া ৫০বছর ধরে কচু চাষ করেন।

এবার ১৭ শতক জমিতে কচু রাজ লাগিয়েছেন তিনি। খরচ হয়েছে ১০হাজার টাকা। তিনি জানান, এ জমি থেকে ৩০ হাজার টাকার লতি বিক্রি করবো। কচু চাষে লোকসান হয় না বললেই চলে, ফলনও হয় লম্বা সময় ধরে- তাই কচু চাষ করছি।’

বরুড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, ‘কৃষকরা চাইলে তাদের জন্য সহজ ঋণের ব্যবস্থা করবো। উপজেলার নারী-পুরুষ সবাই এ পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে-এটা বেশ আনন্দদায়ক।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের কন্দাল (মাটির নিচে যেসব উদ্ভিদের ফলন হয়) প্রকল্পের অধীনে বরুড়ার কচু চাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথমে কমসংখ্যক চাষিকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। ধীরে ধীরে অন্যান্য চাষিদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৩, ২০২১ ৩:৩২ অপরাহ্ন
সাতক্ষীরায় কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আম যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়!
এগ্রিবিজনেস

জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই সাতক্ষীরায় গাছ থেকে পাড়া হচ্ছে অপরিপক্ব কাঁচা আম। আর এই অপরিপক্ক আমে কেমিক্যাল স্প্রে করে টকটকে রং তৈরি করছে সেখানকার অসাধু মহল। তারা কৃত্রিমভাবে আম পাকানোর জন্য ব্যবহার করছেন বিষাক্ত কার্বাইড। আর এই বিষাক্ত আম প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

তালার এক আম ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘অত্র এলাকার অপরিপক্ব আম ঢাকার বাজারগুলোতে বৈশাখী আমের নামে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাতক্ষীরার আমের সুখ্যাতি থাকায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে আগেভাগে পাঠানো হচ্ছে।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সব আম ব্যবসায়ীরা এখন গাছ থেকে আম নামাচ্ছেন। গাছতলায় আমে রাসায়নিক স্প্রে করে বাজারজাত করা হচ্ছে। রাসায়নিক দিলে একদিনেই আম পেকে যায়। আমে বিষ দিয়ে পাকালে সেটি ক্ষতিকর সবাই জানে তবে একাজে কেউ বাধা দেয় না। প্রশাসন বা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

তালা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজিরা খাতুন জানান,চলতি মৌসুমে ৭১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। এখানে প্রায় দুইহাজার ছোট-বড় বাগান রয়েছে। এ সব বাগান থেকে প্রায় ১১৩৬০ টন আম উৎপাদন হয়। উৎকৃষ্ট আমের মধ্যে রয়েছে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আর্মপালি। এছাড়া রয়েছে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, লতাসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির আম। তবে কেউ যদি অপরিপক্ব আমে কেমিক্যাল মিশিয়ে বাজারজাতকরণের চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ‘সাতক্ষীরায় নিরাপদ আম বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরার আমের সুনাম রয়েছে। এই সুনাম ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। নির্ধারিত দিনের আগে গাছ থেকে আম পাড়া যাবে না মর্মে আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া অপরিপক্ব আম কেমিক্যাল মিশিয়ে বাজারজাতকরণের চেষ্টা করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: নুরুল ইসলাম জানান, কোনভাবেই আমে রাসায়নিক দ্রব্য কেমিক্যাল বা বিষ প্রয়োগ করা যাবে না। জেলার সকল আম ব্যবসায়ীদের এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল জেলা নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং করা হয়েছে। সেখানে দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কোন আম কোন তারিখ থেকে ব্যবসায়ীরা ভাঙতে পারবেন। কেউ আমে ক্যামিকেল বা রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগের খবর পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২১ ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রামে সাম্মাম চাষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর চমক
এগ্রিবিজনেস

কুড়িগ্রামের উলিপুরে সম্পূর্ণ অর্গানিক ও আধুনিক মালচিং পেপার পদ্ধতিতে উন্নতজাতের বিদেশি সাম্মাম ও রকমেলন/হানিমেলন চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক আহমেদ। প্রথমবারের মতো ফলটি এ অঞ্চলে চাষ হওয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গার মানুষ দেখতে আসছেন তার ক্ষেতে। এ শিক্ষার্থী মনে করেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে রকমেলন চাষ করা সম্ভব।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি গত দুবছর ধরে ফেইসবুক পেজের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি সকল ধরনের উন্নতমানের বীজ, সার, কিটনাশক বিক্রিসহ ছাদ বাগানিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসতেন তিনি। কিন্তু মহামারী করোনায় সব বন্ধ হলে গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। পরে এক প্রতিবেশির পতিত ১৫ শতক জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন সবজির পাশাপাশি উন্নত জাতের রকমেলন ও সাম্মাম চাষ শুরু করেন। উৎপাদনও হয়েছে বেশ। অল্প সময়ের মধ্যে উন্নত জাতের বিদেশি সাম্মাম ও রকমেলন এ অঞ্চলে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ফারুক আহমেদ জানান, আমাদের কুড়িগ্রাম জেলা কৃষিতে অনেক পেছনে। এই এলাকার মানুষ এখনও ধান চাষে পড়ে আছে। ধান চাষের পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে কম খরচে উচ্চ ফলনশীল বিদেশি রকমেলন ও সাম্মাম চাষ করলে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। এ এলাকার বেকার, শিক্ষিত যুবকরা যদি চাকরির আশায় না থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ শুরু করে, তাহলে এক দিকে যেমন বেকারের সংখ্যা কমে যাবে, অন্যদিকে দেশ তথা আমাদের কুড়িগ্রাম অঞ্চল কৃষিতে এগিয়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকতার্ সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকার কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি চাইলে আমরা তাকে ঋণের জন্য সুপারিশ করা হবে। উচ্চমূল্যের বিদেশি রকমেলন ও সাম্মাম ফল খুবই লাভজনক। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ফল চাষ করে অল্প সময়ের মধ্যে অনেকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে কৃষি বাণিজ্যিকরণের বিকল্প নেই। বর্তমানে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক উদ্যোক্তা হিসেবে উচ্চমূল্যের ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফারুক আহমেদের মতো এ অঞ্চলের বেকার যুবকরা উচ্চমূল্যের ফলন চাষে এগিয়ে আসলে আমরা তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করব।

উল্লেখ্য যে, আরবে এটি সাম্মাম বলে পরিচিত হলেও অস্ট্রেলিয়াতে এটি রকমেলন নামে পরিচিত। রকমেলন হল মাস্কমেলন গোত্রের একটি উচ্চমূল্যের বিদেশি ফল। পুষ্টিগুণে রকমেলন অনন্য। বিভিন্ন এন্টি-অক্সিডেন্ট সম্পন্ন এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং সি, যা উচ্চ রক্তচাপ, এজমা কমিয়ে দেয়। এতে উপস্থিত বেটা ক্যারোটিন ক্যান্সার রোধ করে। এ ছাড়া এটি খুব রসালো ফল, ৯০% পানি, যা হাইড্রেশন বজায় রাখে ও হজমে সহায়তা করে। চুল ও ত্বকের জন্যও এই ফল খুবই উপকারি। সাম্মাম ফলের বাইরের অংশ হলুদ, ভিতরের অংশ লাল, রকমেলনের বাহিরের অংশ সবুজ ভিতরের অংশ লাল হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১০, ২০২১ ১২:০২ অপরাহ্ন
করোনাকালে রাজধানীর ২০ টি পয়েন্টে আফতাবের আই জি ফুডসের ভ্রাম্যমাণ গাড়ি
এগ্রিবিজনেস

করোনাকালে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে ফ্রোজেন ফুডের  চাহিদা বেড়েছে। কর্মব্যস্ত জীবনে দীর্ঘ সময় ধরে নাশতা কিংবা খাবার তৈরির ঝামেলা থেকে বাঁচতে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে ফ্রোজেন খাবার। নিরাপদ খাদ্যের অঙ্গীকারে সম্ভাবনাময় এই বাজারে ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আই জি ফুডস লিমিটেড আফতাব ব্র্যান্ড নামে প্যাকেটজাত ফ্রোজেন ফুড বাজারজাত করে যাচ্ছে ।

করোনার ঝুকি এড়াতে রাজধানীর  ২০ টি পয়েন্টে আই জি ফুডস এর ফ্রোজেন ফুড বিক্রি  চলছে ফ্রিজার ভ্যানের মাধ্যমে।

ক্রেতারাও এসব প্যাকেটজাত ফ্রোজেন খাদ্য কিনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।অতীতে এ ধরনের খাবার কেনার হিড়িক মানুষের মধ্যে দেখা যায়নি।  মুদি পণ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাদ্য, সহজেই রান্না করা যায় এমন হিমায়িত খাদ্যের চাহিদা বেড়েছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, ফ্রোজেন খাবার শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত।ফ্রোজেন খাবার শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত। খাদ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করে বাজারজাত করা হয়েছে।এতে ক্ষতিকারক  কোন প্রিজারভেটিভ নেই।

উল্লেখ্য, খাদ্যের গুণগত মান নিশ্চিকরণে আই জি ফুডস ইতোমধ্যে ISO 22000, HACCP, HALAL. সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৮, ২০২১ ৬:২৯ অপরাহ্ন
ঘাটাইলে সরকারি খাদ্য গুদামে বোরো ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন
এগ্রিবিজনেস

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সরকারি খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার(৮ মে) দুপুরে জাতীয় সংসদে খাদ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

ঘাটাইল খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ খোরশেদ আলম মাসুদ জানান, এবারের বোরো মৌসুমে অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করা ও সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে প্রতি মণ এক হাজার ৮০ টাকা দরে দুই হাজার ৯২৬ মেট্রিক টন ধান ও ৪০ টাকা কেজিতে ছয় হাজার ৭৭১ মেট্রিক টন বোরো সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে। যা ধান ও চালের আর্দ্রতা থাকতে হবে ১৪ শতাংশ। সংগ্রহ কার্যক্রম ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে বলে জানান তিনি।

এর আগে সকাল ১১ টার দিকে ইউএনও অঞ্জন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম লেবু, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আরজু, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইফুল আবেদীন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাকির হোসেন খান, উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক সফিকুল ইসলাম দুলাল চৌধুরী, স্থানীয় কৃষক আব্দুল বাসেত।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৮, ২০২১ ১২:১৫ অপরাহ্ন
ভারতীয় আমের দখলে হিলি‘র দোকান
এগ্রিবিজনেস

দেশি আম বাজারে আসতে দেরি হওয়ায় দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে বাজার দখল করে নিয়েছে ভারতীয় আম।

জানা যায়, বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি লাল-হলুদ-সবুজের মিশেলে পাকা আম শোভা পাচ্ছে হিলির দোকানগুলোতে। দাম অনেক বেশি। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। তার পরও ইফতারের আইটেম হিসেবে আম কিনছেন ক্রেতারা। দেশি আম বাজারে না ওঠায় বাড়তি দামে বিক্রির সুযোগ নিচ্ছেন ফল বিক্রেতারা।

বাংলাহিলি বাজারের ফল বিক্রেতা জানান, রমজানে বাজারে ফলের চাহিদা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। এই সময় তরমুজ, আনারস, আপেল, মাল্টা, আঙুর, পেয়ারাসহ মোটামুটি সব ধরনের ফলের সরবরাহ থাকে। কিন্তু এই সময়ে দেশি আম বাজারে না থাকায় কয়েক দিন ধরে বাজারে ভারতীয় আম বিক্রি হচ্ছে। বেচা-বিক্রিও হচ্ছে ভালো।

চারমাথার ফলের দোকানদার ইউসুফ আলী জানান, রমজানের অর্ধেক সময় পর্যন্ত বাজারে আমের দেখা মেলেনি। হঠাৎ কয়েকদিন থেকে ভারতীয় আম আসছে। প্রায় প্রতিদিন হিলি, কাটলা, চেঁচড়াসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাইভাবে আম দেশে আসছে। টোকাইদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে আমরা বাজারে বিক্রি করছি। দেশি আম বাজারে উঠলেই দাম অনেক কমে যাবে।

বাজারের ফল বিক্রেতা আব্দুল মান্নান জানান, স্থানীয় বিভিন্ন ফলের দোকানে নানা রঙের আম শোভা পাচ্ছে। যার সবই ভারতীয় সুস্বাদু আম। এসব আমের মধ্যে রয়েছে সুন্দরী, গোলাপ খাস, বেগমফুলি। আমরা আমের জাত ভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

বাংলাহিলি বাজারে আম কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, ইফতারের জন্য ফল কিনতে এসে দেখছি আমও পাওয়া যাচ্ছে। তাই লোভ সামলাতে পারলাম না। একটু আম কিনে নিলাম। দাম বেশি হলেও বাজারে প্রথম উঠেছে। তাই কি আর করার।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop