৯:২৮ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২১ ১:৪০ অপরাহ্ন
করলার নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন হাবিপ্রবিতে
কৃষি গবেষনা

দিনাজপুরের হাজী মােহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের পিএইচডি গবেষক ফররুখ আহমেদের গবেষণায় এবং প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান তত্ত্বাবধানে করলার দুইটি নতুন জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। জাত দুটির নাম দেয়া হয়েছে যথাক্রমে ‘এইচএসটিইউ-১’ ও ‘এইচএসটিইউ-২’

বৃহস্পতিবার (১১নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.আর.টি’র সেমিনার কক্ষে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, পােস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফাহিমা খানম। আরও উপস্থিত ছিলেন উক্ত গবেষণা কার্যক্রমের সুপারভাইজার প্রফেসর ড. মাে. হাসানুজ্জামান, কাে-সুপারভাইজার প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আরিফুজ্জামান, পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, পরীক্ষা কমিটির সদস্য ড. আবু তাহের মাসুদ, কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ, অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এ ব্যাপারে উক্ত বিভাগে অধ্যয়ণরত মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী কৃষিবিদ জাহিদ হাসান বলেন, প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান স্যারের তত্ত্বাবধানে আরো একটি করলার জাত এবং গমের জাত উদ্ভাবনের কাজ চলমান রয়েছে। উপযুক্ত আবহাওয়া এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীতে আরো জাত উদ্ভাবনে এগিয়ে যাবে হাবিপ্রবি এবং কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ।

এ বিষয়ে গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. হাসানুজ্জামান বলেন, নতুন উদ্ভাবিত জাতের ফসল ৪২ দিন সময় লাগে কিন্তু আগের গুলো হতে ৪৬দিন সময় নেয়। করলার গায়ের দাঁগ বা কাঁটার পরিমাণ তুলনামূলক কম হওয়ার কারণে পরিবহনে সুবিধা। এর একর প্রতি ফলন ১১.২ টন যা আগের তুলনায় ১.২ টন বেশি। প্রতিটি ফলের দৈর্ঘ্য ২৭ সে.মি. এবং ফলের ওজন ২৬০ গ্রাম। যা অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশি।

এ সময় মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাকার্য সমৃদ্ধ করার প্রত্যয়ে ‘জিন ব্যাংক’ এবং ‘প্রযুক্তি গ্রাম’ প্রতিষ্ঠার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি কৃষি গবেষণা মাঠের উন্নয়ন, পাবলিক – প্রাইভেট নীতিমালা গ্রহণের বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি আরোও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। তাই বাংলাদেশ এখন কৃষিক্ষেত্রে বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে এর আগেও মিষ্টি কুমড়ার দুটি জাত(হাজী ও দানেশ) উদ্ভাবিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১১, ২০২১ ৩:২৮ অপরাহ্ন
বরিশালে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

বরিশালে বিনা উদ্ভাবিত জিংক সমৃদ্ধ উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনাধান-২০ বিষয়ক কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিনা) উদ্যোগে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম, ডিএইর উপ-পরিচালক মো. হারুন-অর-রশিদ এবং উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মামুনুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা, এসও নাজমুন নাহার পপি, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী আজগর মোল্লা এবং এসএএও দীপঙ্কর বাড়ৈ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ শতাধিক কিষাণ-কিষাণী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিনা মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বিনাধান-২০ পুষ্টিতে ভরপুর। আছে জিঙ্ক এবং আয়রন। জীবনকালও কম। আমনের পর সরিষা ও মুগসহ অন্যান্য রবি ফসল আবাদের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এই ধান আশীর্বাদ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৮, ২০২১ ২:৪৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ কৃষি অলিম্পিয়াড আয়োজিত “অনলাইন এগ্রিকালচারাল লিডার্স সামিট” অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

গত ৬ ই নভেম্বর, শনিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশ কৃষি অলিম্পিয়াড আয়োজিত “অনলাইন এগ্রিকালচারাল লিডার্স সামিট।”

২০২০ এ সালে অনুষ্ঠিত অলিম্পিয়াড টির প্রথম আসরের বিশিষ্ট উপদেষ্টাগণ, বিশেষ অতিথি,সংগঠক, ক্যাম্পাস প্রতিনিধিগণ এবং বিজয়ীদের নিয়ে অনুষ্ঠান টি জুম এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন অনুষ্ঠান টির উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং কৃষি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রিদের অগ্রযাত্রা কে তুলে ধরেন। আরও উপস্থিত ছিলেন- গ্রীন সেভারস এর প্রতিষ্ঠাতা জনাম আহসান রনি, ডিরেক্টর অফ এফ্রিভিশন অফ ইকুয়েডর – ন্যাথালি আবারকা( ইকুয়েডর), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. ফাতেমা হক শিখা এবং এনিম্যাল নিউট্রিশন বিভাগ থেকে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর রাহাত আহামেদ স্যার।

অনুষ্ঠান টি সফল করতে উপস্থিত ছিলেন – বাংলাদেশ কৃষি অলিম্পিয়াড এর প্রতিষ্ঠাতা আতিকুর রহমান আসিফ, বিভিন্ন ক্যাম্পাসের উইনার এবং ক্যাম্পাস লিডার। তিনি ( আতিকুর রহমান আসিফ) পরবর্তী সিজন গুলোর প্ল্যান এবং কিভাবে আরও সবার মাঝে বাংলাদেশ কৃষি অলিম্পিয়াড কে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ এ প্রথম সিজনে প্রায় ৩০ টির ও বেশি ক্যম্পাস থেকে প্রায় ১০০০ প্রতিযোগি এই অলিম্পিয়াড এ অংশ নেন এবং ২ টি রাউন্ড এর ২ টি গ্রুপ থেকে ৪৮ জন উইনার পাওয়া যায়। অনুষ্ঠান টি তে প্রায় ২০০ ভলান্টিয়ার নিয়জিত ছিলেন।

স্পন্সর হিসেবে পাশে থেকেছেন- বাংলাদেশ এনিম্যাল হাসবেন্ড্রি সোসাইটি।

অনলাইন সামিট এর পরিশেষে একটি কুইজ ও নেওয়া হয়। অনুষ্ঠান টি কে সফল করতে বাংলাদেশ কৃষি অলিম্পিয়াড এর পাশে ছিল- স্পনসর – বাংলাদেশ এনিম্যাল হাসবেন্ড্রি সোসাইটি, গিফট স্পনসর – রেনেসাঁ প্রকাশনী, মিডিয়া পার্টনার- এগ্রিভিউ ২৪, আউটরিচ পার্টনার- পাইওনিয়ার হাব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৮, ২০২১ ১১:১০ পূর্বাহ্ন
নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ৪ দিনব্যাপী কর্মশালা
কৃষি গবেষনা

নিরাপদ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ দিনব্যাপী কর্মশালা শুরু হয়েছে।

কর্মশালাটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পুষ্টি বিভাগ।

শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ কনফারেন্স রুমে কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়ামিন হোসেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সালেহা জেসমিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।

“Awareness building on the importance of food based nutrition information and health impacts” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নিরাপদ খাদ্য, খাদ্যের পুষ্টিগুণ, স্বাস্থ্যের ওপর খাদ্যের প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

এতে বিজ্ঞানী, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, উপ-সহকারী কৃষি, মৎস্য প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা, সম্প্রসারণ কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, এনজিও প্রতিনিধি, নারী উদ্যোক্তা, মৎস্যচাষি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ মোট ৪০ জন অংশগ্রহণ করছেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সদস্য পরিচালক ড.  মনিরুল ইসলাম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৬, ২০২১ ৩:৫৫ অপরাহ্ন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নতুন জাতের ব্রি ধান ৯৩ চাষে বাম্পার ফলন
কৃষি গবেষনা

কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে নতুন জাতের ব্রি ধান ৯৩ প্রথম পরীক্ষামূলক চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাংলাদেশ রাইচ রিচার্জ ইন্সটিটিউট (বিআরআরআই) নতুন জাতের ধান ব্রি ধান ৯৩ চাষ করে প্রথম চাষে বাম্পার ফলন পাওয়ায় খুশি কৃষকও।

উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের ভাটবাড়ি গ্রামের কৃষক আবদুল করিম ৫ কেজি নতুন জাতের ব্রি ধান ৯৩ বীজ এনে ৫৪ শতাংশ জমিতে চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছে। ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট কুমিল্লার আঞ্চলিক কার্যলয়ের কর্মকর্তা ড. আমিনুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট কর্তৃক সাম্প্রাতিক উদ্ভাবিত তিনটি জাত ব্রি ধান ৯৩, ব্রি ধান ৯৪. এবং ব্রি ধান ৯৫ স্বর্ণা চাষ এলাকায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে, নতুন অনুমোদিত ব্রি ধান ৯৩ বিদেশী স্বর্ণা এর বিকল্প। এটি রোপা আমন মৌসুমের জাত এর গাছের উচ্চতা ১২৭ সে.মি এবং জীবনকাল ১৩৭ দিন।

কৃষক আবদুল করিম জানান, ব্রি ধান ৯৩ চাষ করে আমি অনেক খুশি, প্রথম চাষে আমার বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি আমরা বিদেশী জাতের ধান চাষ বাদ দিয়ে নতুন জাতের ব্রি ধান ৯৩ চাষ করে বেশি লাভবান হবো।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত রায় বলেন, ব্রি ধান ৯৩ হলো নতুন জাতের আমরা যাতে বিদেশী ভেরাটি থেকে বাহির হয়ে দেশীয় জাতে ধান চাষে মনোযোগী হই। আমরা আশা করি বিদেশী জাতের ধান স্বর্ণা থেকেও বেশি ফলন দেয় ব্রি ধান ৯৩।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৪, ২০২১ ৪:০০ অপরাহ্ন
পোকা দমনে কীটনাশক এর বদলে জনপ্রিয় হচ্ছে ‘আলোর ফাঁদ’
কৃষি গবেষনা

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় ধানক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার না করে আলোর ফাঁদ পেতে ক্ষতিকর পোকা দমন করা হচ্ছে। আমনের খেত সুরক্ষায় আলোর ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় কৃষকেরা ‘আলোর ফাঁদ’ স্থাপন করেছেন। এতে পোকা দমনসহ ক্ষেতে ক্ষতিকর কি ধরনের পোকা রয়েছে, তা শনাক্ত করা যাচ্ছে। ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তা দমন করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।

বুধবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাশিপুর ব্লকে ‘আলোর ফাঁদ’ স্থাপন করা হয়। ধান পাকার আগ পর্যন্ত ক্ষেতে ওই আলোর ফাঁদ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

বড়বিলা গ্রামের একটি আমনের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, ধানের জমির পাশে তিনটি খুঁটি দিয়ে একটি বৈদ্যুতিক বাতি ঝোলানো হয়েছে। বাতির নিচে একটি পানির পাত্র রাখা হয়েছে, পাত্রে ডিটারজেন্টমিশ্রিত পানি। বাতি জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে ফসলের জমির বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা এসে নিচে রাখা পানিতে পড়ে মারা যাচ্ছে। এভাবেই আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়। বৈদ্যুতিক বাতি, চার্জার ও সৌরবাতি দিয়ে এই কাজ করা হয়।

কাশিপুর গ্রামের কৃষক শেখ আতিয়ার রহমান ও বড়বিলা গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, তিনটি বাঁশের লাঠি, একটি বৈদ্যুতিক লাইট, আর পানি রাখার একটি পাত্র দিয়ে তৈরি করা হয় আলোর ফাঁদ। সন্ধ্যাবেলা জমির পাশে বসানো হয় এই ফাঁদ। অন্ধকার ধানের জমি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পোকা ছুটে এসে আলোর ফাঁদে আটকে পড়ে। আটকে পড়া পোকার মধ্য থেকে ক্ষতিকর পোকা চিহ্নিত করে এসবের গায়ে সঠিক মাত্রায় কীটনাশক ও রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়।

তারা বলছেন, এর আগে বিভিন্ন ধরনের কিটনাশক ও রাসায়নিক ব্যবহার করে কোন সুফল পাওয়া যায়নি। কিন্তু আলোর ফাঁদের মাধ্যমে পোকা চিহ্নিত করে সঠিক মাত্রায় কিটনাশক ও রাসায়নিক ব্যবহার করে সুফল মিলছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর তালা উপজেলায় ৯ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। রোপা আমন মৌসুমে সচেতনতার অভাবে অনেক কৃষক জমিতে ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করার আগেই কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। এতে ফসলের জমির উপকারী অনেক পোকা মারা যায়। আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয়ের পর ধানের জমিতে পিলা করে কীটনাশক প্রয়োগ করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছ।

তালার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পীযুষ কান্তি পাল বলেন, এরই মধ্যে কিছু কিছু গাছে শীষও বের হয়েছে অনেক জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। এই সময়ে ধানে বাদামি ঘাসফড়িং (কারেন্ট পোকা), সবুজ ঘাসফড়িং, পাতা মোড়ানো পোকা, গান্ধি পোকা, মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করে। পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করতে আমন খেতে আলোর ফাঁদ ব্যবহার শুরু করা হয়, আর চলবে ধান কাটা পর্যন্ত।

তিনি আরও বলেন, কৃষকেরা ক্ষতিকর পোকা দমনে ধানক্ষেতে সাধারণত কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন এতে কৃষকের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হয়। এ কারণে পোকা দমনে আলোর ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে কোনো খরচ নেই। তিনি বলেন কারেন্ট পোকার আক্রমণে অল্প সময়ের মধ্যে খেতের ধান বিনষ্ট করে ফেলে।

তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, উপজেলার ৩৬টি ব্লকে আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে। এটি বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত প্রযুক্তি। অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষ এই প্রক্রিয়া ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে, দিন দিন এটি জনপ্রিয় হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৭, ২০২১ ২:৪৮ অপরাহ্ন
সুগন্ধি ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট হবে দিনাজপুরে
কৃষি গবেষনা

ধানের জেলা দিনাজপুরে খুব শিগগিরই সুগন্ধি ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালীন উচ্চফলনশীল জাতের ব্রি ধান-৮৭ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন কৃষকরা।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর গ্রামে ধানের ব্রি-৭৮ জাতের মাঠ দিবস ও ফসল কর্তন উৎসবের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহাজান কবীর।

তিনি বলেন, কম সময়ে উৎপাদিত ধান ঘরে তুলতে পারায় তারা আগাম ধান কেটে অন্যান্য রবি শস্য যেমন রসুন, গম, সরিষা, আলু উৎপাদনের সুযোগ পাচ্ছেন। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। এ ধানে চিটা এবং পোকামাকড়ের আক্রমণও কম। ফলে উৎপাদন বেশি হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে মহাপরিচালক আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন কারো মুখাপেক্ষী নয়, প্রয়োজনে আমরা অন্যের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখি।

দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপরিচালক কৃষিবিদ প্রদীপ কুমার গুহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শহীদুল ইমলাম ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নাজমুল বারী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৩, ২০২১ ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
ব্রি ধান ৭৫’র ফলন হেক্টরপ্রতি ৫ টনের বেশি
কৃষি গবেষনা

পরীক্ষামূলকভাবে ব্রি ধান ৭৫’র বীজতলা বপন করা হয়েছিল গত জুন মাসের শেষের দিকে। ১০৫ দিনেই কাটা শুরু হয়েছে সে ধান। ট্রায়াল প্লটে (মাঠপরীক্ষা) হেক্টরপ্রতি ৫ টনের বেশি ফলন পাওয়া যাচ্ছে নতুন এ জাতের। এমনটিই জানানো হয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) পক্ষ থেকে।

ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত সিরিয়াল সিস্টেম ইনিশিয়েটিভ ফর সাউথ এশিয়া প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগ আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) সহযোগিতায় ঝিনাইদহ জেলার ফুলহরি গ্রামের কৃষক মো. লিয়াকত আলীর জমিতে এই মাঠপরীক্ষা বাস্তবায়ন করেছে।

জানা গেছে, ব্রির ট্রায়াল প্লটে এরইমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। ব্রি কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মাহবুবুর রহমান দেওয়ান বলেন, মাঠ পরীক্ষার ফলাফলে আমরা দেখতে পেয়েছি ২০ দিনের চারা ব্যবহার করে ১০৫ দিনেই ব্রি ধান ৭৫ কাটা যায়। যার ফলন হেক্টরপ্রতি ৫ টনের অধিক হয়েছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং এই কর্মসূচির প্রধান গবেষক ড. আমিনা খাতুন বলেন, যদিও ব্রি এই জাতের সর্বোচ্চ ফলনের জন্য ২০ জুলাই থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে ধান বপনের সুপারিশ করে থাকে, তবে জুনের শেষে বা জুলাইয়ের প্রথম দিকে বপন করে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ধান কাটার পরেও বেশ ভাল ফলন পাওয়া গেছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই জাতটি অন্যান্য উচ্চ ফলনশীল দীর্ঘমেয়াদী জাতের তুলনায় আগাম উচ্চ ফলন দিতে পারে। আগাম পরিপক্কতার কারণে কৃষকেরা সহজে এবং সময়মত মসুর ডাল, সরিষা, ভুট্টা বা অন্যান্য উচ্চমূল্যের শীতকালীন ফসল চাষ করতে পারেন। ফলে এটি জাতীয় শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর জানান, এই জাতের উচ্চ ফলনশীলতার সম্ভাবনার পাশাপাশি চাষের স্বল্প মেয়াদকাল কৃষকদের জন্য একটি নতুন জাত চাষের দুয়ার খুলে দেবে। এর ফলে কৃষকেরা তাড়াতাড়ি ফসল কেটে বেশি মূল্য পাওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী রবিশস্য সময়মত রোপণ করতে পারবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১১, ২০২১ ৫:১০ অপরাহ্ন
ইঁদুরের হাত থেকে ৩৬০ কোটি টাকার ফসল রক্ষা
কৃষি গবেষনা

গত বছর প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ইঁদুর নিধনের মাধ্যমে প্রায় ৮৯ হাজার ৮৭৬ মেট্রিক টন ফসল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালেও ইঁদুর নিধন অভিযানের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ইঁদুর নিধন করে ৩০০ কোটি টাকার ফসল রক্ষা করা হয়।

আজ রাজধানীর খামারবাড়ির আ.কা.মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২১ ও ২০২০ সালের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তথ্যটি উঠে আসে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতি বছর মাসব্যাপি এ অভিযান পরিচালনা করে থাকে। ১০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ অভিযান। জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২১ এর প্রতিপাদ্য ‘জাতীয় সম্পদ রক্ষার্থে, ইঁদুর মারি একসাথে’।

ইঁদুরের ব্যাপক ক্ষতি থেকে ফসলকে রক্ষা করার পাশাপাশি ইঁদুর নিধন কার্যক্রমকে আরো জোরদার করার আহবান জানান কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। আজ জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।

তিনি বলেন, প্রতিনিয়ই ইঁদুর কৃষকের কষ্টার্জিত ফসলের কয়েকগুন নষ্ট করে থাকে। এ ক্ষতির পরিমান বছরে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। উদ্ধুকরণের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে ইঁদুর নিধন করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ইঁদুর দমন করা অত্যন্ত জরুরী।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মনিরুল ইসলাম, বিনার মহাপরিচালক মফিজুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সুগারক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন । স্বাগত বক্তব্য দেন উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক ড. মো. আবু সাইদ মিঞা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১ ৫:৫১ অপরাহ্ন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর কালো জাতের ধান চাষে সাফল্যঃ
কৃষি গবেষনা

খাদ্য নিরাপত্তা এখন আর শুধু খাদ্যের পর্যাপ্ততাতেই সীমাবদ্ধ নয় বরং সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের জন্য সকলের চাহিদা ও খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী পর্যাপ্ত, নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তা। শস্যদানার বাইরের  স্তরে অবস্থিত ‘পিগমেন্ট’ হচ্ছে বিভিন্ন অ্যান্থোসায়ানিন যৌগের মিশ্রণ (Yawadio et al., 2007)। অ্যান্থোসায়ানিন হচ্ছে ফ্ল্যাভোনয়েড শ্রেণীর অন্তর্গত এবং উদ্ভিদে সহজলভ্য এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ। সাদা বর্ণের চাউলের চেয়ে গাঢ় রঙিন  চাউলের শস্যদানায় লৌহ, পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে।

এ বিষয়ে  সৈয়দ সাজিদুল ইসলাম ; সয়েল ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিন;  মাস্টার্স  ;বলেন, “গত ২-৩ বছর যাবত আমি এই কালো  জাতের ধান নিয়ে কাজ করছি , যেটা ২০১৯ সালে শেরপুর থেকে প্রথম ১৬-১৯ টা বীজ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম , এটা নিয়ে পরে ধাপে ধাপে উপযোগিতা যাচাই চলে। এই ধান টা সাধারণত দক্ষিণ অঞ্চল এ চাষ হয়না । এই ধানটার নিউট্রিয়েন্ট কোয়ালিটি অনেকটাই উন্নত আমাদের প্রচলিত ধানগুলোর জাত থেকে । যেটার ফলন প্রতি হেক্টরে ৩.২ – ৩.৯ টন/হেক্টর । সাধারণত আমাদের প্রচলিত ধানগুলোর চেয়ে ফলন একটু কম হলেও নিউট্রিয়েন্ট কোয়ালিটি অনেক অনেক বেশি । যেহেতু বর্তমান সরকার ফুড কোয়ান্টিটির চেয়ে ফুড কোয়ালিটির দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে, এক্ষেত্রে এটি যুগান্তকারী হিসেবে গণ্য হতে পারে”।

স্বাস্থ্য উপকারিতা: ১. রঙিন চাউল  থেকে পৃথকীকৃত বিভিন্ন অ্যান্থোসায়ানিন যৌগ যেমন- সায়ানিডিন-৩-গ্লুকোসাইড, পেলারগনিডিন-৩-গ্লুকোসাইড ইত্যাদি অ্যালডোজ রিডাকটেজ ইনহিবিটরি অ্যাক্টিভিটি প্রদর্শন করে যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে (Yawadio et al., 2007)। ২. অ্যান্থোসায়ানিনযুক্ত কালো চাউল সম্বৃদ্ধ খাদ্যতালিকায় থাকলে তা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। (Zawistowski et al., 2009) ৩. রঙিন চাউলের অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ ক্ষমতা রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ও এনজাইমের এ্যাকটিভিটি কে বাড়ায় (Chung and Shin (2007) and Hiemori et al. (2009)) ৪. বাদামী চাউল ভিটামিন ও মিনারেলস এর গুরুত্বপূর্ণ উত্স। Meng et al (2005) অনুযায়ী কালো রঙের চাউলে আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ বেশি থাকে। ৫.কালো বর্ণের চাউলে আদ্রর্তা, প্রোটিন, লিপিড, ক্রূড ফাইবার এবং অ্যাশ এর পরিমাণ যথাক্রমে ৫.৯৬-৮.১৯, ৬.৬৩-৮.৪৬, ১.৪৪- ৩.৪৭, ০.১৬-০.৩৫, ১.৩৫-২.১৫ গ্রাম/১০০ গ্রাম (ডিবি)। চাউলের নমুনা গুলোতে আয়রন এবং পলিফেনল এর পরিসর যথাক্রমে ০.৯১-১.৬৬ মিলিগ্রাম/১০০ গ্রাম এবং ৫৮-৩২৯ মিলিগ্রাম জিএই/১০০ গ্রাম। পিগমেন্টেড রাইস বা কালো ধানের পুষ্টিগুণ নন-পিগমেন্টেড ( সাধারন) ধানের চেয়ে অনেক বেশি। পিগমেন্টেড রাইস বা কালো ধানে স্টার্চ ৮৬.৬৯%, অ্যামাইলোজ ২.১%, ক্রুড প্রোটিন ৮.৩১%, ক্রুড ফ্যাট ২.৬৭%, ক্রুড অ্যাশ ০.৫৯%, ক্রুড ফাইবার ০.৭৭% ময়েশ্চার কন্টেন্ট ১১.৭০% অন্যদিকে, নন- পিগমেন্টেড ধানে যথাক্রমে স্টার্চ ৯২.৬৬% অ্যামাইলোজ ০.৪%, ক্রুড প্রোটিন ৬.০৫%, ক্রুড ফ্যাট ০.৬৪%, ক্রুড অ্যাশ ০.৪৬%, ক্রুড ফাইবার ০.১৫%, ময়েশ্চার কন্টেন্ট ১২.৬৪%।

মোঃ আমিনুল খান

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop