৮:১৯ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
শেরপুরে সবজির চারা নিয়ে বিপাকে চাষিরা
কৃষি বিভাগ

বগুড়ার শেরপুরের সীমাবাড়ী ইউনিয়নের বৈটখর ও গাড়ীদহ ইউনিয়নের রানীনগর এলাকাটি সবজি চারা গ্রাম নামে পরিচিত। উপজেলার এই দুটি গ্রামের উৎপাদিত চারা প্রায় ২ কোটি কাটার বিক্রয় করা হয় প্রতি বছর।

তবে এবার আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় চারাগুলো বিক্রয় হচ্ছেনা। বিক্রয় করতে না পেরে কপালে চিন্তার ভাজপড়েছে চাষীদের।

জানা যায়,, এই দুইটি গ্রামে আগাম শীতকালীন সময়ের সবজির বাজার দখল করতে বীজতলা পলেথিন দিয়ে মোড়ানোসহ বিশেষ পরিচর্যার মাধ্যেমে বীজ রোপন করে উপযুক্ত চারা তৈরী করেছেন। শেরপুর উপজেলার শীতকালীন সবজির চারা নিজেরা রোপণ করে এবং বাজারেও বিক্রি করে। চারাগুলোর বিশেষ চাহিদা রয়েছে চাষীদের মাঝে। প্রায় ২ কোটি টাকার চারা বিক্রয় হয় এই উপজেলা থেকে। উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের বেগুন, মরিচ, টমেটো, ফুলকপি, বাধাকপির চারা ময়মনসিং, তেঁতুলিয়া, ঠাকুরগাও কুড়িগ্রাম, নাটোর, জলঢাকা, নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার চাষীরা চারা সংগ্রহ করে চাষ করে। শীতকালেই শুধু নয়, সারা বছর সবজির চারার চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ করেন এ উপজেলার চাষিরা। এরই মধ্যে ভারি বর্ষনে অর্ধেক চারা বিক্রয়রের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে চাষীরা।

রানীনগর গ্রামের (বীজ রোপন) চাষী শরিফ উদ্দিন মিন্টুর জানান, জৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে জমি প্রস্তুতি শুরু করি। আষাঢ় মাসের শুরুতে বৃষ্টি ও রোদ থেকে বাঁচাতে চারা বীজের বেডের ওপর পলিথিনের ছাউনি দিতে হয়েছে। নিজস্ব প্রযুক্তি, পরিচর্যা, সার ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করে এ চারা তৈরী করি। এ চারা ৫ মাস পর্যন্ত বিক্রয় হয়। এই ৫ মাসে তিন থেকে চার বার চারা তৈরী করা যায়। আগাম সবজি চাষের চারা তৈরী হয়েছে। শীতে সবজির বাজার দখল করতে আমরা ব্যস্ত সয়ম পার করছি। চারার চাহিদা থাকলেও এবার আবহাওয়া বর্তমানে অনুকূলে নেই। এ জন্য বর্তমানে চারার চাহিদা কম।

শেরপুর উপজলো কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছা. শারমিন আক্তার জানান, এ বছর ৭ হেক্টর জমিতে বীজ চারা তৈরী হয়েছে। শেরপুর উপজেলায় রবি মৌসুমে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বেশি ফলনের জন্য আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও চাষিরা বেশ লাভবান হবেন বলে আশা রাখি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ ৮:১৩ পূর্বাহ্ন
শীতকালিন সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় যশোরের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

ডিজেল, সার-কীটনাশক ও শ্রমিকের মূল্য বেশি হওয়ায় এবার সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তার পড়েছেন যশোরের চাষিরা। শেষ সময়ে সবজি চাষের পরিচর্যায় তারা ব্যস্ত সময় পার করলেও সবজি উৎপাদনের উপযুক্ত সময়ে দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। এ অবস্থায় প্রান্তিক চাষিরা সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।

দেশের সবজি উৎপাদনের উল্লেখযোগ্য জেলার মধ্যে যশোর হচ্ছে অন্যতম জেলা। দেশের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ সবজিই এ জেলা থেকে সরবরাহ করা হয়। প্রায় বছরজুড়েই জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে নানা জাতের সবজি চাষ হয়। তবে শীত মৌসুমকে টার্গেট করে এ জেলার চাষিরা প্রচুর সবজি চাষ করলেও এবছর প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারণে তারা অনেক পিছিয়ে পড়েছেন। অন্যান্য বছরে এ সময় বাজারগুলো আগাম জাতের শীতকালীন সবজিতে সয়লাব হয়ে গেলেও দীর্ঘ অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে উৎপাদনের সময় প্রায় এক মাস পিছিয়ে গেছে বলে জানান চাষিরা। সর্বশেষ বৃষ্টি পেয়ে সবজি চাষ শুরু করলেও চাষিরা খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

চাষিরা জানান, একদিকে প্রকৃতির বৈরিতার কারণে তারা চাষে কোনো লাভ করতে পারছেন না। এরপর সার-কীটনাশকের সংকট ও মূল্য বেশি। একইসঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত শ্রমিকের মূল্য মেটাতে গিয়ে তারা পথে বসতে চলেছেন। এ অবস্থায় সবজির ন্যায্য দাম ও সরকারি সহায়তার দাবি তাদের।

জানা যায়, বিস্তীর্ণ ক্ষেতে কৃষকরা তাদের সবজির পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। এ সময় তারা চলতি মৌসুমের সবজি চাষ নিয়ে নানা আক্ষেপ ও উদ্বেগের কথা জানান। কৃষকরা জানান, অন্যান্য বছরে ঠিক এই সময়ে এসব তারা সবজি বাজারে তুলতে পারলেও এ বছর দীর্ঘ অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে প্রায় এক মাস পিছিয়ে রয়েছি। ফলে সময়মতো এ বছর শীতের এ সবজি বাজারে তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা।
গোলাম সরোয়ার নামে আরেক চাষি জানান, বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ এই কপি যখন আমরা বাজারে তুলব, তখন এর দাম পাওয়া যাবে না। এতে নিশ্চিত আমরা ক্ষতির মুখে পড়ব বলে মনে করছি। তিনি বলেন, বাজারে সার কিনতে গেলে সার পাওয়া যাচ্ছে না। গেলেও তা অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। একই সঙ্গে শ্রমিকের মূল্যে আগের চেয়ে জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। এ অবস্থায় আমরা পেরে উঠছি না। তিনি বলেন, সরকার যদি আমাদের প্রণোদনার আওতায় না আনে, তাহলে আগামীতে এ অঞ্চলে অনেক চাষিই ঝরে পড়বে। তারা বিকল্প হিসেবে অন্যকিছু চাষ করতে বাধ্য হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক জানান, আবহাওয়াজনিত সমস্যার কারণে এ বছর শীতকালীন সবজি চাষে কৃষক কিছুটা পিছিয়ে আছে বটে, তবে শেষ সময়ে বৃষ্টি পেয়ে তারা পুরোদমে চাষ শুরু করেছেন। আশা করছি, সামনে কোনো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক তাদের ক্ষেতে বাম্পার ফলন পাবেন। উৎপাদনের উপযুক্ত সময়ে তারা ভালো দামে সবজি বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে তিনি দাবি করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
বস্তা পদ্ধতিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাদারীপুরে সবজি চাষ
কৃষি বিভাগ

সরকারি প্রণোদনা, অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মধ্য দিয়ে দিন দিন মাদারীপুরে বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

জলাবদ্ধ ও পতিত জমিতে কম খরচে বেশি মুনাফা পাওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষে। বাণিজ্যিকভাবে এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ভালো ফলন ও বাজারে এসব সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকরা দিন দিন অনুপ্রাণিত হচ্ছেন সবজি চাষে।

এখন বস্তা পদ্ধতিতে উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আর এ পদ্ধতিতে সবজি চাষে অপার সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

কৃষক মনতোষ বিশ্বাস বলেন, আমার পতিত জমিতে এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে আমি লাভবান হয়েছি। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তা নিয়ে ৩৫টি বস্তা ও ৭টি ডিপি পদ্ধতিতে সবজি চাষে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫-১৬ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে। আরও ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি জানান, বস্তা পদ্ধতির চাষের শুরুতে ৩০ কেজি মাটির সঙ্গে পরিমাণমতো জৈব সার, খৈল ও রাসায়নিক সারের মিশ্রণ বস্তায় ভরে প্রায় তিন ফুট উঁচু করা হয়। কয়েক দিন পর তাতে লাউ, চিচিঙ্গা, উচ্ছে, করলা, ঝিঙে, পুঁইশাক, মরিচ, আদা, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, রসুন ও পেঁপেসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির বীজ বপন অথবা চারা রোপণ করা হয়।

বস্তা ও ডিপির ৪ থেকে ৬ ফুট উঁচুতে তৈরি করা হয় বাঁশের চালি বা মাচা। সে চালির ওপর দড়ি দিয়ে বোনা জালের ওপর বাড়তে থাকে বিভিন্ন সবজির লতা পাতা আর সেখানে ঝুঁলতে থাকে বিভিন্ন প্রকারের সবজি।

উপজেলা কৃষি অফিসার মিল্টন বিশ্বাস জানান, বৃহত্তর বরিশালসহ সাত জেলার কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণসহ সব কলাকৌশল ও উদ্বুদ্ধকরণের মধ্য দিয়ে বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ শুরু করা হয়েছে। এতে কৃষকরা সফল হয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ ৯:০০ পূর্বাহ্ন
গোপালগঞ্জে পূর্ণাঙ্গ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ শেষ পর্যায়ে
কৃষি গবেষনা

গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পূর্ণাঙ্গ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী বছরের মার্চে এ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভাসমান কৃষি, জলমগ্ন কিঞ্চিৎ লবণাক্ত জমিতে বৈচিত্রপূর্ণ ফসল আবাদের পাশাপাশি কৃষির বৈচিত্র নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের কর্মপরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে এটি নির্মিত হচ্ছে। এ কেন্দ্রটি গবেষণার মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে ব্যাপক ভূ’মিকা রাখবে ।

কৃষি মন্ত্রণালয় গোপালগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করণের মাধ্যমে ৫ বছর মেয়াদী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে।

ওই প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জ জেলা শহরের অদূরে ঘোনাপাড়ায় ২০ একর জমির ওপর ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে গবেষণা কেন্দ্রটি নির্মাণ কাজ ২০২০ সালে শুরু হয়।

গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. এম এম কামরুজ্জামান জানান, কেন্দ্রের ২০ একর জমি অধিগ্রহণ, মাটি কাটা, মাটি ভরাট, বিদ্যুতের সাবস্টেশন নির্মাণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন সঞ্চালনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া মাঠ সরঞ্জাম, অফিস যন্ত্রপাতি, আবসাবপত্র, গাড়ি ও মোটর সাইকেল ক্রয় করা হয়েছে। কেন্দ্রের অফিস কাম ল্যাব ভবন নির্মাণ কাজ ৭৫% ও সম্প্রসারণ ভবনের কাজ ৫০%, সম্পন্ন হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন ভবন, শ্রমিক সেড, ওভারহেট ট্যাকিং ও বাউন্ডারী ওয়ালের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কেন্দ্রর অভ্যন্তরে ৩ হাজার ৬০০ বর্গমিটার আরসিসি রাস্তা নির্মাণ ও অফিস কাম ল্যাব ভবনে ৩টি লিফট স্থাপনের কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা ল্যাবের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছি ।

প্রকল্প পরিচালক জানান, ২০১৮ সালে এ প্রকল্প শুরু হয়। এ প্রকল্প শেষ হবে আগামী বছরের ৩০ জুন। ২০২৩ সালের শুরুতেই গোপালগঞ্জ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শেষ হবে। আশা করছি ওই বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ এগিয়ে চলছে।

গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. এম এম কামরুজ্জামান আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ অঞ্চলের কৃষি ও কৃষক হুমকির মধ্যে রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি বিভাগের ৫ জেলার ৩৮টি উপজেলার কৃষি উন্নয়নই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

প্রকল্প পরিচালক জানান, পূর্ণাঙ্গ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রটি কৃষির উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ, নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, গুণগতমান সম্পন্ন বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ, নতুন জাতের ফসলের উপযোগিতা ও সম্ভাব্যতা যাচাই, ফল, সবজি, ডাল, আলু, তৈল বীজ, গম, ভুট্টা, নারিকেল, তাল ও খেজুরের উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষকদের আয়বৃদ্ধিকে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়া হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ এ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রটিকে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি রেস্ট হাউস ও রেষ্টুরেন্ট থাকবে। এটিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলার মধ্যে একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত করা হবে।

সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক নির্মাণাধীণ গোপালগঞ্জ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শণ করেছেন। এসময় মন্ত্রী কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। পরে তিনি দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার পরামর্শ দেন। এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি গবেষণা, পরমানু কৃষি গবেষণা, কৃষি সম্প্রসারণ, ধানগবেষণা ইনস্টিটিউটের পদস্থ কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
আগাম শীতকালীন সবজি চাষ ব্যস্ত কুড়িগ্রামের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

কুড়িগ্রামে এখন সারা বছরই প্রায় সবজি চাষ হয়। তবে হরেক রকমের শীতকালীন সবজি কৃষকরা চাষ করেন বেশি। দাম ভালো পাওয়া ও ফলন ভালো হওয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েই চলেছে।

তবে চলতি বছর বৈরী আবহাওয়া, সার, বীজ ও কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধিতে এ জেলায় আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষিরা দুশ্চিন্তিত হয়ে পড়েছে। অসময় বৃষ্টিপাত ও উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে মাঠেই বেশ কিছু বীজ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। পলিথিন-কাঁথা দিয়ে ঢেকেও রক্ষা করা যাচ্ছে না।এ দিকে সরকারিভাবে সারের কোনো সংকট নেই বলা হলেও কৃষকরা বলছে চাহিদা মতো সার পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া যা পাওয়া যাচ্ছে তাও দ্বিগুণ মূল্যে কিনতে হচ্ছে তাদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান, চলতি মৌসুমে জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই এবং সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীতে আগামভাবে ফুলকপি এবং বাঁধাকপি চাষ করা হচ্ছে। গত বছর প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে আগাম চাষ করা হলেও এবার ৯০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও বাঁধা কপি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছেন কৃষকরা। জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত কোম্পানি থেকে বীজ নিয়ে পুলি তৈরির কাজ করা হয়। প্রথমে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে বীজ বপন করা হয়। সেখানে ১৫ দিন বয়সী পুলি তুলে বেডের মধ্যে লাগানো হয়। বেডে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ দিন রাখা হয়। এরপর জমি তৈরি করে সেখানে পুলি লাগানো হয়। সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে ফুলকপি বা বাঁধা কপি উত্তোলন করা শুরু হয়।

এতে সব মিলিয়ে ১১০ থেকে ১২০ দিন অর্থাৎ ৪মাস সময় লেগে যায়।জেলায় সবজির জন্য বিখ্যাত রাজারহাট উপজেলার ছিনাই এবং সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও চাষ হচ্ছে আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি। বাজারে শীতের এই সবজির চাহিদা থাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে এখানকার কৃষকরা আগামভাবে এসব সবজি চাষ করছেন। কিন্তু চলতি বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও প্রখর রোদে বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এর উপর সার ও কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে কৃষকদের। ফলে আগামভাবে চাষ করে এবার বিপাকে রয়েছে চাষিরা।

রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের বালার ডিঘিরপাড় খিলপাড় এলাকার কৃষক আব্দুল গফুর (৬৩) জানান, দিন দিন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রান্তিক চাষিরা সবচেয়ে বেশী সমস্যায় ভুগছেন। যারা জমি লিজ নিয়ে বা বর্গা নিয়ে আগাম সবজি চাষ শুরু করেছেন তারা অতিরিক্ত খরচের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গতবছর যে বীজ ৪০০ টাকা দরে কেনা হয়েছিল এবার সেটা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। একই উপজেলার মীরেরবাড়ী এলাকার কৃষক কোরবান আলী (৬০) জানান, গরমকালে দুটো পয়সা বেশী পাওয়ার আশায় ফুলকপি লাগাই। কিন্তু এবার খরচ বেশি পড়ায় লাভ কেমন হবে জানিনা। আবহাওয়া ভাল থাকলে শতভাগ লাভ হবে।গতবার ইউরিয়া ও পটাশ সারের কেজি ছিল ১৮টাকা করে। এবার কিনতে হচ্ছে ৩০টাকা। এছাড়াও বীজ ও কীটনাশকের দামও বেড়ে গেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আজিজুল ইসলাম জানান, ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জেলায় আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ। তবে সাম্প্রতিক খরা ও বৃষ্টির কারণে চারার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা নতুনভাবে আবারো চারা রোপণ করছে। তবে সবজির মান বৃদ্ধির জন্য আমরা কৃষকদের জৈব সার ব্যবহার করা পরামর্শ দিচ্ছি। তবে জেলায় কোন সারের সংকট নেই বলে তিনি মনে করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ ৪:১৪ অপরাহ্ন
মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন ফেনীর চাষিরা
কৃষি বিভাগ

“ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় মাল্টা চাষে দিন দিন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এই উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষের উপযোগী হওয়ায় এখানকার কৃষকরা মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন।

কৃষি বিভাগের পরামর্শে বারি মাল্টা-১ জাতের মাল্টা চাষ করে অনেকে সফলও হয়েছেন।

জানা যায়, সুস্বাদু এই ফল চাষে নিজেদের স্বাবলস্বী করছেন চাষিরা। দেশি এই সবুজ মাল্টায় রসে টইটম্বুর, স্বাদে ও ঘ্রানে অতুলনীয়। চাষিদের উৎপাদিত মাল্টা এই উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া গ্রামের চাষী এম শামসুল করিম বলেন, আমি আমার ১২ শতক জমিতে বারি মাল্টা-১ জাতের মাল্টা চাষ করছি। বাগানের সবগুলো গাছে মাল্টা এসেছে। সবুজ পাতার ভেতর থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ মাল্টা। খেতে খুব মিষ্ট ও ভিটামিন ‘সি’ তে ভরপুর।

তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও বাগানের গাছের সঠিক পরিচর্যা করায় ভালো ফলন হয়েছে। আমার বাগানের ২৬ টি মাল্টা গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে গড়ে ৫০-৬০ টি মাল্টা ধরেছে। প্রতি কেজি মাল্টা ১২০ টাকা করে বিক্রি করতে পারছি। আগামীতে আরো বেশি ফলনের আশা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আরো ১০ জন সবুজ মাল্টা চাষি রয়েছে। যারা এই জাতের মাল্টা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। দিন দিন চাষিদের মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলে তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বারি মাল্টা-১ জাতের মাল্টা উচ্চ ফলনশীল একটি জাত। এই জাতের মাল্টা খেতে সুস্বাদু ও ভিটামিন ‘সি’ সম্পন্ন হয়। মাল্টা গাছ সারা বছর ফল দিয়ে থাকে। আমরা মাল্টা চাষে আগ্রহীদের চারা বিনামূল্যে প্রদান করছি।”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ের করল যাচ্ছে দেশের সব জেলায়
কৃষি বিভাগ

ঠাকুরগাঁও জেলায় করলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলায় গতবারের তুলনায় করলার ফলনও হয়েছে দ্বিগুণ। অল্প সময়ে কম পুঁজিতে বেশি লাভ হয় বলেই তারা করলা চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

এ জেলায় উৎপাদিত করলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও এ জেলার করলা রফতানি হচ্ছে।

জানা যায়, সদর উপজেলার রাজাগাঁও, আসাননগর, চাপাতি, রাজারামপুর খড়িবাড়ী, দক্ষিণ বঠিনা, উত্তর বঠিনা, ঝলঝলি, ফরিদপুর, বড়দেশ্বরী, ধর্মপুর, বোয়ালিয়া চোপড়াপাড়াসহ রুহিয়ার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০০ চাষি করলার আবাদ করছেন। সাধারণত বছরে এক জমিতেই দুবার করলা চাষ করা যায় বলে জানান চাষিরা।

সদর উপজেলার পাইকারি সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, জেলার বাসিন্দাদের চাহিদা মেটাতে কয়েক বছর আগেও অন্য জেলা থেকে করলা আনতে হতো। কয়েক বছর ধরে এ জেলার উৎপাদিত করলাই বিক্রি হচ্ছে বাজারে। শুরুতে প্রতি কেজি করলা ৭০ থেকে ৮০ কিংবা ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। পাইকারি বাজারে প্রতি মণ করলা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়।

ঠাকুরগাঁও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আগস্ট থেকে অক্টোবর ও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে জমিতে দুবার করলা চাষ করা যায়। সাধারণত রোপণের ৪০-৫০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। মাত্র দেড় মাসে ফলন পাওয়া যায় বলে এ ফসলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে চাষিদের মধ্যে। তাই এ জেলায় করলা চাষ দিন-দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

চলতি মৌসুমে জেলায় এবার গতবারের তুলনায় করলার ফলনও দ্বিগুণ হয়েছে। পাশাপাশি এবার দামও ভালো পেয়েছেন চাষিরা। চাষিদের কাছ থেকে সংগৃহিত করলা এ অঞ্চলের সবজির স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম বরিশালসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় বলেন, সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২৯০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হয়েছে। পানি জমে না এমন উঁচু-মাঝারি জমিতে করলার ভালো চাষ হয়। কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে চাষিদের পাশে আছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ডা. আবদুল জলিল বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৬৮৭ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কেজি। এবার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় আগামী দিনে এর চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছি। এর ফলন আরও ভালো করার লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের প্রয়োজনীয় সহায়তাসহ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ ১২:৫০ অপরাহ্ন
কৃষকের ব্যাংকঋণেও মধ্যস্বত্বভোগীরা হস্তক্ষেপ করে!
কৃষি বিভাগ

গ্রামের কৃষকদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিবর্তনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন সমাজের প্রভাবশালীরা। একজন কৃষক এখন ব্যাংকঋণ পেতে গেলেও মধ্যস্বত্বভোগীরা হস্তক্ষেপ করে। এসব বাধা উত্তরণের ধারণা আমাদের পুনরায় চিন্তা করতে হবে। ’৪৭ দেশভাগের পর সাত দশকে সামাজিক, রাজনৈতিক বিভিন্ন পরিবর্তনের ধারা আছে। কিন্তু কৃষিখাতে প্রযুক্তির দোহাই দিয়ে কৃষি জমিগুলো দখল হচ্ছে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক সেমিনারে এসব কথা বলা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির সম্মেলন কক্ষে ‘এগ্রেইন ট্রানজিশন অর রুরাল ট্রান্সফরমেশন: ফ্যাক্টর অ্যান্ড ট্রেন্ড অব চেঞ্জ ইন ভিলেজ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বিআ্ইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লন্ডনের সোয়াস ইউনির্ভাসিটির প্রফেশনাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটস স্বপন আদনান। বক্তব্য দেন প্রফেসর আব্দুস সাত্তার মন্ডল, প্রফেসর মাহাবুব উল্লাহ প্রমুখ।

গবেষণায় বলা হয়, গ্রামের পরিবর্তন হয়েছে চারটি ধারার মধ্যে। এগুলো হলো- শিল্পায়ন, নগরায়ন, অভিবাসন এবং উন্নয়ন। সামাজিক, অর্থনৈতিক, ডেমোগ্রাফিক এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন প্রভাব পড়েছে এসব ক্ষেত্রে। ৪৭-এর দেশভাগের পর কৃষি জমি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে শালিশ বিচার এক ধরনের মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। এক্ষেত্রে সমাজ প্রধানরাই নিয়ম ভেঙেছেন।

মূল প্রবন্ধে স্বপন আদনান বলেন, গ্রামীণ অর্থনৈতিক অবস্থার বিকাশ ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। রেমিট্যান্স এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এই অর্থ উৎপাদনশীল কাজে কতটা ব্যয় হয়ে থাকে সেটি প্রশ্ন সাপেক্ষ।

তিনি বলেন, গ্রামীণ জমি চলে যাচ্ছে বিত্তশালী বা শিল্প মালিকদের হাতে। তারা চিংড়ি ঘের, রাবার বাগান কিংবা অন্য কোনো অর্থনৈতিক কাজে ব্যবহার করে গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ ৫:১৮ অপরাহ্ন
রোপা আমনের জমিতে চাষ হচ্ছে সবজি!
কৃষি বিভাগ

বৈরী প্রকৃতির ফেরে পড়ে যে কৃষক রোপা আমনের আবাদ করতে পারেনি তারা ওই জমিতে শীতকালীন সবজির আগাম ফসল ফলিয়েছে। শীত মৌসুমে রবি ফসলের নির্দিষ্ট সবজির আবাদ তো হবেই। এভাবে বগুড়া অঞ্চলের কৃষক সবজি ফলনে এগিয়ে গেছে।

বগুড়ার কৃষক বাসেত আলী বললেন, কম বৃষ্টির কারণে অনেক জমিতে রোপা আমন আবাদ করা যায়নি। শুকনো আবহাওয়ায় সেই জমিতে সবজি ফলানো হচ্ছে। এই সময় যদি অতি বৃষ্টি নামে তাহলে সবজি আবাদ নষ্ট হবে। প্রকৃতির বৈরিতা এবার এমনই যে, বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক জমিতে আমন আবাদ হচ্ছে না। আবার সবজি আবাদ করে বৃষ্টির ভয় পেয়ে বসেছে। দ্বিমুখী এই প্রকৃতিতে  একটি বিষয় পরিষ্কার কৃষক কোন জমি ফেলে রাখে না।

উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর করে জানা গেল, ওইসব এলাকার কৃষক একই ব্যবস্থা নিয়েছে। চলনবিল পাড়ের এলাকায় আবার আউশ ঘরে তোলার পর আগাম আমন ঘরে তুলছে।

সিংড়ার চামারি এলাকার গৃহস্থ আবুল কালাম জানালেন বিলপাড়ের বিলদহর এলাকার কৃষক সারাবছর কোন না কোন ফসল ঘরে তোলে। বর্ষার ফসলের পাশাপশি মাছের আধারে শুঁটকির চাতাল গড়ে তুলেছে। পাবনা রাজশাহী রংপুর অঞ্চলের কৃষক যেখানে রোপা আমন করতে পারেনি সেখানে সবজির আবাদ করেছে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা জানালেন, বগুড়ায় চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজি আবাদের টার্গেট করা হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি। সেখানে রোপা আমন না হওয়া জমিগুলো সবজি আবাদের মধ্যে এসেছে। ফলে আগাম শীতকালীন সবজি আবাদের পাল্লা এবার ভারি। গত বছরে সবজি আবাদের যে টার্গেট ছিল তারচেয়ে আগাম শীতকালীন সবজির জমি অন্তত ৯শ’ হেক্টর বেড়েছে। সামনের রবি মৌসুমে ফসলের জমি আগাম সবজির জমির সঙ্গে যুক্ত করে হিসাব কষতে হবে।

বগুড়ায় এই মুহূর্তে বাজারে মিলছে মুলা, পালং শাক, পুঁই শাক, লাল শাক, শিম, বরবটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা,  টমেটো, গাজর ইত্যাদি। এবারের বর্ষা শরত রোপা আমনের জন্য আবহাওয়া প্রতিকূলে। আবার সবজি আবাদের জন্য এই আবহওয়া অনুকূলে। বগুড়ার প্রবীণ কৃষক  মহাস্থানগড়ের আজাহার আলী বললেন, বর্ষায় বৃষ্টি হয় না এমন প্রকৃতি সে ৭৬ বছরের জীবনে দেখেননি। আবহাওয়া বিভাগের কথা গত ৪২ বছরে বর্ষার এমন প্রকৃতি দেখা যায়নি। রোপা আমন আবাদটি নির্ভর করে বৃষ্টির ওপর সেই বৃষ্টি এবার নেই। যে কারণে কৃষক জমি ফেলে না রেখে সবজি আবাদের দিকে ঝুঁকেছে।

কৃষক আব্দুল করিম বলেন, গত শীতকালীন রবি মৌসুমে তিনি এক বিঘা জমিতে সবজির আবাদ করেছিলেন। এবার আগাম শীতকালীন সবজির আবাদ করেছেন আড়াই বিঘা জমিতে। তিনি কিছুটা হতাশায় বললেন, এবার এত যে সবজি আবাদ হচ্ছে কৃষক ঠিকমতো দাম পাবে তো! তিনি তার অভিজ্ঞতায় জানালেন, গত ক’বছর ধরে সবজি মৌসুমে ঢাকার পাইকাররা বগুড়ার মহাস্থানগড় ও আশপাশের এলাকায় ট্রাক পাঠিয়ে দিয়ে সস্তা দামে সবজি কিনে নিয়ে যায়। ঢাকা ও চট্টগ্রামে সেই সবজি বিক্রি হয় চড়া দামে। উত্তরাঞ্চলের যে কৃষক কষ্ট করে সবজি ফলায় তারা বেশি লাভ করতে পারে না। অনেক সময় কোন সিন্ডিকেটের থাবায় সবজির দাম কমিয়ে দিলে কৃষকদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। তারপরও কৃষক কোন জমি ফেলে রাখে না।

বগুড়ার কৃষকগণ বলছেন এখনও সবজি আবাদে তারা লাভের মধ্যেই আছেন। ভয় হয় কখন কোন না সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে তাদের লোকসান গুনতে হয়। বগুড়ার গ্রাম ও শহরে সবজির ক্রেতা বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষ মাছ গোশতের চেয়ে সবজি বেশি কিনছে। হালে সবজির নানা ধরনের রেসিপিও তৈরি হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের মানুষ এখন ভেজিটেরিয়ান হয়ে যাচ্ছে। এতে গড় আয়ু বাড়ছে।

সূত্র: জনকণ্ঠ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ ২:২৫ অপরাহ্ন
কাঁচা মরিচের বিভিন্ন জাত
কৃষি বিভাগ

সুস্বাদু একটি তরকারির অন্যতম প্রধান উপাদান হলো কাঁচা মরিচ বা পাকা মরিচ। যা গুঁড়ো করে কিংবা পাটায় বেটে তরকারিতে ব্যবহার করা হয়।

তরকারি হোক, নিরামিষ হোক—এক-আধটু ঝাল চাই-ই চাই। পরিমিত ঝাল না হলে অনেকের কাছে তরকারি স্বাদহীন হয়ে যায়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য রকমের মরিচ চাষ হচ্ছে। রয়েছে এর বিভিন্ন জাত। উল্লেখ্যযোগ্য জাত হলো—রোপা ঝাল মরিচ, বোনা ঝাল মরিচ এবং মিষ্টি মরিচ। এই তিনটি জাতের মধ্যেও রয়েছে আরো অসংখ্য জাতের মরিচ। যেমন কামরাঙ্গা, বোম্বাই, কৃষ্ণকলি, ঘৃতকুমারী, সূর্যমুখী, সিটিন, বালিজুরী, জারলা, বারোমাসী, উবধা, পুষা জাওলা, বাইন, সাইটা, শিকারপুরী, ক্যালিফোর্নিয়া ওয়ান্ডার, ম্লিমপিম, ওয়ান্ডার বেল, ফুসিমি লংগ্রিন প্রভৃতি।

বাংলাদেশে সব অঞ্চলেই কাঁচা মরিচ হয়। উত্তরাঞ্চলে কাঁচা মরিচ ‘আকালি’ নামে পরিচিত। টাঙ্গাইল জেলার পাহাড়ের ঢালু অঞ্চলেও কাঁচা মরিচ ভালো জন্মে, তবে সেগুলো ছোট আকৃতির—যার নাম হচ্ছে ‘ধাইন্যা মরিচ’ বা সুগন্ধযুক্ত তীব্র ঝাল মরিচ। টাঙ্গাইলের কাঁচা মরিচ বিখ্যাত। এ মরিচ অন্যান্য জেলার মরিচের চেয়ে একটু ভিন্ন। টাঙ্গাইল অঞ্চলের দ্বারিয়াপুরের লোকজন মরিচের গুঁড়ো মসলা খুবই কম ব্যবহার করেন। তাঁরা কাঁচা মরিচ দিয়েই তরকারি রান্না করে থাকেন।

কাঁচা মরিচ গ্রামবাংলায় পানতার সঙ্গে খাওয়া হয়। কাঁচা মরিচ অনেক উপকারী। এতে যথেষ্ট পরিমাণে আমিষ, শর্করা, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ রয়েছে। তাছাড়া অনেক জাতে ‘কেপসাইসিন’ থাকায় মরিচ ঝাল হয়ে থাকে। মাটির তারতম্য ও আবহাওয়ায় ঝাল, তীব্র ঝাল, হালকা ঝাল ও মিষ্টি কাঁচা মরিচ উত্পাদিত হয়। কাঁচা মরিচ নষ্ট হয় না এবং তা ফেলনা নয়। গ্রামে এমনকি শহরেও এখন প্রচলিত আছে—হাটবাজার থেকে সবুজ হালকা লাল, কমলা ও লাল আকৃতির কাঁচা মরিচ বাসায় এনে তা দু’ভাগে ভাগ করা হয়। লাল কাঁচা মরিচ অর্থাত্ পাকা। মরিচ শুকালে শুকনো মরিচে পরিণত হয়। আর তাই কাঁচা মরিচ পচনশীল দ্রব্য নয়। তবে এক্ষেত্রে সাবধান হয়ে পরিচর্যা করলে এর থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop