৬:৩৭ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ১২, ২০২২ ৫:০২ অপরাহ্ন
কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার, সবজির দামও চড়া!
কৃষি বিভাগ

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা কেজি দরে। চড়া দর সবজির বাজারেও। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে প্রায় সকল সবজির দর। পেঁপে ছাড়া ৭০ টাকার কমে মিলছে না কোনো সবজি।

রাজধানীর কয়েকটা বাজার ঘুরে দরের এ চিত্র দেখা য়ায়। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার মিছিলে এখন অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে কাঁচামরিচ। প্রতি কেজি কাঁচামরিচের জন্য এখন গুনতে হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। গতকালও ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাঁচামরিচ। এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে বাড়ল ৩০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে।
সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা প্রায় সকল সবজির দাম।

বাজার ভেদে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে, কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেড়স ৭০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, করল্লা ৭০ টাকা, চিচিংগা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শশা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।
কচুর মুখী ৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, দুন্দল ৭০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। ফুল কপি ৫০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়ার ফালি ২০ তগেকে ৩০ টাকা, কলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লেবুর হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। ৯০০ থেকে হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস। কেজিতে এক লাফে ৫০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা দরে।
বাজার ভেদে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। কাতল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, নলা মাছ ২৪০ থেকে ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১৪০ থেকে ৩৫০ টাকা, শিং মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

আকারভেদে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকায়, কাচকি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা ও পাবদা ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১২, ২০২২ ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
প্রিমিয়ার ব্যাংকের অর্থায়নে কৃষকের কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ
কৃষি বিভাগ

দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এর অর্থায়নে সিও (সোসিও ইকোনোমিক হেল্থ এডুকেশন অর্গানাইজেশন) এর পরিচালনায় সম্প্রতি এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে প্রকাশ্যে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

ঝিনাইদহ শহরের জোহান ড্রীম ভ্যালি পার্ক মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের এসইভিপি ও প্রধান কর্মকর্তা, এসএমই এবং কৃষি ঋণ বিভাগ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ উদ্দিন, ব্যাংকের গুলশান গ্লাস হাউজ শাখার ব্যবস্থাপক মো. হাসিবুল আসাদ, সিও এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মো. সামছুল আলম ও ২৩৯ জন কৃষাণ-কৃষাণী।

অনুষ্ঠানে দশজন কৃষককে চেক প্রদানের মাধ্যমে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি মনিরা বেগম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করতে দেশব্যাপি কৃষকদের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণে প্রিমিয়ার ব্যাংকের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১১, ২০২২ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
শরীয়তপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে পাটের আবাদ
কৃষি বিভাগ

অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মত সার-বীজ পাওয়ায় চলতি মৌসুমে শরীয়তপুরে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে অধিক পরিমাণ জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পাটের ভালো ফলনের আশা করছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ। এবছর জেলায় ২৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষক ৮০ শতাংশ পাট জমি থেকে কেটে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

শরীয়তপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম রাসূল জানান, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ও সময়মতো সার-বীজ পাওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় জেলার কৃষকরা অনেক বেশী জমিতে পাটের আবাদ করেছে। এ ছাড়াও পাটের বাজারমূল্য তুলনামুলক বেশী থাকাটাও অধিক পরিমাণ পাট চাষের একটি কারণ।

এবছর জেলায় পাট আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৭ হাজার ৬২৮ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে আবাদ হয়েছে ২৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ৫ হাজার ৭৯০, নড়িয়া উপজেলায় ৩ হাজার ৬৫০, জাজিরা উপজেলায় ১০ হাজার ৩৪০, ভেদরগঞ্জে উপজেলায় ৫ হাজার ১৩০, ডামুড্যা উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ ও গোসাইরহাট উপজেলায় ৩ হাজার ১৫০ হেক্টরে দেশী, তোষা, মেসতা ও কেনাফ জাতের পাটের আবাদ হয়েছে।

জাজিরা উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের মিরাসার গ্রামের পাট চাষি মো: মোশাররফ মোল্লা জানান, এ বছর আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকায় আমরা পাটের আবাদ বেশি করেছি। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ পাট প্রকার ভেদে ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এবছর পাট আবাদ করে আমরা বেশ লাভবান হয়েছি। আশা করছি মৌসুমের শেষ দিকে আমরা আরও বেশি দাম পাবো।

জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জামাল হোসেন বলেন, পাটের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনতে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার উন্নতমানের পাটের বীজ উৎপাদন থেকে শুরু করে সরবরাহ করে মানসম্মত পাট উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করে আসছে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সার্বিক সহায়তায় অধিক পরিমাণ আবাদ করে ফলনও পেয়েছে বেশ ভালো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১১, ২০২২ ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
এক লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে চলছে ভোলায় আমন আবাদ
কৃষি বিভাগ

ভোলা জেলার ৭ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৭৯ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ কার্যক্রম চলছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার ৬’শ ২০ হেক্টর জমিতে। চলতি মাসের প্রথম থেকে আবাদ শুরু হয়ে চলবে আগামী মাসের শেষ পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে আমনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে কৃষি বিভাগ আশা প্রকাশ করে। এবছর ৭ হাজার কৃষককে আমনের প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট জমি থেকে ৬ লাখ ৮০ হাজার ২’শ মেট্রিকটন চাল উৎপাদনের টার্গেট ধরা হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানায়, মোট আমন আবাদের মধ্যে উফশী ১৬ হাজার, স্থানীয় ২ হাজার ৬’শ ও হাইব্রিড ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রাকৃত ১ লাখ ৭৯ হাজার ২’শ হেক্টর জমির মধ্যে উফশী ১ লাখ ৫৭ হাজার ও স্থানীয় ২২ হাজার ২’শ হেক্টর রয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের কথা জানান তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির জানান, জেলায় প্রায় প্রতি বছরই আমনের বাম্পার ফলন হয়ে আসছে। এবছর বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৪’শ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া জেলার ৭ হাজার কৃষকের প্রত্যেকের জন্য ৫ কেজি করে উন্নত জাতের বীজ, ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ডিএপি সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ জেলায় সাধারণত ব্রীধান-৫২, ৭৬, ৭৭, ৪০, ৫১, ৪৯, বিআর-২৩, ১১ ও বিনা ধান-৭, ১১, ১৭ ও ৪ জাতের আবাদ বেশি করা হয়।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, জেলার মোট আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সদর উপজেলায় ২৪ হাজার ১’শ হেক্টর, দৌলতখানে ১৭ হাজার, বোরহানউদ্দিনে ১৮ হাজার ৪’শ, লালমোহনে ২৩ হাজার ৫’শ, তজুমদ্দিনে ১১ হাজার ৯’শ ৯০, চরফ্যাশনে ৭২ হাজার ৮৫ ও মনপুরায় ১২ হাজার ১’শ ২৫ হেক্টর জমি রয়েছে।

সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া এলাকার কৃষক হাতেম আলী, কামরুল ইসলাম ও আব্দুল খালেক বলেন, তারা প্রত্যেকে ২ একর করে জমিতে আমন আবাদ করছেন। ইতোমধ্যে চারা রোপণ শুরু করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ সেবা পাচ্ছেন বলে জানান তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির বলেন, জেলায় আউশের চেয়ে আমনের অবস্থা ভালো রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের সঠিক জাত নির্বাচন, সারিবদ্ধ চারা রোপণ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগসহ সব ধরনের পরামর্শ সেবা প্রদান অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, কৃষকদের সমস্যা সমাধানে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সচেষ্ট রয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় আধুনিক পদ্ধতিতে আমন ধান রোপণে প্রায় ৫’শ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের কথা জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১০, ২০২২ ৬:১০ অপরাহ্ন
কালিন্দিতে নৌকাসহ ৬ ভারতীয় গরু আটক
কৃষি বিভাগ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কালিন্দি নদীর চর থেকে ছয়টি ভারতীয় গরুসহ একটি নৌকা আটক করা হয়েছে। তবে, এসময় কোনো চোরাকারকারীরা আটক করতে পারেনি নৌ পুলিশ।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে আনার সময় এসব গরু আটক করা হয়।

শ্যামনগরের রমজাননগর ইউনিয়নের রায়নগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারক বিশ্বাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নৌকাসহ ভারতীয় গরুগুলো আটক করা হয়। পরে আটক গরুগুলো কালিগঞ্জের বসন্তপুর কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর নৌকাটি নৌ-পুলিশের অফিস সংলগ্ন নদীতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আটক গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১০, ২০২২ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
জয়পুরহাটে হলুদ তরমুজের বাম্পার ফলন,দামেও খুশি চাষিরা
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নতুন করে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অসময়ের তরমুজ চাষ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্য ফসল বাদ দিয়ে অসময়ের তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন এলাকার কৃষকেরা।

বর্তমানে এ তরমুজ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে রাজধানরীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

জানা যায়, বীজ বপনের ৩০ দিনের মধ্যে গাছের লতা-পাতাগুলো মাচায় উঠেছে। ৪০ দিনের মধ্যে গাছে গাছে হলুদ রঙের ফুল ফুটেছে এবং অনেক গাছে কুড়িও এসেছে।

প্রজাপতিরা এক ফুল থেকে অন্য ফুলে আপন মনে উড়ে গিয়ে বসছে আর মাচার ওপরে গাছের সবুজ পাতার নিচে ছোট বড় অনেক পরিপক্ক তরমুজ ঝুলছে। এ তরমুজ দেখতে হলুদ রঙের, ভেতরে কিন্তু লাল টুকটুকে ও রসেভরা। খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মিষ্টি।

উপজেলার হাজীপাড়ার সফল তরমুজ চাষি মো. সাগর হোসেন বলেন, আমার ৭০ শতাংশ জমিতে বেড করে মাটির সঠিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে মালচিং পেপার পদ্ধতিতে জুন মাসে ২০ ইঞ্চি পর পর চায়না ও থাইল্যান্ড দেশের মধুমালা আর তৃপ্তি জাতের তরমুজের বীজ রোপণ করি। ৩০ দিনের মধ্যে গাছ মাচায় উঠে যায়। রোপণের ৪০ দিনের মধ্যে গাছে প্রচুর ফুল ও কুড়ি আসে।

তিনি আরও বলেন, ফল ৩৫ দিনে পরিপক্ক হয়ে ডোগায় ডোগায় ঝুলে আছে। আড়াই থেকে ৩ কেজি ওজনের তরমুজ। প্রতিটি তরমুজ গড়ে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে আমার আয় হবে প্রায় ২ লাখ টাকা।

স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, কালাই উপজেলার উৎপাদিত তরমুজগুলোর গুণগত মান অনেক ভালো। এই এলাকার তরমুজ বিষ ও ফরমালিন মুক্ত এবং খেতে খুব সুস্বাদ, দেখতেও অনেক আকর্ষণীয়। তা-ছাড়া এখানকার তরমুজ ক্রেতাদের চাহিদায় প্রথমে রয়েছে। তারা ক্ষেত থেকে প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে পাইকারি কিনছেন।

কালাই উপজেলার কৃষি অফিসার নীলিমা জাহান জানান, উপজেলায় ১০ হেক্টর জামিতে মধুমালা ও তৃপ্তি জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে। এলাকায় তরমুজ চাষের জন্য কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহের পরামর্শ এবং বালাইনাশক ব্যবহারে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৯, ২০২২ ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
মাশরুম চাষে চমক দেখাচ্ছেন কাপ্তাইয়ের অনিল মারমা
কৃষি বিভাগ

মাশরুম চাষ করে সফল হয়েছেন এল এল বি পাস করা বেকার যুবক কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি এলাকার অনিল মারমা।
লেখাপড়ার পাশাপাশি আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে অনেকটা নিজের শখের বসে গড়ে তোলা মাশরুম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন অনিল।

তিনি জানান, করোনাকালীন সময়ে যখন বেকার সময় অতিবাহিত করছিলাম, তখন অনেকটা শখের বসে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক চাহিদা মিটাতে মাশরুষ চাষ করার পরিকল্পনা করি। মাশরুম চাষের পরিকল্পনা সফল করতে আমি বড়ইছড়িতে একটি মাশরুশ চাষের ঘর তৈরি করে সেখানে পরীক্ষামুলকভাবে মাশরুম চাষ শুরু করি।

অনিল জানান, এ ১টি মাশরুম চাষঘরে কমপক্ষে ১ হাজার মাশরুম চাষের খড়ের সিলিন্ডার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন রয়েছে। মাশরুম চাষে সফলতা দেখায় অনিল মাশরুষ চাষ করার পাশাপাশি সম্প্রতি মাগুরা জেলার ড্রীম মাশরুম সেন্টার থেকে মাশরুষ চাষ নিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে বলে জানান।

বর্তমানে তিনি মাশরুম চাষের পরিধি আরো বাড়িয়েছে উল্লেখ করে জানান,গত চার মাসে ৪ শত খড়ের সিলিন্ডার হতে তার মাশরুম উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩ শত কেজি। তার উৎপাদিত এ মাশরুম স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি রাঙ্গামাটি জেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাইকারীভাবে বিক্রি হচ্ছে।

জানান, মাশরুম চাষের মাধ্যমে তিনি নিজের সব চাহিদা পূরণ করে পারিবারিক চাহিদা মিটাতে সহযোগিতা করতে পারছেন। অনিল বলেন, সারা বছর ১ হাজার খড়ের সিলিন্ডার তৈরি করে মাশরুম উৎপাদন করা গেলে বছরে কমপক্ষে ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।

মাশরুশ চাষের পাশাপাশি তিনি ৩য় প্রজন্মের ধানের মাদার উৎপাদন করার কাজ করছে, যা এলাকার চাষিদের বীজ সরবরাহের অন্যতম উৎস হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে তার কারখানায় ৮-১০ জন বেকার যুব মহিলা কাজ করছে। ভবিষ্যতে মাশরুম চাষের পরিসর বৃদ্ধি করে এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান তৈরি করার স্বপ্ন দেখছেন বলে জানান অনিল মারমা।

কাপ্তাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মধুসূদন দে জানান, কাপ্তাইয়ে অনিল মারমার মাশরুম চাষের সফলতার খবর শুনে সরেজমিনে তাঁর মাশরুম খামার দেখেছি। মাশরুম চাষে অনিলের সফলতা এ এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য একটি উৎকৃষ্ট উদাহারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনিলের মাশরুম প্রজেক্টকে আরো বড় পরিসরে এগিয়ে নিতে কৃষি বিভাগের সাথে আলোচনা করে সহায়তা করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৮, ২০২২ ১০:০২ পূর্বাহ্ন
বিশ্ববাজারে কমল খাদ্যপণ্য ও ভোজ্যতেলের দাম
কৃষি বিভাগ

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনার প্রভাবে বিশ্বজুড়ে যখন খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে, তখনই স্বস্তির খবর দিল জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। সংস্থাটি বলছে, ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমেছে ভোজ্যতেলের দাম। আর টানা চতুর্থ মাসের মতো কমেছে খাদ্যপণ্যের দামও।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) এফএওর দেয়া তথ্যের বরাতে চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, গেল জুনের তুলনায় জুলাইয়ে খাদ্যপণ্যের দাম গড়ে কমেছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে গেল এক মাসে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য কমেছে ২০ শতাংশের কাছাকাছি, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে।

একক পণ্য হিসেবে বিশ্বব্যাপী গত মাসে গমের দাম কমেছে সাড়ে ১৪ শতাংশ। ভুট্টার দামও কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ। সব মিলিয়ে জুলাইয়ে খাদ্যশস্যের দাম কমেছে সাড়ে ১১ শতাংশ। যদিও এখনও তা এক বছর আগের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।

এছাড়া চিনির দাম কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এনিয়ে টানা তৃতীয় মাসের মতো কমল পণ্যটির দাম। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রনের মধ্যে পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তির ইতিবাচক প্রভাব দ্রুত বিশ্ববাজারে পড়েছে বলে জানিয়েছে এফএও।

জাতিসংঘের এ সংস্থাটি ভোজ্যতেল ও খাদ্যপণ্যের দাম কমার হিসাব দিলেও এর তেমন কোনো প্রভাব পড়ছে না দেশের বাজারে। বিক্রেতারা বলছেন, কমানোর বদলে বরং আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল, ডাল, চিনিসহ আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার প্রভাব যেন দ্রুত দেশের বাজারে পড়ে তা নিশ্চিত করার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৮, ২০২২ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
আমন আবাদে ব্যস্ত কৃষক,ভালো ফলনে প্রত্যাশা তাদের
কৃষি বিভাগ

পানির অপেক্ষা ফুরাল বগুড়ার কৃষকদের। শ্রাবণে বৃষ্টি দেখা পেয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন তারা। দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন আমন আবাদে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বগুড়ায় এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আমন চাষ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।

জানা যায়, আমন চাষে খরচ কিছুটা কম হওয়ায় প্রতি বছরই লাভের মুখ দেখছেন কৃষক। এবারও ভালো ফলন ও ভালো দামের প্রত্যাশা রয়েছে তাদের। চলতি মৌসুমে প্রখর রোদের কারণে জমিতে পানি না থাকায় কিছুটা দেরি করে জেলায় আমন আবাদ শুরু হয়েছে। অনেক এলাকায় শ্যালো মেশিন অথবা গভীর নলকূপের সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করে আগাম চাষাবাদ শুরু করেছিলেন কেউ কেউ। সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

বগুড়া সদর ও গাবতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা জানান, ইরি ধানের চেয়ে খরচ কিছুটা কম হওয়ায় প্রতিবারই তারা আমন চাষ করেন। বৃষ্টি হওয়ায় এখন সবাই চাষাবাদে ব্যস্ত। সেচ খরচ নেই বললেই চলে। তবে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় আমন চাষে। জেলার শেরপুর, শিবগঞ্জ, নন্দীগ্রামসহ সব উপজেলায়ই আমন আবাদ হয়ে থাকে।

সোনাতলা উপজেলার হুয়াকুয়া গ্রামের মুসা মন্ডল জানান, বৃষ্টির পর জমি তৈরি করে চারা লাগানো হয়েছে। উপজেলায় মাঠে মাঠে চাষিরা আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে। শেরপুর উপজেলার নাহিদ হাসান জানান, বেশকিছু জমিতে আমন চারা রোপণ শেষ হয়েছে। আরও জমি আছে যেগুলোতে চাষ শেষ করে বীজ লাগানোর কাজ চলছে। নিচু এলাকায় বৃষ্টির পানি দিয়ে জমি তৈরি করা গেলেও উঁচু জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে।

জানা যায়, ১০-১২ হাজার টাকা খরচে বিঘাপ্রতি ১৫-২০ মণ ধান পাওয়া যায়। জুলাই থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত আমন আবাদ করেন চাষিরা। আগাম জাতের ধান অক্টোবরের মাঝামাঝি কাটা শুরু হলেও নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কৃষকের ঘরে ওঠে সোনালি ফসল। জেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন।

এখন পর্যন্ত বগুড়ায় ৪০ শতাংশ জমিতে আমন রোপণ করা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, সব ঠিক থাকলে এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে। উচ্চ ফলশীল জাতের ব্রি-৮৭, ব্রি-৭৫, বিনা-১৭ সহ অনেক জাতের ধান রোপণ করা হচ্ছে। এ জাতের ধান আগাম চাষ হয়ে থাকে। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার আমন চাষের জমি বেড়েছে। যে কারণে ফলনো বেশি হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৮, ২০২২ ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠিতে ব্রি ৪৮ জাতের ধান প্রদর্শনীর মাঠ দিবস পালন
কৃষি গবেষনা

ঝালকাঠি জেলার অধিকাংশ জমিতে আমন জাতের ধানের চাষ হত। বাকি সময় চাষযোগ্য জমি পতিত থাকত। চলতি বছর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগে ‘উপকূলীয় বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে পানি সম্পদ মাটির লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ’ কর্মসূচির আওতায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার যোগেশ্বর গ্রামে কৃষক দুলাল হাওলাদার এর ৩০ বিঘা জমিতে স্থাপন করা একটি ব্লক পরিদর্শন করা হয়।

রবিবার সেখানে দুপুরে ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস পালন করা হয়।

সেচ ও ধান গবেষণা বিভাগের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মনিরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুলতানা আফরোজ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মসূচি পরিচালক ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. প্রিয় লাল চন্দ্র পাল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ১২০ জন কৃষক-কৃষাণী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ঐশিক দেবনাথ।

কৃষকরা জানান ব্রি ৪৮ ধান চাষ করে এ বছর লাভবান হবেন। ইতোমধ্যেই মাত্র ১০৫ দিন সময়ের মধ্যে এই জাতের ফলন ৩৩ শতাংশ জমিতে ২১ মন ধান পাওয়া গেছে। আগামীতে এই জাতের ধান চাষ করে অল্প জমিতে কম সময়ে অধিক ফলন পাওয়া যাবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop