১২:৪৩ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২২ ৮:৩১ পূর্বাহ্ন
ঘুরে দাঁড়াচ্ছে গমের বাজার
কৃষি বিভাগ

সর্বনিম্ন নামার পর এবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে গমের বাজার। ইতোমধ্যে শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) বেড়েছে গমের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য। এমনই খবর প্রকাশ করেছে বিজনেস রেকর্ডার। রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেনের গম রফতানি ফের চালু করতে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। কিছুদিন আগে ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিষয়টি আরো গতি পায়। এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তিও শিগগিরই স্বাক্ষর করা হবে। তবে রফতানিতে এখনো কোনো অগ্রগতি দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। এদিকে গমের পাশাপাশি ভুট্টা ও সয়াবিনের দামও বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি ইউক্রেনের গম রফতানি বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী রফতানি বাড়েনি। ফলে গমের দাম আরো বাড়তে পারে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে গমের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ২ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি বুশেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৭ ডলার ৯২ সেন্ট। এর আগে শস্যটির দাম ৭ ডলার ৬৬ সেন্টে নেমে গিয়েছিল, যা ১০ ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্ন।

সিডনিভিত্তিক কৃষি ব্রোকারেজ ইকন কমোডিটিজের পরামর্শক পরিষেবা বিভাগের পরিচালক ওলে হো বলেন, কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলে প্রত্যাশা অনুযায়ী গম রফতানি না বাড়ার খবরে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে গমের ফিউচারস মার্কেট।

এদিকে গম উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০২২-২৩ মৌসুমে ইইউতে সব ধরনের গম উৎপাদন ১২ কোটি ৫০ লাখ টনে নামতে পারে বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশন।

সরবরাহ ও চাহিদাসংক্রান্ত প্রতিবেদনে ইউরোপিয়ান কমিশন জানায়, তবে শস্যটির রফতানি রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছতে পারে। কিন্তু এর আগের পূর্বাভাসে ১৩ কোটি ৪ লাখ টন উৎপাদনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এ পূর্বাভাস সত্য হলে উৎপাদন ২০২১-২২ মৌসুমের চেয়েও কমবে। ওই মৌসুমে ১৩ কোটি ১ লাখ টন গম উৎপাদন হয়েছিল।

এক প্রতিবেদনে কমিশন জানায়, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আবাদ কমে গিয়েছে। সারসহ উৎপাদন উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও সংকট কৃষকদের আবাদে নিরুৎসাহিত করছে। এছাড়া খরা ও দাবদাহের প্রভাবও উৎপাদন পূর্বাভাস কমাতে বাধ্য করেছে।

তবে কমিশন ইউরোপীয় ইউনিয়নের গম রফতানি পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রেখেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২২-২৩ মৌসুমে রফতানি ৩ কোটি ৮০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে রফতানি রেকর্ড সর্বোচ্চে উন্নীত হবে। ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে রফতানি প্রাক্কলন ছিল তিন কোটি টন।

চলতি মাসেই ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা, এ মৌসুমে আন্তর্জাতিক বাজারে ইইউর গমের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই বিশ্ববাজারে শস্যটির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে দায়ী করা হচ্ছে কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলের নিম্নমুখী সরবরাহকে।

রুশ সেনারা ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বন্দরে মাইন পুঁতে রাখার অভিযোগও পাওয়া গিয়েছে। ফলে দেশটি পশ্চিম সীমান্তের স্থল, রেল ও নদীবন্দর দিয়ে অত্যন্ত স্বল্প পরিমাণ গম রফতানিতে বাধ্য হচ্ছে।

তথ্য বলছে, প্রতি মাসে ইউক্রেন ৬০ লাখ টন গম রফতানি করলেও যুদ্ধের পর তা ১০ লাখ টনে নেমেছে। অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার রফতানি প্রবাহও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে আমদানিনির্ভর দেশগুলো ইউরোপসহ বিকল্প উৎস থেকে গম ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছে।

এদিকে নিম্নমুখী উৎপাদন ও বাড়তি রফতানির কারণে মজুদ পূর্বাভাস কমিয়েছে কমিশন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, নতুন মৌসুমে অঞ্চলটিতে গমের মজুদ ১ কোটি ৩২ লাখ টনে নামতে পারে। আগের মৌসুমের তুলনায় মজুদ ৪০ লাখ টন কমবে। এদিকে গমের পাশাপাশি ভুট্টা, যব ও সরিষা তেলবীজ উৎপাদন পূর্বাভাসও কমিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৮, ২০২২ ১০:০০ পূর্বাহ্ন
গবাদি পশুকে কৃমির আক্রমণ থেকে রক্ষার উপায়
কৃষি বিভাগ

কৃমির আক্রমণের শিকার কেবল মানুষ হয় এমন না। কৃমির আক্রমণ মানুষের ন্যায় প্রাণির উপরও হয়ে থাকে বেশ। আর তাতে করে খামারির চরম ভোগান্তিতে পড়েন, হোন লসের চরম সম্মুখিন। আজকের লেখায় কৃমি থেকে কিভাবে গবাদিপশুকে রক্ষা করবেন সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো । যা প্রতিটা খামারিদের জন্য খুব প্রয়োজন।

জেনে রাখবেন কৃমি এক ধরনের পরজীবি। যা পশুর ওপর নির্ভর করে জীবন ধারণ করে। এসব পরজীবি পশুর ফুসফুসে, লিভারে, চোখে, চামড়ায় বাস করে ও পশুর হজমকৃত খাবারে বসে থাকে। অনেক কৃমি পশুর রক্ত চুষে দুর্বল করে ফেলে।

গবাদি পশুর বাসস্থানের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটি শুষ্ক ও আশপাশের জমি থেকে উঁচু হওয়া প্রয়োজন। সম্ভব হলে নদীনালা, খালবিল, হাওর-বাওড় থেকে দূরে করতে হবে। গবাদি পশুর খামারের আশপাশে যেন বৃষ্টির পানি এবং অন্যান্য বর্জ্য জমে না থাকে। খামারের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটিতে বালির ভাগ বেশি হওয়া প্রয়োজন যেন বর্ষাকালে খামারের মেঝে কর্দমাক্ত না হয়।

পশুর মলমূত্র ও আবর্জনা অল্প সময় পরপর পরিষ্কার করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ঘরে মলমূত্র ও আবর্জনা জমা না থাকে। গবাদিপশুর বাসস্থান প্রতিদিন আদর্শ ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে এবং জীবাণুনাশক মেশানো পানি দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রতি চার মাস পর পর কৃমির ওষুধ নিয়মিত খাওয়াতে হবে। সকালে খালি পেটে কৃমির ওষুধ খাওয়ালে সবচেয়ে ভালো হয়। সকালে কৃমির ওষুধ খাওয়ালে বেশি কার্যকর হয়।

গরুকে কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর সময় কিছু নিয়ম জানা খুবই জরুরি। গরুর কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ানোর সময় ট্যাবলেটটি গুঁড়া করে চিটাগুড়ের সঙ্গে মাখিয়ে অথবা কলা পাতাতে করে খাওয়ানো যায়। গরুকে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর কমপক্ষে এক ঘণ্টা কোনো ধরনের খাদ্য দেওয়া যাবে না।

কোনোভাবেই দানাদার খাদ্যের সঙ্গে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। গরুকে দানাদার খাদ্যের সঙ্গে মিশালে কীটনাশক ট্যাবলেটে তেমন কোনো কাজ করে না।

গর্ভবতী গাভীর ঔষধ প্রদানের কমপক্ষে ৪৫ দিন পর কীটনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। তবে গর্ভবতী গাভীকে খাওয়ালে সমস্যা নেই। কোনোভাবে মাত্রার চেয়ে কম পরিমাণে খাওয়ানো যাবে না। মাত্রার চেয়ে কম খাওয়ালে কৃমি না মরে গিয়ে আরও বেশি আক্রমণ করবে। গর্ভবতী গাভীকে ট্যাবলেট খাওয়ানোর সময় অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।

গরু যখন ঘাস খায় তখন মুখের মাধ্যমে একটা গরু থেকে অন্য গরুতে কৃমি ছড়াতে পারে। গরুর কৃমি রোগের আক্রান্তের লক্ষণ বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেমন গরুর খাবারে অরুচি হয়ে দেখা দেয়। পাশাপশি ঘনঘন পেট ফাঁপা দেখা দিবে। শক্ত না হয়ে নরম পায়খানা বের হবে, গরুর শরীরে রক্ত কমে গরু দুর্বল হয়ে পড়বে। গরুর স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে না। লোম বিবর্ণ হয়ে যায়। দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা পায়খানা হয়। মাঝে মাঝে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। কোনো কোনো সময় গলার নিচে পানি জমে ফুলে ওঠে রক্তস্বল্পতা দেখা যায়।

কৃমি হলে গবাদি পশুকে অ্যালবেনডাজল বা প্যারাজল অথবা ফেনভিক ঔষধ খাওয়াতে হবে। এছাড়া ইঞ্জেকশন নাইট্রোকসিনিল আইভারমেকটিন সঙ্গে লিভার মিসল। এগুলো গরম পানির সঙ্গে খাওয়ানো যায়। এগুলো ৪ মাস পর পর দিতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৮, ২০২২ ৯:৫১ পূর্বাহ্ন
ধান গাছের শিকড়ে গিঁট রোগ দূর করার উপায়
কৃষি বিভাগ

ধান আমাদের দেশের প্রধান খাদ্য শস্য। এখন আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করে কৃষকরা আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ ফসল উৎপাদন করছেন। তবে ধান চাষের সময় কিছু কিছু রোগবালাই এ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। এর মধ্যে ধান গাছের শিকড় গিঁট রোগ ধানের মারাত্নক ক্ষতিক র। ফলে ধানের শিকড় গিঁট রোগ দমনসহ বিভিন্ন রোগ ও দমন সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।

ধানের শিকড় গিঁট রোগ সাধারণত বীজতলায় এবং বোনা আউশ ক্ষেতে চারা অবস্থায় দেখা যায়। এই কৃমি ধান গাছের প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো মাটিতে গাছের শিকড়ে আক্রমণ করে।

আক্রান্ত গাছ বেঁটে, পাতা হলদে এবং শুকিয়ে যেতে থাকে। আক্রান্ত গাছের শিকড়ের মধ্যে গিঁট দেখা যায়। গাছ বাড়তে পারে না এবং দুর্বল হয়।

শিকড় গিঁট রোগ দমন করতে হলে আক্রান্ত বীজতলা বা জমি পানিতে ডুবিয়ে রাখলে আক্রমণের প্রকোপ কমানো যায়। চাষাবাদে শস্যক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। বীজতলা বা আউশ ক্ষেতে বিঘা প্রতি ২.৫-৩.০০ কেজি ফুরাডান অথবা কুরাটার ছিটিয়ে দিতে হবে।

তথ্য সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৭, ২০২২ ৪:১৪ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে “সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক একটি নতুন দিগন্ত” সেমিনার অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালর প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে “সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক একটি নতুন দিগন্ত” সেমিনার ২৭ জুলাই ২০২২ বুধবার বেলা ১১.৪৫ মিনিটে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. চয়ন গোস্বামী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখা ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো ২০২১ প্রফেসর ড. এম আফজাল হোসাইন। আরো বক্তব্য রাখেন মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. নওশাদ আলম এবং প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম মর্তুজা। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী,আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী প্রফেসর শায়লা শারমিন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২২ ১০:৩০ অপরাহ্ন
সৌদি খেজুর চাষে সফল ফরিদপুরের জামাল!
কৃষি বিভাগ

বাড়ির পাশে ৫২ শতাংশ জমিতে সৌদি আরবের বারহি, মরিয়ম ও খুনেজি জাতীয় খেজুরের চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন মুখ দেখছেন ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের নিখোঁরহাটি গ্রামের জামাল হোসেন মুন্সী।

সরেজমিনে দেখা যায়, গাছ রোপণের সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে খেজুর ধরতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ফল পাকতে শুরু হয়েছে। খুবই সুস্বাদু ও উন্নত জাতের খেজুরগুলো দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন মানুষ।

বাগানের মালিক জামাল মুন্সী জানান, সৌদি আরবের কয়েকটি উন্নত জাতের খেজুর গাছের চারা রোপণ করি। এ বছর গাছে প্রচুর খেজুর ধরেছে এবং পাকতে শুরু করেছে। খেজুরের মান ও ফলন খুবই ভালো হয়েছে। আশা করছি, খেজুর বিক্রি করেও লাভবান হতে পারবো। আমি এলাকায় এ ধরনের আরও কয়েকটি বাগান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২২ ৭:১৬ অপরাহ্ন
কৃষকদের উৎসাহ ও সম্মান জানাতে এআইপি সরকারের অনন্য উদ্যোগ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

প্রথমবার কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) পাচ্ছেন ১৩ জন। কৃষকদের উৎসাহ ও সম্মান জানাতে এআইপি সরকারের অনন্য উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রথমবারের মতো ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি/AIP)’ সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে এ সম্মাননা। ২০২০ সালে এআইপি পাচ্ছেন ১৩জন। এআইপি সম্মাননা প্রাপ্তগণ সিআইপিদের মতো সুযোগসুবিধা পাবেন।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

এসময় কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের চিরবঞ্চিত, অবহেলিত ও চিরশোষিত কৃষকের উন্নয়নে স্বাধীনতার পরপরই যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

কৃষি গবেষণায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে বঙ্গবন্ধু সরকারি চাকুরিতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করে কৃষির আধুনিকায়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তাছাড়া, কৃষি এবং কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব।

তাই তিনি, কৃষির সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, খামারিসহ কৃষির সাথে সম্পৃক্তদেরকে প্রতি বৎসর সম্মাননা জানাতে ও তাদেরকে উৎসাহিত করতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের কৃষিকে আমরা বাণিজ্যিক ও সম্মানজনক পেশা হিসাবে উন্নীত করতে চাই। কৃষিতে শিক্ষিত, মেধাবী ও সৃজনশীল তরুণদের আকৃষ্ট করতে চাই। সেজন্য, কৃষক, কৃষিবিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, বাণিজ্যিক কৃষিখামার স্থাপনকারী, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও কৃষি সংগঠকদের উৎসাহ ও সম্মান জানাতে এআইপি সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে টেকসই কৃষির উন্নয়নে কৃষির সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

‘এআইপি সম্মাননা প্রবর্তন কৃষিখাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। কৃষকদের সম্মান জানানোর নতুন উদাহরণ।

মন্ত্রী জানান, এআইপি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর মোট ৫টি বিভাগে সর্বোচ্চ ৪৫জনকে এআইপি সম্মাননা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে কৃষি উদ্ভাবন বিভাগে (জাত/প্রযুক্তি) সর্বোচ্চ ১০ জন, কৃষি উৎপাদন/বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বিভাগে সর্বোচ্চ ১৫ জন, রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন বিভাগে সর্বোচ্চ ১০ জন, স্বীকৃত বা সরকার কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত কৃষি সংগঠন বিভাগে সর্বোচ্চ ০৫ জন এবং বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বিভাগে সর্বোচ্চ ৫ জন।

এআইপি কার্ডের মেয়াদকাল হচ্ছে ০১ বৎসর। এআইপিগণ সিআইপিদের (CIP) মতো সুযোগসুবিধা পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রণালয় হতে একটি প্রশংসাপত্র, বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ; বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার; ব্যবসা/দাপ্তরিক কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রাপ্তির নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে Letter of Introduction ইস্যু করবে; নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার সুবিধা।

২০২০ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) পাচ্ছেন ১৩জন। এরা হলেন কৃষি উদ্ভাবন বিভাগে (জাত/প্রযুক্তি)বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান (বাউধান-৩ এর জাত উদ্ভাবন), এ আর মালিক সিডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউস সোপান মালিক (২টি বীজ আলুসহ মোট ১০টি সবজির জাত উদ্ভাবন ও বাজারজাতকরণ), ফিউচার অর্গানিক ফার্মের সৈয়দ আব্দুল মতিন (মেহগনি ফলের বীজ থেকে তেল তৈরী যা জৈব বালাইনাশক প্রস্তুত) আলীম ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের আলীমুছ ছাদাত চৌধুরী (আলীম পাওয়ার ট্রিলার উদ্ভাবন)

কৃষি উৎপাদন/বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বিভাগে ০৬ জন। এরা হলেন মো. সেলিম রেজা, দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্ম এন্ড নার্সারী, ডাল সড়ক, নাটোর সদর, নাটোর। মো.মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী, চামেশ্বরী, চৌধুরীহাট, ঠাকুরগাঁও। মো. মাহফুজুর রহমান, এশা ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচার ফার্ম, ঝালকাঠি সদর, ঝালকাঠি। মো.বদরুল হায়দার বেপারী, প্রোপাইটার,জাগো কেঁচো সার উৎপাদন খামার, চৌঠাইমহল, নাজিরপুর, পিরোজপুর। মো. শাহবাজ হোসেন খান, নুর জাহান গার্ডেন, শৌলা কালাইয়া, বাউফল, পটুয়াখালী। মো. সামছুদ্দিন (কালু), বিছমিল্লাহ মৎস বীজ উৎপাদন কেন্দ্র ও খামার, নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন সংলগ্ন, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।

স্বীকৃত বা সরকার কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত কৃষি কৃষি সংগঠন বিভাগে জাহাঙ্গীর আলম শাহ, শাহ্ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও জাদুঘর কালীগ্রাম, মান্দা, নওগাঁ।

বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন দুই জন। এরা হলেন-মোছা. নুরুন্নাহার বেগম, নুরুন্নাহার কৃষি খামার, ঈশ্বরদী, পাবনা এবং মো. শাহজাহান আলী বাদশা, মা-মণি কৃষি খামার, ঈশ্বরদী, পাবনা।

আগামী ২৭ জুলাই সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২০ সালের এআইপি পুরস্কার প্রদান করা হবে। ২০২১ সালের এআইপি নির্বাচনের কাজ চলমান আছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২২ ৮:২২ পূর্বাহ্ন
শ্রাবণে যেসব শাক-সবজি চাষ হয়
কৃষি বিভাগ

বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। একেক সময় একেক আবহাওয়া বিরাজ করে এই দেশে। আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে দেশের কৃষকরাও একেক সময় একেক ফসল চাষাবাদ করে। আজকের লেখায় জানাবো শ্রাবণ মাসে কৃষকরা যেসব ফসল চাষাবাদ করে থাকেন সে সম্পর্কে।

শাক-সবজি চাষের জন্য প্রথম ও প্রধান কাজগুলোর একটি হলো কোন স্থানে কোন সবজির চাষ হবে ও তার জন্য উপযুক্ত মাটি তৈরি। দুইভাগ জৈব সার (গোবর, কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্ট), ১ ভাগ কোকোডাস্ট ও ১ ভাগ উর্বর দো-আঁশ মাটি মিশিয়ে চারার উপযোগী মাটি তৈরি করে নিতে হবে।

মাটি বেশ মিহি, ঝুরঝুরে ও সমতলভাবে তৈরি করতে হবে। পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। পর্যাপ্ত জৈব সারের পাশাপাশি পরিমিত মাত্রায় রাসায়নিক সার দিতে পারেন। আগাম রবি (শীতকালীন) সবজি যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, শিম, টমেটো, বেগুন এর বীজতলা তৈরি করে বীজ বপন শুরু করতে পারেন।

ছাদবাগানে ড্রাম বা টবে বা বেডে ভালোভাবে মাটি তৈরি করে সরাসরি বীজ বপন করে লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক চাষ করতে পারেন।

প্যাকেটে, ছোট টবে অথবা সিডলিংট্রেতে এগুলোর চারা তৈরি করে নিতে পারেন। বেড, টব অথবা কাটা ড্রাম প্রতি ১০ কেজি গোবর, ২০০ গ্রাম সরিষার খৈল, ২ কেজি ছাই, ১০০ গ্রাম টিএসপি ভালোভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। প্রতি বেডে, ড্রামে অথবা টবে ৩ থেকে ৪টি ভালো সবল বীজ রোপণ করতে হবে। চারা যদি আগেই তৈরি করা থাকে বা নার্সারি থেকে ৩০-৩৫ দিন বয়সী …

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২২ ১০:২৯ অপরাহ্ন
কৃষিতে অবদানের জন্য এআইপি সম্মাননা পাচ্ছেন ১৩ জন
কৃষি বিভাগ

কৃষি খাতে অবদানের জন্য প্রথমবারের মত ১৩ জনকে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এগ্রিকালচারালি ইম্পরটেন্ট পারসন-এআইপি) ঘোষণা করেছে সরকার। রোববার প্রকাশিত গেজেটে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে তাদের এ সম্মাননার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

সরকার প্রতিবছর বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) ঘোষণা করে। তারা সরকারিভাবে বেশ কিছু সুবিধা ও সম্মান পান। সিআইপিদের আদলে এআইপিরাও বেশ কিছু সুবিধা ও সম্মান পাবেন।

এ সম্মাননা দিতে আগে থেকেই কাজ করছিল সরকার। এজন্য ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নীতিমালা ২০১৯’ তৈরি করে সরকার। তবে কোভিড মহামারীর কারণে এ স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এবার দেওয়া হচ্ছে ২০২০ সালের পদক। ২৭ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেওয়া হবে।

এআইপির প্রথম সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন

কৃষি উদ্ভাবন (জাত/প্রযুক্তি) ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ও প্ল্যান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, দিনাজপুরের এ আর মালিক সিডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউস সোপান মালিক, বাগেরহাটের ফিউচার অর্গানিক ফার্মের স্বত্ত্বাধিকারী সৈয়দ আব্দুল মতিন ও সিলেটের আলীম ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আলীমুছ ছাদাত চৌধুরী।

কৃষি উৎপাদন, বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প ক্যাটাগরিতে নাটোরের দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্মের মালিক সেলিম রেজা, ঠাকুরগাঁওয়ের মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী, ঝালকাঠির এশা ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচালারাল ফার্মের মালিক মাহফুজুর রহমান, পিরোজপুরের জাগো কেঁচো সার উৎপাদন খামারের মালিক বদরুল হায়দার বেপারি, পটুয়াখালীর শাহবাজ হোসেন খান ও কুমিল্লার বিসমিল্লাহ মৎস্য বীজ উৎপাদন ও খামারের মালিক মো. সামছুদ্দীন কালু।

স্বীকৃত বা সরকার নিবন্ধিত সংগঠন ক্যাটাগরিতে নওগাঁর শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও জাদুঘরের উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম শাহ।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদক পাওয়া দুজনকেও এআইপি স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তারা হলেন- পাবনার নুরন্নাহার কৃষি খামারের নুরন্নাহার বেগম এবং একই জেলার ঈশ্বরদীর মা-মনি কৃষি খামারের উদ্যোক্তা শাহজাহান আলী বাদশা।

‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নীতিমালা- ২০১৯’ অনুযায়ী এআইপি স্বীকৃতির মেয়াদ হবে এক বছর। এই এক বছরের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের একটি কার্ড দেওয়া হবে।

নির্বাচিত ব্যক্তিরা সচিবালয়ে ঢোকার পাস পাবেন, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং স্থানীয় সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন, সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে (বিমান, রেল, বাস ও নৌ ভ্রমণে) আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

পাশাপাশি ব্যবসার কাজে এআইপিদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসকে উদ্দেশ্যে করে ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ ইস্যু করবেন, এআইপি ও তার নিকটাত্মীরা সরকারি হাসপাতালের কেবিনপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।

এ পুরস্কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপ উল্লেখ করে অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ বলেন, “কোভিডকালে কৃষিতে অবদান রাখার জন্য এনাদেরকে পুরস্কৃত করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। যারা সিআইপি, আমরা দেখি শিল্পপতিরা অনেক সুবিধা পান। সেই সিআইপির আদলে আমরা এআইপি দিচ্ছি। এখানে এআইপিরা যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা পাবেন।”

এতে শিক্ষিত সমাজ ও তরুণরা উদ্বুদ্ধ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি আসছে, বাণিজ্যিক কৃষির কথা বলা হচ্ছে। রপ্তানি বাড়ছে। এসব কারণে মেধাবী তরুণরা কৃষিতে আসবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২২ ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
কচু চাষে এগিয়ে কুমিল্লা
কৃষি বিভাগ

জেলার বাজারগুলোতে কচু শাকের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুমিল্লার অলিগলিতেও কচু বিক্রি হচ্ছে। এবছর প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে পানি কচুর চাষ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১৩০-১৫০ মণ কচু পাচ্ছেন চাষিরা।

জমিতে কচুর আবাদ করে চাষিরা স্থানীয় বাজারেই দর পাচ্ছেন কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা করে। দিন দিন কচুর লতির চাহিদা বেড়েই চলছে।

এখন থেকে ৮ থেকে ৯ হাজার টন লতি উৎপাদন হবে বলে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে। দেশে কচুর বহুবিদ ব্যবহার রয়েছে।

কচু শাক, কচুর ডগা, কচুর মুখি, ও লতি সবজি হিসাবে খাওয়া হয়ে থাকে। কচুতে প্রচুর পরিমাণ লৌহ ও ভিটামিন থাকে।

আগাম জাতের কচু চাষ করে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কুমিল্লার চাষিদের মুখে।

বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে লতিরাজ কচু চাষ পদ্ধতি জেনে উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। বরুড়া উপজেলার কৃষক সাদ্দাম হোসেন বাসসকে বলেন, এ বছর ১০ কাঠা জমিতে আগাম জাতের কচু চাষ করেছেন। খরচও তুলনামূলক কম হয়েছে।

তিনি বলেন, ১০ কাঠা জমিতে কচু চাষ করেছি। এক কাঠা জমি থেকে ৬-৭ মণ করে কচু পেয়েছি। জমি থেকেই ৬০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করে দিচ্ছি। প্রতিবার তো এমন দাম হয় না, এবার কচুর দাম খুবই ভালো। যদি এমন বাজার থাকে তাহলে কচুতে প্রচুর টাকা আয় হবে।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, কচু চাষ খুবই লাভজনক। চাষিরা কচু চাষ করে বেশ ভালো লাভ করছেন। সেই সঙ্গে দিন দিন কচু চাষ এ অঞ্চলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি থাকে। মুখি কচুর পাশাপাশি লতিরাজ কচু চাষ করেও কৃষকরা কম সময়ে লাভবান হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৪, ২০২২ ৩:১৩ অপরাহ্ন
মেহেরপুরে বারোমাসি সবজি চাষ, স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষক
কৃষি বিভাগ

ফুলকপি ও বাঁধাকপির জন্য এখন আর শীতের মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। ফুলকপি ও বাঁধাকপিসহ অন্যান্য অনেক সবজি এখন বারোমাস পাওয়া যায়। জেলার গাংনী উপজেলায় ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ বারোমাসই হচ্ছে। এ উপজেলার অনেক চাষি বারোমাসি বিভিন্ন সবজি চাষ করেন।

উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের কৃষক কিতাব আলী বলেন, এ বছর তিনি ১০-১২ বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ করেছেন। বারোমাস সবজি চাষ করে ওই গ্রামের প্রায় ১ হাজার কৃষক স্ববলম্বী হয়েছেন।

জানা যায়, উপজেলার ধলা, নওপাড়া, হিন্দা, মাইলমারী, আযানসহ বিভিন্ন মাঠেই বারোমাসি সবজি চাষ হচ্ছে। এই সব মাঠের সবজি রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

কৃষক মো. আবুল খায়ের জানান, ১ বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করতে খরচ হয় ২৫-৩০ হাজার টাকা। ৬০-৭৫ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়ে যায়। খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৩০-৪০ টাকার মতো লাভ হয়।

আবুল হোসেন জানান, ফুলকপি ও বাঁধাকপি শুধু শীতকালেই চাষ করতাম। গরমের সময়ও চাষ করতে পারব সেটা কখনো ভাবিনি। এখন বারোমাসই ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ করতে পারছি। সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, মেহেরপুরের জমি খুব উর্বর হওয়ায় এখানে বারোমাসই সবজি উৎপাদন করা সম্ভব। তাই কৃষকদের জমি খালি না রেখে বারোমাসই সবজি উৎপাদন করার পরামর্শ দিচ্ছি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop