৭:৩৭ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২২ ১:২৮ অপরাহ্ন
চুরির ভয়ে গরুর সঙ্গে ঘুম
প্রাণিসম্পদ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামরায় চোর আতঙ্কে গোয়ালঘর পাহারা দিচ্ছে মালিকরা। উপজেলায় ঘরে ঢুকে গরুসহ জিনিসপত্র চুরি বেড়েছে। প্রতিরাতেই সংঘবদ্ধ চোরের দল কোনো না কোনো এলাকার চুরি করছে। অনেক এলাকায় পালাক্রমে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসী। আবার কিছু এলাকায় গরু পাহারা দিতে গরুর সঙ্গে গোয়ালঘরে ঘুমাচ্ছেন গৃহস্থরা।

গত মাসে  উপজেলায় ২০টি মতো গরু চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও খামারিরা।

জানা গেছে, ভেড়ামরা উপজেলার চাঁদগ্রাম, জুনিয়াদহ, মোকারিমপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় চোরের উপদ্রব বেশি। প্রায় প্রতি রাতে গোয়ালঘর থেকে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া এসব এলাকায় ভ্যান, সাইকেল, পানি তোলার পাম্পসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, গরু চুরির পর কোথায় নিয়ে যায় তাও বুঝতে পারছে না কেউ। এসব ঘটনায় থানায় খুব কম অভিযোগ জমা পড়ে। অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্থরা প্রতিকার না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ করেন না। গত এক মাসে হঠাৎ এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে তারা জানান। এ ঘটনায় গরু হারিয়ে হতদরিদ্র কৃষক পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।

কৃষক মাজেদ বলেন, রাত জেগে পালাক্রমে এলাকা পাহারা দিচ্ছি। দফেলা একজনের বাড়িতে গরু চুরি করতে আসে চোর। পরে ধাওয়া দিয়ে গরু উদ্ধার করা হয়। রাজিব ও মজিবের ভ্যান, সাইকেল ও রুবেলের পাম্প মেশিন চুরি হয়েছে। আমরা প্রতিদিন রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি।

দরিদ্র কৃষক বিপ্লব হোসেন বলেন, চোরচক্র আমার গাভী ও বাছুর চুরি করে নিয়ে গেছে। আমি গাভী পালন করে দুধ বিক্রি করে কোনো রকমে সংসার চালাতাম। এর কয়েক দিন আগে আমার চাচার গোয়াল থেকে গাভী ও বাছুর চোর চুরি হয়।

তার চুরি যাওয়া দুই গরুর দাম প্রায় দুই লাখ টাকা বলে তিনি জানান।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, দুদিন হলো এ থানায় যোগদান করেছি। চুরি, ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমি আন্তরিক চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সামনে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে তিনি জানান ওসি রফিকুল ইসলাম।

সূত্র: ইত্তেফাক

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১, ২০২২ ৮:২৯ অপরাহ্ন
সাধারণ মানুষের মাঝে পুষ্টি সচেতনতায় কাজ করছে ভিলেজ নিউট্রিশন
পোলট্রি

দেশের সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, গ্রামের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ, গার্মেন্ট শ্রমিক, নিম্ন আয়ের মানুষ, পিছিয়ে পড়া ও অবহেলিত বিশাল জনগোষ্ঠির মাঝে পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কাজ শুরু করেছে Village Nutrition ।

তারই অংশ হিসেবে গত রোববার (২৭ নভেম্বর) ভিলেজ নিউট্রিশন ও জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়, গাজীপুরের যৌথ আয়োজনে শাহীন স্কুল, গাজীপুর শাখার ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের নিয়ে পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

ভিলেজ নিউট্রিশনের চীফ কো অর্ডিনেটর মো. মশিউর রহমান খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আলোচনা করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, গাজীপুর ডা. এস. এম. উকিল উদ্দিন। বিশেষ অতিথির আলোচনা করেন কৃষিবিদ মো. আক্তারুজ্জামান, কনসালটেন্ট, এডিএসএল, পুষ্টিবিদ সোনিয়া সাবরীন সোমা, পরামর্শক, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঢাকা, মো. হুমায়ুন কবির, প্রিন্সিপাল, গাজীপুর টেকনিকেল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ, মো. মফিজ উদ্দিন মাফি, পরিচালক, শাহীন স্কুল, গাজীপুর শাখা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভিলেজ নিউট্রিশনের সিইও মো. শফিকুল ইসলাম, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন চীফ প্রোগ্রামার মিজানুর রহমান হেলাল। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নেচার কেয়ার ম্যানু. ইন্ডা. লি. এর সেলস ম্যানেজার মো. মাহবুব আলম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআনের অংশবিশেষ তেলাওয়াত করেন তানজিমুলউম্মাহ ক্যাডেট মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. সাদিক আবদুল্লাহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এস. এম. উকিল উদ্দিন বলেন-আজ পুষ্টি নিয়ে আলোচনা করছি, পুষ্টি আমাদের দরকার। শরীরে পুষ্টি না থাকলে আমরা মেধা শূণ্য জাতি হয়ে যাব। মেধা শূণ্য জাতি হলে, মেধা অন্য দেশ থেকে ধার করতে হবে। পুষ্টির জন্য দুধ, ডিম, মাছ, মাংস খেতে হবে। আগে কিছু ভুল ধারণা ছিল, কোনো কোনো রোগে চিকিৎসক দুধ, ডিম খাওয়া বারণ করতেন। এখন আর সে অবস্থা নেই। বর্তমান বিশ্বে ডিম, দুধ, পোলট্রি মিট ও মাছ নিয়ে ব্যাপক গবেষনা হয়। বিশ্ব ডিম দিবস, বিশ্ব দুধ দিবস, বিশ্ব মাংস দিবস আছে এ জন্যে যে, এগুলোর গুণাগুনের প্রচার প্রপাগান্ডা বাড়ানোর জন্যে। এবারের বিশ্ব ডিম দিবসের স্লোগান ছিল-প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন। আমরা যদি ১টি ডিম খাই তাহলে সারাদিন সুস্থ থাকব। পুষ্টিতে ভরপুর থাকব। ডিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন দেশের খ্যাতনামা কৃষিবিদ আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন-গ্রামীন পরিবেশে আপামর জনগোষ্ঠির পুষ্টি চাহিদা পূরণে এবং সকলে পুষ্টিতে ভরপুর থাকবে এমন প্রত্যাশিত সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা প্রোগ্রাম Village Nutrition নিয়েছে।

তিনি বলেন, শুধু আমাদের দেশে নয়, প্রোটিন চাহিদা আজ সারা বিশ্বে। বিশেষ করে আমাদের দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে মা, শিশু ও বয়স্ক লোকেরা পুষ্টিহীনতায় ভোগে। তাদের খাদ্যের মধ্যে অবশ্যই প্রয়োজনীয় প্রোটিন থাকতে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে স্বল্প মূল্যে প্রোটিন পাব কিসে? আপনার হাতের কাছেই সহজে পাওয়া যায় এবং দামে সস্তা এমন পণ্য দুধ, ডিম, মাছ ও পোলট্রি মিট ছাড়া আর কি আছে?

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পুষ্টিবিদ সোনিয়া সাবরীন সোমা বলেন-পুষ্টি বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পরীক্ষার দিন সকাল বেলা হরলিকস, কেক আরো কত কি আমরা বাচ্চাদেরকে খেতে দেই। কিন্তু ইহা বাচ্চার তেমন কোনো কাজে লাগে না। বাচ্চা মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় মাকে ডিম, দুধ, মাছ ও মাংসের মত প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। বাচ্চার বয়স ২ থেকে ৫ বছর চলাকালীন আরো বেশি যত্নবান হতে হবে।

অনুষ্ঠানে Village Nutrition কর্তৃক ফুল দিয়ে সাজানো সেলফি জোনে ছবি তুলে ছাত্র-ছাত্রীরা আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানে মো. শফিকুল ইসলাম রচিত নাটিকা মায়ের পুষ্টি বড় পর্দায় প্রদর্শন হয়। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি ভিডিও ধারণ করা হয়। যা খুব শীঘ্রই Village Nutrition এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১, ২০২২ ৬:২২ অপরাহ্ন
ডিমের দাম ডজনে কমেছে ৩০ টাকা
প্রাণিসম্পদ

একমাস আগে খুচরায় এক হালি ডিমের দাম ছিল ৫০ টাকা। তবে মাসের ব্যবধানে তা নেমেছে ৪০ টাকায়। অর্থাৎ একমাসে প্রতিটি ডিমে আড়াই টাকা করে কমেছে। এখন ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, যা ১৫০ টাকায় ঠেকেছিল।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম এখন ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম। ঢাকায় বাজারভেদে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা হালিতে, যা গত মাসে ছিল ৪৭-৫০ টাকা। যদিও বছরের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে। গত বছর এসময়ে প্রতি হালি ডিমের দাম ছিল ৩২ থেকে ৩৫ টাকা।

এদিকে, ঢাকার পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীত মৌসুম চলে আসায় চাহিদা কমে যাওয়ায় ডিমের দামও পড়তির দিকে। আবার বিগত সময়ে ডিমের দাম বেশি থাকায় ওই সময় খামারিরা বেশি ডিমের মুরগি পালন করেছে, সেজন্য সরবরাহও ভালো।

তেজগাঁও ডিমের আড়তের পাইকারি বিক্রেতা সালাম মিয়া জানান, এখন পাইকারিতে প্রতি ডজন বাদামি রঙের ডিমের দাম ১১০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি একশো ডিম ৯১৫ থেকে ৯২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি একশো ডিমে ৬০-৮০ টাকা কমেছে। ‘সাধারণ মানুষের জন্য এখন ডিমের দাম স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে এ দাম খামারিদের জন্য কম। কারণ এখন খাদ্যের দামের কারণে ডিম উৎপাদন খরচ অনেক বাড়তি।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৩০, ২০২২ ৭:১৪ অপরাহ্ন
গরু মোটাতাজাকরণে জৈব পদ্ধতির ব্যবহার
প্রাণিসম্পদ

গরু মোটাতাজাকরণে ইনজেকশন কিংবা গ্রোথ হরমোন ছাড়া কোন বাস্তবসম্মত উপায় নাই বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু এ্টি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং ইনজেকশনের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগে গরু মোটাতাজাকরণ ও সেই মাংস ভক্ষণ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এন্টিবায়োটিক কিংবা গ্রোথ হরমোনের ব্যবহার ছাড়াই জৈব পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে জোর দিতে হবে।

জৈব পদ্ধতিতে গরুমোটাতাজাকরণ করার জন্য চাই খামারীর ইচ্ছাশক্তি আর সৎ উদ্দেশ্য তাহলেই বিভিন্ন এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার ব্যাতিত গরু মোটাতাজাকরণ করা সম্ভব। সেজন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করলেই চলবে।

মূলত গরুমোটাতাজাকরণ বলতে অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য ২ থেকে ৩ বছর বয়সের শীর্ণকায় গরুকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় খাদ্য সরবরাহ করে হৃষ্টপুষ্ট গরুতে রূপান্তরিত করাকেই বুঝায়।

গরুমোটাতাজাকরণের গুরুত্বঃ
দারিদ্রতা হ্রাসকরণ, অল্প সময়ে কম পুঁজিতে অধিক মুনাফা অর্জন, অল্প সময়ের মধ্যে লাভসহ মূলধন ফেরত পাওয়া, প্রাণীজ আমিষের ঘাটতি পূরণ, স্বল্পমেয়াদি প্রযুক্তি হওয়ার কারণে পশু মৃত্যুর হার কম, কৃষিকার্য হতে উৎপাদিত উপজাত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে সহজেই মাংস উৎপাদন করা, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আয় বৃদ্ধি করা প্রভৃতি।

গরুমোটাতাজাকরণে জৈব পদ্ধতির ব্যবহার

মোটাতাজাকরণের সঠিক সময়:
বয়সের উপর ভিত্তি করে সাধারণত ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে গরু মোটাতাজাকরণ করা যায়। অনেক সময় ৫ থেকে ৬ মাসও সময় লাগতে পারে। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য সুবিধাজনক সময় হচ্ছে বর্ষা এবং শরৎকাল যখন প্রচুর পরিমাণ কাঁচাঘাস পাওয়া যায়। চাহিদার উপর ভিত্তি করে কোরবানী ঈদের ৫ থেকে ৬ মাস পূর্ব থেকে গরুকে উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা দিয়ে মোটাতাজাকরণ লাভজনক।

স্থান নির্বাচন:
গরু রাখার স্থান নির্বাচনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে:

১। শুষ্ক ও উঁচু জায়গা হতে হবে, যাতে খামার প্রাঙ্গণে পানি না জমে থাকে।

২। খোলামেলা ও প্রচুর আলো বাতাসের সুযোগ থাকতে হবে।

৩। খামারে কাঁচামাল সরবরাহ ও উৎপাদিত দ্রব্যাদি বাজারজাতকরণের জন্য যোগাযোগ সুবিধা থাকতে হবে।

৪। পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকতে হবে।

৫। সুষ্ঠু পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।

গরু নির্বাচন:
উন্নত দেশের মাংসের গরুর বিশেষ জাত রয়েছে। বিদেশি গরুর জন্য উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। তাই দেশীয় গরু মোটাতাজাকরণ অলাভজনক। ২ থেকে ২.৫ বছরের গরুর শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন মোটাতাজাকরণের জন্য বেশি ভাল। এঁড়ে বাছুরের দৈহিক বৃদ্ধির হার বকনা বাছুরের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে বাছুরের বুক চওড়া ও ভরাট, পেট চ্যাপ্টা ও বুকের সাথে সমান্তরাল, মাথা ছোট ও কপাল প্রশস্ত, চোখ উজ্জ্বল ও ভেজা ভেজা, পা খাটো প্রকৃতির ও হাড়ের জোড়াগুলো স্ফীত, পাজর প্রশস্ত ও বিস্তৃত, শিরদাড়া সোজা হতে হবে।

গরুর খাদ্যের ধরণ:
খাদ্যে মোট খরচের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ব্যয় হয়। তাই স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত খাদ্য দ্বারা খরচ কমানো সম্ভব। এজন্য গরু মোটাতাজাকরণের একটি সুষম খাদ্য তালিকা নিচে দেওয়া হল:

ক) শুকনো খড়: দুই বছরের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনো খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে একরাত লালীগুড়/চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে প্রতিদিন সরবরাহ করতে হবে।

পানি: চিটাগুড় = ২০ : ১।

খ) কাঁচাঘাস: প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি তাজা ঘাস বা শস্যজাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কালাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে।

গ) দানাদার খাদ্য: প্রতিদিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যে তালিকা দেওয়া হল:১. গম ভাঙা/গমের ভূসি-৪০ কেজি; ২. চালের কুঁড়া-২৩.৫ কেজি; ৩. খেসারি বা যেকোনো ডালের ভূসি-১৫ কেজি: ৪. তিলের খৈল/সরিষার খৈল-২০ কেজি; লবণ-১.৫ কেজি। তাছাড়াও বিভিন্ন রকমের ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি হচ্ছে ৩৯ ভাগ চিটাগুড়, ২০ ভাগ গমের ভূসি, ২০ ভাগ ধানের কুঁড়া, ১০ ভাগ ইউরিয়া, ৬ ভাগ চুন ও ৫ ভাগ লবণের মিশ্রণ।

রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:
ক. প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পশুর গা ধোয়াতে হবে;

খ. গো-শালা ও পার্শ্ববর্তী স্থান সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে:

গ. নিয়মিতভাবে গরুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে;

ঘ. বাসস্থান সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে।

ঙ. স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিমিত পরিমাণে পানি ও সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে।

চ. রোগাক্রান্ত পশুকে অবশ্যই পৃথক করে রাখতে হবে।

ছ. খাবার পাত্র পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

জ. খামারের সার্বিক জৈব নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে।

ঝ. পশু জটিল রোগে আক্রান্ত হলে পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বাজারজাতকরণ:
মোটাতাজাকরণ গরু লাভজনকভাবে সঠিক সময়ে ভাল মূল্যে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থাগ্রহণ হচ্ছে আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়। বাংলাদেশে মাংসের জন্য বিক্রয়যোগ্য গবাদিপশুর বাজারমূল্যেও মৌসুমভিত্তিক হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। কাজেই একজন প্রতিপালককে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য অবশ্যই গরুর ক্রয়মূল্য যখন কম থাকে তখন গরু ক্রয় করে বিক্রয়মূল্যের উর্ধ্বগতির সময়ে বিক্রয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণত কোরবানীর ঈদের সময়ে গরুর মূল্য অত্যাধিক থাকে এবং এর পরের মাসেই বাজার দর হ্রাস পায়। তাই এখন গরু মোটাতাজাকরণের উপযুক্ত সময় এবং কোরবানীর সময় তা বিক্রি করে দেওয়া ভাল।
সূত্র: আজকের কৃষি

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৯, ২০২২ ৬:৩০ অপরাহ্ন
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ধ্বংসে নেমেছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের প্রতিনিধিরা: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ধ্বংস নেমেছে স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল বিএনপি-জামায়াত এবং দেশের বাইরে তাদের অর্থায়নকৃত প্রতিনিধিরা। এমন সময়ে আরও দৃঢ়তার সঙ্গে ও দৃপ্ত প্রত্যয়ে অনলাইন গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে। তাহলে স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীলরা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ধ্বংস করতে পারবে না।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভিশন নিউজ ২৪ এর অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি প্রতিরোধে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ থাকবে না। শেখ হাসিনা না আসলে রণাঙ্গনের ধ্বনি জয় বাংলা উচ্চারণ করা যেত না। শেখ হাসিনা না আসলে লাল-সবুজের পতাকা থাকত কিনা সন্দেহ।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, আজকের বাংলাদেশ হঠাৎ করে হয়নি। কোন এক মেজরের বাঁশির হুইসেলে বাংলাদেশ হয়নি। এ বাংলাদেশ অর্জন করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। জাতির জনককে হত্যার পর আবার মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ২১ বছর পর ফিরিয়ে আনতে কত কষ্ট করতে হয়েছে, কীভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে অন্তত ১৯ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে, কীভাবে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার অপচেষ্টা হয়েছে, ইতিহাসের পাতায় এ অধ্যায়গুলো ধারণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তাদের উত্তরসূরীরা এখনও বেঁচে আছে। অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তা করতে না পারলে স্বাধীনতাবিরোধীরা ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে ফেলতে পারে। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এ জন্য নিউজ পোর্টালের পাশাপাশি প্রত্যেকের নিজস্ব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ভিশন নিউজ ২৪ এর সম্পাদক সুজন হালদারের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এ সময় আরও বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, শিল্পোদ্যোক্তা প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাবলু, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ভিশন নিউজ ২৪ এর নির্বাহী সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৮, ২০২২ ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
‘নতুন প্রজাতির সাপ’ পেয়েছে বাংলাদেশ
প্রাণ ও প্রকৃতি

একটি নতুন প্রজাতির ‘ঢোঁড়া সাপ’ পেয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে দেশে বিচরণকারী রেকর্ডকৃত সাপ প্রজাতির সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৪টিতে। ইতোপূর্বে গবেষকরা বাংলাদেশের সমতল, নদী-বিল-জলাভূমি ও সামুদ্রিক প্রেক্ষাপটে ৯৩টি সাপের বিচরণ রেকর্ড করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন উইংয়ের চারজন গবেষক এ গবেষণা কাজটি সম্পন্ন করেন। এ সম্পর্কিত একটি গবেষণা প্রবন্ধ সম্প্রতি ২৫ নভেম্বর দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান সাময়িকী বাংলাদেশ জার্নাল অব জুয়োলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। ওই গবেষকরা দেশের প্রথিতযশা বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ওই নতুন প্রজাতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন।

ওই চার গবেষক দলের অন্যতম গবেষক ও বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী আদনান আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, দেশে নতুন প্রজাতি একটি সাপ রেকর্ডভুক্ত হলো। এর নাম ‘দাগিঘাড়-ঢোঁড়া’। এর ইংরেজি নাম Bar-necked Keelback। দেশে সাপটির উপস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহে প্রায় দেড়বছর যাবত ডিপ ইকোলজির গবেষক ও ভলান্টিয়াররা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন। এ সাপের বাইটকেস হিস্ট্রিও লিপিবদ্ধ করেন তারা। গবেষক ও ভলান্টিয়াররা দেশের ১৬টি জেলায় অবস্থিত নদী ও জলাভূমিগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন। সেখানে বেশ কয়েকবার এ সাপটির দেখা পাওয়া গেছে। কিন্তু সাধারণ ঢোঁড়া সাপ মনে করে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি তারা। ২০১৯ সালে বন্যপ্রাণী বিষয়ক একটি বইতে বিশেষ দাগটি তাদের নজরে আসে। এরপর তা অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত মিলিয়ে ও বিশেষজ্ঞদের দেখানোর পর নিশ্চিত হয়েছেন এটা বাংলাদেশের নতুন জাতের সাপ।

দেশের প্রথিতযশা বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী প্রফেসর ড. মনিরুল খান জানান, এ সাপটি দেশের যে কয় জায়গায় পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে সারাদেশেই আছে। এ সাপটি অনেকটা আমাদের সাধারণ ঢোঁড়া (Checkered Keelback) সাপের মতোই দেখতে বিধায় অভারলুক (উপেক্ষিত) হয়েছে এতদিন। সাধারণ ঢোঁড়া থেকে এর খুব বড় ধরনের শারীরিক পার্থক্য নেই। তাই এতদিন ধরে সাপটি আমাদের প্রকৃতিতে বসবাস করলেও পৃথক একটি প্রজাতির বলে তাকে চিহ্নিত করা যায়নি। এ সাপটি প্রচলিত নাম নেই, ‘দাগিঘাড়-ঢোঁড়া’ বলা যেতে পারে।

দেশে ইতোপূর্বে এর আগে ৯৩ প্রজাতির সাপ দেখা গেছে। এর মধ্যে ঢোঁড়া সাপের প্রজাতি রয়েছে ছয়টি। সম্প্রতি ‘লালঘাড়-ঢোঁড়া’ তালিকাভুক্ত হওয়ায় দেশে সাপের প্রজাতির সংখ্যা এখন ৯৪টি বলে জানান প্রফেসর মনিরুল খান।

ঢোঁড়া সাপ দেশের পরিচিত সাপের মধ্যে অন্যতম। ছোট মাছ, ব্যাঙ, ইঁদুরসহ ক্ষতিকর প্রাণী খেয়ে এরা খাদ্য শৃঙ্খলের এক অসাধারণ ভুমিকা পালন করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২২ ৬:১৭ অপরাহ্ন
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সিমেন্ট শীট হস্তান্তর করলো ‘আনোয়ার সিমেন্ট শীট’
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের অন্যতম ব্র্যান্ড আনোয়ার শীট প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আরামদায়ক ও মজবুত গৃহ নির্মাণের পাশাপাশি অসহায় ও দুর্যোগ কবলিত মানুষের পুনর্বাসনে কাজ করছে।

এই ধারাবাহিকতায় গত ২২ নভেম্বর তেজগাঁওস্থ কেন্দ্রীয় ত্রাণ গুদাম এ অনুষ্ঠিত হলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আনোয়ার সিমেন্ট শীট কর্তৃক সিমেন্ট শীট হস্তান্তর।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ডাঃ মো. এনামুর রহমান এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ।

আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর পক্ষ্য থেকে আনোয়ার সিমেন্ট শীট হস্তান্তর করেন আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোসেন খালেদ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াইজ আর. হোসেন, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এ. কে. এম. জাবেদ সহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ কামরুল হাসান এনডিসি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক মোঃ আতিকুর রহমান সহ আরও অনেকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২২ ৬:০৭ অপরাহ্ন
খেলা দেখতে গেছেন মালিক,৫ গরু নিলো চোর!
প্রাণিসম্পদ

নেত্রকোনার মদনে পাঁচটি গরুসহ তিন চোরকে গ্রেপ্তার করেছে মদন থানার পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কেশজানি গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার দুপুরে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নেত্রকোনার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কেশজানি গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে জোসেফ মিয়া (৩৫), একই গ্রামের মাসুদ মিয়ার ছেলে রানা (৩০) ও জয়পাশা গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া বয়াতির ছেলে মুসা (৩৬)।

পুলিশ জানায়, কেশজানি গ্রামের লুৎফর রহমান ২৩ নভেম্বর রাতে চলমান বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতে চায়ের দোকানে যান। খেলা শেষে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখতে পান তাঁর পাঁচটি গরু নেই। পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মদন থানায় একটি মামলা করেন তিনি। এ ঘটনার সন্দেহে মুসাকে আটক করে পুলিশ। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজিজুর রহমান জোসেফ ও রানাকে গ্রেপ্তার করেন।

পরে বারড়ী এলাকার দষাশির একটি জঙ্গল থেকে পাঁচটি গরু উদ্ধার করা হয়।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তারসহ চুরি হওয়া পাঁচটি গরু উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া পাঁচটি গরু জিম্মায় রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৬, ২০২২ ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
একটি ডেইরী ফার্ম শুরু করবেন যেভাবে
ডেইরী

ডেইরী ফার্ম কিভাবে শুরু করা যেতে পারে এটা অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে। ফার্ম শুরু করার আগে ও পরে যে ব্যাপারগুলো বিবেচনা করা দরকার যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, ফার্মের জায়গাটা কোথায়, সেখানে ডাক্তার, গরুর খাবার, দুধের দাম, দুধ বিক্রি খুব সহজে করা যায় কিনা তা জানতে হবে। এসবের পাশাপাশি অনেকে জানতে চান ফার্মটা কি রকম হবে, কয়টা গরু দিয়ে শুরু করলে ব্যবসাটা লাভবান হতে পারে। তবে লিখাটা তাদের জন্য যারা খুব ছোট আকারে, একেবারে কম খরচে পাইলট প্রোজেক্ট আকারে শুরু করে বুঝতে চান অথবা যাদের বাজেট কম।

পরিকল্পনা এবং কৌশল: বাজেট টাকা ৩৮০,০০০/- এবং কমপক্ষে ১৫ লিটার দুধের গরু (বাছুরসহ) ২ টা। গোয়াল ঘর: ৩০ ফিট বাই ১৫ ফিট, ইলেক্ট্রিক আর পানির ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে। এবার হিসাব নিকাশ এ আসা যাক।

এককালীন খরচ: ২ টা দুধের গরুর দাম : ৩০০,০০০/- গোয়াল ঘর : ৬০,০০০/- ইলেক্ট্রিক/ পানি : ২০,০০০/- মাসিক আয়-ব্যায়ের হিসাব: ‪‎দুধ বিক্রি থেকে আয়: ২০ লি: x ৫০ = ১০০০ টাকা প্রতিদিনের আয়। তাহলে মাসিক আয়: ১০০০ x ৩০ = ৩০০০০ টাকা। (দুধ ২০ লিটার দেখানো হয়েছে কারণ একটা ১৫ লিটার দুধের গরু ৮ মাসই ১৫ লিটার দুধ দেবে না, ধীরে ধীরে কমতে থাকবে, তাই গড়পড়তা ১০ লিটার প্রতিদিন দেখানো হয়েছে) ‪

‎মাসিক ব্যয়: কর্মচারীর মাসিক বেতন: ৭০০০ টাকা, গরু প্রতি খাবার খরচ: ১৫০ টাকা প্রতিদিন, তাহলে মাসিক খরচ: ৯০০০ টাকা। মেডিসিন এবং অন্যান্য: ২০০০ টাকা। তাহলে মোট ব্যয়: ১৮,০০০ টাকা। (গরু যত বেশি হবে ১ জন কর্মচারীর বেতন বাবদ গড়পড়তা খরচ অনেক কম হবে)।

মাসিক লাভ: ৩০০০০-১৮০০০= ১২,০০০ টাকা। এককালীন উপরের ৩৮০,০০০ টাকা খরচগুলো উঠে আসতে সময় লাগবে ৩১ মাস বা ২ বছর ৭ মাস। কৌশলগতভাবে এই মাসিক আয়কে ধরে রাখতে ৮ মাস পরে আবার ২ টা দুধের গরু কিনতে হবে ২য় পদক্ষেপে। তাহলে একটা সার্কেলের মধ্যে পড়ে যাবে এবং সেক্ষেত্রে কখনই পকেট থেকে টাকা খরচ করে খাবার খরচ আর বেতনাদি পরিশোধ করতে হবে না। আর বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা অসুখ-বিসুখ যা আমাদের নিয়ন্ত্রিত নয় তা এখানে দেখানো হয়নি।

২.৫ বছর পর ব্যলান্সসিট কেমন হবে? সম্পদের পরিমাণ কত হবে (মানে কতগুলো গরু আছে এবং তার মূল্য কত), এটা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি তা বের করা যায়, তাহলেই বোঝা যাবে ডেইরী ব্যবসা কেমন হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৩, ২০২২ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
সাভারে খামারে ডাকাতি,৬ গরু লুট
প্রাণিসম্পদ

সাভারে এক আওয়ামী লীগ নেতার গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দল খামারের নৈশপ্রহরীদের হাত-পা বেঁধে মারধর করে ছয়টি গরু লুট করে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার ভোর রাতে সাভার পৌর এলাকার ঘাসমহল এলাকার সোয়াদ ডেইরি ফার্মে এ ঘটনা ঘটে। খামারটি আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিনের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।

সোয়াদ ডেইরি ফার্মের ম্যানেজার আব্দুল খালেক বলেন, গভীর রাতে ১০-১২ জনের একদল ডাকাত ফার্মের মূল ফটকের তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা ফার্মের সামনের রাস্তায় গাড়ি রেখে রাখাল মোজাফফর ও রহমতকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে তাদের মারধর করে ছয়টি বিদেশি গরু ট্রাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।

তিনি জানান, ডাকাত দলের সবাই মুখোশ পরিহিত ছিল। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং অভিযোগ দায়ের করতে বলেছে।

খামারের স্বত্বাধিকারী আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন বলেন, খামারের রাখালকে মারধর করে ৬টি গরু নিয়ে গেছে। এর আগেও দুর্গাপূজার সময় ডাকাতরা ৪টি গরু নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, খামার থেকে ৬টি গরু নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop