১১:১২ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ৭ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ১১, ২০২৪ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল
প্রাণিসম্পদ

গ্রামের পাশাপাশি এখন শহরের মানুষও গরুর খামারে দিকে ঝুঁকছেন। গরু পালন শুরু করতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে তা নতুন খামারির জানা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল:-
খামার শুরু করার আগে সীমিত খরচে ৩/৬ মাস মেয়াদী যুব উন্নয়ন বা বেসরকারি ভাবে ট্রেনিং নিতে হয়। প্রাণীসেবা হাসপাতালে সাপ্তাহিক ও মাসিক ট্রেনিং গুলোতে যোগ দিতে হবে।তবে একদিনে ট্রেনিং করে সব শিখতে চাইয়েন না।কারণ খামার বিষয়ক তথ্য গুলো একদিনে সব আয়ত্ত করা সম্ভব নয়।

গরুর যত্নে সঠিক সময়ে খাদ্য দেওয়া জরুরী। গরুকে যে খাদ্য খাওয়াতে হবে ২ বেলা কাঁচা ঘাস, খড়, দানাদার, পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি। এর মধ্য রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানিরর রেডি ফিড তো ফিড না দিয়ে নিজে খাদ্য তৈরী করতে হবে এতে খরচ কম হবে ও ভালো মানের খাদ্য তৈরী হবে।

গরুকে ঔষুধ খাওয়ানোর নিয়ম জানতে হবে। কারণ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেননা,শ্বাসনালীতে ঔষুধ গেলে গরু মারা যাবার সম্ভবনা বেশির ভাগ। গরুকে ঔষুধ খাওয়ানোর সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো খাদ্যর সাথে বা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো।

পরিচিত কোন খামারে কিছু দিন সময় দেন খেয়াল করুন তার কাজকর্ম। সে কিভাবে কখন গরুকে খাদ্য দেয়,গোসল করাই,খামার পরিস্কার করে। ডাক্তারদের সাথে ভালো সমর্পক গড়ে তুলুন জেনে নিন কোন কোন রোগে কি কি চিকিৎসা দিতে হয়।

রোগে খামারে গরুর যে সমস্যাগুলো বেশি হয় তা বিষয়ে জানতে হবে ও সমাধানের উপায় জানতে হবে। সাধারণত জ্বর সর্দি, খাবারে খেতে রুচি কম,পেট ফাঁপা,ডায়রিয়া,ব্যাথা পাওয়া, হিটে আসার লক্ষণ, বীজ দেওয়ার সঠিক সময় টুকিটাক বিষয় গুলো জানতে হবে।

খামারে গরু অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কিছু দিন পর পর গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল সংবাদের তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৯, ২০২৪ ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
Viruses in Animal Feed Need More Attention
প্রাণিসম্পদ

Animal feed is a part of the food chain and has an impact on both the health and welfare of animals as well as the safety of human food. This article lists possible suggestions to prevent the spread of viruses by feed.

Many hazards may contribute to contaminated feed. Hazards are categorised as biological, chemical or physical. Bacteria, moulds, viruses, prions and parasites are examples of biological hazards. In fact, feed could be a possible source of this type of hazard and special attention has been paid to pathogenic bacteria. Many articles have been published and manufacturing procedures developed related to the control of salmonella as a zoonosis bacterium in feed which is responsible for causing feed/foodborne illness of animals and humans. Bacteria as live organisms can also replicate in feed.

Viruses can potentially exist in feed but they cannot reproduce by themselves. They can only multiply in a suitable host and not in the feed, thus for many years, viral contamination of feed has not been given a lot of attention in feed quality and safety management systems. However, feed is a potential vector to spread viruses to animals and humans. Global feed production is more than 1.1 billion tons annually and many consignments of feeds are transferred from one continent to another by trans-oceanic shipping.

In recent years, many viral diseases outbreaks have infected livestock and other animals. Foot and mouth disease (FMD), Newcastle disease, Avian influenza, Porcine epidemic diarrhoea (PED) and African swine fever (ASF) are recent instances of viral diseases in livestock. Many of the viral diseases do not infect humans but will affect the health of livestock, food supply chain and international trade.

One of the main potential routes of spreading viral diseases in animals within the borders of countries is the transit of live animals. When there is a viral disease outbreak, severe quarantine tasks are implemented preventing the transit of live animals to control animal diseases within the borders. However, these severe controls have not been implemented for feed in the same manner. Many of the viruses responsible for animal diseases are stable in feed and feed ingredients, even during long distance transportation.

 

Suggestions to prevent the spread of viruses through feed:

  • Measures should be taken to prevent contamination from infected areas to the clean areas.
  • Measures to prevent the spread of viruses should be considered in national and international policies, biosecurity protocols for farms and feed mills and feed quality management systems.
  • Early warning systems for infected areas and countries should be considered.
  • More awareness and attention should be given to potentially virus infected feed by government authorities for products that are internationally traded.
  • Suppliers of feeds and feed ingredients should consider the health status of the origin country or region along with price and nutritional value.
  • Feed manufacturers should buy feed ingredients from non-infected areas.
  • Bans on imported feed and ingredients from infected areas and countries should be considered by governments.
  • The use of potential anti-virus treatments in the manufacturing of feeds and feed ingredients such as chemical treatments (feed additives such as organic acids, fatty acids and essential oils), thermal treatments and legal fumigants to reduce or eliminate viruses should be considered.
  • Potentially infected materials should be kept quarantined prior to use to overcome the survival time of livestock pathogens, where possible.
  • Feed safety management systems, feed safety policies and biosecurity plans of feed mills and livestock farms should include risk mitigation protocols for viruses potentially transmitted in feed stuffs.
  • Virus survival time in feeds and feed ingredients are different and some feed stuffs are more high-risk. Products should be evaluated based upon risk and used in risk ranking models.
  • Vehicles that transport feed from feed mills to livestock farms are subjected to virus infection and should be cleaned and disinfected by effective methods between deliveries.
  • Appropriate methods of sampling and rapid detection of important viruses should be used in international trade of feed.
শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৪, ২০২৪ ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
হাঁস পালনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি
প্রাণিসম্পদ

চাষের পাশাপাশি হাঁস পালন আপনার জন্য সেরা বিকল্প হতে পারে। আসলে হাঁস পালনে কৃষকরা কম খরচে দ্বিগুণ লাভ পেতে পারেন। হাঁস পালনে খামারিদের বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। কারণ চাষিরা ছোট পুকুর, ধান ও ভুট্টা ক্ষেতেও সহজেই এগুলো লালন-পালন করতে পারে। হাঁস পালনে খরচ খুবই কম এবং লাভ অনেক বেশি। আপনি যেখানে হাঁস পালন করছেন সেখানে আর্দ্র জলবায়ু থাকা উচিত। হাঁস পালনের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন পরিস্থিতিতে হাঁস পালন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

হাঁস পালন শুরু

হাঁস পালনের জন্য খামারিদের নিরিবিলি জায়গা বেছে নিতে হবে। এই জায়গাটি পুকুরের কাছে হলে খুব ভালো হয়। যাতে হাঁসগুলো পুকুরে সাঁতার কাটতে পারে। হাঁস পালনের স্থানে পুকুর না থাকলে প্রয়োজন অনুযায়ী পুকুর খনন করতে হয়।অধিক লাভের জন্য চাষীরা পুকুরে হাঁসের পাশাপাশি মাছ চাষও করতে পারেন। পুকুরের জন্য শেড লম্বা ও চওড়া হতে হবে। এ ছাড়া একটি শেড থেকে আরেকটি শেডের দূরত্ব যেন ২০ ফুটের কম না হয়।

হাঁসের যত্ন 

হাঁসের মুরগির তুলনায় কম যত্ন প্রয়োজন। কারণ হাঁসে রোগের প্রভাব খুব কম দেখা যায়। তবে হাঁসের মধ্যে হাঁসের ফ্লু বেশি হয়, যার কারণে তাদের জ্বর হয় এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা না করালে তারা মারা যায়। এটি প্রতিরোধ করার জন্য, হাঁসকে অবশ্যই হাঁসের ফ্লু ভ্যাকসিন দিতে হবে। এছাড়াও শেড এবং তাদের থাকার ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করতে থাকুন। দুই থেকে তিন মাসের ব্যবধানে শেডে কীটনাশক স্প্রে করতে ভুলবেন না।

হাঁসের খাবার

হাঁসের সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করতে, তাদের শুকনো খাবার খাওয়াবেন না। কারণ শুকনো খাবার হাঁসের গলায় আটকে যায়। তাই হাঁসের খাবারে চাল, ভুট্টা ও ভুষি সামান্য ভেজে দিন। এছাড়া হাঁসকে শামুক ও মাছ খেতেও দিতে পারেন। যাতে ভালোভাবে বিকাশ হয়।

হাঁস পালনে খরচ ও আয়

একটি হাঁস বছরে ২০০ থেকে ৪০০টি ডিম পাড়ে যা মুরগির ডিমের চেয়ে অনেক বেশি। একই সঙ্গে বাজারে হাঁসের ডিমের দাম প্রায় ৮-১০ টাকা। এ ছাড়া বাজারে হাঁসের মাংসের ভালো দাম পান চাষীরা। এমতাবস্থায় হিসাব করলে দেখা যায়, এক হাজার হাঁসের বাচ্চার জন্য খামারিদের বার্ষিক খরচ হয় প্রায় এক লাখ টাকা আর লাভের কথা বললে বার্ষিক লাভ হয় প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩, ২০২৪ ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
হাঁসের মাংসের পুষ্টিগুণ
প্রাণিসম্পদ

শীতকালে হাঁসের মাংস খেতে সুস্বাদু হয়। এ সময় সবাই কমবেশি হাঁসের মাংস খায়। নানাভাবেই হাঁসের মাংস রান্না করা যায়। হাঁসের মাংস প্রোটিনের ভালো উৎস। এতে নিয়াসিন, ফসফরাস, রিবোফ্লোবিন, আয়রন, জিংক, ভিটামিন বি৬ এবং থায়ামিন আছে। এ ছাড়া অল্প পরিমাণে আছে ভিটামিন বি১২ এবং ম্যাগনেশিয়াম। চামড়াসহ হাঁসের মাংসে অধিক মাত্রায় ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলও আছে।

১০০ গ্রাম মাংসে যা থাকে

মাংস      ক্যালরি   আমিষ    শর্করা    চর্বি        ক্যালসিয়াম

হাঁস       ১৩০      ২১.৬     ০.১      ৪.৮      ৪

তথ্যসূত্র : পুষ্টি ইনস্টিটিউিট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

হাঁসের মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি। এই চর্বির মধ্যে সম্পৃক্ত চর্বির পাশাপাশি অসম্পৃক্ত চর্বিও রয়েছে। সম্পৃক্ত চর্বিতে আছে কোলেস্টেরল। খনিজ উপাদানের মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ও সেলেনিয়াম আছে।শীতকালে হাঁসের মাংস খেতে সুস্বাদু হয়। এ সময় সবাই কমবেশি হাঁসের মাংস খায়। নানাভাবেই হাঁসের মাংস রান্না করা যায়।

হাঁসের মাংস প্রোটিনের ভালো উৎস। এতে নিয়াসিন, ফসফরাস, রিবোফ্লোবিন, আয়রন, জিংক, ভিটামিন বি৬ এবং থায়ামিন আছে। এ ছাড়া অল্প পরিমাণে আছে ভিটামিন বি১২ এবং ম্যাগনেশিয়াম। চামড়াসহ হাঁসের মাংসে অধিক মাত্রায় ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলও আছে।

১০০ গ্রাম মাংসে যা থাকে

মাংস      ক্যালরি   আমিষ    শর্করা    চর্বি        ক্যালসিয়াম

হাঁস       ১৩০      ২১.৬     ০.১      ৪.৮      ৪

তথ্যসূত্র : পুষ্টি ইনস্টিটিউিট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

গরুর মাংসের চেয়ে হাঁসের মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি। এই চর্বির মধ্যে সম্পৃক্ত চর্বির পাশাপাশি অসম্পৃক্ত চর্বিও রয়েছে। সম্পৃক্ত চর্বিতে আছে কোলেস্টেরল। খনিজ উপাদানের মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ও সেলেনিয়াম আছে। হাঁসের মাংসের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। তাই হাঁসের মাংস নিয়মিত খেলে স্বাভাবিকভাবেই দ্রুত ওজন বাড়ে। তা ছাড়া শরীরের তাপমাত্রা উষ্ণ রাখতেও সাহায্য করে এই ফ্যাটি অ্যাসিড। এ ছাড়া হাঁসের মাংসে উচ্চখনিজ পদার্থ থাকায় গলাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে যাদের উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা আছে, তাদের হাঁসের মাংস না খাওয়াই ভালো। আর খেলেও অল্প পরিমাণে। কারণ এতে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।

তাই হাঁসের মাংস নিয়মিত খেলে স্বাভাবিকভাবেই দ্রুত ওজন বাড়ে। তা ছাড়া শরীরের তাপমাত্রা উষ্ণ রাখতেও সাহায্য করে এই ফ্যাটি অ্যাসিড। এ ছাড়া হাঁসের মাংসে উচ্চখনিজ পদার্থ থাকায় গলাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে যাদের উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা আছে, তাদের হাঁসের মাংস না খাওয়াই ভালো। আর খেলেও অল্প পরিমাণে। কারণ এতে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
বিএলআরআই কর্তৃক “বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৩” অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সমাপ্ত গবেষণাসমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৩’ সমাপনী অনুষ্ঠান গত ২৪/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ বিএলআরআই এর মূল কেন্দ্র সাভারে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালাটির সমাপনী ঘোষণা করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব জনাব এটিএম মোস্তফা কামাল। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বর্তমান মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই দুই দিনব্যাপী চলা এই কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রাণী উৎপাদন গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বিপ্লব কুমার রায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সারা পৃথিবী এই উন্নয়নকে স্বীকার করে, এর প্রশংসা করে, এর পিছনের কারণ জানতে চায়। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নের পিছনে কাজ করেছে তিনটি জিনিস। একটি হলো সরকারের কমিটমেন্ট-ইচ্ছা, দ্বিতীয় হলো প্রযুক্তি আর তিন নম্বর হলো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো-নেটওয়ার্কিং।

বিএলআরআইতে নবনিযুক্ত বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞানীরা কখনো সাটিসফাইড হবে না। সেটিসফেকশন ইজ ডেথ ফর সাইন্টিস্ট। বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন জ্ঞানের মধ্যে সব সময় থাকতে হবে, পড়াশোনার মধ্যে থাকতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে ম্যাসিভ পরিবর্তন আনতে হবে, প্রোডাকটিভিটি বাড়াতে হবে। জিন এডিটেড জাত উদ্ভাবন করতে হবে। দেশকে কি দিতে পারলাম, সেটা সব সময় ভাবতে হবে।

উক্ত আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিএলআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন ও খামার ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞ এবং সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিএলআরআই-এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩ ৬:৫৫ অপরাহ্ন
সাহস, সততা ও আত্মনিবেদন নিয়ে কাজ করতে হবে: ড. নাহিদ রশীদ
প্রাণিসম্পদ

গৎবাধাঁ কাজ না করে সাহস, সততা ও আত্মনিবেদন নিয়ে কাজ করতে হবে। আবেগতাড়িত না হয়ে যুক্তি দিয়ে কাজ করতে হবে। সমালোচনা না হলে শুদ্ধি আসে না। বিএলআরআই অতীতে কি কি কাজ করেছে তা আমরা জানি। কিন্তু বিএলআরআই ভবিষ্যতে কি করবে, ভবিষ্যৎ বিএলআরআইকে আমরা কোথায় দেখতে চাই তা এখনই পরিকল্পনা করতে হবে। দেশ যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে, নিজের প্রয়োজনীয় সকল কিছু যেনো দেশেই উৎপাদন করা সম্ভব হয় এমন পরিকল্পনা নিতে হবে এবং সে ধরনের গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করতে হবে, খাদ্য করচ কমানো সম্ভব হয় এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।

আজ ২৩/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক আয়োজিত ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৩’ এর অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ একথা বলেন।

বিএলআরআই কর্তৃক ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সমাপ্ত গবেষণাসমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ গবেষণা পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ ২৩/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রোজ শনিবার সকালে বিএলআরআই এর মূল কেন্দ্র সাভারে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ এমদাদুল হক তালুকদার। এছাড়াও সম্মনিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব জনাব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল এবং পরিকল্পনা কমিশনের বন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উইং এর অতিরিক্ত সচিব জনাব মোহাম্মাদ মফিজুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সচিব আরও বলেন, সকল পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে আজকের এই কর্মশালা সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। বিশেষজ্ঞ সদস্যগণ যেসব মতামত প্রদান করবেন সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। আরও অনেক বেশি স্টেকহোল্ডার নিয়ে কাজ করতে হবে। এমনভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে যেনো তা দেশের মানুষের কাজে লাগে। মাঠে সম্প্রসারণ করতে না পারলে গবেষণালব্ধ জ্ঞান মূল্যহীন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বিএলআরআই সব সময় সকলের মতামত নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিএলআরআই বর্তমানে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে এমন নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের কাজ করছে। খামারের খরচ কমানো, খাদ্য ব্যবস্থায় বিকল্প পুষ্টির উৎস খুঁজে বের করতে কাজ করে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিভিন্ন সংক্রামক রোগের টিকা উদ্ভাবনের কাজ করছেন।

সকাল ০৯.৩০ ঘটিকায় পবিত্র কোরআন হতে তেলোয়াত এবং পবিত্র গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং কর্মশালার সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন বিএলআরআই এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা।
স্বাগত বক্তব্যের পরে বিএলআরআই কর্তৃক প্রকাশিত “প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন প্রযুক্তি নির্দেশিকা (চতুর্থ সংস্করণ)” শীর্ষক বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ মোড়ক উন্মোচন করেন।
উক্ত আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিএলআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন ও খামার ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞ এবং সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের খামারীগণ, বিএলআরআই-এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম হতে আগত প্রতিনিধিবৃন্দ।
উদ্বাধনী অনুষ্ঠানের পরে শুরু হয় কারিগরি সেশন। এবারের কর্মশালায় পাঁচটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত কারিগরি সেশনে সর্বমোট ৪৯ (উনপঞ্চাশ) টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে বিএলআরআই সম্মেলন কক্ষ (চতুর্থ তলা) ভেন্যুতে “অ্যানিম্যাল অ্যান্ড পোল্ট্রি ব্রিডিং অ্যান্ড জেনেটিকস” শীর্ষক প্রথম সেশনে ১০ (দশ) টি প্রবন্ধ, প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষ (দ্বিতীয় তলা) ভেন্যুতে “অ্যানিম্যাল অ্যান্ড পোল্ট্রি ডিজিজ অ্যান্ড হেলথ” শীর্ষক দ্বিতীয় সেশনে ১০ (দশ) টি প্রবন্ধ, ছাগল উৎপাদন গবেষণা বিভাগের সম্মেলন কক্ষ (চতুর্থ তলা) ভেন্যুতে “সোশিওইকোনোমিকস অ্যান্ড ফার্মিং সিস্টেম রিসার্চ” শীর্ষক তৃতীয় সেশনে ০৭ (সাত) টি প্রবন্ধ, ট্রেনিং ডরমিটরির সম্মেলন কক্ষ ভেন্যুতে “বায়োটেকনোলজি, এনভায়রনমেন্ট, ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট” শীর্ষক চতুর্থ সেশনে ১২ (বারো) টি প্রবন্ধ এবং পোল্ট্রি রিসার্চ সেন্টারের সম্মেলন কক্ষ (দ্বিতীয় তলা) ভেন্যুতে “অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন, ফিডস অ্যান্ড ফডার ম্যানেজমেন্ট” শীর্ষক পঞ্চম সেশনে ১০ (দশ) টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। প্রবন্ধ উপস্থাপনার পাশাপাশি বিএলআরআই সম্মেলন কক্ষ (চতুর্থ তলা) এর ছাদে চলমান বিভিন্ন গবেষণার উপর মোট ২৮ (আটাশ) টি পোস্টারও প্রদর্শন করা হয়।
আগামী ২৪/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে সমাপনী ও বিশেষজ্ঞ সুপারিশ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী চলমান ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৩’ শেষ হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০, ২০২৩ ৯:২১ পূর্বাহ্ন
লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল
প্রাণিসম্পদ

গ্রামের পাশাপাশি এখন শহরের মানুষও গরুর খামারে দিকে ঝুঁকছেন। গরু পালন শুরু করতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে তা নতুন খামারির জানা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল:-
খামার শুরু করার আগে সীমিত খরচে ৩/৬ মাস মেয়াদী যুব উন্নয়ন বা বেসরকারি ভাবে ট্রেনিং নিতে হয়। প্রাণীসেবা হাসপাতালে সাপ্তাহিক ও মাসিক ট্রেনিং গুলোতে যোগ দিতে হবে।তবে একদিনে ট্রেনিং করে সব শিখতে চাইয়েন না।কারণ খামার বিষয়ক তথ্য গুলো একদিনে সব আয়ত্ত করা সম্ভব নয়।

গরুর যত্নে সঠিক সময়ে খাদ্য দেওয়া জরুরী। গরুকে যে খাদ্য খাওয়াতে হবে ২ বেলা কাঁচা ঘাস, খড়, দানাদার, পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি। এর মধ্য রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানিরর রেডি ফিড তো ফিড না দিয়ে নিজে খাদ্য তৈরী করতে হবে এতে খরচ কম হবে ও ভালো মানের খাদ্য তৈরী হবে।

গরুকে ঔষুধ খাওয়ানোর নিয়ম জানতে হবে। কারণ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেননা,শ্বাসনালীতে ঔষুধ গেলে গরু মারা যাবার সম্ভবনা বেশির ভাগ। গরুকে ঔষুধ খাওয়ানোর সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো খাদ্যর সাথে বা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো।

পরিচিত কোন খামারে কিছু দিন সময় দেন খেয়াল করুন তার কাজকর্ম। সে কিভাবে কখন গরুকে খাদ্য দেয়,গোসল করাই,খামার পরিস্কার করে। ডাক্তারদের সাথে ভালো সমর্পক গড়ে তুলুন জেনে নিন কোন কোন রোগে কি কি চিকিৎসা দিতে হয়।

রোগে খামারে গরুর যে সমস্যাগুলো বেশি হয় তা বিষয়ে জানতে হবে ও সমাধানের উপায় জানতে হবে। সাধারণত জ্বর সর্দি, খাবারে খেতে রুচি কম,পেট ফাঁপা,ডায়রিয়া,ব্যাথা পাওয়া, হিটে আসার লক্ষণ, বীজ দেওয়ার সঠিক সময় টুকিটাক বিষয় গুলো জানতে হবে।

খামারে গরু অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কিছু দিন পর পর গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল সংবাদের তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩ ১১:১০ পূর্বাহ্ন
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে বিএলআরআই এ মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে দিনব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধন করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরে মহাপরিচালক মহোদয়ের নেতৃত্বে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় মহাপরিচালক মহোদয়ের সাথে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা, অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রকল্প পরিচালকগণসহ ইনস্টিটিউটের সকল পর্যায়ের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

এছাড়াও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ জোহর ইনস্টিটিউটের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগীয় ভবন ও প্রশাসনিক ভবনে বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জা করা হয়। একই সাথে বিএলআরআই এর আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহও পতাকা উত্তোলন, আলোকসজ্জাকরণসহ উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে অন্যান্য কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩ ৩:১৪ অপরাহ্ন
ছাগলের বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধে করণীয়
প্রাণিসম্পদ

ছাগল পালনে বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধে যা করতে হবে তা আমাদের মধ্যে অনেকেরই জানা নেই। ছাগলের বাচ্চা যেসব রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া অন্যতম। আজকে তাহলে জেনে নিব ছাগল পালনে বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধে যা করতে হবে সেই সম্পর্কে-

ছাগল পালনে ছাগলের বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধে যা করতে হবেঃ
এই রোগের কারণঃ

১। ছাগলের বাচ্চা অপুষ্টিতে ভুগলেও এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

২। এছাড়াও আক্রান্ত ছাগলের সরাসরি সংস্পর্শেও এই রোগ ছাগলের বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করে থাকে।

৩। ছাগলের বাচ্চা যে ঘরে থাকে সেখানে প্রয়োজনীয় আলো ও বাতাস ঠিকভাবে না পৌঁছালে।

৪। ছাগলের বাচ্চাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে গেলেও এই রোগ হতে পারে।

৫। খাদ্য, পানি কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়াতে পারে।

এ রোগের প্রতিরোধঃ

১। ছাগলকে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাদ্য খাওয়াতে হবে। খাদ্য প্রদানের পর প্রতিবার খাবার পাত্র পরিষ্কার করে রেখে দিতে হবে।

২। ছাগলের বাচ্চা যাতে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত না হয় সেজন্য নিয়মিত ছাগলের ঘর পরিষ্কার করতে হবে। ঘরে যাতে কোন পানি না থাকে কিংবা ঘর যাতে ভেজা না থাকে সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৩। কোন ছাগল আক্রান্ত হলে সেটিকে আলাদা করে পরিচর্যা ও চিকিৎসা করাতে হবে।

৪। ছাগলের ঘরে যাতে প্রয়োজনীয় আলো ও বাতাস চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ছাগলের ঘর তৈরি আগেই সেই পরিকল্পনা করতে হবে।

৫। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৩০, ২০২৩ ৯:৫০ পূর্বাহ্ন
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী ৫ম আহকাব আন্তর্জাতিক মেলা ২০২৩
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশে এ্যানিমেল হেল্থ কোম্পানিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) এর ৫ম আন্তর্জাতিক মেলা শুরু হচ্ছে আজ । ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা, ঢাকায় ৩ দিনের এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০:০০ ঘটিকা থেকে সন্ধ্যা ৭:০০ ঘটিকা পর্যন্ত চলবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমর্থনে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মেলায় দেশী-বিদেশী মিলিয়ে ২১৫ টি কোম্পানীর ৫৮০টি ষ্টল রয়েছে। এ মেলা দেশের মৎস্য ও প্রাণিজ খাতের সমস্যা ও এর প্রতিকার, কারিগরি উন্নয়ন, নিরাপদ আমিষের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণে ব্যাপকভাবে অবদান রাখবে। এ ছাড়াও এ মেলাতে পোাষা প্রাণির রোগ নিরাময় ও লালন পালনের বিবিধ তথ্য প্রদর্শন করা হবে।

সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় উদ্বোধন করবেন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান, এমপি। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ডঃ নাহিদ রশিদ বিশেষ অতিথি এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক ডাঃ মো এমদাদুল হক তালুকদার এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক জনাব খঃ মাহবুবুল হক গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। জনাব সায়েম উল হক, প্রেসিডেন্ট, এ্যানিমেল হেল্থ কোম্পানীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।

এ ছাড়াও মেলার উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানে প্রাণিজ ও মৎস্য খাতের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা সংক্রান্ত বিষয়ে দুইটি গবেষনাপত্র উপস্থাপন করা হবে।

মেলায় বাংলাদেশ, চীন, মিশর, জার্মানী, ভারত, পোল্যান্ড, দক্ষিন কোরিয়া, রোমানিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাাতিক অঙ্গনে খ্যাতনামা অনেক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে এবং এ্যানিমেল হেল্থ সেক্টরে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য ও উপকরনাদি উপস্থাপন করা হবে। বাংলাদেশের প্রাণিজ সেক্টরের সকল উদ্যোক্তা, খামারী, পেশাজীবি, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগন মেলায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে এ সেক্টরের বিভিন্ন সমস্যা, প্রতিকারের উপায়, নতুন বিনিয়োগ, সম্ভাবনা ও সার্বিক বিষয়ে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে এ সেক্টরে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। মেলা চলাকালীন সময় কোন প্রকার প্রবেশ ফি ছাড়াই যে কোন দর্শনার্থী মেলা পরিদর্শন করতে পারবেন।

 

এবারের মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে ইব্রাটাস ট্রেডিং কোম্পানী, গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ইন্টার এগ্রো বিডি লিমিটেড এবং সিলভার স্পন্সর হিসেবে আদিয়ান এগ্রো লিমিটেড পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop