১২:২৪ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ১৯, ২০২২ ১২:৩৫ অপরাহ্ন
গবাদিপশু বাঁচাতে মরিয়া বানভাসিরা
প্রাণ ও প্রকৃতি

নেই থাকার নিশ্চয়তা। জানা নেই খাবার মিলবে কিনা। এত অনিশ্চয়তার মাঝেও গবাদিপশুকে বাঁচাতে মরিয়া কুড়িগ্রামের বানভাসি মানুষ। জেলায় বেড়েই চলেছে নদ-নদীর পানি, বাড়ছে দুর্ভোগও।

ঘরের ভেতরে বিছানা ছুঁইছুঁই পানি। নতুন আশ্রয়ের খোঁজে দিগ্বিদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন বাবা-মা। দুদিন ধরে জ্বলেনি চুলাও। তাই কুড়িগ্রাম সদরের পোড়ার চরের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোমা, বিস্কুট খেয়ে মেটাচ্ছেন ক্ষুধার জ্বালা।

প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে এমনই যুদ্ধ চলছে কুড়িগ্রামের হাজারো পরিবারের। কারও ঘরে নেই খাবার, আবার কারও নেই ঘুমের জায়গা। অনেকের নৌকাই একমাত্র ভরসা।

নিজেদের জীবন যখন বিপন্ন, তখনও গবাদিপশু রক্ষায় মরিয়া বানভাসি মানুষ। বলছেন, বন্যার পর গবাদিপশুই হবে বেঁচে থাকার সম্বল।

কুড়িগ্রামে বেড়েই চলেছে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দুর্ভোগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৯, ২০২২ ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
পা হারিয়েও থেমে যাননি রুবিনা, সফল হলেন খামার করে
প্রাণিসম্পদ

উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণ না হলেও গরুর খামার করে স্থানীয়দের রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী রুবিনা খাতুন।

তার বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর জংলিপাড়া গ্রামে। বাবা হারানো রুবিনা ছোটবেলা থেকেই ছিলেন ব্যাপক মেধাবী।

পথচলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেল দুর্ঘটনা। ২০১৮ সালে ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের বাড়িতে ফেরার পথে হঠাৎই রেল দুর্ঘটনায় পড়ে দুই পা হারিয়ে পুঙ্গত্ব বরণ করেন। মা রহিমা বেগমও শরীরে টিউমার নিয়ে রয়েছেন শঙ্কায়। বড় বোন মানসিক প্রতিবন্ধী। একমাত্র ছোট ভাই রংপুরে পড়াশোনা করছে।

দরিদ্র পরিবারের হাল ধরতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ থেকে ফেরা রুবিনা জানান, দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এক লাখ, রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে দুই লাখ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে ৯২ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা পেয়েছে।

ত্রাণ হিসেবে পাওয়া টাকা দিয়ে তিনি তার চিকিৎসার ব্যয় মিটিয়ে হাতে কিছু থাকা টাকা দিয়ে দেশীয় গরু ও একটি বড় গরু কিনেছেন। এখন সেই গরু লালন পালন করে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন রুবিনা।

গরুটিকে অনেক যত্ন আর স্নেহে পালন করায় আদর করে নামও রেখেছেন স্বপ্নরাজ। বর্তমানে গরুটির ওজন ১ হাজার ১০০ কেজি। দাম হেঁকেছেন ৯ লাখ টাকা।

রুবিনা খাতুন জানান, ১ হাজার ১০০ কেজি ওজনের স্বপ্নরাজের কাঙ্ক্ষিত দাম পেলে পরিবারে অনেকটাই সচ্ছলতা ফিরে আসবে। তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে তার চলাচলের জন্য একটি ইলেকট্রিক হুইলচেয়ার সহায়তা চেয়েছেন।

রুবিনার মা রহিমা বেগম জানান, দরিদ্রতার কারণে নিজের চিকিৎসা করা তো দূরের কথা; পরিবারের চাহিদা মেটানো দায় হয়ে পড়েছে। রুবিনার স্বপ্নপূরণে এবং তার খামার সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

পঞ্চগড় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল হাই জানান, রেলপথ দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করা রুবিনার গরুর খামার সম্প্রসারণে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৮, ২০২২ ৫:৫২ অপরাহ্ন
অধিক লাভ পেতে হাঁস-মুরগির যত্ন নিবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

গ্রামীন অর্থনীতির অন্যতম পাথেয় হলো হাঁস-মুরগির পালন।গ্রামের প্রায় সবার ঘরে ঘরে দেখা যায় হাঁস-মুরগি। এবং অনেকেই করছেন বৃহৎ আকারে হাঁস-মুরগির খামারও। আর খামারে লাভবান হওয়ার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা। সঠিক পরিচর্যা প্রয়োগে আরো লাভবান হওয়া সম্ভব। বর্ষাকালের আগেই প্রাণিসম্পদের যত্ন নিতে রয়েছে প্রস্তুতির প্রয়োজন। আর সেজন্য জানা প্রয়োজন তার সঠিক নিয়ম কানুন।

হাঁস-মুরগির যত্ন যেভাবে নিবেন:

১. বর্ষাকলের আগেই প্রাণিচিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন দিতে হবে।

২. বাজারে রাণীক্ষেতের জন্য নবিলিস এনডি ল্যাসুটা, এনডিএলএস, সিভেক নিউ এল, আইজোভ্যাক এনডি কিল্ড, নিউক্যাভাক, ইমোপেস্ট, নিউক্যাসেল ল্যাসুটা ওষুধ রয়েছে। এছাড়া গামবোরো রোগে নবিলিস ২২৮, সিভেক গামবো এল, আইজোভ্যাক গামবো-২ রয়েছে। আর বসন্ত রোগে সিভেক এফপিএল, নবিলিস, ওভোড্রিপথেরিন পাওয়া যায়।

৩. হাঁস-মুরগির কৃমির জন্য ওষুধ খাওয়ানো, ককসিডিয়া রোগ হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জরুরিভাবে অন্যান্য প্রতিষেধক টিকা দিয়ে দিতে হবে।

৪. মুরগি ও হাঁসের বাচ্চা ফোটানোর কাজটি ভরা বর্ষার আগেই সেরে ফেলতে হবে।

৫. গবাদি পশুর গলাফোলা, ডায়রিয়া, ক্ষুরারোগ, নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য রোগের টিকা দেওয়াসহ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে।

৬. বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুর আবাসস্থল পরিপাটি করে পুনসংস্কার, আশপাশ পরিষ্কার করা, জমে থাকা পানির দ্রুত নিকাশের ব্যবস্থা, বর্ষার নিয়মিত এবং পরিমিত গো-খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য কাজ সঠিকভাবে করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৮, ২০২২ ১:০৩ অপরাহ্ন
বন্যায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে সুনামগঞ্জের চাষী-খামারিরা!
কৃষি বিভাগ

অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মানুষ গবাদিপশুগুলোকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে। বন্যাকবলিত মানুষ কোনোরকমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করলেও গবাদিপশুদের নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে আসছে।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহখানেক ধরে থেমে থেমে চলা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে প্রবল বেগে নদ–নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করে।

গতকাল রাত ৯টার মধ্যেই এ উপজেলার বেশির ভাগ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে সড়কপথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষের ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই নিজ গ্রাম ছেড়ে পাশের বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

মাইজবাড়ী গ্রামের আলী আজগরের (৫৮) বাড়িতেও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। কোনোরকমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরের ভেতরে থাকলেও গবাদিপশুগুলোকে পাশের বিদ্যালয়ের বারান্দায় রেখেছেন।

ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের বীর দক্ষিণ গ্রামের কৃষক ছোটন মিয়া (৩৫)। মাসখানেক আগে বাড়ির গোয়ালঘরে মাচা করে সেখানে ৪০ মণ শুকনা ধান রেখেছিলেন। তবে বন্যার পানিতে তাঁর গোয়ালঘর ও বসতঘরে পানি ঢুকেছে। তড়িঘড়ি করে কোনোরকমে ধান, গবাদিপশুগুলোকে পাশের একটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় রেখেছেন।

উপজেলার মধ্যনগর বাজারের বাসিন্দা আলা উদ্দিন বলেন, যত সময় যাচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির ততই অবনতি হচ্ছে। উপজেলার মধ্যে মধ্যনগর বাজারটি সবচেয়ে বড় বাজার। এই বাজারের রাস্তাসহ সবস্থানেই এখন হাঁটুসমান পানি। এই বাজারের ধানের আড়তগুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় হাজার হাজার মণ ধান বন্যার পানিতে নষ্ট হচ্ছে। বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য দ্রুত শুকনা খাবার ও ত্রাণ পাঠানোর জন্য দাবি জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৭, ২০২২ ১:৫০ অপরাহ্ন
গরু বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মা-ছেলের!
প্রাণিসম্পদ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গরু বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপরে উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের মহিষমুড়ী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মহিষমুড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলাম বাবু মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৬) ও ছেলে রিফাত মিয়া (১২)। রিফাত স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

স্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশে ফাঁকা জমিতে গরু চরাচ্ছিল শিশু রিফাত। এক পর্যায়ে গরুটি পল্লি বিদ্যুতের পোলের টানার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় রিফাত গরুটিকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে মা রহিমা বেগম ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। কিছু সময় পর ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৬, ২০২২ ১:১৩ অপরাহ্ন
গরুর খাবারের দাম বাড়ায় খামার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন খামারিরা (ভিডিও)
এগ্রিবিজনেস

ভারত থেকে গরু রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গেলো কয়েক বছরে বাংলাদেশ গবাদি পশু উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। ফলে বাংলাদেশে অনেকেই গরুর খামারে আগ্রহী হয় এবং লাভের মুখও দেখেন।কিন্তু, ক্রমাগত গোখাদ্যের দাম বাড়তে থাকায়, অনেকেই এখন খামার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

খরচ চালাতে না পেরে কেউ কেউ লোকসান দিয়ে খামার বিক্রি করে দিচ্ছেন। অনেক খামারি টিকে থাকতে দুধ বা দুগ্ধ পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন, এ কারণে আবার ক্রেতারা তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

এ রকম উভয় সংকটে দিন কাটছে অনেক খামারির।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

গোখাদ্যের দাম বাড়ায় কোরবানির ঈদে এবং দুগ্ধজাত খাবারে কী প্রভাব পড়তে পারে, এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশের আমিষের চাহিদার উপর কী প্রভাব পড়বে তা জানতে দেখুন এই ভিডিওটি

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৬, ২০২২ ১২:৫৫ অপরাহ্ন
কোরবানির জন্য প্রস্তুত পর্যাপ্ত পশু, তবুও শঙ্কা!
প্রাণিসম্পদ

গবাদি পশু পালনে সাফল্যের পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে রাজশাহী। গো-খাদ্যের বাজার চড়া থাকায় বেড়েছে গবাদি পশু লালন-পালন করার খরচ।এর সঙ্গে রয়েছে গরম আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জসহ আরও নানান প্রতিকূলতা। এরপরও গবাদি পশু পালনে সফলতা দেখিয়েছে ‘রাজশাহী’। দেশের মধ্যে কোরবানির জন্য এবার সবচেয়ে বেশি ছাগল রয়েছে- বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে। এছাড়া চাহিদা ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উদ্বৃত্ত রয়েছে- কোরবানির গরুও।

সব মিলেয়ে যেই পরিমাণ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে- তা দিয়ে এই ঈদুল আজহায় রাজশাহীর কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। ভারত থেকে এবারও গরু আমদানি করার প্রয়োজন নেই।

টানা দুই বছর করোনা মহামারি কাটিয়ে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চান এই অঞ্চলের খামারিরা। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে তাই এবার পর্যাপ্ত পশু লালন-পালন করেছেন। ক্ষতিকর কোনো পদ্ধতি ছাড়াই প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরামর্শে দেশি উপায়ে কোরবানির জন্য গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে।

বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য বলছে- নানান চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও রাজশাহী পশু পালনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে নিরবেই। এই অবস্থা করোনার দুই বছর আগেও ছিল না। এটি রাজশাহীর একটি অনন্য সাফল্য। বর্তমানে দেশের মধ্যে কোরবানির জন্য সবচেয়ে বেশি ছাগল রয়েছে রাজশাহীতে। এছাড়া কোরবানির জন্য চাহিদার চেয়েও গরু উদ্বৃত্ত রয়েছে।

বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে রাজশাহীর আট জেলায় এক লাখ ৩০ হাজার ২৬৫ জন খামারি রয়েছেন। জেলাগুলো হচ্ছে- রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও জয়পুরহাট। বর্তমানে এসব জেলার খামারিদের কাছে কোরবানির জন্য ২৮ লাখ ২২ হাজার ৬৩৯টি ছাগল রয়েছে। ভেড়া রয়েছে চার লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৭টি। আর ছাগলের মত ভেড়ার সংখ্যাও বেশি। এছাড়া গরু রয়েছে ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৯টি। মহিষ ২১ হাজার ৫২১টি।

আর রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য বলছে- এখানে কোরবানির জন্য মোট পশু প্রস্তুত হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮৫২টি। জেলায় এবার সম্ভাব্য চাহিদা ৩ লাখ ৮২ হাজার ১১৮টি। অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার গরু বেশি রয়েছে। রাজশাহী জেলার নয় উপজেলায় ১৬ হাজার ৭৯ জন খামারি রয়েছেন। তাদের কাছে কোরবানির জন্য ১ লাখ ২১ হাজার ৩৭২টি গরু, ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫টি ছাগল, ৩৮ হাজার ২৪৫টি ভেড়া আছে। এছাড়া মহিষ রয়েছে ৩ হাজার ২১১টি। যা চাহিদার তুলনায় বেশি।

গেল দু’বছরের মত এবার করোনা সংকট না থাকায় রাজশাহী জেলা ও আশপাশের পশুহাটগুলো একদম দেশি গরুতেই জমজমাট হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ রয়েছে। তাই দেশি গরুর খামারিরা করোনার লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন। বাজার পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে পশুর হাটে গিয়ে ভালো দাম পাবেন- রাজশাহী অঞ্চলের খামারিরা।

তবে করোনা সংকট না থাকলেও দেশে এখন নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। তাই পশুর হাট মন্দা যাওয়ার আশঙ্কাও ভর করেছে স্থানীয় খামারিদের মাথায়। আর বাজার মন্দা হলে বছর ধরে লালন-পালন করা গবাদি পশুর ভালো দাম মিলবে না। কারো কারো পশু অবিক্রিতও থেকে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৫, ২০২২ ৮:২৯ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদ খাত উন্নয়নে কাজ করছে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স – ড. এফ এইচ আনসারী
এগ্রিবিজনেস

ডিম আর মাংস উৎপাদনে আজ বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুধ উৎপাদনে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি, আরও এগোতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। আর এর জন্য দরকার প্রয়োজনীয় কিছু উদ্যোগ যেমন, দুধ ও মাংস উৎপাদনশীলতার জন্য দরকার গবাদিপশুর জাতের দ্রুত উন্নয়ন বলে মন্তব্য করেন এসিআই এনিমেল এর প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী

আজ বুধবার (১৫ জুন) গাজীপুরের শ্রীপুরে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় এসিআই এনিমেল এর প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী আরও বলেন, গবাদিপশুর জাতের দ্রুত উন্নয়নের জন্য উন্নতমানের পশুখাদ্যের পাশাপাশি দরকার উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা। আর এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স এই সেক্টরগুলোতে আগামীতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর মান আরও বৃদ্ধির কাজ করবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আজকে খুব আনন্দের সংবাদ হলো তরুণ প্রজন্ম প্রাণিসম্পদ সেক্টরে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসছে। আর এক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক সময় তারা উন্নত মানের বকনা বা ষাঁড় যোগাড় করতে পারে না। তাদের জন্য আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উন্নতমানের কিন্তু অনাদরে পড়ে থাকা ষাঁড় এনে বিতরণ করবো।

আরও পড়ুন: সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তারা প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ড. এফ এইচ আনসারী বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এসিআই প্রাণিসম্পদ এর সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি, চিকিৎসা ও প্রতিশেধক, খামার ব্যবস্থাপনা সামগ্রী, আধুনীক প্রযুক্তি সম্বলিত যন্ত্রপাতি সরবরাহ করাসহ নানাবিধ কাজ করে আসছে যা আরও বৃদ্ধি করা হবে। যাতে করে প্রাণিসম্পদ খাতে ‍আরও দ্রুত উন্নয় সম্ভব হয়।

এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স এর এই ‍উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, গাজীপুর ৩ আসনের সংসদ ইকবাল হোসেন সবুজ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম, গাজীপুরের কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইয়াসমিন, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির হিমু ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, এসিআই লিমিটেডের কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৫, ২০২২ ৫:০৬ অপরাহ্ন
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তারা প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তারা দেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় এবং বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সমৃদ্ধ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (১৫ জুন) গাজীপুরের শ্রীপুরে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে কৃষির বিস্তার না হলে দেশ থমকে যাবে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসায় বাংলাদেশ মাছ, মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। অদূর ভবিষ্যতে দুধেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। তাঁর সরকার মনে করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, তাদের সাহায্য করতে হবে। তারা স্বাবলম্বী হলে দেশ স্বাবলম্বী হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করছে। সরকার চায় প্রাণী খাদ্য, মাছের খাদ্য দেশে উৎপাদন হোক। এক্ষেত্রে এসিআই এর মত অন্যান্য বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। এসিআই কৃত্রিম প্রজননের সিমেন সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও খামারিদের সরবরাহ করছে।
কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা নেয়া খামারিদের যেন কষ্ট না হয়, সেটা এসিআইকে লক্ষ্য রাখার জন্য এস আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তিনি আরও যোগ করেন, বর্তমান সরকার বেসরকারি খাতবান্ধব সরকার। দেশে ও দেশের বাইরে থেকে যারা বিনিয়োগ করতে চান তাদের জন্য সরকার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এখন মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হয়েছে। অথচ একটা মহল আছে যারা এদেশের ভালো দেখলে তাদের ভালো লাগে না। তারা পদ্মা সেতু নিয়েও অপপ্রচার করছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে হবে। শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ালে দেশ সমৃদ্ধ হবে। বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান আরও বিকশিত হবে। সবার মুখে হাসি ফুটবে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগুন সন্ত্রাসী, পেট্রোল সন্ত্রাসী এবং দেশ ধ্বংসের রাজনীতি যারা করে তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে।

এসিআই এনিমেলের প্রেসিডেন্ট ড. ফা হ আনসারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম, গাজীপুরের কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইয়াসমিন, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির হিমু এসময় বক্তব্য প্রদান করেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, এসিআই লিমিটেডের কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে কোরবানির পশু সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদের উৎপাদনে বাংলাদেশে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোরবানির জন্য থেকে ভারত, মিয়ানমার বা কোন দেশ থেকে একটা পশুও আনার দরকার নেই। পর্যাপ্ত পশু দেশে আছে। বিদেশ থেকে অবৈধপথেও যাতে পশু আসতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোরবানির পশু নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ নেই। দেশে উৎপাদিত পশুই কোরবানির জন্য যথেষ্ট। প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের এ গর্বের জায়গা আমরা কোনভাবে নষ্ট হতে দেবো না। বাইরে থেকে কোন পশু আসবেনা, দেশে উৎপাদিত পশুই আমাদের জন্য যথেষ্ট।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদে অভাবনীয় সাফল্যের জায়গায় এসেছে। এই খাতে সরকারের অনেকগুলো গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসিআইসহ অন্যান্য বেসরকারি খাতকেও সরকার সবসময় উৎসাহিত করছে। বেসরকারি খাত কৃত্রিম প্রজননের জন্য বাইরে থেকে উন্নত জাতের পশু আমদানি করছে, ল্যাবরেটরি স্থাপন করছে। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উৎপাদিত উন্নত জাতের পশু থেকে মাংস ও দুধ বেশি উৎপাদন করা সম্ভব হবে। সরকার চায় এ কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে। তৃণমূল পর্যায়ে এ খাতের উৎপাদন বাড়াতে মানসম্পন্ন সিমেন উৎপাদন প্রয়োজন, কৃত্রিম প্রজননের বৈজ্ঞানিক প্রয়োগ প্রয়োজন। সরকারের পাশাপাশি এসিআই এর এ ধরণের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ করা দরকার ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোরবানির সময় প্রতিটি হাট তদারকির জন্য ভেটেরিনারি ডাক্তার থাকবে। হাটে তারা অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। রোগ সংক্রমিত কোন পশু বা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ইনজেকশন দেওয়া পশু হাটে আসলে সেটি সনাক্ত করা সম্ভব হবে।

গোখাদ্যের জন্য বিদেশের উপর নির্ভরশীল থাকলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বলেন, গোখাদ্যের জন্য বিদেশ নির্ভরতা কমাতে হবে। সরকার চায় গোখাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন হোক। এ শিল্প স্থাপনে কর অব্যাহতিসহ সরকার নানা সুযোগ-সুবিধা দেবে। পাশাপাশি কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করলেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উৎপাদন বাড়লে এবং ব্যবসায়ীরা কম মুনাফা করলে মাংসের দাম কমবে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

এর আগে এসিআই এর জেনেটিক্স ল্যাব ও ব্রিডিং স্টেশন পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৫, ২০২২ ১১:২০ পূর্বাহ্ন
দেশে গরুর সংখ্যা বেড়েছে ৪০ লাখ আর ছাগল বেড়েছে প্রায় ৬১ লাখ
প্রাণিসম্পদ

দেশে গরুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ লাখ এবং ৬১ লাখের বেশি ছাগল বেড়েছে।

২০২০ সালে করা কৃষিশুমারির প্রাথমিক ফল নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বিবিএসের শুমারি অনুযায়ী, দেশে এখন গরুর সংখ্যা দুই কোটি ৪০ লাখ ১৪ হাজার ১৪৪। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল দুই কোটি ৫৭ হাজার ৮৫৩। এক যুগের ব্যবধানে গরুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ লাখ। অন্যদিকে দেশে বর্তমানে ছাগলের সংখ্যা এক কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ২০০। এক যুগ আগে ছাগলের সংখ্যা ছিল এক কোটি এক লাখ ৫৯ হাজার ৫০৯।

গরু-ছাগল ছাড়াও বিবিএসের ওই প্রতিবেদনে ভেড়া ও মহিষের হিসাবও দেওয়া হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভেড়ার সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৬১৯টি হয়েছে। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল চার লাখ ৭৮ হাজার ১৭। অন্যদিকে মহিষের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দুই লাখ। দেশে এখন ছয় লাখ ২৯ হাজার ৬৪০টি মহিষ আছে। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল চার লাখ ৩১ হাজারের মতো।

এক যুগের ব্যবধানে হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি পালনও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। দেশে ১৪ কোটির বেশি দেশি ও ব্রয়লার মুরগি আছে। হাঁস আছে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। এক যুগের ব্যবধানে হাঁসের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

অন্যদিকে মাছ চাষেও ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে। একই সময়ের ব্যবধানে মাছ চাষের জলাশয়ের পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।

শুমারির ফল অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশে প্রায় ১১ লাখ একর জলাশয়ে মাছ চাষ হয়েছে। এক যুগ আগে সোয়া পাঁচ লাখ একর জলাশয়ে মাছ চাষ হতো।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop