১০:৪০ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১৪, ২০২২ ১:৪৫ অপরাহ্ন
ফার্ম পরিচালনায় বৈশ্বিক পরিবেশ ও নিয়ম অনুসরণ অপরিহার্য
প্রাণিসম্পদ

শুধু পোল্ট্রি’ই- নয় যে কোন ক্রর্ম সাধনের পূর্বে সে-সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন একান্ত জরুরী আর জীবন্ত বিজনেস হওয়ায় পোল্ট্রিতে তাহা আরো অধিকতর গুরুত্ব বহন করে থাকে অতএব ফার্ম করার পূর্বে ফার্ম পরিচালনা সম্পর্কে সবিস্তারে জানা একান্ত জরুরী, মনে রাখা দরকার অভিজ্ঞতাই সফলতার চাবিকাঠি, আরো উল্লেখ যে পোল্ট্রি তথা লাইভ ষ্টক বিজনেসে জানার শেষ নেই এখানে যে-যতটা অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ে সম্মত হবেন সে-ততটাই বিজনেস সম্প্রসারণে সমৃদ্ধশালী অর্থাৎ লাভবান হবেন নিঃসন্দেহে।

প্রেক্ষাপটঃ
প্রথমেই বলতে হচ্ছে- ঋতু পরিবর্তনের দেশ বাংলাদেশ, ঋতুর সাথে আবহাওয়া ও পরিবেশের বেশ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়ে থাকে তার সাথে ইদানীং যোগ হচ্ছে বৈশ্বিক পরিবেশ বিপর্যয় অর্থাৎ গ্রীনহাউজে বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, যার প্রভাবে বছরের অধিকাংশ সময়ে দেশের নিম্ন অঞ্চল সমূহে জলের প্রবাহ থাকছে, বিজ্ঞানীরা এ-ও বলছেন সামনের দিনগুলোতে দেশের দক্ষিণ অঞ্চল সমূহের নিচু ও সমতল ভূমিগুলোতে বছরের বেশিরভাগ সময়ে পানির প্রবাহ থাকবে যার ফলে দেশের সমগ্র এলাকায় কম বেশি ক্ষতি সাধিত হবে!

ভিটি ও সেড নির্মাণঃ
ঘরের ভিটি উঁচু করে নির্মাণ করা উচিৎ, যাতে করে বর্ষা মৌসুম অথবা ঝড় বৃষ্টি জলোচ্ছ্বাসে ফার্মে কোন প্রকার পানির প্রবাহ না ঘটে, আর পারিপার্শ্বিক কারণে যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করে অর্থাৎ মাচা পদ্ধতিতে সেড নির্মাণ করা প্রয়োজন, কোন ক্রর্মেই ঝুঁকি নিয়ে ফার্ম পরিচালনা করা সঠিক কাজ নয়, কেননা এতে লাভের পরিবর্তে লোকসানের মুখে পড়াটা অস্বাভাবিক নয়!

যোগাযোগ ও বিপণনঃ
ফার্ম স্হাপনে যোগাযোগ ব্যবস্হা মাথায় রাখা দরকার আর সেক্ষেত্রে প্রথমে বেছে নিয়ে হবে বড় কোন রাস্তার দ্বার যেখানে মালামাল পরিবহনের সকল সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধমান এবং সেই সাথে থাকতে হবে বিশুদ্ধ পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্হা তবেই কেবল নিরাপদে নিচিন্তে ফার্ম পরিচালনা সম্ভব বটে!

পণ্য উৎপাদনে লক্ষ্মণীয় বিষয়ঃ
যে কোন পণ্য উৎপাদনের পূর্বে বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিৎ কোথায় কি পণ্য উৎপাদন করবেন? কেননা যেখানে যে-সকল পণ্যের চাহিদা রয়েছে সেখানে সেইসব পণ্য উৎপাদন শ্রেয়, অর্থাৎ ডিমের চাহিদা থাকলে সেখানে লেয়ার, হাঁস ও কোয়েল পাখি আর মাংসের চাহিদা বেশী হলে সেখানে রেডি ব্রয়লার, সোনালী, কক্-মুরগী ও টার্কির ফার্ম করা কিংবা দুধের চাহিদা হলে- গরু ছাগল মহিষের ফার্ম স্হাপন এছাড়া এলাকা ভেদে মাছ চাষে মনোনিবেশ করাটাও মন্দ নয় বটে!

ঘরের অবকাঠামোঃ
পরিবেশ গত দিক বিবেচনায় ঘর তৈরি করা উচিৎ যেমন ঘরের দৈর্ঘ্য পূর্ব পশ্চিমে লম্বালম্বি ও উওর দক্ষিণে আড়াআড়ি করে নির্মাণ করা এবং ঘরের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ নির্ভর করে আপনি কতোগুলো প্রাণী/পাখি পালন করতে চাচ্ছেন তাঁর উপর, যেমন ধরুন আপনি এক হাজারটি ব্রয়লার পালন করতে ইচ্ছুক, সেক্ষেত্রে প্রতিটির জন্য কমপক্ষে ১ফুট জায়গা প্রয়োজন অর্থাৎ (দৈর্ঘ্য ৫০×২০= ১,০০০ফুট) সে অনুযায়ী যতগুলো প্রাণী পালন করবেন ততধিক পরিমাণ জায়গা প্রশস্ত করতে হবে, মনে রাখতে হবে ঘরের দৈর্ঘ্য যা-ই হোক না কেন প্রস্থ ২০-২৫ ফুটের অধিক হওয়া কাম্য নয় কেননা প্রস্হ উঁচু হলে আলো-বাতাসের ঘার্তি হতে পারে?

ঘরের উচ্চতা ও ছাউনিঃ
ঘরের উচ্চতা কমপক্ষে ৯ ফুট হওয়া উচিৎ তাতে করে মাঝখান বরাবর ১১-১২ ফুট উ করা যেতে পারে এবং ঘরের বাহিরে কমপক্ষে ২-ফুট বাড়তি ছাউনি দিতে হবে যাতে ঝড় বৃষ্টির পানি ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে, বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে যাতে ঘরের দক্ষিণ দিকটা খোলা থাকে এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল করতে পারে।

লেখকঃ মো. সিরাজুল ইসলাম
ব্যবস্হাপনা পরিচালক, ব্রাদার্স পোলট্রি ইন্টারন্যাশনাল,ঢাকা।Email: brothers [email protected]

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১২, ২০২২ ৪:০০ অপরাহ্ন
উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ভেড়া পালনে সফল নওগাঁর সেতুবাবু
প্রাণিসম্পদ

নওগাঁ জেলার বদলগাছীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ভেড়া পালন করে সফলতা পেয়েছেন কলেজ শিক্ষার্থী সেতু বাবু। পড়াশোনার পাশাপাশি খোলা মাঠে ভেড়া পালন করে গত তিন বছরে আড়াই লক্ষ টাকা আয় করেছেন। এখন তার খামারে রয়েছে ৬০ টি ভেড়া। তার এই সফলতা দেখে অনেকেই এখন এ পদ্ধতিতে ভেড়া পালনে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কলেজ শিক্ষার্থী সেতু বাবু। সেতুর বাবা শহীদুল ইসলাম একজন ছোট পশু ব্যবসায়ী। হাটে হাটে পশু বেচাকেনা করেন। গত কয়েক বছর আগে তিনি ২০টি ভেড়া কিনেছিলেন। যার মধ্যে পাঁচটি বাচ্চা ছিল। বাচ্চাগুলো বিক্রি না করে ছেলেকে দেন পালন করার জন্য। ৬ মাস পালন করার পর প্রতিটি ভেড়া ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেন সেতু। উন্মুক্তভাবে পালন করায় খরচটা অনেক কম ছিল। ফলে লাভের অঙ্কটাও ছিল বেশি। লাভ বেশি হওয়ায় ভেড়া পালনের আগ্রহ বাড়ে তার। এরপর বেসরকারি একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে আরও বেশি ভেড়া কিনে শুরু করেন লালন-পালন। বর্তমানে সেতুর খামারে রয়েছে ৬০টি ভেড়া।

সেতু বাবু জানান, প্রতি বছর ফেব্রয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত স্থানীয় মাঠগুলোতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ভেড়া পালন করে সে। তাই খাবারের জন্য বাড়তি খরচ করতে হয় না। প্রতিটি ভেড়া বিক্রি হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায়। আর ব্যবসায়ীরা বাড়ি থেকেই কিনে নিয়ে যায়।

সেতু বাবু আরও জানায়, আমার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই ভেড়া পালনের আগ্রহ দেখাচ্ছে। ভেড়া পালনে খরচ কম ও লাভজনক হওয়ায় যে কেউ এ পেশার সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবে।

স্থানীয় খামারীরা বলছেন, গরু ও ছাগল পালনের চেয়ে খোলা জায়গায় ভেড়া পালন সহজ। আর উন্মুক্তভাবে পালন করায় দানাদার খাবার খরচ কম হয়। আশা করছি লাভবান হতে পারব।অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় অনেকে এই পশু পালনে ঝুঁকছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হক তৌফিক জানালেন, ভেড়া লাভজনক পশু। তাই স্থানীয় বেকার যুবকদের ভেড়া পালনে উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে ভেড়া পালনে অনেকের ভাগ্য বদলে যেতে পারে বলেও মনে করেন এই কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১০, ২০২২ ২:৪৫ অপরাহ্ন
গরু মোটাতাজাকরণে ‘ফারমেন্টেড কর্ন’ তৈরীর প্রণালী 
প্রাণিসম্পদ

ফার্মিংয়ে এসে প্রথমেই যে সমস্যার সম্মুখিন হলাম তা হল খড় সংকট ও খড়ের মূল্যবৃদ্ধি। এই সমস্যা থেকে পরিত্রানের জন্য মানুষের কাছে লিজ দেয়া জমি ছাড়িয়ে নিয়ে সাড়ে তিনবিঘা জমিতে নিজেই ধান চাষ শুরু করলাম। যেহেতু শুরুতেই বড় পরিসরে যাচ্ছি না তাই ভাবলাম এথেকে যা পাই পেলাম বাকিটা কিনে চালিয়ে নেব। তবে এবারের অতিবৃষ্টি ও বন্যায় একবার ধানের চারা নষ্ট হয়েছে এবং পরেরবার লাগানো ধান একদম শেষ মুহূর্তের বৃষ্টির কারণে ভালই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে সাড়ে তিন বিঘা জমির ধানে খড় পাচ্ছি মোটামুটি দেড় বিঘার মত।

আবার কিনে ঘাটতি পুরণ করবো সেখানেও মহা বিপদ। কারণ হল বৃষ্টি ও বন্যায় সবাই মোটামুটি ক্ষতিগ্রস্ত। অনেকের নিজের গরু থাকায় বেচবে না আবার যারা বেচবে তাদের দাম আকাশচুম্বী।খড় তো নয় যেন সোনা খাওয়াচ্ছি গরুকে। তাহলে উপায় কি? দানাদার খাবার খাওয়াব? শুধুমাত্র দানাদারের উপর নির্ভরশীল হওয়া মানে পয়সা খরচ করে ব্যাপারী আর কসাইদের পকেট ভারী করা। রেডী ফিড খাওয়াব? সেটা মানেতো লাভের গুড় ফিড কোম্পানিরে খাওয়ানো।শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিলাম খড় যেহেতু খাওয়াবো তাহলে ফার্মেন্টেড কর্ন এর মাদ্ধমেই খাওয়াই। এতে করে দুটি লাভ হবে ১। কম পুষ্টিমান সমবৃদ্ধ খড়ে পুষ্টিমান বাড়বে ২। দানাদারের খাদ্যের খরচ কমবে। আরে সাথে খরচ কমার বিষয়টা তো থাকছেই।

কি কি উপাদান লাগবেঃ

১। ভুট্টার পাউডার বা বেসন ১০০ কেজি।
২। খড় ৪০ কেজি (৩০ কেজিও দেয়া যায়)
৩। মোলাসেস বা চিটা গুড় ১০ কেজি
৪। ইউরিয়া ৩/৪ কেজি
৫। পানি ১০০ লিটার
৬। সাইলো পিট্ অথবা বায়ুরোধী প্লাস্টিকের ড্রাম।
৭। পানি ছিটানোর ঝর্ণা।
৮। ত্রিপল অথবা প্লাস্টিকের পলিথিন।

কিভাবে বানাবেনঃ

১। প্রথমে পানির পাত্রে ১০০ লিটার পানি নিয়ে তার সাথে চিটা গুড় ও ইউরিয়া মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করুন। লক্ষ করবেন ইউরিয়া যাতে ভালভাবে গলে যায়।

২। পরিষ্কার সমান জায়গায় ত্রিপল বিছিয়ে নিন এবং এর উপর ভুট্টার গুঁড়া ভালভাবে বিছিয়ে দিন।

৩। বিছানো ভুট্টার গুঁড়ার উপর আপনার ব্যবহৃত খড়ের অর্ধেকটা ভালভাবে ছিটিয়ে দিন।

৪।এরপর আপনার তৈরিকৃত মিশ্রনের অর্ধেকটা ঝর্ণার সাহায্যে খড়ের উপর এমনভাবে ছিটিয়ে দিন যাতে সবজায়গায় সমভাবে বন্টন হয়।

৫। ছিটানো হয়ে গেলে খড় ও ভুট্টার গুঁড়াটা ভালভাবে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দিতে হবে। এরপর বাকি অর্ধেক খড় প্রথমবারে মিশ্রিত খড় ও ভুট্টার উপর বিছিয়ে দিতে হবে।

৬। এবার বাকি অর্ধেক মিশ্রণ খড়ের উপর ছিটিয়ে দিতে হবে। ছিটানো হয়ে গেলে আগের বারের মত পুরো মিশ্রণটা আবার ভালভাবে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দিতে হবে।

৭। মেশানো হয়ে গেলে এবার তা সাইলো পিট বা ড্রামে ঢেলে ভালভাবে এয়ার টাইট করে দিতে হবে যাতে বাতাস চলাচল করতে না পারে।

৮। ২১ দিন এভাবে রেখে দিতে হবে এবং ২১ দিন পর থেকে প্রস্তুতকৃত ফার্মেন্টেড কর্ন গরুকে খাওয়ানো যাবে।

এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ্যঃ

১. ভুট্টার গুড়া বা বেশন যেটা করা হয় পাটা লাগানো মেশিনে আর

২. ভুট্টা ভাংগা যেটা করা হয় ব্লেড লাগানো মেশিনে যা মুরগীর খাবারে ব্যবহৃত হয়।

৩. সাগু দানার মতো করে ভুট্টা ভেংগে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে পাটা মেশিন দিয়ে না ভেংগে জালি মেশিন দিয়ে ভাংগানো ভালো। এই ক্র্যাকট কর্ন পরিমানমতো পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখে হাই ময়েশ্চারে (৩০%) নিয়ে আসতে হবে।

দু টি দিয়েই ফার্মেন্টড কর্ন তৈরি করা যায় তবে দ্বিতীয় টি দিয়ে আগের রাতে ভিজিয়ে সকালে ছেঁকে তা দিয়ে করলে এর নিউট্রেশন ভ্যালু বেশি হয়।

প্রোটিন সাপ্লিমেন্টঃ

প্রস্তুতকৃত ফার্মেন্টেড কর্ন এর সাথে গরুকে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট সরবরাহ করতে হবে। প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট তৈরীর উপাদান নিচে দিয়ে দেয়া হল :

সয়ামিল ৫০%, ভুট্টার গুঁড়া ৩৫%,লবন ৫%,ডি সি পি ৫%, লাইমস্টোন ৫% .

কতটুকু করে খাওয়াবেনঃ

প্রতি ১০০ কেজি লাইভ ওয়েটের জন্য গরুকে ১ থেকে সোয়া ১ কেজি ফার্মেন্টেড কর্ন ও ২২৫ গ্রাম প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট দিতে হবে।

সাবধানতাঃ

১।ফার্মেন্টেড কর্ন মোটাতাজাকরণের গরুর জন্য ব্যবহার করতে হবে। ডেইরির জন্য নয়।

২। প্রস্তুতকৃত ফার্মেন্টেড কর্ন হঠাৎ করেই গরুকে বেশি পরিমানে দেয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে গরু জাতীয় প্রাণীর খাদ্যে যেকোন পরিবর্তন আস্তে আস্তে সময় নিয়ে করতে হবে।

৩। পূর্বের খাদ্য কিছুটা কমিয়ে ২৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম ফার্মেন্টেড কর্ন দিয়ে শুরু করে আস্তে আস্তে বাড়াতে হবে।

৪। এছাড়া প্রাথমিক অবস্থায় ফার্মেন্টেড কর্ন দেয়ার ফলে গরুর গোবর কিছুটা নরম হতে পারে। এতে ঘাবড়ানোর কারণ নেই। দুএকদিনের মাঝে এটা ঠিক হয়ে যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৮, ২০২২ ৪:৪৯ অপরাহ্ন
সরকার নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (৮ মে ) পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান এদেশের একজন নারীও যেন অসহায় না থাকে। তিনি নারীর ক্ষমতায়ন চান। তিনি চান নারী অপরের দয়া-দাক্ষিণ্যের জন্য বসে থাকবে না। তিনি চান পরনির্ভরশীল না থেকে নারীরা স্বাবলম্বী হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা সবাই মিলে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরো যোগ করেন, নারীদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য শেখ হাসিনা একের পর এক প্রকল্প গ্রহণ করছেন। উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প এমনই একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় বিতরণকৃত প্রাণিসম্পদ উপকরণ হাঁস, মুরগি, ভেড়া প্রান্তিক নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলবে, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করবে।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নূরুল আলম, পিরোজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরুন কুমার সিকদার, নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হক, নেছারাবাদ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার ঘোষ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ডা. এস এম জিয়াউল হক রাহাত, নেছারাবাদ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রিয়াজ হোসেন, নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফুয়াদ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী নেছারাবাদের অসহায় ও দুস্থ মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের শুকনা খাবার বিতরণ করেন। পরে মন্ত্রী একই উপজেলার দক্ষিণ কৌরিখাড়া লঞ্চঘাটে বিআইডব্লিউটিএ স্থাপিত নতুন পন্টুন উদ্বোধন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৮, ২০২২ ৩:৪৩ অপরাহ্ন
উন্নত গুণসম্পন্ন ছাগল নির্বাচন করার জন্য যা যা জানা প্রয়োজন
প্রাণিসম্পদ

লাভজনক ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের খামার স্থাপনে উৎপাদন বৈশিষ্ট্য উন্নত গুনাগুনসম্পন্ন ছাগী ও পাঁঠা সংগ্রহ একটি মূল দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত। মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন বয়সী ছাগী ও পাঁঠা নির্বাচন সফলভাবে পালনের জন্য প্রযুক্তিগত তথ্যাদি সরবরাহ অত্যাবশ্যক। বর্তমানে বাণিজ্যিক ছাগল প্রজনন খামার না থাকায় মাঠ পর্যায় হতে ছাগল সংগ্রহ করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে ব্যাক বেঙ্গল ছাগল, বাচ্চা ও দুধ উৎপাদন ক্ষমতার ভিন্নতা বিদ্যমান। উক্ত ভিন্নতা বংশ অথবা/এবং পরিবেশগত কারণ বা স্বতন্ত্র উৎপাদন দক্ষতার জন্য হতে পারে। সে প্রেক্ষাপটে ব্যাক বেঙ্গল ছাগল খামার প্রতিষ্ঠার জন্য বংশ বিবরণের ভিত্তিতে বাছাই ও নিজস্ব উৎপাদন/পূনরুৎপাদন বৈশিষ্ট্যাবলীর ভিত্তিতে বাছাই বিবেচনায় রেখে ছাগল নির্বাচন করা যেতে পারে।

বংশ বিবরণের ভিত্তিতে বাছাইঃ

মাঠ পর্যায়ে বংশ বিবরণ পাওয়া দুরূহ। কারণ খামারীরা ছাগলের বংশ বিবরণ লিখিত আকারে সংরক্ষণ করেন না। তবে তাঁদেও সাথে আলোচনা করে একটি ছাগী বা পাঁঠার বংশের উৎপাদন ও পূনরুৎপাদন দক্ষতা সম্বন্ধে ধারনা নেয়া যেতে পারে। ছাগীর মা/দাদী/নানীর প্রতিবারে বাচ্চার সংখ্যা, দৈনিক দুধ উৎপাদন, বয়োপ্রাপ্তির বয়স, বাচ্চার জন্মের ওজন ইত্যাদি সংগ্রহ করা সম্ভব। পাঁঠা নির্বাচনের ক্ষেত্রে পাঁঠার মা/দাদী/নানীর তথ্যাবলীর উপর নির্ভর করা যেতে পারে। একটি উন্নত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগী/পাঁঠার বংশীয় গুনাগুন নিম্নরূপ হওয়া প্রয়োজন।

ছাগী নির্বাচনঃ

লাভজনক ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল খামার প্রতিষ্ঠার জন্য সারণী-১ এ উলেখিত জাতের ছাগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দৈহিক যে সমস্ত গুনাবলী বিবেচনা প্রয়োজন তা নিমণরূপ। বিভিন্ন বয়সে দৈহিক বৈশিষ্ট্যের তারতম্য হয়। সে কারণে একটি ছাগীর ৬-১২ মাস, ১২-২৪ মাস এবং ২৪ মাসের উর্দ্ধে বয়সের দৈহিক বৈশিষ্ট্যাবলী ভিন্নভাবে তুলে ধরা হল।

উন্নত গুনাগুন সম্বলিত একটি ছাগীর নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যাবলী থাকা প্রয়োজনঃ

মাথা: চওড়া ও ছোট হবে

দৈহিক গঠন : শরীর কৌনিক এবং অপ্রয়োজনীয় পেশীমুক্ত হবে

বুক ও পেট : বুকের ও পেটের বেড় গভীর হবে

পাজরের হাড় : পাজরের হাড় চওড়া এবং দুইটি হাড়ের মাঝখানে কমপক্ষে এক আঙ্গুল ফাঁকা জায়গা থাকবে

ওলান : ওলানের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে। বাঁটগুলো হবে আঙ্গুলের মত একই আকারের এবং

সমান-রালভাবে সাজানো। দুধের শিরা উল্লেখযোগ্যভাবে দেখা যাবে

বাহ্যিক অবয়ব : আকর্ষণীয় চেহারা, ছাগী সুলভ আকৃতি, সামঞ্জস্যপূর্ণ ও নিখুঁত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ

পাঁঠা নির্বাচনঃ

লাভজনক ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল খামার প্রতিষ্ঠার জন্য উল্লেখিত জাতের পাঁঠা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দৈহিক যে সমস্ত গুনাবলী বিবেচনাপ্রয়োজন তা নিমণরূপ। বিভিন্ন বয়সে দৈহিক বৈশিষ্ট্যের তারতম্য হয়।

উন্নত গুনাগুন সম্বলিত একটি পাঁঠার নিমণলিখিত বৈশিষ্ট্যাবলী থাকা প্রয়োজনঃ

চোখ : পরিষ্কার, বড় ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন হবে

ঘাড় : খাটো ও মোটা থাকবে

বুক : গভীর ও প্রশস্ত হবে

পিঠ : প্রশস্ত হবে

লয়েন : প্রশস্ত ও পুরু এবং রাম্প এর উপরিভাগ সমতল ও লম্বা থাকবে

পা : সোজা, খাটো এবং মোটা হবে। বিশেষ করে পিছনের পাদ্বয় সুঠাম ও শক্তিশালী হবে এবং একটি হতে অন্যটি বেশ পৃথক থাকবে

অন্ডকোষ : শরীরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ঝুলানো থাকবে

বয়স : অধিক বয়স্ক (২ বছর বয়সের বেশী) পাঁঠা নির্বাচন করা যাবে না

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৮, ২০২২ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দুঃখীর দুঃখ বোঝেন, অসহায়ের ব্যথা বোঝেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দুঃখীর দুঃখ বোঝেন, দরিদ্রের কষ্ট বোঝেন, অসহায়ের ব্যথা বোঝেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (৭ মে) পিরোজপুরের নাজিরপুরে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে দুস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণের শুকনা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, নাজিরপুর এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মসূচি দেশের একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না, একজন মানুষও দরিদ্র থাকবে না, একজন মানুষও অসহায় থাকবে না। শেখ হাসিনার মতো জনবান্ধব প্রধানমন্ত্রী অতীতে কখনো আসেনি। তিনি যেভাবে গরিবের কষ্ট বোঝেন, দুঃখীর দুঃখ বোঝেন, অসহায়ের ব্যথা বোঝেন, এ রকম না হলে তিনি রাষ্ট্রনায়ক হতে পারতেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা প্রমাণ করেছেন।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, শেখ হাসিনার মতো জনবান্ধব সরকারপ্রধান আমরা বাংলাদেশে পেয়েছি বিধায় আজ দেশের কোথাও হাহাকার নেই, অভাব নেই, হতাশা নেই। চারদিকে বিদ্যুতের ব্যবস্থা হয়েছে, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে। গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে শহর পর্যন্ত সর্বত্র মানুষকে স্বচ্ছল করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আমরা রয়েছি।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার। নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, স্থানীয় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৭, ২০২২ ৩:৪৭ অপরাহ্ন
দেশি মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল
পোলট্রি

খামারে রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় | দেশি মুরগি সাধারনত উম্মুক্ত বা খোলা পদ্ধতিতে পালন করা হলেও বর্তমানে অনেক সৌখিন খামারি একে আবদ্ধ পদ্ধতিতে পালন করে থাকেন। দেশি মুরগি পালনে ভ্যাকসিন সিডিউল বা টীকা দেয়া আবশ্যক। তবে হাইব্রিড মুরগির তুলনায় দেশি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকার কারনে অনেক সময় মুরগির বিভিন্ন ভ্যাকসিন এ পরিবর্তন আনা যাতে পারে।

 

বয়স (দিন) রোগের নাম ভ্যাকসিনের নাম ভ্যাকসিনের প্রকৃতি প্রয়োগ পদ্ধতি
৩-৫ রানীক্ষেত ও ব্রংকাইটিস আইবি+এনডি লাইভ এক চোখে এক ফোঁটা
১০-১২ গামবোরো আই বি ডি লাইভ মুখে এক ফোঁটা
১৮-২২ গামবোরো আই বি ডি লাইভ খাবার পানিতে
২৪-২৬ রানীক্ষেত এনডি লাইভ এক চোখে এক ফোঁটা
৩৫-৪০ ফাউল পক্স ফাউল পক্স ডি এন এ লাইভ ডানায়সূচ ফুটানোর মাধ্যমে
৬০-৬৫ রানীক্ষেত এনডি-কিল্ড কিল্ড ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন
৭০-৭৫ ফাউল কলেরা ফাউল কলেরা কিল্ড ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন
দেশি মুরগির টীকা প্রদান সিডিউল

বিশেষ নোটঃ
1.৬মাস পর পর রানীক্ষেত কিল্ড করা উচিত।

2.একমাস পর ফাউল কলেরার বুস্টার ডোজ করতে হবে।

3.ভ্যাকসিনের আগে পরে এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার না করাই উত্তম। তবে ভ্যাকসিনের পরে ভিটামিন সি দেয়া ভালো। ৩৫ দিন বয়সে সোনালি মুরগির কৃমিনাষক ঔষধ দেয়া দরকার। কৃমি হলে সাধারণত ভ্যাক্সিন বা ঔষধের কার্যকারিতা কমে যায়।

4.অবশ্যই স্থান ভেদে ভ্যাকসিন সিডিউল পরিবর্তন করা যেতে পারে।

 

এই শিডিউল টা দেশি মুরগির লেয়ার বা প্যারেন্টস এর জন্য। আর আপনি যদি দেশি মুরগি শুধুমাত্র মাংসের জন্য করতে চান ।মানে ২-৩ মাস রাখতে চান তাহলে উপরোক্ত সিডিউল অনুয়ায়ী শুধুমাত্র রানীক্ষেত,গামবোরো এবং ফাউল পক্স টিকা দিলেই হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৭, ২০২২ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করা অপরাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করা অপরাজনীতির বিপক্ষে দল-মত নির্বিশেষে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শুক্রবার (৬ মে) পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে দুস্থ জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের শুকনো খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে যারা বাধা সৃষ্টি করে, যারা অপরাজনীতি করে, যারা ধ্বংসের রাজনীতি করে তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে। বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে স্বাধীনতাবিরোধীদের। প্রত্যেকের মধ্যে নিজস্ব বিশ্বাস ও চেতনা থাকলেও স্বাধীনতাবিরোধীদের ভ্রান্ত, অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সকলকে প্রগতিশীল রাজনীতিতে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, যদি কেউ ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করতে চায়, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করতে চায়, মানুষকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দিকে নিয়ে যেতে চায় তাহলে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার। এ জাতীয় অপরাজনীতি যারা করবে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের যেকোন মূল্যে প্রতিহত করবে।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, আমরা অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাচ্ছি। অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হচ্ছি। শেখ হাসিনা হচ্ছেন উন্নয়নের জাদুকর। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার, স্থানীয় অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস হলরুমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, দেশের অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বী করাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারে সময়ে দেশে কোনো মানুষ অভুক্ত থাকে না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনা মহামারীতেও দেশের উন্নয়ন থেমে নেই।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৪, ২০২২ ২:৩২ অপরাহ্ন
বাছুরের ডায়রিয়া দেখা দিলে খামারির করণীয়
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে এখন শহরেও দেখা মিলে অনেক গরুর খামার। আর গরু পালন করতে গিয়ে খামারিরা নানাবিধ সমস্যায় পড়ছেন। অনেক সময় বাছুরের ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়ে থাকে। আর তখন একজন খামারিকে কি করতে হবে সেটা জানা উচিত।

বাছুরের ডায়রিয়া সমস্যায় খামারিদের করণীয়ঃ

বাছুরের তীব্র ডায়রিয়ার কারণ:
বাছুরকে অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত দুধ খাওয়ানো, অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানো বা খেয়ে ফেলা, খাবারের পাত্র এবং ফিডার নোংরা বা ময়লা হলে, বাছুর কৃমিতে আক্রান্ত হলে, শাল দুধের গুণাগুণ ভাল না হলে, বাছুরের থাকার জায়গাটা নোংরা, স্যাঁতসেঁতে হলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে।

বাছুরের এই তীব্র ডায়রিয়ায় খামারি যা করবে:
ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথে আলাদা করে শুকনা পরিষ্কার জায়গায় রাখতে হবে বাছুরকে।খাবারের পাত্র এবং ফিডার বোতল পরিষ্কার করে খাওয়াতে হবে। বাছুরকে তার বড়ি ওয়েটের ১০% দুধ খাওয়াবেন অর্থাৎ ৪০ কেজি ওজনের বাচ্ছাকে দুধ খাওয়াবেন ৪ লিটার। শালদুধের গুণাগুণ পরিমাপ করে দেখতে হবে। ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথেই স্যালাইন খাওয়াতে হবে দিনে ৩ বার ২৫০ মিলি করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১, ২০২২ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
গবাদি পশুর গলাফুলা রোগ ও প্রতিকার
প্রাণিসম্পদ

গলাফুলা একটি তীব্র প্রকৃতির রোগ যা গরু এবং মহিষকে আক্রান্ত করে। এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যা Pasteurella multocida দ্বারা সংঘটিত হয়। এ রোগে মৃত্যুর হার খুবই বেশি। বর্ষাকালে গলাফুলা রোগ বেশি দেখা যায়। আমাদের দেশে বর্ষার শুরুতে এবং বর্ষার শেষে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। পশুর শরীরে স্বাভাবিক অবস্থায় এ রোগের জীবাণু বিদ্যমান থাকে। কোনো কারণে যদি পশু ধকল যেমন ঠান্ডা, অধিক গরম, ভ্রমণজনিত দুর্বলতা ইত্যাদির সম্মুখীন হয় তখনই এ রোগ বেশি দেখা দেয়। গলাফুলা রোগের প্রচলিত নাম ব্যাংগা, ঘটু, গলগটু, গলবেরা ইত্যাদি।

চিত্র-১ গলাফুলা রোগে আক্রান্ত পশুর মুখমন্ডলসহ গলা ফুলে উঠেছে

এপিডেমিওলজি ও রোগজননতত্ত্বঃ
গলাফুলা (hemorrhagic septicemia) এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ ইউরোপের কিছু দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান। তবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এটি বেশি পরিলক্ষিত হয়। গলাফুলা মূলত গরু ও মহিষের রোগ হলেও শুকর, ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া, বাইসন, উট, হাতী এমনকি বানরেও এ রোগ হতে পারে। এ রোগ বছরের যে কোনো সময় হতে পারে তবে বর্ষাকালে এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। বাহক পশুর টনসিল ও ন্যাজো-ফ্যারিনজিয়াল মিউকোসায় এ রোগের জীবাণু থাকে। অনুকূল পরিবেশে রক্তে এ রোগের জীবাণুর সংখ্যা বেড়ে গিয়ে septicemia করে। এই বৃদ্বিপ্রাপ্ত জীবাণু মরে গিয়ে এন্ডোটক্সিন নিঃসৃত হয় যার ফলে রক্ত দূষিত হয়ে পড়ে। এন্ডোটক্সিন রক্তের ক্যাপিলারিস নষ্ট করে; ফলে এডিমা হয়। এছাড়া এন্ডোটক্সিন একদিকে কোষ কলা বিনষ্ট করে দেহে হিস্টামিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে অন্যদিকে টিস্যু বিনষ্টের ফলে টিস্যুর প্রোটিন ভেঙ্গে রক্তে প্রোটিনের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে, এডিমার সৃষ্টি হয়। সে কারণে এ রোগে আক্রান্ত পশুর গলা ফুলে যায় ও রক্তে জীবাণুর উপস্থিতির (septicemia) কারণে পশুর দ্রুত মৃত্যু হয়।

লক্ষণঃ
এ রোগ অতি তীব্র ও তীব্র এ দুই ভাবে হতে পারে। অতি তীব্র প্রকৃতির রোগে হঠাৎ জ্বর (১০৬-১০৭০ ফা) হয়ে মুখ ও নাক দিয়ে তরল পদার্থ বের হতে থাকে। পশু অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে ও খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃতু্য ঘটে। তীব্র প্রকৃতির রোগে আক্রান্ত পশু ২৪ ঘন্টার অধিক বেঁচে থাকে। এ সময় পশুর এডিমা দেখা দেয় যা প্রথমে গলার নিচে, পরে চোয়াল, তলপেট এবং নাক, মুখ, মাথা ও কানের অংশে বিসতৃত হয়। গলায় স্ফীতি থাকলে গলার ভেতর ঘড় ঘড় শব্দ হয় যা অনেক সময় দূর থেকে শোনা যায়। প্রদাহযুক্ত ফোলা স্থানে ব্যথা থাকে এবং হাত দিলে গরম ও শক্ত অনুভূত হয়। সূঁচ দিয়ে ছিদ্র করলে উক্ত স্থান হতে হলুদ বর্ণের তরল পদার্থ বের হয়ে আসে। অনেক সময় কাশি হয় এবং চোখে পিচুটি দেখা যায়। নাক দিয়ে ঘন সাদা শ্লেষ্মা পড়তে দেখা যায়। সাধারণত লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আক্রান্ত পশু মারা যায়। মারা যাবার সাথে সাথে পেট খুব ফুলে উঠে এবং নাক ও মুখ দিয়ে তরল পদার্থ বের হতে থাকে। পোস্টমর্টেম করলে পেরিকার্ডিয়াল স্যাক (pericardial sac) এ রক্ত মিশ্রিত তরল পদার্থ দেখা যায়, যা থোরাসিক (thoracic) এবং এবডোমিনাল ক্যাভিটি (abdominal cavity) তে বিসতৃত হতে পারে। ফ্যারিনজিয়াল এবং সার্ভাইক্যাল লিম্ফনোডে বিন্দু আকৃতির (petechial) রক্তক্ষরণ পরিলক্ষিত হয়।

অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ
গলাফুলা রোগের যথেষ্ট অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে বিশেষত, এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু দেশে। এশিয়াতে ৩০% গবাদিপশু এ রোগের প্রতি সংবেদনশীল। ভারত দুগ্ধ উৎপাদনে এশিয়াতে সর্বোচ্চ যেখানে ৫০% দুধ আসে মহিষ থেকে, যারা এ রোগের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। ভারতে গত চার দশক ধরে গলাফুলা রোগে মৃত্যু হার গবাদিপশুর মৃত্যুহারের ৪৬-৫৫%। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ভারতে গবাদিপশুর ৫টি মহামারীতে আক্রান্ত গবাদিপশুর ৫৮.৭% মারা যায়। এই ৫টি মহামারী হল ক্ষুরারোগ, রিন্ডারপেষ্ট, বাদলা, এনথ্রাক্স এবং গলাফুলা। শ্রীলংকায় ১৯৭০ এর দশকে পরিচালিত একটি অপঃরাব সারভ্যাইল্যান্স স্টাডিতে দেখা গেছে গলাফুলা আক্রান্ত স্থানসমূহে বছরে প্রায় ১৫% মহিষ এবং ৮% গরু গলাফুলার কারণে মারা যায়। পাকিস্তানে একটি রির্পোটে দেখা গেছে সেখানে গবাদিপশুর মোট মৃত্যুর ৩৪.৪% মারা যায় গলাফুলা রোগে। মায়ানমারে পশু রোগ নিয়ন্ত্রণে বরাদ্দকৃত মোট বাজেটের ৫০ ভাগ ব্যয় হয় গলাফুলা রোগ দমনে। গলাফুলা রোগে শুধু গবাদিপশুর মৃত্যুই ঘটে না, সাথে সাথে বেশ কিছু অপ্রত্যক্ষ ক্ষতিও হয়। যেমন – উৎপাদন হ্রাসঃ মাংস, দুধ, জোয়াল টানা, হালচাষের বিকল্প উপায়ের জন্য মোট ব্যয় ইত্যাদি। পশুর প্রজনন ক্ষমতা বিঘি্নত হওয়া, চিকিংসা খরচ ইত্যাদি।

প্রতিরোধঃ
এ রোগ উচ্ছেদ করা অসম্ভব কারণ এ রোগের জীবাণু স্বাভাবিক অবস্থায় পশুর দেহে থাকে। তবে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা অবলম্বন করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
• রোগাক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা করে সুস্থ পশুকে টিকা দানের ব্যবস্থা করতে হবে।
• মড়কের সময় পশুর চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
• হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পশুর পরিচর্যার ব্যবস্থা করতে হবে।
• টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত এল.আর. আই কতৃর্ক প্রস্তুতকৃত টিকার নাম গলাফুলা টিকা। লোকাল স্ট্রেইন দ্বারা প্রস্তুতকৃত এই অয়েল এডজুভেন্ট টিকা সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক (৬ মাস বয়সের উপরে) গবাদিপশুকে ২ মিলি মাত্রায় ও ছাগল ভেড়াকে ১ মিলি মাত্রায় প্রয়োগ করতে হয়। এ রোগের প্রাদুর্ভাব আছে এরূপ এলাকায় ৬ মাস বা তদুধর্ব বয়সী বাছুরে প্রাপ্ত বয়স্ক গরুর অর্ধেক মাত্রায় টিকা দিতে হয়। এলাম অধঃপাতিত (Alum precipitated) টিকা মাংসে প্রদান করা হয়। যেহেতু দুই ধরনের টিকাই মাঠপর্যায়ে ব্যবহার হয় তাই বিষয়টির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ অয়েল এডজুভেন্ট টিকা তেল থেকে প্রস্তুতকৃত বিধায় এই টিকা ভুলক্রমে মাংসে প্রদান করলে মাংসে প্রদাহ সৃষ্টি হয়ে মাংসের ক্ষতি হয় এবং সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। টিকা প্রদানের ২-৩ সপ্তাহ পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মাতে শুরু করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ১ বৎসর কাল পর্যন্ত বজায় থাকে। এই টিকা মৃত জীবাণুর দ্বারা প্রস্তুত বিধায়

এই টিকা প্রদানের মাধ্যমে রোগ বিস্তারের কোনো সম্ভাবনা নাই। টিকা প্রয়োগের স্থান ২/৩ দিন পর্যন্ত ফোলা থাকতে পারে। ত্রুটিপূর্ণ ইনজেকশনের কারণে এই ফোলা স্বাভাবিক এর চেয়ে কয়েকদিন বেশি থাকতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে এনাফাইলেকটিক শক দেখা দিতে পারে। কোনো এলাকায় বা খামারে টিকা প্রদানের পূর্বে অল্প কয়েকটি গবাদিপশুকে টিকা প্রদানের পর ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা শ্রেয়। যদি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তবে উক্ত বোতলের টিকা পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না। অয়েল এডজুভেন্ট টিকা বেশ ঘন হওয়ায় এই টিকা প্রদানে মোটা বারের নিডল ব্যবহার করা সুবিধাজনক।

রোগ নির্ণয়ঃ
হঠাৎ মৃত্যু হয় এ ধরনের রোগ যেমন বজ্রপাত, সাপে কাটা, বাদলা রোগ, রিন্ডারপেস্ট, এনথ্রাক্স ইত্যাদি থেকে গলাফোলা রোগকে আলাদা করতে হবে। সেরোলজিক্যাল টেস্ট যেমন
Indirect hemagglutination test এ উচ্চ টাইটার লেভেল (১:১৬০ বা তার বেশি) পাওয়া গেলে এ রোগ সমন্ধে নিশ্চিত হওয়া যায়।

চিকিৎসাঃ
আক্রান্ত পশুর চিকিৎসায় বিলম্ব হলে সুফল পাওয়া যাবে না। তাই রোগের উপসর্গ দেখা দেয়ার সাথে সাথে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রতিরোধঃ
ভ্যাকসিনই এ রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল উপায়। মূলত তিন ধরনের ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এগুলো হল প্লেইন ব্যাকটেরিন, এলাম অধ:পাতিত ব্যাকটেরিন এবং অয়েল এডজুভেন্ট ব্যাকটেরিন। এর মধ্যে ৬ মাস বিরতিতে এলাম অধ:পাতিত ব্যাকটেরিন এবং ৯ থেকে ১২ মাস অন্তর অয়েল এডজুভেন্ট ভ্যাকসিন দিতে হয়। ভালো ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত খামারে বাছুরকে ৩ থেকে ৬ মাস বয়সে প্রথম, ৩ মাস পরে বুস্টার এবং এরপর বছরে একবার টিকা দিতে হয়। উন্মুক্ত খামারে বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই বাৎসরিক টিকার কোর্স শুরু করতে হয়।

লেখক: ডাঃ এ, এইচ. এম. সাইদুল হক
এক্সিকিউটিভ, ভেটেরিনারী সার্ভিসেস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop