৮:৪৫ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীর তরুণরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন মধু চাষে
কৃষি বিভাগ

রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার হাতনাবাদ গ্রামের যুবক সুমন আলী। একসময় ছিলেন কাঠমিস্ত্রী। এরপর ২০১৩ সাল থেকে সরিষা ক্ষেতে মধুচাষ করছেন। সরিষার মাঝে মৌমাছির সাহায্যে মধুচাষ করেই সুমন এখন সাবলম্বী। মধুচাষ করেই নিজের বাড়িটিও পাকা করেছেন। এবারও আশা করছেন আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মধু বিক্রির।

মধুচাষি সুমন জানান, রাজশাহীর বিসিক এলাকা থেকে মধু সংগ্রহরে বক্স তৈরি করে আনেন। এরপর মধু সংগ্রহের ট্রেনিং নিয়ে চাষ করা শুরু করেন। এবারও ৫০টির বেশি বক্স বসিয়েছেন। গড়ে প্রতি সপ্তাহে তিনি আড়াই মন মধু সংগ্রহ করছেন।

সুমন বলেন, আমাদের এখনকার উৎপাদিত মধুগুলো ২১ থেকে সাড়ে ২২ গ্রেডের হওয়ায় স্থানীয় ও মার্কেটে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের সব খরচ বাদ দিয়ে গড়ে প্রতি মৌসুমে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মধু বিক্রি হয়।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের উত্তরপাড়ায় মৌচাষ করছেন মোঃ মমিন, নারায়ণ মন্ডল, হৃদয় মন্ডল, রুবেল, আলিম। মৌচাষি মোঃ মমিন বলেন, নাটোর এলাকা থেকে রানি মৌমাছি সংগ্রহ করে এবার ২০টি বক্সে মধু চাষ করছি। প্রতিটি বক্সে ৫টি করে চাক আছে। এগুলো থেকেই গতবার ভালো আয় হয়েছে। এবারও ভালো লাভের আশা করছেন তারা।

মমিন বা সুমনই নয়, রাজশাহীতে এখন অন্তত ৫০জন তরুণ মধুচাষি মধু চাষ করছে। কম খরচে মধু উৎপাদন করে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। এতে করে ভাগ্য বদল ও সাবলম্বী হচ্ছেন বেকার তরুণরা। একদিকে বাণিজ্যিক এই মধু আহরণে মৌ চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন পাশাপাশি বাড়ছে সরিষা উৎপাদন।

রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাজশাহীতে এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। যেখানে এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হাজার ২৫০ হেক্টর। সেখানে রাজশাহী জেলাতে সরিষা চাষ হয়েছে ৪২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। এসব জমিতে ৬৭ হাজার ৫০০ মেট্রিটন সরিষা উৎপান হতে পারে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ। রাজশাহীতে এবার প্রথমিক পর্যায়ে ৩ হাজার ৪০২টি মধু চাষের বক্স স্থাপন করা হয়েছে। এসব বক্স থেকে ৪০ হাজার ৮০০ কেজি মধু উৎপাদন হতে পারে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ২৩০ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার মৌ চাষি এসে মধু সংগ্রহ করছেন। এদিকে মৌ চাষ শুরু হওয়ার পর সরিষার ফলন বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ মণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৫, ২০২২ ৮:৫৪ অপরাহ্ন
পিদিম ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেবার মান উন্নয়ন এবং ঝুঁকি মোকাবিলা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত 
পাঁচমিশালি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: পিদিম ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ‘সেবার মান উন্নয়ন এবং ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে-তোলা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) পিদিম ফাউন্ডেশনের সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি (এমআরএ) এর এক্স্রিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মোঃ ফসিউল্লাহ্, পিদিম ফাউন্ডেশন এর সভাপতি শেখ ইমরান কিবরীয়া এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যান,সিডিএফ ও নির্বাহী পরিচালক পপি জনাব মি. মুর্শেদ আলম সরকার, নির্বাহী পরিচালক, সিডিএফ ও চেয়ারম্যান সাউথ এশিয়া মাইক্রো এন্টারপ্রেনারস নেটওয়াক মোঃ আব্দুল আউয়াল, এবং প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার, অন্তর মোঃ ইমরানুল হক চৌধুরী।

সেমিনারে মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন, প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, পিদিম ফাউন্ডেশন এডভিন বরুন ব্যানার্জী।

জয়েস তিথি , সহকারী পরিচালক, আরটিডি সেল এবং তারিক সাঈদ হারুন, পরিচালক ( কোর প্রোগ্রাম) , কোস্ট ফাউন্ডেশন সঞ্চলনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন হুমায়ুন কবীর সেলিম ( সিনিয়র পরিচালক,কার্যক্রম, পিদিম ফাউন্ডেশন), মোঃ শফিউল্লাহ শোভন, সিনিয়র পরিচালক ( মানব সম্পদ, প্রশাসন ও অডিট) পিদিম ফাউন্ডেশন প্রমুখ।

এছাড়া এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোঃ ফসিউল্লাহ, পিদিম ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন এবং এর বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন। পিদিম ফাউন্ডেশনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পিদিম ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় অস্বচছল এবং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে “বঙ্গবন্ধু উচ্চশিক্ষা বৃত্তি”র চেক প্রদান করা হয়েছে। এ বৃত্তির আওতায় প্রতি শিক্ষার্থী তাদের স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে মাসে ৫ হাজার টাকা হারে শিক্ষাবৃত্তি পাবেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ফসিউল্লাহ্ বলেন, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠাণগুলো ঋণের বাইরে নানাবিধ সামাজিক ইস্যু নিয়ে কাজ করে সরকারকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। এ সেক্টরের সাথে প্রায় ৩ কোটি উপকারভোগী। যার অধিকাংশই নারী। জিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো: আব্দুল আউয়াল বলেন, গরীব মানুষ আর্থিক সহযোগিতা চায় অনুদান নয়।

তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্রঋণের সা:চার্জ বাংলাদেশে বিশ্বের সবচাইতে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে সা:চার্জ হচ্ছে ২৭ শতাংশ। তবে এ সেক্টরে আমরা আর্থিক কারিগরী এবং ডিজিটাইজেশনে এখনো পিছিয়ে আছি।

উক্ত সেমিনারে দেশের খ্যাতনামা ক্ষুদ্রঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০টি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২২ ২:৪৮ অপরাহ্ন
কৃষাণীদের চমৎকার পিঠা উৎসব
প্রাণ ও প্রকৃতি

কৃষাণীদের একেকজন এক ধরনের পিঠা তৈরি করেছেন। কারো হাতে চিতল, কারো হাতে পুলি, নকশি, আর ভাপা পিঠা। আরও আছে দুধ চিতই, পাটিসাপটা, পাখন, তেলের পিঠা।

এদিকে জমির চারপাশে একতারা ও বাদ্যযন্ত্র হাতে নেচে নেচে গান গাইছেন একদল শিল্পী। এ যেন গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্য ফিরে এসেছে।

ফসলের মাঠে নাচে-গানে পিঠা-পুলির আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্যতিক্রমী ধানকাটা উৎসব হয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরেইয়ে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের মিয়াপাড়ায় জমিতে পাকা আমন ধান কাটার মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট আইটি বিশেষজ্ঞ, চলচিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব মাহবুব রহমান রুহেল।

মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টারের উদ্যোগে এই উৎসবে তিন শতাধিক কৃষক-কৃষাণী ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শতাধিক কৃষক গায়ে সাদা গেঞ্জি, পরনে লুঙ্গি, মাথায় গামছা ও হাতে কাঁচি নিয়ে ধান কাটার জন্য সড়কের পাশের সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করছেন। প্রধান অতিথি ধান কাটা উদ্বোধন করার পর পর একসঙ্গে সবাই প্রায় এক একর আমন ধান কাটেন। এরপর এক রঙ্গের শতাধিক নতুন শাড়ি পরিধান করে ছুটে আসেন গ্রামের কৃষাণীরা।

উৎসবে উপস্থিত কৃষক নুরুল মোস্তফা ও স্বপন চন্দ্র নাথ বলেন, আমার যখন ছোট ছিলাম তখন এমন উৎসব দেখেছি। এমন ধানকাটা উৎসব হারিয়ে গেছে। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর আবার ধান কাটা উৎসবে একত্রিত হলাম, সবাই মিলে ধান কাটলাম অনেক ভালো লাগছে।

উৎসবের উদ্যোক্তা মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, আমাদের গ্রামেও শহরের যান্ত্রিকতা চলে আসছে। হারিয়ে গেছে গ্রামবাংলার সকল ঐতিহ্য। তাই হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্যকে ফিরে পেতে আমাদের এই আয়োজন।

তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্ম জানে না, ধান কাটা উৎসব কি, নবান্ন উৎসব কি নতুন প্রজন্মকে গ্রাম বাংলা সম্পর্কে বার্তা দিতে এমন আয়োজন করেছি। চার শতাধিক কৃষককে নতুন লুঙ্গি, গেঞ্জি, গামছা ও শতাধিক নারীর জন্য নতুন শাড়ির তৈরি করেছি।

ধানকাটা শেষে মঘাদিয়া নুরুল আবছার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, আমি ছোট বেলায় দেখেছি আমার দাদারা ধান কাটা নিয়ে অনেক আনন্দ করতেন। এখন তা হারিয়ে গেছে। মঘাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার এমন চমৎকার আয়োজন করা জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে কিছুতেই তিন ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। আমাদের অনাবাদি জমি চাষাবাদ করতে হবে। আমার কষ্ট লাগে কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন। এক শ্রেণির মধ্যস্বত্ত্বভোগী লাভবান হয়। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, কৃষক ছাড়া একটি দেশ কোন প্রকারেই খাদ্যে নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তাই কৃষকদের কৃষি কাজে উৎসাহ দিতে বর্তমান সরকার ভর্তূকি ও বিনা মূল্যে সার, কিটনাশক ও বীজ সরবরাহ করে আসছে।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মঘাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল গনি, তথ্য-প্রযুক্তি ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আরিফ মাঈনুদ্দীন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফায়েল উল্ল্যা চৌধুরী নাজমুল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার লিটন, কৃষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন খোন্দকার হারুন।

আলোচনা সভা শেষে ধান কাটায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২২ ২:৪০ অপরাহ্ন
দিনাজপুরে মিলল বিষধর রাসেল ভাইপার
প্রাণ ও প্রকৃতি

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার একটি ক্ষেতে বিষধর রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ৬নং ভান্ডারা ইউনিয়নের তুলাই নদীর পাড়ের একটি সরিষা ক্ষেতে সাপটি পাওয়া যায়।

সাপটি উদ্ধার করেন বাংলাদেশ বন বিভাগের বিরল উপজেলার এসএফপিসির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসীন আলী। উদ্ধারের পর সাপটি উপজেলার ধর্মপুর ফরেস্ট বিট অফিসে রাখা হয়।

এদিকে সাপটি রাজশাহীতে নেওয়ার জন্য শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী স্নেক (সাপ) রেস্কিউয়ের একটি দল বিরলে এসেছে। দাপ্তরিক কাজ শেষে তাদের কাছে সাপটি হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসীন আলী বলেন, স্থানীয় কৃষক নুর ইসলাম তার সরিষা ক্ষেতে অপরিচিত একটি সাপ দেখে বন বিভাগকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেটি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, ভারত সীমান্ত কাছাকাছি হওয়ায় সাপটি সেখান থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেহেতু সাপটি অনেক বিষাক্ত তাই উপযুক্ত স্থান ছাড়া সেটিকে অবমুক্ত করা হবে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২২ ২:৩৩ অপরাহ্ন
খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বানর
প্রাণ ও প্রকৃতি

খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসা বানর কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকায় গাছের ডালে আবার কখনো এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ির ছাদে বা ঘরের চালে লাফালাফি করে বেড়ায়।

কয়েকদিন ধরেই দেখা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা শহরের জলিল বিড়ি মোড়, পুরাতন স্টেশন, কালীবাড়ি, থানা পাড়া, গুয়াতীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ছুটোছুটি করতে দেখা যায় বানর দু’টিকে।

বনবিভাগ ও স্থানীয়রা জানান, কুড়িগ্রাম জেলা সীমান্তবর্তী হওয়ার সুবাদে ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ক্ষুধার্ত বানরগুলো খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে। খাবারের সন্ধান করে প্রায় সময়ই বাংলাদেশের লোকালয়ে চলে আসছে অভুক্ত বানরগুলো। বাড়ির ছাদে উঠলে অনেক পরিবারের সদস্যরা বানরগুলোকে খাবার দিলেও অনেকের মাঝে ভীতিও দেখা দিয়েছে।

গত দুই দিন ধরে অনেকে অভুক্ত বানরগুলোকে কলা, আপেল, বাদামসহ বিভিন্ন খাবার খেতে দিলে তা নিয়ে দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। খাবার না পেয়ে হয়তো বন থেকে লোকালয়ে চলে এসেছে তারা।

কুড়িগ্রাম বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম জানান, বানরগুলো হয়তো দলছুট হয়ে ভারত থেকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্ত পেরিয়ে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসেছে। তাদের ঢিঁল দিয়ে বিরক্ত করা যাবে না। তারা এমনিতেই আবার বনে চলে যাবে। এরপরও গতিবিধি লক্ষ্য করে বানরের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বনবিভাগের পক্ষ থেকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৮, ২০২২ ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
‘নতুন প্রজাতির সাপ’ পেয়েছে বাংলাদেশ
প্রাণ ও প্রকৃতি

একটি নতুন প্রজাতির ‘ঢোঁড়া সাপ’ পেয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে দেশে বিচরণকারী রেকর্ডকৃত সাপ প্রজাতির সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৪টিতে। ইতোপূর্বে গবেষকরা বাংলাদেশের সমতল, নদী-বিল-জলাভূমি ও সামুদ্রিক প্রেক্ষাপটে ৯৩টি সাপের বিচরণ রেকর্ড করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন উইংয়ের চারজন গবেষক এ গবেষণা কাজটি সম্পন্ন করেন। এ সম্পর্কিত একটি গবেষণা প্রবন্ধ সম্প্রতি ২৫ নভেম্বর দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান সাময়িকী বাংলাদেশ জার্নাল অব জুয়োলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। ওই গবেষকরা দেশের প্রথিতযশা বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ওই নতুন প্রজাতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন।

ওই চার গবেষক দলের অন্যতম গবেষক ও বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী আদনান আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, দেশে নতুন প্রজাতি একটি সাপ রেকর্ডভুক্ত হলো। এর নাম ‘দাগিঘাড়-ঢোঁড়া’। এর ইংরেজি নাম Bar-necked Keelback। দেশে সাপটির উপস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহে প্রায় দেড়বছর যাবত ডিপ ইকোলজির গবেষক ও ভলান্টিয়াররা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন। এ সাপের বাইটকেস হিস্ট্রিও লিপিবদ্ধ করেন তারা। গবেষক ও ভলান্টিয়াররা দেশের ১৬টি জেলায় অবস্থিত নদী ও জলাভূমিগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন। সেখানে বেশ কয়েকবার এ সাপটির দেখা পাওয়া গেছে। কিন্তু সাধারণ ঢোঁড়া সাপ মনে করে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি তারা। ২০১৯ সালে বন্যপ্রাণী বিষয়ক একটি বইতে বিশেষ দাগটি তাদের নজরে আসে। এরপর তা অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত মিলিয়ে ও বিশেষজ্ঞদের দেখানোর পর নিশ্চিত হয়েছেন এটা বাংলাদেশের নতুন জাতের সাপ।

দেশের প্রথিতযশা বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী প্রফেসর ড. মনিরুল খান জানান, এ সাপটি দেশের যে কয় জায়গায় পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে সারাদেশেই আছে। এ সাপটি অনেকটা আমাদের সাধারণ ঢোঁড়া (Checkered Keelback) সাপের মতোই দেখতে বিধায় অভারলুক (উপেক্ষিত) হয়েছে এতদিন। সাধারণ ঢোঁড়া থেকে এর খুব বড় ধরনের শারীরিক পার্থক্য নেই। তাই এতদিন ধরে সাপটি আমাদের প্রকৃতিতে বসবাস করলেও পৃথক একটি প্রজাতির বলে তাকে চিহ্নিত করা যায়নি। এ সাপটি প্রচলিত নাম নেই, ‘দাগিঘাড়-ঢোঁড়া’ বলা যেতে পারে।

দেশে ইতোপূর্বে এর আগে ৯৩ প্রজাতির সাপ দেখা গেছে। এর মধ্যে ঢোঁড়া সাপের প্রজাতি রয়েছে ছয়টি। সম্প্রতি ‘লালঘাড়-ঢোঁড়া’ তালিকাভুক্ত হওয়ায় দেশে সাপের প্রজাতির সংখ্যা এখন ৯৪টি বলে জানান প্রফেসর মনিরুল খান।

ঢোঁড়া সাপ দেশের পরিচিত সাপের মধ্যে অন্যতম। ছোট মাছ, ব্যাঙ, ইঁদুরসহ ক্ষতিকর প্রাণী খেয়ে এরা খাদ্য শৃঙ্খলের এক অসাধারণ ভুমিকা পালন করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২২ ৮:২৩ অপরাহ্ন
শীতে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করবেন যেভাবে
প্রাণ ও প্রকৃতি

শীতের মৌসুমী চন্দ্রমল্লিকা বেশ জনপ্রিয়। এর আদি জন্মস্থান জাপান ও চীন। এটি বিভিন্ন বর্ণ ও রঙের হয়। বাড়ির আঙিনা, বারান্দা ও ছাদে ফুলটি চাষ করা যায়। জাতভেদে ফলন কম-বেশি হয়। গাছপ্রতি বছরে গড়ে ৩০-৪০টি ফুল পাওয়া যায়। সাধারণত চন্দ্রমল্লিকা তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গায় ভালো জন্মায়। বাংলাদেশে শীতকালই এ ফুল চাষের উপযুক্ত সময়। জমি অথবা টবে চারা রোপণের উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে নভেম্বর। বাইরের পাপড়িগুলো সম্পূর্ণ খুললে এবং মাঝের পাপড়িগুলো ফুটতে শুরু করলে খুব সকালে বা বিকেলে ধারালো ছুরি দিয়ে দীর্ঘ বোঁটাসহ কেটে ফুল তোলা উচিত।

চন্দ্রমল্লিকা চাষের জন্য উর্বর হালকা দো-আঁশ মাটি, উচু, শুষ্ক ও সহজে পানি নিষ্কাশন হয় এমন জমি দরকার। দক্ষিণ খোলা জমি এ ফুল চাষের জন্য উপযোগী। জমিতে লাঙল দেওয়া বা কোপানোর সময় পরিমাণমতো পাতাপচা সার, পচা গোবর সার, হাড়গুড়া বা সুপার ফসফেট প্রয়োগ করে মেশাতে হয়। জমিকে ভালোভাবে কর্ষণ করে মাটি ঝুরঝুরে ও নরম করে ১ ফুট বা ৩০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে চারা বসাতে হয়। চন্দ্রমল্লিকা গাছ মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান শোষণ করে। এ কারণে জৈব ও রাসায়নিক খাদ্যযুক্ত মাটিতে এ গাছ খুব ভালোভাবে সাড়া দেয়। প্রতি হেক্টরে ১০ টন পঁচা গোবর বা কম্পোস্ট, ৪০০ কেজি ইউরিয়া, ২৭৫ কেজি টিএসপি, ৩০০ কেজি মিউরেট অব পটাশ, ১৬৫ কেজি জিপসাম, ১২ কেজি বোরিক অ্যাসিড ও জিংক অক্সাইড সার দিতে হয়। সাকার রোপণের ১০-১৫ দিন আগে পচা গোবর বা কম্পোস্ট এবং ইউরিয়া বাদে অন্যান্য সার ৭-১০ দিন আগে মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হয়। সাকার রোপণের ২৫-৩০ দিন পর ইউরিয়া সারের অর্ধেক প্রয়োগ করতে হয়। বাকি অর্ধেক সার সাকার রোপণের ৪৫-৫০ দিন পর গাছের গোড়ার চারপাশে একটু দূর দিয়ে প্রয়োগ করতে হয়। উপরি প্রয়োগের পর সার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে সেচ দিতে হয়।

চন্দ্রমল্লিকার বেড ও টব আগাছামুক্ত রাখা উচিত। চারা লাগানোর মাসখানেক পর গাছের আগা কেটে দিতে হয়। এতে গাছ লম্বা না হয়ে ঝোপালো হয়। চারা গাছে তাড়াতাড়ি ফুল এলে সঙ্গে সঙ্গে অপসারণ করতে হয়। বড় আকারের ফুল পেতে হলে মাঝের কুঁড়িটি রেখে পাশের দুটি কুঁড়ি কেটে ফেলতে হয়। আর মধ্যম আকারের ফুল পেতে চাইলে মাঝের কুঁড়িটি অপসারণ করা উচিত। চন্দ্রমল্লিকার চারা বিকেলে লাগিয়ে গোড়ার মাটি চেপে দিতে হয়। চারা লাগানোর পর হালকা সেচ দিতে হয়। গাছ কখনো বেশি পানি সহ্য করতে পারে না। তাই পানি এমনভাবে দিতে হবে যেন গোড়ায় বেশিক্ষণ পানি জমে না থাকে। চারা রোপণের আগে এবং পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পরিমাণমতো পানি সেচ জরুরি।

চন্দ্রমল্লিকার ফুল সাধারণত ডালপালার তুলনায় বড় হয়। তাই গাছের গোড়া থেকে কুঁড়ি পর্যন্ত একটা শক্ত কাঠি পুঁতে দিতে হয়। এতে ফুল নুয়ে পড়বে না। চারা লাগানোর সময় কাঠি একবারেই পুঁতে দেওয়া ভালো। এজন্য জাত বুঝে চন্দ্রমল্লিকা গাছের উচ্চতা অনুযায়ী বাঁশের কাঠি চারার গোড়া থেকে একটু দূরে পুঁতে দিতে হয়। এ পোকা পাতা ও ফুলের রস শোষণ করে। ফলে আক্রান্ত পাতা ও ফুলে দাগ পড়ে। এমনকি ফুল এবং গাছও শুকিয়ে যায়। এ পোকা দমনের জন্য ২ মিলি ম্যালাথিয়ন ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন অন্তর স্প্রে করতে হবে।

অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয় অবস্থায়ই গাছের নতুন ডগা বা ফুলের রস চুষে খায়। এটি গাছের বৃদ্ধি এবং ফলনে মারাত্মক ক্ষতি করে। নোভাক্রন (০.১% ) বা রগর (১%) প্রয়োগ করে এ পোকা দমন করা যায়। এ রোগ হলে গাছের পাতা ধূসর হয়ে যায়। পাতার উপরে সাদা সাদা পাউডার দেখা যায়। টিল্ট ২৫০ইসি ০.৫ মিলি বা ২ গ্রাম থিয়োভিট প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন অন্তর স্প্রে করে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৫, ২০২২ ৩:৫৪ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ‍আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সারাদেশে ৪১৯টি ইউনিয়নে আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। মারা গেছেন মোট ৯ জন।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন মারা গেছেন ঘরের ওপর গাছ পড়ে।

প্রায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় শেষে মধ্যরাত থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। সকালের মধ্যে সবাই আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগ করেছেন।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব বেগম রওশন আরা এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’র পরিচালক আহমেদুল হক উপস্থিত ছিলেন ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৫, ২০২২ ১০:২১ পূর্বাহ্ন
দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, কমল বিপদ সংকেত 
প্রাণ ও প্রকৃতি

পুরো শক্তি নিয়ে গত রাতেই উপকূলে আসছে পড়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এর প্রভাবে সারাদেশে এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুরো রাত জুড়ে তাণ্ডব চালানোর পর এটি দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। সোমবার মধ্যরাতের পর আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষল করা সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অতি দ্রুত অগ্রসর হয়ে সোমবার মধ্যরাতে ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টি বৃষ্টি ঝরিয়ে দ্রুত দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।

এতে আরও বলা হয়, মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৪, ২০২২ ৯:০২ অপরাহ্ন
সিত্রাং মোকাবিলায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল
কৃষি বিভাগ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নিজেদের অধীন সব দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে। সেই সঙ্গে তাদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। কৃষিতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এ সভা হয়।

এতে যেসব এলাকায় ৮০ ভাগ আমন ধান পেকেছে, সেগুলো কর্তনের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি বিভাগের অফিসে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় পূর্ব প্রস্তুতি ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শদান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মাঠে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্টদান এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অগ্রিম প্রস্তুত রাখা, যাতে দ্রুততম সময়ে কৃষকদের পুনর্বাসন সহায়তাদান করা যায়। সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

উপকূলীয় এলাকায় ফসল ক্ষেতে পানি প্রবেশ করলে দ্রুততম সময়ে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সমন্বয় সাধন এবং স্লুইচ গেট অপারেশনের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি শস্য ক্ষেতে প্রবেশ রোধ, অধিক উচ্চতায় জোয়ারের কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করলে তা নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা করা- এসব বিষয়ে কৃষি বিভাগ নিয়মিতভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা), অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা), মহাপরিচালকসহ (বীজ) মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংস্থা প্রধান, ঘূর্ণিঝড়প্রবণ জেলাগুলোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop