৫:১১ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ১৮, ২০২১ ৪:০১ অপরাহ্ন
মলা মাছ চাষে ডুমুরিয়ায় মাছ চাষিদের পরিবর্তন
মৎস্য

খুলনার ডুমুরিয়ায় চাষ হচ্ছে মলা-ঢেলা এক প্রজাতির মাছ। এ মাছ চাষ করে বাম্পার ফলন এবং ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি সেখানকার মাছ চাষিরা। আর এর মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন সেখানকার বহু চাষি।

দেশীয় প্রজাতির এক শ্রেণীর মাছ মলা। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এ মাছ বেশ পুষ্টি সমৃদ্ধ। আমাদের দেশের খাল-বিল কমে যাওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে মলা মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না।

কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি আবিষ্কার হওয়ার ফলে মলা মাছ এখন বড় পরিসরে চাষাবাদ শুরুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

মলাঢেলা মাছ চাষি মো. মনিরুজ্জামান সরদার ও মো. আজহারুল ইসলাম জানান, তারা ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিক এর পরামর্শ নিয়ে মলাঢেলা মাছ চাষ করে। চলতি বছরে অর্ধ লাখ টাকার মলাঢেলা মাছ বিক্রি করেছে। উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে আগামীতে আরও বেশি করে মলাঢেলা মাছের চাষ করবেন বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু বকর জানান, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় মলাঢেলা মাছ চাষ করে অনেক মৎস্য চাষিরা লাভবান হচেছ। এ কারণে এবছর নতুন করে অনেক মৎস্য চাষি মলা মাছ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৭, ২০২১ ৫:০৮ অপরাহ্ন
আদমদীঘিতে পুকুরে বিষ দিয়ে আড়াই লাখ টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

বগুড়ার আদমদীঘিতে মৎস্যচাষি রোস্তম আলীর পুকুরে বিষ দিয়ে আড়াই লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার নিমকুড়ি গ্রামে তার লিজকৃত পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে ওই ব্যবসায়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মঠপুকুরিয়া গ্রামের মৎস্যচাষি রোস্তম আলী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদমদীঘি ভূমি অফিস থেকে নিমকুড়ি গ্রামে ৪৮ শতকের একটি পুকুর লিজ নিয়ে তেলাপিয়া, জাপানিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোনো এক সময় পুকুরে বিষ (গ্যাস ট্যাবলেট) প্রয়োগ করে দুর্বৃত্তরা। পরে সকাল ১০টার দিকে পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বিষয়টি মৎস্যচাষি রোস্তম আলীকে অবগত করেন।

মৎস্যচাষি রোস্তম আলী অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, নিমকুড়ি গ্রামের মৃত দানেজের ছেলে ফেরদৌস হোসেনের ওপর বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে ওই গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের এক পর্যায়ে মারপিট করতে চান। এরপর বুধবার রাত ৯টায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৬, ২০২১ ১:০১ অপরাহ্ন
দেশীয় মাছ উৎপাদনে ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রকল্প’
মৎস্য

রংপুর জেলায় সরকারিভাবে ১২টি মৎস্য অভয়াশ্রম চলমান থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ অবস্থায় জেলার মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলার আটটি উপজেলায় ২৭টি ব্যাচে মোট ৫৪০ জন মৎস্য চাষিকে মাছ চাষের প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ৭৭ জন চাষির মাছ সরকারিভাবে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে আধুনিক প্রযুক্তি সহজেই অন্য চাষিরা গ্রহণ করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে চাষকৃত মাছের মধ্যে রয়েছে পাবদা, গুলসা, শিং, মাগুর। এছাড়াও কার্প, মিশ্র কার্প গলদা ও পাঙ্গাশ মাছের প্রদর্শনী কার্যক্রমের বাস্তবায়ন চলছে।

ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষিদের সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে লিফ (স্থানীয় মৎস্য সম্প্রসারণ প্রতিনিধি) মনোনয়ন করা হয়েছে, যারা সার্বক্ষণিক স্থানীয়ভাবে মৎস্যসেবা প্রদান করে যাচ্ছে। জনবল কম থাকায় লিফগণ স্বেচ্ছাসেবকদের মতো মৎস্য চাষিদের মাঝে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।

এ প্রকল্পে শতক প্রতি শিং মাগুর মাছের উৎপাদন হবে ৪০ কেজি, তেলাপিয়া মাছ ৫০ কেজি, কার্প-গলদা ২০ কেজি, গোলসা ৩০ কেজি এবং পাঙ্গাস ৮০ কেজি উৎপাদন হবে।

বর্তমানে রংপুর অঞ্চলে পুকুরে গড় মাছের উৎপাদন মাত্র ১৪-১৭ কেজি। দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ মানুষের আয় বৃদ্ধি ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রংপুর জেলায় প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় ব্যানার্জি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে দেশীয় মৎস্য চাষ প্রকল্পটি মানুষের আয় বৃদ্ধি এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরুণ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এই প্রকল্পে একদিকে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে, অন্যদিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৫, ২০২১ ৬:০৯ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়ায় মাছ চুরির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
মৎস্য

কুষ্টিয়ার খোকসায় মাছ চুরির কথা বলে জসিম উদ্দিন (২৩) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত জসিম উদ্দিন কুমারখালী উপজেলার রতনপুর গ্রামের রওশন আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) ভোরে উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অভিযোগ রয়েছে ভোরে উপজেলার খোকসা ইউনিয়নের আইয়ুব আলী বিশ্বাসের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মাছ চুরি করতে যায় জসিম। বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী তাকে আটকে মারপিট করে।

খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. প্রেমাংশু বিশ্বাস বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আনার ১৫ মিনিট পর জসিমের মৃত্যু হয়। অক্সিজেন দেওয়াসহ তার প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করা হয়েছিল। এ অবস্থায় তিনি মারা যান।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত মারধর এবং মাথায় বড় ধরনের আঘাতের কারণে জসিমের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৫, ২০২১ ৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
৫২ কেজির বাঘা আড়াইড়, বিক্রি ২৬ হাজার টাকা!
মৎস্য

গাইবান্ধার বালাসিঘাটের ধরলা নদীতে ধরা পড়েছে ৫২ কেজি বাঘা আড়াইড় মাছ। যা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে ২৬ হাজার টাকায়। মাছটি দেখতে সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়।

সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে উপজেলার কাকিনা বাজারে ক্রেতাদের কাছে ৫শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধা জেলার ধরলা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ে ৫২ কেজি ওজনের একটি বাঘাআইড় মাছ। সেখানকার বাজারে মাছটির চাহিদা না থাকায় লালমনিরহাটের কাকিনা বাজারে মাছটি বিক্রির জন্য তোলা হয়। মাছটি ক্রয় করতে একক কোনো ক্রেতা না থাকায় জেলেরা মাছটি কেটে ৫শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। সেখানে ৫২ জন ক্রেতা ২৬ হাজার টাকা দিয়ে মাছটি ক্রয় করে ভাগবাটোয়ারা করে নেন।

গাইবান্ধা থেকে মাছ বিক্রি করতে আসা ছাদেক আলী, মোক্তার ও শরিফ বলেন, গাইবান্ধার বালাসিঘাটের ধরলা নদীর তীরে মাছটি ধরেছি। কিন্তু সেখানে দাম কম ও ক্রেতা না থাকায় এখানে এনে বিক্রি করেছি। তার পরেও দাম কম হয়েছে বলে তাদের দাবি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২১ ৫:৪৬ অপরাহ্ন
নাচোলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নিষিদ্ধ ৪টন মাছ উদ্ধার
মৎস্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর মাছ উদ্ধার করেছেন। এছাড়া মাছ ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলামকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা।

জানা যায়, উপজেলার নেজামপুর বাজার সংলগ্ন মা-বাবা নার্সারির সাইনবোর্ডের আড়ালে হাউজ বানিয়ে প্রায় ৩বছর থেকে নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর মাছ ঢাকা থেকে এনে সংরক্ষণ করে সেখান থেকে খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করে আসছিল নাচোল রেলস্টেশন সংলগ্ন মোহনবাগান মহাল্লার মিঠু মণ্ডলের ছেলে তরিকুল ইসলাম ।

উপজেলা প্রশাসন এ খবর জানতে পেরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৪ জুন সকাল ৯টার দিকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা পুলিশের একটি দলসহ সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার আলী হোসেন শামীমকে সাথে নিয়ে তরিকুল ইসলামের আড়তে পৌঁছলে ঢাকা উত্তরা থেকে আসা ঢাকা মেট্রো-ঢ-১৮-৭০২৮ নম্বরের ট্রাক থেকে নিষিদ্ধ আফ্রিকান ৪টন মাগুর মাছ জব্দ করে ।

এদিকে মৎস্য ও সমাজসেবা অফিসার আল-গালিব জানান, জব্দকৃত মাছগুলো উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন এতিমখানা, লিল্লা বডিং , নূরানী মাদ্রাসা ও কওমি মাদ্রাসার প্রধানদেরকে ডেকে এনে তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

ইউএনও সাবিহা সুলতানা জানান ,২০১৪ সালের জুন মাস থেকে আফ্রিকান ও পিরানহা মাছ আমদানি, উৎপাদনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এছাড়া বিদেশ থেকে এ দুই প্রজাতির মাছ, মাছের রেনু ও পোনা আমদানি করলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে মৎস্য সংঘ নিরোধ আইন ২০১৭ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ।
এই আইন অমান্য করলে দুই বছর জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে ।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার আলী হোসেন শামীম জানান , একটি পরিণত আফ্রিকান মাগুর মাছ ৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং ওজন ১৫ থেকে ১৬ কেজির মতো ।এই মাছগুলোকে রাক্ষসে মাছ বলা হয় তবে এরা ভীষণ নোংরা পানিতে এমনকি নর্দমা পয়:নিষ্কাশনের জলাধারে যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশের সাথে লড়াই করে জীবন ধারণ করতে পারে। এই মাছগুলো খেলে কোন স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই তবে পরিবেশগত ঝুঁকি রয়েছে অনেক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১২, ২০২১ ৮:৩৩ অপরাহ্ন
চলনবিলে অবাধে চলছে মা বোয়াল মাছ শিকার!
মৎস্য

সিরাজগঞ্জের চলনবিলে এখন ডিমওয়ালা বোয়াল মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করছে অসৎ মৎস্যজীবিরা।

স্থানীয়রা জানান, চলনবিলে জ্যৈষ্ঠের এ সময় বৃষ্টি হলেই বোয়াল মাছ প্রজননের জন্য ফাঁকা মাঠে উঠে আসে। আর উঠে আসা ডিমওয়ালা মা মাছ গুলো সৌখিন ও অসাধু মৎস্য জীবিদের শিকার হচ্ছে। ডিমওয়ালা এ মাছ স্থানীয় হাট বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও স্থানীয় মৎস্য বিভাগের প্রতিরোধ মূলক ভুমিকা নেই।

জ্যৈষ্ঠ মাসে ভারী থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাতের সময় এ মাছের প্রজনন শুরু হয়। এ বিলে বর্ষণের পানিতে ভরে ওঠার সাথে সাথে ডিম ভর্তি বোয়াল, শোল, চিতলসহ অনান্য মাছও প্রজনন শুরু করে। আর এ সময় চলনবিলে চলছে ডিমওয়ালা বোয়াল মাছসহ অন্যান্য মাছ ধরার প্রায় উৎসব।

বিশিষ্টজনেরা বলছেন, বৃষ্টিপাতের সময় এ চলনবিলে বোয়ালসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ডিম ছাড়তে ছুটা-ছুটি করতে থাকে। বিশেষ করে ৫ থেকে ১২ কেজি ওজনের বোয়ালসহ ওই সকল মাছ গুলো ফসলী মাঠে উঠে আসে। আর এ সময় সৌখিন এবং অসাধু মৎস্যজীবিরা কোঁচ, জুতি, পলো, তেউরি জালসহ অনান্য কৌশলে এসব শিকার করা হচ্ছে।

এদিকে চলনবিলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুরে গত এক সপ্তাহে প্রবল বৃষ্টির সময় পানিতে ডিমওয়ালা বোয়াল মাছ ডিম ছাড়ার সময়ে বোয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মা মাছ শিকার করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই স্থানীয় আড়তে বোয়াল মাছসহ বিভিন্ন ডিমওয়ালা মাছ বিক্রি হচ্ছে।

তাড়াশ উপজেলা মৎস্য অফিসার মশগুল আজাদ জানান, চলনবিল একটি বৃহৎ এলাকা। তাড়াশের চলনবিল এলাকায় ইতিমধ্যেই ডিমওয়ালা মাছ নিধনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেজবাউল করিম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১২, ২০২১ ৮:০৮ অপরাহ্ন
রাণীনগরে পুকুরে বিষ দিয়ে ৬ লাখ টাকার মাছ নিধন!
মৎস্য

দুর্বৃত্তের দেয়া বিষে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার জেঠাইল গ্রামে সাহাজুল ইসলাম নামের একজনের পুকুরে ছয় লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন হয়েছে।

শুক্রবার রাতে জেঠাইল গ্রামে তার চাষকৃত পুকুরে এই বিষ প্রয়োগের ঘটনাটি ঘটেছে। ভুক্তভোগী সাহাজুল জেঠাইল গ্রামের মৃত আসাদ আলীর ছেলে এবং দৈনিক চাঁদনী বাজার পত্রিকার রাণীনগর প্রতিনিধি।

সাহাজুল ইসলাম জানান, নিজ গ্রামে একটি পুকুর লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন। শুক্রবার রাতে পুকুরে খাবার দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে দেখতে পান কে বা কারা শত্রুতা বসত পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে ওই পুকুরে থাকা প্রায় ৪৫-৫০ মন সিং, মাগুড় ও রুই মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে তার ৬ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ জানান, ‘পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১১, ২০২১ ১১:৫০ অপরাহ্ন
এক কাতলের ওজন ২২কেজি, বিক্রি ৩৪ হাজার টাকা!
মৎস্য

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ২২ কেজি ওজনের বিশাল এক কাতল মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে ৩৩ হাজার ৭৫০ টাকা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পদ্মা ও যমুনার মোহনায় জেলে মুক্তার হোসেনের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

জেলে কাদের জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনি ও তার সহযোগীরা মিলে পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যান। তারা দুবার জাল ফেলেও কিছু পাননি। পরে দুপুর ২টার দিকে তৃতীয়বার জাল তোলার সময় বড় ঝাঁকি দিলে বুঝতে পারেন, জালে বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে। জাল টেনে নৌকার কাছে আনার পর সবাই দেখতে পান, বড় একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে।

পরে তারা মাছটি দৌলতদিয়া ৫ নং ফেরিঘাটে নিয়ে আসেন। সেখানে এসে মাছটি ওজন দিয়ে দেখতে পান ২২ কেজি ৫০০ গ্রাম। এ সময় মাছটি নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনে নেন। মাছটি কিনেই তিনি ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটের চাঁদনী-আরিফা মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারি চান্দু মোল্লা জানান, পদ্মা নদীর বাইরের চর দৌলতদিয়া এলাকায় জেলে কাদের চালাকের জালে বড় একটি কাতল মাছ ধরা পড়ে। মাছটি ফেরিঘাটে নিয়ে এলে উন্মুক্ত নিলামে অংশ নিয়ে ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে ৩১ হাজার ৫০০ টাকায় কিনি। পরে মুঠোফোনে ঢাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে ৩৩ হাজার ৭৫০ টাকা বিক্রি করি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, এ বছর নদীতে ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল হওয়ায় এবং পদ্মা নদীর পানি কমে যাওয়ায় প্রচুর পরিমাণে বড় বড় আকৃতির মাছ ধরা পড়ছে। এটা জেলেদের জন্য সুখের বার্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১১, ২০২১ ৫:২২ অপরাহ্ন
পুকুরে “মলা মাছ” চাষের পদ্ধতি
মৎস্য

আমাদের দেশের খাল-বিল কমে যাওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে এখন মলা মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না। কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি আবিষ্কার হওয়ার ফলে মলা মাছ এখন বড় পরিসরে চাষাবাদ শুরু হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই মাছ স্বাদে যেমন অনন্য ঠিক,পুষ্টিতেও ভরপুর। 

মলা মাছের একক চাষ পদ্ধতি
মলা মাছের পোনা পরিবহন করা একটা জটিল পদ্ধতি এবং রেনু পরিবহন করা অত্যন্ত সহজ তাই রেনু নিয়ে নিজে পোনা তৈরি করে চাষাবাদ করাই উত্তম। এতে খরচ ও ঝুঁকি দুটোই কম। যারা অল্প খরচে মলা মাছ চাষ করতে চান তারা নিচের পদ্ধতি ভালোভাবে জেনে নিন।

মাছ ছাড়ার আগে পুকুর প্রস্তুতকরণ
প্রথম দিন হতে ৭ থেকে ৮ দিন পর রেনু ছাড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে প্রথমে পুকুরে বিষটোপ ব্যবহার করে সব রাক্ষুসে মাছ মেরে ফেলতে হবে। তারপর পুকুরের সব পানি সেচ দিয়ে ফেলে দিতে হবে। যদি পুকুর আকৃতিতে বড় হয় তাহলে সব পানি অপসারণ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে। এক্ষেত্রে অর্ধেক পানি ফেলে দিয়ে পরিস্কার পানি দিয়ে ভরে দিতে হবে। যদি কোনো পানি পরিবর্তন করার সুযোগ না থাকে তাহলেও চলবে, সেক্ষেত্রে চুনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। বিষটোপ প্রয়োগের দ্বিতীয় দিন শতাংশ প্রতি আধা কেজি চুন পানিতে গুলে ছিটিয়ে দিতে হবে। সূত্র:জাগো নিউজ

যদি পুকুর বেশি পুরাতন হয় এবং পানি পরিবর্তন করার সুযোগ না থাকে সেক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি ১ কেজি পরিমাণ চুন দেয়া ভালো। বিষটোপ প্রয়োগের ষষ্ঠ দিনে হাসপোকা মারার জন্য সুমিথিয়ন ব্যবহার করতে হবে পুকুরে। ০.৩ পিপিএম মাত্রায় সুমিথিয়ন ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই হাসপোকার মারার জন্য অন্য ঔষধ ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মলা মাছের ক্ষেত্রে সুমিথিয়ন ভালো। সুমিথিয়ন সন্ধ্যা বেলায় প্রয়োগ করতে হবে। এর দুদিন পর পুকুরে রেনু ছাড়তে হবে।

পুকুরে রেনু ছাড়ার পদ্ধতি
প্রথমে পানি ভর্তি রেনুর ব্যাগ পুকুরের পানিতে আধাঘণ্টা ভাসিয়ে রাখতে হবে পুকুরের পানির তাপমাত্রা সামঞ্জস্য হওয়ার জন্য। আধাঘণ্টা পর ব্যাগের মুখ খুলে ব্যাগের পানির ভিতর হাত ঢুকিয়ে এবং পরে পুকুরের পানিতে হাত ঢুকিয়ে ব্যাগ ও পুকুরের পানির তাপমাত্রা একই মনে হবে তখন পুকুরের পানি দিয়ে অল্প অল্প করে ব্যাগে ঢুকিয়ে আবার বের করে এভাবে রেনু ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে। এভাবেই রেনু ছাড়ার কাজ শেষ করতে হবে।

রেনুর উপর খাবার প্রয়োগ পদ্ধতি
রেনু ছাড়ার ২ ঘণ্টা পর খাবার দিতে হবে। দিনে দুইবার খাবার দিতে হবে। সকাল ১০টার দিকে এবং বিকাল ৫টার সময়। খাবার হিসেবে প্রথম ২ দিন ডিম ( সাদা অংশসহ) খেতে দিতে হবে। এ জন্য প্রথমে হাঁসের ডিম সিদ্ধ করে ব্লেন্ডার দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে পলেস্টার কাপড় দিয়ে ছেঁকে মিহি মতো করে পানির সাথে মিশিয়ে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।

প্রতি ৫ শতাংশে একটি করে ডিম দিতে হবে। তৃতীয়দিন থেকে নার্সারি পাউডার ৩-৬ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। প্রতি ১০ শতাংশে ১ কেজি খাবার দিতে হবে দিনে দুইবার ভাগ করে। ১০ দিন পর খাবার প্রতি ১০ শতাংশে ১.৫ কেজি খাবার দিতে হবে। এভাবে চলবে ২০ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত। এরপর খাদ্য প্রয়োগের কৌশল বদলাতে হবে।

পরিবর্তিত খাদ্য প্রয়োগ পদ্ধতি ২৫ দিন পর থেকে এক সপ্তাহের খাবার এক সাথে পুকুরে ভিজিয়ে রেখে খাওয়াতে হবে। যেহেতু মলা মাছ ফাইটোপ্লাংকটন ভোজী তাই একটু ভিন্নভাবে খাবার দেয়া দরকার। ধরা যাক ১ সপ্তাহের জন্য ১০০ কেজি খাবার প্রয়োজন।

এখন আর নার্সারি পাউডারের মতো দামি খাবার খাওয়াবেন না। তাই ১০০ কেজি সরিষার খৈলকে সাতটা বস্তায় সমান ভাগ করে প্রতি বস্তায় ৪ কেজি ইউরিয়া সার খৈলের সাথে মিশিয়ে পানিতে খুঁটিতে বেঁধে রাখলে তিনদিন পর এই খৈলের বস্তা পানিতে ভেসে উঠবে।

তারপর এক এক বস্তার খৈল প্রতিদিন দুই বেলা দিতে হবে। এতে প্লাংকটনের বৃদ্ধির পাশাপাশি মাছের খাবার ভালো মানের হবে। এভাবে সাড়ে তিন মাস থেকে ৪ মাসেই বাজারজাত করা যায় মলা মাছ।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop