পিরোজপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে শুঁটকি ব্যবসা
এগ্রিবিজনেস
পিরোজপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শুঁটকির ব্যবসা। চাহিদা থাকায় দিনদিন বাড়ছে উৎপাদন। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে সরবরাহ। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন শুঁটকি পল্লীর শ্রমিকরা।
নাম শুনে কেউ কেউ নাক সিটকালেও শুঁটকির রকমারি ব্যবহারে অনেকেরই রসনা বিলাসের সঙ্গে ঘটে ভুরি ভোজও। দেশের বাইরেও বাড়ছে এর চাহিদা। ফলে তাল মিলিয়ে দিনদিন বাড়ছে সরবরাহ ও উৎপাদন।
প্রায় দু’শো বছর ধরে পিরোজপুরের পাড়েরহাটে চলে আসছে শুঁটকি মাছের ব্যবসা। বঙ্গোপসাগরের কাছে এবং জেলার চারিদিকে মিষ্টি পানির নদী ঘেরা থাকায় এ বাজারে মিষ্টি পানির মাছের আমদানি হয়। আর শুঁটকিকে কেন্দ্র করে বাদুরায় গড়ে উঠেছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। এ কেন্দ্রে শতাধিক প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের আমদানি হলেও লইট্টা, ছুড়ি, মর্মা, চিতলসহ প্রায় ৪০ প্রকারের সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি করা হয়।
শুঁটকি ব্যবসায়ীরা জানায়, বাদুরা মৎস্যবন্দর থেকে মাছ কিনে এনে, এখানেই লোকজন নিয়ে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শেষে কক্সবাজার পাঠানো হয়। এখানে কম করে ৪০ রকমের মাছের শুঁটকি তৈরি হয়।
প্রক্রিয়াজাতকরণে কেমিকেল ব্যবহার না করা এবং মাছ সুস্বাদু হওয়ায় এখানকার উৎপাদিত শুঁটকির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তাই সরবরাহ নিশ্চিতে শুটকি পল্লীর শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শুঁটকি পল্লীর শ্রমিকরা জানায়, এখানে শুঁটকি প্রক্রিয়ায় কোনো কেমিকেল ব্যবহার হয় না। ফলে এখানকার শুঁটকির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কার্তিকে শুরু হয়ে প্রায় সাড়ে চার মাস চলে শুটকির ব্যবসা। এর প্রসারে প্রশিক্ষণসহ সার্বিক সহযোগিতা করছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী বলেন, প্রথম পর্যায়ে মৎস্যজীবী ও শুঁটকি প্রক্রিয়ার কাজে জড়িত ২০ জনকে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম। ভবিষ্যতে আরও বেশি জনবলকে প্রশিক্ষিত করা হবে। এছাড়া এখানে শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে শুঁটকি তৈরি হচ্ছে। আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করে তাদের পরামর্শ দিচ্ছি।
বছরে জেলায় উৎপাদন হয় প্রায় লক্ষাধিক কেজি শুঁটকি।