৩:৫০ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২২ ৮:৩৫ অপরাহ্ন
কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার
প্রাণিসম্পদ

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার।

গত বছরের চেয়ে ৭ টাকা বাড়িয়ে এ বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৪৭ থেকে ৫২ টাকা, খাসির চামড়া গতবারের চেয়ে তিন টাকা বাড়িয়ে ১৮ থেকে ২১ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তথ্যসচিব, শিল্প সচিবসহ চামড়া ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী গতবারের চেয়ে কিছুটা দাম বাড়িয়ে চামড়ার মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা দেন। ঢাকার বাইরে গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বছর পশু জবাইয়ের তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে চামড়ায় লবণ দিতে হবে বলেও জানানো হয়। লবণ ছাড়া চামড়া সংগ্রহ করা যাবে না বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সাংবাদিকদের কাছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে গরু, খাসি এবং বকরি/ছাগলের কাঁচা চামড়ার মূল্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। গত বছর যা ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। একই চামড়া ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর যা ছিল ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা।

এ ছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, গত বছর যা ছিল ১৫ থেকে ১৭ টাকা। তবে বকরির চামড়ার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। প্রতি বর্গফুট বকরির চামড়ার দাম ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২২ ২:১৫ অপরাহ্ন
পদ্মার ওজন ২৫ আর সেতুর ওজন ১৫ মণ!
প্রাণিসম্পদ

আর মাত্র কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন হাটে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট।

রাজধানীর দনিয়া কলেজ মাঠে পশুর হাটে ফরিদপুরের ভাঙার মালিগ্রাম থেকে ১৫টি গরু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ী জাকির মাতুব্বর। এর মধ্যে বড় সাইজের দু’টি গরু রয়েছে। শখ করে একটি গরুর নাম রেখেছেন ‘পদ্মা’, আরেকটির নাম ‘সেতু’। নাম শুনে মানুষের আগ্রহও বাড়ছে আরও বেশি।  হাটে সাড়া ফেলেছে এই পশু দুটি।

মালিক জাকির মাতুব্বর বলেন, ‘রোববার ১৫টি গরু নিয়ে এসেছি। আশা করছি ভালো দাম পাবো।’

গরু দুটির নাম ‘পদ্মা’ ও ‘সেতু’ রাখার কারণ জানতে চাইলে জাকির মাতুব্বর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত। আমার গরু দুইটাও বিশাল বড়। তাই নাম রেখেছি ‘পদ্মা’ ও ‘সেতু।

তিনি বলেন, ‘গরু দুটির বয়স সাড়ে ৪ থেকে ৫ বছর। এক বছর আগে কিনে লালন-পালন করি। সাদাটা ফিজিয়ান এবং লালটা শাহিয়ান জাতের। প্রতিদিন ওদের একটার পেছনে খরচ হয়েছে ৭০০/৮০০ টাকা। পদ্মার ওজন ২৫ মণ। ওর দাম চাচ্ছি ১৬ লাখ। আর সেতুর ওজন ১৫ মণ। ওটার দাম চাচ্ছি ১২ লাখ। লোকজন এসে দেখছেন, দাম জিজ্ঞাসা করছেন।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২২ ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
গরু নিয়ে পদ্মা সেতু পারাপারে খামারিদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন
প্রাণিসম্পদ

করোনার প্রকোপের কারণে গত তিন বছর ধরে লাভের মুখ দেখেননি গোপালগঞ্জের খামারিরা। করোনার প্রকোপ কম আবার পদ্মাসেতু যোগ করেছে নতুন এক সম্ভাবনা। সহজেই গরু নিয়ে আসতে পারছে রাজধানীতে। যা নতুন করে পরিবর্তন আনতে শুরু করছে ওই অঞ্চলের খামারিদের মাঝে।

সোনাখালী গ্রামটি কোটালীপাড়া উপজেলার বিল এলাকায় অবস্থিত। বছরের প্রায় ৯ মাস এ গ্রামটি জলমগ্ন থাকে। বর্ষার সময় এলাকায় কোনো কাজ থাকে না। তাই ওই গ্রামের মানুষ দশকের পর দশক ধরে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন। এই গ্রামে খামারের গরুগুলোকে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত ঘাস খাইয়ে পালন করা হয়। যার জন্য এ গ্রামের খামারের গরুগুলোর কোটালীপাড়াসহ এর আশপাশের উপজেলায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

এ বছর এ গ্রামের শতাধিক ছোট-বড় খামারে ৯ শতাধিক গরু রয়েছে। এসব গরুর মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক গরু ইতোমধ্যে বিক্রি হয়েছে বলে বিভিন্ন খামারের মালিক জানিয়েছেন। যার ফলে খামারিদের মুখে মুখে বইছে আনন্দের হাসি।

সোনাখালী গ্রামের খামারি খবীর গাজী বলেন, গত ৪০ বছর ধরে গরু পালন করছি। প্রতি বছর কুরবানি ঈদের আগে গরু বিক্রি করে আবার নতুন করে গরু ক্রয় করি। গত বছর কুরবানির ঈদের পরে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ১০টি গরু ক্রয় করেছি। এই ১০টি গরু বিগত এক বছর ধরে লালন-পালন করেছি। এরই মাঝে গরু ক্রয়ের জন্য কয়েকজন বেপারি আমার খামারে এসেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর গরুর চাহিদা বেশি মনে হচ্ছে।

খামারি সিদ্দিক গাজী বলেন, প্রতি বছর আমরা প্রায় খামারিই খামারে বসে গরু বিক্রি করি। ঈদের কয়েক দিন আগে আমাদের এখানে গরু বিক্রি শুরু হয়। এ বছর প্রায় মাস খানেক আগে গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে বেপারিরা গরু কিনে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন। তাই এ বছর একটু আগে থেকেই গরু বিক্রি শুরু হয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার দাশ বলেন, সোনাখালী গ্রামের খামারিরা আমাদের কাজ থেকে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে গরু পালন করছেন। এখানকার অধিকাংশ গরুগুলোকে প্রাকৃতিকভাবে লালন-পালন করা হয়। এখানে রয়েছে ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের দেশীয় প্রজাতির গরু। প্রতি বছরই এ গ্রামের খামারিরা গরু বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২২ ৪:০৬ অপরাহ্ন
নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদনে সবধরনের সহায়তা দেবে সরকার: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
পোলট্রি

নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদনে সরকার সবধরনের সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

গতকাল রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদন: প্রত্যাশা ও পরিকল্পনা শীর্ষক নীতিনির্ধারণী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা এ আলোচনা সভা আয়োজন করে ।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, পোল্ট্রি খাতের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যত প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দেওয়া দরকার বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সেটা করবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, পোল্ট্রি খাতের যেকোন সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে। পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট নীতিমালা আধুনিক ও সময়োপযোগী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

করোনার সময় পোল্ট্রি খাতে উদ্ভূত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ প্রাণিসম্পদ খাত নুয়ে পড়লে দেশে আমিষের সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণে প্রাণিসম্পদ খাত রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

পোল্ট্রির উন্নয়নে ব্র্যান্ডিংয়ের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের এ সময় আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, পোল্ট্রি ফিড তৈরির জন্য যে প্রোটিন বাইরে থেকে আমদানি করতে হয় তার ওপর কর নেওয়া হয় না। সরকার পোল্ট্রি খাদ্যের দাম কমানোর জন্য কর রেয়াত দিয়েছে। অথচ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তার উৎপাদন সক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত উপকরণ আমদানি করে গুদামজাত করেছে, বিক্রিও করেছে।

এ জন্য প্রোটিন আমদানির অনুমতি কাদের কতটুকু দেওয়া হয়েছে সরকার সে তথ্য সংগ্রহ করছে।কার উৎপাদন সক্ষমতা কতটা আছে এবং তিনি কতটুকু কাঁচামাল বাইরে থেকে এনে কতটুকু ব্যবহার করেছেন ও বাকিটা কী করেছেন সেটি জানতে চাওয়া হবে। সরকার পোল্ট্রি খাতে সহায়তা করতে চায় তবে সেটা যথাযথভাবে সংশ্লিষ্টদের গ্রহণ করতে হবে।

শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, কৃষিতে যেসব বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় সেখানে মূল্যহার একরকম, প্রাণিসম্পদের পোল্ট্রি অংশে মূল্যহার ভিন্ন হতে পারে না। এটি একই হারে হতে হবে। মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রি খাত বৃহত্তর কৃষির অংশ। কৃষি খাত বিদ্যুতের যে সুযোগ পায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সে সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। নতুন একটি খাতকে বিকশিত করার জন্য যে সুযোগ করে দেওয়া দরকার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিদ্যুত সংযোগের ক্ষেত্রে শিগগিরই সে সুযোগ করে দেয়া সম্ভব হবে।

পোল্ট্রি খাদ্যের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কেন এ প্রশ্ন রেখে এ খাত সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, এ খাতে বিদেশ নির্ভরতা কমাতে হবে। দেশে ফিড ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে। সেক্ষেত্রে মেশিনারিজ আমদানিতে সরকার কর অব্যাহতিসহ অন্যান্য সুবিধা দেবে। পোল্ট্রি খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে গেলে এর সহায়ক খাতও বিকশিত করতে হবে। রাষ্ট্র সকল সহায়তা দেবে।

তিনি আরও যোগ করেন, পোল্ট্রি শিল্পে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। খামারে দূষণ হলে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এ জায়গায় দায়িত্বশীলতা থাকতে হবে। যাদের বড় খামার আছে তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে ভোক্তারা পোল্ট্রি থেকে উৎপাদিত খাদ্যের ওপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

পোল্ট্রি থেকে উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারের জন্য শিল্প স্থাপনের ওপর এ সময় গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। এ ধরনের শিল্প স্থাপনে রাষ্ট্র সবধরনের পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দিতেচায় বলে জানান মন্ত্রী।

ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পোল্ট্রি খাতের বিজ্ঞানী, গবেষক ও অংশজীনরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ আয়োজিত নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদন বিষয়ক সেমিনারের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন সেমিনারের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদন: প্রত্যাশা ও পরিকল্পনা বিষয়ে উপস্থাপন করেন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এর সভাপতি শামসুল আরেফীন খালেদ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২২ ১২:৫৩ অপরাহ্ন
বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে গরু, জমে উঠছে গাবতলীর কোরবানির হাট
প্রাণিসম্পদ

আসছে আগামী ১০ জুলাই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে অন্যতম কোরবানির ঈদ। আর ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে পশু বেচা-কেনার জন্য নেয়া হয়েছে নানান প্রস্তুতি। এরমধ্যে রাজধানীর অন্যতম বড় পশুর হাট গাবতলীতেও সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবাসায়ীরা নিয়ে আসছেন গরু। ক্রেতা সমাগম এখনও তেমন চোখে না পড়লেও ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করছে।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজ কয়েক দিন গুটি গুটি বৃষ্টির কারণে পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। আবহাওয়া খারাপের কারণে ক্রেতা সমাগম কম। আগামী দুই তিন দিন পর বেচা-কেনা জমে উঠবে।

গাবতলী পশুর হাটে ব্যবসায়ী হাসান আলীর জানান,তিনি ৩৪টি গরু নিয়ে এসেছে। তার প্রতিটি গরুই মাঝারি আকারের। দেড় থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত একেকটি গরুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে আসার পর ২ টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে।

মেহেরপুর থেকে আসা ব্যবসায়ী মিজান হোসেন জানান, তার নিজের ঘরে পালিত একটি গরু নিয়ে এসেছি। নাম ‘গরিবের আশা’। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ লাখ। তবে অনলাইনে একজন দাম বলেছে সাড়ে ১০ লাখ। আমি এতো কম দামে বিক্রি করবো না। আরও দাম বাড়বে বলে আশা করছি।

গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের ইজারা কর্মকর্তা সানাউল হক জানান, আমাদের এখানে ব্যবসায়ীদের জন্য খুপড়ি ঘর, গরু রাখার স্থান তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টি বাগড়ায় যেন রাখাল ও পশু না ভিজে সে জন্য শেড টাঙানো হয়েছে। অনেকে নিজ উদ্যোগে প্লাস্টিকের ত্রিপল লাগিয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২২ ৮:২৭ পূর্বাহ্ন
কোরবানির জন্য সুস্থ গরু চিনবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা তথা কোরবানি ঈদ। এই ঈদে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ত্যাগের মহিমা তথা পশু কোরবানি দিয়ে থাকে। আর শরিয়াহ মোতবেক এই পশু হতে একেবারে সুস্থ সবল। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের অবশ্যই নজর রাখতে হবে পশুটিকে স্টেরয়েড ব্যবহার করে মোটাতাজা করানো হয়েছে কিনা? পশুটি রোগাক্রান্ত কিনা? আর একটু সচেতন হলেই এসব সহজে বুঝা সম্ভব।

এ বিষেয়ে মুফতি সাহেবরা বলেন,‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য কোরবানির পশু হতে হবে প্রিয় ও পছন্দনীয় এবং সুস্থ-সবল। চতুষ্পদ পশু অর্থাৎ উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা কোরবানি দেওয়ার বিধান আছে। তবে হরিণ, খরগোশ দিয়ে কোরবানি করার বিধান নেই। এছাড়া কোরবানির জন্য পশুর বয়সও নির্ধারিত রয়েছে।’‘উট ও গরু-মহিষে সাত জনে মিলে সাত ভাগে কোরবানি দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে উটের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর, গরু-মহিষ বয়স ২ বছর এবং ছাগল, ভেড়া, দুম্বার বয়স এক বছর হতে হবে।’

মুফতি আনছারুল হক ইমরান জানান, ‘কোরবানির জন্য শিং যুক্ত হৃষ্টপুষ্ট, অধিক গোশত সম্পন্ন, নিখুঁত, দেখতে সুন্দর এমন পশু নির্বাচন করা উচিত। তবে দু’চোখ বা এক চোখের এক তৃতীয়াংশের বেশি অন্ধ, তিন পায়ে চলে বা চার পায়ে ভর দিতে পারে না এমন পশু, পশুর কান বা লেজের এক তৃতীয়াংশের বেশি কাটা থাকলে, হাড্ডিসার পশু, শিং ওঠেনি অথবা মূল থেকে শিং ভাঙা পশু, যে পশুর একটিও দাঁত নেই, বন্ধ্যা পশু, চর্মরোগের কারণে গোশত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন পশু, গর্ভবতী পশু বা বাচ্চা প্রসবের সময় অত্যাসন্ন পশু কোরবানি করা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাদিসের বিবরণে রয়েছে, কোরবানির পশুকে হাশরের ময়দানে শিং, কান, চোখ, লেজ ইত্যাদিসহ হাজির করা হবে। তবে কেনার পর পশু মারামারি করে শিং ভেঙ্গে গেলে, পা ভেঙ্গে গেলে বা অন্য কোনও উপায়ে আহত হলে সামর্থ থাকলে পুনরায় উত্তম পশু কিনতে পারলে উত্তম। তবে কেনা না গেলে সেই পশু দিয়ে কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে পশুর পা একেবারেই ভাঙা থাকলে, শিং ভেঙ্গে মস্তিষ্ক আহত হলে, অবহেলা বা অযত্নে যদি পশুটি দোষযুক্ত হয় বা পশু চুরি হয়ে গেলে আগের চেয়ে ভালো পশু কিনে কোরবানি দেওয়া উত্তম।’

সুস্থ-সবল পশু চেনার উপায় বর্ণনা করতে গিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিম্যাল সাইন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন জানান, ‘সুস্থ পশুর বৈশিষ্ট্য হলো- লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে, কান নাড়াবে, অবসরে জাবর কাটবে, নাকের নিচের কালো অংশ ভেজা থাকবে যাতে মনে হয় ঘাম বা শিশির জমেছে, চোখ বড় ও উজ্জ্বল থাকবে, নাক দিয়ে পানি বা সর্দি পড়বে না, ষাড় গরুকে বিরক্ত করলে সহজে রেগে যাবে ও গোবর স্বাভাবিক থাকবে।’

পশুর বয়স কিভাবে নিশ্চিত হওয়া নিয়ে তিনি জানান, ‘কোরবানির গরুর বয়স দুই বছর হতে হবে এবং ছাগলের বয়স এক বছর হতে হবে। দাঁত দেখে এ বয়স নির্ণয় করা যায়। পশুরু জন্মের পর যখন দাঁত উঠে তখন তাকে দুধ দাঁত বলা হয়। দুধ দাঁত আকারে খুব ছোট থাকে। গরুর দুই থেকে আড়াই বছর বয়সে প্রথম এক জোড়া দুধ দাঁত (মাঝখানের) পড়ে যায় এবং সে স্থানে বড় আকৃতির এক জোড়া স্থায়ী কর্তন দাঁত উঠে। যার আকার দুধ দাঁতের প্রায় দুই থেকে তিন গুণ। যা দেখলে সহজেই গরুর বয়স বোঝা যায়। এভাবে গরুর বয়স বাড়তে থাকে এবং স্থায়ী দাঁতের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। আর ছাগলের ১২ মাস থেকে ১৫ মাস বয়সে প্রথম এক জোড়া কর্তন দুধ দাঁত (মাঝখানের) পড়ে যায় এবং সে স্থানে বড় আকৃতির এক জোড়া স্থায়ী কর্তন দাঁত উঠে। যার আকার দুধ দাঁতের প্রায় তিন গুণ বড়। যা দেখে ছাগলের বয়স নির্ণয় করা হয়।’

পশুকে স্টেরয়েড খাওয়ানোর বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন বলেন, ‘স্টেরয়েড ব্যবহারে অল্প সময়ে পশুর শরীরে পানি জমে ফুলে উঠে। খাবার কম খেয়ে পানির প্রতি আগ্রহ দেখায়। গরু খুবই শান্ত বা নির্জীব প্রকৃতির হয়। শরীরের মাংসালো অংশে জোরে চাপ দিলে দেবে যায়। মাছি তাড়ানোর জন্য ঘন ঘন লেজ নাড়াবে না।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২২ ৮:০১ পূর্বাহ্ন
ডিজিটাল হাটের কেনা গরু অপছন্দ হলে দেওয়া যাবে ফেরত
প্রাণিসম্পদ

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এবারও চালু হল ‘ডিজিটাল হাট’, যেখানে পছন্দ না হলে অনলাইনে কেনা কোরবানির পশু ফেরত দেওয়ারও ব্যবস্থা থাকছে।

পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতার হিসাব সমস্যার সমাধানের ভার্চুয়াল ক্যালকুলেটরও সংযোজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘ডিজিটাল হাট ২০২২’ এর উদ্বোধন করে তিনি বলেন, “অনলাইনে গবাদি পশু কেনাবেচার ক্ষেত্রে যাতে কেউ প্রতারণার শিকার না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”

ডিজিটাল হাটের সাথে সম্পৃক্ত এটুআই, একশপ, ই-ক্যাব সহ অন্যান্য ফোরামকে সম্মিলিতভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, মানুষের আস্থা বাড়াতেই এটা করা প্রয়োজন।

“যদি কেউ প্রতারিত হয়, তারা আগামী বছর এ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী থাকবে না।”

মন্ত্রী বলেন, “অনলাইনে কেনা গবাদিপশু পছন্দ না হলে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে, যাতে এটা সবার কল্যাণে কাজে লাগে এবং কেউ যেন কোনোভাবে প্রতারণার শিকার না হয়।

“এ বছর ভার্চুয়াল ক্যালকুলেটর নতুন সংযোজন করা হয়েছে। এটি ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে অনাহুত সমস্যা থেকে মুক্ত রাখবে এবং তাদের দুশ্চিন্তা দূর করবে।”

এবারের কোরবানিতে পশুর সংকট হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের জরিপ অনুযায়ী এবার ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে । তার বিপরীতে দেশে কোরবানি যোগ্য গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে ১ কোটি ২১ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৮৯টি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩, ২০২২ ১০:৫৭ অপরাহ্ন
দেশীয় গরুতে কোরবানির জন্য শতভাগ প্রস্তুত প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
প্রাণিসম্পদ

আগামী ১০ ই জিলহজ পালিত হবে মুসলিমদের বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের মাঝে অন্যতম উৎসব ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদের অন্যতম মহত্ব হলো পশু কোরবানি দেওয়া। আর এবারের ঈদে শতভাগ দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি উদযাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, এ বছর ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে দেশের খামারি ও গৃহস্থদের কাছে। আর কোরবানির সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছে ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৩৫টি। গত বছর তথা ২০২১ সালে কোরবানি করা হয়েছে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি পশু। সে তুলনায় এবার ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৩টি পশু বেশি রয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, এবার দেশে কোরবানির পশুর চেয়েও অতিরিক্ত পশু রয়েছে। যা চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। কোরবানি দেওয়ার পরও পর্যাপ্ত পশু থেকে যাবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব এবার কোরবানিতে পড়বে। এক সময় কোরবানির পশু নিয়ে ফেরিঘাটে এসে দুই-তিনদিনও অপেক্ষা করতে হতো। পদ্মা সেতু দিয়ে যারা ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জায়গায় কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন তাদের জন্য পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে অভাবনীয় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায় থেকে ঢাকা বা ঢাকা থেকে অন্যত্র পশু পারাপারে এখন ফেরি পার না হলেও চলে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে কোরবানির পশু পারাপার সহজ হয়েছে। পথে অনেক সময় পশু ক্লান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে যেত, অনেক সময় মারাও যেত, সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণ হয়েছে। এটা খামারি, বিপণনকারী ও ভোক্তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এভাবে পদ্মা সেতু কোরবানির আয়োজনে অকল্পনীয় সুযোগ করে দিয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত কয়েক বছর দেশের কোরবানির চাহিদা অনেকটা কমে গিয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ এবং ২০২১ সালে কোরবানি গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটা কম হয়েছে। ২০২০ সালে দেশে কোরবানি হয় মাত্র ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি পশু। ২০২১ সালে তা আরও কমে কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা কমে ৯০ লাখ ৯২ হাজার ২৪২টি নেমে আসে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩, ২০২২ ১০:১৪ অপরাহ্ন
ডিজিটাল হাট থেকে ৭১ হাজার টাকায় গরু কিনলেন পলক
প্রাণিসম্পদ

ডিজিটাল হাট থেকে ৭১ হাজার ২৫০ টাকায় একটি গরু কিনেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

রোববার (৩ জুলাই) বিকেলে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল কোরবানি হাটের উদ্বোধনের সময় এই গরুটি কেনেন মন্ত্রী। ই-ক্যাবের মানবসেবা প্রকল্পের মাধ্যমে এটি সিলেটের বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে এই গরু ক্রয়ের মাধ্যমেই হাটের উদ্বোধন করা হয়। গরুটি ক্রয়ে অনলাইনেই কার্ডের মাধ্যমে ৭ হজার ১২৫ টাকা পেমেন্টের মাধ্যমে গরুটি বুকিং করে রাখা হয়। গরুটির ওজন দেখানো হয় আনুমানিক ১৫০ কেজি।

এর আগে অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জানান, আমরা তৃতীয় বছরের মতো এই ডিজিটাল হাট কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যাতে বিশ্বস্ততা অর্জন করা যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি। আমরা একটি ক্যাশ লেস সোসাইটি গড়ে তুলবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ভিশনে এসব সম্ভব হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩, ২০২২ ২:৪০ অপরাহ্ন
কোরবানির পশু সুস্থ ও স্টেরয়েড মুক্ত কিনা বুঝবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

যিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। যিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পালিত হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী এ বছর জুলাই মাসের ১০ তারিখ বাংলাদেশের মানুষ ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন। ঈদুল আযহার অন্যতম একটি আনুষ্ঠানিকতা হলো পছন্দের পশুকে কোরবানি করা।

মুসলিমদের এই উৎসবে সামর্থ্যবানরা পছন্দমতো পশু কোরবানি দিয়ে আল্লাহর কাছে তার তাকওয়া প্রদর্শন করে। সামর্থ্যবানদের কোরবানি গরুর মাংসের একটি অংশ থাকে গরিবদের জন্য। আর এই কোরবানির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সুস্থ ও সবল পশু নির্বাচন করা।

সারাদেশে ১ কোটিরও বেশি পশু কোরবানিতে জবেহ করা হয়। সবাই ভালো গরুটিই পছন্দ করতে চায়, এজন্যে সবার নজর থাকে গরুর স্বাস্থ্যের প্রতি। এই উৎসবকে পুঁজি করে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করে দ্রুত গরু মোটাতাজাকরণের দিকে ঝুঁকছে।

কোরবানির গরু সুস্থ ও রোগমুক্ত কিনা তা চেনার উপায়:

১) স্টেরয়েড দিয়ে মোটাতাজা করা গরু স্বাস্থ্যবান দেখাবে কিন্তু এরা তেমন চটপটে হবে না। খুব বেশি নাড়াচাড়া করতে দেখা যাবে না। গরুর শরীরে আঙ্গুল দিয়ে হালকা চাপ দিলে ঢেবে যাবে। কিন্তু সুস্থ গরুর শরীরে আঙ্গুলের চাপ দিয়ে আঙ্গুল সরিয়ে নিলে তাৎক্ষণিকভাবে পূর্বের অবস্থায় ফেরত আসবে।

২) পশুর চোখ উজ্জ্বল ও তুলনামূলক বড় আকৃতির হবে। অবসরে জাবর কাটবে (পান চিবানোর মতো), কান নাড়াবে, লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে। বিরক্ত করলে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সহজেই রেগে যাবে।

৩) সুস্থ গরুর নাকের সামনের কালো অংশ (Muzzle) ভেজা থাকবে, অসুস্থ গরুর ক্ষেত্রে শুকনো থাকবে। এছাড়া অসুস্থ গরুর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে।

৪) সুস্থ গরুর গোবর স্বাভাবিক থাকবে, পাতলা পায়খানার মতো হবে না।

৫) সুস্থ গরুর সামনে খাবার এগিয়ে ধরলে জিহ্বা দিয়ে তাড়াতাড়ি টেনে নিতে চাইবে। অপরদিকে অসুস্থ পশু ভালোমতো খেতে চাইবে না।

৬) অসুস্থ গরু ঝিমায়, নিরব থাকে। খুব বেশি আশেপাশের কোলাহলে সাড়া দেয় না।

কোরবানির জন্য দেশে গরু, মহিষ, ছাগল প্রভৃতি পশু বা প্রাণীর চাহিদা ব্যাপক। পূর্বে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকেও অনেক পশু আমদানি করা হত। প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, কোরবানির চাহিদা মোতাবেক দেশে এখন পর্যাপ্ত সংখ্যক পশু বা প্রাণী রয়েছে। পশু ক্রয় থেকে শুরু করে মাংস ভক্ষণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে সর্বক্ষেত্রে। রোগব্যাধির প্রকোপ বেশি হলে প্রাণী চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।

কোরবানির পশু কেনার পর আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষই পশুর প্রতি বেশি দরদ দেখাতে গিয়ে জবাইয়ের পূর্বে বেশি করে খাবার খাওয়ায়, যা বিজ্ঞানসম্মত নয়। এতে করে মাংসের গুণগত মান কমে যেতে পারে৷ পশু জবাইয়ের ১২ ঘন্টা পূর্ব থেকে পশুকে কোনো খাবার না দেওয়াই ভালো এবং বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে৷ এতে করে চামড়া ছাড়ানো সহজ হবে৷

লেখকঃ
ডাঃ আবদুর রহমান (রাফি)
রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারি ডাক্তার
বি. এস. সি. ভেট. সায়েন্স এন্ড এ. এইচ, এম. এস. (ডেইরি সায়েন্স), এমসিভিএস (বিসিভিএস)

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop