৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২, ২০২২ ৮:৩৭ অপরাহ্ন
রাজধানীতে ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন এন্টারপ্রাইজের নতুন অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর
প্রাণিসম্পদ

ইউএসএইড (USAID) এর অর্থায়নে এবং এসিডিআই ভোকা বাস্তবায়িত ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ লাইভস্টক অ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি প্রকল্প এবং ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন এন্টারপ্রাইজ (এআই) এর মধ্যে  “গবাদি প্রাণির জাত উন্নয়নে কৃত্রিম প্রজনন সেবার প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গবাদি প্রাণির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি” বিষয়ক একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে । গত ৩০ জুন, ২০২২ ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । এই চুক্তির মাধ্যমে ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন এন্টারপ্রাইজ এর পক্ষ হতে গবাদি প্রাণির কৃত্রিম প্রজনন সেবা বৃদ্ধির জন্য ইনসেপশন ওয়ার্কশপ, বেসলাইন স্টাডি, সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় নতুন কৃত্রিম প্রজননকর্মী প্রশিক্ষন, পুরাতন কৃত্রিম প্রজননকর্মীর রিফ্রেসার প্রশিক্ষন ব্যবস্থা, মাঠ পর্যায়ে গাভী পালনকারী খামারিদের প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক অনুষ্ঠান, পণ্যের প্রচার কার্যক্রম, মডেল ফার্ম স্থাপন ও গবাদি প্রাণির মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক এবং বাছুর প্রদর্শণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করবে। এই অংশীদারিত্ব চুক্তির অংশ হিসেবে মহিলা কৃত্রিম প্রজনন কর্মীদের আরও উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের যাতায়াত এর সুবিধার্থে মোটরসাইকেল চালানোর উপর প্রশিক্ষন ও কেনার জন্য আর্থিক সুবিধা গ্রহনের ব্যবস্থা থাকবে । এই উদ্যোগের ফলে গবাদি প্রাণির কৃত্রিম প্রজনন সেবা খামারি দোরগোড়ায় নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি উন্নত মানের গবাদি প্রাণির ও দেশের সার্বিক মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।

উক্ত অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন  মোহাম্মদ আনিসুরর হমান, উর্ধ্বতন পরিচালক, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেস;  ড. ফারুকুল ইসলাম, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার; স্বপন চন্দ্র দাস, এসিএ, ডিজিএম, ফিন্যান্স এন্ড একাউন্টস ও ডা: মো: মতিউর রহমান, ম্যানেজার লাইভস্টক সার্ভিস ও ট্রেনিং, ব্র্যাক প্রধান কার্যালয় ও বাংলাদেশ লাইভস্টক অ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ নুরুল আমিন সিদ্দিকী, কান্ট্রি রিপ্রেসেনটেটিভ ও চিফ অফ পার্টি; খালেদ খান, টিম লিড মার্কেট সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট ও মো: সেলিম হোসেন, প্রাইভেট সেক্টর এনগেইজমেন্ট স্পেশালিস্ট এবং বিভিন্ন মিডিয়ার অতিথিবৃন্দ ।

এই সহযোগিতামূলক উদ্যোগ গবাদি প্রানীর ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের সরবরাহ বাড়াবে এবং প্রাণিসম্পদ খাতে একটি নতুন রাজস্ব প্রবাহ তৈরি করবে। ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন এন্টারপ্রাইজ (এআই) ভবিষ্যতে বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ এর জাত উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতার বৈচিত্র্য আনায়ন করবে ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২, ২০২২ ১:২৩ অপরাহ্ন
এক লাখ ৩৯ হাজার কোরবানির পশু নিয়ে প্রস্তুত নোয়াখালীর খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

আগামী ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। লকডাউনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ইতোমধ্যেই গরু পরিচর্যা ও মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন নোয়াখালীর খামারী ও ব্যবসায়ীরা।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ১০ হাজার অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চলতি বছর নোয়াখালীতে কোরবানি পশুর চাহিদা ১ লাখ ৩০ হাজার রয়েছে। নোয়াখালী জেলার ৯টি উপজেলায় ছোট-বড় ৪ হাজার ৩৫১টি পশু খামার রয়েছে।

জানা গেছে, জেলার চাটখিল-সোনাইমুড়ী বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, সদর, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও হাতিয়া উপজেলায় ৪ হাজার ৩৫১টি খামারে প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার গরু ছাগল, মহিষ ও ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে খামারিরা বলছেন, এবছর কোরবানির জন্য দেশি গরুকেই বেশি পছন্দ করছেন ক্রেতারা। স্থানীয় খামারগুলোতে জেলার চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পশু থাকা সত্ত্বেও ভারত ও মিয়ানমার থেকে ঈদের এক মাস আগেই বিপুল পরিমাণ গরু দেশে প্রবেশ করায় ন্যায্য মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়া নিয়ে আশঙ্কা করছেন তারা।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার নোয়াখালী জেলার কয়েকটি পশু খামার ঘুরে দেখা গেছে, খামারীরা রাত-দিন গরু পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছে। অনেক ক্রেতাই ইতোমধ্যে খামারে গিয়ে তাদের পছন্দের গরু বাচাই করে কিনে খামারেই রেখে আসছেন।

সোনাইমুড়ীর আমিশাপড়া, আমকি, চাটখিলের খিলপাড়া, দশঘরিয়া, চাটখিল এর কয়েকটি খামার ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর গরুর দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। তবে ক্রেতাদের ধারণা, ভারত ও মিয়ানমার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু আসা শুরু হলে দেশি গরুর দাম আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অনেকটা কমে যাবে। দাম কমার আশায় অনেক ক্রেতা কোরবানির পশু না কিনে এখন বাজার দর পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

এদিকে নোয়াখালী জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী রফিকুজ্জামান জানান, ‘এ বছর ভারত ও মায়ানমার থেকে গরু আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। চলতি বছর নোয়াখালীর হাতিয়া সুবর্ণচর থেকে প্রচুর কোরবানির পশু বিভিন্ন জেলায় যাবে। সুতরাং এ বছর স্থানীয় খামারিদের লোকসানের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
‘নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার ১০৭ পশুর হাটে ৩৩টি ভেটেনারী মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিম বিভিন্ন খামারে গিয়ে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যান।’

তিনি জানান, ‘একটু চেষ্টা করলেই বাজারে আসা কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ পশুগুলো সহজেই চিনতে পারবেন ক্রেতারা। যেসব গরুর গায়ে আঙুল এর চাপ দিলেই মাংস দেবে যাবে এবং পশুগুলো নড়াচড়া কমসহ ঝিমানো ভাব থাকবে সেগুলো রোগা। তাছাড়া হাটে স্টেরয়েড ও হরমোন ব্যবহার করে মোটাতাজাকরণ করা গরু বাজারে যাতে তুলতে না পারে সেজন্য পশুর হাট গুলোতে প্রাণীর সম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। এছাড়াও প্রতি উপজেলায় খামারীদের সঙ্গে সভা করে নিষিদ্ধ স্টেরয়েড কুফল সম্পর্কে খামারীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২২ ১০:১৫ অপরাহ্ন
কোরবানি পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ
পাঁচমিশালি

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট শনাক্ত করতে ব্যাংকগুলোকে বুথ স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার একটি সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

উপজেলা সদর পর্যন্ত সরকার অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটগুলোতে জাল নোট চক্রের অপতৎপরতা রোধে বুথ স্থাপন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সার্কুলারে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ব্যবসায়ীদের বিনা খরচে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত বিভিন্ন পশুর হাটের জন্য বিভিন্ন ব্যাংককে বুথ স্থাপনের দায়িত্ব বণ্টন করে দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এই সেবা দিতে ঢাকার বিভিন্ন পশুর হাটের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত তফসিলি ব্যাংকের মনোনীত কর্মকর্তাদের নাম, পদবী ও মোবাইল নম্বর আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে ইমেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে।

ঢাকার বাইরে যে সব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস আছে, সেখানে অনুমোদিত পশুর হাটে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিস বিভিন্ন ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় বা প্রধান শাখাকে এ ধরনের নির্দেশনা দেবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস নেই এমন জেলার সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, থানা ও উপজেলার অনুমোদিত পশুর হাটে বিভিন্ন ব্যাংককে দায়িত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করবে জেলার সোনালী ব্যাংক।

হাটে স্থাপিত বুথে নোট কাউন্টিং মেশিনের সাহায্যে নগদ অর্থ গণনার সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

বুথ স্থাপনে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, জেলা মিউনিসিপ্যালিটি কর্তৃপক্ষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট পৌরসভা ও সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও আনসারের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২২ ৫:০৮ অপরাহ্ন
পদ্মা সেতু কোরবানির আয়োজনে অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করেছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

পদ্মা সেতু কোরবানির আয়োজনে অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করেছে এবং কোরবানিকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন।

শুক্রবার (১ জুলাই) রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে পদ্মা সেতুর সম্ভাবনা: দেশীয় পশুতে কোরবানি, খামারিদের সমস্যা ও করণীয়’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, আত্মবিশ্বাস,সততা, দৃঢ়তা ও দেশপ্রেমের অকল্পনীয় সিদ্ধান্তে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছে পদ্মা সেতু। এ সেতু আমাদের বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কোরবানির পশু নিয়ে এক সময় ঘাটে এসে দুই-তিনদিনও অপেক্ষা করতে হতো। পদ্মা সেতু দিয়ে যারা ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জায়গায় কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন তাদের জন্য পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে অভাবনীয় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে একদিকে যেমন কোরবানির জন্য সম্প্রসারিত জায়গা হচ্ছে, অপরদিকে রাস্তা-ঘাটে ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হচ্ছে না। দেশের প্রান্তিক পর্যায় থেকে ঢাকা বা ঢাকা থেকে অন্যত্র পশু পারাপারে এখন ফেরি পার না হলেও চলে। ফলে ফেরিঘাটকেন্দ্রিক খামারিদের বিড়ম্বনা এখন নেই। পদ্মা সেতুর কারণে কোরবানির পশু পারাপার সহজ হয়েছে। পথে অনেক সময় পশু ক্লান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে যেত, অনেক সময় মারাও যেত, সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণ হয়েছে। এটা খামারি, বিপণনকারী ও ভোক্তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এভাবে পদ্মা সেতু কোরবানির আয়োজনে অকল্পনীয় সুযোগ করে দিয়েছে। কোরবানির অর্থনীতিতেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ বছর আমরা নিয়ম করে দিয়েছি, যিনি কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন তিনি পশু ঢাকায় না সিলেটে কোথায় বিক্রি করবেন সেটা তার ব্যাপার। পথে কোন বাজারে তাকে পশু নামাতে জোর করা যাবে না। খামারিদের আরেকটি সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, বাড়িতে বা রাস্তায় পশু বিক্রি করলে তাদের কোন হাসিল দিতে হবে না। কেউ খামারিদের বাজারে এনে পশু বিক্রিতে বাধ্য করতে পারবে না। কোরবানির পশু বাড়িতে বিক্রি করলে নিকটবর্তী বাজার ইজারাদার চাঁদা আদায়ের কথা বলতে পারবে না।

শ ম রেজাউল করিম আরও যোগ করেন, রাস্তাঘাট অথবা যেখানে যান চলাচলে বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হয় সেখানে কোন পশুর হাট বসতে পারবে না। নির্ধারিত জায়গায় হাট বসবে। প্রতিটি স্বীকৃত হাটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেল ব্যবস্থাপনা থাকবে, যাতে অস্বাস্থ্যকর ও রোগগ্রস্ত পশু কেউ যেন সামনে নিয়ে না আসে অথবা সেটা বিক্রি যেন না হয়। হাটে বিনামূল্যে পশু পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও এবারের ঢ় ঘাস ক হাটে আর্থিক লেনদেনের জন্য স্মার্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা থাকবে। এভাবে ক্রেতা-বিক্রেতা ও ভোক্তার জন্য একটি নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে।

ক্রান্তিকালে খামারিরা যাতে টিকে থাকতে পারে সেজন্য রাষ্ট্র পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এবার বৃহত্তর সিলেট ও ঢাকার একটি অংশে প্রাণিসম্পদ খাতে যে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে, সেটা নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রণোদনা দিয়ে খামারিরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে এবং এ খাত যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। বৃহত্তর সিলেটে স্মরণাতীতকালের বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস হলেও পশু মৃত্যুর সংখ্যা বিশাল নয়। তারপরও ঐই অঞ্চলের ক্ষতির বিষয়টি মাথায় রেখে বরিশালসহ দেশের অন্যান্য এলাকার উদ্বৃত্ত পশু এ সব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিপণনের জন্য উৎপাদকদের নিয়ে মেতে হবে। পশু পরিবহনে পথে কোন বাধা থাকবে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে দ্রুততার সাথে এক অঞ্চলের পশু অন্য অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া এখন সহজ। এক্ষেত্রে খামারিদের এগিয়ে আসতে হবে।

গবাদিপশুর খাদ্য নিয়ে মন্ত্রী বলেন, পশু খাদ্য তৈরির অন্যতম উপাদান প্রোটিন বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ আমদানিতে উৎসে করসহ অন্যান্য কর সরকার শিথিল করে দিয়েছে। দেশে পশু খাদ্য উৎপাদনের জন্য সরকার এ কর অব্যাহতি দিয়েছে। গুড়া দুধ উৎপাদনে দেশে খামারিরা কারখানা স্থাপন করলে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য আমদানিতে কর মওকুফের ব্যবস্থা সরকার করবে।

ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সমস্যা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে বলেও এ সময় জানান মন্ত্রী। এ সমস্যা সমাধানের উপায় বের করতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার বিষয়টিও আশ্বস্ত করেন তিনি।

ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না রায়হানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউল আহাদ ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুমন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২২ ২:১০ অপরাহ্ন
কোরবানির জন্য ৪ লাখ গরু প্রস্তুত করছেন সিরাজগঞ্জের খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার ১৫ হাজার খামারে চলছে গবাদিপশু মোটাতাজা করণের কাজ।

করোনার প্রভাবে গত দুই বছর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এ বছর ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। জেলায় প্রায় ৪ লাখ গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন স্থানীয় খামারিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১৫ হাজার বাণিজ্যিক খামার ও ব্যক্তিগতভাবে এই গবাদিপশুগুলো প্রস্তুুত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়তি লাভের আশায় অনেকেই কোরবানির ৫ থেকে ৬ মাস আগেই গরু লালন-পালন শুরু করেন। কোরবানি উপলক্ষে জেলায় ৩ লাখ ৯১ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে।

এবছর জেলায় প্রায় আড়াই লাখ গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে। বাকি পশু ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য পাঠানো হবে বলে খামারিদের সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলায় খামারি আছেন ১৫ হাজার। এই খামারগুলোতে দেশি, শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে প্রত্যেক খামারি কয়েক লাখ টাকা করে লোকসান গুনেছেন। এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সেই লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছেন খামারিরা। তবে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। এতে গবাদি পশু পালনে খরচ বেড়েছে।

খামারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩ মাস আগে ৪০ কেজি ভুষির মূল্য ছিল ১৩শ থেকে ১৪শ টাকা। এখন সেই ভুষি কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। আর খৈলের ৪০ কেজি বস্তার বাজারদর আগে ছিল ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা। এখন খৈলের বস্তার দাম ২ হাজার টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২২ ১০:২২ অপরাহ্ন
এলডিডিপির উদ্যোগে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এলডিডিপি) কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত অঞ্চলের প্রাণীর জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার সমমূল্যের মেডিসিন ও ২.৫ টন গো-খাদ্যের ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি ডা. মোঃ আছাবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ডা. এ.এম.এম. গোলাম মর্তুজা, উপদেষ্টা ডা. জামিল আহমেদ, সিলেট বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ডা. রাসেল মাহমুদ, অত্র অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং এল.এফ.এ ও এল.এস.পি।

অত্র অঞ্চলে বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। পানিবন্দী অবস্থায় অসহায় জীবনযাপন করছে মানুষ ও গবাদি প্রাণী।বন্যার জলে ভেসে যাচ্ছে গবাদি প্রাণী ও হাঁস-মুরগি।বন্যার পানি ঢোকায় গরু-ছাগল এবং হাঁস মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে চারণ ভূমির ঘাস, আবাদকৃত ঘাসের ক্ষেত এবং খড়ের গাদা।খাদ্যের ও মেডিসিনের অভাবে মারা যাচ্ছে অনেক প্রাণী।

এই কঠিন মুহূর্তে খামারিরা মেডিসিন ও গো-খাদ্য পেয়ে অনেক আনন্দিত।তারা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এলডিডিপি)কল্যাণ পরিষদের সাফল্য কামনা করেছেন।

ত্রাণ বিতরণ হয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমানা ঘেঁষে বাংলাদেশের তাহেরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোসহ সুনামগঞ্জের শনির হাওর,ডেকার হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর এবং সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২২ ১২:৪৯ অপরাহ্ন
দুটি গরু দিয়ে শুরু করে ২ কোটি টাকার মালিক হাকিম, হৃষ্টপুষ্টকরণে দেখভাল জেলা প্রাণিসম্পদ‘র
প্রাণিসম্পদ

২০০৫ সালে মাত্র দুটি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রামপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মো. আব্দুল হাকিম। বছর পাঁচেকের মধ্যে আধুনিক শেড তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে খামার করেন তিনি।  এখন খামারে ১০১টি গরু আছে। যেগুলোর দাম প্রায় দুই কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্ধেক ষাঁড়। যা তিনি কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করছেন বলে জানান।

মো. আব্দুল হাকিম জানান, আমার খামারে কোরবানির জন্য বেশকিছু গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। দেড় লাখ থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা মূল্যের ষাঁড় রয়েছে।  খামারে ৩০টি ষাঁড় রয়েছে। এগুলোর একেকটির দাম তিন লাখ টাকার ওপরে। বাকিগুলোর দাম দেড় লাখ টাকার মধ্যে। সবমিলিয়ে খামারে প্রায় দুই কোটি টাকার গরু রয়েছে বলে জানান হাকিম।

একই উপজেলার মোবারকপুর গ্রামে গরুর খামার রয়েছে যশোরের ব্যবসায়ী মো. মতিয়ার রহমানের। বড় একটি শেডে মোটাতাজা করা হচ্ছে ৫৫টি ফ্রিজিয়ান, সিন্ধি ও ন্যাপাসহ দেশি জাতের গরু। খামারটি দেখভাল করেন তারই আত্মীয় মেহেদি আল ইমরান খান পান্না।

তিনি জানান, দেড় কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে এবার খামারে। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে এবার খামারিরা একটু কমই বিনিয়োগ করেছেন। গতবার করোনার কারণে গরু বেচাকেনা কম হয়েছিল। তবে এবার মনে হয় দামটা ভালো পাওয়া যাবে।

খান পান্না বলেন, আমাদের খামারে সর্বোচ্চ ছয়-সাত লাখ টাকা দামের ষাঁড় রয়েছে। এছাড়া চার-পাঁচ লাখ টাকা দামের পাঁচ-ছয়টি ষাঁড় রয়েছে। অন্যগুলো দুই-তিন লাখ টাকা দামের।

এদিকে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত জেলার খামারিরা। এবার জেলায় প্রায় ৯০ হাজার গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হচ্ছে; যা চাহিদার তুলনায় পাঁচ হাজার বেশি। ক্ষতিকর হরমোন কিংবা ইনজেকশনের ব্যবহার ছাড়াই দেশি পদ্ধতিতে গবাদি পশু পালন করছেন খামারিরা। তাই পশুর ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তারা। যেহেতু কয়েক বছর ধরে ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ রয়েছে; সে কারণে গরুর দামও বেশি।

জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্র জানায়, কোরবানি উপলক্ষে যশোরে প্রায় ১০ হাজার খামারে ৯০ হাজার ৬৩১টি গরু ও ছাগল মোটাতাজা করা হচ্ছে। এর মধ্যে গরু ২৭ হাজার ৯৫৫টি ও ছাগল ৬২ হাজার ৬৭৬।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রাশেদুল হক জাানান, যশোরে এবার কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। জেলার চাহিদা পূরণ করে চার-পাঁচ হাজার পশু অন্যত্র জোগান দেওয়া যাবে।

তিনি আরও জানান, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এ অঞ্চলের খামারিরা গরু মোটাতাজা করছেন। মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তারা খামারিদের সেসব মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া নিয়মিত মনিটরিং করছেন। এর আগে আমরা সঠিক পদ্ধতিতে মোটাতাজাকরণে খামারিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২২ ১১:২১ পূর্বাহ্ন
মোহনপুরে প্রাকৃতিকভাবে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণে ব্যস্ত কৃষকরা
প্রাণিসম্পদ

রাজশাহীর মোহনপুরে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। প্রাকৃতিক উপায়ে হৃষ্টপুষ্টকরণ করায় এই অঞ্চলের গরুর চাহিদাও অনেক বেশি। এবার বাজারে গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় গরুর খাবারের দাম কিছুটা বেশি হলেও ভারত থেকে গরু না আসলে লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন খামারিরা।

উপজেলায় বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা যায়, পরম যত্নে গরুগুলোর প্রতিনিয়ত দেখভাল করছেন খামারিরা। কারণ কোরবানির হাটে যে গরু দেখতে যতো আকর্ষণীয় হবে, তার দামও হবে ততো বেশি। তাই গরু খাদ্য তালিকাটাও বেশ সমৃদ্ধ। গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ করতে ঘাসের পাশাপাশি দেয়া হচ্ছে প্রাকৃতিক খাবার খৈল, ভূষি, চাউলের খুদ ও খড়।

উপজেলার ময়ার মোড় গ্রামের খামারি সাইদুল ইসলাম জানান, গত ঈদে ১৬টি গরু মোটাতাজা করে প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো লাভ করেছিলেন। এ বছর কুরবানি উপলক্ষে গত ৫-৬ মাস থেকে ১২টি গরু ২টি মহিষ মোটাতাজা করছি।

এবার গরুর খাবারের দাম ও ঔষুধের দাম অনেক বেশি। অসাধু পন্থা অবলম্বন না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে কাঁচা ঘাস, খড়, গম, বুট, খুদের ভাত, খৈল-ভুষি খাইয়ে যতটুকু মোটাতাজা করার দরকার নিখুঁত খাদ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত করতে পারছি। যদি ভারতীয় গরু না আসে তাহলে লাভ থাকবে। অন্যথায় লোকসান হওয়া আশঙ্কা করছি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, ঈদকে সামনে রেখে এই উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৫২৫৭ খামারে গরু ১৮৫২৬, ছাগল ৩৬০৭২, ভেড়া ৩৬৫৬ মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে।

মোহনপুর উপজেলা অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: বিল্লাল হোসেন বলেন, উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ কৃষি ও পশুপালনে নিয়োজিত রয়েছেন। প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়েছে। এ কারণে এবার উপজেলায় কুরবানির চাহিদার থেকে বেশি পশু প্রস্তুত হয়েছে।

ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ রাখতে পারলে কৃষক ও খামারিরা ন্যায্য মূল্যে কুরবানি পশু সরবরাহ করতে পারবেন। খামারিদের প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজাকরণ করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কোনো খামারি যেন স্টেরয়েড বা ক্ষতিকারক ইনজেকশনের মাধ্যমে পশু হৃষ্টপুষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। যদি কোন খামারি ও ঔষধ বিক্রেতা এর সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাদের তথ্য-প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২২ ১১:১১ পূর্বাহ্ন
কুরবানির জন্য সুস্থ গরু চেনার উপায়
প্রাণিসম্পদ

কুরবানি দিবেন, অথচ গরু সুস্থ হবে না এটা কি মানা যায়! তাই সুস্থ গরু সবারই চাই। এজন্য আপনাকে কতগুলো বিষয় নজরে নিয়ে গরু নির্বাচন করতে হবে। আজকের লেখায় থাকছে এমন কিছু।

কুরবানির জন্য সুস্থ গরু চেনার উপায়:
সুস্থ গরুর প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো গরুটি সচেতন থাকবে। লেজ দিয়ে মশা-মাছি তাড়াবে, আশপাশে মানুষের উপস্থিতি বুঝতে পারবে এবং এ সময় সে নড়ে উঠবে।

গরুর নাক শুকনা থাকবে। অর্থাৎ নাক দিয়ে পানি পড়বে না। তবে নাকের নিচের অংশ (ঠোঁটের উপর কালো অংশ) ভেজা ভেজা থাকবে।

সুস্থ গরুর অন্যতম বৈশিষ্ট হলো জাবর কাটা। অনেকক্ষণ জাবর না-কাটলে সেই গরুর নানান সমস্যা আছে ধরে নিতে হবে।
গরুর গায়ের লোম মসৃণ এবং উজ্জ্বল থাকবে। লোম খাড়া থাকবে না আবার একদম ভাঙাও থাকবে না। পেছনে গোবর লেগে থাকবে না। যদি পাতলা গোবর লেগে থাকে তবে গরুর পেটে সমস্যা রয়েছে বুঝতে হবে।

গরুর মুখ দিয়ে লালা পড়বে না। আমরা অনেক সময় দেখি দূর থেকে ট্রাকে গরু অনার কারণে লালা পড়ে। গরু যথেষ্ট বিশ্রাম পাওয়ার পরও লালা ঝরছে কিনা লক্ষ্য রাখতে হবে। অনেক সময় গরুর মুখে ঘা থাকতে পারে, কিংবা দুই পায়ের চিপায় ঘা থাকতে পারে- এসব ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে।

স্বাভাবিকভাবে গরু শ্বাস-প্রশ্বাস নেবে। আপনি সেটা বুঝবেন না। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় শরীর ওঠা-নামা করলে বুঝতে হবে সেই গরুর সমস্যা আছে। স্বাভাবিক অবস্থায় গরু মিনিটে ১৫-১৬ বার শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়।

গরুর পায়ের পেছনের মাংস চাপ দিয়ে দেখতে হবে কত দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে। যদি দ্রুত স্বাভাবিক হয় তবে সমস্যা নেই। দ্রুত স্বাভাবিক না-হলে অর্থাৎ মাংস দেবে থাকলে সমস্যা।

থার্মোমিটার দিয়ে গরুর তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি থাকতে হবে। পায়ুপথে থার্মোমিটার ঢুকিয়ে এক মিনিট রেখে গরুর গায়ে বা চামড়ায় চেপে ধরলেই তাপমাত্রা পরীক্ষা করা যাবে।

বিষয়গুলো বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি সায়েন্সের ডিন, ডা. মো. মকবুল হোসেন, একই বিভাগের প্রফেসর ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বারি, ড. একেএম আনিসুর রহমান

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৯, ২০২২ ৪:১২ অপরাহ্ন
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুতে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর শোক
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি ।

সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বুধবার সকালে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ১২ জুন রাতে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নির্মল রঞ্জন গুহকে। এরপরই তাকে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৬ জুন দুপুরে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop